কচ্ছ রাজ্য
কচ্ছ রাজ্য | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ভারত প্রাক্তন প্রশাসনিক বিভাগ | |||||||||||
১৯৪৭–১৯৫৬ | |||||||||||
কচ্ছ রাজ্য, ১৯৫১ | |||||||||||
বিশেষণ | কচ্ছি | ||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
• বরোদা, পশ্চিম ভারত এবং গুজরাত রাজ্য এজেন্সির বিলুপ্তি | ১৯৪৭ | ||||||||||
• বোম্বে রাজ্যে একীভূত হয় | ১৯৫৬ | ||||||||||
| |||||||||||
১৯৫৪ সালের লিগ্যাল কেস: কচ্ছ রাজ্য |
কচ্ছ রাজ্য ছিল ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যমান থাকা ভারতের একটি রাজ্য। এই প্রদেশের রাজধানী ছিল ভুজ। এই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলটি এখন ভারতের গুজরাত রাজ্যের মধ্যে একটি কচ্ছ জেলা গঠন করে।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]দেশ ভাগের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টে ভারত স্বাধীন হলে প্রাক্তন দেশীয় রাজ্য কুচ/কচ্ছ-এর শাসক মহারাও শ্রী বিজয়রাজি ভারত অধিরাজ্যে যোগ দানে সম্মত হলে দেশীয় রাজ্যটিকে ভারতের একটি প্রদেশে পরিণত করা হয়।
ভারতে অধিগ্রহণের পরেও কচ্ছের প্রশাসন তার পূর্বের শাসক মহারাও শ্রী বিজয়রাজির হাতেই ছিল। ১৯৪৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যুর পর এর শাসনভার তার পুত্র মহারাও শ্রী মেঘরাজীর হাতে চলে গেলেও একই বছরের ১ জুন কচ্ছের প্রশাসন মুখ্য কমিশনার এবং মুখ্যমন্ত্রী শেঠ রাজামলশার মধ্যমে ভারত সরকারে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত এই ব্যবস্থা রয়ে যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রাথমিকভাবে কচ্ছ একটি প্রদেশ হিসাবে কাজ করত। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারিতে ভারতের সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর কচ্ছ একটি "পার্ট সি" রাজ্যে পরিণত হয়। অর্থাৎ এর প্রশাসন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে ছিল।
১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বরে রাজ্য পুনর্গঠন আইনের অধীনে বোম্বে রাজ্য পুনর্গঠন করা হলে কচ্ছ রাজ্য সহ আরও কিছু রাজ্য বিলুপ্ত করে বোম্বে রাজ্যে একীভূত করা হয়। ফলে এটি বোম্বে রাজ্যের কচ্ছ জেলায় পরিণত হয়। ১৯৬০ সালের ১ মে, বোম্বে রাজ্যকে ভাষার ভিত্তিতে দ্বি খণ্ডিত করে গুজরাত ও মহারাষ্ট্র রাজ্য গঠন করা হলে কচ্ছ জেলা গুজরাতের একটি অংশে পরিণত হয়।