চঞ্চল কুমার মজুমদার
চঞ্চল কুমার মজুমদার | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২০ জুন ২০০০ | (বয়স ৬১)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন |
|
পরিচিতির কারণ |
|
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | দীপন ঘোষ |
স্বাক্ষর | |
চঞ্চল কুমার মজুমদার (১১ আগস্ট ১৯৩৮ - ২০ জুন ২০০০) একজন ঘনপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ক ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি সত্যেন্দ্রনাথ বসু জাতীয় মৌলিক বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের উপর গবেষণার জন্য চঞ্চল মজুমদার তিনটি প্রধান ভারতীয় বিজ্ঞান পরিষদ যথা- ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমী, ন্যাশনাল একাডেমী অফ সায়েন্সেস এবং ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি নিউইয়র্ক একাডেমি অব সায়েন্সে এবং আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন।
চঞ্চল কুমার মজুমদার দীপন ঘোষের পরামর্শক ছিলেন, যার সঙ্গে তিনি হাইজেনবার্গের মডেলের বিস্তৃতির উপর গবেষণা করে মজুমদার-ঘোষ মডেলটি গড়ে তোলেন।[১] তিনি নোবেল বিজয়ী ওয়াল্টার কোন এবং মারিয়া গোপারপার-মায়ারের সহকর্মীও ছিলেন। বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ভারত সরকার পরিচালিত কাউন্সিল অফ সায়িন্টিফিক এণ্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ সংস্থা তাকে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে ফিজিক্যাল সায়েন্স অবদান রাখার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার প্রদান করে।[২]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]ডক্টর মজুমদার ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতে বাংলার বর্তমান নদিয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সীতাদেবী ও নির্লয় কান্তি মজুমদারের তিনজন পুত্রের মধ্যে একজন।[৩] তার দুই ভাই উজ্জ্বল ও মুকুল মজুমদার পড়াশোনায় ভাল ছিলেন। তিনি কৃষ্ণনগরের সিএমএস সেন্ট জনস উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে তার প্রাথমিক কলেজ শিক্ষা সম্পন্ন করেন।[১][৪]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৬০-৬১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের স্নাতকোত্তর গবেষণায় অংশ নেওয়ার পর তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান দিয়েগোতে নথিভুক্ত হন এবং ওয়াল্টার কোনের পরীক্ষাগারে কাজ করেন, যিনি ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে রসায়ন বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। ওয়াল্টার কোন ছিলেন তার থিসিস সুপারভাইজার। তার সঙ্গে ডক্টর মজুমদারের আজীবন সুসম্পর্ক ছিল।[১] ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী মারিয়া গ্যোপের্ট-মায়ারের তত্ত্বাবধানে ডক্টর মজুমদার ''দ্য এফেক্ট অফ ইন্টারেকশনস্ অন পজিট্রন অ্যানাইহিলেশন'' বিষয়ে গবেষণা করেন এবং ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ডক্টর ওয়াল্টার কোনের সঙ্গে গবেষণা করার সময় কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় (সেইসময় কার্নেগী ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি) থেকে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন।[৫]
১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে ফিরে আসার পর মজুমদার টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। এরপর তিনি ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন।[৬] এরই মধ্যে, ১৯৬৯-৭০ খ্রিষ্টাব্দে ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটিতে স্যামুয়েল ফ্রেডারিক এডওয়ার্ডসের সঙ্গে কিছুদিন কাজ করেন।[৭]
