বিষয়বস্তুতে চলুন

জন হল্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জন হল্ট
আনুমানিক ১৯৪৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জন হল্ট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জন কেনেথ কনস্ট্যান্টাইন হল্ট
জন্ম১২ আগস্ট, ১৯২৩
কিংস্টন, জ্যামাইকা
মৃত্যু৩ জুন, ১৯৯৭
কিংস্টন, জ্যামাইকা
ডাকনামজেকে হল্ট জুনিয়র
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষক
সম্পর্কযোসেফ হল্ট (পিতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৮২)
১৫ জানুয়ারি ১৯৫৪ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৬ মার্চ ১৯৫৯ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
জ্যামাইকা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৭ ৭১
রানের সংখ্যা ১,০৬৬ ৪,২৫৮
ব্যাটিং গড় ৩৬.৭৫ ৪১.৩৩
১০০/৫০ ২/৫ ৯/২২
সর্বোচ্চ রান ১৬৬ ১৭২
বল করেছে ৩০ ৩৬৬
উইকেট
বোলিং গড় ২০.০০ ৩৫.৩৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২০ ১/২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮/০ ৩০/১
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৩ মার্চ ২০১৮

জন কেনেথ কনস্ট্যান্টাইন হল্ট (ইংরেজি: John Holt; জন্ম: ১২ আগস্ট, ১৯২৩ - মৃত্যু: ৩ জুন, ১৯৯৭) জ্যামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৯ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ১৭ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জ্যামাইকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন জে. কে. হল্ট জুনিয়র নামে পরিচিত জন হল্ট। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৪৬ থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত জ্যামাইকার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন জন হল্ট। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে ব্রিটিশ গায়ানার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭২ রান তুলেন তিনি। ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে কমনওয়েলথ একাদশের সদস্যরূপে ভারত, পাকিস্তান ও সিলন গমন করেন। এ সময়ে ৩৯.৯০ গড়ে ৮৩৮ রান তুলেন ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬২ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেছিলেন। ১৯৫০ ও ১৯৫১ সালের ইংরেজ গ্রীষ্মকালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে হ্যাসলিংডেনের পক্ষে খেলেছেন।

টেস্ট ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে এমসিসি দল জ্যামাইকা সফরে আসে। সফরকারী দলের বিপক্ষে ১৫২ রান তুলেন। এর কয়েকদিন পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তার। প্রথম ইনিংসে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ও ৫৪ রান সংগ্রহ করেন তিনি। পাঁচ টেস্টের ঐ সিরিজে ৫৪.০০ গড়ে ৪৩২ রান করেছিলেন জন হল্ট। তন্মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১৬৬ রান করেছিলেন যা তার খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বোচ্চ ছিল।

১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজে অংশ নিলেও তুলনামূলকভাবে কম সফলতা পান। ২৫.১০ গড়ে ২৫১ রান তুলতে পেরেছিলেন। এরপর দলের বাইরে অবস্থান করেন। তবে, ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে জেরি আলেকজান্ডারের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন ও দলের সহঃ অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ভারত ও পাকিস্তান গমন করেন। সফরের সবগুলো খেলাতেই সাবলীলভাবে অংশগ্রহণ ছিল তার। তিন সেঞ্চুরি সহযোগে ৪৩.৫২ গড়ে ১০০১ রান তুলেন। ভারতে পাঁচ টেস্টের সবকটিতেই অংশ নিয়ে ৪৯.০০ গড়ে ৩৪৩ রান তুলেন। তন্মধ্যে পঞ্চম টেস্টে ১২৩ রান তুলেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানে খেলায় ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। প্রথম দুই টেস্টে মাত্র ৪০ রান তুলেন যাতে পাকিস্তান দল সফরকারীদের বিপক্ষে জয় তুলে নেয়। ফলশ্রুতিতে রবিন বাইনো তার স্থলাভিষিক্ত হন।

মূল্যায়ন

[সম্পাদনা]

লেসলি হিল্টনকে ফাঁসীকাষ্ঠে ঝোলানোর পূর্বদিন বার্বাডোসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টেস্ট খেলা চলছিল। জ্যামাইকান খেলোয়াড় হিসেবে জে.কে. হল্ট স্বাগতিক দলে খেলেন। মাঠে তিনি বেশ কয়েকবার ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি ও কঠিন সময় পার করছিলেন। এ বিষয়ে ক্রিকেট লেখক ও ধারাভাষ্যকার টনি কোজিয়ার মন্তব্য করেন যে, জঘন্যতার সঙ্কেত দিচ্ছে। দর্শকেরা ব্যানারে ‘হল্টকে ফাসি দাও, হিল্টনকে বাঁচাও’ লেখা প্রদর্শন করে।[]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৭৬ সালে জ্যামাইকান অর্ডার অব ডিস্টিংকশন পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।[] তার বাবা যোসেফ হল্ট ১৯২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন। ৩ জুন, ১৯৯৭ তারিখে ৭৪ বছর বয়সে জ্যামাইকার কিংস্টনে জন হল্টের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Cozier 1997
  2. Wisden 1998, p. 1433.

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]