বব টেলর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বব টেলর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরবার্ট উইলিয়াম টেলর
জন্ম (1941-07-17) ১৭ জুলাই ১৯৪১ (বয়স ৮২)
স্টোক-অন-ট্রেন্ট, স্টাফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড
ডাকনামচ্যাট
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনমাঝে-মধ্যে ডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪৪৯)
২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৪ মার্চ ১৯৮৪ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২৫)
৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ বনাম নিউজিল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬১–১৯৮৪ডার্বিশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫৭ ২৭ ৬৩৯ ৩৩৩
রানের সংখ্যা ১,১৫৬ ১৩০ ১২,০৬৫ ২,২২৭
ব্যাটিং গড় ১৬.২৮ ১৩.০০ ১৬.৯২ ১৪.৮৪
১০০/৫০ ০/৩ ০/০ ১/২৩ ০/১
সর্বোচ্চ রান ৯৭ ২৬* ১০০ ৫৩*
বল করেছে ১২ ১১৭
উইকেট
বোলিং গড় ৭৫.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৬৭/৭ ২৬/৬ ১৪৭৩/১৭৬ ৩৪৫/৭৫
উৎস: ক্রিকইনফো, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রবার্ট উইলিয়াম টেলর (ইংরেজি: Bob Taylor; জন্ম: ১৭ জুলাই, ১৯৪১) স্টাফোর্ডশায়ারের স্টোক-অন-ট্রেন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭১ থেকে ১৯৮৪ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে দলের প্রয়োজনে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ‘চ্যাট’ ডাকনামে পরিচিত বব টেলর

১৯৬১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন চলমান ছিল বব টেলরের। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে বব টেলরের। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৫৭ টেস্ট ও ৬৩৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ১,৪৭৩টি ক্যাচ গ্লাভস বন্দী করেছিলেন। ২,০৬৯টি ডিসমিসাল ঘটিয়ে ক্রিকেটের ইতিহাসের যে-কোন উইকেট-রক্ষকের চেয়ে সেরা অবস্থানে রয়েছেন।[১] তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা মার্জিত উইকেট-রক্ষক হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।[২]

১৯৫৮ সালে স্টাফোর্ডশায়ারের পক্ষে প্রথম খেলতে নামেন। এরপর ১৯৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে মাইনর কাউন্টিজের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে বব টেলরের। জর্জ ডকসের আঘাতের কারণে খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটলে তিনি ডার্বিশায়ারের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক হয়ে উঠেন। ১৯৮৮ সালে স্কারবোরা উৎসবে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন বব টেলর। ১৯৬৪ সালে স্বল্প সময়ের জন্য লরি জনসন ব্যাটসম্যান-উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অগ্রসর হলে ও অবসরের পূর্ব-পর্যন্ত দলের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা লাভ করেন।

সফলতম অ্যাশেজ সফরের শেষ পর্যায়ে ১৯৭১ সালে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় বব টেলরের। শীর্ষস্তরের উইকেট-রক্ষক হওয়া স্বত্ত্বেও উদীয়মান অ্যালান নটের উইকেট-রক্ষণশৈলী ও ব্যাটিংয়ের কারণে দলে আসা-যাওয়ার পালায় ছিলেন তিনি। তবে, ১৯৭৭ সালে বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অ্যালান নট যোগ দিলে টেলর আরও অনেকগুলো টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ঐ বছরই উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন বব টেলর।

১৯৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের সেরা উইকেট-রক্ষক ছিলেন তিনি। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে তিনবার টেস্ট শতক থেকে বঞ্চিত হন। ১৯৮৪ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ১৯৮৬ সালে আপদকালীন সময়ের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি।[৩]

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

স্টাফোর্ডশায়ারের স্টোক-অন-ট্রেন্ট এলাকায় বব টেলরের জন্ম। শৈশবকালেই ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। ১২ বছর বয়সে বিদ্যালয়ের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের পক্ষে খেলার পূর্বে স্টোক সিটি ফুটবল ক্লাবের নিজ মাঠের কার পার্কে উইকেট রাখতেন। শিক্ষানবীশ হিসেবে পোর্ট ভ্যাল এফ.সি.র পুস্তক রাখলেও তিনি কখনো পেশাদারী পর্যায়ে ফুটবল খেলেননি।[৪]

