জর্জ থর্নটন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জর্জ থর্নটন
১৮৯৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জর্জ থর্নটন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজর্জ থর্নটন
জন্ম(১৮৬৭-১২-২৪)২৪ ডিসেম্বর ১৮৬৭
স্কিপটন, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু৩১ জানুয়ারি ১৯৩৯(1939-01-31) (বয়স ৭১)
কেনসিংটন, লন্ডন, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
সম্পর্কপ্যাট্রিক থর্নটন (পুত্র) ও ওয়ারেন থর্নটন (প্রপৌত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৫৪)
১১ অক্টোবর ১৯০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪১
রানের সংখ্যা ১,২৬৩
ব্যাটিং গড় ২২.৫৫
১০০/৫০ –/– ১/৪
সর্বোচ্চ রান ১* ১৬১
বল করেছে ২৪ ১৯৬৮
উইকেট ৩২
বোলিং গড় ২০.০০ ৩১.৪৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২০ ৫/২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ১৩/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ এপ্রিল ২০২০

জর্জ থর্নটন (ইংরেজি: George Thornton; জন্ম: ২৪ ডিসেম্বর, ১৮৬৭ - মৃত্যু: ৩১ জানুয়ারি, ১৯৩৯) ইয়র্কশায়ারের স্কিপটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ বংশোদ্ভূত শৌখিন দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স ও ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জর্জ থর্নটন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

ইয়র্কশায়ারের স্কিপটন এলাকায় জর্জ থর্নটন জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শুরুতে স্কিপটন গ্রামা স্কুলে পড়াশুনো করেন। এরপর, এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়ন করেছিলেন।[১] এ সময়ে তিনি মাঝে-মধ্যে ইয়র্কশায়ার ও মিডলসেক্সের পক্ষে খেলতেন।

১৮৯১ সাল থেকে ১৯০২-০৩ মৌসুম পর্যন্ত জর্জ থর্নটনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৮৯১ সালে শৌখিন ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের পক্ষে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে তিনটি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।[২] এরপর থেকে পরবর্তী এক দশক মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন জর্জ থর্নটন।

বামহাতি ব্যাটসম্যান ও বামহাতি বোলার ছিলেন জর্জ থর্নটন। ১৮৯৫ সালে স্বর্ণালী মৌসুম অতিবাহিত করেন। এ পর্যায়ে মিডলসেক্সের সদস্যরূপে ব্যাট হাতে ৩১.০০ রান তুলেন ও ২৩ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি। লর্ডসে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে বল হাতে বিরাট সফলতা পান। পঞ্চম বোলার হিসেবে বোলিংয়ে নেমে ১৬৯ রান সংগ্রহকারী ডব্লিউ. জি. গ্রেসকে বোল্ড করেন ও খেলার শেষ ইনিংসে আউট হওয়া পাঁচ উইকেটের সবকটিই নিজের ঝুলিতে পুড়েন। ঐ খেলায় তিনি ৭২ রান খরচায় নয় উইকেট দখল করেন। পরের মৌসুমে প্রতিনিধিত্বমূলক খেলায় জর্জ থর্নটন তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৬১ রান সংগ্রহ করেন। খেলায় মিডলসেক্স দল ইনিংস ও ৭৭ রানে জয় তুলে নেয়। তবে, ঐ খেলায় তিনি বোলিং করেননি।[১]

দক্ষিণ আফ্রিকান যুদ্ধ শুরু হলে তিনি দেশে পাড়ি জমান। শুরুরদিকের চিকিৎসকদের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন জর্জ থর্নটন। প্রিটোরিয়াভিত্তিক সরকারি হাসপাতালের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় নয় বছর অবস্থান করেন। এ সময়ে তিনি ট্রান্সভালের পক্ষে খেলেন। পাশাপাশি, জোহেন্সবার্গের ওল্ড ওয়ান্ডারার্সে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে খেলেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জর্জ থর্নটন। ১১ অক্টোবর, ১৯০২ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৯০২-০৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একটি টেস্ট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[১] অক্টোবর, ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়া দল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। জো ডার্লিংয়ের নেতৃত্বাধীন দলটি ইংল্যান্ড গমন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় পদার্পণ করলে তিনি খেলেন।[১]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন জর্জ থর্নটন। তার পুত্র প্যাট্রিক থর্নটন বর্ডার ও আয়ারল্যান্ডের পক্ষে এবং প্রপৌত্র ওয়ারেন থর্নটন ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

৩১ জানুয়ারি, ১৯৩৯ তারিখে ৭১ বছর বয়সে লন্ডনের কেনসিংটন এলাকায় জর্জ থর্নটনের দেহাবসান ঘটে।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Wisden Cricketers' Almanack"George Thornton"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১১ 
  2. Warner, David (২০১১)। The Yorkshire County Cricket Club: 2011 Yearbook (113th সংস্করণ)। Ilkley, Yorkshire: Great Northern Books। পৃষ্ঠা 379। আইএসবিএন 978-1-905080-85-4 
  3. "Obituaries in 1939"Wisden। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]