বাংলাদেশে বিহারী নিপীড়ন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলাদেশে বিহারী মুসলিম সংখ্যালঘু (আটকে পড়া পাকিস্তানি নামেও পরিচিত[১]) ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের (পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ বলা হয়[২]) সময় ও পরে নির্যাতনের[৩] এবং ব্যাপক বৈষম্য শিকার হন।[৪] ১৯৪৭-এ পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পর ভারতের বিহার অঞ্চল থেকে স্থানীয় উর্দুভাষী মুসলিমদের একটি অনেক বড় অংশ পাকিস্তানের তৎকালীন পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) আসে। সাধারণভাবে এদেরকেই বিহারী বলা হয়ে থাকে। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের করা ষাটের দশকের শেষাংশে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, পূর্ব পাকিস্তানে আসা উর্দুভাষী বিহারীর সংখ্যা ২০ লক্ষ।[৫] পূর্ব পাকিস্তানের স্থানীয় মানুষের ভাষা ছিল বাংলা। সাংস্কৃতিক ভিন্নতাও ছিল। ফলে সব মিলিয়ে এই কয়েক লক্ষ লোকের আগমন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীদের কাছে আগন্তুকের মত ছিল।[৫] বিহারীরা জাতিগত উর্দুভাষী ছিলেন এবং মূলত পাকিস্তানপন্থী অবস্থান বজায় রাখেন, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বাংলা ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। বিহারীরা বাঙালি জনতা এবং মিলিশিয়াদের[৩][৬] কাছ থেকে প্রতিশোধের সম্মুখীন হয় এবং ১০০০ থেকে ১৫০,০০০ নিহত হয়।[৭][৮] বিহারী প্রতিনিধিদের দাবি ৫০০,০০০ বিহারী নিহত হয়।[৯][১০]

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট বিহারীদেরকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভের উপযুক্ত বলে আদেশ দিয়েছিল' কিন্তু ৫০০০০০ জন পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন বেছে নিয়েছিল। [১১][১২] কিছু প্রত্যাবর্তন রেডক্রসের মাধ্যমে কয়েক বছর ধরে বাস্তবায়িত হয়েছিল[১৩], কিন্তু ১৯৭৮ সালে পাকিস্তানি সরকার বাংলাদেশের বাকি পাকিস্তানিদের পাকিস্তানি নাগরিকত্ব লাভের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে।[১২] গবেষকরা (যেমন সুমিত সেন)[১৪] মনে করেন যে পাকিস্তান সরকার বিহারীদের জাতীয়করণ এবং পাকিস্তানে তাদের পুনর্বাসনকরতে অনিচ্ছুক তা শরণার্থীদের মর্যাদা প্রদানের জন্য নির্যাতনের যথেষ্ট প্রমাণ। বিহারীরা তাদের নাগরিকত্ব মর্যাদার সাথে সংযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে,[১৫] এবং অনেকে শরণার্থী শিবিরে বাস করে।[১৬]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

দেশভাগের সহিংসতা[সম্পাদনা]

বিহার (বর্তমানে পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য) দেশ বিভাগের কারণে মুসলমান এবং হিন্দুদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জর্জরিত ছিল,[১৭] যা ব্রিটিশ ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে ছিল।[১৮] ১৯৪৬ সালের অক্টোবরে ও নভেম্বর মাসে ৩০,০০০ এরও বেশি বিহারী নিহত হয়েছিল এবং প্রায় দশ লক্ষ পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান।[১৯] ১৯৪৬ সালে বিহারে দাঙ্গার পর জিন্নাহ বলেন , 'আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে আমার জীবদ্দশায় আমি পাকিস্তানকে দেখতে পাব, কিন্তু বিহারের বেদনাদায়ক ঘটনার পর তা ঘটতে যাচ্ছে।' মুসলিম লীগ সিন্ধুতে বিহারী শরণার্থীদের পুনর্বাসনের আয়োজন করে। ১৯৪৬ সালে সিন্ধু ও বাংলার শিবিরে বিহারী শরণার্থীদের আগমন ১৯৪৭ সালে শরণার্থীদের পরবর্তী আন্দোলনের শুরু হয়।[২০]