ডক্টর মজুমদার ১৯৭৫-৮২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার পালিত অধ্যাপক হিসেবে[৬] এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স গবেষণাকেন্দ্রে কঠিন অবস্থা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসাবে গবেষণা করেন। আইএসিএসের প্যালিট ল্যাবরেটরি এবং ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টারে তার গবেষণাকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর সত্যেন্দ্রনাথ বসু জাতীয় মৌলিক বিজ্ঞান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।[৭] তিনি ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে এসএনবিএনএনবিএস এর প্রথম ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হয়।[৮] এসএনবিএনবিবিএস-এ এক দশক ধরে নিযুক্ত থাকার পর, তিনি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন।[৯]
অবসর গ্রহণের পর তিনি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের একজন বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু সেখানে তার কার্যকাল খুবই সংক্ষিপ্ত ছিল। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জুন কলকাতায় ৬১ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।[৮]
গবেষণা
[সম্পাদনা]১৯৬০-এর দশকের প্রথম দিকে ওয়াল্টার কোনের সঙ্গে কর্মকালে ডক্টর মজুমদারের জীবনেরমোড় ঘুরে যায়। অস্ট্রীয় বংশদ্ভুত আমেরিকান বিজ্ঞানী কোন সেইসময়ে লুটিংগার-কোহেন মডেলের জন্য বৈজ্ঞানিক জগতে পরিচিত হয়েছিলেন (পরে তিনি রসায়নে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন[১০])। ডক্টর মজুমদারের সঙ্গে তার সহযোগিতার ফলস্বরূপহ হিসেবে মজুমদার-কোন তত্ত্ব উদ্ভাবন ঘটে,[১১] যা ফের্মি গ্যাসের আবদ্ধ ও অনাবদ্ধ অবস্থার ধারাবাহিকতা ব্যাখ্যা করে।[৮][১২] তারা ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ফিজিকাল রিভিউ প্রকাশিত প্রবন্ধে ফের্মি গ্যাসের আবদ্ধ ও অনাবদ্ধ অবস্থার ধারাবাহিকতার বর্ণনা দেন।[১৩][১৪]
পরে, টিআইএফআর-এ তার দিনগুলিতে, ডক্টর মজুমদার ম্যাগনেটিক হ্যামিল্টনী বিষয়ে পিএইচডি গাইড হিসেবে দীপন ঘোষকে সহযোগিতা করেন।[১৫] তারা সংগবদ্ধভাবে হাইজেনবার্গ মডেলের সম্প্রসারণ মজুমদার-ঘোষ মডেলটি তৈরি করেন, যা পরস্পর ঘূর্ণনযুক্ত দুটি জটিল ল্যাটিস যুক্ত হওয়া এবং দ্বিতীয় প্রতিবেশী জোড়টির প্রথমটির সাপেক্ষে অর্ধেক শক্তিশালী হওয়াকে ব্যাখ্যা করে।[৫] মডেলটি তারা তাদের বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ ''অন নেক্সট‐নেয়ারেস্ট‐নেইবার ইন্টারঅ্যাকশন ইন লিনিয়ার চেন''-এ ব্যাখ্যা করেন, যা ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে জার্নাল অফ ম্যাথমেটিকাল ফিসিক্স পত্রিকায় প্রকাশিত।[১৬] এক বছর পরে, ডক্টর মজুমদার স্যামুয়েল এডওয়ার্ডসের সঙ্গে গ্লাস সিস্টেমগুলির non-Debye stress relaxation-এ কাজ করেন, যার ফলে একটি উল্লেখযোগ্য নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তারপরে, তিনি কার্যকর চুম্বক ভ্রামক এবং ভৌত অবস্থার পরিমাণ, যেমন- হেইসেনবার্গের চেইনগুলির নির্দিষ্ট তাপ গণনা করার পদ্ধতিগুলি উন্নত করেছিলেন।[১৩]
ডক্টর মজুমদার সীমাবদ্ধ চৌম্বকীয় স্তরগুলি গবেষণার জন্য বিক্ষেপণ তত্ত্বের কৌশল ব্যবহার করেছিলেন। তার গবেষণার ফলাফলগুলি পরীক্ষামূলকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়েছে।[৮] তিনি সোডা-লাইম গ্লাসে মাইকেল. আর. ডগলাস এবং স্যাম এডওয়ার্ডসের কাজটি সংশোধন করেছিলেন এবং সময়-নির্ভর পীড়ন শিথিলকরণের একটি সহজ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তার অন্য কয়েকটি কাজের মধ্যে লেনার্ড-জোন্স গ্যাসের সংকট আইসোথার্ম গণনা,[১৭] আয়রন (II) এবং আয়রন(III) অনুপাতের Mössbauer প্রভাব দৃঢ়ীকরণ, গ্যাস-তরল পর্যায় সংক্রমণের সমালোচনামূলক পরামিতিগুলি নির্ণয়, ফেরোম্যাগনেটিক মডেলিং এবং ধাতুর ফার্মি শক্তির পরিমাপ করার তাত্ত্বিক পদ্ধতির উন্নয়ন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।[১৮]
