কেতশাওয়া মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩৬°৪৭′৬″ উত্তর ৩°৩′৩৮″ পূর্ব / ৩৬.৭৮৫০০° উত্তর ৩.০৬০৫৬° পূর্ব / 36.78500; 3.06056
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেতশাওয়া মসজিদ – جامع كتشاوة
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানআলজিয়ার্স, আলজেরিয়া
কেতশাওয়া মসজিদ আলজেরিয়া-এ অবস্থিত
কেতশাওয়া মসজিদ
আলজেরিয়ায় অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩৬°৪৭′৬″ উত্তর ৩°৩′৩৮″ পূর্ব / ৩৬.৭৮৫০০° উত্তর ৩.০৬০৫৬° পূর্ব / 36.78500; 3.06056
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীমুরিশ ও বাইজেন্টাইন
সম্পূর্ণ হয়১৬১২
মিনার

কেতশাওয়া মসজিদ (আরবি: جامع كتشاوة, Djamaa Ketchaoua) হলো আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স শহরের একটি মসজিদ। এটি ১৭ শতকে অটোমান শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। এটি আলজিয়ার্সের কাসবাহের পাদদেশে অবস্থিত, যা একটি ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। মসজিদটি কাসবাহের অনেক খাড়া সিঁড়ির প্রথমটিতে দাঁড়িয়ে আছে এবং এটি ছিল প্রতীকীভাবে আলজিয়ার্সের প্রাক-ঔপনিবেশিক শহরের কেন্দ্রবিন্দু। [১] [২] [৩] মসজিদটি মুরিশ এবং বাইজেন্টাইন স্থাপত্যের অনন্য সংমিশ্রণের জন্য বিখ্যাত। [৪]

মসজিদটি মূলত ১৬১২ সালে নির্মিত হয়েছিল। ১৮৪৫ সালে, ফরাসি শাসনামলে এটি সেন্ট ফিলিপের ক্যাথেড্রালে রূপান্তরিত হয়, যা ১৯৬২ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ১৮৪৫ থেকে ১৮৬০ সালের মধ্যে পুরানো মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং একটি নতুন গির্জা তৈরি করা হয়েছিল। এটি ১৯৬২ সালে পূণরায় একটি মসজিদে রূপান্তরিত হয়। মোটামুটিভাবে গত চার শতাব্দীতে দুটি ভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর এই পরিবর্তন সত্ত্বেও, মসজিদটি তার আসল গুরুত্ব বজায় রেখেছে এবং এটি আলজিয়ার্সের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। [৪] [৫]

ভূগোল[সম্পাদনা]

কেতশাওয়া মসজিদ ঐতিহাসিক আলজিয়ার্সের কাসবাহে অবস্থিত, যা শহরের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত। অটোমান সাম্রাজ্যের শাসনামলে নির্মিত মসজিদটি একসময় শহরের কেন্দ্রস্থলে ছিল। এটির অবস্থান কাসবাহের প্রথম সিঁড়িতে। এখানে অটোমান রিজেন্সির ধনী এবং বিখ্যাত রাজপরিবারের সদস্যরা, রাজনৈতিক বিশিষ্টতা এবং অন্যান্য ধনী ব্যবসায়ীরা বসবাস করতেন।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সেন্ট ফিলিপ ক্যাথেড্রাল, ১৯০৫

কেতশাওয়া মসজিদের ইতিহাস কাসবাহের প্রাচীন ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি নিজের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি পেয়েছে। মসজিদটি কাসবাহের কেন্দ্রস্থলে অটোমান শাসনের অধীনে ১৬ এবং ১৭ শতকের দিকে নির্মিত হয়েছিল। এটির সঠিক অবস্থান ছিল শহরের কেন্দ্রস্থলে নিম্ন কাসবাহ থেকে আলজিয়ার্স শহরের পাঁচটি গেটের দিকে যাওয়ার রাস্তার সংযোগস্থলে। একটি স্মারক শিলালিপি অনুসারে, এটি হাসান পাশা দ্বারা ১৮ শতকের শেষের দিকে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৮৩২ সালে, ফরাসিরা মসজিদটিকে "সেন্ট ফিলিপ ক্যাথেড্রাল" নামে একটি গির্জায় রূপান্তরিত করে। ১৮৩৮ সালে, ফ্রান্স কর্তৃক আলজেরিয়ান শহর কনস্টানটাইন জয়ের পর, মার্শাল সিলভাইন চার্লস ভ্যালি ক্যাথেড্রালের উপরে একটি ক্রস স্থাপন করেছিলেন। ১৮৪৫ এবং ১৮৬০ সালের মধ্যে পুরানো মসজিদটি ভেঙে একটি নতুন গির্জা তৈরি করা হয়েছিল। ফরাসি শাসন থেকে আলজেরিয়ার স্বাধীনতার পর, ১৯৬২ সালে এই ক্যাথেড্রালকে কেতশাওয়া মসজিদ হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। [৬]

কেতশাওয়া মসজিদ ছাড়াও কাসাবাহ-এ দুর্গের ধ্বংসাবশেষ, অন্যান্য পুরানো মসজিদ এবং অটোমান-শৈলীর প্রাসাদ এবং সেইসাথে একটি ঐতিহ্যবাহী নগর কাঠামোর অবশিষ্টাংশ রয়েছে। [১] [২]

স্থাপত্যশৈলী[সম্পাদনা]

মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বারে ২৩টি ধাপের সিঁড়ি রয়েছে। প্রবেশদ্বারে, একটি অলঙ্কৃত পোর্টিকো রয়েছে, যা চারটি কালো-শিরাযুক্ত মার্বেল কলাম দ্বারা স্থাপিত। মসজিদের অভ্যন্তরে সাদা মার্বেল কলাম দিয়ে নির্মিত তোরণ রয়েছে। মসজিদের কক্ষ, মিনার এবং ছাদের সৌন্দর্য সুস্পষ্টভাবে মুরিশ প্লাস্টারের কাজ দ্বারা ফুটে উঠেছে। মসজিদটি থেকে কাসবাহের পাবলিক স্কোয়ারকে দেখা যায়। এটির সামনে সমুদ্র রয়েছে; এটির প্রবেশদ্বারের পাশে দুটি অষ্টভুজাকার মিনার রয়েছে, যার মধ্যে বাইজেন্টাইন এবং মুরিশ নকশা এবং সজ্জা রয়েছে। মসজিদের একটি কক্ষে সান জেরোনিমোর দেহাবশেষ সহ একটি সমাধি রয়েছে। [৪] [৬]

চিত্র[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Kasbah of Algiers"। Unesco। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১২ 
  2. "Algiers Kasbah: 1992Evaluation" (পিডিএফ)। Unesco। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৪ 
  3. McDougall, James (২০০৬)। History and the culture of nationalism in Algeria। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 217–220। আইএসবিএন 0-521-84373-1। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৪ 
  4. "Visit the Historic Ketchaoua Mosque in Algiers"। Algeria.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১২ 
  5. "Mosques converted from churches / cathedrals / synagogues"। World Heritage Site। ২০১১-০৮-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১২ 
  6. "The Magnificent Ketchaoua Mosque in Algiers" (পিডিএফ)। Travel North Africa Times। ২০০৮-০৪-১২। ২০১১-০৭-২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১২