পনেরো বছর বয়সে নর্থ স্টাফস বিগনল এন্ড ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে ও স্টাফোর্ডশায়ারের পক্ষে সাউথ চেশায়ার লীগে খেলেন। অভিষেক খেলায় বেশ তরুণ থাকায় দর্শকদের কাছে বিভ্রান্তির কবলে পড়েন।[৫] ১৯৫৮ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত স্টাফোর্ডশায়ারের পক্ষে খেলা চালিয়ে যান। এ সময়েই ডার্বিশায়ারে চলে যান ও ডার্বিশায়ারের দ্বিতীয় একাদশে যোগ দেন।[৬]

কাউন্টি ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৬৩৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন বব টেলর। ১,৪৭৩টি কট ও ১৭৬টি স্ট্যাম্পড নিয়ে সর্বমোট ১,৬৪৯টি ডিসমিসাল ঘটিয়ে অদ্যাবধি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার এ অর্জন অনন্য রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।[২] ব্যাট হাতে তিনি মাত্র ১৬.৯২ গড়ে রান তুলেছিলেন। দুইজন খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে ১০,০০০ রান সংগ্রহ করলেও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কোন সেঞ্চুরির সন্ধান পাননি তিনি। অবশ্য এরপর ১৯৮১ সালে শেফিল্ডে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ঠিক ১০০ রান করেছিলেন যা তার একমাত্র প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি ছিল।[৭] এছাড়াও, বোলার হিসেবে একটি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেছিলেন।

১ জুন, ১৯৬০ তারিখে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অভিষেক ঘটে বব টেলরের। মাইনর কাউন্টিজ একাদশের সদস্যরূপে তিনি উইকেট-রক্ষক হিসেবে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১১ ও শূন্য রান করেন। তবে, স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে কোন ক্যাচ গ্লাভস বন্দী করতে পারেননি।[৮] ক্লিফ গ্ল্যাডউইনের বদান্যতায় কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে খেলার সুযোগ পান। পরের বছর ৭ জুন তারিখে ডার্বির কাউন্টি গ্রাউন্ডে ডার্বিশায়ারের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। আবারও তিনি শূন্য রান ও আট রান তুলেন। পাশাপাশি ড্র হওয়া খেলায় সাসেক্সের বিপক্ষে দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। সাসেক্সের কেন সাটল তার প্রথম শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।[২] তবে, বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় লক্ষ্য করেছিলেন যে তাকে আরও শিখতে হবে; বেশ কয়েকজন বোলার স্ট্যাম্পের পিছনে দণ্ডায়মান থাকা ও ব্যাটের প্রান্ত স্পর্শ করে বল তালুবন্দী না করতে পারার বিষয়টি তুলে ধরেন।[৯] তাস্বত্ত্বেও, ১৯৬১ সালের অভিষেক মৌসুমে ১৭ খেলায় অংশ নিয়ে ১১.৩৮ গড়ে রান তুলেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ৪৮; ৪৭ ক্যাচ ও ৬ স্ট্যাম্পড করেন।[১০]

পরের বছর ১৯৬০ সালে ২৯ খেলায় অংশ নেন। তার ব্যাটিং তেমন আকর্ষণীয় ছিল না। ১০.৭১ গড়ে ৩০০ রান করেন। সর্বোচ্চ ৪৪ রান সংগ্রহ করেন। তবে, স্ট্যাম্পের পিছনে বেশ নির্ভরযোগ্যতার পরিচয় দেন ও সকলের নজর কাড়েন। ৭৭ ক্যাচ ও তিনটি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন তিনি।[১০] টেলরের সংগৃহীত ৭৭ ক্যাচ নেয়ার বিষয়টি ডার্বিশায়ারে নতুন রেকর্ডের জন্ম দেয়।[৯]