তার গবেষণায় অনেকগুলি নিবন্ধের মাধ্যমে নথিবদ্ধ করা হয়েছে[১৯] এবং ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর নিবন্ধের সংগ্রহস্থলে তার ৪৫টি গবেষণা তালিকাভুক্ত করেছে।[২০] ডক্টর মজুমদার Annihilation of Positrons in Metals[২১] এবং S N Bose: The Man and His Work[২২] নামে দুটি উল্লেখযোগ্য বই প্রকাশ করেন।[২৩][২৪][২৫][২৬]
শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে ডক্টর মজুমদার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাগার আধুনিকীকরণে সহায়ক ছিলেন।[৩] তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন; তিনি ইউনেস্কোর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কমিশন ফর কোঅপারেশন এবং পদার্থবিজ্ঞানের ইন্দো-মার্কিন উপকমিশনের সদস্য ছিলেন।[৬] তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান প্যানেলের গ্রান্টস কমিশনের এবং পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের বৈজ্ঞানিক পদার্থবিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ফিজিক্সের সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে Observational Evidence for Black Holes in the Universe সম্মেলনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন।[২৭] তিনি ইন্ডিয়ান ফিজিকাল সোসাইটি (১৯৮৮-৯০)[২৮] এবং ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স (১৯৯৯-২০০০)-এর সভাপতি ছিলেন[২৯] এবং রমন সেন্টার ফর অ্যাপ্লাইড অ্যান্ড ইন্টারডিস্প্লানিনারি সায়েন্সেসের নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩০]
পুরস্কার এবং সম্মাননা
[সম্পাদনা]বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল ডক্টর মজুমদারকে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় বিজ্ঞান পুরস্কারের সর্বোচ্চ পুরস্কার শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার প্রদান করে।[৩১] একই বছর, তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো নির্বাচিত হন[৩২] এবং এশিয়াটিক সোসাইটির এম.সাহা পদক লাভ করেন এবং একই বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দ্বারা জাতীয় লেকচারার হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ইন্ডিয়ান ফিজিক্স অ্যাসোসিয়েশনের পি.এ.পান্ডা পুরস্কার পান।[৩] ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমী (আইএনএসএ) তাকে ফেলো হিসাবে নির্বাচিত করে[৩৩] এবং ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে ইউজিসি তাকে আবার তাত্ত্বিক বিজ্ঞান গবেষণার জন্য মেঘনাথ সাহা পুরস্কার দিয়েছিল।[৬] ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে সত্যেন্দ্রনাথ বসু পদক লাভের মাধ্যমে তিনি আইএনএসএ থেকে আরেকটি সম্মান লাভ করেন।[৩৪] ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি ফেলো নির্বাচিত হন[৩৫] এবং ভারতীয় বিজ্ঞান সমিতির শান্তনু ঘোষ স্মৃতি সভায় বক্তিতা প্রদান করেন।[৩৬] ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস সংস্থার তাকে ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে সত্যেন্দ্রনাথ বসু জন্ম শাশ্বত পুরস্কার প্রদান করে।[৩] তিনি ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমী,[৩৭] ইন্ডিয়ান ফিজিকাল সোসাইটি এবং নিউইয়র্ক একাডেমী অফ সায়েন্সেসের সহকর্মী ছিলেন।[৬]
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স তার সম্মাননায় বার্ষিক ভাষ্য, সি, কে. মজুমদার মেমোরিয়াল লেকচার প্রতিষ্ঠা করে।[৩] বক্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম মাইকেল বেরি, ডেভিড লোগান, পিটার লিটলউড, নরসীমাইহেনগার মুকুন্দা, জৈনেন্দ্র কে. জৈন এবং ড্যানিয়েল আই. খোমস্কি।[৩৮] তার মৃত্যুর বছর, ২০০০ খ্রিস্টাব্দে ফিজিক্স লেটারস বি একটি সংখ্যা তার উপর ফেস্টিফ্রিফ্ট হিসাবে প্রকাশিত করেছিল।[৩৯]
