তাকি উদ্দিন আস-সুবকি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তাকি উদ্দিন আস-সুবকি
উপাধিশায়খুল ইসলাম[১] কাজিউল কুজাত[২]
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্মহিজরি ৬৮৩ (১২৮৪ খ্রিঃ)[১]
মৃত্যুহিঃ ৭৫৬ (১৩৫৫ খ্রিঃ)[১]
ধর্মইসলাম
যুগমধ্য যুগ
অঞ্চলআরব
ব্যবহারশাস্ত্রশাফেঈ
ধর্মীয় মতবিশ্বাসআশআরি[৩][৪]
প্রধান আগ্রহইসলামি ধর্মতত্ত্ব, হাদিস,ইসলামি আইন
মুসলিম নেতা
যার দ্বারা প্রভাবিত

তাকি উদ্দিন সুবকি বা তাকি উদ্দিন আস-সুবকি যার পূর্ণ নাম আবুল হাসান তাকি উদ্দিন আলী ইবনে আবদুল কাফি ইবনে আলী আল-খাজরাজি আল-আনসারি আস-সুবকি (আরবি: أبو الحسن تقي الدين علي بن عبد الكافي بن علي الخزرجي الأنصاري السبكي ; ইংরেজি: Abu Al-Hasan Taqī al-Dīn Ali ibn Abd al-Kafi ibn Ali al-Khazraji al-Ansari al-Subkī) সুন্নি ইসলামের একজন বিখ্যাত[৫] শাফিঈ পন্ডিত,[৬] হাদিস বিশারদ, আইনবিদ,[৭] কুরআনের ব্যাখ্যাকারী এবং দামেস্কের প্রধান বিচারক ছিলেন।[৬]

জন্ম[সম্পাদনা]

তাকি উদ্দিন আস-সুবকি মিশরের সুবক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। [১]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

তিনি কায়রোতে অসংখ্য ইসলামি পণ্ডিতদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেন । মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের তাফসির সম্পর্কীয় জ্ঞান অর্জন করেন আল-ইরাকি-এর কাছ থেকে । ইলমে হাদিস বা হাদিসের জ্ঞান লাভ করেন আল-দিমিয়াতির কাছ থেকে । আর কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক পবিত্র আইন বা ইলমে ফিকহ অর্জন করেন ইবনে রিফা'-এর নিকট থেকে ।[৪] এভাবে প্রমুখ পণ্ডিতদের দ্বারা তিনি তার শিক্ষা অর্জন করেন । এছাড়াও তাকি উদ্দিন সুবকি সিরিয়া, আলেকজান্দ্রিয়াহিজাজের সুবিজ্ঞ আলেমদের কাছ থেকে হাদিসের জ্ঞান অর্জনের জন্যও ভ্রমণ করেছিলেন।[৪] অবশেষে তিনি ইবনে তুলুন মসজিদ-এ অবস্থিত মনসুরিয়া স্কুলে শিক্ষকতা করেন।[১]

প্রধান বিচারক হিসেবে[সম্পাদনা]

তিনি তরুণ বয়সে মিশর ত্যাগ করে চলে যান সিরিয়ায় এবং সেখানে তিনি বসতি স্থাপন করেন । একসময় তিনি সিরিয়ার প্রধান বিচারক নিযুক্ত হন । দামেস্কের উমাইয়া মসজিদের দায়িত্ব প্রপ্ত হন এবং বেশ কয়েকটি কলেজে অধ্যাপকের পদে তিনি উন্নীত হন।[৩] তাকি উদ্দিন আস-সুবকি সতের বছর পর্যন্ত প্রধান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবশেষে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে আসীন হন তারই ছেলে তাজ উদ্দিন আস-সুবকি। তাকি উদ্দিন কায়রোতে ফিরে আসেন।[৪]

রচনাবলি[সম্পাদনা]

  • শিফাউস সিকাম ফি জিয়ারাতি খাইরিল আনাম (شفاء السقام في زيارة خير الأنام)

মৃত্যু[সম্পাদনা]

তিনি ৭৫৬ হিজরি মুতাবেক ১৩৫৫ খ্রিষ্টাব্দে কায়রোতে মৃত্যু বরণ করেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Mohammad Hassan Khalil, Islam and the Fate of Others: The Salvation Question, Oxford University Press, 3 May 2012, p 89. আইএসবিএন ০১৯৯৭৯৬৬৬১
  2. Hoover, Jon (২০০৯)। Islamic Universalism: Ibn Qayyim al-Jawziyya's Salafi Deliberations on the Duration of Hell-Fire (The Muslim World)99। Blackwell Publishing Ltd। পৃষ্ঠা 184। 
  3. Ignaz Goldziher, A short history of classical Arabic literature, Published June 30th 1966 by Lubrecht & Cramer Ltd, p 144.
  4. Keller, The Reliance of the Traveler, Amana Publications, p 1102. আইএসবিএন ৯৭৮০৯১৫৯৫৭৭২৯
  5. Franz Rosenthal, Muslim intellectual and social history: a collection of essays, p 26. আইএসবিএন ৯৭৮০৮৬০৭৮২৫৭৫
  6. Yossef Rapoport, Marriage, Money and Divorce in Medieval Islamic Society, p 101. আইএসবিএন ৯৭৮০৫২১৮৪৭১৫৫
  7. Leigh Chipman, The World of Pharmacy and Pharmacists in Mamlūk Cairo, p. 149. আইএসবিএন ৯৭৮৯০০৪১৭৬০৬৫