ওয়াজিল খান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খান-ই-আজম
ওয়াজিল খাঁন
عزیر خان
১৪৬৫
বাকলার হাকিম
সার্বভৌম শাসকবারবক শাহ
মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ ওয়াজিল খান কর্তৃক প্রবর্তিত।

উজায়ের খান (ফার্সি: عزیر خان), যিনি ওয়াজিল খান নামে পরিচিত,[১] সুলতান রুকনুদ্দিন বারবক শাহের শাসনামলে বাংলা সালতানাতের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাকলার (বর্তমান বরিশাল, বাংলাদেশ ) নিযুক্ত খান-ই-আজম ছিলেন। [২]

পটভূমি[সম্পাদনা]

বলা হয় যে ওয়াজিল খান ছিলেন একজন আরব সওদাগর এবং খলিফাতাবাদের খান-ই-আজম খান জাহান আলীর অনুসারী।[৩] খান জাহান আলীকে খলিফাতাবাদের স্থাপত্য উন্নয়নের জন্য এবং বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের কৃতিত্ব দেওয়া হয়।[৪] খান জাহান আলী পরে ওয়াজিল খানের নেতৃত্বে তার কিছু অনুসারীদের একটি দলকে ছড়িয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। এরপর ওয়াজিল খান নৌকায় চলে যশোরের শেখেরঘাট থেকে চন্দ্রদ্বীপের গৌরনদীতে গিয়ে বসতি স্থাপন করেন। [৫]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ওয়াজিল খান ইলিয়াস শাহী খান্দানের সুলতান রুকনুদ্দিন বারবক শাহ (র. ১৪৫৯-১৪৭৪ খ্রীঃ) এর অধীনে একজন কর্মচারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাকলা অঞ্চলে (বর্তমান বরিশাল, বাংলাদেশ ) নিযুক্ত ছিলেন। ৮৭০ হিজরিতে (১৪৬৫-১৪৬৬ খ্রীঃ), তিনি বর্তমান পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে একটি শাহী মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।[৬] মসজিদটিকে এই বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের প্রাচীনতম মসজিদ এবং প্রাচীনতম ইট-কাঠামো ইমারত বলে মনে করা হয়। [৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Ujjal, Ghulam Ashraf Khan (১১ জুলাই ২০১৫)। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর প্রাচীন মসজিদSamakal 
  2. Bangladesh DirectoryTimes Publications। ১৯৯৮। 
  3. Bulbul, Saiful Ahsan (২০১২)। "মসজিদবাড়ির মসজিদ, মির্জাগঞ্জ" [The mosque of Masjidbari, Mirzaganj]। বৃহত্তর বরিশালের ঐতিহাসিক নিদর্শন। Gotidhara। 
  4. CyArk। "Who Was Khan Jahan Ali?"Google Arts and Culture। ICOMOS Working Group on Cultural Heritage and Climate Change। 
  5. Amin, Ruhul। "খানজাহান আলী ও বিদ্যানন্দকাটী খানজাহান দীঘি"Panjia College 
  6. Khan, Ahmad Nabi (২০০৩)। Islamic Architecture in South Asia: Pakistan, India, BangladeshOxford University Press। পৃষ্ঠা 124আইএসবিএন 9780195790658 
  7. Ahmad Hasan Dani"Analysis of the Inscriptions"Asiatic Society Of Pakistan Vol-ii