জয়নব বিনতে জাহশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উম্মুল মুমিনিন, হযরত

জয়নব বিনতে জাহশ

রাদিআল্লাহু আনহা
জন্ম৫৯০
মৃত্যু৬৪১ (বয়স ৫৩ চন্দ্র বছর )
পরিচিতির কারণমুহাম্মদ এর স্ত্রী, উম্মুল মুমিনিন
দাম্পত্য সঙ্গী১ম স্বামীর নাম অজানা (মৃত্যু ৬২২)
যায়েদ ইবনে হারেসা (তালাকপ্রাপ্ত)
মুহাম্মদ
পিতা-মাতাজাহশ ইবনে রিয়াব
উমামা বিনতে আব্দুল মুত্তালিব
আত্মীয়আব্দুল্লাহ ইবনে জাহশ, উবাবদুল্লাহ ইবনে জাহশ, আবু আহম্মদ ইবনে জাহশ, হাবিবা বিনতে জাহশ এবং হাম্মানা বিনতে জাহশ (সহোদর)

জয়নব বিনতে জাহশ (আরবি: زينب بنت جحش; আনুমানিক ৫৯০–৬৪১) ছিলেন মুহাম্মদ এর ফুফাতো বোন[১] [২]এবং তার স্ত্রী। এই কারণে তাকে উম্মুল মুমিনিন হিসাবে মুসলমানরা সম্মান করে।[৩]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

জয়নবের পিতা হলেন জাহশ ইবনে রিয়াব, আসাদ ইবনে খুজাইমা গোত্রের অভিবাসী যিনি উমাইয়া বংশের সুরক্ষায় মক্কায় বসতি স্থাপন করেছিলেন। তার মা ছিলেন উমামা বিনতে আবদুল মুত্তালিব, কুরাইশ গোত্রের হাশিম বংশের সদস্য এবং মুহাম্মদ(সঃ) এর পিতার বোন(ফুফু)।[৪]:৩৩ সম্পর্কে জয়নব ছিলেন মুহাম্মাদের ফুফাতো বোন

জয়নবকে বলা হতো যে তিনি তার মেজাজ দ্রুত হারিয়ে ফেলেন তবে শান্তও হোন দ্রুত। তিনি তার উদারমনা ও দানশীলতার জন্য পরিচিত ছিলেন ।[৫]  তিনি একজন দক্ষ ট্যানার এবং চামড়া-কর্মী ছিলেন।  তিনি এই অর্থের প্রয়োজন না থাকার পরেও সারা জীবন এই কাজটি চালিয়ে যান।[৪]:৭৪,৭৭

তাঁর প্রথম স্বামীর নাম জানা যায়নি, তবে তিনি ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মারা গিয়েছিলেন।[৬]:১৮০ জয়নব তার ভাই আব্দুল্লাহর সাথে প্রথম দিকে হিজরত করেছিলেন[৭]

যায়েদের সাথে বিয়ে[সম্পাদনা]

৬২৫ খ্রিষ্টাব্দে, মুহাম্মদ জয়নবকে তার দত্তক পুত্র যায়েদ ইবনে হারেসাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। যায়েদ ছিলেন ইয়েমেনের বানু কালব গোত্রের সন্তান। কিন্তু শৈশবেই তিনি ক্রীতদাস-ব্যবসায়ীদের দ্বারা অপহৃত হয়েছিলেন। তারা তাকে উকায মেলায় দাস হিসেবে হাকেম ইবনে হিজামের কাছে বিক্রি করে দিলেন। হাকেম এ দাসটা খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদকে উপহার হিসেবে দিয়ে দেন। হাকেম ছিল খাদিজার ভাতুষ্পুত্র। বিয়ের পর খাদিজা তার প্রিয় দাস যায়েদকে তুলে দিলেন স্বামী মুহাম্মদের হাতে৷ নতুন স্বামীর জন্য উপহার! এর কয়েক বছর পর, মুহাম্মদ যায়েদকে মুক্ত করে দিলেন এবং তাকে তার পালকপুত্র হিসাবে গ্রহণ করলেন৷[৬]:৬–১০