শেখ মুজিবুর রহমান (তৎকালীন ছাত্রনেতা) তার ত্রাণ দলের সাথে বিহারের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং ১৯৪৭ সালে বিহারী শরণার্থীদের পূর্ববঙ্গে চলে যেতে বলেন।[১৭]

বিহার থেকে অভিবাসন[সম্পাদনা]

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের সময় ১১.৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়; লক্ষ লক্ষ মুসলমান ভারত থেকে পাকিস্তানে চলে আসেন যখন লক্ষ লক্ষ হিন্দু ও শিখ পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসেন।[২১][২২] দ্বিজাতির তত্ত্বের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় মুসলমানদের একটি স্বাধীন মাতৃভূমি থাকা উচিত; এর ফলে পাকিস্তানের আধিপত্যবিস্তারে ব্যাপক মুসলিম অভিবাসন শুরু হয়।[২৩][২৪] ১৯৫১ সালের শুমারি অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানে ৬৭১০০ জন বিহারী ছিল; ১৯৬১ সালে  বিহারী জনসংখ্যা ৪৫০০০০ জনে পৌঁছে। বিস্তারিত হিসাবমতে, ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের পরবর্তী দুই দশকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মুসলিম পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার থেকে পূর্ববাংলায় চলে এসেছিল।[২৫]

পটভূমি[সম্পাদনা]

বিহারী ও বাঙালিদের ভেতর সাম্প্রদায়িক নৃশংসতার কারণ হিসেবে যা উল্লেখ করা হয় তা হল বাঙালিদের রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষার দাবি করা, যার ফলাফল বাংলা ভাষা আন্দোলন। পূর্ব পাকিস্তানের অপেক্ষাকৃত ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের ধর্মভিত্তিক রাজনীতি দুই সম্প্রদায় ও দেশের দুই অঞ্চলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছিল।[২৬] ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিহারীরা আওয়ামী লীগের পরিবর্তে মুসলিম লীগকে বা পিডিপি সমর্থন করেছিল। সংগত কারণেই মুক্তিযুদ্ধেও তারা বাংলাদেশ-বিরোধী অবস্থান নেয়। অবিচ্ছিন্ন পাকিস্তান সময়ে (১৯৪৭-৭১) তারা নিজেদেরকে পশ্চিম পাকিস্তানি বলে পরিচয় দিত।[২৭]

সশস্ত্র প্যারামিলিশিয়া গ্রুপ, যেমন আল-শামস, রাজাকার এবং আলবদরকে সশস্ত্র বাহিনীকে বিহারীরা সমর্থন করেছিল। এই বাহিনীগুলো বাঙালি, সাধারণ মানুষ, ধর্মীয় ও সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে গণহত্যার পরিচালনা করে। গবেষকদের মতে, এই হত্যাযজ্ঞে মৃত মানুষের সংখ্যা বিশ থেকে ত্রিশ লক্ষ। আরজে রুমেল ও ম্যাথু হোয়াইট এর হিসেবে, মৃত সাধারণ বাঙালির সংখ্যা ১.৫ মিলিয়ন।[২৮][২৯] হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট মতে, পাকিস্তানিরা মাত্র ২৫,০০০ হত্যাকাণ্ড পরিচালনার কথা স্বীকার করে।

বাঙালিদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করার পর[৩০][৩১] বিহারীরা প্রতিশোধের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। ঝুঁকি প্রকল্পে সংখ্যালঘুরা যুদ্ধের সময় নিহত বিহারীদের সংখ্যা ১০০০; যাইহোক, আর জে রুমেল ১৫০,০০০ জনের একটি "সম্ভাব্য" সংখ্যা উদ্ধৃত করেছেন।[৩২]

ঘটনাসমূহ[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে চট্টগ্রামে বাঙালি জনতার হাতে ৩০০ বিহারী নিহত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপারেশন সার্চলাইট চালু করার যৌক্তিকতা হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই গণহত্যাকে ব্যবহার করে।[৩৩] বিহারীদের যশোর, পাঁচবিবি এবং খুলনায়[৩৪] হত্যা করা হয় (যেখানে, মার্চ ১৯৭২ সালে ৩০০ থেকে ১০০০ বিহারী নিহত হয় এবং তাদের মৃতদেহ নিকটবর্তী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়)।[৩৫]

