বিষয়বস্তুতে চলুন

ল্যাপটপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
119.30.38.51 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 1383878 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
সম্পূর্ন নতুন সংযোজন
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[File:Acer Aspire 8920 Gemstone.jpg|thumbnail|right|একটি এসার এসপায়ার ৮৯২০ জেমস্টোন]]
[[চিত্র:IBM Thinkpad R51.jpg|right|thumb|আইবিএম এর থিঙ্কপ্যাড সিরিজের ল্যাপটপ কম্পিউটার]]
একটি ল্যাপটপ বা একটি নোটবুক হল বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার যা দেখতে [[ভাঁজ (আকৃতি)|ঝিনুকের]] আকৃতির এবং ভ্রমন উপযোগি<ref name="webopedia">[http://www.webopedia.com/TERM/l/laptop_computer.html What is a laptop computer]</ref>। ল্যাপটপ এবং নোটবুক পূর্বে ভিন্ন ধরা হত কিন্তু বর্তমানে তা মানা হয় না<ref name=HowStuffWorks>{{cite web|last1=Strickland|first1=Jonathan|title=What's the difference between notebooks, netbooks and ultra-mobile PCs?|url=http://computer.howstuffworks.com/notebook-vs-netbook-vs-ultra-mobile-pc.htm|website=HowStuffWorks.com|accessdate=23 September 2014}}</ref>। ল্যাপটপ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষায় এবং ব্যক্তিগত বিনোদনে।
'''ল্যাপটপ কম্পিউটার''' হল কম্পিউটারের বহনযোগ্য সংস্করণ, যা কোলের উপর রেখে কাজ করা যায়। বহনযোগ্যতার কারণে বর্তমানে ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
{{অসম্পূর্ণ}}


একটি ল্যাপটপ ডেস্কটপের সমস্ত উপাদান এবং ইনপুটগুলোকে একত্রিত করে। যেখানে প্রদর্শনী, স্পিকার, কিবোর্ড এবং টাচপ্যাড বা ট্র্যাকপ্যাড থাকে শুধুমাত্র একটি যন্ত্রে আর তা হল ল্যাপটপ। বর্তমানের বেশিরভাগ ল্যাপটপেই সন্নিহিত থাকে ওয়েবক্যাম এবং মাইক্রোফোন। একটি ল্যাপটপ চালানো যায় ব্যাটারি এবং বিদ্যুতের সরাসরি সংযোগ, এসি এডাপ্টারের মাধ্যমে। ল্যাপটপের মডেল, প্রকারভেদ ও উৎপাদনের উপর হার্ডওয়্যারের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
[[বিষয়শ্রেণী:কম্পিউটার]]

বহনযোগ্য কম্পিউটারগুলোকে পূর্বে ছোট একক বাজার হিসেবে গন্য করা হত এবং এগুলো বিশেষ ধরনের প্রায়োগিগ কাজে ব্যবহার করা হত যেমন সৈনিকদের কাজে, হিসাববিজ্ঞানেরর কাজে, বিক্রয় প্রতিনিধিদের প্রয়োজনে ইত্যাদি। এগুলো পরে আধুনিক ল্যাপটপে পরিণত হয়। এগুলো আকারে আরো ছোট, পাতলা, সস্তা, হালকা এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হতে থাকে ফলে নানা ধরনের কাজে এদের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।<ref name=NPD>{{cite web|title=U.S. Commercial Channel Computing Device Sales Set to End 2013 with Double-Digit Growth, According to NPD|url=https://www.npd.com/wps/portal/npd/us/news/press-releases/u-s-commercial-channel-computing-device-sales-set-to-end-2013-with-double-digit-growth-according-to-npd/|website=NPD Group|accessdate=23 September 2014}}</ref>

==সংজ্ঞায় ভিন্নতা==

ল্যাপটপ নামে ডাকার ব্যাপারটি শুরু হয় আশির দশকে। তখন ভ্রাম্যমান কম্পিউটারগুলোকে আলাদা করার জন্য এই নামে ডাকা হত। এসব যন্ত্রাংশ আগের ভারি বহনযোগ্য কম্পিউটারের তুলনায় এগুলো কারো কোলে রেখে ব্যবহার করা যেত। কয়েক বছর পরে প্রস্তুতকারকরা আরো ছোট আকারের বহনযোগ্য যন্ত্রাংশ উৎপাদন শুরু করে যাদের ওজন ও আকার ছিল কম। এগুলোতে প্রদর্শনী ছিল এ৪ আকারের কাগজের সমান এবং এদেরকে ডাকা হত নোটবুক নামে। কারন এগুলো তখনকার সময়ের মোটা ও ভারি ল্যাপটপের থেকে আকারে ও ওজনে ছোট ছিল।<ref name=Buzzle>{{cite web|last1=Naik|first1=Abhijit|title=Notebook Vs. Laptop|url=http://www.buzzle.com/articles/notebook-vs-laptop.html|website=Buzzle.com|accessdate=23 September 2014}}</ref>

এখন, বিশ্বের প্রায় সবজায়গায় ল্যাপটপ কথাটি বেশি ব্যবহৃত হয় এবং কিছু কিছু জায়গায় নোটবুক কথাটি চলে যেমন রাশিয়ায়। নোটবুক কথাটি ব্যবহার করা হয় বহযোগ্য যন্ত্রাংশ বুঝাতে। ডাক নামের এই ভিন্নতা সময়ের সাথে সাথে মিলিয়ে গেছে উদাহরনসরূপ, এলিয়েনওয়্যারের গেমিং যন্ত্র "এলিয়েনওয়্যার ১৮ গেমিং ল্যাপটপ" যাতে ১৮" প্রদর্শনী এবং যার ওজন ৬ কিলোগ্রামের মত, একে ল্যাপটপ এবং নোট দুটো নামেই বিবেচনা করা হয়। যদিও এটি কোলে রেখে কাজ করার উপযোগি নয় এবং নোটবুকের আঁকার প্যাডের মত এটি ছোটও নয়।<ref name=Alienware>{{cite web|title=Alienware 18 Gaming Laptop|url=http://www.dell.com/us/p/alienware-18/pd.aspx|website=Dell.com|accessdate=23 September 2014}}</ref>

==ইতিহাস==
{{প্রধান|ল্যাপটপের ইতিহাস}}
[[File:Alan Kay and the prototype of Dynabook, pt. 5 (3010032738).jpg|thumb|right|এলান কে ডায়নাবুক প্রটোটাইপ হাতে]]
[[Image:Epson-hx-20.jpg|thumb|right|[[এপসন এইচএক্স-২০]]]]
১৯৭১ সালে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সম্ভাবনার সাথে সাথে বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পউটারের চাহিদার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। এলান কে ১৯৬৮ সালে জেরক্স পার্কে একটি "ব্যক্তিগত, বহনযোগ্য নিজের কাজে তথ্য ব্যবহার করা যায়" এমন যন্ত্র হিসেবে কল্পনা করেন এবং তার গবেষনাপত্র "ডায়নাবুক" ১৯৭২ সালে বর্ণনা করেন।<ref>{{cite journal
| author = John W. Maxwell
| title = Tracing the Dynabook: A Study of Technocultural Transformations
| year = 2006
| url = http://thinkubator.ccsp.sfu.ca/Dynabook/Maxwell-DynabookFinal.pdf
| format = PDF
| accessdate =17 October 2008}}</ref> and described in his 1972 paper as the "[[Dynabook]]".<ref>{{cite journal
| author = Alan C. Kay
| title = A Personal Computer for Children of All Ages
| year = 1972
| url = http://www.mprove.de/diplom/gui/Kay72a.pdf
| format = PDF
| accessdate =17 October 2008}}</ref>

আইবিএমের বিশেষ এপিএল মেশিন পোর্টেবল (এসসিএএমপি) কম্পিউটারটি দেখানো হয় ১৯৭৩ সালে। এই পরীক্ষামূলক যন্ত্রটি আইবিএমের পালম প্রসেসরের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।<ref>{{cite web|title=IBM Personal Computer|url=http://www-03.ibm.com/ibm/history/exhibits/pc/pc_1.html|publisher=IBM Inc}}</ref>

আইবিএম ৫১০০, প্রথম বানিজ্যিক বহনযোগ্য কম্পিউটার। এটি বাজারে আসে ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এর ভিত্তি ছিল এসসিএএমপি পরিক্ষামূলক যন্ত্রটি।<ref>{{cite web|url=http://oldcomputers.net/ibm5100.html|title=IBM 5100 computer|publisher=oldcomputers.net|accessdate=6 July 2009}}</ref>

৮ বিটের সিপিইউ ব্যবহৃত হওয়া শুরু করলে, বহনযোগ্য কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। অসবর্ন ১, ছাড়া হয় ১৯৮১ সালে, এতে ব্যবহার করা হয় জিলোগ জেড৮০ আর ওজন ছিল ২৩.৬ পাউন্ড (দশ কেজির মত)। কোন ব্যাটারি ছিল না, একটি ৫ ইঞ্চি (১৩ সে.মি.) সিআরটি প্রদর্শনী এবং ৫.২৫ ইঞ্চি (১৩.৩ সে.মি) দ্বৈত একক ঘনত্বের ফ্লপি ড্রাইভ ছিল। একই বছরে প্রথম ল্যাপটপের আকারের বহনযোগ্য কম্পিউটারের ঘোষনা আসে, এটি ছিল এপসন এইচএক্স-২০<ref>
{{cite web
| url=http://files.support.epson.com/pdf/hx20__/hx20__sl.pdf
|format=PDF| title=Epson SX-20 Promotional Brochure
|accessdate=2 November 2008
|publisher=Epson America, Inc. |year=1987 }}
</ref>। এর মধ্যে এলসিডি প্রদর্শনী, পুনরায় চার্জ দেয়া যায় এমন ব্যাটারি, ক্যালকুলেটর আকারের প্রিন্ট্রার চেসিস ছিল। ট্যান্ডি/রেডিওশেক এবং এইচপি উভয়েই বিভিন্ন নকশার বহনযোগ্য কম্পিউটার উৎপাদন করে।<ref>{{cite web|url=http://oldcomputers.net/trs100.html|title=Tandy/Radio Shack model 100 portable computer|publisher=oldcomputers.net|accessdate=6 July 2009}}</ref><ref>{{cite web|url=http://oldcomputers.net/hp85.html|title=Hewlett-Packard model 85|publisher=oldcomputers.net|accessdate=6 July 2009}}</ref>

১৯৮০ দশকের শুরুর দিকে প্রথম ভাঁজ করা যায় এমন ল্যাপটপ দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ায় ডুলমন্ট ম্যাগনাম ছাড়া হয় ১৯৮১-৮২ সালের দিকে, কিন্তু ১৯৮৪-৮৫ সালের পূর্বে বিশ্বব্যাপি বাজারজাতকরন করা হয়নি। ১৯৯২ সালে জিআরআইডি বা গ্রিড কমপ্যাস ১১০০ ছাড়া হয়। এটি নাসা ও সৈনিকদের কাজে ব্যবহৃত হত। গ্যাভিলান এসসি, ১৯৮৩ সালে আসে, যা প্রস্তুতকারক ল্যাপটপ প্রথম হিসেবে অভিহিত করে<ref>{{cite web|url=http://oldcomputers.net/gavilan.html|title=Gavilian SC computer|publisher=oldcomputers.net|accessdate=7 July 2009}}</ref>। ১৯৮৩ সালের পর নতুন ইনপুট ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হয়, যার মধ্যে ল্যাপটপেরও ছিল, যেমন টাচপ্যাড (গ্যাভিলান এসসি), নির্দেশক কাঠি (আইবিএম থিঙ্কপ্যাড ৭০০, ১৯৯২) এবং হাতের লেখা সনাক্তকরন (লিনাস রাইট-টপ, ১৯৮৭)<ref>{{cite web |url=http://oldcomputers.net/linus.html |title=Linus Write-Top |accessdate=18 October 2008}}</ref>। কিছু সিপিইউ এমনভাবে বানানো হয় যাতে এগুলো কম বিদ্যুত শক্তি ব্যবহার করে, ফলে ব্যাটারির স্থায়িত্ব বেড়ে যায়। এবং কিছু নকশায় সহায়তা করার জন্য কিছু সক্রিয় শক্তি ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্যও ছিল যেমন ইন্টেল স্পিডস্টেপ এবং এএমডি'র পাওয়ারনাও ইত্যাদি।

১৯৮৮ সাল নাগাদ প্রদর্শনী ভিজিএ রেজুলেশনে পৌছায়। উদাহরনসরূপ উল্লেখ্য করা যায় কমপেক এসএলটি/২৮৬। এবং রঙিন প্রদশর্নীগুলোর প্রচলন শুরু হয় ১৯৯১ সালের দিকে, ২০০৩ সালে ১৭" প্রদশর্নী আসার আগে পর্যন্ত, রেজুলেশনে এবং প্রদশর্নীর আকারে ব্যপক পরিবর্তন হতে থাকে। এসময় হার্ডড্রাইভের (১৯৮০ সালের শেষের দিকে প্রস্তুতকৃত ৩.৫" মাপের ড্রাইভের ধারাবাহিকতায়) ব্যবহার শুরু হয়। এক সময় ২.৫" ড্রাইভ ল্যাপটপে সাধারনভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ২০০০ দশকের শুরু থেকেই অপটিক্যাল ড্রাইভগুলোর ব্যবহার হতে থাকে যেমন সিডি রম, রাইটেবল সিডি রম, পরে ডিভিডি রম, রাইটেবল ডিভিডি রম, তারপরে ব্লুরে।


==প্রকারভেদ==
১৯৭০ দশকের শেষের দিকে, বহনযোগ্য কম্পিউটারের সূচনার শুরু থেকে বর্তমানে এর আকৃতিগত পরিবর্তন বাস্তবিকই অসাধারনভাবে হয়েছে। এর মধ্যেই এর বিভিন্ন ভিন্নতা এসেছে দৃশ্যত এবং আবশ্যিকভাবে প্রযুক্তিগতভাবে।

===সনাতন ল্যাপটপ===
[[File:MacBook Pro Retina 3.jpg|thumb|right|[[এ্যপল ইনকর্পোরেটস|এ্যপল]] [[ম্যাকবুক প্রো]], একটি সনাতন আকৃতির ল্যাপটপ]]
ঝিনুকের আকৃতির ল্যাপটপগুলোকে বলা হয় সনাতন ধারার ল্যাপটপ বলে অভিহিত করা হয়। এগুলোর একখোলসে প্রদশর্নী ও অন্য খোলসে কিবোর্ড থাকে। এটিকে সহজেই ভাঁজ করা যায়, যাতে ভ্রমনে অসুবিধা না হয়। প্রদর্শনী এবং কিবোর্ড দুটোই ব্যবহার করা যায় না যখন ভাজ করা থাকে। এই আকৃতির ও বৈশিষ্ট্য বিশিষ্ট যন্ত্রাংশগুলোকে সনাতন ধারার ল্যাপটপ বা নোটবুক বলে ডাকা হয়। বিশেষ করে এদের যদি প্রদর্শনী ১৩ থেকে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের হয় এবং একটি পূনার্ঙ্গ অপারেটিং সিস্টেম যদি চালাতে পারে। সনাতন ল্যাপটপগুলো হল সবচেয়ে সাধারন আকৃতির ল্যাপটপ যদিও ক্রোমবুক, রূপান্তরযোগ্য ল্যাটপট, আল্ট্রাবুক এবং ল্যাপলেটগুলো দিনকে দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এগুলো একই কার্যকারিতা প্রদান করে।

===সাবনোটবুক===
[[File:Sony VAIO P.jpg|thumb|left|[[সনি ভায়ো পি ধারার]] সাবনোটবুক]]
একটি সাবনোটবুক অথবা একটি আল্ট্রাবহনযোগ্য (ল্যাপটপ) একধরনের ল্যাপটপ যার নকশা এবং বাজারজাতকরন করা হয়েছে বহনযোগ্যতার কথা মাথায় রেখে। এগুলো আকারে ছোট, কম ওজনের এবং প্রায়শই অতিমাত্রায় ব্যাটারির ধারনক্ষমতা সম্পন্ন হয়। এগুলো সাধারনত ছোট আকৃতির ও হালকা হয় সাধারন মানের ল্যাপটপের তুলনায়। ওজন হতে পারে ০.৮-২ কেজি (২-৫ পাউন্ড)<ref name="types_pcmag" /> এবং ব্যাটারির চালন ক্ষমতা হতে পারে ১০ ঘন্টার বেশি<ref>{{cite web |url=http://www.lenovo.com/news/us/en/2008/09/x200s_x200tablet.html |title=Breaking the Mold: New Lenovo ThinkPad laptop and Tablet PCs Defy Ultraportable Computing |accessdate=7 November 2008 |publisher=Lenovo |date=23 September 2008 }}</ref>। নেটবুক এবং আল্ট্রাবুকের সূচনার পর থেকে, সাবনোটবুকের এবং উভয় শ্রেনীর মধ্যকার সম্পর্ক অস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। নেটবুক হল যে বৈশিষ্টগুলো না থাকলেই নয় এমন সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে তৈরি আর এটি হল সাবনোটবুকের একটি উপশ্রেনী। কিছু আল্ট্রাবুকের প্রদর্শনী এত বড় যে তা সাবনোটবুক বলা যায়, বিশেষ কিছু আল্ট্রাবুক আবার সাবনোটবুকের শ্রেনীতেও খাপ খায়। একটি উল্লেখ্যযোগ্য সাবনোটবুকের উদাহরন হল এ্যপল ম্যাকবুক এয়ার।

===নেটবুক===
[[File:Chromebook.jpg|thumb|right|একটি স্যামস্যাঙ [[ক্রোমবুক]] নেটবুক]]
{{প্রধান|নেটবুক}}
নেটবুক ল্যাপটপের একটি অন্য রূপ যাকে সস্তা, হালকা, কম শক্তি ব্যয় করে, তারবিহিন যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে<ref name="upenn">[http://knowledge.wharton.upenn.edu/article.cfm?articleid=2107 The Net Impact of Netbooks? It Depends on Who Uses Them for What]</ref><ref name="intelblog">{{cite web |last=Bergevin |first=Paul |title=Thoughts on Netbooks |publisher=Intel.com |date=3 March 2008 |url=http://blogs.intel.com/technology/2008/03/thoughts_on_netbooks.php}}</ref>। ২০০৮ সালের দিকে বাজারে নেটবুক বান্যিজিকভাবে আসে। যার বৈশিষ্ট্য ছিল হালকা ১ কেজির কম, প্রদশর্নী ৯ ইঞ্চির ছোট এবং দামে ৪০০ ডলারের কম। নেটবুক নামটি নেয়া হয় ইন্টারনেট থেকে সংক্ষেপে নেট। এই সংজ্ঞাটি ব্যবহার করা হয় যন্ত্রাংশের ওয়েব ভিত্তিক কম্পিউটিং কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে<ref name="pricegrabber">{{cite book |title=Netbook Trends and Solid-State Technology Forecast |publisher=pricegrabber.com |page=7 |format=PDF |url=https://mr.pricegrabber.com/Netbook_Trends_and_SolidState_Technology_January_2009_CBR.pdf |accessdate=28 January 2009}}</ref>। নেটবুকগুলো লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম সহযোগে ছাড়া হত যদিও পরের গুলোতে উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ৭ প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়। সব প্রধান নেটবুক উৎপাদকই ২০১২ সালের শেষ নাগাদ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।<ref>[http://www.theguardian.com/technology/2012/dec/31/netbooks-dead-2013]</ref>

===রূপান্তরযোগ্য===
[[File:Lenovo-X61-Tablet-Mode.jpg|thumb|left|একটি [[লেনেভো]] এক্স৬১ রূপান্তরযোগ্য ল্যাপটপ]]
আধুনিক রূপান্তরযোগ্য ল্যাপটপগুলোতে জটিল নকশার জোড়া দেওয়ার কৌশল রাখা হয়। কিবোর্ডের সাথে প্রদর্শনীর প্যানেলের সংযোগ থাকে এমনভাবে যাতে তা আবর্তিত হতে পারে আবার বসানো যেতে পারে কিবোর্ডের বাক্সের উপর। বেশিরভাগ রূপান্তরযোগ্য ল্যাপটপে স্পর্ষ নিয়ন্ত্রিত প্রদর্শনী থাকে আবার সনাতন ধারার টাচপ্যাডও থাকে যাতে ট্যাবলেটের মত ব্যবহার করা যায়। এগুলোকে ল্যাপটপের শ্রেনীতেও ফেলা যায় আবার ট্যাবলেটের শ্রেনীতেও রাখা যায় কিন্তু ল্যাপটপ হিসেবেই ধরা হয় কারন এগুলোর আকার, ওজনে ল্যাপটপের কাছাকাছি।

একক সংযোগটির মাধ্যমে আবর্তন ও চক্রাকারে আবর্তনের যে সুবিধা তা ল্যাপটপের যান্ত্রিক দুর্বলতা বা টেকসই নয় এমন অবস্থাকে প্রকাশ করে। কিছু প্রস্তুতকারক এই দুর্বলতা কাটানোর জন্য বেশ কিছু নতুন রীতির প্রবর্তন করেন যেমন স্লাইডিং নকশা (প্রদর্শনীকে শোয়ানো অবস্থা থেকে ঠেলে সোজা করা হয় এবং তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয় ল্যাপটপের মত ব্যবহারের সুবিধার্থে)। সনাতন ল্যাপটপের তুলনায় রূপান্তরযোগ্য ল্যাপটপের বেশ কিছু দুর্বলতা রয়েছে, যদিও ছোট আকৃতি মানে সহজে বহনযোগ্য।

===ল্যাপলেট===
[[File:Microsoft Surface Pro 3 with Type Cover.jpg|thumb|right|[[মাইক্রোসফট সারফেস প্রো ৩]], একটি গতানুগতি ল্যাপলেট]]
{{প্রধান|লেপলেট}}
সাম্প্রতিক ল্যাপটপ যন্ত্রাংশ হল ল্যাপলেট। এই শব্দটি এসেছে ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটের সম্মিলন থেকে এবং এই যন্ত্রটি উভয়ের সংকর<ref>{{cite web|title=It's a tablet! It's a laptop! It's a laplet! It's a tabtop! |url=http://www.techradar.com/news/world-of-tech/it-s-a-tablet-it-s-a-laptop-it-s-a-laplet-it-s-a-tabtop-1094165#null|publisher=Tech Radar|accessdate=20 August 2014}}</ref>। যদিও একে অনেকেই ট্যাবলেট বলে ডাকেন তবুও ল্যাপটপের সাথে এর অনেক মিল রয়েছে এবং একে ল্যাপটপের বিকল্পও বলা যায়। এগুলোকে প্রায়শই বাজারজাত করা হয় ল্যাপটপের বিকল্প প্রতিস্থাপন ট্যাবলেট হিসেবে।

এর কার্যক্ষমতার ধরন অনেকটা আল্ট্রাবুকের কাছাকাছি কিন্তু ল্যাপলেট তৈরি হয় দুটো ভিন্ন অংশ দিয়ে, স্পর্ষ প্রদর্শনী যা কিবোর্ডের থেকে আলাদা। এগুলো খুবই চিকন (প্রায় ১০ মিলিমিটার), হালকা এবং ব্যাটারিও দীর্ঘস্থায়ী হয়। মূল ধারার ট্যাবলেটের তুলনায় ল্যাপলেটকে আলাদা করা যায় এক্স৮৬ নকশার সিপিইউ'র কারনে। যেমন ইন্টেল কোর আই৫, যা উইন্ডোজ ৮.১ চালাতে পারে, ইউএসবি ও ছোট মাপের প্রদর্শনী পোর্ট, ইনপুট/আউটপুট পোর্ট সংযুক্ত থাকে।

এটিকে শুধুমাত্র বিনোদনের যন্ত্র না বলে বলা যায় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের প্রতিস্থাপিত যন্ত্র যেহেতু এদের সেই সক্ষমতা রয়েছে। এতে বিভিন্ন ডেস্কটপের এ্যাপ্লিকেশন, বিভিন্ন পেরিফেরাল যন্ত্রাংশ যেমন মাউস, কিবোর্ড এবং বাহ্যিক প্রদর্শনীও সংযোগ করা যায়।<ref>{{cite web|title=Here Come the Hybrid 'Laplets.' Should You Care? |url=http://www.wired.com/2012/10/windows8-laplet-hybrid/|publisher=Wired|accessdate=13 August 2014}}</ref>

===ডেস্কটপ প্রতিস্থাপন===
[[File:Alienware.JPG|thumb|left|[[এলিয়েনঅয়্যারের]] ডেস্কটপের প্রতিস্থাপক ল্যাপটপ]]
একটি ডেস্কটপ প্রতিস্থাপক ল্যাপটপ একধরনের বড় শ্রেনীর যন্ত্র, যা প্রাথমিকভাবে বহনযোগ্যতার জন্য ব্যবহার করা হয় না। সাধারন ল্যাপটপের তুলনায় এগুলো দেখতে মোটা, ভারি এবং বহনযোগ্য নয় আর এগুলোকে ডেস্কটপের বিকল্প হিসেবে দেখা হয়<ref name="types_cnet">{{cite web |url=http://reviews.cnet.com/4520-7602_7-1016082-2.html |title=Laptop Buying Guide |accessdate=7 November 2008 |publisher=CBS Interactive Inc. }}</ref>। কারন ডেস্কটপের তুলনায় এগুলো ছোট এবং বহনযোগ্য। এগুলোতে ১৫ ইঞ্চির অধিক প্রদর্শনী এবং শক্তিশালী উপাদান থাকে<ref name="types_cnet"/>।

অন্যান্য ল্যাপটপের তুলনায় এগুলো ব্যাটারি স্থায়ীত্ব কম হয় কোন কোন ক্ষেত্রে হয়ত ব্যাটারিই থাকে না। পূর্বে, ডেস্কটপের উপাদানগুলো এতে ব্যবহৃত হত ভাল কার্যক্ষমতা প্রদানের জন্য কিন্তু বর্তমানে তা করা হয় না।<ref>{{cite web |url=http://www.news.com/2100-1040-979763.html |title=Desktop notebooks stake their claim |accessdate=7 November 2008 |publisher=CBS Interactive Inc. |date=8 January 2003 }}</ref>

এধরনের বিশেষ নোটবুক কম্পিউটারগুলোকে বর্ণনার জন্য মিডিয়া সেন্টার ল্যাপটপ এবং গেমিং ল্যাপটপ নামে অভিহিত করা হয়।<ref name="types_pcmag">{{cite web |url=http://www.pcmag.com/article2/0,2817,2311016,00.asp |title= Types of Laptops: How Do You Compute |accessdate=7 November 2008 |work=PC Magazine |publisher=Ziff Davis Publishing Holdings Inc. |date=18 September 2006 }}</ref>

