কৃত্রিম মাংস
কৃত্রিম মাংস জবাই করা মাংসের পরিবর্তে প্রাণিদেহের অভ্যন্তরে কোষ কালচারের মাধ্যমে উৎপাদিত মাংস। এটিকে কোষীয় পর্যায়ের এক ধরনের উৎপাদন ব্যবস্থা।
পুনরুৎপাদনশীল ঔষধের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কলা প্রকৌশলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম মাংস উৎপাদন করা হয়। ২০০০ এর দশকের শুরুর দিকে জ্যাসন ম্যাথেনি একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে সহ-লেখক হিসেবে কৃত্রিম মাংসকে আলোকপাত করে কৃত্রিম মাংসের ধারণাকে জনপ্রিয় করেন। একই সময়ে জ্যাসন ম্যাথেনি কৃত্রিম মাংস উৎপাদন সংক্রান্ত পৃথিবীর প্রথম অলাভজনক সংস্থা নিউ হারভেস্ট প্রতিষ্ঠা করেন।
২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো মার্ক পোস্ট নামে মাষ্ট্রিচ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক সরাসরি কোষ থেকে বার্গার প্যাটি তৈরি করে কৃত্রিম মাংসের ধারণা প্রদর্শন করেন। তার পর থেকে বেশ কয়েকটি কৃত্রিম মাংসের প্রোটোটাইপ মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে: সুপারমিট তার "চিকেন বার্গার" এর ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করতে তেল আভিভে "দ্য চিকেন" নামে একটি পরীক্ষাগার সংক্রান্ত রেস্তোঁরা চালু করে। [১] ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিশ্বের প্রথম কোষ-প্রকৌশল পদ্ধতিতে উৎপন্ন মাংসের বাণিজ্যিক বিক্রয় শুরু হয় সিঙ্গাপুরের '১৮৮০' নামের রেস্তোঁরায়; যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'ইট জাস্ট' নামের প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন করা কৃত্রিম মাংস ব্যবহার করা হচ্ছিল।[২]
যদিও প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন সংস্থার অধীনে বেশ উন্নত হয়েছে তবে এখনো উৎপাদন প্রক্রিয়া উন্নতির জন্য অনেক ক্ষেত্র রয়েছে।[৩] প্রচলিত মাংসের তুলনায় নীতি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক বিবেচনার এর নানারকম ব্যবহার আছে [৪]
কৃত্রিম মাংস ছাড়াও স্বাস্থ্যকর মাংস,[৫] জবাই-মুক্ত মাংস,[৬] ভিট্রো মাংসে, ভ্যাট-ফলিত,[৭] পরীক্ষাগারে উৎপন্ন মাংস,[৮] কোষভিত্তিক মাংস,[৯] পরিষ্কার মাংস,[১০] চাষ করা মাংস [১১] এবং সিন্থেটিক মাংস [১২] নামে পণ্যটি অভিহিত।
২০১৬ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে কৃত্রিম মাংস সাংবাদিক, আইনজীবী এবং প্রযুক্তি সমর্থনকারী সংস্থাগুলির মনোযোগ আকর্ষণ করে। দ্য গুড ফুড ইনস্টিটিউট (জিএফআই) ২০১৬ সালে এই শব্দটি প্রবর্তন করে [১৩] এবং ২০১৮ সালের শেষের দিকে প্রকাশিত গবেষণায় দাবি করে যে 'ক্লিন মিট' শব্দটি আরো ভালোভাবে এই মাংসের উৎপাদন এবং সুবিধাকে তুলে ধরে এবং গুগল অনুসন্ধানে এবং গণমাধ্যমে 'ক্লিন মিট' শব্দটি 'কালচারড মিট' এবং 'ইন ভিট্রো' শব্দ দুটিকে ছারিয়ে গেছে[১৪][১৫][১৬]। এটি সত্ত্বেও, কিছু শিল্পের অংশীদারিরা মনে করেছিলেন যে এই শব্দটি নিরপেক্ষ বিকল্প হিসাবে কোষ ভিত্তিক মাংস পছন্দ করে অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রচলিত মাংস উৎপাদনকারীদের আলাদা করে দেয়।[১৭][১৮]
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জিএফআই নতুন গবেষণায় ঘোষণা দিয়েছে যে 'চাষ করা মাংস' শব্দটি যথেষ্ট পরিমাণে বর্ণনামূলক এবং পৃথকীকরণযোগ্য, উচ্চ মাত্রায় নিরপেক্ষতার অধিকারী এবং ভোক্তাদের আকর্ষণের পক্ষে শীর্ষস্থানীয়।[১১][১৯]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রাথমিক গবেষণা
[সম্পাদনা]বাণিজ্যিক আকারে কৃত্রিম মাংস উৎপাদনের ধারণা তাত্ত্বিকভাবে বহুকাল ধরে সাধারণ মানুষের মাঝে ছিল। ১৯৩১ সালের তাঁর 'ফিফটি ইয়ারস হেন্স' প্রবন্ধে উইনস্টন চার্চিল লিখেছিলেন: 'মুরগির শরীরের প্রতিটি অংশ আলাদা আলাদা উৎপাদনের মাধ্যমে মুরগির পাখা বা বুকের মাংস খাওয়ার জন্য একটি সম্পূর্ণ মুরগিকে বড় করে তোলার অযৌক্তিকতা থেকে মুক্তি পাবো।'[২০]
১৯৫০ এর দশকে ডাচ বিজ্ঞানী উইলিয়াম ভ্যান এলেন স্বতন্ত্রভাবে কৃত্রিম মাংসের ধারণা নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শিশু হিসাবে ভ্যান এলেন অনাহারে ভুগছিলেন এবং এই ঘটনা তাঁকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে খাদ্য উৎপাদন এবং খাদ্য সুরক্ষা সম্পর্কে উৎসাহী করেছিল। তিনি আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হিসাবে যোগদান করেন এবং ঘটনাচক্রে সংরক্ষিত মাংসের সম্ভাবনা নিয়ে একটি বক্তৃতায় অংশ নেন। শতাব্দীর শুরুর দিকে কোষ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার সকলকে কৃত্রিম মাংস সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলেছিল।
১৯৭১ সালে রাসেল রস গিনি পিগ এর মহাধমনী কোষাভ্যন্তরে তৈরি করে সর্বপ্রথম কৃত্রিমভাবে পেশিতন্তু তৈরি করেন। তার বৈজ্ঞানিক পেপারের অ্যাবস্ট্রোক্ট অংশে তিনি লিখেন যে, কোষ কালচার প্রক্রিয়ায় কোষের অভ্যন্তর থেকে মসৃণ পেশি তৈরি হয়ে মহাধমনী তৈরি করতে ৮ সপ্তাহ সময় লেগেছে। কালচার প্রক্রিয়ার সকল ধাপে কোষগুলো মসৃণ পেশির সকল ধরনের অঙ্গসংস্থান বজায় রেখেছিল। যথাযথ পরিমাণে সংশ্লেষ হওয়ার পরে কোষগুলো একাধিক স্তরে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। কালচারের চতুর্থ সপ্তাহের মধ্যে, মাইক্রোফিব্রিলস (১১০এ) কোষের স্তরগুলোর মাঝের ফাঁকা স্থানগুলো পূরণ করে। বেসমেন্ট ঝিল্লির মতো উপাদানগুলো কোষ সংলগ্ন অঞ্চলে দেখা যায়। মাইক্রোফাইব্রিলগুলি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে তাদের মধ্যকার অ্যামিনো এসিডের গঠন অক্ষত ইলাস্টিক টিস্যুর অ্যামিনো এসিডের গঠনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। মহাধমনীর মসৃণ টিস্যুগুলোর সংশ্লেষণ এবং কোষবহিঃস্থ পদার্থ নিঃসরণের রেডিওঅটোগ্রাফিক পরীক্ষণের সাথে এসকল গবেষণা মিলিয়ে দেখলে বুঝা যায় যে, এটি কৃত্রিম যোজক টিস্যু।[২১]
১৯৯১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন এফ ভেইন মানুষের খাবারের কাজে ব্যবহার উপযোগী গরুর মাংস, পোলট্রি এবং মাছ কৃত্রিম পদ্ধতিতে উৎপাদনের জন্য একটি প্যাটেন্টের আবেদন করেন এবং তা অর্জনও করেন (ইউএস ৬,৮৩৫,৩৯০বি১) যাতে একটি একীভূত প্রক্রিয়ার উল্লেখ ছিল।[২১]
২০০১ সালে আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় এর চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ উইট ওয়েস্টারহফ, গবেষক এবং ব্যবসায়ী উইলেম ভ্যান এলেন এবং ব্যবসায়ী উইলেম ভ্যান কুটেন ঘোষণা করেন যে তারা কৃত্রিম মাংস উৎপাদন করার প্রক্রিয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছেন। প্রক্রিয়াতে, কোলাজেনের একটি ম্যাট্রিক্স পেশী কোষগুলির সাথে বীজযুক্ত হয়, যা পুষ্টিকর দ্রবণে প্রবেশ করানো হয় যার ফলে এদের বিভাজন শুরু হয়।[২২]
একই বছর, নাসা দীর্ঘমেয়াদে মহাকাশ অবস্থান করা নভোচারীদের জন্য অল্প পরিমাণ জায়গার মধ্যেই মাংসের চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষণ শুরু করে। তুরো কলেজের মরিস বেনজমিনসনের সাথে অংশীদারিতে তারা গোল্ডফিশ এবং পরবর্তীতে টার্কি পাখির কোষ কালচার করতে সক্ষম হয়েছিলেন।[২৩]
২০০৩ সালে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল এবং টিস্যু কালচার অ্যান্ড আর্ট প্রকল্পের অরন ক্যাটস এবং আয়নাত জুর ন্যান্টসে কয়েক সেন্টিমিটার প্রশস্ত একটি ব্যাঙের স্টেম কোষের থেকে তৈরি স্টেক প্রদর্শন করেন যা ঐ প্রদর্শনীতে রান্না করে খাওয়া হয়েছিল। ঐ প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য ছিল কৃত্রিম মাংসের নৈতিক দিকগুলো নিয়ে জনমানসে আলোচনা করা - এটি কী কখনো বেঁচে ছিল? এটি কী কখনো মারা গিয়েছিল? এভাবে ফেলে দেওয়া কী কোনো প্রাণীর জন্য অসম্মানজনক? [২৪]
২০০০ এর দশকের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রে জনস্বাস্থ্যের শিক্ষার্থী জেসন ম্যাথেনি ভারতে গিয়ে মুরগির কারখানার বেশ কয়েকটি খামারে গিয়েছিলেন। জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে এই ব্যবস্থার উপরে সাধারণ ভোক্তাদের প্রভাব দেখে অবাক হয়েছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে মাথেনি নাসার ৩ জন বিজ্ঞানীর সাথে কৃত্রিম মাংস সংক্রান্ত গবেষণা শুরু করেন। এই চারজন মিলে পরীক্ষাগারভিত্তিক মাংসের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং তাদের গবেষণার ফলাফল পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এই বিষয় সংক্রান্ত প্রথম পিয়ার-রিভিউড জার্নাল 'টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং' এ প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সালে ম্যাথেনি 'নিউ হারভেস্ট' নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন যা কৃত্রিম মাংস সংক্রান্ত গবেষণার উন্নয়নে সাহায্য করে।[২৫]
২০০৮ সালে পেটা ২০১২ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক পর্যায়ে কৃত্রিম মুরগির মাংস ভোক্তাদের কাছে প্রথম যে প্রতিষ্ঠান নিয়ে আসতে পারবে তাঁদের জন্য এক মিলিয়ন ডলারের একটি পুরস্কার ঘোষণা করে। প্রতিযোগিদের পুরস্কার পাওয়ার জন্য দুটি কাজ সমাপ্ত করতে হবে, এমন একটি কৃত্রিম মুরগির মাংস উৎপাদন করতে হবে যাকে সাধারণ মুরগির মাংস থেকে আলাদা করা যাবে না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হওয়ার মত পরিমাণ উৎপাদন করতে হবে। প্রতিযোগিতাটি ২০১৪ সালের ৪ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে যখন প্রথম প্রতিযোগিতাটির ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন থেকে বিশ্বজুড়ে গবেষকরা কৃত্রিম মাংস উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন। শেষ অবধি কোনো বিজয়ী ছাড়াই প্রতিযোগিতাটির সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও প্রতিযোগিতাটি কৃত্রিম মাংসকে সকল শ্রেণির বিজ্ঞানীদের নজরে নিয়ে এসেছিল।[২৬]
২০০৮ সালে ডাচ সরকার কৃত্রিম মাংস সম্পর্কিত গবেষণার জন্য ৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল।[২৭] আন্তর্জাতিক বেশ কিছু গবেষকের দ্বারা তৈরি 'দ্য ইন ভিট্রো কনসর্টিয়াম' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ২০০৮ সালের এপ্রিলে নরওয়ের ফুড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম মাংস সংশ্লিষ্ট কনফারেন্স আয়োজন করে যার মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃত্রিম মাংসের বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করা।[২৮] টাইম ম্যাগাজিন ২০০৯ সালের ৫০টি যুগান্তকারী ধারণার মধ্যে কৃত্রিম মাংসকে একটি হিসাবে ঘোষণা করেছে।[২৯] ২০০৯ সালের নভেম্বরে নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেছিলেন যে তারা জীবন্ত শূকর থেকে কোষ ব্যবহার করে পরীক্ষাগারে মাংস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।[৩০]
২০১৩ সালে মাষ্ট্রিচ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ড: মার্ক পোস্ট প্রথম কৃত্রিম মাংসের বার্গার প্যাটি তৈরি করেন।[৩১] ড: মার্কের ২ বছর সময় এবং ৩ লক্ষ মার্কিন ডলারে তৈরি হওয়া এই বার্গারে ২০ হাজার সূক্ষ্ম পেশিতন্ত ছিল।[৩২] ধারণা করা হয় যে, ২০২১ সালের দিকে এর মান ১০ মার্কিন ডলার পর্যায়ে নেমে আসবে।[৩৩]
২০১৩ সালের ৫ আগস্ট একটি লাইভ টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এই বার্গার পরীক্ষা করা হয়েছিল। কাউচের গ্রেট হাউস রেঁস্তোরার শেফ রিচার্ড McGeown এর দ্বারা রান্না করা এই বার্গারের স্বাদ পরীক্ষা করেন ফিউচার ফুড স্টুডিওর একজন গবেষক হ্যানি র্যাটজলার। হ্যানি র্যাটজলার বলেছিলেন, "অবশ্যই এতে একটি কামড় দিয়ে দেখতে হবে কারণ এর স্বাদ সত্যি কিছুটা ভিন্ন। আমি যেহেতু জানি এতে কোনো চর্বি নেই, তাই ঠিক জানি না কতটা রসালো হবে, তবে কিছুটা তীব্র স্বাদ আছে; যদিও ততটা রসালো নয়, তবে এর রান্না যথাযথ হয়েছে। আমার কাছে এটি মাংসই মনে হয়েছে এবং এটি এমন একটি জিনিস যাতে কামড় দেওয়া উচিত এবং দেখতেও প্রায় একই রকম।" হ্যানি র্যাটজলার আরও যোগ করেছেন যে এমনকি তিনি চোখ বন্ধ করে হলেও সয়া কপির থেকে এই কৃত্রিম মাংসকেই বেছে নিবেন।[৩৪]
শিল্প পর্যায়ে উন্নয়ন
[সম্পাদনা]ত্রুটি: উক্তিতে কোন লেখা দেয়া হয়নি (অথবা একটি নামহীন পরামিতির সমান চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে)
২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে কৃত্রিম মাংস উৎপাদনের অনেকগুলো ব্যক্তিপর্যায়ে বাণিজ্যিক উদ্যোগ গড়ে উঠে। একজন কার্ডিওলজিস্ট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সিলিকন ভ্যালি স্টার্টআপ মেমফিস মিটস ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজেদের উৎপাদিত কৃত্রিম মাংসের মিটবলের একটি ভিডিও প্রকাশ করে।[৩৫][৩৬][৩৭] ২০১৭ সালের মার্চে এটি হাঁস এবং মুরগির তৈরি একটি বিশেষ পদ প্রদর্শন করে যা কৃত্রিম মাংসের তৈরি ছিল।[৩৮][৩৯][৪০] পরবর্তীতে ২০২০ সালে মেমফিস মিটসকে নিয়ে 'মিট: দ্য ফিউচার' নামে তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়।
সুপারমিট নামে একটি ইসরাইলি সংস্থা ২০১৬ সালে কৃত্রিম মুরগির মাংস নিয়ে কাজ করার ক্রাউডফান্ডিং সংক্রান্ত প্রচারণা শুরু করে।[৪১][৪২][৪৩][৪৪][৪৫]
২০১৬ সালের জুন মাসে কৃত্রিম মাংস সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের লক্ষ্যে সান ফ্রান্সিসকো ভিত্তিক ফিনলেস ফুডস নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সালের মার্চে এটি পরীক্ষাগার গবেষণা শুরু করে এবং দ্রুত সাফল্য পেতে শুরু করে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এর পরিচালক মাইক সেলডেন জানান যে, দুই বছরের মধ্যে (২০১৯ সালের শেষের দিকে) তারা বাজারে কৃত্রিম মাছের তৈরি পণ্য নিয়ে আসতে পারবেন বলে আশা করছেন।[৪৬]
২০১৮ সালের মার্চে ইট জাস্ট (প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে হ্যাম্পটন ক্রিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, পরে জাস্ট ইনকর্পোরেটেড হিসাবে পরিচিতি পায়) দাবি করে যে ২০১৮ সালের শেষের দিকে তারা কৃত্রিম মাংস থেকে উৎপাদিত পণ্য ভোক্তাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারবে। সিইও জোশ টেট্রিকের মতে, তাদের কাছে প্রযুক্তিটি ইতোমধ্যে রয়েছে এবং এখন এটি কেবল প্রয়োগ করার বিষয়। জাস্টের প্রায় ১৩০ জন কর্মচারী এবং ৫৫ জন বিজ্ঞানীর একটি গবেষণা বিভাগ রয়েছে, যেখানে হাঁস-মুরগি, শূকরের মাংস এবং গরুর মাংস থেকে কৃত্রিম মাংস তৈরি করা হচ্ছে। তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্ভিদ উৎস থেকে স্টেম সেলগুলোর পুষ্টি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে। JUST চীনা বিলিয়নেয়ার লি কা-শিং, ইয়াহু! এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেরি ইয়াং এবং টেট্রিকের মতে হাইনেকেন ইন্টারন্যাশনাল থেকেও স্পন্সরশিপ পেয়েছে।[৪৭]
ক্রিজেন ডে নোড, ড্যান লুইনিং, রুড আউট, রজার পেডারসন, মার্ক কটার এবং গর্ডানা আপিকের পরিচালনায় ডাচ বাণিজ্যিক উদ্যোগ মিটেবল ২০১৮ সালে জানিয়েছে যে, তারা প্রাণির নাড়িড় কোষের প্লুরিওপটেন্ট কোষ থেকে কৃত্রিম মাংস উৎপাদনে সফল হয়েছে। যদিও এই জাতীয় কোষগুলোকে নিয়ে গবেষণা করা বেশ কঠিন, তবে মিটেবল দাবি করেছে যে তারা এসব কোষের প্লুরিওপটেন্সি কৌশল ব্যবহার করে এসব কোষের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এই প্রক্রিয়ার মূল সুবিধাটি হলো, এই প্রক্রিয়ায় ভ্রূণ বোভাইন সিরামকে অতিক্রম করা যায়, যার অর্থ মাংস উৎপাদনের জন্য কোনো প্রাণিকে হত্যার প্রয়োজন হয় না।[৪৮] ঐ মাসের তথ্যানুযায়ী, সারা বিশ্বে কৃত্রিম মাংস নিয়ে ৩০টির মত ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উদ্যোগ আছে। একটি ডাচ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ কমিশনের বৈঠকে 26 সেপ্টেম্বর 2018 এ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি স্টার্টআপ এবং চারটি নাগরিক স্বার্থ গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে সমাজে সংস্কৃতিযুক্ত মাংস গবেষণা, বিকাশ এবং প্রবর্তনের জন্য সরকারি সহায়তার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। <undefined />
