ইনিড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইনিড 
ভার্জিল কর্তৃক রচিত
মূল শিরোনামAENEIS
অনুবাদকজন ড্রাইডেন
গেভিন ডগলাস
হেনরি হাওয়ার্ড, সারের আর্ল
সিমাস হিনি
অ্যালেন ম্যান্ডেলবাম
রবার্ট ফিৎজগেরাল্ড
রবার্ট ফেগলস
ফ্রেডেরিক আল
সারা রুডেন
লিখেছেনখ্রিস্টপূর্ব ২৯–১৯ অব্দ
দেশরোমান প্রজাতন্ত্র
ভাষাধ্রুপদি লাতিন
বিষয়মহাকাব্য চক্র, ট্রোজান যুদ্ধ, রোম প্রতিষ্ঠা
ধরনমহাকাব্য
ছন্দড্যাকটিলিক হেক্সামিটার
প্রকাশনার তারিখখ্রিস্টপূর্ব ১৯ অব্দ
মিডিয়া ধরনপুথি
লাইন৯,৮৯৬
পূর্ববর্তীজর্জিকস
পূর্ণ পাঠ্য
উইকিসংকলনে ইনিড
ইনিয়াস ফ্লিজ বার্নিং ট্রয়, ফেডেরিকো বারোচি অঙ্কিত (১৫৯৮)। গ্যালারিয়া বোর্গেসি, রোম, ইতালি
ইনিয়াসের কাল্পনিক যাত্রাপথের মানচিত্র

ইনিড (ইংরেজি বানান: Aeneid; /ɪˈnɪd/ ih-NEE-id; লাতিন: Aenē̆is [ae̯ˈneːɪs] or [ˈae̯neɪs]) হল একটি লাতিন মহাকাব্য। খ্রিস্টপূর্ব ২৯ থেকে ১৯ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ভার্জিল এটি রচনা করেন।[১] এই মহাকাব্যের উপজীব্য ইনিয়াসের কিংবদন্তি উপাখ্যান। ইনিয়াস ছিলেন এক ট্রোজানট্রয়ের পতনের সময় তিনি পালিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন; সেখানে তিনি রোমানদের পূর্বপুরুষ হিসেবে পরিচিত হন। ইনিড মহাকাব্যটি ড্যাকটিলিক হেক্সামিটারে ৯,৮৯৬টি চরণে বিন্যস্ত।[২] এই কাব্যের বারোটি সর্গের মধ্যে প্রথম ছয়টি সর্গে ট্রয় থেকে ইতালি পর্যন্ত ইনিয়াসের যাত্রার বিবরণ পাওয়া যায়। শেষ ছয়টি সর্গে বর্ণিত হয়েছে লাতিনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ট্রোজানদের জয়লাভের কাহিনি। এই লাতিনদের নামই ইনিয়াস ও অন্যান্য ট্রোজান সহযোদ্ধাদের পরিচয় হবে বলে পূর্বনির্ধারিত ছিল।

ইনিড-এর নায়ক ইনিয়াসের নাম গ্রিকো-রোমান কিংবদন্তি ও অতিকথায় পূর্বপরিচিত ছিল। কারণ, ইনিয়াস ছিলেন ইলিয়াড-এর একটি চরিত্র। ইনিয়াসের উদ্দেশ্যহীন ভ্রমণের বিচ্ছিন্ন কাহিনিগুলি, রোমের পত্তনির সঙ্গে তাঁর অস্পষ্ট যোগসূত্রটি এবং এক বিবেকবান পিয়েস্টাস ছাড়া তাঁর অন্য কোনওরকম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বর্ণনাহীন বিবরণটি ভার্জিল গ্রহণ করেন এবং ইনিড-কে এক বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠা-সংক্রান্ত অতিকথা বা জাতীয় মহাকাব্যের আকারে রচনা করেন। এই কাব্য রোমকে ট্রয়ের কিংবদন্তির সঙ্গে যুক্ত করে, পিউনিক যুদ্ধের ব্যাখ্যা প্রদান করে, প্রথাগত রোমান সদ্গুণাবলিকে গৌরবান্বিত করে এবং জুলিও-ক্লডিয়ান রাজবংশকে রোম ও ট্রয়ের প্রতিষ্ঠাতা, বীর ও দেবতাদের বংশধর হিসেবে বৈধ স্বীকৃতি প্রদান করে।

ইনিড ভার্জিলের শ্রেষ্ঠ কীর্তি তথা লাতিন সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বহুলভাবে স্বীকৃত।[৩][৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ম্যাগিল, ফ্র্যাংক এন. (২০০৩)। দি এনশিয়েন্ট ওয়ার্ল্ড: ডিকশনারি অফ ওয়ার্ল্ড বায়োগ্রাফি, ১ম খণ্ডরটলেজ। পৃষ্ঠা ২২৬। আইএসবিএন 1135457409 
  2. গ্যাসকেল, ফিলিপ (১৯৯৯)। ল্যান্ডমার্কস ইন ক্ল্যাসিকাল লিটারেচার। শিকাগো: ফিৎজরয় ডিয়ারবর্ন। পৃষ্ঠা ১৬১। আইএসবিএন 1-57958-192-7 
  3. অ্যালয়, ড্যানিয়েল (২২ মে ২০০৮)। "নিউ ট্রান্সলেশন অফ 'ইনিড' রিস্টোরস ভার্জিল'স ওয়ার্ডপ্লে অ্যান্ড অরিজিনাল মিটার"কর্নেল ক্রনিকল। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  4. ড্যামেন, মার্ক (২০০৪)। "চ্যাপ্টার ১১: ভার্জিল অ্যান্ড দি ইনিড"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

মূল পাঠ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:ইনিড