===রাগিড বা কর্কশ বা শক্ত ল্যাপটপ===
[[Image:Toughbook-cf-m34 4.jpg|thumb|right|একটি [[টাফবুক|প্যানাসনিক টাফবুক]] শক্ত ল্যাপটপ]]
{{প্রধান|শক্ত ল্যাপটপ}}
এধরনের ল্যাপটপের নকশা করা হয়েছে বিরূপ পরিবেশে পরিচালনার উপযোগি করে যেমন তীব্র দুলুনি, অতিমাত্রার তাপে, ভেজা ও ধূলা বালি যুক্ত স্থানে ব্যবহারের জন্য। সাধারন ল্যাপটপ যেগুলো ক্রেতারা ক্রয় করে তাদের থেকে এগুলোর নকশা হয় আলাদা রকমের। এগুলো মোটা, ভারি, দামি হয় সাধারন ল্যাপটপের তুলনায় তাই এগুলো সাধারন ব্যবহারকারীদের কাছে দেখা যায় না।<ref>{{cite web |url=http://www.linux-on-laptops.com/rugged-laptop.html |title=Rugged Laptop: Choices, Pointers &amp; Specs of Buying Rugged Laptops |accessdate=27 November 2008 |publisher=Linux-on-laptops.com}}</ref>

নকশার বৈশিষ্ট্যে দেখা যায় কিবোর্ডের নিচে রাবারের চাদর থাকে, পোর্ট ও সংযোগের জায়গাগুলোর মুখ ঢাকা থাকে, খুব উজ্জ্বল প্রদর্শনী, দিনের আলোতে পড়া যায়, ম্যাগনেশিয়াম ধাতব মিশ্রন দিয়ে বানানো বাক্স ও খোপে বসানো থাকে ল্যাপটপটি। বানিজ্যিকভাবে উৎপাদিত ল্যাপটপগুলোতে প্লাস্টিকের খোপ এগুলোতে ব্যবহৃত হয় না। এছাড়া সলিড স্টেট ড্রাইভ স্টোরেজ যন্ত্র বা হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ যেগুলো নাড়াচাড়া করলেও ক্ষতিগ্রস্থ হয় না তা ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের ল্যাপটপগুলো সাধারনত জনসাধারনের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবহৃত হয় যেমন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মী বা জরুরী চিকিৎসা, সৈনিকদের কাজে, উপযোগমূলক কাজে, মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীর কাজে, নির্মানবিদ্যায়, খনন কাজে এবং তৈল উত্তোলনের কাজ করেন এমন ব্যক্তিদের কাজে। আর এগুলো বিক্রয় করা হয় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কোন ব্যক্তিবিশেষের কাছে একক ভাবে বিক্রয় করা হয় না, এর জন্য কোন খুচরা বিক্রয়ের মাধ্যমও নেই।

==উপাদানসমূহ==
{{প্রধান|ব্যক্তিগত কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার}}
[[Image:Motherboards.png|thumb|right|সংক্ষিপ্তকরন: ডেস্কটপ কম্পিউটার (এটিএক্স ধরনের) ও ল্যাপটপ (ম্যাকবুক ইউনিবডি) কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের পার্থক্য]]
[[Image:Laptop innen.jpg|thumb|right| [[ভায়ো|সনি ভায়ো]] ল্যাপটপের অভ্যন্তরের দৃশ্য]]
[[Image:SODIMM 64MB SDRAM.JPG|thumb|right|একটি [[এসওডিআইএমএম]] মেমোরি]]
[[File:Laptop-hard-drive-exposed.jpg|thumb|right|ল্যাপটপে ব্যবহৃত সাধারন ২.৫" [[হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ]], যেগুলো ডেস্কটপের চেয়ে আকারে ছোট]]
ল্যাপটপের সাধারন কার্যাবলি ডেস্কটপের কার্যাবলির অনুরূপ। প্রথাগতভাবে ল্যাপটপেরগুলো ছোট আকৃতির এবং বহন করার উপযোগিতার সাথে খাপ খায় এমন করে তৈরি। যদিও বর্তমানে আধুনিক অনেক ডেস্কটপেই ল্যাপটপের ছোট আকৃতির উপাদানগুলো ব্যবহার করা হয়, কারন এতে শক্তি কম খরচ হয়। ল্যাপটপের নকশার ফলে শক্তি, আকার এবং তাপজনিত সীমার ফলে ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা সীমিত, কিন্তু গত কয়েক বছরে তা বেশ কমে এসেছে।

সাধারনভাবে, ল্যাপটপের উপাদানগুলো পরিবর্তনের উদ্দেশ্য থাকে না। অল্পকিছু মাত্র, যেমন প্রসেসর পরিবর্তন করাটাও কষ্টসাধ্য বিভিন্ন কারনে (প্রসেসর কত তাপ উৎপন্ন করবে, আদৌ সমর্থন করবে কিনা, ল্যাপটপ সহজে খোলা যাবে কিনা ইত্যাদি)। খুব ছোট যেসব ল্যাপটপ রয়েছে যেমন ল্যাপলেটে হয়ত কোন উপাদান লাগানোর মত থাকবে না।<ref>{{cite web|title=Microsoft Surface Pro 3 Teardown|url=https://www.ifixit.com/Teardown/Microsoft+Surface+Pro+3+Teardown/26595|website=iFixit.com|accessdate=1 October 2014}}</ref>

ইন্টেল, আসুস, কমপাল, কোয়ান্টা এবং অন্যান্য কিছু ল্যাপটপ প্রস্তুতকারক একই ধরনের নকশা অনুসরন করে ল্যাপটপের অংশ জুড়ে দেওয়ার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে। তারা এই কাজটি করেছেন মূলত একটি মানদন্ড তৈরি করতে।<ref>{{cite web|title=Common Building Blocks Platform|url=http://cache-www.intel.com/cd/00/00/25/59/255996_255996.pdf|publisher=Intel|accessdate=September 2005}}</ref>

নিচের তালিকায় ব্যক্তিগত ডেস্কটপ কম্পিউটারের সাথে ল্যাপটপের উপাদানের বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে<ref name="parts-kate">{{cite web |title = What Makes Laptops Work&nbsp;– The Laptop Motherboard |url = http://mobileoffice.about.com/od/laptopstabletpcs/tp/laptopmotherboards.htm |author = Catherine Roseberry |publisher = About.com |accessdate =15 November 2008}}</ref>


===প্রদর্শনী===
বেশিরভাগ আধুনিক ল্যাপটপেরই একটি ১৩ ইঞ্চি বা তার থেকে বড় মাপের রঙিন একটিভ ম্যাট্রিক্স প্রদশর্নী রয়েছে যেগুলো সিসিএফএল বা এলইডি উপর ভিত্তি করে বানানো। এগুলোর আবার বিভিন্ন রেজুলেশন থাকে যেমন ১২৮০×৮০০ (১৬:১০) অথবা ১৩৬৬×৭৬৮ (১৬:৯) পিক্সেল অথবা তারো বেশি। যেসব মডেলে এলইডি রয়েছে সেগুলো কম বিদ্যুত খরচ করে এবং বেশি ঔজ্জ্বল্য দেয়। নেটবুকের প্রদশর্নীগুলো হয় সাধারনত ১০ ইঞ্চি বা তার কম পিক্সেল রেজুলেশন থাকে ১০২৪×৬০০ অন্যদিকে নেটবুক ও সাবনেটবুক যাতে ১১.৬ বা ১২ ইঞ্চি প্রদশর্নী আছে সেগুলোতে সাধারন মানের রেজুলেশন থাকে। উচ্চ রেজুলেশনের মানে হল প্রদশর্নীতে বেশি পরিমানের সামগ্রী একসাথে দেখতে পাওয়া। এর ফলে ব্যবহারকারি বহু কাজ একসাথে করতে পারে। আবার ছোট প্রদশর্নীতে বেশি রেজুলেশন হওয়া মানে প্রদশর্নীতে চিত্রগুলো খুব সূক্ষ্ম, তিক্ষ্ম ও সুন্দর দেখাবে এবং রেজুলেশন বেশি হলেই তা বেশি সামগ্রী প্রদান করবে এমন নয় কারন প্রদশর্নিটিও বড় মাপের হতে হবে। ২০১২ সালে ম্যাকবুক প্রো যাতে রেটিনা প্রদর্শনী রয়েছে প্রথম উচ্চ মাত্রার রেজুলেশন নিয়ে আসে (১৯২০×১০৮০ বা তার বেশি)। এরপর থেকে এখন ১৫ ইঞ্চির প্রদর্শনীতেও ৩২০০×১৮০০ মাপের রেজুলেশন দেখা যায়।

বাহ্যিক প্রদর্শনীর সাথে বেশিরভাগ ল্যাপটপই সংযোগ করা যায় এবং যেসব মডেলের মিনি প্রদর্শন পোর্ট আছে সেগুলো তিনটি প্রদর্শন করতে পারে।<ref name="3-Displays FAQ"/>

===কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন ইউনিট===
একটি ল্যাপটপের সিপিইউতে শক্তি বাঁচানোর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং এগুলো কম তাপ উৎপন্ন করে ডেস্কটপের সিপিইউ'র তুলনায়। প্রথাগতভাবে ল্যাপটপের সিপিইউতে দুটো কোরের প্রসেসর দেখা যায়, যদিও ৪ কোরের মডেলও দেখা যায়। কম দাম এবং মূল কার্যক্ষমতার কারনে ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিপিইউ'র বেলায়, যেমন ৪ থেকে ৮ কোরের ডেস্কটপ সিপিইউগুলো ৪ কোরের ল্যাপটপ প্রসেসরগুলোকে সহজেই হারিয়ে দিতে পারে। এর ফলে এগুলোতে শক্তিও বেশি খরচ হয় ডেস্কটপের বেলায় তা ১৫০ ওয়াট, ল্যাপটপের বেলায় তা ৫৬ ওয়াট মাত্র।

ইন্টেল, এএমডি এবং অন্যান্য প্রস্তুতকারকরা ল্যাপটপের জন্য প্রচুর ব্যাপকমাত্রায় সিপিইউ তৈরী করেছেন। এক্স৮৬ নকশায় প্রস্তুত নয় এমন প্রসেসরের বেলায় মটোরোলা এবং আইবিএম তৈরি করেছিল পাওয়ারপিসি ভিত্তিক এ্যপল ল্যাপটপ (আইবুক এবং পাওয়ারবুক)। অনেক ল্যাপটপেরই খুলে ফেলা যায় এমন সিপিইউ আছে যদিও গত কয়েক বছরে তা কমে এসেছে ল্যাপটপ চিকন ও হালকা করতে গিয়ে। অন্যান্য ল্যাপটপগুলোতে সিপিইউ লাগানো থাকে মাদারবোর্ডের সাথে এবং তা প্রতিস্থাপন করা যায় না উদাহরনসরূপ বলা যায়, আল্ট্রাবুক।

পূর্বে, কিছু ল্যাপটপে ডেস্কটপের সিপিইউ ব্যবহার করা হয় এতে কার্যক্ষমতা বাড়ে ঠিকই কিন্তু ওজন, তাপ বেড়ে যায় আর ব্যাটারি কম স্থায়ী হয়। এর ব্যবহারও কমে গেছে। ডেস্কটপের মত ল্যাপটপের সিপিইউগুলোও ওভারক্লক করা অসম্ভব। ল্যাপটপের একটি থার্মাল পরিচালনা অবস্থা এর সীমা খুব কাছাকাছি হয় এবং বেশি মাত্রায় তাপ উৎপাদনের মত অবস্থাও নেই। ওভারক্লক করার জন্য ল্যাপটপে ভাল শীতলীকরন ব্যবস্থা পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

===গ্রাফিক্যাল প্রক্রিয়াকরন ইউনিট===

বেশিরভাগ ল্যাপটপেই গ্রাফিক্যাল প্রক্রিয়াকরন ইউনিট সিপিইউ'র সাথে একত্রিত থাকে শক্তি ও জায়গা বাচানোর লক্ষ্যে। ২০১০ সালে ইন্টেল এই ব্যবস্থার প্রচলন করে কোর আই মোবাইল সিরিজগুলোতে এবং একই ভাবে এএমডি পরের বছর তাদের এপিইউ প্রসেসরগুলোতে প্রচলন করে। এর আগে কম ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রগুলো সিস্টেম চিপসেটের সাথে গ্রাফিক্স প্রসেসর সমন্বিত করত যেখানে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রগুলোতে আলাদা গ্রাফিক্স প্রসেসর থাকত। আগে, যেসব ল্যাপটপে আলাদা গ্রাফিক্স প্রসেসর ছিল না সেগুলোতে গেম খেলা ও প্রায়োগিগ কাজ যেমন ৩ডি গ্রাফিক্স করা সম্ভব হত না। কিন্তু বর্তমানে সমন্বিত গ্রাফিক্স প্রসেসরের কারনে কম ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রগুলোতেও সক্ষমতা এসেছে। উচ্চ ক্ষমতারগুলো এখনো আলাদা করে গ্রাফিক্স প্রসেসর নিয়ে বাজারে আসে, কিছু ক্ষেত্রে দ্বৈত গ্রাফিক্স প্রসেসরও দেখা যায়, সেটা হতে পারে মাদারবোর্ড বা আন্তক্ষেত্রে সংযুক্ত কার্ড। ২০১১ থেকে এই সব দ্বৈত গ্রাফিক্সের কার্ডগুলোতে পরিবর্তনশীল গ্রাফিক্স ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যখন কোন উচ্চ মানের গ্রাফিক্সের কাজ থাকবে না তখন এটি কম বিদ্যুত খরচ করে এমন গ্রাফিক্স প্রসেসরে পরিবর্তিত হবে এবং ব্যবহৃত হতে থাকবে। আবার যখন উচ্চ গ্রাফিক্সের কাজ আসবে তখন মূল উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্রাফিক্স প্রসেসর ও কম বিদ্যুৎ খরচ করে এমন গ্রাফিক্স প্রসেসর দুটোই একসাথে কাজ করবে। এনভিডিয়ার অপটিমাস এমন একটি পরিবর্তনশীল গ্রাফিক্সের উদাহরন।

===স্মৃতি===

বেশিরভাগ ল্যাপটপে থাকে এসও-ডিআইএমএম<ref name="parts-kate"/> স্মৃতির একক, এগুলো ডেস্কটপেরগুলোর তুলনায় অর্ধেক আকারের। লাগানোর সুবিধার জন্য এগুলো ল্যাপটপের নিচের দিকে থাকে অথবা এমন জায়গায় থাকতে পারে যা প্রতিস্থাপন করা যায় না। বেশিরভাগেরই দুটো খোপ থাকে র‍্যামের জন্য। সবচেয়ে কম ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপের একটি এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপের চারটি করে খোপ থাকে। বেশির ভাগ মধ্যম মানের ল্যাপটপেরই ৪-৬ জিবি র‍্যাম থাকে। নেটবুকগুলোতে ১-২ জিবি র‍্যাম থাকে এবং সাধারনত ২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যায়। যেহেতু প্রায় প্রত্যেক সাধারন ল্যাপটপে ২ টি করে খোপ থাকে ধরে নেয়া যায় দুটোতে ১৬ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম বসানো যাবে। কারন ডিডিআর৩ প্রযুক্তিতে একটি খোপে সর্বোচ্চ ৮ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম বসানো যায়।

যদি একটি সিস্টেম টিপিএম বা ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল লাগিয়ে বানানো হয় তবে ল্যাপটপের মাদারবোর্ডের সাথে র‍্যাম লাগিয়ে দেয়া থাকতে পারে। এটা করা হয় জায়গা বাঁচাতে, চেসিসগুলোকে আরো চিকন করতে এবং নিরাপত্তার সুবিধার্থে। টিপিএম ব্যবহার করলে স্মৃতিকে জোড়া লাগিয়ে দেয়া হয় যাতে করে বুট আক্রমন<ref name=TPM>{{cite web|title=Types of Attacks for Volume Encryption Keys|url=http://technet.microsoft.com/en-us/library/dn632182.aspx|website=Microsoft.com|accessdate=1 October 2014}}</ref> থেকে বাচা যায়। এধরনের জোড়া লাগানো স্মৃতি পরে বাড়ানো যায় না।

===অভ্যন্তরীন সঞ্চয় স্থান===
প্রথাগতভাবে প্রধান সঞ্চয় স্থান হিসেবে ল্যাপটপে একটি হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ থাকে। কিন্তু এটা অকার্যকর হিসেবে প্রমানিত হয়েছে যখন এটিকে বহনযোগ্য যন্ত্রে লাগানো হয়েছে কারন এটি বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে, তাপ উৎপন্ন করে এবং এর নড়াচাড়া করে এমন অংশ রয়েছে। যার ফলে ড্রাইভের এবং ডাটার ক্ষতিসাধন হতে পারে যখন একটি ল্যাপটপ কোন ক্ষতির সম্মুখীন হয় যেমন পড়ে যাওয়া, বহন করার সময় ইত্যাদি। ফ্ল্যাশ মেমোরি প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে এখন বেশিরভাগ মধ্যম থেকে উচ্চ মানের ল্যাপটপে আরো ছোট, কম বিদ্যুত খরচ করে এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন সলিড-স্টেট ড্রাইভ ব্যবহার করে। যা ড্রাইভজনিত সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি ডাটা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনাকে কমিয়ে এনেছে<ref name=PCW-SSD>{{cite web|last1=Edwards|first1=Benj|title=Evolution of the Solid-State Drive|url=http://www.pcworld.com/article/246617/evolution_of_the_solid_state_drive.html|website=PCWorld.com|accessdate=1 October 2014|date=17 January 2012}}</ref> বহনযোগ্য ল্যাপটপের জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ কম দামি বা কম ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপে হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ এখনো বেশি ব্যবহার করা হয় এদের কম দামের কারনে।

বেশিরভাগ ল্যাপটপই ২.৫ ইঞ্চি মাপের ড্রাইভ ব্যবহার করে। এগুলো ৩.৫ ইঞ্চি মাপের ডেস্কটপ ড্রাইভের ছোট রূপ। এই মাপের ড্রাইভগুলো আরো ছোট, কম বিদ্যুত খরচ করে এবং কম তাপ উৎপন্ন করে পাশাপাশি দেখা যায় অসুবিধা হল এগুলোর ধারনক্ষমতা কম এবং ডাটা স্থানান্তর গতিও কম। কিন্তু এসএসডির বেলায় ছোট হওয়ার কারনে যে অসুবিধাগুলো ২.৫ ইঞ্চি মাপের ড্রাইভের হয়, তা হয় না। কারন এসএসডিগুলোর ভেতরের নকশা করা হয়েছে যাতে কম জায়গা ধারন করে। কিছু আরো ছোট মাপের ল্যাপটপে আরো ছোট ১.৮ ইঞ্চি মাপের হার্ডড্রাইভ ডিস্ক দেখা যায়। এসএসডিগুলো প্রথাগত মাপে, বা ১.৮ ইঞ্চি বা ল্যাপটপের প্রয়োজন অনুযায়ী এমসাটা বা এম.২ কার্ডের আকারে পাওয়া যায়।

হার্ডডিস্কের তুলনায় এসএসডি'র আরো ভালো স্থানান্তর গতি রয়েছে<ref name="behardware 2011">। কম বিদ্যুত খরচ করেও এটি অকৃতকার্য হয় কম। ২০১০ সালে এপ্রিল এবং অক্টোবরের মধ্যে বিহার্ডওয়্যার জানায় যে খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে এসএসডি কম ফেরত আসছে এইচডিডি'র তুলনায়{{cite web | url=http://www.behardware.com/articles/831-7/components-returns-rates.html| title = Components returns rates | date=6 May 2011 | publisher=BeHardware | first=Marc |last=Prieur |accessdate=10 February 2012 }}</ref><ref>। ২০১১ সালে ৪৫০০০ ব্যবহৃত হওয়া এসএসডি'র উপর চালানো একটি জরিপে ইন্টেল জানায় এসএসডি অকৃতকার্যতার হার ০.৬১% যেখানে এইচডিডির হার ৪.৮৫%।{{cite web | url=http://www.intel.com/content/www/us/en/it-management/intel-it/intel-it-validating-reliability-of-intel-solid-state-drives-brief.html | title=Validating the Reliability of Intel® Solid-State Drives |publisher=Intel|date=July 2011 |accessdate=10 February 2012 }}</ref><ref name="behardware 2012">{{cite web | url = http://www.behardware.com/articles/881-7/components-returns-rates-7.html | publisher=BeHardware | title = Components returns rates (7) | first = Marc | last= Prieur | date = 16 November 2012 | accessdate= 25 August 2013 }}</ref> কিন্তু হার্ডডিস্ক কম দামি এবং এতে জায়গা বেশি পাওয়া যায়। ২০১৪ অনুযায়ী, বেশিরভাগ হার্ডডিস্ক ড্রাইভের সংরক্ষন ক্ষমতা ২ টেরাবাইট যেখানে এসএসডির হল ১ টেরাবাইট।

বেশিরভাগ ল্যাপটপই একটি মাত্র ২.৫ ইঞ্চি মাপের ড্রাইভ ধারন করতে পারে। কিন্তু কিছু সংখ্যক ল্যাপটপ আছে (১৭" থেকে বেশি বড় প্রদর্শনীর) যেগুলোতে দুটো লাগানো যায়। কিছু ল্যাপটপ আছে যেগুলোতে হার্ডড্রাইভ বা এসএসডি উভয়ই ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে এসএসডি ব্যবহার করা হয় অপারেটিং সিস্টেম অংশের জন্য আর সাধারন ডাটা সংরক্ষনের জন্য হার্ডডিস্ক ড্রাইভ ব্যবহার করা হয়। এর ফলে আই/ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অন্য আরেকটি ব্যবস্থা হল একটি ১৬-৩২ জিবি ক্ষমতার এসএসডি ক্যাশ ড্রাইভ হিসেবে ব্যবহার করা যাতে আই/ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং অবশ্যই তা অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা সমর্থিত হতে হবে।

যখন কিছু এসএসডি ড্রাইভ সাধারন মানদন্ড অনুসরন করে বানানো হয় না (আকারের ক্ষেত্রে) বা কোন ধরনের স্বত্তাধিকারি ডটার কার্ড প্রয়োজন হয়।<ref name="IFI-rMBP">{{cite web|title=MacBook Pro 15" Retina Display Late 2013 Teardown|url=https://www.ifixit.com/Teardown/MacBook+Pro+15-Inch+Retina+Display+Late+2013+Teardown/18696|website=IFixit.com|accessdate=1 October 2014}}</ref> সেইসব ল্যাপটপের ধারন ক্ষমতা পরবর্তীতে বাড়ানোর কোন পথ নাও থাকতে পারে।

কিছু ল্যাপটপের এসএসডি ধারন ক্ষমতা খুব কম হতে পারে। কারন হিসেবে বলা যায় এগুরো ক্লাউড সংরক্ষন সেবা ব্যবহার করে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয় ডাটা সংরক্ষনের সময়। যেমন গুগল ক্রোমবুক।

বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক হার্ডডিস্ক ড্রাইভ অথবা এনএএস ডাটা সংরক্ষন সার্ভারের সাথে (আরএআইডি প্রযুক্তি দিয়ে) যে কোন ল্যাপটপ কার্যত যুক্ত করে (যেমন: ইউএসবি, ফায়ারঅয়ার, ইসাটা, থান্ডারবোল্ট অথবা তার বা তারবিহিন নেটওর্য়াকের মাধ্যমে) ডাটা সংরক্ষন ক্ষমতা বাড়ানো যায়।

প্রায় সব ল্যাপটপেই একটি কার্ড রিডার থাকে যা দিয়ে মেমোরি কার্ড যেমন এসডি অথবা মাইক্রো এসডি ব্যবহার করা যায়।

===অপসারনযোগ্য মিডিয়া ড্রাইভ===
সিডি/ডিভিডি/বিডি অপটিক্যাল ডিস্ক ড্রাইভগুলো প্রত্যেক পূর্নাঙ্গ ল্যাপটপেই থাকে। এবং এখন এটি ১৫ ইঞ্চ মাপের বা তার বেশি মাপের প্রদর্শনী আছে এমন ল্যাপটপের সাথে থাকবেই। তবে বর্তমানে চিকন ও হালকা ল্যাপটপের ধারায় এটি কম ব্যবহার করা হয়। সাবনোট বা নেটবুকে এগুলো খুজে পাওয়া খুব একটা যায় না। ল্যাপটপের অপটিক্যাল ড্রাইভগুলোর সাধারন মান দন্ড আছে সাধারনত সবগুলোই এমসাটা কানেক্টর দ্বারা ল্যাপটপের সাথে যুক্ত থাকে। প্রায়শই এটি পরিবর্তন করা যায়। কিছু কিছু ল্যাপটপে অপটিক্যাল ড্রাইভের জায়গায় দ্বিতীয় আরেকটি ড্রাইভ বসানো যায়, এক্ষেত্রে ক্যাডি ব্যবহার করে বাড়তি খালি অংশ ভর্তি করা হয়।

===ইনপুট===
একটি নির্দেশক কাঠি, টাচপ্যাড বা দুটোই ল্যাপটপের প্রদশর্নীতে কার্সর নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হতে পারে। আর থাকে একটি কিবোর্ড যা লিখনের কাজে ব্যবহৃত হয়। একটি বাহ্যিত কিবোর্ড বা মাউসও ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে লাগানো যেতে পারে। আবার এগুলো যদি হয় তারবিহিন তাও লাগানো সম্ভব। প্রযুক্তির অগ্রগতিতে এখন স্পর্ষ নিয়ন্ত্রিত পর্দা ব্যবহার করেও ইনপুট দেয়া সম্ভব, এটা যদিও মোবাইলে বেশি ব্যবহার করা হয় কিন্তু বর্তমানের আল্ট্রাবুকগুলোতেও এই সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া সাম্প্রতিক উইন্ডোজের ভার্সন ৮.১ এই ধারাকে আরো ত্বরান্বিত করেছে।

===আই/ও পোর্ট===
গতানুগতিক ল্যাপটপে অনেকগুলো ইউএসবি পোর্ট, একটি বাহ্যিক প্রদর্শনী পোর্ট (ভিজিএ, ডিভিআই, এইচডিএমআই অথবা মিনি প্রদশর্নী পোর্ট), অডিও ইন/আউট ইত্যাদি থাকে। বর্তমানের আধুনিক ল্যাপটপগুলোতে একসাথে তিনটি বাহ্যিক প্রদর্শনী যুক্ত করা যেতে পারে, মিনি প্রদশর্নীপোর্ট ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে বহু-ধারার পরিবহন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।<ref name="3-Displays FAQ">{{cite web|title=Configuration 3-Displays FAQ|url=http://www.intel.com/support/graphics/sb/CS-033714.htm|website=Intel.com|accessdate=16 September 2014}}</ref>

ইথারনেট নেটওয়ার্ক পোর্ট যদিও পূর্বে পাওয়া যেত কিন্তু আধুনিক ল্যাপটপে এটি কম দেখা যায় কারন তারবিহিন প্রযুক্তি ওয়াইফাইয়ের বহুল ব্যবহারের ফলে।

