গণপুর
গণপুর গণপুর | |
---|---|
গ্রাম | |
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°০৪′০৩″ উত্তর ৮৭°৪০′২৭″ পূর্ব / ২৪.০৬৭৬° উত্তর ৮৭.৬৭৪২° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | বীরভূম |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৭০৬ |
সরকারী ভাষাসমূহ | |
• ভাষাসমূহ | বাংলা, ইংরেজি, সাঁওতালি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৭৩১২১৬ |
লোকসভা নির্বাচনক্ষেত্র | বীরভূম |
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্র | রামপুরহাট |
ওয়েবসাইট | birbhum |
গণপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার সিউড়ি সদর মহকুমা মহম্মদ বাজার সি ডি ব্লকের একটি পুরানো গ্রাম।
ভূগোল
[সম্পাদনা]এটি এনএইচ ১৪ (পুরনো নাম্বার এনএইচ ৬০) এর পাশে অবস্থিত। এই গ্রামটিকে "গণপুর সংরক্ষিত শালের বন" চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে।[১] গ্রামের দক্ষিণ দিক দিয়ে একটি সরু খাল বয়ে গেছে।
গণপুর মূলত মোরাম মাটি (লাল মাটি) বিছানো অঞ্চল। গ্রামের চারিদিকে এই শাল বন মোরাম মাটিতে রয়েছে। বনের মধ্যেই বিভিন্ন গ্রাম রয়েছে। সেগুলি হল - উলপাহাড়ি, ঘাগা, চৌবাতা, শাবলা ইত্যাদি। এখানকার গ্রামবাসী, যারা বনের ভেতর বিভিন্ন গ্রামে থাকে, তারা বুঝতে পেরেছে যে তারা শাল পাতা দিয়ে তৈরি বাসন (শাল পাতার থালা/শাল পাতার বাটি ইত্যাদি) বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। তাই এখানকার গ্রামবাসীদের মূল জীবিকা হয়ে উঠেছে শাল পাতার তৈরী থালা, বাটি ইত্যাদি বিক্রি। জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে তারাই বনের গাছগুলি বাঁচিয়ে রেখেছে।[২]
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, গণপুরের জনসংখ্যা ছিল ২,৯৬৩ জন, যার মধ্যে ১,৩৪৭ (৫০%) জন পুরুষ এবং ১,৩৫৯ (৫০%) জন মহিলা ছিল। জনসংখ্যায় ৬ বছরের নিচে ছিল ২৫৭ জন। গণপুরে মোট সাক্ষরতার সংখ্যা ছিল ২,০৫৯ (৬ বছরের বেশি জনসংখ্যার ৮৪.০৮%)।[৩]
শিক্ষা
[সম্পাদনা]গণপুরে একটি প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, বাসন্তিকা ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (পলিটেকনিক)। এখানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমা কোর্স পড়ানো হয়।[৪]
গ্রামে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি উচ্চ বিদ্যালয় (উচ্চ মাধ্যমিক) রয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলি ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এবং এগুলি নানা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুটি বিভাগ আছে, কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগ। দুটি বিভাগে প্রায় ৮০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]ডেভিড জে ম্যাককাশন গণপুরে ১৮ ও ১৯ শতকের অনেকগুলি ছোট ছোট চার চালা মন্দিরের উল্লেখ করেছেন, যেগুলি ছিল ইঁটের তৈরি এবং তাদের সম্মুখভাগ সমৃদ্ধভাবে খোদাই করা ছিল। তিনি ১৭৬৯ সাল নাগাদ নির্মিত মণ্ডল পরিবারের একটি বিষ্ণু মন্দিরেরও উল্লেখ করেছেন। এটি ছিল একটি আট চালা মন্দির, এবং ইঁট দিয়ে নির্মিত। এর সামনের দিকটি 'ফুলপাথর' দিয়ে সমৃদ্ধভাবে খোদাই করা।[৫]
গণপুর সবুজ সংসদ গ্রামীণ পাঠাগার, একটি সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত গ্রন্থাগার, ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটির নিজস্ব পাকা বাড়ি রয়েছে।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ http://wikimapia.org/22953593/Ganpur-forest
- ↑ Ghosh, Kanailal, Birbhumer Bon Udbhidjo O Banyapran, Paschim Banga, Birbhum Special Issue, February 2006, (বাংলা),
- ↑ "2011 Census – Primary Census Abstract Data Tables"। West Bengal – District-wise। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Basantika Institute of Engineering and Technology (Polytechic)"। BIETP। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ McCutchion, David J., Late Mediaeval Temples of Bengal, first published 1972, reprinted 2017, page 31. The Asiatic Society, Kolkata, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮১৫৭৪-৬৫-২
- ↑ "List of Govt. Sponsored Libraries in the district of BIRBHUM" (পিডিএফ)। Government of West Bengal। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।