১৯৬৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো অর্ধ-শতক স্পর্শ করেন। তাস্বত্ত্বেও তার ব্যাটিং গড় ১০-এর নিচে ছিল। ৩২টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন যা তার খেলোয়াড়ী জীবনের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ছিল। এছাড়াও, সর্বমোট ৮১ ক্যাচ নেন যা মৌসুমে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল।[১০] তন্মধ্যে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে খেলায় দশ উইকেটের সবগুলোই তার গ্লাভসে ধরা পড়ে।[৯]

১৯৬৪ সালে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বব টেলরের গোড়ালীতে আঘাতের কারণে ব্যাঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে, এ আঘাতটি ফুটবল খেলায় হয়েছিল। চলন্ত সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে এ আঘাত পেয়েছিলেন বলে তিনি জানান। উইজডেনের মতে, এ ঘটনায় তিনি শারীরিক সুস্থতায় দিকে মনোনিবেশ ঘটান।[৯] তবে, এ মৌসুমেই নিজস্ব দ্বিতীয় অর্ধ-শতক ও ৫৮ ক্যাচ নিয়েছিলেন।[১০] তাস্বত্ত্বেও, আরও দক্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত লরি জনসনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। তবে, উইজডেনের সাথে বেশ কয়েকজন লেখক তার পুণঃঅন্তর্ভুক্তির বিষয়টি লেখনি আকারে তুলে ধরেন।[৯] বব টেলরের উইকেট-রক্ষণের সক্ষমতায় দলে তার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়। ১৯৬৬ সালে খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা ৭১৯ রান করলেও ব্যাটিংয়ের দূর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। এবার তিনি কোন অর্ধ-শতকের সন্ধান পাননি।[১০]

১৯৬৭ সালে আবারও আঘাতের কবলে পড়েন। বল তার চোখে আঘাত হানলে তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন।[৫] এবার তিনি ২৩ খেলায় অংশ নিয়ে ৬৩ ক্যাচ নিয়েছিলেন এবং ১৮.৪১ গড়ে মাত্র ৪৪২ রান তুলেন।[১০]

পরবর্তী দুই মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় বব টেলরের কিছুটা উত্তরণ পরিলক্ষিত হয়। ১৯৬৮ সালে একটি অর্ধ-শতক ও ১৯৬৯ সালে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬৫ রান তুলেন।[১০] ১৯৬৯ সালে লিস্ট এ ক্রিকেটে বড় ধরনের ব্যক্তিগত পরিবর্তন আনেন তিনি। ঐ বছরে ১৯ খেলায় অংশ নিলেও পূর্ববর্তী ছয় মৌসুমে মাত্র সাতটি করে খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে মাত্র ১৮০ রান তুলতে সক্ষম হন যা তার বাকী খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বোচ্চ ছিল।[১১]

সিলন গমন[সম্পাদনা]

১৯৬৯ সালের শীতকালে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিলেন বব টেলর। ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ তারিখে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত খেলায় সিলনের বিপক্ষে ৭ ও অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, স্ট্যাম্পের পিছনে থেকে অনূঢ়া তেনেকুনকে স্ট্যাম্পড করেছিলেন। খেলায় এমসিসি দল জয়লাভ করেছিল।[১২]

১৯৭০ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে বেশ ভালো করেন তিনি। লিস্ট এ ক্রিকেটে স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে ২১ ও চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় ৫১ ক্যাচ নেন। এছাড়াও, ১১ স্ট্যাম্পিং করে নিজস্ব সেরা অর্জন লাভ করেন।[১০][১১] শীতকালে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য এমসিসি দলের সাথে যান। চার খেলায় ১৬জন তার শিকারে পরিণত হলেও ব্যাটিংয়ে তথৈবাচৈ অবস্থা বিরাজমান ছিল। ১৮.৮০ গড়ে মাত্র ৯৪ রান তুলতে সক্ষম হন বব টেলর।[১০]