আরো কয়েকটি পোর্ট যেমন পিএস/২ কিবোর্ড/মাউস পোর্ট, সিরিয়াল পোর্ট, প্যারালাল পোর্ট অথবা ফায়ারঅয়ার খুব কম দেখা যায়। অন্যদিকে, এ্যপলের ল্যাপটপসহ আরো কিছু ল্যাপটপে থান্ডারবোল্ট পোর্ট দেখা যায়।

===সম্প্রসারন কার্ড===
ইউএসবি ৩ ইন্টারফেসের সূচনার পরে, আগে যেসব পিসি কার্ড (পিসিএমসিআইএ বা এক্সপ্রেস কার্ড) স্লট দেখা যেত এখন সেগুলোর ব্যবহার কমে আসছে। কিছু বাহ্যিক উপব্যবস্থা যেমন ইথারনেট, ওয়াই-ফাই অথবা একটি তারবিহিন সেলুলার মডেম বসানো যাবে অভ্যন্তরীরন সম্প্রসারন কার্ড প্রতিস্থাপক হিসেবে। সাধারনত এগুলোকে পাওয়া যাবে ল্যাপটপের নিচের একটি কভারে। এগুলোর সাধারন মান হল পিসিআই এক্সপ্রেস যেটি ছোট এবং এমনকি আরো ছোট এম.২ আকারে পাওয়া যায়। নতুন ল্যাপটপগুলোতে মাইক্রোসাটার কার্যকারিতা পিসিআই এক্সপ্রেস ছোট বা এম.২ কার্ডে দেখা পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। এটি ঐ স্লটগুলোকে সাটা নির্ভর সলিড স্টেট ড্রাইভের জন্য ব্যবহার করার সুযোগ দেয়।<ref name="parts-cards">{{cite web |title = Innovations in Notebook Expansion |url = http://www.hardwaresecrets.com/article/89 |author = Gabriel Torres |date = 25 November 2004 |publisher = Hardware Secrets, LLC |accessdate =15 November 2008}}</ref>

===ব্যাটারি এবং শক্তি সরবরাহ===
{{প্রধান|স্মার্ট ব্যাটারি}}
বর্তমান ল্যাপটপগুলো লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করে, যেগুলো দেখতে চিকন যাতে আবার চওড়া লিথিয়াম পলিমার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এই দুই প্রযুক্তি আগের বড় ধরনের নিকেল মেটাল-হাইড্রাইডের ব্যাটারির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। ব্যাটারির ক্ষমতা এবং স্থায়ীত্ব ল্যাপটপের মডেলের সাথে এবং কাজের সাথে ভিন্ন হয়, যা এক ঘন্টা থেকে শুরু করে এক দিন হতে পারে। ব্যাটারির স্থায়ীত্ব দিনকে দিন কমতে থাকে, ১ থেকে ৩ বছরের প্রত্যাহিক ব্যবহারের ফলে ধারন ক্ষমতায় বিদ্যুত সঞ্চারন ও ডিসচার্জের ধরন এবং ব্যটারির প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে পরিবর্তন আসে। ল্যাপটপের ব্যাটারির মানোন্নয়নের পর্যায়ে এমনও দেখা গেছে যে সেটি ২৪ ঘন্টা কম্পিউটার চালাতে সক্ষম (গড় বিদ্যুত খরচের উপর)। উদাহরন হতে পারে এইচপি এলিটবুক ৬৯৩০পি যখন এর আল্ট্রা ক্ষমতার ব্যাটারি দিয়ে চালানো হয়।<ref>{{cite web|url=http://h10010.www1.hp.com/wwpc/ca/en/sm/WF06a/321957-321957-64295-89315-89315-3688868.html?dnr=1 |title=HP EliteBook 6930p Notebook PC specifications – HP Products and Services Products |publisher=H10010.www1.hp.com |date=25 May 2009 |accessdate=17 June 2013}}</ref>

ল্যাপটপের ব্যাটারি বাহ্যিক একটি শক্তি সরবরাহকারী দিয়ে চার্জ দেওয়া হয় যা ডিসি ভোল্টেজ থাকে ৭.২ থেকে ২৪ ভোল্টের মধ্যে। এটি ল্যাপটপের সাথে ডিসি সংযোগকারি ক্যাবল দিয়ে যুক্ত থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি ব্যাটারিকে চার্জ করতে পারে এবং শক্তিও সরবরাহ করতে পারে একই সাথে। যখন ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায় তখন বাহ্যিক শক্তি দিয়ে ল্যাপটপ চলতে থাকে, ব্যাটারির ক্ষমতা না ব্যবহার করে। ব্যাটারি কম সময়ে চার্জ হতে পারে যদি ল্যাপটপটি বন্ধ বা স্লিপ মোডে থাকে। চার্জারের ওজন হয় ৪০০ গ্রামের মত কিন্তু কিছু মডেলের ওজন কম বেশি হতে পারে।


===শীতলীকরন===
কার্যপরিচালনার কারনে উৎপন্ন তাপ ল্যাপটপের মত ছোট জিনিস থেকে বের করা কষ্টকর। আগের ল্যাপটপগুলোতে তাপ শোষকগুলো সরাসরি উপাদানের উপর বসানো হত ঠান্ডা হবার জন্য। কিন্তু যখন গরম হয়ে উঠে এমন উপাদান বেশি গভীরের স্তরে থাকে ল্যাপটপের তবে একটি বড় জায়গা জুড়ে বায়ুবাহী নল বসানো হত তাপ বের করে দেয়ার জন্য। আধুনিক ল্যাপটপগুলোতে তাপীয় নল ব্যবহার করা হয় তাপ দ্রুত যন্ত্রের কিনারে নিয়ে আসতে, অনেক ছোট ও সূক্ষ্ম ফ্যান এবং তাপ শোষক শীতলীকরন ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। সাধারনত তাপ ল্যাপটপের পেছনে বা পাশে দিয়ে বের করে দেয়া হয়। অনেকগুলো বাতাস গ্রহনকারী পথ থাকে যদিও অনেকগুলো বন্ধ থাকে বিশেষ করে ল্যাপটপকে যখন নরম জিনিসের উপর বসানো হয়। যেমন চেয়ার কুশনের উপর, ফোমের উপর ইত্যাদি। এ্যপলের ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার তৈরী হয় এ্যালুমিনিয়ামের খাচ বা বাক্সে, বিশ্বাস করা হয় যে, এই খাপ বা বাক্সও তাপ শোষনকারী হিসেবে কাজ করে যা যন্ত্রটির মূল অংশকে ঠান্ডা করতে সহায়তা করে। সহায়তাকারী যান্ত্রিক তাপের দেখাশোনাকারী সফটওয়্যার পিসির কার্যক্ষমতা ব্যহত করতে পারে বা জরুরী কম্পিউটার বন্ধে বাধ্য করতে পারে। কারন এগুলো তৈরী করা হয়েছে যাতে কম্পিউটার অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আগেই বন্ধ করে ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়। এধরনের ব্যপারগুলো ঘটে যখন একটানা ল্যাপটপ চলে বা এমন জায়গায় রাখা হয়েছে যা তাপ বৃদ্ধির কারন হয়ে দাড়িয়েছে যেমন ব্যাগে। এই ধরনের উত্তাপ বৃদ্ধির ফলে ল্যাপটপের খাপ বা বাক্সের প্লাস্টিক গলে যেতে পারে এমনকি আগুনও জ্বলে উঠতে পারে। বাজারে যেসব শীতলীকরন প্যাড পাওয়া যায় তা তাপকে নিয়ন্ত্রন করতে কাজে লাগতে পারে।

===ডকিং স্টেশন===
ডকিং স্টেশন বা ডক এক ধরনের ল্যাপটপের সহায়ক বস্তু যাতে একাধিক পোর্ট থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সম্প্রসারন স্লট বা প্ল্যাটফর্ম দেয়া থাকে যাতে স্থায়ী বা অপসারনযোগ্য ড্রাইভ বসানো যায়। একটি ল্যাপটপকে ডকের সাথে সহজেই জুড়ে দেয়া যায়, সাধারনত বড় ধরনের একটি তারের মাধ্যমে।

কর্পোরেট ক্ষেত্রে ডকিং স্টেশন খুব জনপ্রিয় যেহেতু এতে করে ল্যাপটপকে একটি ডেস্কটপের রূপ দেয়া যায়। কিন্তু তা সত্বেও একে সহজে খোলা যায়, ফলে যারা বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক।

যদি আরো বেশি পোর্টের প্রয়োজন হয় বা ল্যাপটপটি ঠিক মত বসানো না যায় তবে যে কেউ আরো কম দামি যন্ত্র ব্যবহার করতে পারে যা হল একটি পোর্ট কৃত্রিমকারী। এই যন্ত্রগুলো ল্যাপটপের পেছনে লাগানো হয় সাধারনত, ইউএসবি বা [[আইইইই ১৩৯৪|ফায়ারওয়ার]] দিয়ে।

===বিদ্যুত সঞ্চারন স্টেশন===
ল্যাপটপ বিদ্যুত সঞ্চারন ট্রলি যাকে ল্যাপটপ ট্রলি বা ল্যাপটপ কার্ট হল এক ধরনের ল্যাপটপ বিদ্যুত সঞ্চারক যা ল্যাপটপ, নেটবুক এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারে বিদ্যুত সঞ্চারন করতে পারে।<ref name="doug">{{cite web|last=Woods|first=Dough|title=Getting rid of the ICT suite|url=http://dougwoods.co.uk/blog/getting-rid-of-the-ict-suite/|work=Blog}}</ref> ল্যাপটপ ট্রলিগুলোকে প্রধানত স্কুলে ব্যবহার করা হয় ডেস্কটপের বদলে। যেখানে ডেস্কটপ চালানো বা বিদ্যুত সঞ্চালনের মত পর্যাপ্ত পরিমান সকেট নেই।

ট্রলিগুলোকে এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে নেয়া যেত এতে করে পুরো ভবনেই পূর্ণ বিদ্যুত না থাকলেও সঞ্চারিত বিদ্যুতের মাধ্যমে ব্যবহার করা যেত এবং আইটির ছোয়া পেত।<ref>{{cite news|last=Wilce|first=Hilary|title=Welcome to Lapland|url=http://www.tes.co.uk/article.aspx?storycode=341261|newspaper=TES Magazine|date=1 December 2000}}</ref> ল্যাপটপ ট্রলি দিয়ে চুরির সম্ভাবনাও কমিয়ে আনা হয়। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলামেলা থাকে এবং ল্যাপটপ, নেটবুক ও ট্যাবলেট সহজে বহন করা যায় ফলে চুরির জন্য এগুলো প্রধান লক্ষ্য হয়ে ওঠে। ট্রলিগুলো ধাতব স্টিলের তৈরী এবং যখন ব্যবহার করা হয় না তখন তালাবদ্ধ করে রাখা যায়। তবে রাতে যাতে সরিয়ে ফেলতে না পারে সেজন্যে এগুলোকে দেয়াল বা মেঝেতে স্থাপন করার ব্যবস্থা রয়েছে।<ref name="doug" />


===সৌর প্যানেল===
{{প্রধান|সৌর নোটবুক}}
কিছু ল্যাপটপে সৌর প্যানেল ল্যাপটপ চালানোর মত শক্তি উৎপাদনে সক্ষম।<ref>{{cite web|last=Clarke|first=Gavin|title=The SOLAR-POWERED Ubuntu laptop|url=http://www.theregister.co.uk/2013/08/07/ubuntu_solar_powered_laptop/|publisher=THE REGISTER|accessdate=7 August 2013}}</ref> একটি শিশুর জন্য একটি ল্যাপটপ কর্মসূচিতে ওএলপিসি এক্সও-১ ল্যাপটপটি পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং চালানো গিয়েছিল সৌর প্যানেল দিয়ে।<ref>{{cite web|url=http://www.youtube.com/watch?v=ITHNbOrPQyM |title=OLPC XO laptop powered by a solar panel |publisher=YouTube |date=9 January 2012 |accessdate=23 October 2012}}</ref> বর্তমানে তারা নকশা করছে ওএলপিসি এক্সও-৩ মডেলের যাতে এই বৈশিষ্ট্যটি থাকবে। এটি মাত্র ২ ওয়াট শক্তি দিয়ে চালানো যায়। আর সৌর প্যানেলটি ৪ ওয়াট করে শক্তি উৎপাদন করতে পারে।<ref>{{cite web|author=Elizabeth Woyke |url=http://www.forbes.com/sites/elizabethwoyke/2012/01/08/a-look-at-olpcs-xo-3-0-tablets-solar-and-kinetic-chargers/ |title=A Look at OLPC's XO 3.0 Tablet's Solar And Kinetic Chargers |publisher=Forbes |date=18 April 2012 |accessdate=23 October 2012}}</ref><ref>{{cite web|url=http://laptop.org/en/vision/mission/faq.shtml |title=One Laptop per Child (OLPC): Frequently Asked Questions |publisher=Laptop.org |accessdate=23 October 2012}}</ref> স্যামস্যাঙেরও একটি নোটবুক আছে যা আমেরিকার বাজারে ছাড়া হবে এবং এটি সৌর শক্তি দিয়ে চলতে পারে যার মডেল এনসি২১৫এস।<ref>{{cite web|url=http://inhabitat.com/samsungs-solar-powered-laptop-to-go-on-sale-in-us-in-july/ |title=Samsung's Solar Powered Laptop Will Be First Sun Powered Laptop Sold in US &#124; Inhabitat&nbsp;– Sustainable Design Innovation, Eco Architecture, Green Building |publisher=Inhabitat |accessdate=23 October 2012}}</ref>

==সুবিধা==
[[Image:Vicente Fox laptop.jpg|thumb|ল্যাপটপ কম্পিউটারগুলো বহনযোগ্য এবং যেকোন জায়গায় ব্যবহার করা যায়। ছবিতে [[ভিনসেন্ট ফক্স]] ব্যবহার করছেন একটি [[এ্যপল]]
[[পাওয়ারবুক]]]]
[[File:Astrid Gruppefremvisning.jpg|thumb|একজন শিক্ষক ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানে]]
[[File:Jimmy Wales accessing Wikipedia.jpg|thumb| উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা [[জিমি ওয়েলস]] পার্কে বসে ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন]]
ডেস্কটপ পিসির সাথে যখন ল্যাপটপকে তুলনা করা হয় বহনযোগ্যতাকে সবার প্রথমে ধরা হয়।<ref>{{cite web
| title = Should I buy a laptop or desktop?
| publisher = IT Division&nbsp;– University of Wisconsin
| date = 19 March 2008
| url = http://kb.wisc.edu/showroom/page.php?id=3044
| accessdate =27 November 2008 }}
</ref> এই সুবিধার কারনে ল্যাপটপকে যে কোন জায়গায় ব্যবহার করা যায়। যেমন - বাড়িতে, অফিসে, বিমানের ফ্লাইটে, মিটিংয়ে, কফি দোকানে, লেকচার হলে বা লাইব্রেরিতে, গ্রাহকের সামনে ইত্যাদি। এই বহনযোগ্যতা বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন সুবিধা দেয় সেগুলো নিচে দেখুন-

* উৎপাদনশীলতা - যেখানে ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করা যায় না, বা ডেস্কটপের জন্য বসে থাকলে যে সময়টুকু নষ্ট হত সেক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও উৎপাদনশীলতা এসেছে। যেমন একজন কর্মচারি ট্রেনে বসে অফিসের কাজ করছেন বা একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কফি দোকানে বসে তার বাড়ির কাজ করে নিচ্ছেন।<ref>{{cite web
| title = ECU Advantage: Why have a laptop?
| publisher = ECU
| url = http://advantage.ecu.edu.au/advantage/why.asp
| archiveurl = http://web.archive.org/web/20080718215757/http://advantage.ecu.edu.au/advantage/why.asp
| archivedate = 18 July 2008
| accessdate =27 November 2008 }}
</ref><ref>{{cite web
| title = Student Laptop Buying Guide
| publisher = Pulsar Online
| url = http://www.pulsaronline.co.uk/laptop-buying-guide/
| accessdate =31 May 2013 }}
</ref>

* তাৎক্ষনিক - একটি ল্যাপটপ বহন করার অর্থ হল তাৎক্ষনিক যোগাযোগ ও তথ্যের ভান্ডার সাথে নিয়ে হাটা। সেটা হতে পারে ব্যক্তিগত বা কাজের তথ্য, ফাইল ইত্যাদি। এর ফলে কাজের ক্ষেত্রে বা ছাত্রদের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। কারন যখন তখন ল্যাপটপের ভাঁজ খুলেই কাজ শুরু করা বা দেখানো যেতে পারে।

* তথ্যের সাথে পা মিলিয়ে চলা - যদি একজন ব্যবহারকারী একটির বেশি ডেস্কটপ কম্পিউটার থাকে তবে তা কাজ গুছিয়ে নিতে সমস্যা তৈরী করে। এই সমস্যার সমাধান অবশ্যই আছে যেমন বসে থেকে ফাইল স্থানান্তর বা আবার এক ফাইল থেকে ডাটা অন্য ফাই্লে স্থানান্তর, ইউএসবি ড্রাইভ দিয়ে বা সিডি দিয়ে অথবা ইন্টারনেটের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সিন্ক্রোনাইজেশনের মাধ্যমে। কিন্তু একটি ল্যাপটপ এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে। কারন এটা বহন করে যে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।

* যোগাযোগ - ল্যাপটপে ওয়াই ফাই ও সেলুলার ব্রডব্যান্ড ডাটা সুবিধা থাকার ফলে যে কোন জায়গায় বসে (ওয়াই ফাই সুবিধা আছে এমন জায়গায়, উন্নত বিশ্বের প্রায় সব জায়গায় এই সুবিধা পাওয়া যায়) সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনগুলো এর ভালো উদাহরন।<ref>{{cite web
| title = Faster Wi-Fi Predicted for Colleges
| publisher = The Chronicle of Higher Education
| author = Josh Fischman
| date = 7 August 2008
| url = http://chronicle.com/wiredcampus/article/3226/faster-wifi-predicted-for-colleges
| accessdate =27 November 2008 }}
</ref>

ল্যাপটপের অন্যান্য সুবিধা

* আকার - ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপ ছোট। এটি খুবই দরকারি যখন জায়গা ছোট হয়। যেমন ছোট এপার্টমেন্টে বা ছাত্রাবাসে। আর যখন এটা ব্যবহার করা হয় না তখন বন্ধ করে সহজেই যে কোন জায়গায় রাখা যায়।

* কম শক্তি খরচ - ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপ কয়েকগুন বেশি শক্তি কম খরচ করে। গতানুগতিক ল্যাপটপ ব্যবহার করে ২০-১২০ ওয়াট যেখানে ডেস্কটপ ব্যবহার করে ১০০-৮০০ ওয়াট। এই জন্যে ল্যাপটপ ব্যবসায় ও বাড়ির জন্য লাভজনক হতে পারে, যেখানো ল্যাপটপ সারাদিনই চলে।

* শব্দহীন- ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপ কম শব্দ করে। যেহেতু ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপে কম ফ্যান থাকে ও হার্ড ড্রাইভের গতিও কম থাকে।

* ব্যাটারি - বিদ্যুতসঞ্চিত ল্যাপটপ কয়েক ঘন্টা চলতে পারে বিদ্যুতবিহিন এবং এতে বৈদ্যুতিক উৎস থেকে উৎপত্তি হয় এমন সমস্যা হয় না। যেমন ব্ল্যাকআউট, লোডশেডিং, স্পার্ক ইত্যাদি। কিন্তু একটি ডেস্কটপ পিসিতে ইউপিএস লাগে এধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে। ডেস্কটপের উপাদানের উপর ভিত্তিকরে তা দামি ও বেশি বিদ্যুত ধারন করতে পারে এমন হতে পারে।<ref>A sample line of UPS devices and on-battery power: {{cite web
| title = Back-UPS RS
| publisher = APC
| url = http://www.apc.com/products/family/index.cfm?id=23
| accessdate =27 November 2008 }}
</ref>

* একের-ভিতর-সব - ল্যাপটপেই সবকিছু একসাথে থাকে (ডেস্কটপের একের-ভিতর-সব ভার্সনগুলো বাদ দিয়ে) একটি জায়গায়। কিন্তু ডেস্কটপের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি উপাদান আলাদা আলাদা থাকে।




==অসুবিধা==

ডেস্কটপ কম্পিউটারের তুলনায় ল্যাপটপের কিছু অসুবিধা রয়েছে:

===কার্যক্ষমতা===
ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা প্রায় কাছাকাছি কিন্তু ডেস্কটপের দাম কমলেও ল্যাপটপের দাম সেভাবে কমেনি।<ref>
In a comparison between laptop and desktop of equal cost, the desktop's System Benchmark Score was twice that of the laptop. {{cite web
| title = What to Buy, a Notebook or Desktop PC?
| publisher = Tom's Hardware
| date = 11 June 2008
| url = http://www.tomshardware.com/reviews/desktop-vs-notebook,1946-7.html
| accessdate =28 November 2008 }}
</ref> ডেস্কটপের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারের তুলনায় ল্যাপটপের ক্ষমতা তত বাড়েনি (বিশেষত "ওয়ার্কস্টেশন ক্লাস" যন্ত্র যেগুলোর সাথে দুই প্রসেসরের সকেট আছে) এবং নতুন আসা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বৈশিষ্ট্যগুলো ডেস্কটপে প্রচলনের পরই ল্যাপটপে আসে।

ইন্টারনেট ব্রাউজ বা সাধারন অফিস এ্যপ্লিকেশন চালাতে গেলে ব্যবহারকারীর নির্দেশের জন্যে কম্পিউটার অপেক্ষা করে বেশিরভাগ সময়ই, সেই সব কম্পিউটার (হতে পারে একেবারে কম ক্ষমতা সম্পন্ন) কোন কোন ব্যবহারকারীর কাছে দ্রুতগতি সম্পন্ন মনে হতে পারে।<ref>
For example, a review of the [[MSI Wind Netbook]] says that "''The device is rarely sluggish in general use. It renders Web pages quickly, launches most applications without becoming too bogged down and generally doesn't feel like it's a budget laptop.''" {{cite web
| last = Reid
| first = Rory
| title = MSI Wind Review
| publisher = CNET Australia
| date = 7 July 2008
| url = http://www.cnet.com.au/laptops/laptops/0,239035649,339289583,00.htm
| accessdate =28 November 2008 }}
</ref> ২০১০ সালে মাঝামাঝি নাগাদ সবচেয়ে কম দামি নেটবুকের দাম (২০০-৩০০ ডলার) ডেস্কটপের সবচেয়ে কম ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারের দামের (প্রায় ২০০ ডলার) চেয়ে বেশি ছিল। যদি প্রদশর্নীর কথা ধরা না হয়। কিন্তু কমদামি প্রদশর্নী যোগ করলে দামটা তুলনা করার মত হয়।

বেশিরভাগ উচ্চ ক্ষমতার ল্যাপটপই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিনেমা চালানো, কিছু ৩ডি গেম খেলা এবং ভিডিও সম্পাদনা ও এনকোডিং করার মত ক্ষমতা রয়েছে। যদিও ল্যাপটপের প্রসেসর উচ্চ মাত্রার ডাটাবেজ, গণিত, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্থিক সফটওয়্যার, ভার্চুয়াল জগতের জন্য পিছিয়ে আছে। ডেস্কটপের গ্রাফিক্স প্রসেসরের তুলনায় ল্যাপটপের গ্রাফিক্স প্রসেসরও পিছিয়ে আছে। যার ফলে বৈজ্ঞানিক ও ৩ডি গেমিংয়ে ল্যাপটপের ব্যবহার সীমাবদ্ধ। কিছু প্রস্তুতকারক ডেস্কটপের সিপিইউ ল্যাপটপে লাগিয়ে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।<ref>[http://www.engadget.com/2009/07/14/rock-delivers-bd-core-i7-equipped-xtreme-790-and-xtreme-840-ga/ Rock delivers BD / Core i7-equipped Xtreme 790 and Xtreme 840 gaming laptops&nbsp;– Engadget<!-- Bot generated title -->]</ref>

===সম্প্রসারণ সক্ষমতা===
ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপের সম্প্রসারন ক্ষমতা খুব কম। সাধারন হার্ড ড্রাইভ এবং মেমোরি সম্প্রসারন তুলনামূলকভাবে সহজ। অপটিক্যাল ড্রাইভ এবং অভ্যন্তরীন প্রসারন কার্ড লাগানো যায় যদি তা হয় সাধারন মানদন্ডের। কিন্তু অন্য সকল উপাদানগুলো যেমন মাদারবোর্ড, সিপিইউ এবং গ্রাফিক্স সহজে পরিবর্তন করা যায় না। ইন্টেল, আসুস, কমপাল, কোয়ান্টা এবং অন্যান্য কিছু ল্যাপটপ প্রস্তুতকারক একই ধরনের নকশা অনুসরন করে ল্যাপটপের অংশ জুড়ে দেওয়ার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে। তারা এই কাজটি করেছেন মূলত একটি মানদন্ড তৈরি করতে।

সম্প্রসারন সীমিত হওয়ার পেছনে অর্থনৈতিক ও কারিগরি উভয় কারনই জড়িত। ল্যাপটপের আকারের নকশার কোন নিদির্ষ্টতা নেই। প্রত্যেক উৎপাদকই নিজস্ব নকশায় ল্যাপটপ তৈরি করেন ফলে ল্যাপটপের ক্রয় পরবর্তী সম্প্রসারন করা যায় কম এবং করতে গেলেও তার খরচ হয় বেশি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় অন্য কোম্পানির উপাদান ব্যবহার করা যায় তবে তা খুবই কম এমনকি একই উৎপাদকের দুটি আলাদা ল্যাপটপ পন্য হলেও।

কিছু সম্প্রসারন করা যেতে পারে বাহ্যিক ইউএসবি বা সম্প্রসারন কার্ড ধাচের যেমন পিসি কার্ড। সাউন্ড কার্ড, নেটওয়ার্ক এডাপ্টার, হার্ড ড্রাইভ, অপটিক্যাল ড্রাইভ সহ আরো অগুনিত পেরিফেরাল যন্ত্রাংশ রয়েছে কিন্তু এই সব সম্প্রসারন ল্যাপটপের বহনযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে কারন এগুলো লাগাতে গেলে ক্যাবল বক্স প্রভৃতি বসাতে বা সংযোগ করতে হয়। আর প্রত্যেক বার বহনের সময় এগুলো খুলতে এবং লাগাতে হয়।