নিজের সন্তানতুল্য, দায়িত্ববান, সাহসী এই যুবককেই মুহাম্মাদ তাঁর ফুফাতো বোন জয়নবের জন্য পছন্দ করলেন। কিন্তু জায়নব প্রথমে এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে দিলেন। জয়নব ছিলো কুরাইশদের সম্ভ্রান্ত পরিবারের কন্যা। অন্যদিকে যায়েদ অতীতে ছিলেন একজন দাস। সামাজিক মর্যাদায় দুজনের মাঝে ছিলো ব্যাপক পার্থক্য। সে সময় আরবরা স্বাধীন হওয়া দাসকে খুব একটা সম্মানের চোখে দেখতেন না। কিন্তু এটা ইসলামের শিক্ষা নয়।

নবী মুহাম্মাদ চাইলেন আরবদের বৈষম্যমূলক মনোভাব বদলে যাক। তিনি যাইনাবকে যায়েদের সাথে বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তৎকালীন আরবদের কৌলিন্যপ্রথাকে ভেঙে দিতে চাইলেন। মুসলিমরা যেন তাকওয়া দিয়ে মানুষকে বিচার করে, বংশ-মর্যাদা দিয়ে নয়। আর তাই তিনি নিজ আত্মীয়, নিজ পরিবার দিয়েই স্রোতের বিপরিতে যাওয়ার সূচনা করেন।[৮]

জয়নব বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মুহাম্মদের উপর কুরআনের একটা আয়াত নাজিল হলো—

"আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও নারীর সে বিষয়ে (ভিন্ন) কোনো সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবেনা। যে আল্লাহ ও রাসূলের আদেশ অমান্য করে সে তো প্রকাশ্যে পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।" (সূরা আল-আহযাব ৩৩:৩৬)

এ আয়াত নাযিলের পর জয়নব বিনা তর্কে রাজি হয়ে গেলেন। তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যায়েদকে বিয়ে করলেন। [৯]

এ বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ১০ দিনার, যা প্রায় চার ভরি স্বর্ণ পরিমাণ ও ৬০ দিরহাম বা ১৮ তোলা রৌপ্য পরিমাণ। তা ছাড়া দেওয়া হয়েছিল একটি ভারবাহী জন্তু, কিছু গৃহস্থালির আসবাবপত্র, আনুমানিক ২৫ সের আটা ও পাঁচ সের খেজুর। মুহাম্মাদ নিজের পক্ষ থেকে তা প্রদান করেছিলেন।[১০]

বিচ্ছেদ[সম্পাদনা]

কিন্তু দু'জনের সংসারে বনিবনা হলো না। তাদের সংসার টিকে ছিলো দু বছরের কম সময়। বিচ্ছেদের আগে যায়েদ মুহাম্মাদের কাছে এসে অভিযোগ করতেন যে, তাদের সংসারে ভালোবাসা নেই। মুহাম্মাদ যায়েদকে ধৈর্য ধরতে এবং আল্লাহকে ভয় করতে বলতেন । কিন্তু তাদের সংসার টিকেনি। তারা দু'জনেই সংসার না চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। দুজনের সম্মতিতে যায়েদ জয়নবকে তালাক দিয়ে দেয়।[১১]

জয়নব ও মুহাম্মাদের বিয়ে[সম্পাদনা]

একটি সামাজিক কু-প্রথার পরিসমাপ্তি[সম্পাদনা]

আরব সমাজে একটি কুসংস্কার যুগ যুগ ধরে চলে আসছিল। জাহেলী যুগের পালকপুত্র হিসেবে যাকে গ্রহণ করা হবে তাকে আসল পুত্রের মর্যাদা ও অধিকার দেওয়া হবে এবং পালকপুত্রের তালাক দেওয়া স্ত্রী বিয়ে করা ছিল সমাজের দৃষ্টিতে খুব বাজে একটা বিষয়।[১২] [১৩] এ নিয়ম আরব সমাজে এমন দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয়ে বসেছিল যে, তা বিলোপ করা সহজ ছিলো না। এদিকে পালকপুত্র বিষয়ক সমস্যা সমাধানের জন্য কুরআনের নির্দেশ ঘোষিত হয়েছে। শরীয়তের দৃষ্টিতে পোষ্যপুত্র আপন পুত্রের মত নয় এবং তার ত্বালাক দেওয়া স্ত্রীকে বিবাহ করা বৈধ।৩৩:৩৭:

এদিকে আল্লাহ ওহির নির্দেশে মুহাম্মাদকে জানালেন তিনি মুহাম্মাদ এবং জয়নবকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করাতে চান। এটা ছিলো সে সময়ের কথা যখন মুহাম্মাদের চারপাশে মুনাফিক, ইহুদি এবং কাফেরদের আধিপত্য বিস্তৃত ছিলো। কাফেররা তখন খন্দকের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। মুহাম্মাদ ধারণা করলেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি যায়েদ তার স্ত্রীকে তালাক দেয় এবং তিনি(মুহাম্মাদ) যদি যায়েদের পরিত্যক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করেন, তাহলে বিধর্মীরা সুযোগ পাবে। মুনাফিক, কাফের ও ইহুদিরা মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রোপাগান্ডা আরম্ভ করবে এবং সরল প্রাণ মুসলমানদের মন বিষিয়ে তোলার চেষ্টা করবে। তাই মুহাম্মাদ এ ব্যাপারটা গোপন রাখলেন এবং এ চেষ্টাই করলেন যেন যায়েদ তার স্ত্রীকে তালাক না দেন।[১৪] কিন্তু আল্লাহ ব্যাপারটা পছন্দ করলেন না। মুহাম্মাদের প্রতি রূঢ় বক্তব্য সম্বলিত একটি আয়াত অবতীর্ণ করলেন—

"স্মরণ কর, আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন এবং তুমিও যাকে অনুগ্রহ করেছ। তুমি তাকে বলছিলে, 'তোমার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখ এবং আল্লাহকে ভয় কর।' তুমি তোমার অন্তরে কিছু গোপন করছিলে, আল্লাহ তা এখন প্রকাশ করে দিচ্ছেন। তুমি মানুষকে ভয় করছিলে অথচ আল্লাহকে ভয় করাই তোমার উচিত ছিল"---- সুরা আহযাবঃ ৩৭

আল্লাহ সমাজের একটি অর্থহীন প্রথাকে ভেঙে দিতে চাইলেন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেটাকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। অবশেষে যায়েদ ও জয়নবের বিচ্ছেদ হলো এবং জয়নবের ইদ্দত শেষ হলে মুহাম্মাদ তাকে বিয়ে করে নেয়। আল্লাহ এ বিয়ে মুহাম্মাদের উপর অত্যাবশ্যকীয় করেন। দেরী করার কোন অবকাশ রাখা হয়নি। কোরআনের ভাষায়— " যায়েদ যখন তার স্ত্রীকে তালাক দিলো তখন আমি তাকে তোমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম, যাতে মুমিনদের পালকপুত্ররা নিজ স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটালে সে সব নারীকে বিয়ে করায় মুমিনদের কোন দোষ না হয়। আল্লাহর নির্দেশ কার্যকরী হয়ে থাকে।"---৩৩ঃ৩৭

এই বিষয়টা নিয়ে জয়নব খুব গর্ব করে মুহাম্মাদের অন্য স্ত্রীদের বলতেন, "তোমাদের বিয়ে তো হয়েছে জমিনে, আর আমার বিয়ে হয়েছে আসমানে।|"[১৫][১৬]


নিন্দা[সম্পাদনা]

জয়নব এর সাথে মুহাম্মাদ এর বিয়ের ঘটনা নিয়ে ইসলামের সমালোচকরা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, মুহাম্মাদ একজন নারীলোভী ছিলেন এবং তিনি জয়নবকে অনাবৃত অবস্থায় দেখে তাঁর রূপে আসক্ত হন এবং প্রেমে পড়ে যান। পরবর্তীতে তাঁকে বিয়ে করেন। এক্ষেত্রে তারা ৯ম শতাব্দীর একজন ঐতিহাসিক ইবনে জারীর আত- তাবারী থেকে একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেন—[৬]:১৮১[১৭]:১–৪