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

এমসিসি দলের সাথে অভিজ্ঞতা লাভের ফলে ও স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে কাউন্টি ক্রিকেটে সফলতার প্রেক্ষিতে ইংল্যান্ড দলনায়ক রে ইলিংওয়ার্থের সুনজরে পড়েন তিনি। নটের অভিষেক ঘটলেও ইলিংওয়ার্থ টেলরকে তার ধৈর্য্যের ফলাফলের গুণে টেস্ট ক্যাপ দেন।[৭]

২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বব টেলরের টেস্ট অভিষেক ঘটে। খেলায় ইংল্যান্ড দল আট উইকেটে জয় পায়। দুই ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করলেও মাত্র চার রান করে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকারে পরিণত হন তিনি।[১৩] তবে তার অভিষেকের বিষয়ে উইজডেনের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়নি।[১৪] এরপর ঐ সফরে আর কোন খেলায় অংশগ্রহণ করেননি তিনি। এছাড়াও পরবর্তী ছয় বছরের অধিক সময় আর কোন টেস্ট খেলতে দেখা যায়নি তাকে।[১৫]

কাউন্টি ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ডে ফিরে ১৯৭১ মৌসুমে ব্যাট হাতে ২৪.৭৬ গড়ে ৬১৯ রান তিন অর্ধ-শতক ও ব্যক্তিগত সেরা অপরাজিত ৭৪ রান সহযোগে করেন। এছাড়াও সবগুলো খেলায় অংশ নিয়ে স্ট্যাম্পের পিছনে ৬৮টি ডিসমিসাল ঘটান।[১০][১১]

১৯৭১-৭২ মৌসুমের শীতকালে রোহন কানহাইয়ের নেতৃত্বাধীন বিশ্ব টেস্ট একাদশের সদস্যরূপে খেলার জন্য মনোনীত হন ও সাতটি চারদিনের খেলায় অংশ নেন। ২১ ক্যাচ ও তিনটি স্ট্যাম্পড করলেও মাত্র ১৬.০০ গড়ে ১২৮ রান তুলেছিলেন। ৪ ডিসেম্বর তারিখে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র অর্ধ-শতক করেন।[১৬][১৭]

১৯৭২ সালের গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে ফিরে আরও একটি অর্ধ-শতক করেন ও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে পঞ্চাশজন ব্যাটসম্যানকে আউট করেন।[১০] এছাড়াও, একদিনের খেলায় আরও ২৩জনকে আউট করেছিলেন।[১১] ১৯৭৩ সালে ৭৭জন ব্যাটসম্যান তার হাতে ধরা পড়েন।[১০][১১] ফলশ্রুতিতে শীতকালে এমসিসি দলের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবার জন্য মনোনীত হন। নটের কারণে টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তার। তবে, ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে জ্যামাইকার বিপক্ষে ৬৫ রান করেছিলেন; তার সাথে তুলনান্তে নট করেছিলেন মাত্র পাঁচরান। একইসাথে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ৬,৫০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন তিনি।[১৮]

নিউজিল্যান্ড গমন[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ডের শীতকালীন সফরগুলোয় নিয়মিত উইকেট-রক্ষক নটের সহযোদ্ধারূপে বব টেলরকে রাখা হয়। ১৯৭৪ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় আরও একটি অর্ধ-শতক ও গ্লাভস হাতে ৮৬জনকে আউটে সহায়তা করলে[১০][১১] ইংল্যান্ড দলের সাথে নিউজিল্যান্ড গমনের সুযোগ পান। এরপর আরও ১১১ উইকেটে সহায়তা করলে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় গ্রেগ চ্যাপেলের অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন।[১০][১১] ২ এপ্রিল তারিখে জোহেন্সবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকান আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে খেলতে নামেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ৯৭ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। এরপর হাওয়ার্ড বার্গিন্সের বলে আউট হন।[১৯] ১৯৭৬ ও ১৯৭৭ সালে ১৬৪ ডিসমিসাল ঘটান ও একটি অর্ধ-শতক সহযোগে ৯১০ রান তুলেন।[১০][১১]