===স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব===

====কব্জি====
[[Image:laptop-coaster.jpg|thumb|[[ল্যাপটপ শীতলীকরন]] (সিলভার) ল্যাপটপের নিচে (সাদা), ল্যাপটপের তাপ কমাতে সাহায্য করছে এবং তাপ কম উৎপন্ন করতে সাহায্য করছে]]
ল্যাপটপের ছোট, সমান্তরাল কিবোর্ড এবং ট্র্যাকপ্যাডের কারনে দীর্ঘক্ষন ধরে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে পৌনপুনিক মাংসপেশির খিল ধরা সমস্যা দেখা দিতে পারে।<ref>{{cite web
| last = Martin
| first = James A.
| title = The Pain of Portable Computing
| publisher = PC World
| date = 9 June 2000
| url = http://www.pcworld.com/printable/article/id,17082/printable.html
| accessdate =27 November 2008
}}</ref> এই রকম সমস্যা উত্তরনের লক্ষ্যে দীর্ঘক্ষন ল্যাপটপ ব্যবহার করলে আলাদা কিবোর্ড ও মাউস ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এগুলো সহজেই কম্পিউটারের সাথে লাগানো যায় ইউএসবি পোর্ট বা ডকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে। কিছু কিছু কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগি কিবোর্ডের ব্যবস্থার কথা বলা আছে।

====ঘাড় ও মেরুদন্ড====
ল্যাপটপের সাথে যে প্রদর্শনী থাকে তাতে ভাল করে দেখার জন্য ব্যবহারকারীকে ঝুঁকে থাকতে হয় অনেক সময়। যা ঘাড় এবং মেরুদন্ডের ব্যথ্যার জন্য দায়ী। এ সমস্যা দূর করতে বড় আলাদা প্রদর্শনী ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে যা ল্যাপটপের সাথে সহজেই জুড়ে দেয়া যায়। তাছাড়া কম্পিউটার স্ট্যান্ডও ব্যবহার করা যেতে পারে।

যারা আলাদা প্রদর্শনী ব্যবহার করতে চান না তাদের জন্য পরামর্শ হল ল্যাপটপের প্রদর্শনীটিকে এমনভাবে রাখা যাতে তা ৯০ ডিগ্রির বেশি হেলে থাকে। এতে করে ঘাড় সোজা রাখা সহজ হতে পারে।

====সন্তান উৎপাদন ক্ষমতার উপর প্রভাব====
স্টেট ইউনিভার্সটি অব নিউ ইয়র্কের একটি গবেষনায় দেখা গেছে যে ল্যাপটপের যে তাপ নিসৃত হয় তা পুরুষ ব্যবহারকারীর কোমরের নিচে এক্ষেত্রে বিশেষকারে জননেন্দ্রীয়তে শুক্রের সংখ্যাকে হুমকির মুখে ফেলে। গবেষনায় প্রায় ২ ডজন পুরুষ ছিল যাদের বয়স ২১-৩৫ এর মধ্যে। দেখা গেছে, বসে কাজ করতে গেলে ল্যাপটপকে ভালভাবে রাখার জন্য কোলের উপর বা তলপেটের কাছাকাছি রাখতে হয় এতে করে অন্ডদেশীয় তাপমাত্রা প্রায় বেড়ে ২.১°C (৩.৭৮ °F) হয়। কিন্তু তবুও, আসলেই এটি সরাসরি কোন ক্ষতি করে কিনা তা আরো গবেষনার প্রয়োজন রয়েছে সঠিকভাবে বলার জন্য।<ref>{{cite journal
| last = Sheynkin
| first = Y.
| author2 = Jung M; Yoo P;Schulsinger D; Komaroff E
| title = Increase in scrotal temperature in laptop computer users
| journal = Human Reproduction
| volume = 20
| issue = 2
| pages = 452–5
|date=9 December 2004
| publisher = Epub
| accessdate =14 December 2006
| doi = 10.1093/humrep/deh616
| pmid = 15591087 }}
</ref>

২০১০ সালে ২৯ জন পুরুষের উপর করা গবেষনা প্রকাশিত হয় ফার্টিলিটি এবং র্স্টারিলিটিতে। এখানে বলা হয় যারা কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করেন তাদের অন্ডদেশে হাইপারথার্মিয়া বা অতিমাত্রার তাপীয় অবস্থার শিকার হন যার ফলে অন্ডদেশে তাপমাত্রা ২°C বেড়ে যায়। এই তাপমাত্রার ফলে পুরুষত্বহীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেটা ল্যাপটপ কুশন ব্যবহার করেও কমানো যায় না।<ref name="study1">{{cite journal|author2=Yefim Sheynkin, Robert Welliver, Andrew Winer, Farshid Hajimirzaee, Hongshik Ahn, Kyewon Lee|journal=Fertility and Sterility|date=8 November 2010|title=Protection from scrotal hyperthermia in laptop computer users|doi=10.1016/j.fertnstert.2010.10.013|url=http://www.fertstert.org/article/S0015-0282(10)02689-0/abstract|last1=Sheynkin|first1=Yefim|volume=95|issue=2|pages=647–651|pmid=21055743}}</ref><ref name="Yin">{{cite web|url=http://www.pcmag.com/article2/0,2817,2372317,00.asp|title=Study: Laptop Pads Don't Prevent Male Infertility|last=Yin|first=Sara|date=8 November 2010|work=[[PC Magazine]]|accessdate=8 November 2010}}</ref><ref>{{cite news|url=http://www.independent.co.uk/life-style/health-and-families/men-your-laptop-may-be-roasting-your-testicles-2128617.html|title=Men, your laptop may be roasting your testicles|date=8 November 2010|work=The Independent |accessdate=8 November 2010}}</ref><ref name="Caulfield">{{cite web|url=http://www.nydailynews.com/lifestyle/health/2010/11/07/2010-11-07_study_finds_men_who_place_laptop_computer_on_lap_put_testicles_at_risk_of_overhe.html|title=Study finds men who place laptop computer on lap put testicles at risk of overheating, infertility|last=Caulfield|first=Philip|date=7 November 2010 <!-- , 6:09&nbsp;pm --> |work=[[Daily News (New York)|Daily News]]|accessdate=8 November 2010}}</ref><ref name="Joelving">{{cite news|url=http://www.reuters.com/article/idUSTRE6A457320101108|title=.|last=Joelving|first=Frederik|date=8 November 2010 <!-- 12:37&nbsp;pm EST --> |accessdate=8 November 2010|agency=Reuters}}</ref>

এই প্রায়োগিগ সমস্যার সমাধান হিসেবে, পরামর্শ দেয়া হয়েছে ল্যাপটপকে কোলে না রেখে সুবিধাজনক কোন টেবিল বা ডেস্ক বা বই বা বালিশের উপর রেখে কাজ করতে যাতে করে ল্যাপটপ এবং শরীরের সর্ম্পক না থাকে। আরেকটি সমাধান হতে পারে একটি শীতলীকরন ব্যবহার করা। যা ইউএসবি'র মাধ্যমে ল্যাপটপের সাথে যুক্ত থাকে। এটি ল্যাপটপের অতিরিক্ত গরম তাপ সরিয়ে দিয়ে ল্যাপটপকে ঠান্ডা রাখে। এতে সাধারনত একের অধিক পাখা থাকে। এটি ল্যাপটপের নিচের দিকে প্লাস্টিকের খাচে বসানো থাকে।

====উরু====
কোলের উপর রেখে কাজ করার সময় তাপ নিসৃত হয়ে ত্বকের বিবর্নতাকে বলা হয় "ত্বকের ছেঁকা/ছেঁকা ত্বকের উপসর্গ"।<ref>{{cite journal
| last = Levinbook
| first = WS.
| author2 = Mallet J; Grant-Kels JM
| title = Laptop computer—associated erythema ab igne
| journal = Cutis
| volume = 80
| issue = 4
| pages = 319–20
|date=October 2007
| publisher = Quadrant HealthCom |pmid=18038695
}}
</ref><ref name="Diaz">{{cite web|url=http://gizmodo.com/5657721/what-is-toasted-skin-syndrome|title=What Is Toasted Skin Syndrome?|last=Diaz|first=Jesus|date=7 October 2010 <!-- 09:40&nbsp;am --> |publisher=Gizmodo|accessdate=8 November 2010}}</ref><ref name="Hendrick">{{cite web|url=http://www.webmd.com/skin-problems-and-treatments/news/20101004/laptop-risk-toasted-skin-syndrome|title=Laptop Risk: ‘Toasted Skin Syndrome'|last=Hendrick|first=Bill|date=4 October 2010|publisher=WebMD|accessdate=8 November 2010}}</ref><ref name="TANNER">{{cite news|url=http://www.msnbc.msn.com/id/39490660/|title=Laptops lead to 'toasted skin syndrome'|last=Tanner|first=Lindsey|date=10 April 2010 |agency=Associated Press|accessdate=8 November 2010}}</ref>

===স্থায়ীত্ব===
[[Image:Laptop overheating due to dust-clogged internal heatsinks in 2.5 year old laptop.jpg|thumb| ২.৫ বছর ব্যবহারের পর ল্যাপটপে ময়লা জমে যাওয়া [[তাপ শোষকের দৃশ্য]]]]
====যন্ত্রাংশের ব্যবহার====
বহযোগ্যতার কারনেই ল্যাপটপকে একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যেতে হয়। আর এতে ডেস্কটপের তুলনায় ক্ষতির সম্ভবনাও বেশি। উপাদানগুলো যেমন প্রদর্শনী কেন্দ্রবিন্দু, আংটা, পাওয়ার জ্যাক বা পাওয়ারের তারগুলো ধীরে ধীরে ব্যবহারের ফলে ক্ষয় বা নষ্ট হতে থাকে। তরল যে কোন জিনিসের পতনে কিবোর্ড, ছোটখাট কোন দূর্ঘটনা ল্যাপটপের অভ্যন্তরে ব্যপক ক্ষতি করতে পারে যা ঠিক করাও ব্যয় সাধ্য। একটি গবেষনায় দেখা গেছে, প্রথম বছর যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপের ভাঙ্গার হার বেশি।<ref>{{cite web
| title = Gartner: Notebook PCs still prone to hardware failure
| date = 27 June 2006
| publisher = IDG News Service / ITWorld
| url = http://www.itworld.com/060627notebookpc
| accessdate =27 November 2008
}}
</ref>

তিন মাস পর পর ল্যাপটপ পরিষ্কার (খাদ্যকনা, ধূলো-বালি, চুল, কাপড়ের টুকরো ইত্যাদি) করার পরামর্শ দেয়া হয় যাতে ল্যাপটপ ভাল থাকে। বেশিরভাগ পরিষ্কারকগুলোতে নরম কাপড় বা মাইক্রোফাইবার কাপড় দেয়া হয় এলসিডি প্রদর্শনী, কিবোর্ড পরিষ্কার করার জন্য। সংকুচিত বাতাসে দিয়ে পাখা পরিষ্কারসহ অন্যান্য পরিষ্কারক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ল্যাপটপে যাতে কোন কঠিন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার না করা হয়। যেমন ব্লিচ।<ref>{{cite web|last=Geier|first=Eric|title=Zen and the Art of Laptop Maintenance|url=http://www.pcworld.com/article/260438/zen_and_the_art_of_laptop_maintenance.html|work=PC World|accessdate=25 January 2014}}</ref>

====অংশগুলোর প্রতিস্থাপন====
আসল বাহ্যিক উপাদানগুলো দামি এবং সাধারনত মালিকানাধীন এবং পরিবর্তনযোগ্য নয়। অন্যান্য অংশগুলো কম দামি যেমন পাওয়ার জ্যাক কিন্তু এটি পরিবর্তন করতে গেলে ল্যাপটপটি খুলতে ও লাগাতে অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন হবে। অন্যান্য কম দামি কিন্তু সূক্ষ্ম জিনিসগুলো হয়ত বড় দামি উপাদানের থেকে আলাদা করে কিনতে পাওয়া যাবে না।<ref>For example, the video display cable and the backlight power cable that pass through the lid hinges to connect the motherboard to the screen will eventually break from repeated opening and closing of the lid. These tiny cables usually cannot be purchased from the original manufacturer separate from the entire LCD panel, with the price of hundreds of dollars, although for popular models an aftermarket in pulled parts generally exists.</ref> একটি ল্যাপটপের মাদারবোর্ড ঠিক করতে বা এলসিডি প্যানেল ঠিক করতে গেলে তা ব্যবহৃত ল্যাপটপের দামের থেকেও বেশি হতে পারে।


====তাপ নিসরন এবং শীতলীকরন====
ছোট মাপের একটি পাখা এবং তাপ শোষকগুলো উপর ল্যাপটপের তাপ নিঃসরন নির্ভর করে। কিন্তু বাতাসের সাথে আসা ধুলো,বালি ইত্যাদির কারনে এগুলো ঢেকে বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ ল্যাপটপেরই কোন ধরনের ময়লা পরিষ্কারক ফিল্টার থাকে না। ফলে এগুলো বছরের পর বছর ব্যবহারের এক পর্যায়ে ল্যাপটপটি উত্তপ্ত ও শব্দ করতে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, চালু হতেই অতিমাত্রায় গরম হয়ে যাচ্ছে ল্যাপটপ। ময়লাগুলো সাধারনত তাপ শোষক এবং পাখা যেখানে মিলিত হয়েছে সেখানে জমে থাকে যেখানে সাধারনভাবে পরিষ্কার করা যায় না। বেশির ভাগ সময় কম্প্রেস এয়ার ব্যবহার করলে এগুলো জায়গা থেকে সরে যায় কিন্তু পুরোপুরি বের হয় না। যখন ল্যাপটপ চালানো হয়, সরে যাওয়া ময়লাগুলো আবার জমা হতে থাকে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্নভাবে ল্যাপটপ খুলে সেগুলো পরিষ্কারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু, প্রত্যাহিক তাপ শোষক পরিষ্কারের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে বাঁচা যায়। বেশিরভাগ ল্যাপটপই সাধারন ব্যবহারকারি দ্বারা খোলা কঠিন এবং এতে বৈদ্যুতিক শক পাবারও সম্ভবনা থাকে।
[[File:LOGO LAPTOP.JPG|thumb|169x169px]]

====ব্যাটারির ধারনক্ষমতা====
ব্যাটারির ধারনক্ষমতা ব্যবহারের ফলে কমতে থাকে একটু একটু করে। নতুন ব্যটারি সাধারনত পর্যাপ্ত শক্তি ধারন করে রাখে যাতে ল্যাপটপটি চার পাঁচ ঘন্টা চালানো যায় (ব্যবহার, ল্যাপটপের উপাদান, শক্তি ব্যবস্থাপনার উপর ভিত্তি করে)। কিন্তু যতই দিন যায় ব্যাটারির শক্তি ধারন ক্ষমতা তত কমে যেতে থাকে, কমতে কমতে তা কয়েক মিনিটে এসে যায়। ব্যাটারিগুলো সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায় এবং হয়ত আরো ভালো ধারনক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারিও ব্যবহার সম্ভব হতে পারে। কিছু ল্যাপটপের যেমন আল্ট্রাবুক ব্যাটারি খোলা যায় না এগুলো পরিবর্তন করতে হলে সেবা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়। প্রতিস্থাপিত ব্যাটারির দাম হয়ত বেশিও হতে পারে।


===নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা ===
[[File:Laptop (H.I.).JPG|thumb|150x150px]]
{{প্রধান|ল্যাপটপ চুরি}}
যেহেতু ল্যাপটপ দামি, প্রায় সবাই ব্যবহার করে এবং বহনযোগ্য তাই চোরদের প্রধান লক্ষ্য থাকে ল্যাপটপ। প্রতিদিন আমেরিকার এয়ারপোর্ট থেকে ১৬০০ বা তারও বেশি ল্যাপটপ চুরি হয় বা হারিয়ে যায়।<ref>[http://www.dell.com/downloads/global/services/dell_lost_laptop_study.pdf], Ponemon Institute, Airport Insecurity: The Case of Lost Laptops, June 2008</ref> এই ল্যাপটপের হারানো মানে অনেক ব্যক্তিগত সম্পদের (ক্রেডিট কার্ড, একাউন্ট তথ্য, ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ ইত্যাদি) ক্ষতি যার দাম হারানো ল্যাপটপের থেকেও বেশি। ফলে, ল্যাপটপটির এবং এর অভ্যন্তরে রাখা তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ন।

বেশিরভাগ ল্যাপটপেই ক্যানশিঙটন নিরাপত্তা স্লট থাকে যার মাধ্যমে একে ডেস্ক বা অন্যান্য স্থায়ী বস্তুর সাথে তালাবদ্ধ করে রাখা যায়। এর সাথে সাথে, বর্তমান আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমে বা তৃতীয় পক্ষীয় সফটওয়্যারে ডিস্ক এনক্রিপশন সুবিধা রয়েছে যা দ্বারা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা করা সম্ভব। ডিস্ক এনক্রিপশন মানে হল নিদির্ষ্ট পাসওয়ার্ড বা চাবি ছাড়া তথ্য পড়ার অযোগ্য করে রাখার পদ্ধতি। কিছু ল্যাপটপে এখন বাড়তি সুরক্ষা হিসেবে চোখ চেনার পদ্ধতি বা আঙ্গুলে ছাপ স্ক্যানার পদ্ধতি ব্যবহার করছেন ব্যবহারকারীরা।<ref>{{cite web | url = http://www.laptop-security-pro.com/biometric-devices.html | title = Biometric Devices}}</ref> চুরি যাওয়া ল্যাপটপ সনাক্ত ও উদ্ধার করতে লোজ্যাক, ল্যাপটপ কপ এবং গেজেটট্র্যাক তাদের পদ্ধতি দিয়ে সহায়তা করেছে।

রবিনস v. Lower Merion স্কুল ডিস্ট্রিক্ট তাদের স্কুলে দেয়া ল্যাপটপগুলোতে বিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে দেন যা দিয়ে লুকিয়ে ওয়েবক্যামের মাধ্যমে তাদের ছাত্রের বাড়ির তথ্য ধারন করা যায়।<ref>{{cite web|last=Holmes |first=Kristin E. |url=http://www.philly.com/inquirer/local/pa/20100831_Lower_Merion_School_District_ordered_to_pay_plaintiff_s_lawyer__260_000.html |title=Lower Merion School District ordered to pay plaintiff's lawyer $260,000 |publisher=Philadelphia Inquirer |date=31 August 2010 |accessdate=20 September 2010}}</ref><ref>{{cite web|url=http://mainlinemedianews.com/articles/2010/08/31/main_line_times/news/doc4c7cfdad3e059461146296.txt |title=Main Line Media News |publisher=Main Line Media News |date=18 September 2010 |accessdate=20 September 2010}}</ref><ref>[http://www.philly.com/philly/education/20100727_A_lawyer_in_the_Lower_Merion_webcam_case_wants_to_be_paid_now.html "A lawyer in the Lower Merion webcam case wants to be paid now"], Philly.com</ref>


==== ল্যাপটপ চুরি ও পুনরুদ্ধার====
ল্যাপটপ চুরি একটি ব্যাপক সমস্যা। মাত্র ৫% বা তার কম সংখ্যার মত ল্যাপটপ উদ্ধার করা গেছে প্রস্তুতকারকদের মাধ্যমে।<ref>[http://www.intelligenceinsoftware.com/feature/it_software_strategy/lost_laptop/index.html#.UP2bUFSzBJN#ixzz2Ucm2oKSg], Ponemon Institute, The Billion Dollar Lost Laptop Problem, September 2010</ref> কিন্তু এই সংখ্যা আরো কমে আসতে পারে কারন বিভিন্ন কোম্পানির এবং সফটওয়্যার নির্মাতার উদ্ধার পদ্ধতির ভিন্নতার কারনে। উদাহরনসরূপ, লোজ্যাক ফর ল্যাপটপ একটি নিরাপত্তা প্রদান করে এমন সফটওয়্যার যাতে একটি তদন্ত এবং উদ্ধারকারী দল বানানো হয় যাতে থাকে অবসর প্রাপ্ত আইনি ব্যক্তিরা। যারা এই হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ খুজে বের করে। এই সফটওয়্যার এমন একটি প্রযুক্তিতে বানানো যা চোর দ্বারা নিষ্ক্রিয় করা যায় না। লোজ্যাক দ্বারা তখনই ল্যাপটপ উদ্ধার সম্ভব যখন এটি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকে। ল্যাপটপটির মালিক লোজ্যাকের মাধ্যমে তার তথ্য দূর থেকে মুছে ফেলতে বা যন্ত্রটিকে তালাবদ্ধ করে দিতে পারে যাতে কেউ তার ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে না পারে।

==প্রধান ব্র্যান্ড ও প্রস্তুতকারকরা==
[[File:A black Sony Vaio C Series Laptop.jpg|thumb|right|সর্বোচ্চ বিক্রয় হওয়া ল্যাপটপের মধ্যে সনি ভায়ো একটি]]
{{প্রধান ল্যাপটপ ব্র্যান্ড}}
{{প্রধান|প্রধান ল্যাপটপ ব্র্যান্ড ও প্রস্তুতকারকের তালিকা}}

প্রধান ব্র্যান্ডগুলো সাধারনত ভাল সেবা ও সহায়তা দিয়ে থাকে যার মধ্যে সব ধরনের কাগজপত্রাদি এবং ড্রাইভার থাকে। ড্রাইভারগুলো ইন্টারনেটে ডাউনলোডের জন্যে দেয়া থাকে ফলে ল্যাপটপের বিশেষ মডেল উৎপাদিত না হলেও তার জন্য ড্রাইভারগুলো পাওয়া যায়। সেবা, সমর্থন, সহায়তা এবং ব্র্যান্ড ইমেজের কারনে প্রধান ল্যাপটপ প্রস্তুতকারকদের ল্যাপটপের দাম অন্যান্যগুলোর তুলনায় বেশি হয়।

কিছু ব্র্যান্ড বিশেষ শ্রেনীর ল্যাপটপের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে যেমন এলিয়েনওয়ার গেমিং ল্যাপটপে, এইচপি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এনভি ল্যাপটপে। এছাড়া নেটবুকের মধ্যে রয়েছে ইইই পিসি এবং ছোটদের ল্যাপটপ ওএলপিসি তো রয়েছেই।

অনেক ব্র্যান্ড এখন প্রস্তুত এবং নকশা করে না তাদের ল্যাপটপের। কিছু ছোট সংখ্যক "আসল নকশা প্রস্তুতকারকরা" (ওডিএম) নতুন নকশার ল্যাপটপ তৈরি করে এবং ব্র্যান্ডগুলো সেগুলোর থেকে পছন্দ মত বেছে নেয়। ২০০৬ সালে সারা বিশ্বে ৭ টি প্রধান ওডিএম প্রতি ১০টি ল্যাপটপের ৭টিই তারা তৈরী করেছে, সবচেয়ে বড় পরিমানে কোয়ান্টা কম্পিউটার যা পুরো বাজারের
৩০%।<ref>{{cite web |title=Identical Laptops, Different Prices: Don't Be Fooled by Branding |registration=yes|publisher=Info-Tech Research Group |date=10 October 2006 |url= http://www.infotech.com/research/identical-laptops-different-prices-dont-be-fooled-by-branding |accessdate=11 November 2011}}</ref> তাই প্রায়শই একই রকম দেখতে কম্পিউটার মডেল দেখা যায় ব্রান্ডের ল্যাপটপগুলোর পাশাপাশি ওডিএমের কম দামি সস্তাগুলোতে।

==বিক্রয়==
১৯৮৬ সালে, ব্যাটারির মাধ্যমে চলে এমন পোর্টবল বা বহনযোগ্য কম্পিউটারের সংখ্যা ছিল পুরো কম্পিউটার বাজারের ২ ভাগ মাত্র।<ref>
{{cite news
| title = Lap-top computers gain stature as power grows
| work = Daily News of Los Angeles (CA)
| date = 12 April 1987
| url = http://nl.newsbank.com/nl-search/we/Archives?p_product=LA&p_theme=la&p_action=search&p_maxdocs=200&p_topdoc=1&p_text_direct-0=0EF513A9C40DA46F&p_field_direct-0=document_id&p_perpage=10&p_sort=YMD_date:D&s_trackval=GooglePM
| accessdate =2001-01-01/2008 }}
</ref> কিন্তু ল্যাপটপ ক্রমাগতভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক উভয় ক্ষেত্রে।<ref name="Computer Economics, Inc">{{cite web
| title = The Falling Costs of Mobile Computing
| work = Falling Costs of Mobile Computing Drive Corporate Adoption
| publisher = Computer Economics, Inc.
|date=December 2005
| url = http://www.computereconomics.com/article.cfm?id=1084
| accessdate =2001-01-01/2008 }}
</ref> ২০০৭ সালে প্রায় ১০৯ মিলিয়ন নোটবুক পিসি সারা বিশ্বে ছাড়া হয়। ২০০৬ সালের তুলনায় যা ৩৩ ভাগ বেশি।<ref name="ssev2011-09-12">[http://www.digitimes.com/news/a20080131PD209.html Worldwide notebook shipments grow 33% on year in 2007, says IDC], 31 January 2008, Yen Ting Chen, DigiTimes, retrieved at 12 September 2011</ref> ২০০৮ সালে ১৪৫.৯ মিলিয়ন নোটবুক বিক্রি হবে বলে ধারনা করা হয়। এবং ২০০৯ সালে তা বেড়ে ১৭৭.৭ মিলিয়ন হবে বলে ধারনা করা হয়।<ref name="ee2009-01-10">[http://www.eetimes.com/news/latest/showArticle.jhtml;jsessionid=YN1M2POYEMEN0QSNDLSCKHA?articleID=212701251 Analysis: Did Intel underestimate netbook success?], Accessed at 10 January 2009</ref> ২০০৮ সালের মোট বছরের চতুর্থাংশের মধ্যে তৃতীয় ভাগেই বিশ্বব্যাপি নোটবুক পিসি ডেস্কটপকে ছাড়িয়ে যায়। যার পরিমান ছিল ৩৮.৬ মিলিয়ন আর ডেস্কটপ ছিল ৩৮.৫ মিলিয়ন।<ref name="Computer Economics, Inc"/><ref name="is2009-01-13">[http://www.isuppli.com/NewsDetail.aspx?ID=19823 Notebook PC Shipments Exceed Desktops for First Time in Q3], isuppli.com, accessed at 13 January 2009</ref><ref name="NYT09">{{cite news
| title =The PC Doesn't Have to Be an Anchor
|work=New York Times
|author= Randall Stross
| date =18 April 2008
| url = http://www.nytimes.com/2009/04/19/business/19digi.html?_r=1&ref=technology
| accessdate =20 April 2009 }}
</ref><ref>{{cite web |url=http://www.reghardware.co.uk/2008/04/17/intel_laptop_desktop_crossover/ |title=Intel: laptop/desktop crossover coming sooner than expected |work=The Register, UK |accessdate=10 October 2008}}</ref>

আমেরিকায় ২০০৫ সালে মে মাসে ডেস্কটপ কম্পিউটারের বিক্রয়কে ল্যাপটপের বিক্রয়ের পরিমান ছাড়িয়ে যায়। সেই সময় নোটবুকের বিক্রয় হয় গড়ে ১১৩১ ডলারে যখন ডেস্কটপের বিক্রয়ের গড় ছিল ৬৯৬ ডলার।<ref>
Michael Singer.
[http://news.cnet.com/PC+milestone--notebooks+outsell+desktops/2100-1047_3-5731417.html "PC milestone—notebooks outsell desktops"].
2005.
</ref>

অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে দেখলে, দেখা যায়, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ল্যাপটপের গড় বিক্রিত দাম ২০০৮/২০০৯ কমে যায়, কারন হিসেবে বলা যায় নেটবুকের কথা ফলে, ২০০৮ সালের আগস্টে ল্যাপটপ পাওয়া যেত ৬৮৯ ডলারে। ২০০৯ সালে গড় বিক্রয় দাম আরো কমে ৬০২ ডলারে নেমে আসে ফেব্রুয়ারিতে এটা হয় ৫৬০ ডলারে। যখন এই সাত মাসে, গড় দাম, উইন্ডোজ ভিত্তিক কম্পিউটারের কমে আসে মোট ১২৯ ডলার সেখানে এ্যপলের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের কমে মাত্র ১২ ডলার (১৫২৪ থেকে ১৫১২)।<ref>[http://www.eweek.com/c/a/Windows/Netbooks-Are-Destroying-the-Laptop-Market-and-Microsoft-Needs-to-Act-Now-863307/ Netbooks Are Destroying the Laptop Market and Microsoft Needs to Act Now<!-- Bot generated title -->]</ref>

==চরম পরিবেশ==
{{আরো দেখুন|আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন#কম্পিউটার}}
রাগিড বা কর্কশ বা শক্ত ল্যাপটপ ধাচের গ্রিড কম্পাস কম্পিউটার স্পেস শাটল প্রোগ্রামের প্রথম থেকেই ব্যবহৃত হত। ১৯৯১ সালে প্রথম ব্যানিজ্যিক ল্যাপটপ যা মহাকাশে ব্যবহৃত হয় তা হল মেকিনটোশ বহনযোগ্য। যে মিশনে ব্যবহৃত হয় তা হল মহাকাশ শাটল মিশন এসটিএস-৪৩।<ref>{{cite web|url=http://support.apple.com/kb/TA30635?viewlocale=en_US |title=Macintosh Portable: Used in Space Shuttle |publisher=Support.apple.com |accessdate=23 October 2012}}</ref><ref>{{cite book|last=Linzmayer|first=Owen W.|title=Apple confidential 2.0 : the definitive history of the world's most colorful company|year=2004|publisher=No Starch Press|location=San Francisco, Calif.|isbn=1-59327-010-0|edition=[Rev. 2. ed.].}}</ref><ref>{{cite web|url=http://www.macobserver.com/columns/thisweek/2004/20040831.shtml |title=This Week in Apple History&nbsp;– August 22–31: "Welcome, IBM. Seriously", Too Late to License |publisher=The Mac Observer |date=31 October 2004 |accessdate=23 October 2012}}</ref> ম্যাক এবং অন্যান্য ল্যাপটপ কম্পিউটার মহাকাশে পাঠানো শুরু হল মহাকাশ উড্ডয়নের সময় যদিও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একমাত্র দীর্ঘ সময়ের উড্ডয়নে যথার্থ কম্পউটার হল থিঙ্কপ্যাড।<ref>[http://www-03.ibm.com/ibm/history/exhibits/space/space_thinkpad.html IBM Archives: IBM ThinkPads in space<!-- Bot generated title -->]</ref> ২০১১ সাল নাগাদ প্রায় ১০০টিরও বেশি থিঙ্কপ্যাড আর্ন্তজাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছে। মহাকাশে যে ল্যাপটপগুলো পাঠানো হয়েছে তা সাধারনভাবে কেনা ল্যাপটপের মতই কিন্তু মহাকাশে দীর্ঘক্ষন চলার জন্য এবং তাপজনিত সমস্যা উত্তরনের জন্য এগুলোতে কিছু পরিবর্তন করা হয়। যেমন শীতলীকরন ব্যবস্থার কার্যপ্রনালী যা শুধু উত্তাপের অবস্থা বুঝেই কাজ করবে না এবং নিম্ন কেবিন এয়ার প্রেসার বসানোর জন্য জায়গা করা।<ref>[http://www.spaceref.com/news/viewnews.html?id=213 2001: A Space Laptop | SpaceRef&nbsp;– Your Space Reference<!-- Bot generated title -->]</ref>

রাগিড বা কর্কশ বা শক্ত, এধরনের ল্যাপটপের নকশা করা হয়েছে বিরূপ পরিবেশে পরিচালনার উপযোগি করে যেমন তীব্র দুলুনি, অতিমাত্রার তাপে, ভেজা ও ধূলা বালি যুক্ত স্থানে ব্যবহারের জন্য কিন্তু মহাকাশের ল্যাপটপ এগুলোর থেকেও ভিন্ন। মহাকাশে ব্যবহার করার সময় তাতে প্রয়োজনীয় নকশার পরিবর্তন করা হয় এবং বানিজ্যিকভাবে যে হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেগুলো ব্যবহার করা হয় না। কাজের ধরন অনুযায়ী এই পরিবর্তনগুলো করা হয়।

==ল্যাপটপের সহায়ক==
ল্যাপটপের সাধারন সহায়ক বস্তুগুলোর মধ্যে ল্যাপটপ আস্তিন, ল্যাপটপ খোপ বা বাক্স দেখা যায়। যেগুলো ল্যাপটপকে পড়ে যাওয়া বা ধাক্কা থেকে রক্ষা করে। আস্তিনগুলো চিকন এবং নমনীয় হয়, এবং এগুলো তৈরি করা হয় নেপ্রন থেকে। বাক্সগুলো মোটা ও ভারি হয় কিছু কিছু ধাতব দিয়ে বানানো পাওয়া যায়, কয়েকটির আবার তালা দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে।

আরেকটি সহায়ক বস্তু হল ল্যাপটপ শীতলীকরন। এটি ল্যাপটপের অভ্যন্তরীন তাপমাত্রা কমাতে চেষ্টা করে। একটি পদ্ধতিতে শীতলীকরন যন্ত্রটি ল্যাপটপের সাথে সংযুক্ত করা হয় এবং শীতলীকরন যন্ত্রটি পাখার সাহায্যে তাপ দূর করে। আর একটি পদ্ধতি হল ল্যাপটপকে একধরনের প্যাডের উপর বসিয়ে রাখা যাতে করে এটি বেশি বাতাস গ্রহন করতে পারে।<ref>{{cite web|last=Assourian|first=Elya|title=Laptop Blog Author|url=http://www.laptopforcollegestudents.com/2011/08/keeping-your-laptop-in-good-shape/|work=http://www.laptopforcollegestudents.com/|publisher=Elya Assourian|accessdate=17 August 2011}}</ref>

==আগের বৈশিষ্ট্যগুলো==
যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য আগে ছিল এখন নেই-

* একটি ছিদ্রে রিসেট বোতাম
* একটি ছিদ্রে তাৎক্ষনিক বন্ধ বোতাম
* ল্যাপটের মধ্যে সমন্বিত চার্জার বা পাওয়ার এডাপ্টার
* ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ
* সিরিয়াল পোর্ট
* প্যারালাল পোর্ট
* মডেম
* অংশীদারিভিত্তিক পিএস/২ ইনপুট ডিভাইস পোর্ট
* আইআরডিএ
* এস-ভিডিও পোর্ট<ref>Unconfirmed if this exists in most recent models of laptops.</ref>


==আরো দেখুন==
{{div col|colwidth=20em}}
* [[List of computer size categories]]
* [[ল্যাপটপ ব্র্যান্ড ও প্রস্তুতকারকের তালিকা]]
* [[Mobile broadband]]
* [[মোবাইল ইন্টারনেট যন্ত্র]] (এমআইডি)
* [[মোবাইল ইউএসবি মডেম|মোবাইল মডেম]]
* [[Novena (computing platform)|Novena]]
* [[নেটবুক]]
* [[ব্যক্তিগত ডিজিটাল সহকারি]]
* [[স্মার্টবুক]]
* [[স্মার্টফোন]]
* [[Stereoscopy]] glasses
* [[Subscriber Identity Module]]
* [[মুক্ত-উৎসের কম্পিউটার হার্ডওয়্যার]]
* [[আল্ট্রাবুক]]
* [[টিথারিং]]
* [[VIA OpenBook]]
* [[XJACK]]
{{div col end}}

==References==
{{Reflist|33em}}

==External links==
{{Commons category|Laptops}}

{{Computer sizes}}

[[Category:Laptops| ]]
[[Category:কম্পিউটারের শ্রেনী]]
[[Category:ব্যক্তিগত কম্পিউটিং]]

১৫:৫৯, ১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

একটি এসার এসপায়ার ৮৯২০ জেমস্টোন

একটি ল্যাপটপ বা একটি নোটবুক হল বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার যা দেখতে ঝিনুকের আকৃতির এবং ভ্রমন উপযোগি[১]। ল্যাপটপ এবং নোটবুক পূর্বে ভিন্ন ধরা হত কিন্তু বর্তমানে তা মানা হয় না[২]। ল্যাপটপ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষায় এবং ব্যক্তিগত বিনোদনে।

একটি ল্যাপটপ ডেস্কটপের সমস্ত উপাদান এবং ইনপুটগুলোকে একত্রিত করে। যেখানে প্রদর্শনী, স্পিকার, কিবোর্ড এবং টাচপ্যাড বা ট্র্যাকপ্যাড থাকে শুধুমাত্র একটি যন্ত্রে আর তা হল ল্যাপটপ। বর্তমানের বেশিরভাগ ল্যাপটপেই সন্নিহিত থাকে ওয়েবক্যাম এবং মাইক্রোফোন। একটি ল্যাপটপ চালানো যায় ব্যাটারি এবং বিদ্যুতের সরাসরি সংযোগ, এসি এডাপ্টারের মাধ্যমে। ল্যাপটপের মডেল, প্রকারভেদ ও উৎপাদনের উপর হার্ডওয়্যারের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

বহনযোগ্য কম্পিউটারগুলোকে পূর্বে ছোট একক বাজার হিসেবে গন্য করা হত এবং এগুলো বিশেষ ধরনের প্রায়োগিগ কাজে ব্যবহার করা হত যেমন সৈনিকদের কাজে, হিসাববিজ্ঞানেরর কাজে, বিক্রয় প্রতিনিধিদের প্রয়োজনে ইত্যাদি। এগুলো পরে আধুনিক ল্যাপটপে পরিণত হয়। এগুলো আকারে আরো ছোট, পাতলা, সস্তা, হালকা এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হতে থাকে ফলে নানা ধরনের কাজে এদের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।[৩]

সংজ্ঞায় ভিন্নতা

ল্যাপটপ নামে ডাকার ব্যাপারটি শুরু হয় আশির দশকে। তখন ভ্রাম্যমান কম্পিউটারগুলোকে আলাদা করার জন্য এই নামে ডাকা হত। এসব যন্ত্রাংশ আগের ভারি বহনযোগ্য কম্পিউটারের তুলনায় এগুলো কারো কোলে রেখে ব্যবহার করা যেত। কয়েক বছর পরে প্রস্তুতকারকরা আরো ছোট আকারের বহনযোগ্য যন্ত্রাংশ উৎপাদন শুরু করে যাদের ওজন ও আকার ছিল কম। এগুলোতে প্রদর্শনী ছিল এ৪ আকারের কাগজের সমান এবং এদেরকে ডাকা হত নোটবুক নামে। কারন এগুলো তখনকার সময়ের মোটা ও ভারি ল্যাপটপের থেকে আকারে ও ওজনে ছোট ছিল।[৪]

এখন, বিশ্বের প্রায় সবজায়গায় ল্যাপটপ কথাটি বেশি ব্যবহৃত হয় এবং কিছু কিছু জায়গায় নোটবুক কথাটি চলে যেমন রাশিয়ায়। নোটবুক কথাটি ব্যবহার করা হয় বহযোগ্য যন্ত্রাংশ বুঝাতে। ডাক নামের এই ভিন্নতা সময়ের সাথে সাথে মিলিয়ে গেছে উদাহরনসরূপ, এলিয়েনওয়্যারের গেমিং যন্ত্র "এলিয়েনওয়্যার ১৮ গেমিং ল্যাপটপ" যাতে ১৮" প্রদর্শনী এবং যার ওজন ৬ কিলোগ্রামের মত, একে ল্যাপটপ এবং নোট দুটো নামেই বিবেচনা করা হয়। যদিও এটি কোলে রেখে কাজ করার উপযোগি নয় এবং নোটবুকের আঁকার প্যাডের মত এটি ছোটও নয়।[৫]

ইতিহাস

এলান কে ডায়নাবুক প্রটোটাইপ হাতে
এপসন এইচএক্স-২০

১৯৭১ সালে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সম্ভাবনার সাথে সাথে বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পউটারের চাহিদার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। এলান কে ১৯৬৮ সালে জেরক্স পার্কে একটি "ব্যক্তিগত, বহনযোগ্য নিজের কাজে তথ্য ব্যবহার করা যায়" এমন যন্ত্র হিসেবে কল্পনা করেন এবং তার গবেষনাপত্র "ডায়নাবুক" ১৯৭২ সালে বর্ণনা করেন।[৬] and described in his 1972 paper as the "Dynabook".[৭]

আইবিএমের বিশেষ এপিএল মেশিন পোর্টেবল (এসসিএএমপি) কম্পিউটারটি দেখানো হয় ১৯৭৩ সালে। এই পরীক্ষামূলক যন্ত্রটি আইবিএমের পালম প্রসেসরের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।[৮]

আইবিএম ৫১০০, প্রথম বানিজ্যিক বহনযোগ্য কম্পিউটার। এটি বাজারে আসে ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এর ভিত্তি ছিল এসসিএএমপি পরিক্ষামূলক যন্ত্রটি।[৯]

৮ বিটের সিপিইউ ব্যবহৃত হওয়া শুরু করলে, বহনযোগ্য কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। অসবর্ন ১, ছাড়া হয় ১৯৮১ সালে, এতে ব্যবহার করা হয় জিলোগ জেড৮০ আর ওজন ছিল ২৩.৬ পাউন্ড (দশ কেজির মত)। কোন ব্যাটারি ছিল না, একটি ৫ ইঞ্চি (১৩ সে.মি.) সিআরটি প্রদর্শনী এবং ৫.২৫ ইঞ্চি (১৩.৩ সে.মি) দ্বৈত একক ঘনত্বের ফ্লপি ড্রাইভ ছিল। একই বছরে প্রথম ল্যাপটপের আকারের বহনযোগ্য কম্পিউটারের ঘোষনা আসে, এটি ছিল এপসন এইচএক্স-২০[১০]। এর মধ্যে এলসিডি প্রদর্শনী, পুনরায় চার্জ দেয়া যায় এমন ব্যাটারি, ক্যালকুলেটর আকারের প্রিন্ট্রার চেসিস ছিল। ট্যান্ডি/রেডিওশেক এবং এইচপি উভয়েই বিভিন্ন নকশার বহনযোগ্য কম্পিউটার উৎপাদন করে।[১১][১২]

১৯৮০ দশকের শুরুর দিকে প্রথম ভাঁজ করা যায় এমন ল্যাপটপ দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ায় ডুলমন্ট ম্যাগনাম ছাড়া হয় ১৯৮১-৮২ সালের দিকে, কিন্তু ১৯৮৪-৮৫ সালের পূর্বে বিশ্বব্যাপি বাজারজাতকরন করা হয়নি। ১৯৯২ সালে জিআরআইডি বা গ্রিড কমপ্যাস ১১০০ ছাড়া হয়। এটি নাসা ও সৈনিকদের কাজে ব্যবহৃত হত। গ্যাভিলান এসসি, ১৯৮৩ সালে আসে, যা প্রস্তুতকারক ল্যাপটপ প্রথম হিসেবে অভিহিত করে[১৩]। ১৯৮৩ সালের পর নতুন ইনপুট ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হয়, যার মধ্যে ল্যাপটপেরও ছিল, যেমন টাচপ্যাড (গ্যাভিলান এসসি), নির্দেশক কাঠি (আইবিএম থিঙ্কপ্যাড ৭০০, ১৯৯২) এবং হাতের লেখা সনাক্তকরন (লিনাস রাইট-টপ, ১৯৮৭)[১৪]। কিছু সিপিইউ এমনভাবে বানানো হয় যাতে এগুলো কম বিদ্যুত শক্তি ব্যবহার করে, ফলে ব্যাটারির স্থায়িত্ব বেড়ে যায়। এবং কিছু নকশায় সহায়তা করার জন্য কিছু সক্রিয় শক্তি ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্যও ছিল যেমন ইন্টেল স্পিডস্টেপ এবং এএমডি'র পাওয়ারনাও ইত্যাদি।

১৯৮৮ সাল নাগাদ প্রদর্শনী ভিজিএ রেজুলেশনে পৌছায়। উদাহরনসরূপ উল্লেখ্য করা যায় কমপেক এসএলটি/২৮৬। এবং রঙিন প্রদশর্নীগুলোর প্রচলন শুরু হয় ১৯৯১ সালের দিকে, ২০০৩ সালে ১৭" প্রদশর্নী আসার আগে পর্যন্ত, রেজুলেশনে এবং প্রদশর্নীর আকারে ব্যপক পরিবর্তন হতে থাকে। এসময় হার্ডড্রাইভের (১৯৮০ সালের শেষের দিকে প্রস্তুতকৃত ৩.৫" মাপের ড্রাইভের ধারাবাহিকতায়) ব্যবহার শুরু হয়। এক সময় ২.৫" ড্রাইভ ল্যাপটপে সাধারনভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ২০০০ দশকের শুরু থেকেই অপটিক্যাল ড্রাইভগুলোর ব্যবহার হতে থাকে যেমন সিডি রম, রাইটেবল সিডি রম, পরে ডিভিডি রম, রাইটেবল ডিভিডি রম, তারপরে ব্লুরে।


প্রকারভেদ

১৯৭০ দশকের শেষের দিকে, বহনযোগ্য কম্পিউটারের সূচনার শুরু থেকে বর্তমানে এর আকৃতিগত পরিবর্তন বাস্তবিকই অসাধারনভাবে হয়েছে। এর মধ্যেই এর বিভিন্ন ভিন্নতা এসেছে দৃশ্যত এবং আবশ্যিকভাবে প্রযুক্তিগতভাবে।

সনাতন ল্যাপটপ

চিত্র:MacBook Pro Retina 3.jpg
এ্যপল ম্যাকবুক প্রো, একটি সনাতন আকৃতির ল্যাপটপ

ঝিনুকের আকৃতির ল্যাপটপগুলোকে বলা হয় সনাতন ধারার ল্যাপটপ বলে অভিহিত করা হয়। এগুলোর একখোলসে প্রদশর্নী ও অন্য খোলসে কিবোর্ড থাকে। এটিকে সহজেই ভাঁজ করা যায়, যাতে ভ্রমনে অসুবিধা না হয়। প্রদর্শনী এবং কিবোর্ড দুটোই ব্যবহার করা যায় না যখন ভাজ করা থাকে। এই আকৃতির ও বৈশিষ্ট্য বিশিষ্ট যন্ত্রাংশগুলোকে সনাতন ধারার ল্যাপটপ বা নোটবুক বলে ডাকা হয়। বিশেষ করে এদের যদি প্রদর্শনী ১৩ থেকে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের হয় এবং একটি পূনার্ঙ্গ অপারেটিং সিস্টেম যদি চালাতে পারে। সনাতন ল্যাপটপগুলো হল সবচেয়ে সাধারন আকৃতির ল্যাপটপ যদিও ক্রোমবুক, রূপান্তরযোগ্য ল্যাটপট, আল্ট্রাবুক এবং ল্যাপলেটগুলো দিনকে দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এগুলো একই কার্যকারিতা প্রদান করে।

সাবনোটবুক

সনি ভায়ো পি ধারার সাবনোটবুক

একটি সাবনোটবুক অথবা একটি আল্ট্রাবহনযোগ্য (ল্যাপটপ) একধরনের ল্যাপটপ যার নকশা এবং বাজারজাতকরন করা হয়েছে বহনযোগ্যতার কথা মাথায় রেখে। এগুলো আকারে ছোট, কম ওজনের এবং প্রায়শই অতিমাত্রায় ব্যাটারির ধারনক্ষমতা সম্পন্ন হয়। এগুলো সাধারনত ছোট আকৃতির ও হালকা হয় সাধারন মানের ল্যাপটপের তুলনায়। ওজন হতে পারে ০.৮-২ কেজি (২-৫ পাউন্ড)[১৫] এবং ব্যাটারির চালন ক্ষমতা হতে পারে ১০ ঘন্টার বেশি[১৬]। নেটবুক এবং আল্ট্রাবুকের সূচনার পর থেকে, সাবনোটবুকের এবং উভয় শ্রেনীর মধ্যকার সম্পর্ক অস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। নেটবুক হল যে বৈশিষ্টগুলো না থাকলেই নয় এমন সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে তৈরি আর এটি হল সাবনোটবুকের একটি উপশ্রেনী। কিছু আল্ট্রাবুকের প্রদর্শনী এত বড় যে তা সাবনোটবুক বলা যায়, বিশেষ কিছু আল্ট্রাবুক আবার সাবনোটবুকের শ্রেনীতেও খাপ খায়। একটি উল্লেখ্যযোগ্য সাবনোটবুকের উদাহরন হল এ্যপল ম্যাকবুক এয়ার।

নেটবুক

চিত্র:Chromebook.jpg
একটি স্যামস্যাঙ ক্রোমবুক নেটবুক

নেটবুক ল্যাপটপের একটি অন্য রূপ যাকে সস্তা, হালকা, কম শক্তি ব্যয় করে, তারবিহিন যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে[১৭][১৮]। ২০০৮ সালের দিকে বাজারে নেটবুক বান্যিজিকভাবে আসে। যার বৈশিষ্ট্য ছিল হালকা ১ কেজির কম, প্রদশর্নী ৯ ইঞ্চির ছোট এবং দামে ৪০০ ডলারের কম। নেটবুক নামটি নেয়া হয় ইন্টারনেট থেকে সংক্ষেপে নেট। এই সংজ্ঞাটি ব্যবহার করা হয় যন্ত্রাংশের ওয়েব ভিত্তিক কম্পিউটিং কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে[১৯]। নেটবুকগুলো লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম সহযোগে ছাড়া হত যদিও পরের গুলোতে উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ৭ প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়। সব প্রধান নেটবুক উৎপাদকই ২০১২ সালের শেষ নাগাদ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।[২০]

রূপান্তরযোগ্য

একটি লেনেভো এক্স৬১ রূপান্তরযোগ্য ল্যাপটপ

আধুনিক রূপান্তরযোগ্য ল্যাপটপগুলোতে জটিল নকশার জোড়া দেওয়ার কৌশল রাখা হয়। কিবোর্ডের সাথে প্রদর্শনীর প্যানেলের সংযোগ থাকে এমনভাবে যাতে তা আবর্তিত হতে পারে আবার বসানো যেতে পারে কিবোর্ডের বাক্সের উপর। বেশিরভাগ রূপান্তরযোগ্য ল্যাপটপে স্পর্ষ নিয়ন্ত্রিত প্রদর্শনী থাকে আবার সনাতন ধারার টাচপ্যাডও থাকে যাতে ট্যাবলেটের মত ব্যবহার করা যায়। এগুলোকে ল্যাপটপের শ্রেনীতেও ফেলা যায় আবার ট্যাবলেটের শ্রেনীতেও রাখা যায় কিন্তু ল্যাপটপ হিসেবেই ধরা হয় কারন এগুলোর আকার, ওজনে ল্যাপটপের কাছাকাছি।

একক সংযোগটির মাধ্যমে আবর্তন ও চক্রাকারে আবর্তনের যে সুবিধা তা ল্যাপটপের যান্ত্রিক দুর্বলতা বা টেকসই নয় এমন অবস্থাকে প্রকাশ করে। কিছু প্রস্তুতকারক এই দুর্বলতা কাটানোর জন্য বেশ কিছু নতুন রীতির প্রবর্তন করেন যেমন স্লাইডিং নকশা (প্রদর্শনীকে শোয়ানো অবস্থা থেকে ঠেলে সোজা করা হয় এবং তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয় ল্যাপটপের মত ব্যবহারের সুবিধার্থে)। সনাতন ল্যাপটপের তুলনায় রূপান্তরযোগ্য ল্যাপটপের বেশ কিছু দুর্বলতা রয়েছে, যদিও ছোট আকৃতি মানে সহজে বহনযোগ্য।

ল্যাপলেট

মাইক্রোসফট সারফেস প্রো ৩, একটি গতানুগতি ল্যাপলেট

সাম্প্রতিক ল্যাপটপ যন্ত্রাংশ হল ল্যাপলেট। এই শব্দটি এসেছে ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটের সম্মিলন থেকে এবং এই যন্ত্রটি উভয়ের সংকর[২১]। যদিও একে অনেকেই ট্যাবলেট বলে ডাকেন তবুও ল্যাপটপের সাথে এর অনেক মিল রয়েছে এবং একে ল্যাপটপের বিকল্পও বলা যায়। এগুলোকে প্রায়শই বাজারজাত করা হয় ল্যাপটপের বিকল্প প্রতিস্থাপন ট্যাবলেট হিসেবে।

এর কার্যক্ষমতার ধরন অনেকটা আল্ট্রাবুকের কাছাকাছি কিন্তু ল্যাপলেট তৈরি হয় দুটো ভিন্ন অংশ দিয়ে, স্পর্ষ প্রদর্শনী যা কিবোর্ডের থেকে আলাদা। এগুলো খুবই চিকন (প্রায় ১০ মিলিমিটার), হালকা এবং ব্যাটারিও দীর্ঘস্থায়ী হয়। মূল ধারার ট্যাবলেটের তুলনায় ল্যাপলেটকে আলাদা করা যায় এক্স৮৬ নকশার সিপিইউ'র কারনে। যেমন ইন্টেল কোর আই৫, যা উইন্ডোজ ৮.১ চালাতে পারে, ইউএসবি ও ছোট মাপের প্রদর্শনী পোর্ট, ইনপুট/আউটপুট পোর্ট সংযুক্ত থাকে।

এটিকে শুধুমাত্র বিনোদনের যন্ত্র না বলে বলা যায় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের প্রতিস্থাপিত যন্ত্র যেহেতু এদের সেই সক্ষমতা রয়েছে। এতে বিভিন্ন ডেস্কটপের এ্যাপ্লিকেশন, বিভিন্ন পেরিফেরাল যন্ত্রাংশ যেমন মাউস, কিবোর্ড এবং বাহ্যিক প্রদর্শনীও সংযোগ করা যায়।[২২]

ডেস্কটপ প্রতিস্থাপন

এলিয়েনঅয়্যারের ডেস্কটপের প্রতিস্থাপক ল্যাপটপ

একটি ডেস্কটপ প্রতিস্থাপক ল্যাপটপ একধরনের বড় শ্রেনীর যন্ত্র, যা প্রাথমিকভাবে বহনযোগ্যতার জন্য ব্যবহার করা হয় না। সাধারন ল্যাপটপের তুলনায় এগুলো দেখতে মোটা, ভারি এবং বহনযোগ্য নয় আর এগুলোকে ডেস্কটপের বিকল্প হিসেবে দেখা হয়[২৩]। কারন ডেস্কটপের তুলনায় এগুলো ছোট এবং বহনযোগ্য। এগুলোতে ১৫ ইঞ্চির অধিক প্রদর্শনী এবং শক্তিশালী উপাদান থাকে[২৩]

