টম রিচমন্ড
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | টমাস লিওনার্ড রিচমন্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১৯৩) | ২৮ মে ১৯২১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯১২ - ১৯৩২ | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ মে ২০১৯ |
টমাস লিওনার্ড টিচ রিচমন্ড (ইংরেজি: Tom Richmond; জন্ম: ২৩ জুন, ১৮৯০ - মৃত্যু: ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৫৭) নটিংহ্যামশায়ারের রেডক্লিফ অন ট্রেন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯২১ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ লেগ ব্রেক গুগলি বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন লেন রিচমন্ড কিংবা টিচ রিচমন্ড নামে পরিচিত টম রিচমন্ড।
কাউন্টি ক্রিকেট
[সম্পাদনা]ছোট-খাটো গড়নের অধিকারী টম রিচমন্ড লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলার হিসেবে খেলতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু যুদ্ধের পরই নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। ১৯২০ থেকে ১৯২৬ সময়কালে প্রত্যক মৌসুমেই শত উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। এ সময়ে তিনি উইকেট প্রতি মাত্র ১৩.৪৮ রান খরচ করেছিলেন। ১৯০৭ সালে টি. ওয়াসের গড়া ১৬৩ উইকেটের রেকর্ড ভঙ্গ করেন।
প্রথিতযশা ধীরগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে ১৯১২ থেকে ১৯২৮ সাল পর্যন্ত নটিংহ্যামশায়ার দলে খেলেছেন। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ২১.২৪ গড়ে ১,১৫৮টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেছেন। ব্যাট হাতে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি তিনি। এ ধারাটি তার ফিল্ডিংয়েও বহমান ছিল। উইকেট সংখ্যা ৪০৬ হবার পরই কেবলমাত্র তার সংগৃহীত রান অতিক্রম করে। এ পর্যায়ে ১৯২২ সালে ওয়ার্কসপে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে এস. জে. স্ট্যাপলসের সাথে শেষ উইকেট জুটিতে পঁয়ষট্টি মিনিটে ১৪০ রান তুলেন। ৬৫ মিনিটে ৭০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এটিই তার সর্বোচ্চ রানরূপে স্বীকৃতি পায়।
১৯২২ সালে নটিংহামে হ্যাম্পশায়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯/২১ পান। এ বছর টম রিচমন্ড তার স্বর্ণালী সময়ে ছিলেন। ঐ মৌসুমে ১৬৯ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। ঐ সময়ে এ সংগ্রহটি নটিংহ্যামশায়ারের রেকর্ড হিসেবে চিত্রিত হয়। পরবর্তীতে ব্রুস ডুল্যান্ড তার রেকর্ডটি ভেঙে ফেলেন। এরপর থেকে তার খেলার মান পড়তির দিকে যেতে থাকে।
১৯২৫ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে খেলায় মাত্র ১৯ রান খরচায় নয় উইকেট (৩/৯ ও ৬/১০) দখল করেন। ১৯২৬ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে নটিংহামের খেলায় হ্যাট্রিকসহ ১৬৫ রান খরচায় তেরো উইকেট পান। ১৯২৮ সালের পর কাউন্টির দলের বাইরের চলে আসতে বাধ্য হন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]ট্রেন্ট ব্রিজে নিজ মাঠে একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন টম রিচমন্ড। ১৯২১ সালে ওয়ারউইক আর্মস্ট্রংয়ের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। ২৮ মে, ১৯২১ তারিখে নাইট, হোমস, টিল্ডসলে ও জাপের সাথে একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। দুই ইনিংস খেলে মোটে ছয় রান (৪ ও ২) তুলতে পেরেছিলেন। বল হাতে নিয়ে ৮৬ রান খরচায় দুই উইকেট লাভ (২/৬৯ ও ০/১৭) করেন। প্রথম ইনিংসে হার্বি কলিন্স ও জ্যাক গ্রিগরি - উভয়কে এলবিডব্লিউতে বিদায় করেন। ঐ খেলায় তার দল ১০ উইকেটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর আর তাকে ইংরেজ দলে নেয়া হয়নি।
২৯ ডিসেম্বর, ১৯৫৭ তারিখে নটিংহ্যামশায়ারের স্যাক্সনডেলে ৬৭ বছর বয়সে টম রিচমন্ডের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে টম রিচমন্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে টম রিচমন্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)