“রাসূল ﷺ যায়েদ ইবনে হারেসার বাসায় তাঁকে খুঁজতে গেলেন। তখন যায়েদকে বলা হতো ‘মুহাম্মাদের পুত্র’। কিন্তু তিনি তাঁকে বাসায় খুঁজে পেলেন না। এমতাবস্থায়, জয়নব তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে তাঁর রাতের পোশাক পরে বের হলেন। নবী তাঁর মুখ ফেরালেন এবং তিনি (জয়নব) বললেন, ‘হে আল্লাহর নবী! সে এখানে নেই, দয়া করে ভেতরে আসুন।’ কিন্তু নবী (ভেতরে প্রবেশ করতে) রাজি হলেন না। নবী অস্পষ্ট গুঞ্জন করতে করতে বের হয়ে গেলেন, (যার মধ্যে শুধু এতোটুকু বোঝা গেলো) ‘সকল প্রশংসা তাঁর যিনি হৃদয়ের পরিবর্তন করেন।’ যখন যায়েদ বাসায় আসলেন তখন তাঁকে ঘটনাটা জানানো হল। তারপর যায়েদ, রাসূল ﷺ এর কাছে আসলেন এবং বললেন, ‘হে আল্লাহর নবী! আমাকে বলা হয়েছে আপনি আমাদের বাসায় এসেছিলেন কিন্তু ভেতরে আসেননি। যদি এটা এই কারণে হয়ে থাকে, আপনি জয়নবকে পছন্দ করেন, তাহলে তাকে আপনার জন্য আমি ত্যাগ করবো।’ কিন্তু নবী বললেন, ‘তোমার স্ত্রীর সাথে থাকো’। এরপর যায়েদ পুনরায় জিজ্ঞেস করলে নবী আবার বললেন, ‘তোমার স্ত্রীর সাথে থাকো।’ কিন্তু যায়েদ তখন জয়নবকে তালাক দিলেন এবং তাঁর ইদ্দত পূর্ণ হয়ে গেলে নবী তাকে বিয়ে করলেন।"''

কিন্তু এ বর্ণনাটা ইসলামী স্কলাররা অগ্রহণযোগ্য বলে থাকেন।[১৮][১৯][২০] তাদের দাবি, এই বর্ণনায় কোন ধারাবাহিকতা ও ঐতিহাসিক সত্যতা নেই এবং মুহাম্মাদের মৃত্যুর প্রায় একশ বছর পর এই বর্ণনা লিপিবদ্ধ করা হয় ফলে এর বিশুদ্ধতা প্রশ্নবিদ্ধ ।[২১][২২] তাছাড়া ঘটনার একজন বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনে উমার আল ওয়াকেদীকে মিথ্যাবাদী বলা হয়। আহমদ বিন হাম্বল বলেছেন, ‘সে একজন মিথ্যাবাদী, যে কিনা হাদীস বানাতো।’ [২৩]

কিছু ঐতিহাসিক একে অযৌক্তিক মনে করেছেন৷ তাদের দাবি, তখনো পর্দার বিধান নাযিল হয়নি এবং সম্পর্কে ফুফাতো বোন হওয়ায় মুহাম্মাদ জয়নাবকে ছোটবেলা থেকে দেখে আসছেন অতএব হঠাৎ একদিনের দেখায় তিনি জয়নবের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে উঠবেন তা অযৌক্তিক। যদি জয়নবের সৌন্দর্যই মুহাম্মাদের তাকে বিয়ে করার কারণ হতো তাহলে যায়েদের সাথে জয়নবের বিয়ের ব্যবস্থা না করে তিনিই তো প্রথম তাকে বিয়ে করার কথা৷[২৪]


মৃত্যু[সম্পাদনা]

৬৪১ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ২০ হিজরি সনে জয়নব মৃত্যুবরণ করেন। মদিনার জান্নাতুল বাকিতে উনাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর(মতান্তরে ৫৩)। মুহাম্মাদের সাথে তার দাম্পত্যকাল ছিল ৬ বছর।