যুদ্ধ জুড়ে বাঙালিদের দ্বারা বিহারী বিরোধী আক্রমণের মাত্রা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়। বাঙালি সূত্র কয়েক হাজার থেকে ৩০,০০০ বা ৪০,০০০ অ-বাঙালির মৃত্যুর কথা স্বীকার করে।[৯]

পরবর্তী অবস্থা[সম্পাদনা]

মুক্তিযুদ্ধকালীন ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পূর্বপাকিস্তানের বাঙালি প্রতিরোধ বাহিনী অবাঙালিদের (মূলত পশ্চিম পাকিস্তানি ও বিহারী) হত্যা করেছিল বলে দাবি করা হয়।[৩৬] লেখক শর্মিলা বোস, তার ডেড রেকনিং: ১৯৭১ এর বাংলাদেশ যুদ্ধের স্মৃতি বইতে এই দাবি তুলেছেন, যদিও বোসের বই বিতর্কিত বলে বিবেচিত হয়। তার বই বহু ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক এবং লেখক দ্বারা কঠিন সমালোচিত হয়েছিল।[৩৭][৩৮][৩৯] অন্যদিকে ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি শর্মিলা বসুর উক্ত বইটি অনেক প্রশংসিতও হয়। দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে এই বইটিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা বলে উল্লেখ করা হয়।[৪০] দ্যা হিন্দু পত্রিকায় বলা হয় বইটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড এবং পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে একটি নৈতিক সমতা তৈরি করে।[৪১] অতুল মিশ্র একজন সমসাময়িক দক্ষিণ এশিয়ার পর্যালোচক, এই বইটিকে একটি স্বচ্ছ ধারণাযুক্ত পেশাদারিত্বের প্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করেন এবং বইটি ডক্টরেট শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আদর্শ পাঠ্য হিসেবে যথাযোগ্য মনে করেন।[৪২]

শরনার্থী সমস্যা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে বিহারীদের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি আদেশ ১৪৯ ঘোষণা করে। সরকারি সূত্র মতে ৬০০,০০০ বিহারী এই প্রস্তাব গ্রহণ, এবং ৫৩৯,৬৬৯ পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।[৪৩] কিন্তু ঐতিহাসিক পার্থ ঘোষের মতে, মোট ৭ লক্ষ বিহারীর মধ্যে প্রায় ৪৭০,০০০ বিহারীকে ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রসের মাধ্যমে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।[৪৪] পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি দল তাদের সরকারকে বিহারীদের গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে।[৪৫][৪৬]

সুরুর হোদা, একজন সমাজতান্ত্রিক নেতা, শরণার্থী সংকট সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ ডেভিড এনাল এবং বেন হুইটেকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের আয়োজন করেন, যা অনেক শরণার্থীকে পাকিস্তানে ফিরে যেতে উৎসাহিত করে।[৪৭] ১৯৭৪ সালের একটি চুক্তিতে পাকিস্তান ১৭০,০০০ বিহারী শরণার্থী গ্রহণ; যাইহোক, তারপর থেকে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে।[৪৮]

অভিবাসন[সম্পাদনা]

