ইগলেসিয়া মারাদোনিয়ানা
ইগলেসিয়া মারাদোনিয়ানা | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত রূপ | আইএম/সিওএম (IM/CoM) |
ধরন | খ্রিস্টবাদ, প্যারোডি, নব্য মতবাদ |
অভিষেক | ক্রীড়া ,প্যারডি ধর্ম |
অঞ্চল | আর্জেন্টিনা |
সদর দপ্তর | রোজারিও, আর্জেন্টিনা |
প্রবর্তক | হেক্টর ক্যাম্পোমার আলেহান্দ্রো ভেরন হার্নান আমেজ |
উৎপত্তি | ৩০ অক্টোবর ১৯৯৮ রোজারিও, আর্জেন্টিনা |
সদস্য | ১,২০,০০০–২,০০,০০০[১] |
ইগলেসিয়া মারাদোনিয়ানা (স্পেনীয়: Iglesia maradoniana; অনু. মারাদোনিয় গির্জা) আর্জেন্টিনার ফুটবল খেলোয়াড় দিয়েগো মারাদোনার ভক্তদের প্রবর্তিত ধর্ম।[২] এই ধর্মানুসারিরা বিশ্বাস করে, দিয়েগো পৃথিবীর সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। ১৯৯৮ সালের ৩০ অক্টোবর, আর্জেন্টিনার রোজারিওতে[৩] দিয়েগো মারাদোনা'র ৩৮তম জন্মদিনে তার তিন ভক্ত হেক্টর ক্যাম্পোমার, আলেহান্দ্রো ভেরন ও হার্নান আমেজ 'হ্যান্ড অব গড' উপাসনালয় স্থাপনের মাধ্যমে এই ধর্মের সূচনা করেন।[২][৪] ধর্মটিকে এর অনুসারীদের ব্যক্তিগত ব্যাখ্যার ভিত্তিতে একাধিক ধর্মের সমন্বয়ে সূচিত একটি 'যৌগিক ধর্ম' হিসেবে দেখা হয়। এই ধর্মের তিন প্রবক্তার অন্যতম আলেহান্দ্রো ভেরনের ভাষ্য অনুযায়ী তিনি রোমান ক্যাথলিক খৃষ্টবাদের যৌক্তিক অনুসারী, তবে তার হৃদয় আর আবেগকে একটি ধর্ম বয়ে নিয়ে গেছে, আর তা হলো, দিয়েগো মারাদোনা। ধারণা করা হয়, সমগ্র বিশ্বে এইধর্মের অনুসারীরা আছেন। তারা মারাদোনার জন্মসাল (১৯৬০) হতে তাদের নিজস্ব সালগণনা করেন।[২] ধর্মটির 'আমি জনতার দিয়েগো' নামে নিজস্ব ধর্মগ্রন্থ[৫] এবং প্রার্থনাগীত আছে।[৬]
দশ হিতোপদেশ
[সম্পাদনা]ইগলেসিয়া মারাদোনিয়ানা ধর্মের ১০টি নৈতিক হিতোপদেশ নিম্নরূপ:[৭]
(স্পেনীয়)
«
|
(বাংলা)
«
|
সমালোচনা
[সম্পাদনা]দিয়েগো মারাদোনার অনিয়ন্ত্রিত ও বিতর্কিত জীবন যাপন করেছেন। মাদকাসক্ত ও সমস্যাযুক্ত জীবন যাপন করা ব্যক্তি কোন কিছু বা কোন ব্যক্তির আদর্শ হতে পারে না, তিনি ইশ্বরের মর্যাদা পাওয়ার উপযুক্ত নন।-এই যুক্তিতে মারাদোনিয় গির্জা সমালোচিত হয়েছে।[৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Diego Maradona's Religion and Political Views"। hollowverse.com।
- ↑ ক খ গ "The 'Hand of God' church"। বিবিসি (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০২-১১-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৭।
- ↑ "Newsletter"। web.archive.org। ২০১৩-০৯-০১। ২০১৩-০৯-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৭।
- ↑ Selhi, Myriam (নভেম্বর ৯, ২০১৭)। "Church of Maradona: Worshipping a (Former) Demi-God With Unusual Athletic Abilities"। নভেম্বর ২৭, ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৭, ২০২০।
- ↑ "Diario Deportivo Olé - La Iglesia de Dios"। ole.com.ar (স্পেনীয় ভাষায়)। ২০১৬-১১-১৪। ২০১৬-১১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৮।
- ↑ Litvin 2014, পৃ. 61।
- ↑ "Mandamientos y oraciones de la iglesia maradoniana - Archivo Digital de Noticias de Colombia y el Mundo desde 1.990"। এল তিয়েম্পো (স্পেনীয় ভাষায়)। ২৯ আগস্ট ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ "La Iglesia Maradoniana echa sus raíces en España -"। এল মুন্ডো (স্পেনীয় ভাষায়)। ২০০৪-০৯-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৮।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Litvin, Aníbal (২০১৪)। 1.000 datos locos del fútbol mundial। V&R Editoras। পৃষ্ঠা ৯৫-১০০। আইএসবিএন 9789876127769।