অনিন্দ্য সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৭ সালে উইজডেন কর্তৃক মাইক ব্রিয়ারলি, গর্ডন গ্রীনিজ, মাইকেল হোল্ডিংভিভ রিচার্ডসের সাথে তাকেও অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা প্রদান করা হয়।[৯]

টেস্টে প্রত্যাবর্তন[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ডের পক্ষে অভিষেক ঘটা অ্যালান নট ১৯৭৭ সালে টনি গ্রেগের পরামর্শক্রমে বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে যোগ দেন। ফলে তারা টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করা থেকে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন।[২০] ফলে টেলরকে গ্লাভস নেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ তারিখে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার মাধ্যমে টেস্টে ফিরে আসেন। এরপূর্বে তিনটি প্রথম-শ্রেণীর প্রস্তুতিমূলক খেলার আয়োজন করা হলেও টেলর ব্যাট হাতে তেমন আশাপ্রদ ভূমিকা রাখতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে, দ্বিতীয় খেলায় পল ডাউনটনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। এরপর প্রথম টেস্টের জন্য বব টেলরকে বিবেচনায় আনা হয়নি।[২১] দলীয় সঙ্গী ও উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার মাইক ব্রিয়ারলির অধিনায়কত্বে ঐ টেস্টে দুই ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করেন। এছাড়াও, ৯৮ রান করা জিওফ মিলারকে সঙ্গ দিতে ১৫৮ বলে ৩২ রান তুলেছিলেন তিনি।[২২] সিরিজের পরবর্তী দুই টেস্টে উইকেট-রক্ষণে দৃঢ়তা দেখালেও প্রথম বলেই শূন্য রান ও দ্বিতীয় টেস্টে শূন্য রান তুলেছিলেন।[২৩] তবে, তৃতীয় খেলায় খুব ধীরলয়ে তৎকালীন ব্যক্তিগত সেরা ৩৬ রান করেন ২০০ বলে ও অপরাজিত ১৮ রান তুলেন।[২৪] এছাড়াও, নির্ধারিত ২য় ও ৩য় একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন তিনি।[২৫]

নিউজিল্যান্ড সফরেও গ্লাভস পরিধানের অধিকারী হন। দুইটি প্রস্তুতিমূলক খেলাসহ তিনটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেন তিনি। প্রথম খেলায় চারটি ক্যাচ নেন তিনি। সবগুলোই ক্রিস ওল্ডের বোলিং থেকে পেয়েছিলেন। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ৪৫ রান তুলেন।[২৬] পুরো সফরে ২১.৪৫ গড়ে ২৩৬ রানসহ ২০ ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন।[২৭]

পাকিস্তানের মুখোমুখি[সম্পাদনা]

সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণের পূর্বে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের তিনটি খেলায় অংশ নেন।[২৬] তিন টেস্টের সবগুলোতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। আটটি ক্যাচ নিলেও ৬.০০ গড়ে মাত্র ১২ রান তুলতে পেরেছিলেন।[২৮]

ওডিআই সিরিজে পাঁচটি ক্যাচ ও তিনটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজ নামকে জড়ান। একবার ব্যাট হাতে নামলেও কোন রানই করতে সক্ষম হননি।[২৯]

এরপর আরও দুইটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশ নেন। ২৭ জুলাই সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশ নেন। ১২ ক্যাচ ও এক স্ট্যাম্পিং করলেও ব্যাট হাতে সুবিধে করতে পারেননি। ১০.৩৩ গড়ে ৩১ রান তুলেছিলেন।[৩০] তাস্বত্ত্বেও দলে তাকে রাখা হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়া গমন[সম্পাদনা]