তাদের প্রাথমিক পাকিস্তানপন্থী অবস্থানের কারণে, বিহারীরা পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর ইচ্ছা ধারাবাহিকভাবে ছিল। প্রাথমিকভাবে, ৮৩,০০০ বিহারী (৫৮,০০০ প্রাক্তন সরকারী কর্মচারী এবং সামরিক কর্মচারী), বিভক্ত পরিবারের সদস্য এবং ২৫,০০০ অন্যান্য বিহারীকে পাকিস্তানে সরিয়ে নেওয়া হয়।[৪৪] ১৯৭৪ পর্যন্ত, ১০৮,০০০ জন পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়েছে (প্রধানত আকাশপথে); ১৯৮১ পর্যন্ত, প্রায় ১৬৩,০০০। উভয় দেশই রাষ্ট্রহীন দের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, কিন্তু মাত্র কয়েকশত লোক পাকিস্তানে যেতে সক্ষম হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের তত্ত্বাবধানে ১১৯,০০০ বিহারীকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।[৪৯] ইউএনএইচসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী দ্বিতীয় দিল্লি চুক্তির পর ১৭০,০০০ বিহারী কে ফেরত পাঠানো হয়। ১৯৭৭ সালে, ৪৭৯০ টি পরিবার ফেরত পাঠানো হয়; ১৯৭৯ সালে ২৮০০; ১৯৮১ সালে ৭০০০; ১৯৮৪ সালে ৬০০০; এবং ১৯৯৩ সালে ৫০ পরিবার।[৫০] ১৯৭৩-১৯৯৩ সালের মধ্যে প্রায় ১৭৮,০৬৯ জন বিহারীকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়।[১১][৫১][৫২]

বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]

যদিও অনেক বিহারী বাংলাদশের বাঙালি জনসাধারণের ভেতর অঙ্গিভূত হয়ে গিয়েছে, কিছু পাকিস্তানে চলে গিয়েছে এবং বাংলাদেশজুড়ে শরনার্থী শিবিরে অবস্থান নিয়েছে।[৫৩] এক হিসাবমতে বাংলাদেশের শহুরে শরনার্থী শিবিরে এখনো কমপক্ষে ২,৫০,০০০ বিহারী রয়েছে।[৫৪] ক্যাম্পগুলো বস্তিতে পরিণত হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি (জেনেভা ক্যাম্প নামে পরিচিত, যাতে ২৫,০০০ এর বেশি লোক আছে) ঘনবসতিপূর্ন ও অনুন্নত; ১০ জন লোকের একটি পরিবার একটি কক্ষে থাকে[৫৫],৯০ টি পরিবার একটি ল্যাট্রিন ভাগাভাগি করে এবং পাঁচ শতাংশের কম লোকের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আছে। শিক্ষার সুযোগের অভাবে এবং জীবনের নিম্ন মানের কারণে বস্তির তরুনেরা সম্প্রদায়ে শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য উর্দুভাষী যুব উন্নয়ন সংগঠন (উর্দুভাষী তরুন ছাত্র সংস্থা) প্রতিষ্ঠা করেছে। খারাপ ড্রেইনেজ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে স্বাস্থ্য[৫৬] ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সমস্যা লেগেই থাকে এবং খবর প্রতিবেদনে ও একাডেমিক জার্নালে বিহারীদের অর্থনৈতিক অবস্থা অতি দরিদ্র বলে  প্রকাশিত হয়েছে।[৫৫]

২০১৪ সালের কালশী সংঘর্ষ[সম্পাদনা]

২০১৪ সালে মিরপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে বিহারীদের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।[৫৭] এই সংঘর্ষের একপর্যায়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল বাঙালি একটি বিহারী পরিবারের আটজনসহ মোট নয় জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলে।[৫৮]

আক্রমণে প্ররোচনাদানের জন্য বিহারীরা আওয়ামী লীগের জনৈক সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাকে দোষারোপ করেছিল।[৫৯] ইলিয়াস মোল্লা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন এবং অভিযোগটি তার বিরুদ্ধে একধরনের "স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র" বলে জানান।[৬০]

নাগরিকত্ব প্রদান[সম্পাদনা]

২০০৩ সালের মে মাসে বাংলাদেশে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে দশজন বিহারী শরণার্থীকে নাগরিকত্ব ও ভোটের অধিকার প্রদান করে।[৬১] এই আইন বিহারীদের মধ্যে প্রজন্মের ব্যবধান উন্মোচিত করেছিল; তরুন বিহারীরা পরম উল্লাসিত হয়েছিল, কিন্তু অনেক বয়স্ক মানুষ "উৎসাহে ভাটা" অনুভব করেছিল এবং বলেছিল তাদের আসল বাড়ি পাকিস্তানে।[৬২] অনেক বিহারী এখন বৃহত্তর নাগরিক অধিকার এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রত্যাশী।[৬৩]

