চোরাবালি (২০১২-এর চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বালি বা পলিজাতীয় দানাদার পদার্থ ভর্তি গর্ত বিশেষের জন্য দেখুন চোরাবালি

চোরাবালি
চোরাবালি চলচ্চিত্র পোস্টারের চিত্র
পরিচালকরেদওয়ান রনি
প্রযোজকসালেহীন স্বপন (স্ক্রিন হাউজ এন্টারটেইনমেন্ট)
রুবেল ফরহাদ
ফারহান রেফাল (মাছরাঙা প্রোডাকশন)
রচয়িতারেদওয়ান রনি
শ্রেষ্ঠাংশেইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত
জয়া আহসান
সোহেল রানা
এটিএম শামসুজ্জামান
শহিদুজ্জামান সেলিম
হিল্লোল
সুরকারঅনুপম রায়
হৃদয় খান
চিত্রগ্রাহকখায়ের খন্দকার
সম্পাদকগিরিশ শিরসাত
মুক্তি২১ ডিসেম্বর, ২০১২[১]
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

চোরাবালি এটি ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় টিভি নির্মাতা রেদওয়ান রনি। সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ধারার এ্যাকশান ও থ্রিলারনির্ভর একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ছবিটি।[২] ছবিটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টলিউডর খলনায়ক ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী জয়া আহসান[২] এছাড়াও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল রানা, এটিএম শামসুজ্জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, হিল্লোল, সালেহীন স্বপন, পিয়া, ইরেশ যাকের, সাধু সজীব এবং একটি আইটেম গানে অভিনয় করেছেন কিন্ডি রোলিং।[২] বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে এটি তাঁর দ্বিতীয় অংশগ্রহণ প্রথমবার কমন জেন্ডার-দ্য ফিল্ম -এ।[৩]

চলচ্চিত্রটি প্রথমে বাংলাদেশে এবং পরে ইউরোপ, এশিয়ার কয়েকটি দেশ সহ বিশ্বের প্রায় ১০টি দেশে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।[৪]

কাহিনি সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

একজন তরুণ নাম "সুমন" (ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত) ছোট থেকেই জড়িয়ে পড়ে অপরাধ জগতের লোকদের সাথে। নবীন রাজনীতিবিদ "ওসমান গনি"র (শহিদুজ্জামান সেলিম) ডান হাত হিসেবে কাজ করে। গনির আঙ্গুলের ইশারায় সুমন খুন-চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধ করে চলে দিনের পর দিন। এদিকে এক তরুণী সাংবাদিক "নবিনী আফরোজ" (জয়া আহসান গনির অপরাধের বর্ণনা দিয়ে দৈনিক পত্রিকায় কয়েকবার খবর প্রকাশ করে। গনির বান্ধবী একজন উঠতি মডেল "সুজানা" (প্রিয়া) কোনো প্রকার ধর্মীয় বা সামাজিক বন্ধনে না জড়িয়ে- শুধু বিয়ের আশ্বাস দিয়েই ঘর সংসার করতে থাকে দুজনে। এক সময় সুজানা জানতে পারে সে মা হতে চলেছে এবং এই খবর গনিকে জানালে- গনি এই সন্তান নষ্ট করতে বলে। কিন্তু সুজানা এতে রাজি না হয়ে সাংবাদিক আপু নবিনী আফরোজ এর সাথে আলাপ করে প্রথম সন্তানকে নষ্ট না করার সিদ্ধান্তে অটুট থাকে।

পরে গনির হুকুমে সুমন সুজানার বাসায় গিয়ে তাকে গুলি করে এবং পরক্ষণে চেয়ে দেখে সুজানার লুতিয়ে পড়া দেহের পাশে বাচ্চাদের অনেক গুলো জুতা ও একটি মাতৃত্বের গ্রিটিং কার্ড যাতে লেখা ছিল হ্যাপী মম । মুহুর্তেই তার অপরাধের পৃথিবী এলোমেলো করে দিয়ে মায়ের (শামিমা নাজমিন) প্রিয় মুখখানা ভেসে উঠে চোখের সামনে।