ইন্টিগ্রিকালচার হলো একটি জাপানি সংস্থা যা কূলনেট ব্যবস্থার সাহায্যে কোনো প্রাণির মৃত্যু ছাড়াই কৃত্রিম মাংসের উৎপাদনে কাজ করে। ইংল্যান্ড ভিত্তিক সংস্থা মাল্টাস মিডিয়া এবং কানাডিয়ান ফিউচার ফিল্ডস একই সমস্যা নিয়ে কাজ করছে। [৪৯]
২০১৯ সালের আগস্টে পাঁচটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উদ্যোগ যাত্রা শুরু করে যারা সম্মিলিতভাবে মাংস, পোলট্রি এবং সামুদ্রিক পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকারি নিয়ন্ত্রকদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। [৫০] প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে ইট জাস্ট, মেমফিস মিটস, ফিনলেস ফুডস, ব্লু নালু এবং ফর্ক অ্যান্ড গুড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। [৫১]
২০১৯ সালে বেলজিয়ামে কৃত্রিম মাংসের বিকাশের লক্ষে ৩টি প্রতিষ্ঠান (কৃত্রিম মাংস সম্পর্কিত স্টার্টআপ পিস অফ মিট এবং ছোট পরিসরের মাংসকেন্দ্রিক সংস্থা সোলিনা ও নওতা) এবং ৩টি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান (কে ইউ লিউভেন বিশ্ববিদ্যালয়, খাদ্য শিল্পের উদ্ভাবনী কেন্দ্র ফ্ল্যান্ডার্স ফুড, এবং বায়ো বেস ইউরোপ পাইলট প্ল্যান্ট) মিলিত হয়ে যাত্রা শুরু করে।[৫২] পিস অফ মিট ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ঘোষণা দেয় যে, ২০২২ সালে তারা প্রথম প্রোটোটাইপ উৎপাদন করবে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ বাজারে প্রবেশ করবে। ওই মাসে, ফোয়েচার প্রকল্পটি ফ্লিমিশ সরকারের ইনোভেশন এবং এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি থেকে প্রায় ৩.৬মিলিয়ন ইউরোর একটি গবেষণা সংক্রান্ত অনুদান পায়। ২০২০ সালের মে মাসে পিস অফ মিট'এর অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষক ইভা সোমার বলেছিলেন যে স্টার্টআপটি তখন প্রায় ৩০০ ইউরো ব্যয়ে 20 গ্রাম কৃত্রিম চর্বি (€ ১৫০০০/কেজি) উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছিল; ২০৩০ সালের মধ্যে দাম কেজিপ্রতি ৬ ইউরোতে নামিয়ে আনার লক্ষ্য তাঁদের।[৫৩] অ্যান্টওয়ার্প বন্দরে পিস অফ মিট শীঘ্রই দুটি ল্যাবরেটরি তৈরি করবে।
২০১৯ সালে আলেফ ফার্ম পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ২৪৮ মাইল (৩৯৯ কিমি) দূরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কৃত্রিম মাংস উৎপাদনের জন্য থ্রিডি বায়োপ্রিন্টিং সলিউশনের সাথে অংশীদারিত্বে প্রবেশ করে। একটি ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারের সাহায্যে মাংসের কোষগুলিকে স্ক্যাফোল্ড বের করে দিয়ে করা হয়েছিল।[৫৪]
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে কোয়ার্টজ দাবি করে যে, বিশ্বে প্রায় ৩০ টি ব্যক্তিগত পর্যায়ের কৃত্রিম মাংস সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক উদ্যোগ আছে এবং মেমফিস মিটস, জাস্ট ইনকর্পোরেটেড এবং ফিউচার মিট টেকনোলজিস সবচেয়ে উন্নত কারণ তারা তাদের প্রথম পরীক্ষামূলক প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।[৫৫] ২০২০ সালের মে মাসে নিউ সায়েন্টিস্টের মতে, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬০টি ব্যক্তিগত পর্যায়ে গৃহীত বাণিজ্যিক উদ্যোগ আছে, যারা কৃত্রিম মাংসের বিকাশ ও উন্নয়নে কাজ করছে। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান নিজেরা কৃত্রিম মাংস উৎপাদন না করলেও অন্যদের প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম অথবা পরীক্ষামূলক তথ্য প্রদান করেছে। [৫৬] গ্রোথ মিডিয়ামগুলি এখনও প্রতি লিটারের দাম কয়েকশত ডলার, কিন্তু পূর্ণমাত্রায় কৃত্রিম মাংস উৎপাদনের জন্য একে প্রতি লিটার ১ ডলার মূল্যে নেমে আসতে হবে। ২০২০ সালের জুনে চীনের সরকারি কর্মকর্তারা একটি জাতীয় কৌশল তৈরির আহ্বান জানিয়েছে যাতে অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে কৃত্রিম মাংসের বিকাশে এগিয়ে থাকা যায়।[৫৭]
বাজারে প্রবেশ
[সম্পাদনা]ইউরোপীয় ইউনিয়নে কৃত্রিম মাংসের মত খাবারগুলোকে ১৮ মাসব্যাপী একটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয় যেতে হয়, এই সময়ের মধ্যে উৎপাদকদের 'ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথোরিটি'র কাছে প্রমাণ করতে হয় যে, তাদের পণ্য বাজারে প্রবেশ করার জন্য নিরাপদ।[৫৮]
২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর, সিঙ্গাপুর খাদ্য সংস্থা ইট জাস্ট দ্বারা উৎপাদিত 'চিকেন বাইটস'কে বাণিজ্যিক বিক্রয়ের জন্য অনুমোদন দেয়। এটি ছিল প্রথমবারের মত কৃত্রিম মাংস সংশ্লিষ্ট কোনো পণ্য যা খাদ্যমান নিয়ন্ত্রকের নিরাপত্তাজাল অতিক্রম করতে পেরেছে (যাতে প্রায় ২ বছর সময় লেগেছে) এবং কয়েক দশকের গবেষণা ও উন্নয়নের পরে এই পণ্যটির বাণিজ্যিক আকারে বাজারে প্রবেশ এই শিল্পের একটি মাইলফলক হিসেবে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের রেস্তোঁরাগুলিতে মুরগির টুকরাগুলো ছোট ছোট আকারে প্রথমে বাজারে আনা হয়। অন্যান্য পণ্য, সংস্থা এবং দেশও শীঘ্রই এই পথ অনুসরণ করবে বলে আশা করা হয়েছিল।[৫৯]
স্টার্টআপসমূহের সামগ্রিক চিত্র
[সম্পাদনা]দ্রষ্টব্য: বাঁকা করে লেখা তারিখগুলো ভবিষ্যতের কোনো অর্জনকে নির্দেশ করে; বিলম্বিত হওয়ার কারণে এগুলো পরিবর্তন হতে পারে।
নাম | সূচনা | Area | Focus | Recent costs | Prototype | Pilot plant | Market entry |
---|---|---|---|---|---|---|---|
আলেফ ফার্মস | 2017 | Israel | Beef | Over $3,000/kg (Nov 2019 claim)[৬০] | Dec 2018[৬১] | Planned for 2021 (April 2020 claim)[৬২] | 2023 (Nov 2019 claim) |
Ants Innovate[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2020 | Singapore | Pork | ||||
Appleton Meats[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2016 | Canada | Beef | ||||
Artemys Foods[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2019 | United States | Meat | Fall 2020[৬৩] | |||
Avant Meats | 2018[৬৪] | Hong Kong | Fish protein | November 2019[৬৫] | 2022 (Aug 2020 claim) | ||
Biftek[৬৬] | 2018[৬৭] | Turkey | Culture media | ||||
BioBQ[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2018 | United States | Scaffolding | 2022[৬৮] | |||
BlueNalu[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2018 | United States | Seafood | Fall 2019[৬৯] | |||
BioTech Foods | 2017[৫৮] | Spain | Pork | €100/kg (July 2019 claim)[৭০] | 2021 (July 2019 claim) | ||
Cell Ag Tech[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2018 | Canada | Meat | ||||
Cell Farm Food Tech[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2018 | Argentina | Meat | ||||
Cubiq Foods[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2018 | Spain | Fat | Sep 2019[৭১] | |||
Eat Just | 2011 | United States | Meat | C. €50/nugget (Jan 2020 claim)[৭২] | Dec 2017[৭৩] | Constructing since mid-2019 (Jan 2020 claim) | December 2020 (restaurants)[৫৯] |
Finless Foods | 2016[৭৪] | United States | Fish | $7,000/lb (Feb 2018 claim) | Sep 2017[৭৫] | [৪৬] | |
Foieture project (6 companies/non-profits) |
2019 | Belgium | Foie gras | €15,000/kg (May 2020 claim)[৫৩] | 2020 (Dec 2019 claim)[৫২] | 2022 (Dec 2019 claim) | 2023 (Dec 2019 claim) |
Fork & Goode[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2018 | United States | Meat | ||||
Future Fields[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2017 | Canada | Culture media | ||||
Future Meat Technologies | 2018 | Israel | Meat | $10/lb (Feb 2020 goal by 2022)[৭৬] | 2019 | Constructing since Oct 2019[৫৫][৭৭] | 2022 (Oct 2019 claim)[৭৮] |
Gaia Foods[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2019 | Singapore | Red meat | ||||
Gourmey[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2019 | France | Fois gras | ||||
Heuros[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2017 | Australia | Pet food | ||||
Higher Steaks | 2017 | United Kingdom | Pork | £'Thousands'/kg (July 2020 claim)[৭৯] | July 2020[৮০] | ||
IntegriCulture, Inc. | 2015 | Japan | Foie gras | ¥20,000/kg (July 2019 claim)[৮১] | 2021[৮২] | 2021 (July 2020 claim) | |
Matrix Meats[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2019 | United States | Scaffolding | 2020[৮৩] | |||
Meatable | 2018 | Netherlands | Pork | 2020 (Jan 2020 claim)[৮৪] | Planned for early 2022 (Feb 2020 claim)[৮৫] | 2022 (Jan 2020 claim) | |
Memphis Meats | 2015 | United States | Poultry | $1,700/lb (Feb 2018 claim)[৮৬] | Feb 2016[৮৭] | Constructing since Jan 2020 | Around 2020 (Feb 2017 claim) |
Mirai Foods | 2020 | Switzerland | Beef | 'Small car'/kg (June 2020 claim) | June 2020[৮৮] | ||
Mosa Meat / Maastricht University |
2015 | Netherlands | Beef | €60/kg (Feb 2017 goal by 2020)[৮৯] '88x cheaper' (July 2020 claim) |
Aug 2013 (UM)[৩৪] | Installing since May 2020[৯০] | 2022 (Feb 2020 claim)[৯১] |
Motif FoodWorks | 2019[৯২] | United States | Beef | End 2020 (Aug 2020 claim)[৯৩] | Q4 2021 (beef flavouring) (Oct 2020 claim)[৯৪] | ||
Multus Media[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2019 | United Kingdom | Culture media | October 2019[৯৫] | |||
New Age Meats | 2018[৯৬] | United States | Pork | Sep 2018[৯৭] | Constructing after July 2020 | ||
Redefine Meat | 2018[৬১] | Israel | Beef | $35/kg (Sep 2019 claim) | Sep 2019[৬১] | ||
SavorEat | 2016 | Israel | Beef | Mid-2021 (restaurants) (May 2020 claim) | |||
Shiok Meats | 2018[৯৮] | Singapore | Shrimp | $3,500/kg (Oct 2020 claim) | 2019[৯৯] | 2021 (March 2020 claim)[১০০][১০১] | |
SuperMeat | 2015 | Israel | Poultry | 2018[১০২] | By 2022 (May 2020 claim) | ||
VOW Foods | 2019[১০৩] | Australia | Kangaroo | US$1350/kg (Aug 2019 claim) | Aug 2019[১০৪] | 2021 (restaurants) (Oct 2019 claim)[১০৫] | |
Wild Earth[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2017 | United States | Pet food | ||||
Wildtype[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | 2016 | United States | Seafood |
এই সংস্থাগুলো ছাড়াও,, নিউ হারভেস্ট, গুড ফুড ইনস্টিটিউট এবং সেলুলার এগ্রিকালচার সোসাইটির মতো অলাভজনক সংস্থাগুলো কৃত্রিম মাংস সংশ্লিষ্ট গবেষণা ও তহবিল সংগ্রহে কাজ করছে।[১০৬]
প্রক্রিয়া
[সম্পাদনা]সেল লাইন
[সম্পাদনা]কোষীয় পর্যায়ে উৎপাদনের প্রথম কাজটি হল কোষ সংগ্রহ, যা সাধারণত স্টেম কোষ থেকে সংগ্রহ করা হয়। স্টেম কোষগুলো অবিচ্ছিন্ন ধরনের কোষ যাদের বিভিন্ন বিশেষ ধরনের কোষে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। টোটোপোটেন্ট স্টেম কোষগুলো শরীরের মধ্যে প্রায় সকল ধরনের কোষে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে। প্লুরিওপোটেন্ট স্টেম কোষগুলো বিভিন্ন ধরনের কোষে রূপান্তরিত হতে পারে এবং সেগুলোকে অমরাতে সংরক্ষণ করে এবং মাল্টিপোটেন্ট স্টেম কোষগুলো একটি সীমিত অংশের মধ্যে বিভিন্ন আলাদা বিশেষায়িত কোষে পরিণত হতে পারে। ইউনিপোটেন্ট স্টেম কোষগুলো কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট ধরনের কোষে পরিণত হতে পারে।[১০৭]
যদিও প্লুরিওপটেন্ট স্টেম কোষ কৃত্রিম মাংসের উৎপাদনের জন্য সর্বোত্তম, তবুও নৈতিকতার কারণে প্লুরিওপটেন্ট স্টেম কোষের সবচেয়ে ভালো উদাহরণ, ভ্রূণীয় স্টেম কোষ গবেষণার কাজে ব্যবহার বেশ বিতর্কিত। ফলস্বরূপ, বিজ্ঞানীরা ইনডিউসড প্লুরিপোটেন্ট স্টেম কোষ (আইপিএসসি) তৈরি করেছেন - যা প্লুরিওপটেন্ট স্টেম কোষগুলোকে আরো বৃহৎ আকারে পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ দেয়।[১০৮] বিকল্প পদ্ধতিটি পূর্ণাঙ্গ মাল্টিপোটেন্ট স্টেম কোষ ব্যবহার যা মাংসপেশির কোষ বা ইউনিপোটেন্ট স্টেম কোষে পরিণত হয়।[১০৭]
স্টেম কোষের অনুকূল বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অমরত্ব, উচ্চ রুপান্তর ক্ষমতা, ক্রমাগমন, কোষীয় তরল এবং টিস্যুতে সহজে রুপান্তর। যাইহোক, এই জাতীয় বৈশিষ্ট্যগুলো প্রজাতি এবং কোষের ধরনভেদে ভিন্ন হতে পারে। সেই হিসাবে, একটি নির্দিষ্ট সেল লাইনের সঠিক চাহিদা পূরণের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি সমন্বয় করতে হবে। অমরত্বের ক্ষেত্রে, কোষগুলির স্বাভাবিকভাবেই একটি সীমা থাকে যে পর্যন্ত তারা বিভাজিত হতে পারে; এটি তাদের টেলোমিয়ার ক্যাপ দ্বারা নির্ধারিত হয় যা ক্রোমোজমের শেষপ্রান্তে যুক্ত পরিপূরক নিউক্লিওটাইড বেসগুলির একটি সারি। প্রতিটি বিভাজনের সাথে সাথে টেলোমিয়ার ক্যাপটি ক্রমান্বয়ে সংক্ষিপ্ত হতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না এটির অস্তিত্ব হারিয়ে কোষ বিভাজন বন্ধ হয়ে যায়। প্লুরিওপোটেন্সি প্ররোচিত করে, টেলোমির ক্যাপটি এমনভাবে বাড়ানো যেতে পারে যে ঘরটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বিভক্ত হয়। [১০৮] এনটমোকালচারে ব্যবহৃত পোকার কোষগুলি স্বাভাবিকভাবে সিরাম ভিত্তিক সংস্কৃতি মিডিয়া এবং আনুগত্যের তুলনায় অপ্রতিরোধ্য এবং ফলস্বরূপ স্তন্যপায়ী কোষগুলির তুলনায় স্থগিত সংস্কৃতিতে আরও ঘনত সংস্কৃত হতে পারে। [১০৯]
সেল লাইন প্রাথমিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা যায়: যেমন ব্যথানাশক ব্যবহার করে কোনো প্রাণির বায়োপসির মাধ্যমে। তাছাড়া পূর্বের গবেষণার সময়ে বিদ্যমান সেকেন্ডারি উৎস থেকেও কোষ সংগ্রহ করা যেতে পারে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বৃদ্ধি মাধ্যম
[সম্পাদনা]একবার সেল লাইনগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে, তাঁদের বিভাজিত করার জন্য বৃদ্ধি মাধ্যমে আনা হয়। বৃদ্ধি মাধ্যমে সাধারণত বেসাল মিডিয়াম থেকে তৈরি করা হয় যাতে কোষের সমস্ত প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, প্রোটিন এবং লবণ বিদ্যমান থাকে। একবার কোনও সেল পর্যাপ্ত পরিমাণে উপাদান গ্রহণ করলে তা বিভাজিত হয়ে যায় এবং সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধি মাধ্যমে অন্যান্য পরিপূরক যুক্ত হতে পারে যা অতিরিক্ত বৃদ্ধির অনুঘটক। বৃদ্ধি অনুঘটকগুলো প্রোটিন বা স্টেরয়েড নিঃসরণ করে যা নির্দিষ্ট কোষীয় প্রক্রিয়া সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ।[১১০] সাধারণত বৃদ্ধি অনুঘটকগুলো ফেটাল বোভাইন সিরাম (এফবিএস) বা অন্য প্রাণিভিত্তিক সিরামে সংযুক্ত করে প্রোটিন উৎপাদনের জন্য বৃদ্ধি মাধ্যমে যুক্ত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
