ভিক পোলার্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভিক পোলার্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামভিক্টর পোলার্ড
জন্ম (1945-09-07) ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ (বয়স ৭৮)
বার্নলি, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১০৭)
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট৫ জুলাই ১৯৭৩ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১২)
১৮ জুলাই ১৯৭৩ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই৩০ মার্চ ১৯৭৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩২ ১৩০
রানের সংখ্যা ১,২৬৬ ৬৭ ৫,৩১৪ ৬৭
ব্যাটিং গড় ২৪.৩৪ ৩৩.৫০ ৩০.৫৪ ৩৩.৫০
১০০/৫০ ২/৭ ০/১ ৬/৩০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ১১৬ ৫৫ ১৪৬ ৫৫
বল করেছে ৪,৪২১ - ২০,১৫৫ -
উইকেট ৪০ - ২২৪ -
বোলিং গড় ৪৬.৩২ - ৩০.৯৪ -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৩/৩ - ৭/৬৫ -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৯/- ১/- ৮১/- ১/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ জুলাই ২০১৮
ফুটবল খেলোয়াড়ি জীবন
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৬৮ র‌্যাঞ্জার্স এএফসি ১৬ (৮)
১৯৭০–১৯৭২ ক্রাইস্টচার্চ ইউনাইটেড
জাতীয় দল
১৯৬৮–১৯৭২ নিউজিল্যান্ড (০)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২১:৫৩, ২২ জুলাই ২০১৮ (সাসস) তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

ভিক্টর ভিক পোলার্ড (ইংরেজি: Vic Pollard; জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫) ইংল্যান্ডের বার্নলিতে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৪ সময়কালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি ও সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ভিক্টর পোলার্ড নামে পরিচিত ভিক পোলার্ড

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

জানুয়ারি, ১৯৬৪ সালে ১৮ বছর বয়সে ওয়ালারায় অনুষ্ঠিত রথম্যান্স অনূর্ধ্ব-২৩ প্রতিযোগিতায় সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ভিক পোলার্ডের। অভিষেক ঘটা অপর খেলোয়াড় কেন ওয়াডসওয়ার্থের সঙ্গে পরবর্তীকালে নিউজিল্যান্ড ও সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে একত্রে খেলেছেন। এরপর ১৯ বছর বয়সে ডিসেম্বর, ১৯৬৪ সালে বড়দের প্রাদেশিক দলের সদস্যরূপে ওয়েলিংটনের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।

অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হবার ৩ বছর পর ডিসেম্বর, ১৯৬৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে নিজস্ব ৫০তম খেলায় প্রথম-শ্রেণীর খেলায় সেঞ্চুরি করেন। কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র হওয়া ঐ খেলায় তিনি ১২৫ রান তুলেছিলেন। মার্চ, ১৯৬৭ সালে নিউ প্লাইমাউথে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৭/৬৫ করেন। খেলায় তিনি ১১/৯১ লাভ করেছিলেন।

মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৬৭ সালে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের অধিনায়ক মনোনীত হন তিনি। পরবর্তী তিন মৌসুমের দুইটিতে প্লাঙ্কেট শীল্ড চ্যাম্পিয়নশীপে নেতৃত্ব দেন। এরপর কলেজ শিক্ষকতায় মনোনিবেশ ঘটানোর লক্ষ্যে ক্যান্টারবারিতে স্থানান্তরিত হন। শুরুতে ক্যান্টারবারির অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তাকে। রবিবার দিন খেলায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতেন নিজেকে। ফলশ্রুতিতে, পরবর্তী দুই মৌসুমের অনেকগুলো খেলায় অনুপস্থিত ছিলেন। বিশ্রাম নেয়ার কারণে তিনি কখনো খেলায় অংশ নেননি।[১]

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

মাত্র ছয়টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের পর নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে খেলার জন্য মনোনীত হন ভিক পোলার্ড। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩২টি টেস্ট ও ৩টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। ১৯৬৫ সালে দলের সাথে ভারত ও পাকিস্তান গমন করেন। চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অভিষিক্ত হন তিনি। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫ তারিখে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে ভিক পোলার্ডের। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দিলীপ সরদেশাইকে নিজস্ব প্রথম বলে ২২ রানে পরিষ্কার বোল্ড করে দেন। প্রথম ইনিংসে ৩/৯০ বোলিং পরিসংখ্যানের পাশাপাশি একটি ক্যাচ ও দ্বিতীয় ইনিংসে একটি উইকেট পান।

ধর্মীয় বিশ্বাসবোধের সাথে সংঘাত ঘটায় নিজেকে টেস্ট অধিনায়কত্ব করার চিন্তাধারা মুছে ফেলেন। ১৯৭২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বেশ কয়েকটি খেলা রবিবার অনুষ্ঠিত হবার প্রেক্ষিতে নিজ নাম প্রত্যাহার করে নেন।

