এড গিডিন্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এড গিডিন্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামএডওয়ার্ড সিমন হান্টার গিডিন্স
জন্ম (1971-07-20) ২০ জুলাই ১৯৭১ (বয়স ৫২)
ইস্টবোর্ন, পূর্ব সাসেক্স, ইংল্যান্ড
ডাকনামজিজার
উচ্চতা৬ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৯৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৯৬)
১৯ আগস্ট ১৯৯৯ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৭ জুন ২০০০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯১ - ১৯৯৬সাসেক্স
১৯৯৮ - ২০০০ওয়ারউইকশায়ার
২০০১ - ২০০২সারে
২০০৩হ্যাম্পশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ টি২০
ম্যাচ সংখ্যা ১৪৭ ১৯২
রানের সংখ্যা ১০ ৫৩৪ ১০৭
ব্যাটিং গড় ২.৫০ ৫.২৮ ২.৭৪ ০.৫০
১০০/৫০ –/– –/– –/– –/–
সর্বোচ্চ রান ৩৪ ১৩*
বল করেছে ৪৪৪ ২৫,৩৭৬ ৮,৮৮৭ ৬৬
উইকেট ১২ ৪৭৮ ২২৯
বোলিং গড় ২০.০০ ২৮.৩৭ ২৮.৩১ ৫৪.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট ২২
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/১৫ ৬/৪৭ ৫/২০ ১/১৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং –/– ২২/– ৩৬/– –/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ জানুয়ারি ২০২১

এডওয়ার্ড সিমন হান্টার গিডিন্স (ইংরেজি: Ed Giddins; জন্ম: ২০ জুলাই, ১৯৭১) পূর্ব সাসেক্সের ইস্টবোর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার, সারে, ওয়ারউইকশায়ার ও সাসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘জিজার’ ডাকনামে পরিচিত এড গিডিন্স

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সাসেক্সের ইস্টবোর্ন এলাকায় এড গিডিন্সের জন্ম। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে চারটি কাউন্টি দল - সাসেক্স, ওয়ারউইকশায়ার, সারে ও হ্যাম্পশায়ারের পক্ষালম্বন করেছেন। তন্মধ্যে, ১৯৯৬ সালে কোকেন সেবনের দায়ে পরীক্ষায় নেতিবাচক ফলাফল আসায় সাসেক্স দল থেকে বাদ পড়েন। এছাড়াও, আঠারো মাস ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন।[১][২][৩]

১৯৯১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এড গিডিন্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। কোকেন সেবন, থ্রোয়িংয়ের কারণে নো-বল ও নিজ কাউন্টি দলকে বাজীকরদের সাথে হাত মিলিয়ে পাঁচ বছর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। তার দিক দিয়ে সঠিক হলেও ঐ খেলায় তিনি মোটেই খেলেননি। সুঠাম ভঙ্গীমায় নিজের স্বর্ণালী সময়ে বেশ ভালোমানের পেস বোলিং করতেন। সহায়ক পিচে সেরা ব্যাটসম্যানকে বেশ নাকানিচুবানি খেতে হয়।

১৯৯৮ সালে ওয়ারউইকশায়ারে যোগ দেন। তবে, মাদক সেবনজনিত কেলেঙ্কারীর শিকারে পরিণত হলে তাকে সাসেক্স দলে চলে যেতে হয়। এখানে তিনি আঠারো মাসের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন। দলীয় সঙ্গী নাদিম শহীদের সাথে ক্রিসমাস ট্রি ব্যবসায় মাদক দ্রব্য বিক্রয় করেন। ২০০০ সালে ইংল্যান্ড দল থেকে বাদ পড়ার পর তার খেলার মান দূর্বলতর হতে থাকে। এরপর, তিনি সারে দলে ও পরবর্তীতে হ্যাম্পশায়ারের সদস্য হন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এড গিডিন্স। ১৯ আগস্ট, ১৯৯৯ তারিখে ওভালে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৫ জুন, ২০০০ তারিখে বার্মিংহামে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

আগস্ট, ১৯৯৯ সালে ওভালে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলেন। নিজস্ব প্রথম টেস্টে ফিল টাফনেলঅ্যালান মুলালি’র সাথে ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে তিনি বিজয়ী হন। ৭৯ রানের বিনিময়ে চার উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। সাবেক ওয়ারউইকশায়ারীয় ব্যাটসম্যান রজার টোজকে নিজস্ব প্রথম টেস্ট ডিসমিসাল ঘটান তিনি।[৪] ঐ টেস্টে নিউজিল্যান্ড দল ৮৩ রানে জয় পেয়ে চার খেলার সিরিজে ২-১ ব্যবধানে বিজয়ী হয়।

জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি[সম্পাদনা]

২০০০ সালের শীতকালে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনার্থে তাকে ইংল্যান্ড দলে রাখা হয়নি। তবে, পরবর্তী গ্রীষ্মে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলে রাখা হয় ও দুই টেস্টে অংশ নেন। দুই খেলার ঐ সিরিজে ইংল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে জয়ী হয় ও খেলায় তিনি নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৫/১৫ লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে, জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের মাধ্যমেই খেলার গতিধারা ইংল্যান্ডের অনুকূলে চলে আসে। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আরও দুই উইকেট পান। ব্যাট হাতে নিয়ে নিজস্ব সর্বোচ্চ রান তুলেন।[৫] লর্ডসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঐ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ড্রয়ে পরিণত হয়। ঐ খেলায় তিনি ১/৪৬ পান। এছাড়াও, ইংল্যান্ডের উভয় ইনিংসেই তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে অপরাজিত অবস্থায় ছিলেন।[৬] পরের দুই টেস্টে ভালো করতে না পারায় বাদ পড়েন। নিস্প্রাণ উইকেটে তাকে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছিল।

২০০০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবার জন্যে তাকে ইংল্যান্ড দলে রাখা হয়। পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের প্রথম খেলায় স্বাগতিক দল ইনিংস ও ৯৩ রানের ব্যবধানে পরাভূত হয়। খেলায় তিনি ০/৭৩ পান ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একমাত্র জোড়া শূন্য রানের সন্ধান পান।[৭] ফলশ্রুতিতে, দল থেকে বাদ পড়েন। এটিই তার ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বশেষ অংশগ্রহণ ছিল।

অবসর[সম্পাদনা]

২০০৩ সালের শুরুতে তিনি অবসর নেন। একবার তিনি ব্রিটেনের অন্যতম দর্শনীয় কুমার হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। অ্যামাজনের সাথে একটি গ্রীষ্মে ভ্রমণের জন্যে প্রস্তুতি নেন। শারীরিক সুস্থতা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুযোগ পেতে এক শীতকালে £১০০০০ পাউন্ড-স্টার্লিং ব্যয় করেন। তবে, মাঠের বাইরের কার্যক্রমের কারণেই তিনি অধিক স্মরণীয় করে রেখেছেন।

২০০৪ সালের শুরুতে পোকার খেলার দিকে ঝুঁকে পড়েন। এছাড়াও, বিবিসি’র টিভি অনুষ্ঠান ‘অ্যারেঞ্জ মি এ ম্যারিজে’ অংশগ্রহণ করতেন। ২০০৯ সালে স্কাই পোকারের খেলা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন। মে, ২০১১ সালে চ্যানেল ফোরস ‘সেলিব্রিটি ফাইভ গো টু’ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় আসরে অংশ নেন। এ অনুষ্ঠানের তারকাগণ দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের সুযোগ পেতেন।[৮] ঐ অনুষ্ঠানে তিনি বিজয়ী হন ও তারকাদের সাথে সেখানে অবস্থানের সুযোগ পান।

জনপ্রিয় ইউকে উৎসব থেকে সর্বাধিক £১০,০০০ পাউন্ড-স্টার্লিং মূল্যমানের নগদ পুরস্কার পেয়েছেন। জুন, ২০১৫ সাল পর্যন্ত সবমিলিয়ে $৮২,৩৭৫ ডলারের অধিক অঙ্কের নগদ অর্থ লাভ করেছেন তিনি।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Giddins banned for taking cocaine"The Irish Times। ২১ আগস্ট ১৯৯৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "If Giddins has a drug problem, he should have been treated as Paul Merson was by the FA, with sympathy and firmness"The Independent। ২০ আগস্ট ১৯৯৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. "What the death of Tom Maynard tells us about cricket and drugs"BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-১১ 
  4. England vs New Zealand 1999, fourth Test scorecard
  5. England vs Zimbabwe 2000, first Test scorecard
  6. England vs Zimbabwe 2000, second Test scorecard
  7. England vs West Indies 2000, first Test scorecard
  8. "Celebrity Five Go To..."। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১১ 
  9. Poker Player Results on RankingHero

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]