অন্যান্য ল্যাপটপের তুলনায় এগুলো ব্যাটারি স্থায়ীত্ব কম হয় কোন কোন ক্ষেত্রে হয়ত ব্যাটারিই থাকে না। পূর্বে, ডেস্কটপের উপাদানগুলো এতে ব্যবহৃত হত ভাল কার্যক্ষমতা প্রদানের জন্য কিন্তু বর্তমানে তা করা হয় না।[২৪]

এধরনের বিশেষ নোটবুক কম্পিউটারগুলোকে বর্ণনার জন্য মিডিয়া সেন্টার ল্যাপটপ এবং গেমিং ল্যাপটপ নামে অভিহিত করা হয়।[১৫]

রাগিড বা কর্কশ বা শক্ত ল্যাপটপ

একটি প্যানাসনিক টাফবুক শক্ত ল্যাপটপ

এধরনের ল্যাপটপের নকশা করা হয়েছে বিরূপ পরিবেশে পরিচালনার উপযোগি করে যেমন তীব্র দুলুনি, অতিমাত্রার তাপে, ভেজা ও ধূলা বালি যুক্ত স্থানে ব্যবহারের জন্য। সাধারন ল্যাপটপ যেগুলো ক্রেতারা ক্রয় করে তাদের থেকে এগুলোর নকশা হয় আলাদা রকমের। এগুলো মোটা, ভারি, দামি হয় সাধারন ল্যাপটপের তুলনায় তাই এগুলো সাধারন ব্যবহারকারীদের কাছে দেখা যায় না।[২৫]

নকশার বৈশিষ্ট্যে দেখা যায় কিবোর্ডের নিচে রাবারের চাদর থাকে, পোর্ট ও সংযোগের জায়গাগুলোর মুখ ঢাকা থাকে, খুব উজ্জ্বল প্রদর্শনী, দিনের আলোতে পড়া যায়, ম্যাগনেশিয়াম ধাতব মিশ্রন দিয়ে বানানো বাক্স ও খোপে বসানো থাকে ল্যাপটপটি। বানিজ্যিকভাবে উৎপাদিত ল্যাপটপগুলোতে প্লাস্টিকের খোপ এগুলোতে ব্যবহৃত হয় না। এছাড়া সলিড স্টেট ড্রাইভ স্টোরেজ যন্ত্র বা হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ যেগুলো নাড়াচাড়া করলেও ক্ষতিগ্রস্থ হয় না তা ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের ল্যাপটপগুলো সাধারনত জনসাধারনের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবহৃত হয় যেমন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মী বা জরুরী চিকিৎসা, সৈনিকদের কাজে, উপযোগমূলক কাজে, মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীর কাজে, নির্মানবিদ্যায়, খনন কাজে এবং তৈল উত্তোলনের কাজ করেন এমন ব্যক্তিদের কাজে। আর এগুলো বিক্রয় করা হয় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কোন ব্যক্তিবিশেষের কাছে একক ভাবে বিক্রয় করা হয় না, এর জন্য কোন খুচরা বিক্রয়ের মাধ্যমও নেই।

উপাদানসমূহ

সংক্ষিপ্তকরন: ডেস্কটপ কম্পিউটার (এটিএক্স ধরনের) ও ল্যাপটপ (ম্যাকবুক ইউনিবডি) কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের পার্থক্য
সনি ভায়ো ল্যাপটপের অভ্যন্তরের দৃশ্য
একটি এসওডিআইএমএম মেমোরি
ল্যাপটপে ব্যবহৃত সাধারন ২.৫" হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ, যেগুলো ডেস্কটপের চেয়ে আকারে ছোট

ল্যাপটপের সাধারন কার্যাবলি ডেস্কটপের কার্যাবলির অনুরূপ। প্রথাগতভাবে ল্যাপটপেরগুলো ছোট আকৃতির এবং বহন করার উপযোগিতার সাথে খাপ খায় এমন করে তৈরি। যদিও বর্তমানে আধুনিক অনেক ডেস্কটপেই ল্যাপটপের ছোট আকৃতির উপাদানগুলো ব্যবহার করা হয়, কারন এতে শক্তি কম খরচ হয়। ল্যাপটপের নকশার ফলে শক্তি, আকার এবং তাপজনিত সীমার ফলে ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা সীমিত, কিন্তু গত কয়েক বছরে তা বেশ কমে এসেছে।

সাধারনভাবে, ল্যাপটপের উপাদানগুলো পরিবর্তনের উদ্দেশ্য থাকে না। অল্পকিছু মাত্র, যেমন প্রসেসর পরিবর্তন করাটাও কষ্টসাধ্য বিভিন্ন কারনে (প্রসেসর কত তাপ উৎপন্ন করবে, আদৌ সমর্থন করবে কিনা, ল্যাপটপ সহজে খোলা যাবে কিনা ইত্যাদি)। খুব ছোট যেসব ল্যাপটপ রয়েছে যেমন ল্যাপলেটে হয়ত কোন উপাদান লাগানোর মত থাকবে না।[২৬]

ইন্টেল, আসুস, কমপাল, কোয়ান্টা এবং অন্যান্য কিছু ল্যাপটপ প্রস্তুতকারক একই ধরনের নকশা অনুসরন করে ল্যাপটপের অংশ জুড়ে দেওয়ার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে। তারা এই কাজটি করেছেন মূলত একটি মানদন্ড তৈরি করতে।[২৭]

নিচের তালিকায় ব্যক্তিগত ডেস্কটপ কম্পিউটারের সাথে ল্যাপটপের উপাদানের বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে[২৮]


প্রদর্শনী

বেশিরভাগ আধুনিক ল্যাপটপেরই একটি ১৩ ইঞ্চি বা তার থেকে বড় মাপের রঙিন একটিভ ম্যাট্রিক্স প্রদশর্নী রয়েছে যেগুলো সিসিএফএল বা এলইডি উপর ভিত্তি করে বানানো। এগুলোর আবার বিভিন্ন রেজুলেশন থাকে যেমন ১২৮০×৮০০ (১৬:১০) অথবা ১৩৬৬×৭৬৮ (১৬:৯) পিক্সেল অথবা তারো বেশি। যেসব মডেলে এলইডি রয়েছে সেগুলো কম বিদ্যুত খরচ করে এবং বেশি ঔজ্জ্বল্য দেয়। নেটবুকের প্রদশর্নীগুলো হয় সাধারনত ১০ ইঞ্চি বা তার কম পিক্সেল রেজুলেশন থাকে ১০২৪×৬০০ অন্যদিকে নেটবুক ও সাবনেটবুক যাতে ১১.৬ বা ১২ ইঞ্চি প্রদশর্নী আছে সেগুলোতে সাধারন মানের রেজুলেশন থাকে। উচ্চ রেজুলেশনের মানে হল প্রদশর্নীতে বেশি পরিমানের সামগ্রী একসাথে দেখতে পাওয়া। এর ফলে ব্যবহারকারি বহু কাজ একসাথে করতে পারে। আবার ছোট প্রদশর্নীতে বেশি রেজুলেশন হওয়া মানে প্রদশর্নীতে চিত্রগুলো খুব সূক্ষ্ম, তিক্ষ্ম ও সুন্দর দেখাবে এবং রেজুলেশন বেশি হলেই তা বেশি সামগ্রী প্রদান করবে এমন নয় কারন প্রদশর্নিটিও বড় মাপের হতে হবে। ২০১২ সালে ম্যাকবুক প্রো যাতে রেটিনা প্রদর্শনী রয়েছে প্রথম উচ্চ মাত্রার রেজুলেশন নিয়ে আসে (১৯২০×১০৮০ বা তার বেশি)। এরপর থেকে এখন ১৫ ইঞ্চির প্রদর্শনীতেও ৩২০০×১৮০০ মাপের রেজুলেশন দেখা যায়।

বাহ্যিক প্রদর্শনীর সাথে বেশিরভাগ ল্যাপটপই সংযোগ করা যায় এবং যেসব মডেলের মিনি প্রদর্শন পোর্ট আছে সেগুলো তিনটি প্রদর্শন করতে পারে।[২৯]

কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন ইউনিট

একটি ল্যাপটপের সিপিইউতে শক্তি বাঁচানোর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং এগুলো কম তাপ উৎপন্ন করে ডেস্কটপের সিপিইউ'র তুলনায়। প্রথাগতভাবে ল্যাপটপের সিপিইউতে দুটো কোরের প্রসেসর দেখা যায়, যদিও ৪ কোরের মডেলও দেখা যায়। কম দাম এবং মূল কার্যক্ষমতার কারনে ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিপিইউ'র বেলায়, যেমন ৪ থেকে ৮ কোরের ডেস্কটপ সিপিইউগুলো ৪ কোরের ল্যাপটপ প্রসেসরগুলোকে সহজেই হারিয়ে দিতে পারে। এর ফলে এগুলোতে শক্তিও বেশি খরচ হয় ডেস্কটপের বেলায় তা ১৫০ ওয়াট, ল্যাপটপের বেলায় তা ৫৬ ওয়াট মাত্র।

ইন্টেল, এএমডি এবং অন্যান্য প্রস্তুতকারকরা ল্যাপটপের জন্য প্রচুর ব্যাপকমাত্রায় সিপিইউ তৈরী করেছেন। এক্স৮৬ নকশায় প্রস্তুত নয় এমন প্রসেসরের বেলায় মটোরোলা এবং আইবিএম তৈরি করেছিল পাওয়ারপিসি ভিত্তিক এ্যপল ল্যাপটপ (আইবুক এবং পাওয়ারবুক)। অনেক ল্যাপটপেরই খুলে ফেলা যায় এমন সিপিইউ আছে যদিও গত কয়েক বছরে তা কমে এসেছে ল্যাপটপ চিকন ও হালকা করতে গিয়ে। অন্যান্য ল্যাপটপগুলোতে সিপিইউ লাগানো থাকে মাদারবোর্ডের সাথে এবং তা প্রতিস্থাপন করা যায় না উদাহরনসরূপ বলা যায়, আল্ট্রাবুক।

পূর্বে, কিছু ল্যাপটপে ডেস্কটপের সিপিইউ ব্যবহার করা হয় এতে কার্যক্ষমতা বাড়ে ঠিকই কিন্তু ওজন, তাপ বেড়ে যায় আর ব্যাটারি কম স্থায়ী হয়। এর ব্যবহারও কমে গেছে। ডেস্কটপের মত ল্যাপটপের সিপিইউগুলোও ওভারক্লক করা অসম্ভব। ল্যাপটপের একটি থার্মাল পরিচালনা অবস্থা এর সীমা খুব কাছাকাছি হয় এবং বেশি মাত্রায় তাপ উৎপাদনের মত অবস্থাও নেই। ওভারক্লক করার জন্য ল্যাপটপে ভাল শীতলীকরন ব্যবস্থা পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

গ্রাফিক্যাল প্রক্রিয়াকরন ইউনিট

বেশিরভাগ ল্যাপটপেই গ্রাফিক্যাল প্রক্রিয়াকরন ইউনিট সিপিইউ'র সাথে একত্রিত থাকে শক্তি ও জায়গা বাচানোর লক্ষ্যে। ২০১০ সালে ইন্টেল এই ব্যবস্থার প্রচলন করে কোর আই মোবাইল সিরিজগুলোতে এবং একই ভাবে এএমডি পরের বছর তাদের এপিইউ প্রসেসরগুলোতে প্রচলন করে। এর আগে কম ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রগুলো সিস্টেম চিপসেটের সাথে গ্রাফিক্স প্রসেসর সমন্বিত করত যেখানে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রগুলোতে আলাদা গ্রাফিক্স প্রসেসর থাকত। আগে, যেসব ল্যাপটপে আলাদা গ্রাফিক্স প্রসেসর ছিল না সেগুলোতে গেম খেলা ও প্রায়োগিগ কাজ যেমন ৩ডি গ্রাফিক্স করা সম্ভব হত না। কিন্তু বর্তমানে সমন্বিত গ্রাফিক্স প্রসেসরের কারনে কম ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রগুলোতেও সক্ষমতা এসেছে। উচ্চ ক্ষমতারগুলো এখনো আলাদা করে গ্রাফিক্স প্রসেসর নিয়ে বাজারে আসে, কিছু ক্ষেত্রে দ্বৈত গ্রাফিক্স প্রসেসরও দেখা যায়, সেটা হতে পারে মাদারবোর্ড বা আন্তক্ষেত্রে সংযুক্ত কার্ড। ২০১১ থেকে এই সব দ্বৈত গ্রাফিক্সের কার্ডগুলোতে পরিবর্তনশীল গ্রাফিক্স ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যখন কোন উচ্চ মানের গ্রাফিক্সের কাজ থাকবে না তখন এটি কম বিদ্যুত খরচ করে এমন গ্রাফিক্স প্রসেসরে পরিবর্তিত হবে এবং ব্যবহৃত হতে থাকবে। আবার যখন উচ্চ গ্রাফিক্সের কাজ আসবে তখন মূল উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্রাফিক্স প্রসেসর ও কম বিদ্যুৎ খরচ করে এমন গ্রাফিক্স প্রসেসর দুটোই একসাথে কাজ করবে। এনভিডিয়ার অপটিমাস এমন একটি পরিবর্তনশীল গ্রাফিক্সের উদাহরন।

স্মৃতি

বেশিরভাগ ল্যাপটপে থাকে এসও-ডিআইএমএম[২৮] স্মৃতির একক, এগুলো ডেস্কটপেরগুলোর তুলনায় অর্ধেক আকারের। লাগানোর সুবিধার জন্য এগুলো ল্যাপটপের নিচের দিকে থাকে অথবা এমন জায়গায় থাকতে পারে যা প্রতিস্থাপন করা যায় না। বেশিরভাগেরই দুটো খোপ থাকে র‍্যামের জন্য। সবচেয়ে কম ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপের একটি এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপের চারটি করে খোপ থাকে। বেশির ভাগ মধ্যম মানের ল্যাপটপেরই ৪-৬ জিবি র‍্যাম থাকে। নেটবুকগুলোতে ১-২ জিবি র‍্যাম থাকে এবং সাধারনত ২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যায়। যেহেতু প্রায় প্রত্যেক সাধারন ল্যাপটপে ২ টি করে খোপ থাকে ধরে নেয়া যায় দুটোতে ১৬ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম বসানো যাবে। কারন ডিডিআর৩ প্রযুক্তিতে একটি খোপে সর্বোচ্চ ৮ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম বসানো যায়।

যদি একটি সিস্টেম টিপিএম বা ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল লাগিয়ে বানানো হয় তবে ল্যাপটপের মাদারবোর্ডের সাথে র‍্যাম লাগিয়ে দেয়া থাকতে পারে। এটা করা হয় জায়গা বাঁচাতে, চেসিসগুলোকে আরো চিকন করতে এবং নিরাপত্তার সুবিধার্থে। টিপিএম ব্যবহার করলে স্মৃতিকে জোড়া লাগিয়ে দেয়া হয় যাতে করে বুট আক্রমন[৩০] থেকে বাচা যায়। এধরনের জোড়া লাগানো স্মৃতি পরে বাড়ানো যায় না।

অভ্যন্তরীন সঞ্চয় স্থান

প্রথাগতভাবে প্রধান সঞ্চয় স্থান হিসেবে ল্যাপটপে একটি হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ থাকে। কিন্তু এটা অকার্যকর হিসেবে প্রমানিত হয়েছে যখন এটিকে বহনযোগ্য যন্ত্রে লাগানো হয়েছে কারন এটি বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে, তাপ উৎপন্ন করে এবং এর নড়াচাড়া করে এমন অংশ রয়েছে। যার ফলে ড্রাইভের এবং ডাটার ক্ষতিসাধন হতে পারে যখন একটি ল্যাপটপ কোন ক্ষতির সম্মুখীন হয় যেমন পড়ে যাওয়া, বহন করার সময় ইত্যাদি। ফ্ল্যাশ মেমোরি প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে এখন বেশিরভাগ মধ্যম থেকে উচ্চ মানের ল্যাপটপে আরো ছোট, কম বিদ্যুত খরচ করে এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন সলিড-স্টেট ড্রাইভ ব্যবহার করে। যা ড্রাইভজনিত সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি ডাটা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনাকে কমিয়ে এনেছে[৩১] বহনযোগ্য ল্যাপটপের জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ কম দামি বা কম ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপে হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ এখনো বেশি ব্যবহার করা হয় এদের কম দামের কারনে।

বেশিরভাগ ল্যাপটপই ২.৫ ইঞ্চি মাপের ড্রাইভ ব্যবহার করে। এগুলো ৩.৫ ইঞ্চি মাপের ডেস্কটপ ড্রাইভের ছোট রূপ। এই মাপের ড্রাইভগুলো আরো ছোট, কম বিদ্যুত খরচ করে এবং কম তাপ উৎপন্ন করে পাশাপাশি দেখা যায় অসুবিধা হল এগুলোর ধারনক্ষমতা কম এবং ডাটা স্থানান্তর গতিও কম। কিন্তু এসএসডির বেলায় ছোট হওয়ার কারনে যে অসুবিধাগুলো ২.৫ ইঞ্চি মাপের ড্রাইভের হয়, তা হয় না। কারন এসএসডিগুলোর ভেতরের নকশা করা হয়েছে যাতে কম জায়গা ধারন করে। কিছু আরো ছোট মাপের ল্যাপটপে আরো ছোট ১.৮ ইঞ্চি মাপের হার্ডড্রাইভ ডিস্ক দেখা যায়। এসএসডিগুলো প্রথাগত মাপে, বা ১.৮ ইঞ্চি বা ল্যাপটপের প্রয়োজন অনুযায়ী এমসাটা বা এম.২ কার্ডের আকারে পাওয়া যায়।

হার্ডডিস্কের তুলনায় এসএসডি'র আরো ভালো স্থানান্তর গতি রয়েছে[৩২][৩৩][৩৪] কিন্তু হার্ডডিস্ক কম দামি এবং এতে জায়গা বেশি পাওয়া যায়। ২০১৪ অনুযায়ী, বেশিরভাগ হার্ডডিস্ক ড্রাইভের সংরক্ষন ক্ষমতা ২ টেরাবাইট যেখানে এসএসডির হল ১ টেরাবাইট।

বেশিরভাগ ল্যাপটপই একটি মাত্র ২.৫ ইঞ্চি মাপের ড্রাইভ ধারন করতে পারে। কিন্তু কিছু সংখ্যক ল্যাপটপ আছে (১৭" থেকে বেশি বড় প্রদর্শনীর) যেগুলোতে দুটো লাগানো যায়। কিছু ল্যাপটপ আছে যেগুলোতে হার্ডড্রাইভ বা এসএসডি উভয়ই ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে এসএসডি ব্যবহার করা হয় অপারেটিং সিস্টেম অংশের জন্য আর সাধারন ডাটা সংরক্ষনের জন্য হার্ডডিস্ক ড্রাইভ ব্যবহার করা হয়। এর ফলে আই/ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অন্য আরেকটি ব্যবস্থা হল একটি ১৬-৩২ জিবি ক্ষমতার এসএসডি ক্যাশ ড্রাইভ হিসেবে ব্যবহার করা যাতে আই/ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং অবশ্যই তা অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা সমর্থিত হতে হবে।

যখন কিছু এসএসডি ড্রাইভ সাধারন মানদন্ড অনুসরন করে বানানো হয় না (আকারের ক্ষেত্রে) বা কোন ধরনের স্বত্তাধিকারি ডটার কার্ড প্রয়োজন হয়।[৩৫] সেইসব ল্যাপটপের ধারন ক্ষমতা পরবর্তীতে বাড়ানোর কোন পথ নাও থাকতে পারে।

কিছু ল্যাপটপের এসএসডি ধারন ক্ষমতা খুব কম হতে পারে। কারন হিসেবে বলা যায় এগুরো ক্লাউড সংরক্ষন সেবা ব্যবহার করে, ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয় ডাটা সংরক্ষনের সময়। যেমন গুগল ক্রোমবুক।

বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক হার্ডডিস্ক ড্রাইভ অথবা এনএএস ডাটা সংরক্ষন সার্ভারের সাথে (আরএআইডি প্রযুক্তি দিয়ে) যে কোন ল্যাপটপ কার্যত যুক্ত করে (যেমন: ইউএসবি, ফায়ারঅয়ার, ইসাটা, থান্ডারবোল্ট অথবা তার বা তারবিহিন নেটওর্য়াকের মাধ্যমে) ডাটা সংরক্ষন ক্ষমতা বাড়ানো যায়।

প্রায় সব ল্যাপটপেই একটি কার্ড রিডার থাকে যা দিয়ে মেমোরি কার্ড যেমন এসডি অথবা মাইক্রো এসডি ব্যবহার করা যায়।

অপসারনযোগ্য মিডিয়া ড্রাইভ

সিডি/ডিভিডি/বিডি অপটিক্যাল ডিস্ক ড্রাইভগুলো প্রত্যেক পূর্নাঙ্গ ল্যাপটপেই থাকে। এবং এখন এটি ১৫ ইঞ্চ মাপের বা তার বেশি মাপের প্রদর্শনী আছে এমন ল্যাপটপের সাথে থাকবেই। তবে বর্তমানে চিকন ও হালকা ল্যাপটপের ধারায় এটি কম ব্যবহার করা হয়। সাবনোট বা নেটবুকে এগুলো খুজে পাওয়া খুব একটা যায় না। ল্যাপটপের অপটিক্যাল ড্রাইভগুলোর সাধারন মান দন্ড আছে সাধারনত সবগুলোই এমসাটা কানেক্টর দ্বারা ল্যাপটপের সাথে যুক্ত থাকে। প্রায়শই এটি পরিবর্তন করা যায়। কিছু কিছু ল্যাপটপে অপটিক্যাল ড্রাইভের জায়গায় দ্বিতীয় আরেকটি ড্রাইভ বসানো যায়, এক্ষেত্রে ক্যাডি ব্যবহার করে বাড়তি খালি অংশ ভর্তি করা হয়।

ইনপুট

একটি নির্দেশক কাঠি, টাচপ্যাড বা দুটোই ল্যাপটপের প্রদশর্নীতে কার্সর নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হতে পারে। আর থাকে একটি কিবোর্ড যা লিখনের কাজে ব্যবহৃত হয়। একটি বাহ্যিত কিবোর্ড বা মাউসও ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে লাগানো যেতে পারে। আবার এগুলো যদি হয় তারবিহিন তাও লাগানো সম্ভব। প্রযুক্তির অগ্রগতিতে এখন স্পর্ষ নিয়ন্ত্রিত পর্দা ব্যবহার করেও ইনপুট দেয়া সম্ভব, এটা যদিও মোবাইলে বেশি ব্যবহার করা হয় কিন্তু বর্তমানের আল্ট্রাবুকগুলোতেও এই সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া সাম্প্রতিক উইন্ডোজের ভার্সন ৮.১ এই ধারাকে আরো ত্বরান্বিত করেছে।

আই/ও পোর্ট

গতানুগতিক ল্যাপটপে অনেকগুলো ইউএসবি পোর্ট, একটি বাহ্যিক প্রদর্শনী পোর্ট (ভিজিএ, ডিভিআই, এইচডিএমআই অথবা মিনি প্রদশর্নী পোর্ট), অডিও ইন/আউট ইত্যাদি থাকে। বর্তমানের আধুনিক ল্যাপটপগুলোতে একসাথে তিনটি বাহ্যিক প্রদর্শনী যুক্ত করা যেতে পারে, মিনি প্রদশর্নীপোর্ট ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে বহু-ধারার পরিবহন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।[২৯]

ইথারনেট নেটওয়ার্ক পোর্ট যদিও পূর্বে পাওয়া যেত কিন্তু আধুনিক ল্যাপটপে এটি কম দেখা যায় কারন তারবিহিন প্রযুক্তি ওয়াইফাইয়ের বহুল ব্যবহারের ফলে।

আরো কয়েকটি পোর্ট যেমন পিএস/২ কিবোর্ড/মাউস পোর্ট, সিরিয়াল পোর্ট, প্যারালাল পোর্ট অথবা ফায়ারঅয়ার খুব কম দেখা যায়। অন্যদিকে, এ্যপলের ল্যাপটপসহ আরো কিছু ল্যাপটপে থান্ডারবোল্ট পোর্ট দেখা যায়।

সম্প্রসারন কার্ড

ইউএসবি ৩ ইন্টারফেসের সূচনার পরে, আগে যেসব পিসি কার্ড (পিসিএমসিআইএ বা এক্সপ্রেস কার্ড) স্লট দেখা যেত এখন সেগুলোর ব্যবহার কমে আসছে। কিছু বাহ্যিক উপব্যবস্থা যেমন ইথারনেট, ওয়াই-ফাই অথবা একটি তারবিহিন সেলুলার মডেম বসানো যাবে অভ্যন্তরীরন সম্প্রসারন কার্ড প্রতিস্থাপক হিসেবে। সাধারনত এগুলোকে পাওয়া যাবে ল্যাপটপের নিচের একটি কভারে। এগুলোর সাধারন মান হল পিসিআই এক্সপ্রেস যেটি ছোট এবং এমনকি আরো ছোট এম.২ আকারে পাওয়া যায়। নতুন ল্যাপটপগুলোতে মাইক্রোসাটার কার্যকারিতা পিসিআই এক্সপ্রেস ছোট বা এম.২ কার্ডে দেখা পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। এটি ঐ স্লটগুলোকে সাটা নির্ভর সলিড স্টেট ড্রাইভের জন্য ব্যবহার করার সুযোগ দেয়।[৩৬]

ব্যাটারি এবং শক্তি সরবরাহ

বর্তমান ল্যাপটপগুলো লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করে, যেগুলো দেখতে চিকন যাতে আবার চওড়া লিথিয়াম পলিমার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এই দুই প্রযুক্তি আগের বড় ধরনের নিকেল মেটাল-হাইড্রাইডের ব্যাটারির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। ব্যাটারির ক্ষমতা এবং স্থায়ীত্ব ল্যাপটপের মডেলের সাথে এবং কাজের সাথে ভিন্ন হয়, যা এক ঘন্টা থেকে শুরু করে এক দিন হতে পারে। ব্যাটারির স্থায়ীত্ব দিনকে দিন কমতে থাকে, ১ থেকে ৩ বছরের প্রত্যাহিক ব্যবহারের ফলে ধারন ক্ষমতায় বিদ্যুত সঞ্চারন ও ডিসচার্জের ধরন এবং ব্যটারির প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে পরিবর্তন আসে। ল্যাপটপের ব্যাটারির মানোন্নয়নের পর্যায়ে এমনও দেখা গেছে যে সেটি ২৪ ঘন্টা কম্পিউটার চালাতে সক্ষম (গড় বিদ্যুত খরচের উপর)। উদাহরন হতে পারে এইচপি এলিটবুক ৬৯৩০পি যখন এর আল্ট্রা ক্ষমতার ব্যাটারি দিয়ে চালানো হয়।[৩৭]