একদিন মুহাম্মাদের স্ত্রীগণ তার সাথে বসে ছিলেন। একজন স্ত্রী হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন, 'হে আল্লাহর রাসুল, আপনার মৃত্যুর পর স্ত্রীদের থেকে কে সর্বপ্রথম আপনার সঙ্গে মিলিত হবে(অর্থাৎ মৃত্যুবরণ করবে)? তিনি বললেন, 'তোমাদের মধ্যে যার হাত সবচেয়ে লম্বা।' মুহাম্মাদের এমন উত্তরের পর সবাই যার যার হাত মাপতে লাগলেন। দেখা গেল সাওদার হাত সবচেয়ে লম্বা। কিন্তু উম্মুল মুমিনীনদের মধ্যে মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর সবার আগে পরলোকগমন করেন জয়নব বিনতে জাহাশ। তখন অন্য স্ত্রীরা বুঝতে পারলেন, 'লম্বা হাত' বলতে মুহাম্মাহ মূলত দানশীলতায় যার হাত অধিক বড়, সেটা বোঝাতে চেয়েছেন।[২৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bewley/Saad 8:72; The History of al-Tabari. Volume VIII: The Victory of Islam, পৃষ্ঠা 4 ; The History of al-Tabari. Volume XXXIX: Biographies of the Prophet's Companions and Their Successors, পৃষ্ঠা 180 ; cf Guillaume/Ishaq 3; Maududi (1967), Tafhimul Quran, Chapter Al Ahzab
  2. Gwynne, Paul (২০১৩-১২-২৩)। Buddha, Jesus and Muhammad: A Comparative Study (ইংরেজি ভাষায়)। John Wiley & Sons। আইএসবিএন 978-1-118-46549-3 
  3. Abdulmalik ibn Hisham. Notes to Ibn Ishaq's "Life of the Prophet", Note 918. Translated by Guillaume, A. (1955). The Life of Muhammad, p. 793. Oxford: Oxford University Press.
  4. Muhammad ibn Saad, Kitab al-Tabaqat al-Kabir. Translated by Bewley, A. (1995). Volume 8: The Women of Madina. London: Ta-Ha Publishers.
  5. সহিহ মুুুুুসলিম হাদিস নং ৫৯৮৪
  6. ইবনে তাবারী. Tarikh al-Rusul wa'l-Muluk. Translated by Landau-Tasseron, E. (1998). Volume 39: Biographies of the Prophet's Companions and Their Successors. Albany: State University of New York Press.
  7. ইবনে ইসহাক. Sirat Rasul Allah. Translated by Guillaume, A. (1955). Life of Muhammad, p. 215. Oxford: Oxford University Press
  8. Thomson, A. (2012). The Wives of the Prophet Muhammad, pp. 61-62. London: Ta-Ha Publishers Ltd.
  9. Al-Jalalayn, Tafsir on Q33:36-38.
  10. Ismail ibn Umar ibn Kathir. Al-Sira al-Nabawiya. Translated by Le Gassick, T. (2000). The Life of the Prophet Muhammad, vol. 3 p. 198. Reading, U.K.: Garnet Publishing.
  11. সীরাহ মুহাম্মাদ (শেষ খন্ড) পৃষ্ঠা ১৭৭ | narrated by Him Hamzah | raindrops media
  12. IslamKotob। Tafsir Ibn Kathir all 10 volumes (ইংরেজি ভাষায়)। IslamKotob। 
  13. "For in the time of ignorance they regarded the marriage with an adopted son’s wife as illegal as that with the wife of a natural son." Koelle, S. W. (1889). Mohammed and Mohammedanism Critically Considered, p. 497. London: Rivingtons.
  14. আর রাহিকুল মাখতুম--- সফিউর রহমান মোবারকপুরী, পৃঃ ৪৭০
  15. "Sa'id Ashur— Jurisprudence from Muhammad's life p. 126"
  16. Bukhari 9:93:516.
  17. Muhammad ibn Jarir al-Tabari. Tarikh al-Rasul wa’l-Muluk. Translated by Fishbein, M. (1997). Volume 8: The Victory of Islam. Albany: State University of New York Press.
  18. Ibn Al-’Arabi, Ahkam Al-Quran (3/1543)
  19. Sirat-Un-Nabi, by Allama Shibli Nu'Mani
  20. Qadhi, Yasir, Seerah of Prophet Muhammad 69 - The Prophet's Marriage to Zaynab (ইংরেজি ভাষায়), ২০২১-১২-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০২ 
  21. Ashraf, Hasan। "The Prophet's ﷺ Marriage to Zaynab bint Jaḥsh: A Reexamination from a Historiographic Perspective HISTORY LIFE OF THE PROPHET (SEERAH) The Prophet's ﷺ Marriage to Zaynab bint Jaḥsh: A Reexamination from a Historiographic Perspective"Yaqeen Institute। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০২২ 
  22. "Prophet Muhammad and Zainab: Background to the Marriage | ICRAA"ICRAA.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৫-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১০ 
  23. মিযানুল ই'তিদাল ফি নাকদির রিজাল, ইমাম শামসুদ্দিন যাহবী (খন্ড ৬, পৃষ্ঠা-২৭৩)
  24. https://response-to-anti-islam.com/show/%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2-/60
  25. https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=56435

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]