ইংল্যান্ড গমন[সম্পাদনা]

ভারতের বিপক্ষে চার টেস্টের সবগুলো ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন টেস্টে ১৫.২৭ গড়ে ১৬৮ রান এবং ৬০.৫০ গড়ে ১০ উইকেট পান। এক মাস পর ১০ সপ্তাহের সফরে ইংল্যান্ডে যান। তিন টেস্টের সিরিজে অংশগ্রহণসহ সমগ্র সফরে ৫৬.২০ গড়ে ২৮১ রান তুলে দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যান ছিলেন।

১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। তখনো নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডকে টেস্টে পরাজিত করতে পারেনি। সিরিজে ইংল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে জয়ী হয় ও বাদ-বাকী তৃতীয় টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়। ট্রেন্ট ব্রিজে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৪৭৯ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় খেলতে নেমে এক পর্যায়ে ৪০২/৫ করে। ষষ্ঠ উইকেটে পোলার্ড ও কেন ওয়াডসওয়ার্থ ৯৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। জিওফ আর্নল্ডের বলে ওয়াডসওয়ার্থ ৪৬ রানে আউট হলে শেষ ৫ উইকেট মাত্র ৩৮ রানে পতন ঘটে। চূড়ান্ত দিন সকালে টনি গ্রেগের এ সাফল্যে ইংল্যান্ড ৩৮ রানে জয় তুলে নেয়। পোলার্ড স্মরণীয় সিরিজ খেলেন। তিন টেস্টে অপরাজিত ১৬, ১১৬, অপরাজিত ১০৫, ৬২ ও ৩ রান করে ১০০.৬৬ গড়ে রান সংগ্রহ করেছিলেন।

অবসর[সম্পাদনা]

এ সিরিজের পর ২৯ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান। এর আঠারো মাস পর জানুয়ারি, ১৯৭৫ সালে প্লাঙ্কেট শীল্ড প্রতিযোগিতায় অকল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার পর অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ক্রাইস্টচার্চভিত্তিক হিলমর্টন হাই স্কুল ও মিডলটন গ্রাঞ্জ স্কুলে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন। এরপর উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।

২৫ বছর পর সাউথ আইল্যান্ডভিত্তিক রাজনৈতিক দল ক্রিস্টিয়ান হেরিটেজ পার্টিতে যোগ দেন। প্রার্থীতার তালিকায় তিনি তৃতীয় স্থানে ছিলেন। কিন্তু, নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি ও কয়েকবছর পর দল থেকে পদত্যাগ করেন।

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

ভিক পোলার্ডের টেস্ট শতকসমূহ
ক্রমিক রান খেলা প্রতিপক্ষ শহর/দেশ মাঠ সাল ফলাফল
[১] ১১৬ ৩০  ইংল্যান্ড ইংল্যান্ড নটিংহাম, ইংল্যান্ড ট্রেন্ট ব্রিজ ১৯৭৩ পরাজয়
[২] ১০৫* ৩১  ইংল্যান্ড ইংল্যান্ড লন্ডন, ইংল্যান্ড লর্ডস ১৯৭৩ ড্র

ফুটবলে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

পূর্ণাঙ্গমানের অল হোয়াইটসের পক্ষে ভিক পোলার্ডের অভিষেক ঘটে। ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৮ তারিখে ফিজির বিপক্ষে তার দল ৫-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল।[২] সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৭টি আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলায় অংশ নেন।[৩] ১৪ অক্টোবর, ১৯৭২ তারিখে শেষ খেলায় নিউ ক্যালিডোনিয়ার বিপক্ষে তার দল ১-৩ ব্যবধানে পরাজয়বরণ করে।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ল্যাঙ্কাশায়ারে জন্মগ্রহণকারী ভিক পোলার্ডের পরিবার ১৯৫২ সালে নিউজিল্যান্ডে অভিবাসিত হয়। পালমারস্টোন নর্থ বয়েজ হাইস্কুল ও ডাক্স ল্যাডোরামে অধ্যয়ন করেন তিনি। তাসত্ত্বেও ব্রিটিশ ও নিউজিল্যান্ডীয় জাতীয়তা - উভয়টিই বজায় রাখেন। স্বভাবজাত অ্যাথলেট হিসেবে ক্রিকেট ও ফুটবলে সমান দক্ষতা প্রদর্শন করতেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ভিক পোলার্ডের ৫ সন্তান রয়েছে। ২০০১ সালে উভয় কোমর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Like Father Unlike Son"। ৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৮ 
  2. "A-International Lineups"। The Ultimate New Zealand Soccer Website। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০০৯ 
  3. "A-International Appearances - Overall"। The Ultimate New Zealand Soccer Website। ৭ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০০৯ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]