ল্যাপটপের ব্যাটারি বাহ্যিক একটি শক্তি সরবরাহকারী দিয়ে চার্জ দেওয়া হয় যা ডিসি ভোল্টেজ থাকে ৭.২ থেকে ২৪ ভোল্টের মধ্যে। এটি ল্যাপটপের সাথে ডিসি সংযোগকারি ক্যাবল দিয়ে যুক্ত থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি ব্যাটারিকে চার্জ করতে পারে এবং শক্তিও সরবরাহ করতে পারে একই সাথে। যখন ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায় তখন বাহ্যিক শক্তি দিয়ে ল্যাপটপ চলতে থাকে, ব্যাটারির ক্ষমতা না ব্যবহার করে। ব্যাটারি কম সময়ে চার্জ হতে পারে যদি ল্যাপটপটি বন্ধ বা স্লিপ মোডে থাকে। চার্জারের ওজন হয় ৪০০ গ্রামের মত কিন্তু কিছু মডেলের ওজন কম বেশি হতে পারে।


শীতলীকরন

কার্যপরিচালনার কারনে উৎপন্ন তাপ ল্যাপটপের মত ছোট জিনিস থেকে বের করা কষ্টকর। আগের ল্যাপটপগুলোতে তাপ শোষকগুলো সরাসরি উপাদানের উপর বসানো হত ঠান্ডা হবার জন্য। কিন্তু যখন গরম হয়ে উঠে এমন উপাদান বেশি গভীরের স্তরে থাকে ল্যাপটপের তবে একটি বড় জায়গা জুড়ে বায়ুবাহী নল বসানো হত তাপ বের করে দেয়ার জন্য। আধুনিক ল্যাপটপগুলোতে তাপীয় নল ব্যবহার করা হয় তাপ দ্রুত যন্ত্রের কিনারে নিয়ে আসতে, অনেক ছোট ও সূক্ষ্ম ফ্যান এবং তাপ শোষক শীতলীকরন ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। সাধারনত তাপ ল্যাপটপের পেছনে বা পাশে দিয়ে বের করে দেয়া হয়। অনেকগুলো বাতাস গ্রহনকারী পথ থাকে যদিও অনেকগুলো বন্ধ থাকে বিশেষ করে ল্যাপটপকে যখন নরম জিনিসের উপর বসানো হয়। যেমন চেয়ার কুশনের উপর, ফোমের উপর ইত্যাদি। এ্যপলের ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার তৈরী হয় এ্যালুমিনিয়ামের খাচ বা বাক্সে, বিশ্বাস করা হয় যে, এই খাপ বা বাক্সও তাপ শোষনকারী হিসেবে কাজ করে যা যন্ত্রটির মূল অংশকে ঠান্ডা করতে সহায়তা করে। সহায়তাকারী যান্ত্রিক তাপের দেখাশোনাকারী সফটওয়্যার পিসির কার্যক্ষমতা ব্যহত করতে পারে বা জরুরী কম্পিউটার বন্ধে বাধ্য করতে পারে। কারন এগুলো তৈরী করা হয়েছে যাতে কম্পিউটার অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আগেই বন্ধ করে ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়। এধরনের ব্যপারগুলো ঘটে যখন একটানা ল্যাপটপ চলে বা এমন জায়গায় রাখা হয়েছে যা তাপ বৃদ্ধির কারন হয়ে দাড়িয়েছে যেমন ব্যাগে। এই ধরনের উত্তাপ বৃদ্ধির ফলে ল্যাপটপের খাপ বা বাক্সের প্লাস্টিক গলে যেতে পারে এমনকি আগুনও জ্বলে উঠতে পারে। বাজারে যেসব শীতলীকরন প্যাড পাওয়া যায় তা তাপকে নিয়ন্ত্রন করতে কাজে লাগতে পারে।

ডকিং স্টেশন

ডকিং স্টেশন বা ডক এক ধরনের ল্যাপটপের সহায়ক বস্তু যাতে একাধিক পোর্ট থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সম্প্রসারন স্লট বা প্ল্যাটফর্ম দেয়া থাকে যাতে স্থায়ী বা অপসারনযোগ্য ড্রাইভ বসানো যায়। একটি ল্যাপটপকে ডকের সাথে সহজেই জুড়ে দেয়া যায়, সাধারনত বড় ধরনের একটি তারের মাধ্যমে।

কর্পোরেট ক্ষেত্রে ডকিং স্টেশন খুব জনপ্রিয় যেহেতু এতে করে ল্যাপটপকে একটি ডেস্কটপের রূপ দেয়া যায়। কিন্তু তা সত্বেও একে সহজে খোলা যায়, ফলে যারা বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক।

যদি আরো বেশি পোর্টের প্রয়োজন হয় বা ল্যাপটপটি ঠিক মত বসানো না যায় তবে যে কেউ আরো কম দামি যন্ত্র ব্যবহার করতে পারে যা হল একটি পোর্ট কৃত্রিমকারী। এই যন্ত্রগুলো ল্যাপটপের পেছনে লাগানো হয় সাধারনত, ইউএসবি বা ফায়ারওয়ার দিয়ে।

বিদ্যুত সঞ্চারন স্টেশন

ল্যাপটপ বিদ্যুত সঞ্চারন ট্রলি যাকে ল্যাপটপ ট্রলি বা ল্যাপটপ কার্ট হল এক ধরনের ল্যাপটপ বিদ্যুত সঞ্চারক যা ল্যাপটপ, নেটবুক এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারে বিদ্যুত সঞ্চারন করতে পারে।[৩৮] ল্যাপটপ ট্রলিগুলোকে প্রধানত স্কুলে ব্যবহার করা হয় ডেস্কটপের বদলে। যেখানে ডেস্কটপ চালানো বা বিদ্যুত সঞ্চালনের মত পর্যাপ্ত পরিমান সকেট নেই।

ট্রলিগুলোকে এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে নেয়া যেত এতে করে পুরো ভবনেই পূর্ণ বিদ্যুত না থাকলেও সঞ্চারিত বিদ্যুতের মাধ্যমে ব্যবহার করা যেত এবং আইটির ছোয়া পেত।[৩৯] ল্যাপটপ ট্রলি দিয়ে চুরির সম্ভাবনাও কমিয়ে আনা হয়। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলামেলা থাকে এবং ল্যাপটপ, নেটবুক ও ট্যাবলেট সহজে বহন করা যায় ফলে চুরির জন্য এগুলো প্রধান লক্ষ্য হয়ে ওঠে। ট্রলিগুলো ধাতব স্টিলের তৈরী এবং যখন ব্যবহার করা হয় না তখন তালাবদ্ধ করে রাখা যায়। তবে রাতে যাতে সরিয়ে ফেলতে না পারে সেজন্যে এগুলোকে দেয়াল বা মেঝেতে স্থাপন করার ব্যবস্থা রয়েছে।[৩৮]


সৌর প্যানেল

কিছু ল্যাপটপে সৌর প্যানেল ল্যাপটপ চালানোর মত শক্তি উৎপাদনে সক্ষম।[৪০] একটি শিশুর জন্য একটি ল্যাপটপ কর্মসূচিতে ওএলপিসি এক্সও-১ ল্যাপটপটি পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং চালানো গিয়েছিল সৌর প্যানেল দিয়ে।[৪১] বর্তমানে তারা নকশা করছে ওএলপিসি এক্সও-৩ মডেলের যাতে এই বৈশিষ্ট্যটি থাকবে। এটি মাত্র ২ ওয়াট শক্তি দিয়ে চালানো যায়। আর সৌর প্যানেলটি ৪ ওয়াট করে শক্তি উৎপাদন করতে পারে।[৪২][৪৩] স্যামস্যাঙেরও একটি নোটবুক আছে যা আমেরিকার বাজারে ছাড়া হবে এবং এটি সৌর শক্তি দিয়ে চলতে পারে যার মডেল এনসি২১৫এস।[৪৪]

সুবিধা

ল্যাপটপ কম্পিউটারগুলো বহনযোগ্য এবং যেকোন জায়গায় ব্যবহার করা যায়। ছবিতে ভিনসেন্ট ফক্স ব্যবহার করছেন একটি এ্যপল পাওয়ারবুক
একজন শিক্ষক ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানে
উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস পার্কে বসে ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন

ডেস্কটপ পিসির সাথে যখন ল্যাপটপকে তুলনা করা হয় বহনযোগ্যতাকে সবার প্রথমে ধরা হয়।[৪৫] এই সুবিধার কারনে ল্যাপটপকে যে কোন জায়গায় ব্যবহার করা যায়। যেমন - বাড়িতে, অফিসে, বিমানের ফ্লাইটে, মিটিংয়ে, কফি দোকানে, লেকচার হলে বা লাইব্রেরিতে, গ্রাহকের সামনে ইত্যাদি। এই বহনযোগ্যতা বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন সুবিধা দেয় সেগুলো নিচে দেখুন-

  • উৎপাদনশীলতা - যেখানে ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করা যায় না, বা ডেস্কটপের জন্য বসে থাকলে যে সময়টুকু নষ্ট হত সেক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও উৎপাদনশীলতা এসেছে। যেমন একজন কর্মচারি ট্রেনে বসে অফিসের কাজ করছেন বা একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কফি দোকানে বসে তার বাড়ির কাজ করে নিচ্ছেন।[৪৬][৪৭]
  • তাৎক্ষনিক - একটি ল্যাপটপ বহন করার অর্থ হল তাৎক্ষনিক যোগাযোগ ও তথ্যের ভান্ডার সাথে নিয়ে হাটা। সেটা হতে পারে ব্যক্তিগত বা কাজের তথ্য, ফাইল ইত্যাদি। এর ফলে কাজের ক্ষেত্রে বা ছাত্রদের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। কারন যখন তখন ল্যাপটপের ভাঁজ খুলেই কাজ শুরু করা বা দেখানো যেতে পারে।
  • তথ্যের সাথে পা মিলিয়ে চলা - যদি একজন ব্যবহারকারী একটির বেশি ডেস্কটপ কম্পিউটার থাকে তবে তা কাজ গুছিয়ে নিতে সমস্যা তৈরী করে। এই সমস্যার সমাধান অবশ্যই আছে যেমন বসে থেকে ফাইল স্থানান্তর বা আবার এক ফাইল থেকে ডাটা অন্য ফাই্লে স্থানান্তর, ইউএসবি ড্রাইভ দিয়ে বা সিডি দিয়ে অথবা ইন্টারনেটের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সিন্ক্রোনাইজেশনের মাধ্যমে। কিন্তু একটি ল্যাপটপ এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে। কারন এটা বহন করে যে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।
  • যোগাযোগ - ল্যাপটপে ওয়াই ফাই ও সেলুলার ব্রডব্যান্ড ডাটা সুবিধা থাকার ফলে যে কোন জায়গায় বসে (ওয়াই ফাই সুবিধা আছে এমন জায়গায়, উন্নত বিশ্বের প্রায় সব জায়গায় এই সুবিধা পাওয়া যায়) সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনগুলো এর ভালো উদাহরন।[৪৮]

ল্যাপটপের অন্যান্য সুবিধা

  • আকার - ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপ ছোট। এটি খুবই দরকারি যখন জায়গা ছোট হয়। যেমন ছোট এপার্টমেন্টে বা ছাত্রাবাসে। আর যখন এটা ব্যবহার করা হয় না তখন বন্ধ করে সহজেই যে কোন জায়গায় রাখা যায়।
  • কম শক্তি খরচ - ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপ কয়েকগুন বেশি শক্তি কম খরচ করে। গতানুগতিক ল্যাপটপ ব্যবহার করে ২০-১২০ ওয়াট যেখানে ডেস্কটপ ব্যবহার করে ১০০-৮০০ ওয়াট। এই জন্যে ল্যাপটপ ব্যবসায় ও বাড়ির জন্য লাভজনক হতে পারে, যেখানো ল্যাপটপ সারাদিনই চলে।
  • শব্দহীন- ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপ কম শব্দ করে। যেহেতু ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপে কম ফ্যান থাকে ও হার্ড ড্রাইভের গতিও কম থাকে।
  • ব্যাটারি - বিদ্যুতসঞ্চিত ল্যাপটপ কয়েক ঘন্টা চলতে পারে বিদ্যুতবিহিন এবং এতে বৈদ্যুতিক উৎস থেকে উৎপত্তি হয় এমন সমস্যা হয় না। যেমন ব্ল্যাকআউট, লোডশেডিং, স্পার্ক ইত্যাদি। কিন্তু একটি ডেস্কটপ পিসিতে ইউপিএস লাগে এধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে। ডেস্কটপের উপাদানের উপর ভিত্তিকরে তা দামি ও বেশি বিদ্যুত ধারন করতে পারে এমন হতে পারে।[৪৯]
  • একের-ভিতর-সব - ল্যাপটপেই সবকিছু একসাথে থাকে (ডেস্কটপের একের-ভিতর-সব ভার্সনগুলো বাদ দিয়ে) একটি জায়গায়। কিন্তু ডেস্কটপের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি উপাদান আলাদা আলাদা থাকে।



অসুবিধা

ডেস্কটপ কম্পিউটারের তুলনায় ল্যাপটপের কিছু অসুবিধা রয়েছে:

কার্যক্ষমতা

ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা প্রায় কাছাকাছি কিন্তু ডেস্কটপের দাম কমলেও ল্যাপটপের দাম সেভাবে কমেনি।[৫০] ডেস্কটপের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারের তুলনায় ল্যাপটপের ক্ষমতা তত বাড়েনি (বিশেষত "ওয়ার্কস্টেশন ক্লাস" যন্ত্র যেগুলোর সাথে দুই প্রসেসরের সকেট আছে) এবং নতুন আসা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বৈশিষ্ট্যগুলো ডেস্কটপে প্রচলনের পরই ল্যাপটপে আসে।

ইন্টারনেট ব্রাউজ বা সাধারন অফিস এ্যপ্লিকেশন চালাতে গেলে ব্যবহারকারীর নির্দেশের জন্যে কম্পিউটার অপেক্ষা করে বেশিরভাগ সময়ই, সেই সব কম্পিউটার (হতে পারে একেবারে কম ক্ষমতা সম্পন্ন) কোন কোন ব্যবহারকারীর কাছে দ্রুতগতি সম্পন্ন মনে হতে পারে।[৫১] ২০১০ সালে মাঝামাঝি নাগাদ সবচেয়ে কম দামি নেটবুকের দাম (২০০-৩০০ ডলার) ডেস্কটপের সবচেয়ে কম ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারের দামের (প্রায় ২০০ ডলার) চেয়ে বেশি ছিল। যদি প্রদশর্নীর কথা ধরা না হয়। কিন্তু কমদামি প্রদশর্নী যোগ করলে দামটা তুলনা করার মত হয়।

বেশিরভাগ উচ্চ ক্ষমতার ল্যাপটপই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিনেমা চালানো, কিছু ৩ডি গেম খেলা এবং ভিডিও সম্পাদনা ও এনকোডিং করার মত ক্ষমতা রয়েছে। যদিও ল্যাপটপের প্রসেসর উচ্চ মাত্রার ডাটাবেজ, গণিত, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্থিক সফটওয়্যার, ভার্চুয়াল জগতের জন্য পিছিয়ে আছে। ডেস্কটপের গ্রাফিক্স প্রসেসরের তুলনায় ল্যাপটপের গ্রাফিক্স প্রসেসরও পিছিয়ে আছে। যার ফলে বৈজ্ঞানিক ও ৩ডি গেমিংয়ে ল্যাপটপের ব্যবহার সীমাবদ্ধ। কিছু প্রস্তুতকারক ডেস্কটপের সিপিইউ ল্যাপটপে লাগিয়ে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।[৫২]

সম্প্রসারণ সক্ষমতা

ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপের সম্প্রসারন ক্ষমতা খুব কম। সাধারন হার্ড ড্রাইভ এবং মেমোরি সম্প্রসারন তুলনামূলকভাবে সহজ। অপটিক্যাল ড্রাইভ এবং অভ্যন্তরীন প্রসারন কার্ড লাগানো যায় যদি তা হয় সাধারন মানদন্ডের। কিন্তু অন্য সকল উপাদানগুলো যেমন মাদারবোর্ড, সিপিইউ এবং গ্রাফিক্স সহজে পরিবর্তন করা যায় না। ইন্টেল, আসুস, কমপাল, কোয়ান্টা এবং অন্যান্য কিছু ল্যাপটপ প্রস্তুতকারক একই ধরনের নকশা অনুসরন করে ল্যাপটপের অংশ জুড়ে দেওয়ার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে। তারা এই কাজটি করেছেন মূলত একটি মানদন্ড তৈরি করতে।

সম্প্রসারন সীমিত হওয়ার পেছনে অর্থনৈতিক ও কারিগরি উভয় কারনই জড়িত। ল্যাপটপের আকারের নকশার কোন নিদির্ষ্টতা নেই। প্রত্যেক উৎপাদকই নিজস্ব নকশায় ল্যাপটপ তৈরি করেন ফলে ল্যাপটপের ক্রয় পরবর্তী সম্প্রসারন করা যায় কম এবং করতে গেলেও তার খরচ হয় বেশি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় অন্য কোম্পানির উপাদান ব্যবহার করা যায় তবে তা খুবই কম এমনকি একই উৎপাদকের দুটি আলাদা ল্যাপটপ পন্য হলেও।

কিছু সম্প্রসারন করা যেতে পারে বাহ্যিক ইউএসবি বা সম্প্রসারন কার্ড ধাচের যেমন পিসি কার্ড। সাউন্ড কার্ড, নেটওয়ার্ক এডাপ্টার, হার্ড ড্রাইভ, অপটিক্যাল ড্রাইভ সহ আরো অগুনিত পেরিফেরাল যন্ত্রাংশ রয়েছে কিন্তু এই সব সম্প্রসারন ল্যাপটপের বহনযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে কারন এগুলো লাগাতে গেলে ক্যাবল বক্স প্রভৃতি বসাতে বা সংযোগ করতে হয়। আর প্রত্যেক বার বহনের সময় এগুলো খুলতে এবং লাগাতে হয়।


স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব

কব্জি

ল্যাপটপ শীতলীকরন (সিলভার) ল্যাপটপের নিচে (সাদা), ল্যাপটপের তাপ কমাতে সাহায্য করছে এবং তাপ কম উৎপন্ন করতে সাহায্য করছে

ল্যাপটপের ছোট, সমান্তরাল কিবোর্ড এবং ট্র্যাকপ্যাডের কারনে দীর্ঘক্ষন ধরে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে পৌনপুনিক মাংসপেশির খিল ধরা সমস্যা দেখা দিতে পারে।[৫৩] এই রকম সমস্যা উত্তরনের লক্ষ্যে দীর্ঘক্ষন ল্যাপটপ ব্যবহার করলে আলাদা কিবোর্ড ও মাউস ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এগুলো সহজেই কম্পিউটারের সাথে লাগানো যায় ইউএসবি পোর্ট বা ডকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে। কিছু কিছু কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগি কিবোর্ডের ব্যবস্থার কথা বলা আছে।

ঘাড় ও মেরুদন্ড

ল্যাপটপের সাথে যে প্রদর্শনী থাকে তাতে ভাল করে দেখার জন্য ব্যবহারকারীকে ঝুঁকে থাকতে হয় অনেক সময়। যা ঘাড় এবং মেরুদন্ডের ব্যথ্যার জন্য দায়ী। এ সমস্যা দূর করতে বড় আলাদা প্রদর্শনী ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে যা ল্যাপটপের সাথে সহজেই জুড়ে দেয়া যায়। তাছাড়া কম্পিউটার স্ট্যান্ডও ব্যবহার করা যেতে পারে।

যারা আলাদা প্রদর্শনী ব্যবহার করতে চান না তাদের জন্য পরামর্শ হল ল্যাপটপের প্রদর্শনীটিকে এমনভাবে রাখা যাতে তা ৯০ ডিগ্রির বেশি হেলে থাকে। এতে করে ঘাড় সোজা রাখা সহজ হতে পারে।

সন্তান উৎপাদন ক্ষমতার উপর প্রভাব

স্টেট ইউনিভার্সটি অব নিউ ইয়র্কের একটি গবেষনায় দেখা গেছে যে ল্যাপটপের যে তাপ নিসৃত হয় তা পুরুষ ব্যবহারকারীর কোমরের নিচে এক্ষেত্রে বিশেষকারে জননেন্দ্রীয়তে শুক্রের সংখ্যাকে হুমকির মুখে ফেলে। গবেষনায় প্রায় ২ ডজন পুরুষ ছিল যাদের বয়স ২১-৩৫ এর মধ্যে। দেখা গেছে, বসে কাজ করতে গেলে ল্যাপটপকে ভালভাবে রাখার জন্য কোলের উপর বা তলপেটের কাছাকাছি রাখতে হয় এতে করে অন্ডদেশীয় তাপমাত্রা প্রায় বেড়ে ২.১°C (৩.৭৮ °F) হয়। কিন্তু তবুও, আসলেই এটি সরাসরি কোন ক্ষতি করে কিনা তা আরো গবেষনার প্রয়োজন রয়েছে সঠিকভাবে বলার জন্য।[৫৪]

২০১০ সালে ২৯ জন পুরুষের উপর করা গবেষনা প্রকাশিত হয় ফার্টিলিটি এবং র্স্টারিলিটিতে। এখানে বলা হয় যারা কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করেন তাদের অন্ডদেশে হাইপারথার্মিয়া বা অতিমাত্রার তাপীয় অবস্থার শিকার হন যার ফলে অন্ডদেশে তাপমাত্রা ২°C বেড়ে যায়। এই তাপমাত্রার ফলে পুরুষত্বহীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেটা ল্যাপটপ কুশন ব্যবহার করেও কমানো যায় না।[৫৫][৫৬][৫৭][৫৮][৫৯]

এই প্রায়োগিগ সমস্যার সমাধান হিসেবে, পরামর্শ দেয়া হয়েছে ল্যাপটপকে কোলে না রেখে সুবিধাজনক কোন টেবিল বা ডেস্ক বা বই বা বালিশের উপর রেখে কাজ করতে যাতে করে ল্যাপটপ এবং শরীরের সর্ম্পক না থাকে। আরেকটি সমাধান হতে পারে একটি শীতলীকরন ব্যবহার করা। যা ইউএসবি'র মাধ্যমে ল্যাপটপের সাথে যুক্ত থাকে। এটি ল্যাপটপের অতিরিক্ত গরম তাপ সরিয়ে দিয়ে ল্যাপটপকে ঠান্ডা রাখে। এতে সাধারনত একের অধিক পাখা থাকে। এটি ল্যাপটপের নিচের দিকে প্লাস্টিকের খাচে বসানো থাকে।

উরু

কোলের উপর রেখে কাজ করার সময় তাপ নিসৃত হয়ে ত্বকের বিবর্নতাকে বলা হয় "ত্বকের ছেঁকা/ছেঁকা ত্বকের উপসর্গ"।[৬০][৬১][৬২][৬৩]

স্থায়ীত্ব

২.৫ বছর ব্যবহারের পর ল্যাপটপে ময়লা জমে যাওয়া তাপ শোষকের দৃশ্য

যন্ত্রাংশের ব্যবহার

বহযোগ্যতার কারনেই ল্যাপটপকে একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যেতে হয়। আর এতে ডেস্কটপের তুলনায় ক্ষতির সম্ভবনাও বেশি। উপাদানগুলো যেমন প্রদর্শনী কেন্দ্রবিন্দু, আংটা, পাওয়ার জ্যাক বা পাওয়ারের তারগুলো ধীরে ধীরে ব্যবহারের ফলে ক্ষয় বা নষ্ট হতে থাকে। তরল যে কোন জিনিসের পতনে কিবোর্ড, ছোটখাট কোন দূর্ঘটনা ল্যাপটপের অভ্যন্তরে ব্যপক ক্ষতি করতে পারে যা ঠিক করাও ব্যয় সাধ্য। একটি গবেষনায় দেখা গেছে, প্রথম বছর যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপের ভাঙ্গার হার বেশি।[৬৪]

তিন মাস পর পর ল্যাপটপ পরিষ্কার (খাদ্যকনা, ধূলো-বালি, চুল, কাপড়ের টুকরো ইত্যাদি) করার পরামর্শ দেয়া হয় যাতে ল্যাপটপ ভাল থাকে। বেশিরভাগ পরিষ্কারকগুলোতে নরম কাপড় বা মাইক্রোফাইবার কাপড় দেয়া হয় এলসিডি প্রদর্শনী, কিবোর্ড পরিষ্কার করার জন্য। সংকুচিত বাতাসে দিয়ে পাখা পরিষ্কারসহ অন্যান্য পরিষ্কারক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ল্যাপটপে যাতে কোন কঠিন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার না করা হয়। যেমন ব্লিচ।[৬৫]

অংশগুলোর প্রতিস্থাপন

আসল বাহ্যিক উপাদানগুলো দামি এবং সাধারনত মালিকানাধীন এবং পরিবর্তনযোগ্য নয়। অন্যান্য অংশগুলো কম দামি যেমন পাওয়ার জ্যাক কিন্তু এটি পরিবর্তন করতে গেলে ল্যাপটপটি খুলতে ও লাগাতে অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন হবে। অন্যান্য কম দামি কিন্তু সূক্ষ্ম জিনিসগুলো হয়ত বড় দামি উপাদানের থেকে আলাদা করে কিনতে পাওয়া যাবে না।[৬৬] একটি ল্যাপটপের মাদারবোর্ড ঠিক করতে বা এলসিডি প্যানেল ঠিক করতে গেলে তা ব্যবহৃত ল্যাপটপের দামের থেকেও বেশি হতে পারে।


তাপ নিসরন এবং শীতলীকরন

ছোট মাপের একটি পাখা এবং তাপ শোষকগুলো উপর ল্যাপটপের তাপ নিঃসরন নির্ভর করে। কিন্তু বাতাসের সাথে আসা ধুলো,বালি ইত্যাদির কারনে এগুলো ঢেকে বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ ল্যাপটপেরই কোন ধরনের ময়লা পরিষ্কারক ফিল্টার থাকে না। ফলে এগুলো বছরের পর বছর ব্যবহারের এক পর্যায়ে ল্যাপটপটি উত্তপ্ত ও শব্দ করতে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, চালু হতেই অতিমাত্রায় গরম হয়ে যাচ্ছে ল্যাপটপ। ময়লাগুলো সাধারনত তাপ শোষক এবং পাখা যেখানে মিলিত হয়েছে সেখানে জমে থাকে যেখানে সাধারনভাবে পরিষ্কার করা যায় না। বেশির ভাগ সময় কম্প্রেস এয়ার ব্যবহার করলে এগুলো জায়গা থেকে সরে যায় কিন্তু পুরোপুরি বের হয় না। যখন ল্যাপটপ চালানো হয়, সরে যাওয়া ময়লাগুলো আবার জমা হতে থাকে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্নভাবে ল্যাপটপ খুলে সেগুলো পরিষ্কারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু, প্রত্যাহিক তাপ শোষক পরিষ্কারের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে বাঁচা যায়। বেশিরভাগ ল্যাপটপই সাধারন ব্যবহারকারি দ্বারা খোলা কঠিন এবং এতে বৈদ্যুতিক শক পাবারও সম্ভবনা থাকে।