একবার বিভাজন শুরু হলেই পেশিতন্তুগুলি সংকোচন হওয়া শুরু করে এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপাদন শুরু হয়। মাধ্যমের পিএইচ এর উপর কোষের পুষ্টি উপাদান গ্রহণ এবং বিভাজন নির্ভর করে। যতই মাধ্যমে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমা হয়, পরিবেশ ক্রমান্বয়ে আরও অ্যাসিডিক হয়ে উঠে এবং অনুকূল পিএইচ সীমার নিচে নেমে আসে। ফলস্বরূপ, বৃদ্ধি মাধ্যমগুলোকে প্রায়শই পরিষ্কার এবং প্রতিস্থাপন করতে হবে। এটি বেসাল মাধ্যমে পুষ্টিঘনত্বকে পুনঃবর্ধন করে কারণ মাধ্যমের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যায় তা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।[৩]
কৃত্রিম মাংসের পণ্যগুলির ক্ষেত্রে, এমন পণ্য যা উপস্থিত কোষের ধরন এবং সামগ্রিক কনফিগারেশন, উভয় ক্ষেত্রেই আবশ্যক; সেরূপ কোষগুলোকে স্ক্যাফোল্ডে আবদ্ধ করা আবশ্যক। স্ক্যাফোল্ড মূলত ছাঁচ যা কোষকে নির্দিষ্ট কাঠামোতে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। কোষগুলো জৈবমাধ্যমে বিকশিত হলে তারা এক্সট্রা সেলুলার ম্যাট্রিক্স (ইসিএম) দ্বারা প্রভাবিত হয়। ইসিএম গ্লাইকোপ্রোটিন, কোলাজেন এবং এনজাইমের ত্রিমাত্রিক জাল যা কোষে যান্ত্রিক এবং জৈবরাসায়নিক সংকেত স্থানান্তর করে। স্ক্যাফোল্ডকে ইসিএম এর বৈশিষ্ট্য অনুকরণ করতে হয়।[১১০]
পোরোসিটি। পোর বা ছিদ্র স্ক্যাফোল্ডের পৃষ্ঠের উপর অতি ক্ষুদ্র প্রবেশপথ। পূর্বে বিদ্যমান কোষীয় উপাদান, যা টিস্যুর বিকাশে হস্তক্ষেপ করতে পারে; সেগুলোকে বের করে দেওয়ার জন্য জৈবপদার্থের পৃষ্ঠে এরূপ ছিদ্র রাখা হয়। এগুলি অনুষঙ্গী কোষের অভ্যন্তরীণ স্তরে গ্যাস ও পুষ্টিকে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে যা "নেক্রোটিক সেন্টার" তৈরি করতে বাধা দেয় (যখন মাধ্যমের সাথে সরাসরি যোগাযোগ না থাকায় কোষ পুষ্টির অভাবে মারা যায়, তখন নেক্রোটিক সেন্টার তৈরি হয়)।[১১১]
ভাস্কুলারাইজেশন। উদ্ভিদের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে তরল পরিবহনের কাজ করে উদ্ভিদের ভাস্কুলার টিস্যু। এটি প্রাকৃতিক টপোগ্রাফি তৈরি করে যা কম খরচে সেল অ্যালাইনমেন্টের মাধ্যমে মায়োব্লাস্টগুলির প্রাকৃতিক শারীরবৃত্তীয় অবস্থার প্রতিলিপি তৈরি করে। এটি গ্যাস এবং পুষ্টির বিনিময়েও সহায়তা করতে পারে। [১১১]
জৈবরাসায়নিক বৈশিষ্ট্য। একটি স্ক্যাফোল্ডের জৈবরাসায়নিক বৈশিষ্ট্য ইসিএমের মতো অনুরূপ উচিত। এটিকে অবশ্যই বাহ্যিক গঠন বা রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে কোষকে ধরে রাখার উপযোগী হতে হবে। অতিরিক্তভাবে, এটি অবশ্যই রাসায়নিক সংকেত উৎপাদন করতে পারে যা কোষের পার্থক্যকে উত্সাহ দেয়। বিকল্পভাবে, উপাদানটি অন্যান্য পদার্থের সাথে মিশ্রিত করতে সক্ষম হবে যা এই কার্যকরী গুণাবলী রয়েছে। [১১১]
স্ফটিকতা। কোনো উপাদানের স্ফটিকতার মাত্রা এর অনড়তার ন্যায় গুণাবলীকে নির্দেশ করে। উচ্চ স্ফটিকতা হাইড্রোজেন বন্ধনের কারণে হয় যার ফলস্বরূপ তাপীয় স্থায়িত্ব, প্রসার্য শক্তি (স্ক্যাফোল্ডের আকার বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ), জলপ্রবাহ (কোষগুলিকে হাইড্রেট করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ) এবং ইয়ংস মডুলাস বৃদ্ধি করে। [১১১]
ভাঙন। নির্দিষ্ট উপাদানগুলো কিছু যৌগ হিসেবে ভাঙন হয় যা কোষের পক্ষে উপকারী, যদিও বিপরীতভাবে, এই ভাঙন কোষের জন্য অপ্রাসঙ্গিক বা ক্ষতিকর হতে পারে। অবনতি সমাপ্ত পণ্য থেকে ভারাটিকে সহজে সরানোর অনুমতি দেয় যাতে এটি নিখুঁতভাবে প্রাণী টিস্যু হয় - এর ফলে ভিভো মাংসের সাথে এর সাদৃশ্য বাড়ায়। এই অবক্ষয়টি নির্দিষ্ট এনজাইমের সংস্পর্শে প্ররোচিত হতে পারে যা পেশী টিস্যুকে প্রভাবিত করে না। [১১১]
ভোজ্যতা। যদি স্ক্যাফোল্ডগুলোকে প্রাণী টিস্যু থেকে অপসারণ করা সম্ভব না হয়, তবে ভোক্তার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবশ্যই উপাদানগুলোকে ভোজ্য হতে হবে। এই বিবেচনায়, পুষ্টিকর উপাদান থেকে স্ক্যাফোল্ড তৈরি করা হলে তা আর বেশি উপকারী হবে।[১১১]
২০১০ সাল থেকে, বেশ কয়েকটি প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা দল এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গবেষণা করছেন স্ক্যাফোল্ডের কাঁচামাল খুজে বের করার জন্য এবং কীভাবে তাদের সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে স্ক্যাফোল্ডে পরিণত করা যায়।[১১১][১১২][১১৩][১১৪][১১৫][১১৬]
সেলুলোজ প্রকৃতিতে সর্বাধিক পরিমাণে প্রাপ্ত পলিমার এবং এটি উদ্ভিদের পাতার বহিঃগঠন তৈরি করে। এর প্রাচুর্যের কারণে এটি তুলনামূলক কম খরচে পাওয়া যায়। এটি বহুমুখী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং জৈব ব্যবস্থার সাথেও সহজে খাপ খায়। ডিসেলুলারাইজেশন নামক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটিকে একটি এসডিএস সার্ফ্যাক্ট্যান্টে আবদ্ধ করা হয় যা এতে ছিদ্র তৈরি করে। এই ছিদ্রগুলি উদ্ভিদের কোষীয় উপাদানগুলো নিঃসরণ করে এবং ঐ টিস্যুগুলো তখন কোষীয় উপাদানবিহীন হয়ে যায়। অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়ার্সেস্টার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পেলিং গ্রুপ এবং গাউডেট গ্রুপের একাডেমিক গবেষকগণ এই উপাদানের বিষয়ে ব্যাপক অধ্যয়ন করেছেন। ক্রস-লিঙ্কিংয়ের মাধ্যমে (পৃথক পলিমার চেইনকে একত্রে ধরে রাখার জন্য তাদের মধ্যে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন গঠন করা) উদ্ভিদ টিস্যুর যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তন করা যেতে পারে যাতে এটি কঙ্কালের পেশী টিস্যুগুলির সাথে আর সাদৃশ্যপূর্ণ হয়। উদ্ভিদের টিস্যুকে অন্যান্য উপাদানের সাথে মিশ্রিত করেও এরূপ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডিসেলুলারাইজড উদ্ভিদের টিস্যুতে সাধারণত স্তন্যপায়ী প্রাণিতে প্রাপ্ত জৈব-রাসায়নিক সংকেতের অভাব থাকে, তাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে অন্যান্য কার্যকরী প্রোটিনের প্রলেপ দেওয়া হয়। যাইহোক, কোলাজেন বা জেলটিন প্রোটিনের প্রলেপ দেওয়া স্ক্যাফোল্ড এবং সাধারণ স্ক্যাফোল্ডের মধ্যে সি২সি১২ প্রোটিনের বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্যভাবে পার্থক্য দেখা যায়নি। তবে তাদের বীজ দক্ষতা (যে হারে কোষগুলি স্ক্যাফোল্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে) উন্নত হয়েছিল। ডিসেলুলারাইজড উদ্ভিদ টিস্যুর একটি সুবিধা হলো পাতার ভাস্কুলাকচারে বিদ্যমান প্রাকৃতিক টপোগ্রাফি। এটি মায়োব্লাস্টগুলির স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় অবস্থার প্রতিলিপি তৈরি করতে সহায়তা করে যা কোষের অ্যালাইনমেন্টে সাহায্য করে। এটি করার অন্যান্য উপায় যেমন: ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিং, সফট লিথোগ্রাফি এবং ফটোলিথোগ্রাফি বেশ ব্যয়বহুল। ভাস্কুলারাইজেশন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি মাধ্যমের ১০০ থেকে ২০০ ন্যানোমিটারের ব্যাপন সীমা অতিক্রম করতেও সহায়তা করে যার দ্বারা পেশী কোষগুলোতে নেক্রোটিক কেন্দ্র তৈরি হয়। এটি করার আরেকটি উপায় হলো ছিদ্রযুক্ত স্ক্যাফোল্ড তৈরি যা অ্যানজিওজেনেসিস (নতুন রক্তনালির বিকাশ) সমর্থন করে। এটি অ্যাপল হাইপানথিয়ামে কার্যকরী হলেও সকল গাছপালা এত ছিদ্রযুক্ত নয়। উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত সেলুলোজের বিকল্প হলো ব্যাকটেরিয়া থেকে প্রাপ্ত সেলুলোজ যা লিগনিন এবং হেমিসেলুলোজ জাতীয় দূষক থেকে মুক্ত হওয়ার কারণে উদ্ভিদ সেলুলোজের চেয়ে খাঁটি। ব্যাকটেরিয়া থেকে প্রাপ্ত সেলুলোজে পলিমার স্ট্র্যান্ডগুলির মধ্যে হাইড্রোজেন বন্ধনের সংখ্যা বেশি তাই এটির স্ফটিকতাও বেশি। এটিতে ছোট ছোট মাইক্রোফাইব্রিল রয়েছে যা এটিকে আরো আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। বর্জ্য কার্বোহাইড্রেট ব্যবহার করে এই পদার্থটি স্বউৎপাদিত হতে পারে (যা কম খরচে করা যায়) এবং এটি দ্রবীভূত মাংসের রসালতা এবং চর্বণযোগ্যতায় প্রভাব রাখে (যার অর্থ যদি এটিকে চূড়ান্ত পণ্য থেকে বের করে নেওয়া না যায়, তবে মাংসের স্বাদে এটি অবদান রাখবে)।[১১১][১১২]
কাইটিন প্রকৃতির দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রাপ্যতার পলিমার এবং এটি ক্রাস্টেসিয়ান এবং ছত্রাকের বহিঃকঙ্কালে পাওয়া যায়। যেহেতু কোষ পর্যায়ে উৎপাদনে প্রাণি বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, তাই ছত্রাক থেকে প্রাপ্ত কাইটিন এখানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বে উল্লিখিত পেলিং গ্রুপ এই বিষয়ে বিস্তর অধ্যয়ন করেছে। ক্ষারীয় ডিএসিইটাইলেশন (কিছু অ্যামিনো অ্যাসিড গ্রুপকে প্রতিস্থাপন) হিসাবে পরিচিত প্রক্রিয়ায় কাইটিন থেকে কাইটোসান উদ্ভূত হয়। কাইটোসানের বাহ্যিক এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা এই বিক্রিয়ার মাত্রা নির্ধারিত হয়। কাইটোসানের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, বিশেষত, এটি প্লাঙ্কটোনিক ব্যাকটেরিয়া এবং বায়োফিল্মে ব্যাকটেরিয়ারোধী প্রভাব এবং ইকোলাই এর মত গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ায় বৃদ্ধিরোধী প্রভাব রাখে। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি এমন যৌগগুলোকে উপশম করে যা মানুষের পক্ষে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া খাওয়া ক্ষতিকারক এবং এর ফলে অনেক গ্রাহক এসকল পণ্য ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন। গ্লাইকোসামিনোগ্লাইকান এর সাথে কাইটোসানের রাসায়নিক সাদৃশ্য এবং গ্লাইকোপ্রোটিন এবং প্রোটিওগ্লাইক্যান এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ মিথস্ক্রিয়া এটিকে জৈবব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলে। অন্যান্য পলিমারের সাথে সহজেই মিশ্রিত করে এর অন্যান্য জৈবসংবেদনশীল অনুঘটক শনাক্ত করা যায়। কাইটোসানের একটি সম্ভাব্য অসুবিধা হলো এটি লাইসোজাইমের (প্রাকৃতিক ক্ষয়কারক এনজাইম) উপস্থিতিতে হ্রাস পায়। তবে ডিএসিইটাইলেশন বিক্রিয়া দ্বারা এই ক্ষয় প্রতিরোধ করা যায়। যদিও এটি সম্পূর্ণরূপে নেতিবাচক নয়, কারণ ক্ষয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপাদিত সহযোগী উৎপাদগুলোর প্রদাহ এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কোষগুলোর অবক্ষয়ের সাথে ম্যাট্রিক্সের কাঠামো মিলানোই এক্ষেত্রে কেবল গুরুত্বপূর্ণ।[১১১]
কোলাজেন একটি গুচ্ছবদ্ধ প্রোটিন যা সংযোজক টিস্যুর প্রাথমিক কাঠামো তৈরি করে। এটি সাধারণত গরু, শুকর এবং ইঁদুরগোত্রীয় প্রাণি থেকে প্রাপ্ত। এগুলি সমস্ত প্রাণী উৎস হওয়ায় কোষ কালচার পদ্ধতিতে ট্রান্সজেনিক জীবের ব্যবহারের মাধ্যমে এটি কোলাজেন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড উৎপাদনে সক্ষম। কোলাজেন প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন টাইপ ওয়ান হিসাবে বিদ্যমান এবং ছিদ্রায়িত হাইড্রোজেল হিসেবে এটি উৎপাদিত হয়, জৈবরাসায়নিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত হিসেবে এটি গঠিত এবং প্রতিস্থাপিত হয়। রিকম্বিন্যান্ট প্রোটিন প্রোডাকশনের সাহায্য নিয়ে কৃত্রিম কোলাজেন (কোলাজেন টাইপ ২, টাইপ ৩, ট্রপোএলাস্টিন, ফাইব্রোনেকটিন) তৈরি করা হয়েছে। এই প্রোটিনগুলোর একটি বড় অসুবিধা হলো ট্রান্সলেশন পরবর্তী সময়ে এদের পরিবর্তন করা যায় না। যাইহোক, একটি বিকল্প ফাইব্রিলার প্রোটিন অণুজীবগুলোতে পৃথক করা হয়েছে যাতে কোলাজেনের জৈবরাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের অভাব থাকলেও জিন পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে। রিকম্বিন্যান্ট কোলাজেন উৎপাদনের একটি বড় লক্ষ্য হলো উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই - কীভাবে সবচেয়ে কার্যকরভাবে উৎপাদন করা যায়। গাছপালা, বিশেষত, তামাক সর্বাধিক কার্যকর বিকল্প তবে, ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্টও এক্ষেত্রে কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে।[১১১]
টেক্সচার্ড সয়া প্রোটিন হলো সয়া ময়দা সংশ্লিষ্ট পণ্য যা প্রায়শই উদ্ভিদভিত্তিক আমিষে ব্যবহৃত হয়; যা ইসরায়েল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির লেভেনবার্গ গ্রুপ বোভাইন কোষগুলোর বৃদ্ধিকে সমর্থন করে বলে প্রদর্শন করেছে। এর স্থিতিস্থাপক আবরণ দক্ষ কোষবীজকে স্থান দেয় এবং এতে বিদ্যমান ছিদ্র অক্সিজেন স্থানান্তরে সাহায্য করে। পাশাপাশি কোষ বিভাজনের সময় এই উপাদানগুলো কোষের জন্য উপকারী উপাদান হিসেবে ভেঙ্গে যায়।[১১৩]
মাইসেলিয়াম হলো মাশরুমের শিকড়। আলস্টাস্ট ফুডস কোং মাইসেলিয়াম স্ক্যাফোল্ডগুলিতে মাশরুম টিস্যুর বৃদ্ধির জন্য গাঁজন পদ্ধতি ব্যবহার করছে। তারপরে তারা এই টিস্যুটি কেটে বেকন অ্যানালগ তৈরিতে ব্যবহার করে।[১১৪]
ন্যানোম্যাটেরিয়ালস এমন পদার্থ যা ন্যানোস্কেলে ভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। এসওএসভি ইনকিউবেটারের সাথে জড়িত বর্তমানে লন্ডন ভিত্তিক স্ক্যাফোল্ড তৈরির প্রতিষ্ঠান বায়োমিমেটিক সলিউশনস, স্ক্যাফোল্ড তৈরি করার জন্য ন্যানোম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করছে।[১১৩]
অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে ক্যাস মেটেরিয়াল তাদের বিএনসি স্ক্যাফোল্ডের জন্য ন্যানোসেলুলোজ স্পঞ্জ তৈরি করতে নাটা দে কোকো (নারকেল থেকে প্রাপ্ত) নামে একটি ডায়েটরি ফাইবার ব্যবহার করছে। নাটা দে কোকো জৈব সামঞ্জস্যপূর্ণ, প্রচুর সহযোগী ছিদ্র রয়েছে, কোষের সংস্থাপনের জন্য সুবিধাজনক এবং জৈবভাঙনে অংশ নেয়।[১১৫]
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কার গ্রুপ দ্বারা প্রাথমিকভাবে উদ্ভাবিত ইমারসন জেট স্পিনিং ফাইবারগুলোকে পলিমার দ্বারা ঘূর্ণায়মান করে স্ক্যাফোল্ড তৈরি করার একটি পদ্ধতি। আইআরজেএস প্ল্যাটফর্ম একটি ঘূর্ণমান জলাশয়ের কেন্দ্রমুখী শক্তি ব্যবহার করে একটি খোলা পথে পলিমার দ্রবণ নিঃসরণ করে। প্রক্রিয়াটি চলাকালীন, দ্রবণটি একটি জেট গঠন করে যা বায়ুর মধ্যে দিয়ে একটি নির্দিষ্ট দিক বরাবর প্রসারিত হয়। জেটটিকে একটি ঘূর্ণায়মান জলাধারের দিকে পরিচালিত করা হয় যাতে রাসায়নিক ক্রসলিঙ্কগুলো বা পলিমার ন্যানোফাইবারগুলো অধঃক্ষিপ্ত হতে পারে। বায়ুর বাধা,,ঘূর্ণন এবং দ্রবণের মত অনুঘটকগুলোকে সমন্বয় করে আমরা কাঙ্ক্ষিত ফাইবারের ব্যাস পরিবর্তন করতে পারি। এই পদ্ধতিতে পিপিটিএ, নাইলন, ডিএনএ এবং ন্যানোফাইবার শীট থেকে স্পিনিং দ্বারা স্ক্যাফোল্ড তৈরি করা যায়। অ্যালজিনেট এবং জেলাটিন থেকে এরুপে তৈরি একটি ন্যানো ফাইবারস স্ক্যাফোল্ড সি২সি১২ কোষের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। খরগোশ এবং বোভাইনের মহাধমনির মসৃণ পেশীর মায়োব্লাস্টগুলিও জেলাটিন ফাইবারে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছিল। তারা ছোট তন্তুগুলিতে অ্যাগ্রেগ্যাট গঠন করে এবং দীর্ঘতর তন্তগুলোতে নির্দিষ্ট সরলরেখা বরাবর যুক্ত করে।[১১৬]
ম্যাট্রিক্স মিটস নামে একটি সংস্থা ইলেক্ট্রোস্পিনিং ব্যবহার করছে, এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা স্ক্যাফোল্ড তৈরি করার জন্য চার্জযুক্ত পলিমারকে তন্তুতে পরিণত করতে বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহার করে। তাদের স্কাফোল্ড যা সাদা চর্বিযুক্ত মাংসের ক্ষেত্রেও কাজ করে, একাধিক সেল লাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং উৎপাদনযোগ্য। [১১৭]
অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং
[সম্পাদনা]পেশী টিস্যু গঠনের আর একটি প্রস্তাবিত উপায় হলো অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং । প্লাস্টিক, নাইলন, ধাতু, গ্লাস এবং অন্যান্য কৃত্রিম উপকরণ তৈরিতে এমন একটি পদ্ধতি ইতোমধ্যে শিল্পকারখানায় নিখুঁতভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রক্রিয়াটির খুবি সাধারণ একটি মডেল হচ্ছে কোনো একটি কাঠামোর উপরে নিয়মিত স্তরে স্তরে উপাদান সন্নিবেশ করা যতক্ষণ না পুরো উপাদানটি গঠিত হয়। কৃত্রিম মাংস তৈরির অন্যান্য সকল পদ্ধতি যেমন বাইন্ডার জেটিং, ম্যাটেরিয়াল জেটিং বা স্টেরিওলিথোগ্রাফি যাতে একটি নির্দিষ্ট রেজিন বা পাওডারের প্রয়োজন হয়; তাদের তুলনায় এই পদ্ধতিটি কৃত্রিম মান্সগ উৎপাদনে উত্তম বলে নিজেকে প্রমাণ করবে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
একইভাবে, পেশিকোষের ফিলামেন্ট থেকে এমন মাংস উৎপাদন করা যেতে পারে যা দেখতে পরিপূর্ণ মাংসের মত মনে হয়; পরবর্তীতে এতে কোষের পরিপক্কতার জন্য কাজ করা যেতে পারে। থ্রিডি বায়োপ্রিন্টিং সলিউশনস এবং আলেফ ফার্মসের মধ্যে একটি চুক্তিতে এই কৌশলটি ফুটে উঠেছে যা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে টার্কি কোষ উৎপাদনের জন্য অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবহার করেছিল।[১১৮]
বায়োরিয়েক্টর
[সম্পাদনা]স্ক্যাফোল্ডগুলি বায়োরিয়েক্টরের ভিতরে স্থাপন করা হয় যাতে কোষের বৃদ্ধি ঘটে। বায়োরিয়েক্টর হলো মদ তৈরির পাত্রগুলোর মত বড় আকারের মেশিন যাতে উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশীয় উপাদান সৃষ্টি করা হয়। বায়োরিয়েক্টরের তাপমাত্রা অবশ্যই কোষ সংশ্লিষ্ট হতে হবে। স্তন্যপায়ী কোষগুলির ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। বিকল্পভাবে, পোকার কোষ ঘরের তাপমাত্রায় বৃদ্ধি পেতে পারে। বেশিরভাগ বায়োরিয়েক্টরে ৫ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড রাখা হয়।[১০৯][১১০]
নিরবচ্ছিন্নভাবে অথবা ফেড-ব্যাচ সিস্টেমে কোষ উৎপাদন করা যায়। প্রথম পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট গতি এবং পদ্ধতিতে কোষ উৎপাদন করতেন যাতে বায়োরিয়েক্টরে সবসময় কোষ থাকে। ফেড-ব্যাচ সিস্টেমে একটি পৃথক সময় পরপর কোষগুলোকে কলম করা হয় এবং তাদের উৎপাদন করা হয়।[১১০]
স্ট্রার্ড ট্যাঙ্ক বায়োরিয়েক্টর হলো সর্বাধিক ব্যবহৃত বায়োরিয়েক্টর ব্যবস্থা যার মধ্যে একটি ইমপেলার প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে উৎপাদন মাধ্যমগুলো একত্রিত করে অক্সিজেন আদান প্রদান সম্ভব হয়। এই সিস্টেমটি সাধারণত কোষ মিশ্রণের কাজে ব্যবহৃত হয়, তবে মাইক্রোকারিয়ারগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হলে এটি অন্য পৃষ্ঠের সাথে সংযুক্তি প্রয়োজন, এমন ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতে পারে। ভূমিস্থির বায়োরিয়েক্টর সাধারণত সংযুক্তি মাধ্যমের জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলিতে ফাইবারের স্ট্রিপ থাকে যেগুলোকে একসাথে সংযুক্ত করা হয় যাতে একটি পৃষ্ঠ তৈরি হয় যাতে কোষগুলো সংযুক্ত হতে পারে। এরিটেড বৃদ্ধি মাধ্যমগুলো এভাবে পৃষ্ঠ দিয়ে পরিচালিত হয়। এয়ারলিফ্ট বায়োরিয়েক্টরে বৃদ্ধি মাধ্যমগুলো গ্যাসীয় আকারে বুদবুদ ব্যবহার করে যা পরবর্তীতে কোষের মাঝে বিক্ষিপ্ত এবং বিচ্ছুরিত হয়। পারফিউশন বায়োরিয়েক্টর নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য সাধারণ ব্যবস্থা। এটি ক্রমাগত পুষ্টিহীন এবং মাধ্যমের বর্জ্য হিসেবে প্রাপ্ত ল্যাকটিক এসিড অপসারণ করে এবং পুষ্টিযুক্ত উপাদান দ্বারা মাধ্যম পুনরায় পূর্ণ করে।[১১৯]
গাঁজন
[সম্পাদনা]উপরে বর্ণিত উপাদানগুলি প্রাণীর পেশী টিস্যুর কালচারে প্রযোজ্য। যাইহোক, কোষীয় উৎপাদন অকোষীয় উৎপাদন পর্যন্তও প্রসারিত হয়েছে যা জীবসংশ্লেষিত পণ্যের উৎপাদনের সাথে জড়িত। এই জাতীয় পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে দুধ, মধু, ডিম, পনির, জেলটিন যা কোষের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রোটিন দিয়ে তৈরি। এই জাতীয় ক্ষেত্রে, এই প্রোটিনগুলি অবশ্যই পুনরায় সংশ্লেষিত প্রোটিন উৎপাদন, অ্যালকোহল তৈরি এবং টোফু, টেম্প এবং সাউরক্রাট জাতীয় উদ্ভিদভিত্তিক পণ্যগুলির মতই খাদ্যোপযোগী হতে হবে।[১২০]
প্রথমত প্রোটিন নির্দিষ্ট জিন দ্বারা কোডিং করা হয় এবং এই প্রোটিন তৈরির জন্য দায়ী জিন প্লাজমিডে সংশ্লেষিত হয় যা দ্বিসূত্রীয় জিনগত তথ্যের একটি আবদ্ধ চক্র। রিকম্বিন্যান্ট ডিএনএ নামে পরিচিত এই প্লাজমিডটি পরে জিনগত রূপান্তর নামের প্রক্রিয়া ব্যবহার করে একটি ব্যাকটেরিয়ায় প্রবেশ করানো হয়। এই প্রক্রিয়ার জন্য, ব্যাকটেরিয়াটিকে অবশ্যই সক্ষম হতে হবে (অর্থাৎ বহিঃস্থ বা বহিঃকোষীয় ডিএনএ গ্রহণে সক্ষম) এবং অনুভূমিকভাবে জিন স্থানান্তরে সক্ষম (অর্থাৎ বহিঃস্থ জিনগুলোকে নিজস্ব ডিএনএতে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া) হতে হবে। প্রোক্যারিয়ওটিক জীবের তুলনায় ইউক্যারিওটিক জীবে আনুভূমিক জিন স্থানান্তর বেশি কঠিন কারণ প্লাজমিড প্রবেশের জন্য ইউক্যারিওটিক জীবে কোষঝিল্লি এবং নিউক্লিয়ার ঝিল্লি উভয়ই থাকে অন্যদিকে প্রোক্যারিয়ওটিক জীবে কেবল কোষঝিল্লি থাকে। এই কারণে, প্রোক্যারিয়ওটিক ব্যাকটেরিয়া এই কাজের জন্য অনুকূল। এই ব্যাকটেরিয়াকে সাময়িকভাবে সক্ষম করার জন্য এটি ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডের মতো লবণের সংস্পর্শে আনা যায় যা কোষঝিল্লির ফসফেট হেড এবং প্লাজমিডের ঋণাত্মক চার্জকে প্রশমিত করে এদের পরস্পরের বিকর্ষণ থেকে বাঁচিয়ে দেয়। তারপরে ব্যাকটেরিয়াগুলোকে গরম জলে প্রবেশ করানো হয় যাতে কোষপৃষ্ঠের ছিদ্রগুলো উন্মুক্ত হয়ে প্লাজমিড প্রবেশ করতে পারে।[১২১]
এরপরে ব্যাকটেরিয়াগুলোকে চিনির উপর গাঁজন করা হয় যার ফলে এটি বৃদ্ধি পায় এবং দ্বিত্ব হয় এবং এই প্রক্রিয়াতে প্লাজমিড পরিবহন হয় বিধায় ডিএনএ এর সাথে সাথে প্রোটিনও তৈরি হয়।[১২২]
অবশেষে, অবশিষ্ট প্রোটিনকে আলাদা করার জন্য দ্রবণটি বিশুদ্ধ করা হয়। উদ্দিষ্ট প্রোটিন বহন করে না এমন সকল ব্যাকটেরিয়াকে একটি বিশেষ অ্যান্টিবডি ব্যবহার করে মেরে ফেলা হয়। তরল থেকে প্রোটিন আলাদা করার জন্য দ্রবণটিকে সেন্ট্রিফিউগেশনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তির সাহায্যে একটি অক্ষের চারপাশে ঘুরানো হয় অথবা একটি উত্তম বাফার দ্রবণে একে শুষে নেওয়া হয় যাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়াগুলোকে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় আলাদা করে মেরে ফেলা হয়।[১২৩]
বাধাসমূহ
[সম্পাদনা]বৃদ্ধি অনুঘটক
[সম্পাদনা]কোষাভ্যন্তরে গবেষণার জন্য বৃদ্ধি মাধ্যম একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। কোষের বিভাজনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌল, পুষ্টি এবং বৃদ্ধি উপাদান এতে সরবরাহ করা হয়। কোষ পর্যায়ে উৎপাদনে বৃদ্ধি অনুঘটকগুলো সরবরাহ বড় বাধাগুলোর একটি। ঐতিহ্যগতভাবে এই কাজে ভ্রূণীয় বোভাইন সিরাম (এফবিএস) ব্যবহার করা যা গরুর ভ্রূণীয় দশায় রক্ত থেকে সংগ্রহ করা হয়। একে তো বিষয়টি অনৈতিক, তার সাথে কৃত্রিম মাংসের প্রাথমিক লক্ষ্য 'প্রাণি নিরপেক্ষ' এর সাথে সাংঘর্ষিক। পাশাপাশি এটি কৃত্রিম মাংস উৎপাদনের সবচেয়ে ব্যয়বহুল উপাদান যার প্রতি লিটারের দাম ১০০০ ডলার। একইসাথে এর রাসায়নিক বিন্যাস প্রাণিভেদে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়; তাই একটি অভিন্ন সার্বজনীন রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায় না।[১২৪] ভ্রূণীয় বোভাইন সিরাম ব্যবহারের কারণ হলো এটি কোষ অভ্যন্তরে পেশী বিকাশের প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে পারে। টিস্যু বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় অনুঘটকগুলো একটি প্রাণীর রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় এবং অন্য কোনো জানা তরল পদার্থ নেই যা এককভাবে এসমস্ত উপাদান সরবরাহ করতে পারে।[১১০]
বিদ্যমান বিকল্প হলো রিকম্বিন্যান্ট প্রোটিন তৈরির পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতিটি অনুঘটক আলাদা আলাদা করে উৎপাদন করা। এই প্রক্রিয়াতে, নির্দিষ্ট ফ্যাক্টরের জন্য কোডিং করা জিনগুলি ব্যাকটেরিয়ায় প্রবেশ করানো হয় যাকে পরবর্তীতে সংখ্যায় বৃদ্ধি করা হয়। তবে জটিলতার কারণে প্রক্রিয়াটি বেশ ব্যয়বহুল।[১১০]
একটি আদর্শ বৃদ্ধি মাধ্যম রাসায়নিকভাবে গণনাযোগ্য, সহজে উৎপাদনযোগ্য, সস্তা এবং প্রাণি নিরপেক্ষ হতে হবে।[২২] এরূপ বৃদ্ধি মাধ্যমগুলো সম্ভবত উদ্ভিদ থেকেই তৈরি হবে এবং যদিও এগুলো সংক্রামক রোগের বাহকের সম্ভাব্যতা হ্রাস করতে পারে, তবে কিছু গ্রাহকের মধ্যে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার সম্ভাবনা আছে।[১২৫] এরূপ কৃত্রিম সেরার নির্দিষ্ট পরিবর্তনের জন্য নির্দিষ্ট সেল লাইন প্রয়োজন হতে পারে। ফিউচার ফিল্ডস, মাল্টাস মিডিয়া এবং বিফটেক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কার্যকরী উদ্ভিদভিত্তিক বৃদ্ধি মাধ্যমের বিকাশে বিনিয়োগ করেছে।[১২৬][১২৭][১২৮]
পৃষ্ঠীয় এলাকা
[সম্পাদনা]বায়োরিয়েক্টর এবং স্ক্যাফোল্ডের বিকাশের একটি সাধারণ বাধা হলো এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা যাতে সকল ধরনের কোষ বৃদ্ধি মাধ্যমে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সকল প্রয়োজন পূর্ণ হয়। স্ক্যাফোল্ড তৈরির আগে, কোষ বিভাজন পর্যায়ে কোষের বৃদ্ধিকে সমর্থন করার জন্য নানা ধরনের কোষ যুক্ত করতে হয়। অর্থাৎ, কোষগুলোকে সমান ঘনত্ব পরপর একটি বিশাল পৃষ্ঠে একস্তরে উৎপাদন করতে হবে। এটি বড় সংখ্যায় বাধা তৈরি করতে পারে। সেক্ষেত্রে বৃদ্ধি মাধ্যমে কাঁচের তৈরি ক্ষুদ্র গোলাকার বাহক ব্যবহার করা যায়। কোষগুলি এই মাইক্রোকারিয়ারগুলিকে মেনে চলে যেমন তারা বায়োরিয়েক্টরের পাশে থাকে যা উপলব্ধ পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। [১২৯]
কোষের বিভাজন পর্যায়ে, কোষগুলিকে একটি স্ক্যাফোল্ডে নেওয়া হয় এবং তখন আর ক্ষুদ্রাকৃতি বাহকের প্রয়োজন হয় না। যাহোক, এক্ষেত্রে স্ক্যাফোল্ডের কোষের ঘনত্ব হ'ল সমস্ত কোষের কৃত্রিম বৃদ্ধিমাধ্যমে কোনো ইন্টারফেস থাকে না; যা কোষের মৃত্যু এবং নেক্রোটিক কেন্দ্র তৈরি করে। যখন কোষ অভ্যন্তরে পেশি তৈরি করা হয়, ইসিএম রক্তনালীগুলোর মাধ্যমে পেশিতে পুষ্টি সরবরাহ করার কারণে এই সমস্যাটি প্রকট হয়। এবিবেচনায়, অনেক উদীয়মান স্ক্যাফোল্ড নির্মাতা এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করছে।[১২৯]
একইভাবে, স্ক্যাফোল্ডগুলোকে অবশ্যই ইসিএমের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যকে অনুকরণ করতে হবে, উল্লেখযোগ্যভাবে পোরোসিটি, স্ফটিকতা, অবক্ষয়, জৈব-সামঞ্জস্য এবং কার্যকারিতা। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য অনুকরণ করে এমন কয়েকটি পদার্থ শনাক্ত করা হয়েছে যা নানা পরিপূরক বৈশিষ্ট্য সহ স্ক্যাফোল্ড তৈরি করতে পারে।[১১১]
গবেষণা সমর্থন
[সম্পাদনা]যেহেতু কোষীয় উৎপাদন একটি উন্নত ক্ষেত্র হিসাবে ব্যাপকভাবে বিবেচিত না, তাই গবেষণার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহ বা তহবিলের তেমন প্রবাহ নেই।[৪] ফলস্বরূপ, এক্ষেত্রে বেশিরভাগ গবেষণা স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত এবং অর্থায়িত। যাইহোক, পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে যেহেতু এই ক্ষেত্রে লাভজনক বিনিয়োগ হচ্ছে। উল্লেখ্য, নিউ হারভেস্টের একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রামে বিভিন্ন একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের স্নাতক শিক্ষার্থীদের সমর্থন করা হচ্ছে।[১৩০]
গ্রাহক গ্রহণযোগ্যতা
[সম্পাদনা]কৃত্রিম মাংস সম্ভবত আগামী বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের কাছে প্রকাশিত হবে, যা পণ্যটির গ্রাহক গ্রহণযোগ্যতাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।[১৩১] গ্রাহকরা কীভাবে কৃত্রিম মাংস বাজারে গ্রহণ করবেন তা চিহ্নিত করার জন্য গবেষণা করা হচ্ছে। চীন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃত্রিম মাংসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, তিনটি জনবহুল দেশেই কৃত্রিম মাংসের উচ্চমাত্রার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।[১৩২]
কৃত্রিম মাংসের গ্রাহক গ্রহণযোগ্যতার বেশ কিছু অনুঘটক চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকরতা, সুরক্ষা, পুষ্টিকর বৈশিষ্ট্য, স্থায়িত্ব, স্বাদ এবং কম দাম এসমস্ত অনুঘটক।[১৩৩] একটি সমীক্ষার মতে, কৃত্রিম মাংসের ব্যাখ্যায় বেশি পরিমাণে কৌশলগত ভাষার ব্যবহার এর প্রতি জনগণের নেতিবাচক মনোভাবের দিকে পরিচালিত করে।[১৩৪] একইভাবে, এটি প্রস্তাবিত যে কৃত্রিম মাংসের উপস্থাপনে উৎপাদন পদ্ধতির চেয়ে চূড়ান্ত পণ্যের উপরে জোর প্রদান গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির কার্যকর উপায়।[১৩৫] বয়স্ক জনসংখ্যার কম পরিমাণে মানুষ কৃত্রিম মাংসের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা দেখিয়েছে বলে রিপোর্ট করা হয়েছে। সবুজ খাদ্যাভাস, শিক্ষাগত অবস্থা এবং খাদ্য ব্যবসায়কে এই জনসংখ্যার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।[১৩৬]
মানসম্মত বর্ণনার ব্যবহারে কৃত্রিম মাংসের গ্রাহক গ্রহণযোগ্যতা ভবিষ্যতে গবেষণায় উন্নতি করবে। বর্তমান সমীক্ষাগুলো প্রায়শই একই জনগোষ্ঠীর উপরে সমীক্ষা করেও গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রতিবেদন দিচ্ছে। আরো তুলনামূলক গবেষণা কৃত্রিম মাংসের গ্রাহক গ্রহণযোগ্যতা অধ্যয়নের জন্য ভবিষ্যত লক্ষ্য হিসাবে বিবেচিত হয়।[১৩৭]
বিশ্বব্যাপী বাজারগুলিতে কীভাবে কৃত্রিম মাংস গৃহীত হবে, তা এখনো অজানা। গ্রাহকদের গ্রহণযোগ্যতার বর্তমান পরিস্থিতি নির্ধারণ এবং তাকে উন্নত করার জন্য প্রচুর গবেষণা চলছে। বর্তমানে যদিও এই অজানা বিষয়ে স্পষ্ট জবাবের অভাব আছে, সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গ্রাহকরা কৃত্রিম মাংসের জন্য কিছুটা চড়া দাম দিতে রাজি আছেন। [১৩৩][১৩৪][১৩৫][১৩৬][১৩৮][১৩৯][১৪০]
নিয়ন্ত্রণ
[সম্পাদনা]একবার কৃত্রিম মাংস সাশ্রয়ী হয়ে উঠলে, এটির সুরক্ষা ও মান কে নিয়ন্ত্রণ করবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। বিক্রয়ের আগে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডায় 'নভেল ফুড আপ্লিকেশন' এ আবেদন করতে হবে। অধিকন্তু, কৃত্রিম প্রাণী সংক্রান্ত পণ্য এবং উৎপাদনকে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া আইন অনুযায়ী একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইউরোপিয় ইউনিয়নকে অবশ্যই সুরক্ষার প্রমাণ করতে হবে। [১৪১]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এফডিএ (খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন) এবং ইউএসডিএ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগ) যৌথভাবে কৃত্রিম মাংসের মান নিয়ন্ত্রণে সম্মত হয়েছে। চুক্তির অধীনে, এফডিএ কোষ সংগ্রহ, কোষ সংরক্ষণ এবং কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন তদারকি করে, অন্যদিকে ইউএসডিএ কোষ থেকে প্রাপ্ত মানুষের খাদ্য পণ্যগুলির উৎপাদন এবং চিহ্নিতকরণের তদারকি করে।[১৪২]
প্রচলিত মাংসের সাথে পার্থক্য
[সম্পাদনা]বৃহৎ পরিমাণে কৃত্রিম মাংসের উৎপাদনের জন্য কৃত্রিম বৃদ্ধি হরমোন প্রয়োজন হতে পারে, আবার নাও হতে পারে।[১৪৩][১৪৪]
গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসাবে কৃত্রিম মাংসে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত করা যেতে পারে।[২৭] একইভাবে, প্রচলিত মাংসের ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে পশুদের খাদ্য পরিবর্তন করে। বাড়ানো যেতে পারে। [১৪৫] টাইম ম্যাগাজিনের একটি ইস্যুতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে কোষ-সংস্কৃতিযুক্ত প্রক্রিয়া মাংসের ব্যাকটেরিয়া এবং রোগের সংস্পর্শেও হ্রাস পেতে পারে। [২৮]
কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং অনুমানযোগ্য পরিবেশের কারণে কৃত্রিম মাংসের উৎপাদনকে ভার্টিক্যাল ফার্মিংয়ের সাথে তুলনা করা হয়েছে এবং এর কিছু সমর্থক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক এবং বিপজ্জনক রাসায়নিকের সংস্পর্শে জীবজন্তুর ক্ষতি হ্রাসে এটি সাহায্য করবে।[১৪৬]
কৃত্রিমতা
[সম্পাদনা]কৃত্রিম মাংস যদিও প্রচলিত মাংসের মত প্রকৃত প্রাণীর পেশী কোষ, চর্বি এবং রক্তনালি নিয়ে গঠিত,[১৪৭] তবুও কিছু গ্রাহক এই উচ্চ কারিগরি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে অস্বচ্ছ ভাবতে পারে। কৃত্রিম মাংসকে নকল বা 'ফ্র্যাঙ্কনমিট' হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[১৪৮] অন্যদিকে প্রচলিত মাংসে ব্যবহৃত কৃত্রিম হরমোন, অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েডস, ওষুধ এবং জিনগত পরিবর্তন ছাড়াই কৃত্রিম মাংস এবং সামুদ্রিক খাবার উৎপাদন করা যায়।
যদি কৃত্রিম মাংস সংশ্লিষ্ট কোনো পণ্য বাহ্যিক, স্বাদ, গন্ধ, প্রকৃতি বা অন্যান্য অনুঘটকে প্রচলিত মাংসের তুলনায় আলাদা হয়, তবে এটি বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। হাড় এবং রক্তবাহিকার অনুপস্থিতি কিছু খাবারে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে যেখানে এই অংশগুলো রান্নায় মূল অবদান রাখে। তবে, হাড় এবং রক্তের অনুপস্থিতি অনেক ঐতিহ্যবাহী খাবার প্রস্তুতিতে সাহায্য করে যা লোকের কাছে আরো লোভনীয় যেমন বাফেলো উইং। এমনকি ভবিষ্যতে কৃত্রিম রক্ত এবং হাড়ও সম্ভাব্যভাবে উৎপাদিত হতে পারে। [১৪৯][১৫০][১৫১]
পরিবেশগত
[সম্পাদনা]ঐতিহাসিকভাবে জাতিসংঘের ক্রমবর্ধমান বিশ্বের জনসংখ্যার জন্য প্রচলিত মাংসের নিরলস উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। খাদ্যের জন্য প্রাণী উৎপাদন পানি/বায়ু দূষণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অন্যতম প্রধান কারণ। [১৫২] প্রচলিত মাংস শিল্প দ্রুত বর্ধমান চাহিদা মেনে চলতে সক্ষম হবে বলে সন্দেহ রয়েছে এবং বিকল্প হিসেবে অনেক উদ্যোক্তা এবং গবেষক কৃত্রিম মাংসের বিকাশের দিকে ঝুঁকছেন।[১৫৩] প্রচলিত মাংসের তুলনায় কৃত্রিম মাংস উৎপাদন একটি উত্তম পরিবেশীয় বিকল্প।[১৫৪]
গবেষণা অনুযায়ী, পরিবেশের উপরে কৃত্রিম মাংসের প্রভাব সাধারণ জবাই করা গরুর মাংসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম হবে। ভার্টিক্যাল ফার্মিং এবং/বা কৃত্রিম মাংস উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতি হেক্টর জমি অন্য ১০ থেকে ২০ হেক্টর জমিকে কৃষিকাজে ব্যবহৃত হওয়া থেকে প্রাকৃতিক ব্যবস্থায় ফেরত নিয়ে নেওয়া যাবে।[১৫৫] ভার্টিক্যাল ফার্ম (কৃত্রিম মাংসের সুবিধা ছাড়াও) তার নিজস্ব বৈদ্যুতিক প্রয়োজনের একটি ছোট্ট অংশ মিথেন থেকে উৎপাদন করতে পারে। উৎপন্ন জৈব বর্জ্যকে বায়োগ্যাসে রূপান্তর করতে সাইটটিতে মিথেন ডাইজেস্টার ব্যবহার করা যেতে পারে যা ৬৫ শতাংশ মিয়হেন এবং বাকি অন্যান্য গ্যাস দ্বারা গঠিত। এই বায়োগ্যাস পুড়িয়ে গ্রিনহাউস বা একাধিক বায়োরিয়েক্টরের বিদ্যুত উৎপাদন করা যাবে।[১৫৬]
অক্সফোর্ড এবং আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণায় দেখা গেছে যে কৃত্রিম মাংস সম্ভাব্য অনেক বেশি কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব যা মাত্র ৪% গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ঘটায়, মাংস উৎপাদনের শক্তি চাহিদা ৪৫% পর্যন্ত হ্রাস করে এবং বৈশ্বিক প্রাণিসম্পদ শিল্পের ২% জমি ব্যবহার করে।[১৫৭] পেটেন্ট ধারক উইলেম ভ্যান এলেন, সাংবাদিক ব্রেন্ডন আই কোয়ারনার[১৫৮] এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি শিক্ষার্থী হানা টুওমিস্টো বিশ্বাস করেন যে এর পরিবেশগত ক্ষতিকর প্রভাব কম।[১৫৯] হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে টুমিস্টোর জীবনচক্র বিশ্লেষণে ১০০০ কেজি প্রচলিত মাংস উৎপাদনে ২৬-৩৩ গিগাজুল শক্তি, ৩৬৭-৫২১ ঘনমিটার পানি, ১৯০-২৩০ বর্গমিটার জমি প্রয়োজন এবং ১৯০০-২২৪০ কেজি কার্বন ডাই অক্সাইড সমকক্ষ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরিত হয়। একই পরিমাণের কৃত্রিম মাংস উৎপাদন করতে ৭-৪৫% কম শক্তি ব্যবহার হয়, ...৭৮-৯৬% কম গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়, ৯৯% কম জমি ব্যবহৃত হয় এবং ৮২-৯৬% কম পানি প্রয়োজন হয়।[১৬০]
অন্যতম একজন সন্দেহবাদী হলেন ইউনিয়ন অফ কনসার্টেড সায়েন্টিস্টের মার্গারেট মেলন, যিনি অনুমান করেন যে বড় আকারের কৃত্রিম মাংস উৎপাদনে প্রয়োজনীয় শক্তি এবং জীবাশ্ম জ্বালানি প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে পরিবেশের বেশি ক্ষতি করতে পারে। তবে এসএল ডেভিস অনুমান করেছেন যে শহুরে অঞ্চলে ভার্টিক্যাল ফার্মিং এবং কৃত্রিম মাংস উৎপাদন পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী বন্যপ্রাণি প্রজাতির ক্ষতি হ্রাস করবে।[১৬১] ডিকসন ডেসপমমিয়ার অনুমান করেছিলেন যে ভার্টিক্যাল ফার্মিং এবং কৃত্রিম মাংসের কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব যা একে জনবহুল বিশ্বের জন্য আদর্শ একটি প্রযুক্তি হিসাবে গড়ে তুলেছে।[১৬২] একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রতি বছর হেক্টরপ্রতি দশটি বন্যপ্রাণিকে হত্যা করা হয়।
বর্তমানে প্রতিদিন ১৩ কোটি মুরগি[১৬৩] এবং ৪০ লক্ষ শুকর প্রতিদিন খাদ্যের জন্য জবাই করা হয়। ভরের বিবেচনায়, বর্তমান পৃথিবীর প্রাণীদের মোট ভরের ৬০ শতাংশ গবাদিপশু, ৩৬ শতাংশ মানুষ এবং কেবলমাত্র ৪ শতাংশ হলো বন্যপ্রাণী। একারণে, প্রাণীর প্রতি নির্মমতা হ্রাসও কৃত্রিম মাংসের উৎপাদনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।
জিনগত পরিবর্তনের ভূমিকা
[সম্পাদনা]কৃত্রিম মাংস উৎপাদনে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কৌশল যেমন সন্নিবেশ, মুছে ফেলা, সাইলেন্সিং, অ্যাক্টিভেশন বা জিনের রূপান্তর প্রয়োজন হয় না। কৃত্রিম মাংস উৎপাদনে প্রাণীর জৈবিক প্রক্রিয়াগুলোই প্রাণীদেহের বাইরে ঘটানো হয়। যেহেতু কৃত্রিম মাংস একটি নিয়ন্ত্রিত, কৃত্রিম পরিবেশে উৎপাদিত হয়, তাই কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন যে সংস্কৃত মাংস জিএমও শাকসবজির চেয়ে হাইড্রোপনিক সবজির সাথে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ।[১৬৪]
কৃত্রিম মাংস সম্পর্কে গবেষণা করা হচ্ছে এবং যদিও কৃত্রিম মাংসের উৎপাদনে জেনেটিক প্রকৌশলের কৌশলগুলোর প্রয়োজন হয় না, তবে গবেষকদের মধ্যে এই জাতীয় কৌশলগুলো ব্যবহার করে কৃত্রিম মাংসের মান এবং টেকসই উন্নতির জন্য আলোচনা হচ্ছে। উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টিকর উপাদানকে জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে কৃত্রিম মাংসের সাথে সংযুক্ত করা যায়। তবে জিনগত পরিবর্তন ছাড়াই বৃদ্ধি মাধ্যমের অনুঘটকগুলো নিয়ন্ত্রণ করে একই ধরনের উন্নতি করা যেতে পারে।[১৬৫] জিনগত পরিবর্তন পেশী কোষের বিভাজনেও ভূমিকা রাখতে পারে। মায়োজেনিক নিয়ন্ত্রক উপাদানগুলি, বৃদ্ধির কারণগুলি বা পেশী কোষগুলিতে অন্যান্য জিন পণ্যগুলির প্রচলন প্রচলিত মাংসের ক্ষমতার অতীত উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে পারে।
খুব সাধারণভাবে ব্যবহৃত ভ্রূণীয় বোভাইন বা ঘোড়ার সিরাম সহ যে কোনো প্রাণিজ পণ্য ব্যবহার এড়াতে, বৃদ্ধি মাধ্যমে আলোকসংশ্লেষী শৈবাল এবং সায়ানোব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে মূল উপাদান তৈরির ব্যাপারেও প্রস্তাবনা এসেছে।[১৬৬] কিছু গবেষক পরামর্শ দিয়েছেন যে বৃদ্ধি মাধ্যমের উপাদান তৈরি করার জন্য শৈবাল এবং সায়ানোব্যাকটেরিয়ার ক্ষমতা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে উন্নত করা যেতে পারে।[১৬৭]
নীতিগত
[সম্পাদনা]অস্ট্রেলিয়ান জৈব নিতি বিশ্লেষক জুলিয়ান সাবুলেসকু বলেছেন, কৃত্রিম মাংস প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা থামায়, পরিবেশের জন্য ভালো, নিরাপদ, দক্ষ এবং স্বাস্থ্যকরও। এধরনের গবেষণাকে সমর্থন করার জন্য আমাদের নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি নীতিগতভাবে আমাদের খোলাখুলি সমর্থন পাওয়ার উপযোগী।[১৬৮] প্রাণী কল্যাণ গোষ্ঠীগুলো কৃত্রিম মাংস উৎপাদনের পক্ষে কারণ এদের স্নায়ুতন্ত্র নেই এবং তাই ব্যথা অনুভব করতে পারে না।[১৬৯][১৭০] কৃত্রিম মাংস সম্পর্কে নিরামিষাশীদের প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন রকম:[১৭১] কেউ কেউ মনে করেন, ২০১৩ সালের আগস্টে জনসাধারণের সামনে উপস্থাপিত কৃত্রিম মাংস নিরামিষ ছিল না, কারণ বৃদ্ধি মাধ্যমে ভ্রূণের বাছুরের সিরাম ব্যবহৃত হয়েছিল।[১৭২] তবে এরপর থেকে পরীক্ষাগারে উৎপাদিত মাংসে বোভাইন সিরাম ব্যবহৃত হয়েছে।[১৭৩] আমেরিকান দার্শনিক কার্লো আলভারো যুক্তি দিয়েছিলেন যে কৃত্রিম মাংস খাওয়ার নৈতিকতার প্রশ্নটি কেবল সুবিধার ক্ষেত্রেই আলোচিত হয়েছে। আলভারো একটি পুণ্যভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রস্তাব দেয় যা এখনো আলোচিত না এমন বিষয়ে আলোচনা করে, যেমন কৃত্রিম মাংস উৎপাদন করতে বিভিন্ন বাধা উদ্ভূত হয়; যেমন, "মানুষের খাদ্য বিকাশে ভুল বোঝাবুঝির ধারণা।"[১৭৪]
কৃত্রিম মাংসের জন্য বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন রকম মানদণ্ড স্থাপন করতে পারে যা স্বাধীনভাবে করা যায়।[১৭৫] এই নতুন খাদ্যপণ্যের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কৃত্রিম মাংসের পণ্যগুলোর সম্পর্কে আইন ও বিধিগুলো আধুনিকীকরণ করতে হবে। কিছু প্রতিষ্ঠান জনগণের মঙ্গল জন্য কৃত্রিম মাংস তৈরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যা নির্দিষ্ট কিছু দেশে এর বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
কৃত্রিম মাংসের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে পরিশীলিত উৎপাদন পদ্ধতির প্রয়োজন ফলে সম্প্রদায়গুলোর পক্ষে স্বাবলম্বী খাদ্য উৎপাদন কঠিন হয় এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীলতা সম্ভাব্যভাবে বাড়ানো যায়।[১৭৬]
ধর্মীয় বিবেচনা
[সম্পাদনা]ইহুদি ধর্মবিষয়ক কর্তৃপক্ষ কৃত্রিম মাংস কোশের (ইহুদি খাদ্য আইন অনুসারে যে খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে) কিনা তা নিয়ে একমত নন। তবে অনেক রাব্বি একমত যে, যদি মূল কোষগুলো একটি জবাই করা কোশের প্রাণী থেকে নেওয়া হয় তবে কৃত্রিম মাংসটি কোশের হবে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] কেউ কেউ এমনকি এমনকি কোশের নয় এমন প্রাণি যেমন শুকর অথবা জীবন্ত প্রাণী থেকে কোষ নেওয়া হলেও তা কোশের হবে বলে মনে করেন, যদিও কেউ কেউ এর বিরোধিতা করেন।[৭]
আসন্ন বছরগুলিতে সম্ভাব্য বৃহৎ বাণিজ্যিক পণ্য হিসাবে কৃত্রিম মাংসের বিকাশের সাথে সাথে এর সম্পর্কে ইসলামী ধর্মবিশ্বাসে এর বাস্তবতাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।[১৭৭] ক্যালিফোর্নিয়ার ইসলামিক ইনস্টিটিউট অফ অরেঞ্জ কাউন্টি ভ্রূণ স্টেম সেল থেকে উৎপন্ন কৃত্রিম মাংস গ্রহণে ইসলামের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়েছে, 'এই ধরনের কৃত্রিম মাংস খেতে কোনও আপত্তি আছে বলে মনে হয়না।'[১৭৮] উপরন্ত, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফিকহ একাডেমির আবদুল কাহির কামারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে কৃত্রিম মাংস জীবন্ত প্রাণী থেকে প্রাপ্ত মাংস হিসাবে বিবেচিত হবে না বরং কৃত্রিম মাংস হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি এসম্পর্কে বলেছেন যে, শূকর, কুকুর এবং অন্যান্য হারাম প্রাণী থেকে প্রাপ্ত কোষ বাদ দিয়ে মাংসটিকে উদ্ভিজ্জ হিসাবে বিবেচিত হবে এবং তা দই ও গাঁজানো আচারের মতই।
স্টেক এবং বার্গার বাদ দিয়ে হিন্দুদের কৃত্রিম মাংস গ্রহণে নিয়ে ভারতে বিতর্ক চলছে। হিন্দু মহাসভার সভাপতি চন্দ্র কৌশিক জানিয়েছেন যে তিনি 'এটি কোনও রূপে বাজারে কেনাবেচা করা বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করাকে মেনে নেবেন না[১৭৮]
অর্থনৈতিক
[সম্পাদনা]এই মুহুর্তে প্রচলিত মাংসের তুলনায় কৃত্রিম মাংস বেশি ব্যয়বহুল; উদাহরণস্বরূপ, ২০১৩ সালে প্রথম কৃত্রিম মাংসের বার্গারের দাম ছিল ৩ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার এবিসির সাথে একটি সাক্ষাৎকারে মার্ক পোস্ট বলেছেন যে তাঁর দলের বানানো আড়াই লক্ষ ইউরোর বার্গারের বর্তমান দাম আট ইউরো। তিনি অনুমান করেন যে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দশ বছরের মধ্যে এর মূল্য এমন পর্যায়ে নামিয়ে আনবে যা প্রচলিত গরুর মাংসের সাথে পাল্লা দিবে।[১৭৯] ২০১৬ সালে খাদ্য প্রযুক্তি সংস্থা মেমফিস মিটসের কৃত্রিম গরুর মাংসের উৎপাদন ব্যয় ১৮ হাজার ডলার প্রতি পাউন্ড বা ৪০ হাজার ডলার প্রতি কেজি ছিল।[১৮০] ২০১৭ সালের জুনের অনুযায়ী, মেমফিস মিটস এর উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পেয়ে ২৪০০ ডলার প্রতি পাউন্ড বা ৫২৮০ ডলার প্রতি কেজি ছিল,[১৮১] ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি পাউন্ড ১৭০০ ডলার এবং তার পরে আরো হ্রাস পেয়েছে।[৮৬] ২০১৯ সালে ইট জাস্ট বলেছে যে, একটি কৃত্রিম মুরগির নাগেট তৈরি করতে ৫০ মার্কিন ডলার ব্যয় হবে।[১৮২]
তাসত্ত্বেও উল্লিখিত এফবিএস এবং অন্যান্য প্রাণী সেরাকে বৃদ্ধি মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা বা বিকল্প প্রোটিন উৎপাদনের উপর নির্ভরতাই কৃত্রিম মাংসের ব্যয়ের মূল কারণ। প্রয়োজনীয় বৃদ্ধি মাধ্যমের পরিমাণের কারণে এই সমস্যাটি আরো জটিল। বহু সংস্থা রিকম্বিন্যান্ট প্রোটিন উৎপাদনকে আরো দক্ষ করে তোলা বা বর্তমানের উপাদানগুলোর জন্য আরো সাশ্রয়ী বিকল্প ও ব্যবস্থা সন্ধানের মাধ্যমে বৃদ্ধি মাধ্যমের ব্যয় হ্রাস করার জন্য কাজ করছে।
ক্রমাগত উন্নয়ন
[সম্পাদনা]শিক্ষা
[সম্পাদনা]২০১৩ সালে ডক্টর পোস্টের সাফল্যের সাথে কৃত্রিম মাংসের বার্গার উৎপাদনের পরে কৃত্রিম মাংসের বিকাশ বা অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালে মাষ্ট্রিচ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কৃত্রিম মাংসের উপর প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করে।[১৮৩] নিউ হারভেস্ট [১৮৪]; একটি ৫০১(সি)(৩) গবেষণা ইনস্টিটিউট; পাশাপাশি গুড ফুড ইনস্টিটিউট শিল্প নেতা, বিজ্ঞানী, বিনিয়োগকারী এবং সংযুক্ত অন্যান্য শিল্পের সম্ভাব্য সহযোগীদের আহ্বান জানাতে বার্ষিক সম্মেলন করে। এই দুটি সংস্থাও গবেষণার তহবিল দেয় এবং শিক্ষামূলক সামগ্রী তৈরি করে। সেলুলার এগ্রিকালচার সোসাইটি, সেলুলার এগ্রিকালচার কানাডা, সেলুলার এগ্রিকালচার ফ্রান্স, সেলুলার এগ্রিকালচার অস্ট্রেলিয়া এবং সেলুলার এগ্রিকালচার নিউজিল্যান্ডের মতো সংস্থা তাদের নিজ দেশে কৃত্রিম মাংসের সমর্থনকারী পক্ষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রযুক্তি এবং ব্যবসায় সম্পর্কিত তথ্যগুলো সরবরাহের জন্য সেল এগ্রি এবং প্রোটিন রিপোর্টের মতো প্রকাশনা সংস্থাও কাজ করছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
গবেষণা