তার ৬০তম জন্মদিন স্মরণে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে এস.এন. বোস সেন্টারে পরিসাংখ্যিক পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কিত, স্ট্যাটফিস - কলকাতা ৩ নামে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৪০][৪০] তার মৃত্যুর এক বছর পরে, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট তার স্মরণে শ্রদ্ধা জানাতে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত ইলেকট্রন সিস্টেমের উপর একটি কর্মশালা আয়োজন করেছিল।[৪১]
নির্বাচিত গ্রন্থবিজ্ঞান
[সম্পাদনা]পুস্তক
[সম্পাদনা]- Chanchal Kumar Majumdar (১৯৬৫)। Annihilation of Positrons in Metals। Physics)--University of California, San Diego।
- Chanchal Kumar Majumdar; Santimay Chatterjee; S. N. Bose National Centre for Basic Sciences (১৯৯৪)। S N Bose: The Man and His Work। S N Bose National Centre for Basic Sciences।
বিষয়
[সম্পাদনা]- Positron Annihilation Conference (১৯৬৭)। Positron Annihilation। Academic Press।
- Proceedings of the Nuclear Physics and Solid State Physics Symposium। Department of Atomic Energy, Government of India.। ১৯৬৮।
- India. Dept. of Atomic Energy (১৯৬৮)। Proceedings of the Nuclear Physics and Solid State Physics Symposium: Solid state physics।
- R. Pratap; Jitendra C. Parikh (১৯৭৫)। The General Many Body Problem: Proceedings of the Conference Held in Ahmedabad। Hindustan Publishing Corporation (India)।
- Bhatnagar Laureates, 1958–91। Human Resource Development Group, Council of Scientific & Industrial Research। ১৯৯২।
- Science & Culture। Indian Science News Association.। ২০০০।
- A.T. Steward (২ ডিসেম্বর ২০১২)। Positron Annihilation: Proceedings of the Conference held at Wayne State University on July 27–29,1965। Elsevier Science। পৃষ্ঠা 300। আইএসবিএন 978-0-323-14982-2।
- Asoke Mitra (২ ডিসেম্বর ২০১২)। Few body dynamics। Elsevier। পৃষ্ঠা 386। আইএসবিএন 978-0-444-60109-4।
প্রবন্ধ
[সম্পাদনা]- W. Kohn, C. Majumdar (১৯৬৫)। "Continuity between Bound and Unbound States in a Fermi Gas"। Physical Review। 138 (6A)। ডিওআই:10.1103/PhysRev.138.A1617।
- Chanchal K. Majumdar (১৯৬৬)। "Continuity of Bound and Unbound States in a Fermi Gas: A Soluble Example"। Journal of Mathematical Physics। 7 (682)। ডিওআই:10.1063/1.1704982।
- Chanchal K. Majumdar, Dipan K. Ghosh (১৯৬৯)। "On Next‐Nearest‐Neighbor Interaction in Linear Chain. I"। Journal of Mathematical Physics। 10 (1388)। ডিওআই:10.1063/1.1664978।
- Chanchal K. Majumdar, Dipan K. Ghosh (১৯৬৯)। "On Next‐Nearest‐Neighbor Interaction in Linear Chain. II"। Journal of Mathematical Physics। 10 (1399)। ডিওআই:10.1063/1.1664979।
- Chanchal K. Majumdar (১৯৬৯)। "Problem of Two Spin Deviations in a Linear Chain with Next‐Nearest‐Neighbor Interactions"। Journal of Mathematical Physics। 10 (177)। ডিওআই:10.1063/1.1664749।
- Chanchal K. Majumdar (১৯৭২)। "Solution of Faddeev Equations for a One‐Dimensional System"। Journal of Mathematical Physics। 13 (705)। ডিওআই:10.1063/1.1666038।
- Chanchal K. Majumdar, I. Rama Rao (১৯৭৬)। "Critical parameters of a Lennard-Jones gas"। Physical Review A। 14 (1542)। ডিওআই:10.1103/PhysRevA.14.1542।
- S. K. Mukhopadhyay, Chanchal K. Majumdar (১৯৭৬)। "Solutions of the three magnon bound state equation. II"। Journal of Mathematical Physics। 17 (478)। ডিওআই:10.1063/1.522924।
- Chanchal K. Majumdar, Indrani Bose (১৯৭৮)। "Solutions of the three-magnon bound state equation. III. The physical eigenstate"। Journal of Mathematical Physics। 18 (2187)। ডিওআই:10.1063/1.523551।