২০০৮ এর ১৯ মে, ঢাকা হাই কোর্ট ১,৫০,০০০ জন শরণার্থী যারা ১৯৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংখ্যালঘু ছিল, তাদের নাগরিকত্ব ও ভোটের অধিকার অনুমোদন করে।[৫৬][৬৪] যারা যুদ্ধের পর জন্ম নিয়েছিল তারাও নাগরিকত্ব ও ভোটের অধিকার অর্জন করে। ২০০৮ সালের সাধারন নির্বাচনে অনেক রাজনৈতিক দল বিহারী ভোটের জন্য ক্যাম্পে প্রচার অভিযান চালিয়েছিল এবং দলটি পার্টি ও প্রার্থীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়েছিল।[৬৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bradley, Megan (২০১৩-০৩-২১)। Refugee Repatriation: Justice, Responsibility and Redress (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-1-107-02631-5 
  2. Moss, Peter, 1921- (২০০৪)। Secondary social studies for Pakistan। Oxford [England]: Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-579989-7ওসিএলসি 651126824 
  3. Hofmann, Rainer (২০১১)। Minority Rights in South Asia (ইংরেজি ভাষায়)। Peter Lang। আইএসবিএন 978-3-631-60916-3 
  4. "Citizenship for Bihari refugees" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০৫-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১০ 
  5. পারভীন, ফারহানা (২০১৭-০৮-১৮)। "উর্দুভাষীরা কেন বাংলাদেশের মূল সমাজে মিশতে পারেনি?"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২২ 
  6. Schendel, Willem van (২০০৯-০২-১২)। A History of Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-1-316-26497-3 
  7. Fink, George (২০১০-১১-২৫)। Stress of War, Conflict and Disaster (ইংরেজি ভাষায়)। Academic Press। পৃষ্ঠা ২৯২। আইএসবিএন 978-0-12-381382-4 
  8. Kurtz, Lester R.; Turpin, Jennifer (১৯৯৯-০৮-২৪)। Encyclopedia of Violence, Peace, and Conflict (ইংরেজি ভাষায়)। Academic Press। আইএসবিএন 978-0-12-227010-9 
  9. Gerlach, Christian (২০১০-১০-১৪)। Extremely Violent Societies: Mass Violence in the Twentieth-Century World (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-1-139-49351-2 
  10. Rummel, R. J. (১৯৯৭-০১-০১)। Death by Government (ইংরেজি ভাষায়)। Transaction Publishers। আইএসবিএন 978-1-56000-927-6 
  11. Khan, Borhan Uddin; Muhammad Mahbubur Rahman (২০১০)। Rainer Hofmann, Ugo Caruso, সম্পাদক। Minority Rights in South Asia। Peter Lang। পৃষ্ঠা 101। আইএসবিএন 978-3631609163 
  12. Abdus Sattar Ghazali (২৪ জানুয়ারি ২০১৩)। "Four decades of sufferings of the stranded Pakistanis in Bangladesh" 
  13. "Bangladesh: ICRC honoured for helping victims of 1971 conflict"। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৩ 
  14. Sumit Sen (1999-2000). Stateless Refugees and the Right to Return: The Bihari Refugees of South Asia (Parts 1 & 2), International Journal of Refugee Law Vol.11 No.4 and Vol.12 No.1
  15. Bradley, Megan (২০১৩-০৩-২১)। Refugee Repatriation: Justice, Responsibility and Redress (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-1-107-02631-5 
  16. "'Stranded Pakistanis' living in camps in Bangladesh – in pictures"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৮-১১। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১০ 
  17. Blitz, Brad K.,, Lynch, Maureen (Maureen Jessica),। Statelessness and citizenship : a comparative study on the benefits of nationality। Cheltenham, UK। পৃষ্ঠা ১১৭। আইএসবিএন 978-1-84980-067-9ওসিএলসি 707883919 
  18. Natarajan, Nalini (১৯৯৬)। Handbook of twentieth-century literatures of India। Nelson, Emmanuel S. (Emmanuel Sampath)। Westport, Conn.: Greenwood Press। পৃষ্ঠা ২৫৬আইএসবিএন 0-313-03267-Xওসিএলসি 179140690 
  19. Biju, M. R. (২০১০)। Developmental Issues in Contemporary India (ইংরেজি ভাষায়)। Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা ২৪৬। আইএসবিএন 978-81-8069-714-2 