[সম্পাদনা]টুফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রার্থী নাটালি রুবিও এনটমোকালচারের ক্ষেত্রে গবেষণা চালাচ্ছেন যা পোকার টিস্যুতে কোষীয় উৎপাদন সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম মাংসের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। পরিবেশগত সহনশীলতা, সিরাম মুক্ত মাধ্যমে দীর্ঘায়িত হওয়ার ক্ষমতা, দ্রবণে বৃদ্ধির ক্ষমতা এবং পুষ্টির প্রোফাইল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তুলনামূলক সুবিধা থাকার কারণে স্তন্যপায়ী প্রাণীর তুলনায় পোকামাকড়ে কোষ কালচারে কাজ করা সুবিধাজনক। তার গবেষণার মূল লক্ষ্যটি হচ্ছে খাদ্য প্রয়োগের জন্য পোকামাকড়ের টিস্যু বায়োফ্যাব্রিকেশনের জন্য একটি ত্রিমাত্রিক কৃত্রিম ব্যবস্থা বিকাশ করা এবং এটি করার জন্য, নাটালি (১) সেল লাইন বিকাশ এবং সিরাম-মুক্ত মিডিয়া গঠনের দিকে মনোনিবেশ করেছেন, (২) স্ক্যাফোল্ড তৈরি এবং (৩) পুষ্টি ও আকার বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করছেন। এছাড়াও টুফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রার্থী এবং নিউ হারভেস্ট থেকে গবেষণামূলক পুরস্কার প্রাপ্ত মাইক ম্যাকেলল্যান্ড পশুর সেরায় বৃদ্ধি পাওয়া অনুঘটকগুলো শনাক্ত করতে একটি ইন্টারএকটোম মানচিত্র তৈরি করেছেন। ধারণাটি হলো "ট্রফিক সাপোর্ট সেল" নামক অন্যান্য কোষগুলিতে এই ট্রফিক কারণগুলিকে অনুকরণ করা এবং অন্যান্য কোষের পাশাপাশি এগুলিকে পুনরুৎপাদন করা।[১৮৫]
নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাঃ রিকার্ডো এম গুভিয়া পরীক্ষাগারে বৃদ্ধির সময় স্ট্রোমাল কোষগুলির আচরণ নিয়ন্ত্রণে বাঁকানো সাবস্ট্রেটের প্রভাবগুলি তদন্ত করছেন। তিনি এখনও অবধি খুঁজে পেয়েছেন যে বক্রতা হ'য়ে অভিবাসন, বিস্তার এবং স্ব-সংগঠনকে প্রচার করার একটি ব্যয়-কার্যকর উপায়। এই জাতীয় বৈশিষ্ট্যগুলো শেষ পর্যন্ত কৃত্রিম মাংসের স্বচ্ছলতা আনয়ন করবে। [১৮৫]
চর্বি মাংসের প্রকৃতি, স্বাদ এবং আবেদনকে প্রলুব্ধ করার একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান তবে কৃত্রিম মাংসের পণ্য হিসেবে চর্বি এবং পেশির ছেদ এখনো পুরোপুরি বিকশিত হয়নি। পেশি এবং চর্বি কোষগুলো কার্যকরভাবে বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সংকেত প্রয়োজন। লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টিফানি কাভেকি স্ক্যাফোল্ডের বৈশিষ্ট্যগুলি ত্বরান্বিত করার জন্য কাজ করছেন যাতে এটি পেশি ও চর্বি উভয় কোষের বৃদ্ধি সমর্থন করতে পারে।[১৮৫]
অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পেলিং ল্যাব স্তন্যপায়ী প্রাণীর কোষের ত্রিমাত্রিক আকৃতি সমর্থন করার জন্য একটি মুক্ত উৎস, উদ্ভিদভিত্তিক স্ক্যাফোল্ড সংশ্লিষ্ট কাঠামো তৈরির কাজ করছে যাতে এটি কয়েক মাস ধরে বৃদ্ধি মাধ্যমে আকার এবং যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য ধরে রাখে। তারা মূলত উদ্ভিদ সেলুলোজ নিয়ে কাজ করছেন কারণ এটি পৃথিবীতে সর্বাধিক প্রাপ্য পলিমার। এখনো অবধি অর্জিত ফলাফল প্রমাণ করে, এ জাতীয় উপাদান টোপোগ্রাফি এবং ভাস্কুলারাইজেশনের মতো কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যকে উদ্দীপিত করতে কার্যকর।[১৮৫]
রাইস ইউনিভার্সিটিতে অ্যান্ড্রু স্টাউট কৃত্রিম মাংসের পুষ্টি নিয়ে গবেষণা করছেন। বিশেষত তিনি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জৈব প্রক্রিয়াকরণ কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে পেশী টিস্যুর পুষ্টির মান বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন। [১৮৫]
আজ অবধি, কৃত্রিম মাংস গবেষণায় ব্যবহৃত সকল বায়োরিয়েক্টরই গবেষণাগারে ব্যবহৃত হয়েছে। শিল্পপর্যায়ে ব্যবহৃত বায়োরিয়েক্টরগুলি অবশ্যই আকারে বড় হতে হবে এবং সেগুলো নকশা করার জন্য, আমাদের পেশী টিস্যু সংক্রান্ত অনুঘটকগুলো সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা রাখ৫তে হবে। বাথ ইউনিভার্সিটিতে স্কট অ্যালান এরূপ কিছু বিষয় যেমন: গতিবিজ্ঞান, পরিবহন, ভর স্থানান্তর সীমাবদ্ধতা এবং বিপাকীয় রাসায়নিক গণনা বোঝার লক্ষ্যে কাজ করছেন।[১৮৫]
রিটলিংগার বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রার্থী জ্যানিস ওল্লস্ক্ল্যাগার মাংসের বায়োপ্রিন্টিং প্রক্রিয়া তৈরিতে কাজ করছেন যা পেশি এবং চর্বি উভয়ই প্রক্রিয়াজাত করবে। এই প্রযুক্তি কম্পিউটার ব্যবহার করে তৈরি করা নকশা, সহযোগী বৃদ্ধি মাধ্যম এবং বিভিন্ন কোষ (পেশি এবং চর্বি) এর জন্য প্রাণিবিহীন জৈবকালি তৈরিতে সহায়তা করবে।[১৮৫]
এক্সিলারেটর এবং ইনকিউবেটর
[সম্পাদনা]কৃত্রিম মাংস বা উদ্ভিদ-উদ্ভূত আমিষ সংক্রান্ত স্টার্টআপগুলিতে সহায়তার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভেনচার ক্যাপিটাল ফার্ম এবং এক্সিলারেটর/ইনকিউবেটর প্রোগ্রাম রয়েছে। বিগ আইডিয়া ভেঞ্চারস (বিআইভি) ভেনচার ক্যাপিটাল ফার্ম তাদের 'নিউ প্রোটিন ফাণ্ড' চালু করেছে যা নিউইয়র্ক এবং সিঙ্গাপুরে উদীয়মান কোষ এবং উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করে। পূর্বে মেলিবিও, অ্যাকচুয়াল ভেজিস, বিফটেক, অরবিলিওন বায়ো, ইয়োকোনাট, ওয়াইল্ডফর অ্যান্ড নভেল ফার্মস সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার পর তারা ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে নিজেদের তৃতীয় ধাপের এক্সিলারেটর প্রতিষ্ঠান শুরু করতে যাচ্ছে।[১৮৬] ইন্ডি বায়ো একটি জীববিজ্ঞানভিত্তিক এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম যা মেমফিস মিটস, গেল্টর, নিউ এজ মিটস এবং ফিনলেস ফুডসে বিনিয়োগ করেছে। তারা সান ফ্রান্সিসকো ভিত্তিক এবং বর্তমানে তাদের দশম ধাপের সংস্থার পরিচালনা করছে। [১৮৭]
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
[সম্পাদনা]কথাশিল্পে
[সম্পাদনা]কৃত্রিম মাংস প্রায়শই বিজ্ঞানভিত্তিক কথাসাহিত্যে উঠে এসেছে। কুর্দ লাসউইটসে এর টু প্ল্যানেটস (১৮৯৭) এ সর্বপ্রথম কৃত্রিম মাংসের কথা উঠে এসেছে, যেখানে মার্টিয়ানরা পৃথিবীতে প্রথম কৃত্রিম মাংস প্রচলন করে। কৃত্রিম মাংসের কথা উঠে এসেছে এমন উল্লেখযোগ্য অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে অ্যাশেজ, রেনা বারজাভেল এর অ্যাশেজ (১৯৪৩); ফ্রেডেরিক পোহল এবং সিএম কর্নব্লুথের এর স্পেস মার্চেন্টস (১৯৫২); ডগলাস অ্যাডামসের দ্য ইউনিভার্সিটি অব এন্ড ইউনিভার্সের রেস্তোঁরা (১৯৮০); জ্যাক লব এবং জিন-মার্ক <i id="mwBds">রোচেতে</i> রচিত লে ট্রান্সপারসিনিয়েজ (স্নোপিয়ার্সার) (১৯৮২); উইলিয়াম গিবসন এর লেখা নিউরোমান্সার (১৯৮৪); মার্গারেট অ্যাটউড এর লেখা অ্যারিক্স এবং ক্র্যাক (২০০৩); জেফ্রি টমাস রচিত ডেডস্টক (২০০৭); চার্লস স্ট্রস এর লেখা অ্যাক্সিলারান্ডো (২০০৫); রুডি রাকার এর লেখা ওয়ার টেট্রোলজি ; ভেরোনিকা রথ এর লেখা ডাইভারজেন্ট (২০১১); এবং লোর ম্যাকমাস্টার বুজল্ড এর লেখা ভোরকোসিগান সাগা (১৯৮৬-২০১৮)।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৬৮ সালে গিয়ুলিও কুইস্টির নাটক লা মোর্তে ফ্যাটো ল'উভো (ডেথ লেড এন্ড এগ) এবং ১৯৭৬ সালে ক্লোড জিডির কমেডি ল'ইয়েল বা লা কুয়েস (দ্য উইং ওর দ্য থাই) তে কৃত্রিম মাংস বিশিষ্টভাবে চিত্রিত হয়েছে। ১৯৭৭ সালে ডেভিড লিঞ্চের পরাবাস্তববাদী হরর, ইরেসারহেড এ মনুষ্যনির্মিত মুরগির কথা উঠে এসেছে। অতি সম্প্রতি এটি অ্যান্টিভাইরাল (২০১২) চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় থিম হিসাবেও বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
টিভি এবং মুভি ফ্র্যাঞ্চাইজি স্টার ট্রেকের স্টারশিপ <i id="mwBgc">এন্টারপ্রাইজ</i> স্পষ্টতই ক্রুদের খাদ্যের জন্য কৃত্রিম মাংস সরবরাহ করেছে।[১৮৮] যদিও নেক্সট জেনারেশনের ক্রু পরবর্তীকালে 'রেপ্লিকেটর' ব্যবহার করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
এবিসি সিটকম বেটার অফ টেড (২০০৯-২০১০) এর "হিরোস" পর্বে ফিল (জোনাথন স্লাভিন) এবং লেম (ম্যালকম ব্যারেট) গরুহীন গরুর মাংস উৎপাদনের চেষ্টা করছে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ভিডিও গেম প্রজেক্ট ইডেন এর খেলোয়াড়ের চরিত্রগুলি রিয়েল মিট নামে একটি কৃত্রিম মাংস সংস্থা সম্পর্কে তদন্ত করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
"গ্যালাক্সি কোয়েস্ট" চলচ্চিত্রে রাতের খাবারের দৃশ্যে টিম অ্যালেনের চরিত্রটি তার স্টেককে "আসল আইওয়া গরুর মাংস" এর মতো স্বাদ বলেছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রকৃত মাংস আমদানির ব্যয়বহুল ব্যয়ের কারণে 'দ্য এক্সপান্স' এ কৃত্রিম মাংস পৃথিবী থেকে দূরে স্পেসশিপ/স্পেস স্টেশনগুলিতে বাস করা লোকদের খাওয়ানোর জন্য উৎপাদিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
২০০৯ সালের ১৭ মার্চে কোলবার্ট রিপোর্টের একটি এপিসোডে কৃত্রিম মাংস আলোচিত হয়।[১৮৯]
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাইটল্যাবস নামে একটি বায়োটেক স্টার্টআপ তাঁদের একটি প্রচারণার জন্য তারকাদের টিস্যুর নমুনা থেকে কৃত্রিম সালামি তৈরি করে।[১৯০] এই প্রচারণাটি টুইটারে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যেখানে ব্যবহারকারীরা সেলেব্রিটিদের কাছে টুইট করেছিলেন যাতে তারা এই প্রকল্পে নিজেদের পেশী কোষ দান করতে বলে।[১৯১] বাইটল্যাবের প্রতি গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া একটি স্টার্টআপ হিসেবে এর অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং বৈজ্ঞানিক স্টার্টআপের পরিবর্তে একটি ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসে এবং জীববিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে।[১৯২][১৯৩][১৯৪] যদিও বাইটল্যাব দাবি করেছে যে, তারা সের্গেই ব্রিনের বার্গারের কৌশল দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে, তবুও সংস্থাটিকে প্রকৃত ব্যবসায়ের পরিবর্তে সমালোচনামূলক নকশার উদাহরণ হিসাবে দেখা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
2016 সালের শেষের দিকে, সিবিএস শো এলিমেন্টারির "হাউ দ্য সসেজ ইজ মেইড" পর্বে কৃত্রিম মাংস নিয়ে আলোচনা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কৃত্রিম মাংস নিয়ে ২০২০ সালে কানাডার ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র মাংস দ্য ফিউচার নির্মিত হয়েছিল।[১৯৫]
সাইবারপঙ্ক 2077 নামের ২০২০ সালে প্রকাশিত ভিডিওগেমে প্রাকৃতিক মাংসের খুবই বেশি পরিমাণে দাম হওয়ায় একাধিক কৃত্রিম মাংস বিক্রির স্থান রয়েছে। গবাদি পশু, এবং Flatworm এর কোষ থেকে ইন ভিট্রো পদ্ধতিতে 'ইজিবিফ' নামে কৃত্রিম মাংস তৈরি করা হয়েছে যাতে বিভিন্ন স্বাদের ব্যবস্থা রয়েছে। সংক্রামক জুনোসিসের প্রভাবে সম্ভাব্য মহামারীর কারণে জৈবিকভাবে উৎপাদিত মাংস বিক্রি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবৈধ। তবে ধনী ব্যক্তিরা এখনও এটি হাতে পেতে সক্ষম হন। খুব সম্ভবত অলফুডস, যে সংস্থা ইজিবিফ এবং অরগিয়েটিক (পাশাপাশি অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্যগুলির অগণিত) উৎপাদন করেছে প্রজননে সক্ষম এমন প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে অপছন্দ করে এবং আইন করে তাদের অবৈধ হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছিল।।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- বায়োআর্ট
- বায়োটেক ফুডস
- সেলুলার এগ্রিকালচার সোসাইটি
- কারখানার কৃষিকাজের বিভক্তকরণ
- খাবার বনাম ফিড
- কৃত্রিম চামড়া
- মাংসের বিকল্পগুলির তালিকা
- কর্ণ (খাদ্য পণ্য)
- রিসোর্স ডিকপলিং
- হাঙ্গর ফিন স্যুপ বিকল্প
- সেলুলার কৃষির সময়রেখা
- টিস্যু কোষ
- টাইসন ফুডস
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Peters, Adele (৫ নভেম্বর ২০২০)। "At the first lab-grown meat restaurant, you can eat a 'cultured chicken' sandwich"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ Scully, Matthew (১৭ জানুয়ারি ২০২১)। "Hello Cultured Meat, Goodbye to the Cruelty of Industrial Animal Farming"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ ক খ "Future Food - In Vitro Meat"। futurefood.org। নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ Rohrheim, A (জুন ২০১৬)। "Cultured Meat"। Sentience Politics। ১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ Zaraska, Marta (আগস্ট ১৯, ২০১৩)। "Is Lab-Grown Meat Good for Us?"। The Atlantic।
- ↑ Anthis, Jacy Reese (অক্টোবর ১৯, ২০১৮)। "Slaughter-Free Meat Is An Answer To Our Cruel And Broken Food System"। The Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ ক খ JTA। "Rabbi: Lab-grown pork could be kosher for Jews to eat – with milk"। Times Of Israel। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৮।
- ↑ Fountain, Henry (৬ আগস্ট ২০১৩)। "A Lab-Grown Burger Gets a Taste Test"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "USDA and FDA to Host Joint Meeting On Cell-Based Meat Regulation"। VegNews.com। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ Banis, Davide (ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮)। "7 Predictions On The Future Of Clean Meat in 2019"। Forbes। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ ক খ Watson, Elaine (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "'Cultivated' meat could be the most-consumer-friendly term for cell-cultured meat, suggests Mattson/GFI research"। FoodNavigator-USA।
- ↑ Jha, Alok (৫ আগস্ট ২০১৩)। "Synthetic meat: how the world's costliest burger made it on to the plate"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ""Clean Meat": The "Clean Energy" of Food"। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ ""Clean Meat," "Cell-Based Meat," "Slaughter-Free Meat": How We Talk About Meat Grown without Animals"। The Good Food Institute। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Lab-made meat rebranded 'clean meat' to address 'yuck' factor"। GlobalMeatNews।
- ↑ ""Clean meat" is catching on: a reflection on nomenclature"। The Good Food Institute। ২৪ মে ২০১৮। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৮।
- ↑ foodnavigator-usa.com। "Cultured meat cos agree to replace term 'clean meat' with 'cell-based meat' and form trade association"। foodnavigator-usa.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ foodnavigator-usa.com। "'Cell-based meat' not the most consumer-friendly term, reveals GFI consumer research"। foodnavigator-usa.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ Friedrich, Bruce (১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Cultivated Meat: Why GFI Is Embracing New Language"। The Good Food Institute। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ Fifty Years Hence, The Strand Magazine (December 1931)
- ↑ ক খ Frey, Thomas (৩০ মে ২০১৯)। "The Future of the Cultured Meats Industry in 2040"। Futurist Speaker। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ Kadim, Isam T; Mahgoub, Osman (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Cultured meat from muscle stem cells: A review of challenges and prospects": 222–233। ডিওআই:10.1016/S2095-3119(14)60881-9 ।
- ↑ Shapiro, Paul (ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭)। "Lab-Grown Meat Is on the Way"। Scientific American: Observations। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ Catts, Oron; Zurr, Ionat (Winter ২০০৪–২০০৫)। "Ingestion / Disembodied Cuisine"। Cabinet Magazine।
