ক (ইন্ডিক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Ka
বাংলা দেবনাগরী গুরুমুখী গুজরাটি ওড়িয়া
Ka Ka Ka
তামিল তেলুগু কন্নড় মালয়ালম সিংহলী
থাই লাও তিব্বতি বর্মী খমের
က
বায়বায়িন হানুনো বুহিদ তাগবানওয়া লোনতারা
বালী সুন্দা লিম্বু তাই লে নয়া তাই লু
Limbu 'Ka'
লেপছা সৌরাষ্ট্র রেজং জাভাই চাম
থাই থম থাই ভিয়েত কায়াঽ লি ফাগ্‌স-পা সিদ্ধং
Ka
মহাজনি খোজকি খোদাবাদি সিলেটি মেইতেই
𑅕 𑈈 𑊺
Modi তিরহুতা কৈথি সোরা গ্রন্থ
𑘎 𑒏 𑂍 𑃟 𑌕
চাকমা শারদা তাকরি খরোষ্ঠী ব্রাহ্মী
𑄇 𑆑 𑚊 𐨐 𑀓
ধ্বনিগ্রামিক প্রতিনিধি: /k/
আসলিব প্রতিবর্ণীকরণ: ka
ইসকি কোড পয়েন্ট: B3 (179)

হলো ভারতীয় আবুগিদার প্রথম ব্যঞ্জনবর্ণ। আধুনিক ভারতীয় লিপিতে, ক ব্রাহ্মী বর্ণ ka থেকে উদ্ভূত হয়েছে যা আবার উদ্ভূত (সেমেটিক অনুমান অনুসারে) হয়েছে আরামাইক ("ক") থেকে।

গণিতে ক (क)[সম্পাদনা]

আর্যভট্টের ব্যবহার[সম্পাদনা]

ভারতীয় সংখ্যা প্রণালী সৃষ্টির পেছনে আর্যভট্টের দেবনাগরী অক্ষর সমূহকে প্রায় গ্রীকদের দ্বারা সংখ্যা লেখার মতো ব্যবহার করা হত। क’র বিভিন্ন রূপের মানসমূহ নিচে দেয়া হল:[১]

  • क (ক) [kə] = ১ (१)
  • कि (কি) [kɪ] = ১০০ (१००)
  • कु (কু) [kʊ] = ১০,০০০ (१० ०००)
  • कृ (কূ) [kri] = ১,০০০,০০০ (१० ०० ०००)
  • कॢ (ক্৯) [klə] = ১×১০ (१०)
  • के (কে) [ke] = ১×১০১০ (१०१०)
  • कै (কৈ)[kɛː] = ১×১০১২) (१०१२)
  • को (কো) [koː] = ১×১০১৪ (१०१४)
  • कौ (কৌ) [kɔː] = ১×১০১৬ (१०१६)

দেবনাগরী ক[সম্পাদনা]

क (ক) (कवर्ण কবর্ণ) দেবনাগরী ক ব্যঞ্জন বর্ণমালার প্রথম অক্ষর। ক অক্ষরের উৎস ব্রাহ্মী অক্ষর 𑀓 (ka), যা গুপ্ত লিপির অক্ষর হিসেবে কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে দেবনাগরী হিন্দি: क’র রূপ নিয়েছে। এর থেকে উদ্ভূত হওয়া গুজরাটী অক্ষর হল ક।

ব্যবহার[সম্পাদনা]

বাংলা ক[সম্পাদনা]

ক (আ-ধ্ব-ব: [k])) হলো বাংলা বর্ণমালার প্রথম ব্যঞ্জনবর্ণ এবং ১৬তম বর্ণ। এটি কণ্ঠ থেকে উচ্চার্য অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি এবং ক-বর্গের প্রথম বর্ণ।[২] বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা মোট ৩৯টি; তার মধ্যে পূর্ণমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬টি, অর্ধমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ ৭টি এবং মাত্রা ছাড়া ব্যঞ্জনবর্ণ ৬টি। ‘ক’ হলো একটি পূর্ণমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ।

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

এটি একটি পূর্ণমাত্রাবিশিষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনি। ২৫ টি স্পর্শধ্বনি বা বর্গীয় ধ্বনির একটি এবং ক-বর্গের অন্তর্গত ঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি।

ব্যবহার[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Ifrah, Georges (২০০০)। The Universal History of Numbers. From Prehistory to the Invention of the Computer (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ ইয়র্ক: John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 447–450। আইএসবিএন 0-471-39340-1 
  2. বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, সম্পাদক, চৌধুরী, জামিল, প্রকাশক: বাংলা একাডেমি, প্রথম প্রকাশ: ১৯ শে মাঘ ১৪২২/ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