ব্যাটারির ধারনক্ষমতা

ব্যাটারির ধারনক্ষমতা ব্যবহারের ফলে কমতে থাকে একটু একটু করে। নতুন ব্যটারি সাধারনত পর্যাপ্ত শক্তি ধারন করে রাখে যাতে ল্যাপটপটি চার পাঁচ ঘন্টা চালানো যায় (ব্যবহার, ল্যাপটপের উপাদান, শক্তি ব্যবস্থাপনার উপর ভিত্তি করে)। কিন্তু যতই দিন যায় ব্যাটারির শক্তি ধারন ক্ষমতা তত কমে যেতে থাকে, কমতে কমতে তা কয়েক মিনিটে এসে যায়। ব্যাটারিগুলো সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায় এবং হয়ত আরো ভালো ধারনক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারিও ব্যবহার সম্ভব হতে পারে। কিছু ল্যাপটপের যেমন আল্ট্রাবুক ব্যাটারি খোলা যায় না এগুলো পরিবর্তন করতে হলে সেবা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়। প্রতিস্থাপিত ব্যাটারির দাম হয়ত বেশিও হতে পারে।


নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা

যেহেতু ল্যাপটপ দামি, প্রায় সবাই ব্যবহার করে এবং বহনযোগ্য তাই চোরদের প্রধান লক্ষ্য থাকে ল্যাপটপ। প্রতিদিন আমেরিকার এয়ারপোর্ট থেকে ১৬০০ বা তারও বেশি ল্যাপটপ চুরি হয় বা হারিয়ে যায়।[৬৭] এই ল্যাপটপের হারানো মানে অনেক ব্যক্তিগত সম্পদের (ক্রেডিট কার্ড, একাউন্ট তথ্য, ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ ইত্যাদি) ক্ষতি যার দাম হারানো ল্যাপটপের থেকেও বেশি। ফলে, ল্যাপটপটির এবং এর অভ্যন্তরে রাখা তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ন।

বেশিরভাগ ল্যাপটপেই ক্যানশিঙটন নিরাপত্তা স্লট থাকে যার মাধ্যমে একে ডেস্ক বা অন্যান্য স্থায়ী বস্তুর সাথে তালাবদ্ধ করে রাখা যায়। এর সাথে সাথে, বর্তমান আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমে বা তৃতীয় পক্ষীয় সফটওয়্যারে ডিস্ক এনক্রিপশন সুবিধা রয়েছে যা দ্বারা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা করা সম্ভব। ডিস্ক এনক্রিপশন মানে হল নিদির্ষ্ট পাসওয়ার্ড বা চাবি ছাড়া তথ্য পড়ার অযোগ্য করে রাখার পদ্ধতি। কিছু ল্যাপটপে এখন বাড়তি সুরক্ষা হিসেবে চোখ চেনার পদ্ধতি বা আঙ্গুলে ছাপ স্ক্যানার পদ্ধতি ব্যবহার করছেন ব্যবহারকারীরা।[৬৮] চুরি যাওয়া ল্যাপটপ সনাক্ত ও উদ্ধার করতে লোজ্যাক, ল্যাপটপ কপ এবং গেজেটট্র্যাক তাদের পদ্ধতি দিয়ে সহায়তা করেছে।

রবিনস v. Lower Merion স্কুল ডিস্ট্রিক্ট তাদের স্কুলে দেয়া ল্যাপটপগুলোতে বিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে দেন যা দিয়ে লুকিয়ে ওয়েবক্যামের মাধ্যমে তাদের ছাত্রের বাড়ির তথ্য ধারন করা যায়।[৬৯][৭০][৭১]


ল্যাপটপ চুরি ও পুনরুদ্ধার

ল্যাপটপ চুরি একটি ব্যাপক সমস্যা। মাত্র ৫% বা তার কম সংখ্যার মত ল্যাপটপ উদ্ধার করা গেছে প্রস্তুতকারকদের মাধ্যমে।[৭২] কিন্তু এই সংখ্যা আরো কমে আসতে পারে কারন বিভিন্ন কোম্পানির এবং সফটওয়্যার নির্মাতার উদ্ধার পদ্ধতির ভিন্নতার কারনে। উদাহরনসরূপ, লোজ্যাক ফর ল্যাপটপ একটি নিরাপত্তা প্রদান করে এমন সফটওয়্যার যাতে একটি তদন্ত এবং উদ্ধারকারী দল বানানো হয় যাতে থাকে অবসর প্রাপ্ত আইনি ব্যক্তিরা। যারা এই হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ খুজে বের করে। এই সফটওয়্যার এমন একটি প্রযুক্তিতে বানানো যা চোর দ্বারা নিষ্ক্রিয় করা যায় না। লোজ্যাক দ্বারা তখনই ল্যাপটপ উদ্ধার সম্ভব যখন এটি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকে। ল্যাপটপটির মালিক লোজ্যাকের মাধ্যমে তার তথ্য দূর থেকে মুছে ফেলতে বা যন্ত্রটিকে তালাবদ্ধ করে দিতে পারে যাতে কেউ তার ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে না পারে।

প্রধান ব্র্যান্ড ও প্রস্তুতকারকরা

সর্বোচ্চ বিক্রয় হওয়া ল্যাপটপের মধ্যে সনি ভায়ো একটি

টেমপ্লেট:প্রধান ল্যাপটপ ব্র্যান্ড

প্রধান ব্র্যান্ডগুলো সাধারনত ভাল সেবা ও সহায়তা দিয়ে থাকে যার মধ্যে সব ধরনের কাগজপত্রাদি এবং ড্রাইভার থাকে। ড্রাইভারগুলো ইন্টারনেটে ডাউনলোডের জন্যে দেয়া থাকে ফলে ল্যাপটপের বিশেষ মডেল উৎপাদিত না হলেও তার জন্য ড্রাইভারগুলো পাওয়া যায়। সেবা, সমর্থন, সহায়তা এবং ব্র্যান্ড ইমেজের কারনে প্রধান ল্যাপটপ প্রস্তুতকারকদের ল্যাপটপের দাম অন্যান্যগুলোর তুলনায় বেশি হয়।

কিছু ব্র্যান্ড বিশেষ শ্রেনীর ল্যাপটপের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে যেমন এলিয়েনওয়ার গেমিং ল্যাপটপে, এইচপি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এনভি ল্যাপটপে। এছাড়া নেটবুকের মধ্যে রয়েছে ইইই পিসি এবং ছোটদের ল্যাপটপ ওএলপিসি তো রয়েছেই।

অনেক ব্র্যান্ড এখন প্রস্তুত এবং নকশা করে না তাদের ল্যাপটপের। কিছু ছোট সংখ্যক "আসল নকশা প্রস্তুতকারকরা" (ওডিএম) নতুন নকশার ল্যাপটপ তৈরি করে এবং ব্র্যান্ডগুলো সেগুলোর থেকে পছন্দ মত বেছে নেয়। ২০০৬ সালে সারা বিশ্বে ৭ টি প্রধান ওডিএম প্রতি ১০টি ল্যাপটপের ৭টিই তারা তৈরী করেছে, সবচেয়ে বড় পরিমানে কোয়ান্টা কম্পিউটার যা পুরো বাজারের ৩০%।[৭৩] তাই প্রায়শই একই রকম দেখতে কম্পিউটার মডেল দেখা যায় ব্রান্ডের ল্যাপটপগুলোর পাশাপাশি ওডিএমের কম দামি সস্তাগুলোতে।

বিক্রয়

১৯৮৬ সালে, ব্যাটারির মাধ্যমে চলে এমন পোর্টবল বা বহনযোগ্য কম্পিউটারের সংখ্যা ছিল পুরো কম্পিউটার বাজারের ২ ভাগ মাত্র।[৭৪] কিন্তু ল্যাপটপ ক্রমাগতভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক উভয় ক্ষেত্রে।[৭৫] ২০০৭ সালে প্রায় ১০৯ মিলিয়ন নোটবুক পিসি সারা বিশ্বে ছাড়া হয়। ২০০৬ সালের তুলনায় যা ৩৩ ভাগ বেশি।[৭৬] ২০০৮ সালে ১৪৫.৯ মিলিয়ন নোটবুক বিক্রি হবে বলে ধারনা করা হয়। এবং ২০০৯ সালে তা বেড়ে ১৭৭.৭ মিলিয়ন হবে বলে ধারনা করা হয়।[৭৭] ২০০৮ সালের মোট বছরের চতুর্থাংশের মধ্যে তৃতীয় ভাগেই বিশ্বব্যাপি নোটবুক পিসি ডেস্কটপকে ছাড়িয়ে যায়। যার পরিমান ছিল ৩৮.৬ মিলিয়ন আর ডেস্কটপ ছিল ৩৮.৫ মিলিয়ন।[৭৫][৭৮][৭৯][৮০]

আমেরিকায় ২০০৫ সালে মে মাসে ডেস্কটপ কম্পিউটারের বিক্রয়কে ল্যাপটপের বিক্রয়ের পরিমান ছাড়িয়ে যায়। সেই সময় নোটবুকের বিক্রয় হয় গড়ে ১১৩১ ডলারে যখন ডেস্কটপের বিক্রয়ের গড় ছিল ৬৯৬ ডলার।[৮১]

অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে দেখলে, দেখা যায়, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ল্যাপটপের গড় বিক্রিত দাম ২০০৮/২০০৯ কমে যায়, কারন হিসেবে বলা যায় নেটবুকের কথা ফলে, ২০০৮ সালের আগস্টে ল্যাপটপ পাওয়া যেত ৬৮৯ ডলারে। ২০০৯ সালে গড় বিক্রয় দাম আরো কমে ৬০২ ডলারে নেমে আসে ফেব্রুয়ারিতে এটা হয় ৫৬০ ডলারে। যখন এই সাত মাসে, গড় দাম, উইন্ডোজ ভিত্তিক কম্পিউটারের কমে আসে মোট ১২৯ ডলার সেখানে এ্যপলের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের কমে মাত্র ১২ ডলার (১৫২৪ থেকে ১৫১২)।[৮২]

চরম পরিবেশ

রাগিড বা কর্কশ বা শক্ত ল্যাপটপ ধাচের গ্রিড কম্পাস কম্পিউটার স্পেস শাটল প্রোগ্রামের প্রথম থেকেই ব্যবহৃত হত। ১৯৯১ সালে প্রথম ব্যানিজ্যিক ল্যাপটপ যা মহাকাশে ব্যবহৃত হয় তা হল মেকিনটোশ বহনযোগ্য। যে মিশনে ব্যবহৃত হয় তা হল মহাকাশ শাটল মিশন এসটিএস-৪৩।[৮৩][৮৪][৮৫] ম্যাক এবং অন্যান্য ল্যাপটপ কম্পিউটার মহাকাশে পাঠানো শুরু হল মহাকাশ উড্ডয়নের সময় যদিও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একমাত্র দীর্ঘ সময়ের উড্ডয়নে যথার্থ কম্পউটার হল থিঙ্কপ্যাড।[৮৬] ২০১১ সাল নাগাদ প্রায় ১০০টিরও বেশি থিঙ্কপ্যাড আর্ন্তজাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছে। মহাকাশে যে ল্যাপটপগুলো পাঠানো হয়েছে তা সাধারনভাবে কেনা ল্যাপটপের মতই কিন্তু মহাকাশে দীর্ঘক্ষন চলার জন্য এবং তাপজনিত সমস্যা উত্তরনের জন্য এগুলোতে কিছু পরিবর্তন করা হয়। যেমন শীতলীকরন ব্যবস্থার কার্যপ্রনালী যা শুধু উত্তাপের অবস্থা বুঝেই কাজ করবে না এবং নিম্ন কেবিন এয়ার প্রেসার বসানোর জন্য জায়গা করা।[৮৭]

রাগিড বা কর্কশ বা শক্ত, এধরনের ল্যাপটপের নকশা করা হয়েছে বিরূপ পরিবেশে পরিচালনার উপযোগি করে যেমন তীব্র দুলুনি, অতিমাত্রার তাপে, ভেজা ও ধূলা বালি যুক্ত স্থানে ব্যবহারের জন্য কিন্তু মহাকাশের ল্যাপটপ এগুলোর থেকেও ভিন্ন। মহাকাশে ব্যবহার করার সময় তাতে প্রয়োজনীয় নকশার পরিবর্তন করা হয় এবং বানিজ্যিকভাবে যে হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেগুলো ব্যবহার করা হয় না। কাজের ধরন অনুযায়ী এই পরিবর্তনগুলো করা হয়।

ল্যাপটপের সহায়ক

ল্যাপটপের সাধারন সহায়ক বস্তুগুলোর মধ্যে ল্যাপটপ আস্তিন, ল্যাপটপ খোপ বা বাক্স দেখা যায়। যেগুলো ল্যাপটপকে পড়ে যাওয়া বা ধাক্কা থেকে রক্ষা করে। আস্তিনগুলো চিকন এবং নমনীয় হয়, এবং এগুলো তৈরি করা হয় নেপ্রন থেকে। বাক্সগুলো মোটা ও ভারি হয় কিছু কিছু ধাতব দিয়ে বানানো পাওয়া যায়, কয়েকটির আবার তালা দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে।

আরেকটি সহায়ক বস্তু হল ল্যাপটপ শীতলীকরন। এটি ল্যাপটপের অভ্যন্তরীন তাপমাত্রা কমাতে চেষ্টা করে। একটি পদ্ধতিতে শীতলীকরন যন্ত্রটি ল্যাপটপের সাথে সংযুক্ত করা হয় এবং শীতলীকরন যন্ত্রটি পাখার সাহায্যে তাপ দূর করে। আর একটি পদ্ধতি হল ল্যাপটপকে একধরনের প্যাডের উপর বসিয়ে রাখা যাতে করে এটি বেশি বাতাস গ্রহন করতে পারে।[৮৮]

আগের বৈশিষ্ট্যগুলো

যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য আগে ছিল এখন নেই-

  • একটি ছিদ্রে রিসেট বোতাম
  • একটি ছিদ্রে তাৎক্ষনিক বন্ধ বোতাম
  • ল্যাপটের মধ্যে সমন্বিত চার্জার বা পাওয়ার এডাপ্টার
  • ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ
  • সিরিয়াল পোর্ট
  • প্যারালাল পোর্ট
  • মডেম
  • অংশীদারিভিত্তিক পিএস/২ ইনপুট ডিভাইস পোর্ট
  • আইআরডিএ
  • এস-ভিডিও পোর্ট[৮৯]


আরো দেখুন

References

  1. What is a laptop computer
  2. Strickland, Jonathan। "What's the difference between notebooks, netbooks and ultra-mobile PCs?"HowStuffWorks.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  3. "U.S. Commercial Channel Computing Device Sales Set to End 2013 with Double-Digit Growth, According to NPD"NPD Group। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  4. Naik, Abhijit। "Notebook Vs. Laptop"Buzzle.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  5. "Alienware 18 Gaming Laptop"Dell.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  6. John W. Maxwell (২০০৬)। "Tracing the Dynabook: A Study of Technocultural Transformations" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০০৮ 
  7. Alan C. Kay (১৯৭২)। "A Personal Computer for Children of All Ages" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০০৮ 
  8. "IBM Personal Computer"। IBM Inc। 
  9. "IBM 5100 computer"। oldcomputers.net। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০০৯ 
  10. "Epson SX-20 Promotional Brochure" (PDF)। Epson America, Inc.। ১৯৮৭। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০০৮ 
  11. "Tandy/Radio Shack model 100 portable computer"। oldcomputers.net। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০০৯ 
  12. "Hewlett-Packard model 85"। oldcomputers.net। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০০৯ 
  13. "Gavilian SC computer"। oldcomputers.net। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০০৯ 
  14. "Linus Write-Top"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০০৮ 
  15. "Types of Laptops: How Do You Compute"PC Magazine। Ziff Davis Publishing Holdings Inc.। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০০৮ 
  16. "Breaking the Mold: New Lenovo ThinkPad laptop and Tablet PCs Defy Ultraportable Computing"। Lenovo। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০০৮ 
  17. The Net Impact of Netbooks? It Depends on Who Uses Them for What
  18. Bergevin, Paul (৩ মার্চ ২০০৮)। "Thoughts on Netbooks"। Intel.com। 
  19. Netbook Trends and Solid-State Technology Forecast (PDF)। pricegrabber.com। পৃষ্ঠা 7। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০০৯ 
  20. [১]
  21. "It's a tablet! It's a laptop! It's a laplet! It's a tabtop!"। Tech Radar। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৪ 
  22. "Here Come the Hybrid 'Laplets.' Should You Care?"। Wired। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪ 
  23. "Laptop Buying Guide"। CBS Interactive Inc.। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০০৮ 
  24. "Desktop notebooks stake their claim"। CBS Interactive Inc.। ৮ জানুয়ারি ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০০৮ 
  25. "Rugged Laptop: Choices, Pointers & Specs of Buying Rugged Laptops"। Linux-on-laptops.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০০৮ 
  26. "Microsoft Surface Pro 3 Teardown"iFixit.com। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৪ 
  27. "Common Building Blocks Platform" (পিডিএফ)। Intel। সংগ্রহের তারিখ September 2005  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  28. Catherine Roseberry। "What Makes Laptops Work – The Laptop Motherboard"। About.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০০৮ 
  29. "Configuration 3-Displays FAQ"Intel.com। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  30. "Types of Attacks for Volume Encryption Keys"Microsoft.com। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৪ 
  31. Edwards, Benj (১৭ জানুয়ারি ২০১২)। "Evolution of the Solid-State Drive"PCWorld.com। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৪ 
  32. । কম বিদ্যুত খরচ করেও এটি অকৃতকার্য হয় কম। ২০১০ সালে এপ্রিল এবং অক্টোবরের মধ্যে বিহার্ডওয়্যার জানায় যে খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে এসএসডি কম ফেরত আসছে এইচডিডি'র তুলনায়Prieur, Marc (৬ মে ২০১১)। "Components returns rates"। BeHardware। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  33. । ২০১১ সালে ৪৫০০০ ব্যবহৃত হওয়া এসএসডি'র উপর চালানো একটি জরিপে ইন্টেল জানায় এসএসডি অকৃতকার্যতার হার ০.৬১% যেখানে এইচডিডির হার ৪.৮৫%।"Validating the Reliability of Intel® Solid-State Drives"। Intel। জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  34. Prieur, Marc (১৬ নভেম্বর ২০১২)। "Components returns rates (7)"। BeHardware। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৩ 
  35. "MacBook Pro 15" Retina Display Late 2013 Teardown"IFixit.com। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৪ 
  36. Gabriel Torres (২৫ নভেম্বর ২০০৪)। "Innovations in Notebook Expansion"। Hardware Secrets, LLC। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০০৮ 
  37. "HP EliteBook 6930p Notebook PC specifications – HP Products and Services Products"। H10010.www1.hp.com। ২৫ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৩ 
  38. Woods, Dough। "Getting rid of the ICT suite"Blog 
  39. Wilce, Hilary (১ ডিসেম্বর ২০০০)। "Welcome to Lapland"TES Magazine 
  40. Clarke, Gavin। "The SOLAR-POWERED Ubuntu laptop"। THE REGISTER। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৩ 
  41. "OLPC XO laptop powered by a solar panel"। YouTube। ৯ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২ 
  42. Elizabeth Woyke (১৮ এপ্রিল ২০১২)। "A Look at OLPC's XO 3.0 Tablet's Solar And Kinetic Chargers"। Forbes। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২ 
  43. "One Laptop per Child (OLPC): Frequently Asked Questions"। Laptop.org। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২ 
  44. "Samsung's Solar Powered Laptop Will Be First Sun Powered Laptop Sold in US | Inhabitat – Sustainable Design Innovation, Eco Architecture, Green Building"। Inhabitat। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২ 
  45. "Should I buy a laptop or desktop?"। IT Division – University of Wisconsin। ১৯ মার্চ ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০০৮ 
  46. "ECU Advantage: Why have a laptop?"। ECU। ১৮ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০০৮ 
  47. "Student Laptop Buying Guide"। Pulsar Online। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৩ 
  48. Josh Fischman (৭ আগস্ট ২০০৮)। "Faster Wi-Fi Predicted for Colleges"। The Chronicle of Higher Education। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০০৮ 
  49. A sample line of UPS devices and on-battery power: "Back-UPS RS"। APC। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০০৮ 
  50. In a comparison between laptop and desktop of equal cost, the desktop's System Benchmark Score was twice that of the laptop. "What to Buy, a Notebook or Desktop PC?"। Tom's Hardware। ১১ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০০৮ 
  51. For example, a review of the MSI Wind Netbook says that "The device is rarely sluggish in general use. It renders Web pages quickly, launches most applications without becoming too bogged down and generally doesn't feel like it's a budget laptop." Reid, Rory (৭ জুলাই ২০০৮)। "MSI Wind Review"। CNET Australia। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০০৮ 
  52. Rock delivers BD / Core i7-equipped Xtreme 790 and Xtreme 840 gaming laptops – Engadget
  53. Martin, James A. (৯ জুন ২০০০)। "The Pain of Portable Computing"। PC World। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০০৮ 
  54. Sheynkin, Y.; Jung M; Yoo P;Schulsinger D; Komaroff E (৯ ডিসেম্বর ২০০৪)। "Increase in scrotal temperature in laptop computer users"। Human Reproduction। Epub। 20 (2): 452–5। ডিওআই:10.1093/humrep/deh616পিএমআইডি 15591087 
  55. Sheynkin, Yefim; Yefim Sheynkin, Robert Welliver, Andrew Winer, Farshid Hajimirzaee, Hongshik Ahn, Kyewon Lee (৮ নভেম্বর ২০১০)। "Protection from scrotal hyperthermia in laptop computer users"Fertility and Sterility95 (2): 647–651। ডিওআই:10.1016/j.fertnstert.2010.10.013পিএমআইডি 21055743 
  56. Yin, Sara (৮ নভেম্বর ২০১০)। "Study: Laptop Pads Don't Prevent Male Infertility"PC Magazine। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১০ 
  57. "Men, your laptop may be roasting your testicles"The Independent। ৮ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১০ 
  58. Caulfield, Philip (৭ নভেম্বর ২০১০)। "Study finds men who place laptop computer on lap put testicles at risk of overheating, infertility"Daily News। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১০ 
  59. Joelving, Frederik (৮ নভেম্বর ২০১০)। "."। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১০ 
  60. Levinbook, WS.; Mallet J; Grant-Kels JM (অক্টোবর ২০০৭)। "Laptop computer—associated erythema ab igne"। Cutis। Quadrant HealthCom। 80 (4): 319–20। পিএমআইডি 18038695 
  61. Diaz, Jesus (৭ অক্টোবর ২০১০)। "What Is Toasted Skin Syndrome?"। Gizmodo। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১০ 
  62. Hendrick, Bill (৪ অক্টোবর ২০১০)। "Laptop Risk: 'Toasted Skin Syndrome'"। WebMD। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১০ 
  63. Tanner, Lindsey (১০ এপ্রিল ২০১০)। "Laptops lead to 'toasted skin syndrome'"। Associated Press। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১০ 
  64. "Gartner: Notebook PCs still prone to hardware failure"। IDG News Service / ITWorld। ২৭ জুন ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০০৮ 
  65. Geier, Eric। "Zen and the Art of Laptop Maintenance"PC World। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৪ 
  66. For example, the video display cable and the backlight power cable that pass through the lid hinges to connect the motherboard to the screen will eventually break from repeated opening and closing of the lid. These tiny cables usually cannot be purchased from the original manufacturer separate from the entire LCD panel, with the price of hundreds of dollars, although for popular models an aftermarket in pulled parts generally exists.
  67. [২], Ponemon Institute, Airport Insecurity: The Case of Lost Laptops, June 2008
  68. "Biometric Devices" 
  69. Holmes, Kristin E. (৩১ আগস্ট ২০১০)। "Lower Merion School District ordered to pay plaintiff's lawyer $260,000"। Philadelphia Inquirer। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  70. "Main Line Media News"। Main Line Media News। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  71. "A lawyer in the Lower Merion webcam case wants to be paid now", Philly.com
  72. [৩], Ponemon Institute, The Billion Dollar Lost Laptop Problem, September 2010
  73. "Identical Laptops, Different Prices: Don't Be Fooled by Branding"। Info-Tech Research Group। ১০ অক্টোবর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১১(নিবন্ধন করা প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  74. "Lap-top computers gain stature as power grows"Daily News of Los Angeles (CA)। 12 April 1987। সংগ্রহের তারিখ 2001-01-01/2008  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  75. "The Falling Costs of Mobile Computing"Falling Costs of Mobile Computing Drive Corporate Adoption। Computer Economics, Inc.। December 2005। সংগ্রহের তারিখ 2001-01-01/2008  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  76. Worldwide notebook shipments grow 33% on year in 2007, says IDC, 31 January 2008, Yen Ting Chen, DigiTimes, retrieved at 12 September 2011
  77. Analysis: Did Intel underestimate netbook success?, Accessed at 10 January 2009
  78. Notebook PC Shipments Exceed Desktops for First Time in Q3, isuppli.com, accessed at 13 January 2009
  79. Randall Stross (১৮ এপ্রিল ২০০৮)। "The PC Doesn't Have to Be an Anchor"New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০০৯ 
  80. "Intel: laptop/desktop crossover coming sooner than expected"The Register, UK। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০০৮ 
  81. Michael Singer. "PC milestone—notebooks outsell desktops". 2005.
  82. Netbooks Are Destroying the Laptop Market and Microsoft Needs to Act Now
  83. "Macintosh Portable: Used in Space Shuttle"। Support.apple.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২ 
  84. Linzmayer, Owen W. (২০০৪)। Apple confidential 2.0 : the definitive history of the world's most colorful company ([Rev. 2. ed.]. সংস্করণ)। San Francisco, Calif.: No Starch Press। আইএসবিএন 1-59327-010-0 
  85. "This Week in Apple History – August 22–31: "Welcome, IBM. Seriously", Too Late to License"। The Mac Observer। ৩১ অক্টোবর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২ 
  86. IBM Archives: IBM ThinkPads in space
  87. 2001: A Space Laptop | SpaceRef – Your Space Reference
  88. Assourian, Elya। "Laptop Blog Author"http://www.laptopforcollegestudents.com/। Elya Assourian। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১১  |work= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  89. Unconfirmed if this exists in most recent models of laptops.

External links