আবু ফারেস মসজিদ
আবু ফারেস মসজিদ | |
---|---|
جامع اليهود | |
![]() আবু ফারেস মসজিদ | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | আলজিয়ার্স |
প্রদেশ | আলজিয়ার্স |
অবস্থান | |
অবস্থান | আলজিয়ার্স, আলজেরিয়া |
দেশ | আলজেরিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৩৬°৪৭′২.৬৫″ উত্তর ৩°৩′৩৩.১″ পূর্ব / ৩৬.৭৮৪০৬৯৪° উত্তর ৩.০৫৯১৯৪° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৪০০ |
আবু ফারেস মসজিদ (মূলত আলজিয়ার্সের বড় সিনাগগ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল) হচ্ছে আলজেরিয়ার আলজিয়ার্সে অবস্থিত একটি মসজিদ। বর্তমানে এটি আলজিয়ার্সের একটি মসজিদ এবং পূর্বের সিনাগগ (ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়)। মসজিদটি জামায়া লিহৌদ (جامع اليهود) নামেও পরিচিত।[১][২]
১৯৬২ সালে আলজেরিয়া থেকে ইহুদিদের বিতাড়নের পরে, সিনাগগটি আবু ফারেস মসজিদে রূপান্তরিত হয়।[৩]
সিনাগগ হিসাবে ইতিহাস
[সম্পাদনা]
সিনাগগের স্থানটি পূর্বে একটি মসজিদ ছিল। ঐতিহাসিক সূত্রে অনুসারে, ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটিকে আলজিয়ার্সের একজন সাধু নাম অনুসারে সিদি আল হার্বির মসজিদ বলা হতো। ১৮৩০ সালে ফরাসীরা আলজেরিয়া দখল না হওয়া অবধি মসজিদ হিসাবেই ব্যবহার করা হতো। ফরাসিরা মসজিদের আশেপাশের অঞ্চলটি আলজেরিয়ার ইহুদিদের কাছে বিক্রি করে যারা মসজিদটি ধ্বংস করে এবং তার জায়গায় ১৮৪৫ সালে সিনাগগ নির্মাণ করে।
আবু ফারেস মসজিদে রূপান্তর
[সম্পাদনা]আলজেরিয়া থেকে ইহুদিদের চলে যাওয়ার পরে এবং আলজেরিয়া স্বাধীন হবার পরে, আলজেরিয়ার ইহুদিরা রাজনৈতিক কারণে ফরাসী উপনিবেশকারীদের সাথে ফরাসী জাতীয়তা নেয় (১৮৭০ সাল থেকে ফরাসী জাতীয়তা বহন করে)। তখন সিনাগগটি "আবু ফারেস মসজিদ" নামে পরিবর্তিত হয়।
আলী আবদুল আজিজ ইবনে ফারস ১৪৯২ সালের পতনের পরে আন্দালুসিয়া থেকে পালিয়ে যান। পরে তিনি বেজাইয়া এবং পরে আলজিয়ার্সে প্রবেশ করেন এবং কসবাহ জেলায় বসতি স্থাপন করেন। পরে আলী আবদুল আজিজ ইবনে ফারেস জেলাতে বাস করতেন। বেন হামোশের "আলজিয়ার্স শহরের মসজিদসমূহ, এর জাউয়া এবং উসমানীয় যুগে এর অভয়ারণাগুলি" বইয়ের সূত্র অনুসারে, আলী আবদুল আজিজ নাম অনুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Nourreddine, Louhal (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "La concurrence déloyale fait rage dans les marchés couverts d'Alger: Les camelots gangrènent l'activité commerciale"। Liberté (Algeria) (ফরাসি ভাষায়)। ২৩ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Rahmani, Farida; Bouchenaki, Mounir (২০০৩)। La Casbah d'Alger: un art de vivre des Algériennes। Paris-Méditerranée। আইএসবিএন 9782842721749।
- ↑ Auzias, Dominique (২০০৯)। Alger 2010-11। Petit Futé। পৃষ্ঠা 168। আইএসবিএন 2746924048।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]