  20. Ghosh, Papiya (২০০১)। "The Changing Discourse of the Muhajirs"India International Centre Quarterly28 (3): 57–68। আইএসএসএন 0376-9771জেস্টোর 23005560ডিওআই:10.2307/23005560 
  21. Veena Kukreja; M P Singh (২৩ নভেম্বর ২০০৫)। Pakistan: Democracy, Development and Security Issues। SAGE Publications। পৃষ্ঠা 40–। আইএসবিএন 978-0-7619-3416-5। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৩ 
  22. Nazli Kibria (২০১১)। Muslims in Motion: Islam and National Identity in the Bangladeshi Diaspora। Rutgers University Press। পৃষ্ঠা 11–। আইএসবিএন 978-0-8135-5055-8। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৩ 
  23. Chitkara, M. G. (১৯৯৭)। Human Rights in Pakistan (ইংরেজি ভাষায়)। APH Publishing। পৃষ্ঠা ১১১। আইএসবিএন 978-81-7024-820-0 
  24. Jacobs, Steven L. (২০০৯)। Confronting Genocide: Judaism, Christianity, Islam (ইংরেজি ভাষায়)। Lexington Books। পৃষ্ঠা ১৪১। আইএসবিএন 978-0-7391-3589-1 
  25. Joya Chatterji (২০১০)। The Spoils of Partition। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 166। আইএসবিএন 978-1-139-46830-5। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৩ 
  26. James Heitzman and Robert Worden (eds), সম্পাদক (১৯৮৯)। "Pakistan Period (1947–71)"Bangladesh: A Country Study। Government Printing Office, Country Studies US। আইএসবিএন 0-16-017720-0। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০০৭ 
  27. M. R. Biju (২০১০)। Developmental Issues in Contemporary India। Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা 246। আইএসবিএন 978-81-8069-714-2। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৩ 
  28. "Statistics Of Pakistan's Democide"। Hawaii.edu। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৩ 
  29. White, Matthew J (২০১২)। The Great Big Book of Horrible Things। New York: W.W. Norton। পৃষ্ঠা 190আইএসবিএন 978-0-393-08192-3 
  30. Ṣiddīqī, ʻAbdurraḥmān, (২০০৪)। East Pakistan the end game : an onlooker's journal 1969-1971। Karachi: Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-579993-3ওসিএলসি 57024991 
  31. Mohiuddin, Yasmeen Niaz (২০০৭)। Pakistan: A Global Studies Handbook (ইংরেজি ভাষায়)। ABC-CLIO। আইএসবিএন 978-1-85109-801-9 
  32. "STATISTICS OF PAKISTAN'S DEMOCIDE"www.hawaii.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১১ 
  33. D'Costa, Bina. (২০১১)। Nationbuilding, gender, and war crimes in South Asia। London: Routledge। পৃষ্ঠা ১০৩। আইএসবিএন 978-0-415-56566-0ওসিএলসি 432998155 
  34. Gerlach, Christian (২০১০-১০-১৪)। Extremely Violent Societies: Mass Violence in the Twentieth-Century World (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা ১৪৯। আইএসবিএন 978-1-139-49351-2 
  35. "Massacre of Biharis in Bangladesh"news.google.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২১ 
  36. Gerlach, Christian (১৪ অক্টোবর ২০১০)। Extremely Violent Societies: Mass Violence in the Twentieth-Century World। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 148ff। আইএসবিএন 978-1-139-49351-2। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৩ 
  37. "Controversial book accuses Bengalis of 1971 war crimes"BBC। ১৬ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  38. "Bose is more Pakistani than Jinnah the Quaid"The Sunday Guardian। ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  39. "Flying Blind: Waiting for a Real Reckoning on 1971"The Daily Star। ৩ অক্টোবর ২০১১। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  40. "Dead Reckoning by Sarmila Bose - review"the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৭-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৬ 
  41. Subramanian, Nirupama (২০১১-০৯-২৭)। "1971: a different history"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৬ 
