শেখ হবিবর রহমান
শেখ হবিবর রহমান সাহিত্যরত্ন | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯১ (মতান্তরেঃ ১৮৯০, বা, ১৮৯৪) |
মৃত্যু | ৭ মে ১৯৬২ |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | শিক্ষকতা ও সাহিত্যিক |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | পারিজাত, কোহিনুর |
শেখ হবিবর রহমান সাহিত্যরত্ন (১৮৯১ - ৭ মে ১৯৬২)[১] হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। তিনি বাংলা একাডেমির একজন “সন্মানিত ফেলো” ছিলেন।[২]
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি[সম্পাদনা]
শেখ হবিবর রহমান ১৮৯১ সালে বর্তমান মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার ঘোষগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[১][৩] তাঁর বাবার নাম শেখ দেরাজতুল্লাহ এবং দাদার নাম শেখ হেরাজতুল্লাহ।
শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
তিনি শিক্ষক হিসাবে ১৯১৪ সালে যশোর জিলা স্কুলে কর্মজীবন শুরু করেন এবং পর্যায়ক্রমে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত বারাসাত সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুল ও বারাকপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে খুলনায় মক্তব সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে ১৯৪৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন।[৪] পরবর্তীকালে, তিনি ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত খুলনা করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেন।[৪]
মৃত্যু[সম্পাদনা]
হবিবর রহমান ১৯৬২ সালের ৭ মে খুলনায় মৃত্যুবরণ করেন।[৪]
সাহিত্য-কর্ম[সম্পাদনা]
হবিবর রহমান সাপ্তাহিক মোহাম্মদী পত্রিকার সহকারী সম্পাদক (১৯১৪) এবং মাসিক বঙ্গনূর (১৯১৯) ও ঊষা পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪] তিনি কলকাতায় ‘‘পারিজাত সাহিত্য কুটির’’ প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] তার বিখ্যাত সাহিত্য-কর্মগুলো হলোঃ[৩][৪]
- পারিজাত (১৯১২),
- আবে হায়াত (গজল গ্রন্থ, ১৯১৪),
- চেতনা (প্রবন্ধ সংকলন, ১৯১৫),
- পরীর কাহিনী (প্রেম উপাখ্যান, ১৯১৬),
- নিয়ামত (গল্প গ্রন্থ ১৯১৭),
- বাঁশরী (কাব্য গ্রন্থ, ১৯১৭),
- হাসির গল্প (১৯১৭),
- কোহিনূর (মহাকাব্য, ১৯১৯),
- আলমগীর (উপন্যাস ১৯১৯),
- মালাবারে ইসলাম প্রচার (১৯১৯),
- ভারত সম্রাট বাবর (কিশোর ইতিহাস, ১৯১৯),
- পরীজাদী গুলবাহার (প্রেম উপাখ্যান, ১৯১৯),
- সা’দীর কলাম (অনূদিত কাব্যগ্রন্থ, ১৯২৬),
- সুন্দর বনের কাহিনী (১৯২৭),
- আমার সাহিত্যজীবন (১৯২৭),
- গুলশান (কাব্য গ্রন্থ, ১৯২৮),
- জিনপরী (প্রম উপাখ্যান, ১৯২৮),
- গুলিস্তাঁ (বঙ্গানুবাদ, ১৯৩৩),
- বুস্তা বঙ্গানুবাদ (১৯৩৩)
- ছেলেদের হযরত মুসা (১৯৩৪),
- কর্মবীর মুন্শী মেহেরুল্লাহ্ (১৯৩৪),
- ছোটদের গল্প (১৯৩৫),
- ভারত সম্রাট বাবর (১৯৩৬),
- সংক্ষেপে বিষাদ সিন্ধু (১৯৩৭),
- ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ (কিশোর কাব্য সংকলন, ১৯৪৩),
- শয়তানের সভা (সচিত্র ব্যঙ্গরসাত্মক গদ্যরচনা, ১৯৪৬),
- মোল্লা বাকাউল্লাহ (গল্প গ্রন্থ, ১৯৪৭),
- ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম (প্রবন্ধ পুস্তক, ১৯৪৯),
- মরণের পরে (গদ্য, ১৯৫৫),
- হায়াতে সাদী,
- বুস্তার গল্প
- ধর্মবিদ্বেষ ও ইসলাম ইত্যাদি।
পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]
‘নদীয়া সাহিত্য সভা’ তাকে ‘‘সাহিত্যরত্ন’’ উপাধিতে ভূষিত করে।[৪] সাহিত্যক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ তাকে “সম্মানসূচক ফেলোশিপ” প্রদান করে।[২]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "মাগুরা জেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব: শেখ হবিবর রহমান সাহিত্যরত্ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নঃ মাগুরা জেলা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ "বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ"। বাংলা একাডেমি। ৬ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "দেশবীক্ষণঃ মাগুরা জেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। দৈনিক যায় যায় দিন অনলাইন। ৩০ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ বদিউজ্জামান (জানুয়ারি ২০০৩)। "রহমান, শেখ হবিবর"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭। ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- শেখ হবিবর রহমান সাহিত্যরত্ন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে - জাতীয় তথ্য বাতায়ন হতে সংকলিত নিবন্ধ।
- শেখ হবিবর রহমান - বাংলাপিডিয়া হতে সংকলিত নিবন্ধ।