- ↑ "Paper Says Edible Meat Can be Grown in a Lab on Industrial Scale" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। University of Maryland। ৬ জুলাই ২০০৫। ২৫ জুলাই ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০০৮।
- ↑ "PETA's 'In Vitro' Chicken Contest"। PETA (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ অক্টোবর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ Macintyre, Ben (২০ জানুয়ারি ২০০৭)। "Test-tube meat science's next leap"। The Australian। ২ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ ক খ Siegelbaum, D.J. (২৩ এপ্রিল ২০০৮)। "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ "The 50 Best Inventions of 2009"। Time। ১২ নভেম্বর ২০০৯। ২৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ Rogers, Lois (২৯ নভেম্বর ২০০৯)। "Scientists grow pork meat in a laboratory"। The Sunday Times। London। ৬ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০০৯।
- ↑ "World's first lab-grown burger is eaten in London"। BBC News। ৫ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Fountain, Henry। "Engineering the $325,000 In Vitro Burger"। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৮।
- ↑ "Price of Lab-Grown Meat to Plummet From $280,000 to $10 Per Patty By 2021"। VegNews.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ Hogenboom, Melissa (২০১৩-০৮-০৫)। "What does a stem cell burger taste like?"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Bunge, Jacob (ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৬)। "Sizzling Steaks May Soon Be Lab-Grown"। The Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "'World's first' lab-grown meatball revealed"। Fox News। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Addady, Michal (ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৬)। http://fortune.com/2016/02/02/lab-grown-memphis-meats/। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ Bunge, Jacob (মার্চ ১৫, ২০১৭)। "Startup Serves Up Chicken Produced From Cells in Lab"। The Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৭।
- ↑ Farber, Madeline (মার্চ ১৫, ২০১৭)। http://fortune.com/2017/03/15/memphis-meats-lab-grown-chicken-peta/। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৭।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ Kooser, Amanda। "This lab-grown chicken and duck meat looks surprisingly delicious March 15, 2017"। CNET। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৭।
- ↑ Chang, Lulu (১১ জুলাই ২০১৬)। "SuperMeat wants you to try its lab-grown chicken breast"। Digital Trends।
- ↑ "Lab-Grown Chicken Could Soon Be On Your Plate"। Sky News। ১২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ Chang, Lulu (জুলাই ১১, ২০১৬)। "Would you eat lab grown chicken? SuperMeat sure hopes so"। Yahoo News। ৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ Tobin, Andrew (১৩ জুলাই ২০১৬)। "The Israeli Startup That Lets You Eat Meat - Without Eating the Animal"। Haaretz। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ Tobin, Andrew (১৩ জুলাই ২০১৬)। "No harm, no fowl: Startup to grow chickenless chicken"। The Times of Israel। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ ক খ Card, Jon (২৪ জুলাই ২০১৭)। "Lab-grown food: 'the goal is to remove the animal from meat production'"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Mac van Dinther (৩১ মার্চ ২০১৮)। "Een écht stukje vlees, zonder dat daar dode dieren aan te pas komen: het komt eraan"। de Volkskrant (ওলন্দাজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৮।
- ↑ Brodwin, Erin (২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "A new lab-grown meat startup may have overcome a key barrier to making meat without slaughter"। Business Insider। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ Shieber, Jonathan। TechCrunch https://techcrunch.com/2020/08/02/future-fields-is-tackling-cultured-meats-biggest-problem/। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ Evich, Helena Bottemiller (২৯ আগস্ট ২০১৯)। "Cell-based meat companies join forces"। Politico। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ Purdy, Chase (২৯ আগস্ট ২০১৯)। "Cell-cultured meat companies just created a brand-new lobbying group"। Quartz। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ ক খ Dieter De Cleene (২৬ মে ২০২০)। "Vlaanderen investeert in kweekvlees"। Eos Wetenschap (magazine) (ওলন্দাজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ Yves Degroote (৮ মে ২০২০)। "Belgisch bedrijf bouwt 2 labo's voor kweekvlees"। VTM (ওলন্দাজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২০।
- ↑ Smithers, Rebecca (অক্টোবর ৭, ২০১৯)। "First meat grown in space lab 248 miles from Earth"। Guardian News & Media Limited। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১২, ২০২০।
- ↑ ক খ Purdy, Chase (২২ জানুয়ারি ২০২০)। "A startup says it's building a US pilot plant for cell-based meat"। Quartz। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২০।
- ↑ "Accelerating the cultured meat revolution"। New Scientist। ২০ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২০।
- ↑ "Chinese Official Calls for National Strategy to Allow China to Keep up With Other Countries Making Progress in Cultured Meat"। Vegconomist (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৬-২৫। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১২, ২০২০।
- ↑ ক খ Oliver Morrison। "'Everybody accepts the cultured meat trend is happening': Biotech Foods"। Food Navigator (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৪।
- ↑ ক খ Damian Carrington (২ ডিসেম্বর ২০২০)। "No-kill, lab-grown meat to go on sale for first time"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ Dieter De Cleene (১২ নভেম্বর ২০১৯)। "Wanneer ligt kweekvlees op ons bord?"। Eos Wetenschap (magazine) (ওলন্দাজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০।
- ↑ ক খ গ "As Meat Shortages Spread Globally, These 6 Startups Offer Alternative Cuts"। Calcalistech। ১০ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Oliver Morrison (২৯ এপ্রিল ২০২০)। "'Cultivated meat will become a necessity': Aleph Farms discusses its commitment to net-zero emissions"। Food Navigator। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২০।
- ↑ foodnavigator-usa.com। "'At first it seemed like science fiction…' Cell-cultured meat startup Artemys Foods emerges from stealth mode"। foodnavigator-usa.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২।
- ↑ Sito, Peggy (১৭ আগস্ট ২০২০)। "Hong Kong protein alternatives start-up eyes juicy cut of sector forecast to reach US$630 billion by 2040"। South China Morning Post। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Avant Meats Has First Public Taste Test of Cultured Fish Maw in Hong Kong"। The Spoon (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২।
- ↑ "Biftek.co"। biftek.co।
- ↑ "Turkey's first lab-grown meat on its way"। TRT World। ২৮ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "In Texas, BioBQ is Betting on Brisket as the Next Big Thing for Cell-Based Meat"। The Spoon (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২।
- ↑ "BlueNalu just months from first batch of yellowtail, mahi mahi grown from cells"। Undercurrent News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২।
- ↑ Vincent West/Reuters (১০ জুলাই ২০১৯)। "The €250,000 lab-grown burger could be a more palatable €9 in two years"। Irish Independent (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ foodnavigator-usa.com। "Smart Fat: Novel technology to transform liquid oils into solid fats could boost juiciness in plant-based meats, reduce sat fat, claims Cubiq Foods"। foodnavigator-usa.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২।
- ↑ Corbyn, Zoë (১৯ জানুয়ারি ২০২০)। "Out of the lab and into your frying pan: the advance of cultured meat"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০।
- ↑ "Kweekvlees is er, maar het eten mag nog niet"। Nieuwsuur (ওলন্দাজ ভাষায়)। NOS। ২২ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০।
- ↑ Kowitt, Beth (১৯ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Silicon Valley and the Search for Meatless Meat"। Fortune। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০।
- ↑ "Inside the Quest to Make Lab Grown Meat"। Wired। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Kateman, Brian (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Will Cultured Meat Soon Be A Common Sight In Supermarkets Across The Globe?"। Forbes। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০।
- ↑ Purdy, Chase (১৩ মে ২০২০)। "As the US meat supply chain fumbles, cultured meat startups consider a better system"। Quartz। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২০।
- ↑ Shieber, Jonathan (১০ অক্টোবর ২০১৯)। "Lab-grown meat could be on store shelves by 2022, thanks to Future Meat Technologies"। TechCrunch। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০।
- ↑ Edwards, Charlotte (২৭ জুলাই ২০২০)। "Higher Steaks Makes World's First Cell-Based Pork Belly"। Green Queen। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Petzinger, Jill (২১ জুলাই ২০২০)। "UK startup Higher Steaks creates world's first lab-grown bacon prototype"। Yahoo Finance UK। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Nakamura, Keita (জুলাই ১৫, ২০১৯)। "Start-up dreams of feeding world with cheap lab-cultured meat"। Kyodo News। Kyodo News। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৪, ২০২০।
- ↑ Marvell, Helen (২০১৮-০৬-০৫)। "Japanese Government Part of $2.7 Million Investment in Slaughter-Free Foie Gras"। LIVEKINDLY (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২।
- ↑ foodnavigator-usa.com। "Cell-cultured meat gamechanger? Matrix Meats to showcase nanofiber scaffolding in 'solid meat product' this year"। foodnavigator-usa.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২।
- ↑ Krijn de Nood (১৫ জানু ২০২০)। "Meatable, la viande qui pousse en laboratoire"। YouTube (ইংরেজি ভাষায়)। HUB Institute। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০।
- ↑ Watson, Elaine (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Cell-based meat in focus: In conversation with Meatable, Finless Foods, New Age Meats"। Food Navigator। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ Chris Dart (৪ মে ২০২০)। "Documentary 'Meat the Future' shows us the possible future of meat"। Canadian Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০।
- ↑ Clifford, Catherine (২৪ আগস্ট ২০১৭)। "Why Richard Branson, Bill Gates and Jack Welch all invested in this start-up that grows meat in a lab"। CNBC। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০।
- ↑ Schuller, Jil (৮ জুন ২০২০)। "Swiss start-up: laboratory meat from Zurich"। Bauernzeitung (জার্মান ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Leonie Hosselet (৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "Van het lab naar een bord is een lange weg voor kweekvlees"। Trouw (ওলন্দাজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০।
- ↑ "Mosa Meats Announces it Has Reduced Production Costs by 88 Times"। Vegconomist। ২৩ জুলাই ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Martine Kamsma (৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "De race om kweekvlees"। NRC Handelsblad (ওলন্দাজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০২০।
- ↑ Splitter, Jenny (১৫ আগস্ট ২০১৯)। "This New Animal-Free Ingredient Company Just Raised Another $27.5 Million In Funding"। Forbes। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Biotech: The future of food"। Business Daily। ২৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Shieber, Jonathan (১ অক্টোবর ২০২০)। "Motif FoodWorks preps commercial production for its first ingredient"। TechCrunch। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Student team tackling unsustainability of meat industry win Imperial competition | Imperial News | Imperial College London"। Imperial News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২।
- ↑ "New Age Meats Raises $2M Seed Extension to Continue Developing Cultivated Pork"। PR Newswire। ৩০ জুলাই ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Brodwin, Erin; Canales, Katie (২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "We tried the first lab-grown sausage made without killing animals. It was smoky, savory, and tasted like breakfast"। Business Insider। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Yu, Doris (২৪ জুন ২০২০)। "Singapore's Shiok Meats bags $3m in bridge funding ahead of series A"। Tech in Asia। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ David Pierson (৮ অক্টোবর ২০২০)। "The first lab-grown meat for sale could come from this Singapore startup that's re-creating shrimp"। Los Angeles Times। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২০।
Shiok’s proto-shrimp costs $5,000 a kilogram, which is about $2,268 a pound, mostly due to the price of the nutrient fluids needed to feed the cells. Access to more affordable nutrients has reduced the cost of Shiok’s meat to $3,500 a kilogram, or about $1,588 a pound. (...) Shiok’s shumai, for example, cost $300 apiece. (...) The goal is to make Shiok’s shrimp 100 times cheaper by the first half of next year.