যেই মা গর্ভকলীন সময় স্বামী হারিয়ে এক মোড়ল (সিরাজ হায়দার) এর ষড়যন্তে গ্রামের সালিশ-এ ১০১টি দোররার আঘাত সইতে না পেরে মারা জান। মায়ের এই মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে সেই ছোট বেলায় সুমন মোড়লকেই প্রথম খুন করে। দ্বিতীয় খুনটিও করে কাছকাছি সময়ে এবং ওই সময় গনির লোকেরা তাকে ধরে নিয়ে জায় অপরাধ জগতের গড-ফাদার ওসমান গনির কাছে। এরপর শুধু অপরাধ আর অপরাধ করে সুমন হয়ে উঠে গনির মূল হাতিয়ার।

পরদিন সুমন ছুটে যায় গনির কাছে এবং জানতে পারে সুজানা গর্ভবতী ছিল। নবিনী আফরোজ সুজানার একজন ডাক্তার বন্ধুর ইচ্ছে ও সহযোগিতায় সুজানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গর্ভের সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে সুজানার গর্ভের সন্তান গনির এমন খবর প্রকাশ করে। এরফলে গনি প্রথমে ডাক্তার ও পরে সাংবাদিক নবিনী আফরোজকে হত্যা করতে সুমনকে পাঠায়। কিন্তু সুমন ডাক্তারকে হত্যা না করে একটি পুরনো বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখে এবং পরে তুলে নিয়ে আসে নবিনী আফরোজকে। নবিনীকে বাঁচিয়ে রেখে মোবাইলে গনির কাছে মেরে ফেলেছে জানালে- তার মনে কোনো কু-মতলব আছে বলে নবিনী সুমনকে বকাবকি শুরু করে।

নবিনীকে সেই পুরনো বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখে এবং সুমনের মনের কষ্ট গুলো নবিনীর সাথে ভাগাভাগি করে। একপর্যায়ে দুটি মনের প্রনয় ঘটে এবং নবিনী সুমনকে গনির বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী দেয়ার তাগিদ দেয়। তবুও নবিনীকে ঘরে বন্ধ করে গনির সাথে দেখা করতে চলে যায় সুমন ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এর আগে সুমন গনির সাথে মোবাইলে কথা বলে এই সুযোগে গনি মোবাইল নেটওয়ার্ক ট্রাকিং করে ধরে নিয়ে আসে নবিনী ও ডাক্তারকে। এরফলে গনি ও সুমনের মধ্যে শুরু হয় সামনা সামনি বন্দুক যুদ্ধ। একসময় সুমন নবিনীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু গনি নবিনীকে বাঁচতে দেবেনা ভেবে জীবনের শেষ খুনটি করতে চলে যায় গনির বাড়িতে। সুমন গুলি করার আগেই গনির এক খাস লোক গুলি করে গনিকে হত্যা করে। এবং নবিনীর সহযোগিতায় সুমন মৃত গনির বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী দিয়ে সল্প সাজাভোগ করে জেল থেকে মুক্তি পায়।

সুমন জেল গেটের সামনে তাকাতেই দেখে নবিনী এক গুচ্ছ ফুল হাতে দাড়িয়ে বন্ধুর অপেক্ষায়।

অভিনয়ে[সম্পাদনা]

সংগীত[সম্পাদনা]

চোরাবালি
কর্তৃক গান
মুক্তির তারিখ২০১২
ঘরানাচলচ্চিত্রের গান
প্রযোজকগানচিল

চোরাবালি ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন কলকাতার অনুপম রায়বাংলাদেশের হৃদয় খান। ছবিতে মোট ৬টি গান রয়েছে, এগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু, হৃদয় খান, কণা, আরফিন রুমী, অনুপম রায়, ন্যান্সি, মিলন মাহমুদ।

গানের তালিকা[সম্পাদনা]

ট্র্যাক গান কণ্ঠশিল্পী গীতিকার
কেয়ারফুলি কেয়ারলেস আইয়ুব বাচ্চু
প্রেম হৃদয় খানকণা
অপারগতা আরফিন রুমী
চোরাবালি অনুপম রায় ও ন্যান্সি অনুপম রায়
মা মিলন মাহমুদ
দে ভিজিয়ে দে কণা
মা (ধীর গতির সংস্করণ) মিলন মাহমুদ

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]