একদন্ত ইউনিয়ন
একদন্ত | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
একদন্ত ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে একদন্ত ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৭′৩৩″ উত্তর ৮৯°১৪′৫৬″ পূর্ব / ২৪.১২৫৮৩° উত্তর ৮৯.২৪৮৮৯° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | পাবনা জেলা |
উপজেলা | আটঘরিয়া উপজেলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান[সম্পাদনা]
আটঘরিয়া উপজেলার একবারে পূর্বপ্রান্তে লক্ষীপুর ইউনিয়ন অবস্থিত। লক্ষীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম প্রান্তে একদন্ত ইউনিয়ন অবস্থিত।
সীমানা[সম্পাদনা]
একদন্ত ইউনিয়নের পশ্চিমে দেবত্তোর ইউনিয়ন, উত্তরে ফৌলজানা ও লক্ষীপুর ইউনিয়ন, পূর্বে লক্ষীপুর ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে আতাইকুলা ইউনিয়ন ও ইছামতি নদী দ্বারা বেষ্টিত।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
একদন্ত ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।
আয়তন[সম্পাদনা]
২১.৯৬ বর্গ কিলোমিটার বা ১৩.৬৪ বর্গ মাইল।
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
একদন্ত ইউনিয়নের মোট লোকসংখ্যা : ৩৭,৪৮৯ জন (পুরুষ জনসংখ্যা ২০,৩৭০ ও মহিলা জনসংখ্যা ১৭,১১৯ জন)।
শিক্ষার হার[সম্পাদনা]
একদন্ত ইউনিয়নে শিক্ষার হার : ৬৩%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
কলেজ ১ টি (একদন্ত ডিগ্রি কলেজ), ফাযিল মাদরাসা ১ টি (ত্বহা ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, শিবপুর), দাখিল মাদ্রাসা ৩ টি। (যথা- চৌবাড়িয়া তোয়াজ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, চাঁন্দাই রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা, চক- চকিবাড়ী মোস্তাফাবিয়া দাখিল মাদ্রাসা)। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫ টি : একদন্ত উচ্চ বিদ্যালয়, শিবপুর আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁন্দাই হাই স্কুল, গোপালপুর হাই স্কুল, ডেঙ্গারগ্রাম হাই স্কুল। নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ টি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ টি, বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ টি, এবতেদায়ী মাদরাসা ১০ টি, হাফিজিয়া মাদরাসা ৬ টি, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও মক্তব ১২ টি, কিন্ডার গার্টেন ৬ টি।
ধর্মীয় পরিবেশ[সম্পাদনা]
একদন্ত ইউনিয়নে আলেম- উলামা, হাজী- গাজীর আধিক্য লক্ষণীয়। এখানে ইসলামিক ভাবধারার লোকের সংখ্যাই বেশি। প্রত্যেক গ্রামে মাদরাসা- মক্তব রয়েছে। এই ইউনিয়নে নামাজির সংখ্যাও অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। তাছাড়া নাচ- গান, মদ- জুয়াসহ ইসলাম বিরোধী কাজকর্ম ও অশ্লীলতা- বেহায়াপনা হয় না বললেই চলে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
মসজিদ ৯২ টি, মন্দির ০৫ টি, গীর্জা ০২ টি। গোরস্থান ২০ টি, শ্বশান ০২ টি। ঈদগাহ : ১৭টি। ইসলামী পাঠাগার : ০৭ টি।
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র[সম্পাদনা]
ক্রমিক নং | স্বাস্থ্য কেন্দের নাম | অবস্থান |
১ | ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র | একদন্ত |
উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংখ্যা : ১ টি
কমিউনিটি ক্লিনিক ৬টি
০১. ষাটগাছা কমিউনিটি ক্লিনিক, ষাটগাছা।
০২. চৌবাড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, চৌবাড়িয়া।
০৩. ডেঙ্গারগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিক, ডেঙ্গারগ্রাম।
০৪. গোপলপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালপুর।
০৫. চাঁন্দাই কমিউনিটি ক্লিনিক, চাঁন্দাই।
০৬. কদিম বগদী কমিউনিটি ক্লিনিক, কদিম বগদী।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
ভূমি অফিস সংখ্যা : ০১ টি
ব্যাংক সংখ্যা : ০৩ টি
এনজিও সংখ্যা : ১০ টি
বীমা প্রতিষ্ঠান : ০৫ টি
আশ্রয়ন প্রকল্প সংখ্যা : ০১ টি
কৃষিতে সমৃদ্ধ একদন্ত[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পাবনা জেলার একদন্ত ইউনিয়নের পুরো এলাকাটিই কৃষি সমৃদ্ধ। ধান, পাট, গম ছাড়াও ডাল, সরিষা, আখ, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আদা, হলুদ প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। তাছাড়া আম, লিচু,কাঠাল, কলা, পেঁপে ও পেয়ারাসহ বিভিন্ন ধরনের ফল-ফলাদিও উৎপন্ন হয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
মুহাম্মদ লোকমান হোসাইন (শিক্ষাবিদ, লেখক, সাংবাদিক, গবেষক ও সাবেক চেয়ারম্যান), মাওলানা আবদুল হাই (বগদী), ডা. মোঃ ওমর আলী (চাঁন্দাই), এডভোকেট শাহজাহান আলী (ডেঙ্গারগ্রাম), এডভোকেট আজিজুল হক (ষাটগাছা), রিফাজ উদ্দিন- সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, মতিউর রহমান নান্নু (সাবেক চেয়ারম্যান), আতাউর রহমান রানা (সাবেক চেয়ারম্যান), মাওলানা শফিউদ্দিন (চাঁন্দাই) প্রমুখ।
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
একদন্ত বাজার, জোড়গাছা হাট, ষাটগাছা তাঁতশিল্প, গোপালপুর আম্রবাগান ও তাঁতশিল্প, হিদাসখোল কাঠাঁল বাগান, সুজাপুর হাট (নদীর পাড়), শিবপুর ত্বহা ইসলামিয়া মাদ্রাসা, কদিম বগদী পানের বরজ, চাচকিয়া তাঁতশিল্প প্রভুতি।
গ্রামসমূহ[সম্পাদনা]
ষাটগাছা, নয়নগর, বেলদহ, সুজাপুর, জোড়গাছা, চৌবাড়িয়া, হিদাসখোল, ডেঙ্গারগ্রাম, মহেষপুর, কেদারপাড়া, আমিরপুর, গোপালপুর, তীরমোহন, চক চকিবাড়ী, পরানপুর, ত্রিমোহন, একদন্ত, একদন্ত দেবোত্তর, নরজান, চাচকিয়া, নগর চাচকিয়া, চাঁন্দাই, একদন্ত বারইপাড়া, মোল্লাপাড়া, হাজীপাড়া, নিয়ামতপুর, কদিম বগদী, শিবপুর, গুরুবাসী।
হাট- বাজার[সম্পাদনা]
একদন্ত হাট, শিবপুর হাট, গোপালপুর হাট, ডেঙ্গারগ্রাম হাট, জোড়গাছা হাট ও চাঁন্দাই হাট।
বিখ্যাত[সম্পাদনা]
একদন্ত ইউনিয়নটি কৃষি ও তাঁতশিল্পের জন্য বিখ্যাত। এখানে প্রচুর পরিমাণে ধান, গম, পাট, সরিষা, মশুর উৎপন্ন হয়। এ ইউনিয়নের চাঁচকিয়া, ষাটগাছা, গোপালপুর, শিবপুর, বগদী ও গুরুবাসী গ্রামে তাঁতশিল্প রয়েছে। এ সব তাঁত থেকে উৎপন্ন শাড়ি ও লুঙ্গির খ্যাতি রয়েছে দেশব্যাপী। তাছাড়া একদন্ত ইউনিয়নে রয়েছে বহুসংখ্যক পানের বরজ।
জনপ্রতিনিধি[সম্পাদনা]
একদন্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানবৃন্দের তালিকা
|
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |