মুহাম্মদ হাসান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুহাম্মদ হাসান
مفتی محمد حسن
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১৮৮০
মিলপুর
মৃত্যু১ জুন ১৯৬১(1961-06-01) (বয়স ৮০–৮১)
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাপাকিস্তানি
যেখানের শিক্ষার্থীদারুল উলুম দেওবন্দ
এর প্রতিষ্ঠাতাজামিয়া আশরাফিয়া, লাহোর
মুসলিম নেতা
শিক্ষকআনোয়ার শাহ কাশ্মীরি

মুহাম্মদ হাসান (১৮৮০ - ১ জুন ১৯৬১) ছিলেন একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত এবং জামিয়া আশরাফিয়া, লাহোরের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষা লাভ করেন। তিনি আশরাফ আলী থানভীর খলিফা এবং আনোয়ার শাহ কাশ্মীরির ছাত্র ছিলেন। তিনি জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের সভাপতি ছিলেন।[১]

জীবনী[সম্পাদনা]

মুহাম্মদ হাসান পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মিলপুর শহরে ১৮৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আল্লাহ দাদ। তিনি নিজ শহরে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। মুহাম্মদ মাসুম, আবদুল জব্বার গজনভী, নূর মুহাম্মদ এবং গোলাম মুস্তাফা কাসেমী এবং অন্যান্য আলেমদের কাছ থেকে আরও ধর্মীয় শিক্ষা লাভের পর তিনি আত্মশুদ্ধির জন্য আশরাফ আলী থানভীর কাছে যান। তিনি ক্বারী করিম বখশের কাছ থেকে তাজবিদ ও তেলাওয়াতের সনদ লাভ করেন এবং দারুল উলুম দেওবন্দে আনোয়ার শাহ কাশ্মীরির থেকে হাদিস শিক্ষা করেন।[২][৩][৪]

তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের একজন শক্তিশালী সমর্থক ছিলেন। তিনি আশরাফ আলী থানভীর খলিফাও ছিলেন। ১৯৪৭ সালে তিনি লাহোরে আশরাফ আলী থানভীর নামে জামিয়া আশরাফিয়া প্রতিষ্ঠা করেন।[২]

তিনি দীর্ঘ অসুস্থতার পর ১৯৬১ সালের ১ জুন করাচিতে মারা যান। আবদুল গনি ফুলপুরীর ইমামতিতে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং তাকে করাচির সোসাইটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।[৫] পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী মুহাম্মদ আলি, আব্দুর রব নিশতার এবং অন্যান্য গভর্নর, মন্ত্রী এবং কর্মকর্তারা তার জানাজায় যোগদান করে।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]