  42. Mishra, Atul (২০১৩-০৩-০১)। "Dead reckoning: memories of the 1971 Bangladesh war"Contemporary South Asia21 (1): 76–77। আইএসএসএন 0958-4935ডিওআই:10.1080/09584935.2012.758473 
  43. Biju, M. R. (২০১০)। Developmental Issues in Contemporary India (ইংরেজি ভাষায়)। Concept Publishing Company। আইএসবিএন 978-81-8069-714-2 
  44. Ghosh, Partha S. (২০১৬-০৫-২৩)। Migrants, Refugees and the Stateless in South Asia (ইংরেজি ভাষায়)। SAGE Publications India। আইএসবিএন 978-93-5150-855-7 
  45. "PRC Wants Urgent Steps for Biharis' Repatriation"Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৫-১২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২১ 
  46. "MQM demands issuance of CNICs to Biharis"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৪-০২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২১ 
  47. McRobie, George (২০০৩-০৬-৩০)। "Obituary: Surur Hoda"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২১ 
  48. "South Asia Forum for Human Rights (SAFHR)"web.archive.org। ২০১২-০২-০৬। Archived from the original on ২০১২-০২-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২১ 
  49. Rizvi, H. (১৯৯৩-০১-১৫)। Pakistan and the Geostrategic Environment: A Study of Foreign Policy (ইংরেজি ভাষায়)। Springer। পৃষ্ঠা ৩৪। আইএসবিএন 978-0-230-37984-8 
  50. Farzana, Kazi Fahmida (২০০৯)। "An Artificial Minority: The Stateless Biharis in Bangladesh"Journal of Muslim Minority Affairs (ইংরেজি ভাষায়)। 29 (2): 223–235। আইএসএসএন 1360-2004ডিওআই:10.1080/13602000902943682 
  51. Khan, Borhan Uddin; Rahman, Muhammad Mahbubur (২০১৩-০১-১৬)। Protection of Minorities: Regimes, Norms and Issues in South Asia (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge Scholars Publishing। আইএসবিএন 978-1-4438-4571-7 
  52. Crock, Mary (২০১৭-০৫-১৫)। Refugees and Rights (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা ৩৬৭। আইএসবিএন 978-1-351-90562-6 
  53. "Biharis"। Minority Rights Group International। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৩ 
  54. "Biharis of Bangladesh, World Directory of Minorities"। Faqs.org। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৩ 
  55. Rafferty, Mark; Anna Gilmer (১৭ জুলাই ২০১০)। "Bangladesh's forgotten students: The Biharis struggle"Global Post 
  56. Farzana, Kazi Fahmida (২০০৮)। "The Neglected Stateless Bihari Community in Bangladesh: Victims of Political and Diplomatic Onslaught" (পিডিএফ)Journal of Humanities and Social Sciences2 (1)। ৭ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৩ 
  57. Azad, Adib; Shaon, Ashif Islam (১৮ জুন ২০১৪)। "Mirpur clashes kill 10 Biharis"Dhaka Tribune। ২১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  58. "9 burnt dead, another 'gunned down'"The Daily Star। ১৪ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  59. "Biharis point fingers at Elias"The Daily Star। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  60. Chowdhury, Kamran Reza (২৩ জুন ২০১৪)। "Bihari Camp Arson Attack: Elias Mollah denies role"Dhaka Tribune। ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  61. Rahman, Waliur (৬ মে ২০০৩)। "Vote for 'stranded Pakistanis'"BBC 
  62. Lawson, Alastair (২৮ মে ২০০৩)। "Mixed feelings over Bihari ruling"BBC 
  63. "Bangladesh: Stateless Biharis Grasp for a Resolution and Their Rights" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ মার্চ ২০০৭ তারিখে, Refugees International
  64. Dhaka, Reuters (১৮ মে ২০০৮)। "Court rules that young Biharis are Bangladesh citizens"Reuters। ২৫ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  65. Manik, Julfikar Ali (২৬ ডিসেম্বর ২০০৮)। "Parties go innovative to grab Bihari votes"The Daily Star। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