মাহমুদুর রহমান বেণু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাহমুদুর রহমান বেণু
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাসঙ্গীতশিল্পী
পুরস্কারএকুশে পদক (২০২২)

মাহমুদুর রহমান বেণু হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী, যিনি‌ সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ২০২২ সালে একুশে পদক লাভ করেন।[১]

শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

বেণু ছায়ানট থেকে সঙ্গীতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে ছোটবেলায় তারমাঝে দেশপ্রেমের চেতনা গেঁথে গিয়েছিল। ছায়ানটে তার সঙ্গীত গুরু ওয়াহিদুল হক, শেখ লুৎফুর রহমান এবং জাহেদুর রহিমের সংস্পর্শে তার আবেগ আরও শাণিত হয়, যা তাকে পরবর্তীতে মুক্তি যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করে।[২]

মুক্তিযুদ্ধে অবদান[সম্পাদনা]

বেণু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন কণ্ঠযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, মুক্তাঞ্চল ও শরনার্থী শিবিরে মুক্তিবাহিনীর মনোবল যোগাতে যেসকল শিল্পীরা সংগ্রাম ও স্বাধীনতার গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা ও শরনার্থী শিবিরের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন বেনু তাদের অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতার লেলিন রোডের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে একদল শিল্পী মিলে গড়ে তুলেছিলেন ‘বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা’ নামে সাংস্কৃতিক সংগঠন। বেনু ছিলেন সেই সাংস্কৃতিক সংগঠনের সেক্রেটারি। এই সংগঠনে আরও ছিলেন চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান, নাট্যব্যক্তিত্ব আলী জাকের, শিল্পী মোস্তফা মনোয়ার, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী শাহীন সামাদ, ছায়ানটের সনজিদা খাতুনসহ ৭৫ জনের মতো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। মার্কিন চলচ্চিত্রকার লিয়ার লেভিন মুক্তিযুদ্ধের সময় কোলকাতায় এসে যুক্ত হয়েছিলেন বেনু ও তার সঙ্গীদের সাথে। লেভিন তাদের সাথে থেকে ভিডিও চিত্র ধারন করেন। অর্থাভাবে লেভিন তার তোলা ২২ ঘণ্টার ভিডিও চিত্রগুলো দিয়ে প্রামান্যচিত্র তৈরি করতে পারেননি। চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ছিলেন বেনুর চাচাতো ভাই, ১৯৯০ সালে বেণুর মাধ্যমে তারেক মাসুদ লিয়ার লেভিনের সম্পর্কে জানাতে পারেন। পরবর্তীতে লিয়ার লেভিনের ভিডিও ও বিভিন্ন দেশ থেকে সংগৃহিত ভিডিও চিত্রের  উপর ভিত্তি করে তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ মুক্তির গান নামে চলচ্চিত্র তৈরি করেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "একুশে পদক পাচ্ছেন বিশিষ্ট ২৪ নাগরিক"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০৩ 
  2. Mahmudur Rahman Benu, Bengal Foundation ইংরেজি ভাষায়
  3. "একাত্তরের অনুচ্চারিত কণ্ঠ যোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেনু, বাংলা ট্রিবিউন, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২