- Chanchal K. Majumdar (১৯৮২)। "The three magnon bound‐state equation in one dimension"। Journal of Mathematical Physics। 23 (71): a। ডিওআই:10.1063/1.525208।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "A master and his protege"। Business Standard। ৯ ডিসেম্বর ২০১৩। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Prize Winner Index(Discipline-wise) | Council of Scientific & Industrial Research | GoI"। www.csir.res.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Biographical Memoirs" (পিডিএফ)। Indian National Science Academy। ২০১৭। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Scientist Dead"। The Telegraph। ২০ জুন ২০০০। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "Personal News" (পিডিএফ)। Current Science। 79 (1): 115। ২০০০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "INSA :: Deceased Fellow Detail"। insaindia.res.in। ২০১৭-০৪-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৪।
- ↑ ক খ Shastry, B. Sriram; Ramakrishnan, Tiruppattur V.; Rajagopal, A. K. (২০০১-০৫-০১)। "Chanchal Kumar Majumdar"। Physics Today। 54 (5): 84–85। আইএসএসএন 0031-9228। ডিওআই:10.1063/1.1381119।
- ↑ ক খ গ ঘ "Chanchal Kumar Majumdar (1938–2000) – An obituary" (পিডিএফ)। Current Science: 115। ২০০০। ১৭ জুলাই ২০০৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Annual Report 1999–2000" (পিডিএফ)। S.N. Bose National Centre for Basic Sciences। ২০০০। ৬ জুন ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "The Nobel Prize in Chemistry 1998"। Nobel Prize.org। ২০১৭। ১৩ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ D. M. Newnis (১৯৬৯)। "Self-Consistent Model of Hydrogen Chemisorption"। Physical Review। 178 (1123)। ডিওআই:10.1103/PhysRev.178.1123।
- ↑ Scheffler, Matthias; Weinberger, Peter (২০১১-০৬-২৮)। Walter Kohn: Personal Stories and Anecdotes Told by Friends and Collaborators (ইংরেজি ভাষায়)। Springer Science & Business Media। আইএসবিএন 9783642556098।
- ↑ ক খ "Brief Profile of the Awardee"। Shanti Swarup Bhatnagar Prize। ২০১৭। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ W. Kohn, C. Majumdar (১৯৬৫)। "Continuity between Bound and Unbound States in a Fermi Gas"। Physical Review। 138 (6A): A1617–A1620। ডিওআই:10.1103/PhysRev.138.A1617।
- ↑ "Study of Magnetic Hamiltonians"। Raj Kumar Goel Institute of Technology and Management। ২০১৭। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Chanchal K. Majumdar, Dipan K. Ghosh (১৯৬৯)। "On Next‐Nearest‐Neighbor Interaction in Linear Chain. I"। Journal of Mathematical Physics। 10 (1388): 1388–1398। ডিওআই:10.1063/1.1664978।
- ↑ Chanchal K. Majumdar, I. Rama Rao (১৯৭৬)। "Critical parameters of a Lennard-Jones gas"। Physical Review A। 14 (1542): 1542–1546। ডিওআই:10.1103/PhysRevA.14.1542। বিবকোড:1976PhRvA..14.1542M।
- ↑ "Handbook of Shanti Swarup Bhatnagar Prize Winners" (পিডিএফ)। Council of Scientific and Industrial Research। ১৯৯৯। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "AIP Publishing Search Results"। AIP Publishing। ২০১৭।
- ↑ "Browse by Fellow"। Indian Academy of Sciences। ২০১৭। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Chanchal Kumar Majumdar (১৯৬৫)। Annihilation of Positrons in Metals। Physics–University of California, San Diego। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Chanchal Kumar Majumdar; Santimay Chatterjee; S. N. Bose National Centre for Basic Sciences (১৯৯৪)। S N Bose: The Man and His Work। S N Bose National Centre for Basic Sciences। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Positron Annihilation Conference (১৯৬৭)। Positron Annihilation। Academic Press। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Proceedings of the Nuclear Physics and Solid State Physics Symposium। Department of Atomic Energy, Government of India.। ১৯৬৮। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ A.T. Steward (২ ডিসেম্বর ২০১২)। Positron Annihilation: Proceedings of the Conference held at Wayne State University on July 27–29,1965। Elsevier Science। পৃষ্ঠা 300। আইএসবিএন 978-0-323-14982-2। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Asoke Mitra (২ ডিসেম্বর ২০১২)। Few body dynamics। Elsevier। পৃষ্ঠা 386। আইএসবিএন 978-0-444-60109-4। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Sandip K. Chakrabarti (৬ ডিসেম্বর ২০১২)। Observational Evidence for Black Holes in the Universe: Proceedings of a Conference held in Calcutta, India, January 10–17, 1998। Springer Science & Business Media। পৃষ্ঠা 8। আইএসবিএন 978-94-011-4750-7। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Indian Centre for Space Physics"। csp.res.in। ২০১৭-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৪।
- ↑ "Our Presidents"। Indian Centre for Space Physics। ২০১৭। ৪ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "People"। Raman Centre for Applied and Interdisciplinary Sciences। Raman Centre for Applied and interdisciplinary Sciences। ২০১৭। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "CSIR list of Awardees"। Council of Scientific and Industrial Research। ২০১৭। ৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Fellow profile"। Indian Academy of Sciences। ২০১৭। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "INSA Year Book 2016" (পিডিএফ)। Indian National Science Academy। ২০১৭। ৪ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "Satyendranath Bose Medal"। Indian National Science Academy। ২০১৭। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "APS fellows"। American Physical Society। ২০১৭। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Santanu Ghosh Memorial Lecture"। Indian Science News Association। ২০১৭। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "NASI Deceased fellows"। National Academy of Sciences, India। ২০১৭। ২৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "C. K. Majumdar Memorial Lecture" (পিডিএফ)। SN Bose Centre। ২০১২। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Physics letters। North-Holland। ২০০০। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "Statphys – Calcutta III"। Physica A: Statistical Mechanics and its Applications। ১৯৯৯। ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
বহিঃপঠন
[সম্পাদনা]- C K Majumdar, Partha Ghose, Enakshi Chatteqjee, Samik Bandyopadhyay, Santimay Chatterjee (১৯৯৪)। "S. N. Bose : The Man and His Work" (পিডিএফ)। eBook – full text। S. N. Bose National Centre for Basic Sciences।
- ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী
- বাঙালি বিজ্ঞানী
- ১৯৩৮-এ জন্ম
- ২০০০-এ মৃত্যু
- প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী
- ভারতীয় বৈজ্ঞানিক লেখক
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী
- ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর সভ্য
- ২০শ শতাব্দীর হিন্দু
- কলকাতার বিজ্ঞানী
- কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটির বিশিষ্ট সভ্য