- ↑ Silverberg, David (২৪ মার্চ ২০২০)। "Could synthetic fish be a better catch of the day?"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Aravindan, Aradhana; Teo, Travis (২৮ জানুয়ারি ২০২০)। "Singapore's Shiok Meats hopes to hook diners with lab-grown shrimp"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ foodnavigator-usa.com। "SuperMeat founder: 'The first company that gets to market with cultured meat that is cost effective is going to change the world'"। foodnavigator-usa.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২।
- ↑ Cherney, Mike (৮ আগস্ট ২০১৯)। "Lab-grown kangaroo meat: it's what's for dinner?"। Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Klar, Michal (২০ নভেম্বর ২০১৯)। "Cell-based meat startups in Asia-Pacific show prototypes and raise funding"। Get Revue। ২৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Bronner, Stephen J. (২৪ অক্টোবর ২০১৯)। "Lab-grown meat also creates an unexpected benefit: ethical zebra burgers"। Inverse। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Catherine Lamb (২০ জুন ২০১৮)। "CAS Wants You (and Everyone Else) to Know About Cellular Agriculture"। The Spoon। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ ক খ "Frequently asked questions about stem cell research"। Mayo Clinic (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৭।
- ↑ ক খ "Induced Pluripotent Stem Cells (iPS) | UCLA Broad Stem Cell Center"। stemcell.ucla.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৭।
- ↑ ক খ Rubio, Natalie R.; Fish, Kyle D. (২০১৯)। "Possibilities for Engineered Insect Tissue as a Food Source" (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 2571-581X। ডিওআই:10.3389/fsufs.2019.00024 ।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Datar, I (জানুয়ারি ২০১০)। "Possibilities for an in vitro meat production system": 13–22। ডিওআই:10.1016/j.ifset.2009.10.007।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট Campuzano, Santiago; Pelling, Andrew E. (২০১৯)। "Scaffolds for 3D Cell Culture and Cellular Agriculture Applications Derived From Non-animal Sources" (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 2571-581X। ডিওআই:10.3389/fsufs.2019.00038 ।
- ↑ ক খ Adamski, Michal; Fontana, Gianluca (২০১৮-০৫-৩১)। "Two Methods for Decellularization of Plant Tissues for Tissue Engineering Applications"। আইএসএসএন 1940-087X। ডিওআই:10.3791/57586। পিএমআইডি 29912197। পিএমসি 6101437 ।
- ↑ ক খ গ Ben-Arye, Tom; Shandalov, Yulia (এপ্রিল ২০২০)। "Textured soy protein scaffolds enable the generation of three-dimensional bovine skeletal muscle tissue for cell-based meat" (ইংরেজি ভাষায়): 210–220। আইএসএসএন 2662-1355। ডিওআই:10.1038/s43016-020-0046-5।
- ↑ ক খ "Atlast Food Co."। Atlast Food Co. (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৮।
- ↑ ক খ "Cass Materials" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৮।
- ↑ ক খ Gonzalez, Grant M.; MacQueen, Luke A. (২০১৭)। "Production of Synthetic, Para-Aramid and Biopolymer Nanofibers by Immersion Rotary Jet-Spinning": 1600365। আইএসএসএন 1439-2054। ডিওআই:10.1002/mame.201600365।
- ↑ "Matrix Meats"। Matrix Meats (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৮।
- ↑ "MeatTech company website"। ১ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০২১।
- ↑ "What Are the Different Types of Bioreactors? - Biotech Blog"। www.pall.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৯।
- ↑ August 16; 2016। "What is Cellular Agriculture?"। New Harvest (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৮।
- ↑ "CaCl2 Transformation Technique"। MyBioSource Learning Center (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৮।
- ↑ "Bacteria - The Role Of Bacteria In Fermentation"। science.jrank.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৮।
- ↑ Wingfield, Paul T. (২০১৫-০৪-০১)। "Overview of the Purification of Recombinant Proteins": 6.1.1–6.1.35। আইএসএসএন 1934-3655। ডিওআই:10.1002/0471140864.ps0601s80। পিএমআইডি 25829302। পিএমসি 4410719 ।
- ↑ Dessels, Carla; Potgieter, Marnie (২০১৬)। "Making the Switch: Alternatives to Fetal Bovine Serum for Adipose-Derived Stromal Cell Expansion" (ইংরেজি ভাষায়): 115। আইএসএসএন 2296-634X। ডিওআই:10.3389/fcell.2016.00115। পিএমআইডি 27800478। পিএমসি 5065960 ।
- ↑ I. Datar, M. Betti, Possibilities for an in vitro meat production system, Innovative Food Science and Emerging Technologies 11 (2010) at 17.
- ↑ "Future Fields Cellular Agriculture & Biomanufacturing"। www.futurefields.io (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৮।
- ↑ "Multus | feeding food"। multus.media (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৮।
- ↑ "biftek.co"। biftek.co। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৮।
- ↑ ক খ "How it's made: the science behind cultivated meat"। A Bit of Science (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৯।
- ↑ "New Harvest"। New Harvest (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৯।
- ↑ Sharma, Shruti; Thind, Sukhcharanjit Singh (ডিসেম্বর ২০১৫)। "In vitro meat production system: why and how?" (ইংরেজি ভাষায়): 7599–7607। আইএসএসএন 0022-1155। ডিওআই:10.1007/s13197-015-1972-3। পিএমআইডি 26604337। পিএমসি 4648904 ।
- ↑ Bryant, Christopher; Szejda, Keri (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "A Survey of Consumer Perceptions of Plant-Based and Clean Meat in the USA, India, and China": 11। আইএসএসএন 2571-581X। ডিওআই:10.3389/fsufs.2019.00011 ।
- ↑ ক খ Gómez-Luciano, Cristino Alberto; de Aguiar, Luis Kluwe (ডিসেম্বর ২০১৯)। "Consumers' willingness to purchase three alternatives to meat proteins in the United Kingdom, Spain, Brazil and the Dominican Republic" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়): 103732। ডিওআই:10.1016/j.foodqual.2019.103732।
- ↑ ক খ Bryant, Christopher; Dillard, Courtney (৩ জুলাই ২০১৯)। "The Impact of Framing on Acceptance of Cultured Meat": 103। আইএসএসএন 2296-861X। ডিওআই:10.3389/fnut.2019.00103। পিএমআইডি 31334244। পিএমসি 6616100 ।
- ↑ ক খ Siegrist, Michael; Sütterlin, Bernadette (মে ২০১৮)। "Perceived naturalness and evoked disgust influence acceptance of cultured meat" (ইংরেজি ভাষায়): 213–219। ডিওআই:10.1016/j.meatsci.2018.02.007। পিএমআইডি 29459297।
- ↑ ক খ Grasso, Alessandra C.; Hung, Yung (১৫ আগস্ট ২০১৯)। "Older Consumers' Readiness to Accept Alternative, More Sustainable Protein Sources in the European Union" (ইংরেজি ভাষায়): 1904। আইএসএসএন 2072-6643। ডিওআই:10.3390/nu11081904। পিএমআইডি 31443177। পিএমসি 6723411 ।
- ↑ Bryant, Christopher; Barnett, Julie (সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Consumer acceptance of cultured meat: A systematic review" (ইংরেজি ভাষায়): 8–17। ডিওআই:10.1016/j.meatsci.2018.04.008। পিএমআইডি 29684844।
- ↑ Bryant, Christopher J.; Anderson, Joanna E. (আগস্ট ২০১৯)। "Strategies for overcoming aversion to unnaturalness: The case of clean meat" (ইংরেজি ভাষায়): 37–45। ডিওআই:10.1016/j.meatsci.2019.04.004। পিএমআইডি 30986669।
- ↑ Bryant, Christopher J.; Barnett, Julie C. (জুন ২০১৯)। "What's in a name? Consumer perceptions of in vitro meat under different names" (ইংরেজি ভাষায়): 104–113। ডিওআই:10.1016/j.appet.2019.02.021। পিএমআইডি 30840874।
- ↑ Valente, Júlia de Paula Soares; Fiedler, Rodrigo Alonso (৩০ আগস্ট ২০১৯)। "First glimpse on attitudes of highly educated consumers towards cell-based meat and related issues in Brazil" (ইংরেজি ভাষায়): e0221129। আইএসএসএন 1932-6203। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0221129। পিএমআইডি 31469862। পিএমসি 6716657 ।
- ↑ Stephens, N (জুলাই ২১, ২০১৮)। "Bringing cultured meat to market: Technical, socio-political, and regulatory challenges in cellular agriculture.": 155–166। ডিওআই:10.1016/j.tifs.2018.04.010। পিএমআইডি 30100674। পিএমসি 6078906 ।
- ↑ Nutrition, Center for Food Safety and Applied (২০২০-০৯-০৯)। "USDA/FDA Launches Joint Webinar on Roles and Responsibilities for Cultured Animal Cell Human and Animal Food Products" (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ Edelman, P. D; McFarland, D. C. (২০০৫)। "In vitro-cultured meat production": 659–662। ডিওআই:10.1089/ten.2005.11.659। পিএমআইডি 15998207।
- ↑ Marta Zaraska (১৯ আগস্ট ২০১৩)। "Is Lab-Grown Meat Good for Us?"। The Atlantic। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Azcona, J.O.; Schang, M.J. (২০০৮)। "Omega-3 enriched broiler meat: The influence of dietary alpha-linolenic omega-3 fatty acid sources on growth, performance and meat fatty acid composition": 257–269। ডিওআই:10.4141/cjas07081 ।
- ↑ Despommier, D. (২০০৮)। "Vertical Farm Essay I"। Vertical Farm। ১ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০০৯।
- ↑ "World's first lab-grown steak is made from beef but slaughter-free"। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ Kerr, Dara (ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৬)। "Lab-grown food: It's what's for dinner!"। CNET। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Lab-Grown Blood To Be Trialled in the U.K."। IFLScience।
- ↑ Bradley, Sian (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "How do you grow bone in a lab? Good vibrations"।
- ↑ Pigott, George M.; Tucker, Barbee W. (১৯৯০)। Seafood। CRC Press। পৃষ্ঠা 236। আইএসবিএন 978-0-8247-7922-1।
- ↑ "How Eating Less Meat Could Help Protect the Planet From Climate Change"। Time (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ Morris, Regan; Cook, James (১৫ অক্টোবর ২০১৮)। "Would you eat slaughter-free meat?" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ Features, Clara Rodríguez Fernández-18/12/2018 11 mins- (১৮ ডিসেম্বর ২০১৮)। "You Will Be Eating Lab-Grown Meat Soon: Here's What You Need to Know"। Labiotech.eu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ A Farm on Every Floor, The New York Times, 23 August 2009
- ↑ Case Study – Landfill Power Generation ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে, H. Scott Matthews, Green Design Initiative, Carnegie Mellon University. Retrieved 07.02.09
- ↑ Lab-grown meat would 'cut emissions and save energy', 21 June 2011
- ↑ Koerner, Brendan I. (২০ মে ২০০৮)। http://www.slate.com/id/2191705/।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ Cheng, Maria। "Stem Cells Turned Into Pork"। ১৮ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২১।
- ↑ Tuomisto, Hanna (১৭ জুন ২০১১)। "Environmental Impacts of Cultured Meat Production": 6117–6123। ডিওআই:10.1021/es200130u। পিএমআইডি 21682287। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১২, ২০২০।
- ↑ S.L. Davis (২০০১)। The least harm principle suggests that humans should eat beef, lamb, dairy, not a vegan diet। পৃষ্ঠা 449–450।
- ↑ Despommier, Dickson (নভেম্বর ২০০৯)। "The Rise of Vertical Farms": 60–67। আইএসএসএন 0036-8733। ডিওআই:10.1038/scientificamerican1109-80। পিএমআইডি 19873908।
- ↑ "No-kill, lab-grown meat to go on sale for first time"। the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৫।
- ↑ Sandhana, Lakshmi। "Test Tube Meat Nears Dinner Table"। ১৯ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Vein, John। "Patent US6835390"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Haagsman, H.P.; K.J. HelIingwerf (অক্টোবর ২০০৯)। "Production of Animal Proteins by Cell Systems" (পিডিএফ): 13–14। ১২ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Tuomisto, Hanna L.; Teixeira de Mattos, M. J. (২২–২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Life cycle assessment of cultured meat production" (পিডিএফ): 5। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Alok Jha (৫ আগস্ট ২০১৩)। "Synthetic meat: how the world's costliest burger made it on to the plate"। the Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Raizel, Robin (১১ ডিসেম্বর ২০০৫)। "In Vitro Meat"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০০৯।
- ↑ Kruglinski, Susan (২২ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১০ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২১।
- ↑ Izundu, Chi Chi (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Could vegetarians eat a 'test tube' burger?"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Hines, Nico (৭ আগস্ট ২০১৩)। "Can Vegetarians Eat In-Vitro Meat? The Debate Rages."। The Daily Beast। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "A new lab-grown meat startup may have overcome a key barrier to making meat without slaughter."। UK Business Insider। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮। ৬ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ Alvaro, C. (2019) Lab‐Grown Meat and Veganism: A Virtue‐Oriented Perspective. J Agric Environ Ethics. https://doi.org/10.1007/s10806-019-09759-2, p. 17.
- ↑ In vitro meat ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ নভেম্বর ২০১১ তারিখে at Food Ethics Council
- ↑ "In Vitro Meat: Power, Authenticity and Vegetarianism"। ৫ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Hamdan, Mohammad Naqib; Post, Mark J. (১ ডিসেম্বর ২০১৮)। "Cultured Meat in Islamic Perspective" (ইংরেজি ভাষায়): 2193–2206। আইএসএসএন 1573-6571। ডিওআই:10.1007/s10943-017-0403-3। পিএমআইডি 28456853।
- ↑ ক খ "But Is It Kosher?"। HuffPost (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ Post, Mark (২৬ মার্চ ২০১৫)। "Mark Post of Maastricht University in the Netherlands has developed synthetic beef patties."। Australian Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৫।
- ↑ "'World's first' lab-grown meatball revealed"। Fox News। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Bunge, Jacob (২৩ আগস্ট ২০১৭)। "Cargill Invests in Startup That Grows 'Clean Meat' From Cells"। Wall Street Journal। আইএসএসএন 0099-9660। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Morrison, Oliver (৪ ডিসেম্বর ২০২০)। "'A major milestone for lab-grown meat': Could Eat Just's approval in Asia hurry the market in Europe?"। foodnavigator.com। William Reed Business Media। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "International Conference on Cultured Meat 2015"। Cultured Beef। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Albrecht, Chris (২০ জুলাই ২০১৮)। "Catch Video from the New Harvest Cultured Meat Conference"। The Spoon। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "Current Research Projects"। New Harvest (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২১।
- ↑ "Meet the 13 Companies Chosen for Cohort II of Big Idea Ventures' Alt-Protein Accelerator"। The Spoon (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৮-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৮।
- ↑ "Companies"। IndieBio (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৮।
- ↑ "Star Trek 'Charlie X'"।
- ↑ "The Colbert Report: World of Nahlej – Shmeat"। Comedy Central। ১৭ মার্চ ২০০৯। ১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "BiteLabs"। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ Jauregui, Andres (৩ মার্চ ২০১৪)। "Hunger Game? Startup Whets Public Appetite For Salami Made From Celebrities"। The Huffington Post।
- ↑ Merchant, Brian (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "The Guy Who Wants to Sell Lab-Grown Salami Made of Kanye West Is "100% Serious""। Motherboard। Vice।
- ↑ Knibbs, Kate (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "No, This Website Won't Actually Make Salami Out Of Famous People"। Time।
- ↑ Harris, Jenn (৫ মার্চ ২০১৪)। "Ellen DeGeneres salami? One company's quest to make meat from celebrity tissue samples"। Los Angeles Times।
- ↑ Dorothy Woodend, "Are We Ready to ‘Meat the Future’?". The Tyee, May 15, 2020.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Bekker, Gerben A.; Tobi, Hilde (জুলাই ২০১৭)। "Meet meat: An explorative study on meat and cultured meat as seen by Chinese, Ethiopians and Dutch": 82–92। ডিওআই:10.1016/j.appet.2017.03.009। পিএমআইডি 28323057।