১৯৭৮-৭৯ মৌসুমের শীতকালে অ্যাশেজ সিরিজে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৩ নভেম্বর, ১৯৭৮ তারিখে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অবতীর্ণ হন। ব্যাট হাতে দূর্বল হলেও স্ট্যাম্পের পিছনে ঠিকই সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। আটটি ডিসমিসাল ঘটালেও সফরকারীরা খেলায় পরাজিত হয়েছিল।[৩১] ১৭ নভেম্বর নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে নয় রান তুলেন। চারজনকে ডিসমিসাল ঘটান তিনি। এ সময় ইংল্যান্ড ও ডার্বিশায়ারের বিখ্যাত বোলার জিওফ মিলারের বলে দুইজনকে আউট করেছিলেন ও সুন্দর জুটি গড়েন।[৩২][৩৩]

প্রস্তুতিমূলক খেলাগুলোয়া ইংল্যান্ড দল মিশ্র সফলতা পায়। ১ ডিসেম্বর তারিখে ইংল্যান্ড দল প্রথম টেস্টে খেলতে নামে। অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে। তবে, বব উইলিস, ক্রিস ওল্ড ও ইয়ান বোথামের উইকেট লাভে সক্ষমতা এবং টেলরের পাঁচটি ক্যাচ নেয়ার কল্যাণে দলটি মাত্র ১১৬ রান তুলতে সক্ষম হয়। টেলর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। ২০ রান তুলে ইংল্যান্ডের সংগৃহীত ২৮৬ রানে কিছুটা ভূমিকা রাখতে সমর্থ হন। তবে, সফরকারী দলের দ্বিতীয়বার বোলিং আক্রমণে সফলতা না পাওয়ায় স্বাগতিকরা ৩৩৯ রান তুলে খেলাটি রক্ষা করতে সমর্থ হয়। স্ট্যাম্পের পিছনে ঐ ইনিংসে টেলরও তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। খেলা শেষে ইংল্যান্ড দল ১৭০/৩ তুলেছিল।[৩৪]

২৫ ডিসেম্বর তারিখে ওয়াকায় ইংল্যান্ড দল দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেয়। ঐ টেস্টে সফরকারী দলটি ১৬৬ রানের ব্যবধানে জয় পায়। টেলর কেবলমাত্র ১৪ রান তুলতে সক্ষমতা দেখান। তবে, ছয়টি ক্যাচ নিয়ে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিলেন।[৩৫] এর বিপরীতে তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দল ১০৩ রানের জয় তুলে নেয়। গ্লাভস কিংবা ব্যাট হাতে টেলর ম্রিয়মান ছিলেন।[৩৬] চতুর্থ টেস্টেও টেলর তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। তাস্বত্ত্বেও, ইংল্যান্ড দল ৯৩ রানের জয়লাভ করে সিরিজে এগিয়ে যায়।[৩৭]

২৭ জানুয়ারি, ১৯৭৯ তারিখে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে জিওফ্রে বয়কট ও ব্রিয়ারলি ব্যাট হাতে মাঠে নামেন। অস্ট্রেলিয়া টসে জয়লাভ করে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সফরকারীরা ১৬৯ রান তুলতে সমর্থ হয়। টেলর করেন মাত্র চার রান। বোথামকে সহযোগিতা করে দুই ক্যাচ নেন ও অস্ট্রেলিয়াকে ১৬৪ রানে অল-আউটে সহায়তা করেন। ২৬৭/৭ তুলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাষ সৃষ্টি করার দরকার। এ অবস্থায় টেলর ডার্বিশায়ারের সহযোদ্ধা মিলারকে সঙ্গ দিতে এগিয়ে আসেন। ৬৪ রানে মিলার আউট হলে জন এম্বুরি ক্রিজে আসেন। ৩৩৬/৮ হলে টেলর প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ৩০০ বল মোকাবেলা করে তিনি ৯৭ রান তুলেছিলেন। এরফলে টেস্টে পূর্বেকার সর্বোচ্চ ৪৫ রানকে অতিক্রম করে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানের সাথে সমান করেন। এছাড়াও, ৯,৫০০ প্রথম-শ্রেণীর রানের মাইলফলকে পৌঁছেন। লেগ সাইডে তিনি আউট হন ও মাত্র তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি করা থেকে বঞ্চিত হন। ২০০৪ সালে জন থিকনেস লেখেন যে, সবটুকু তার ক্রীড়াসুলভ মনোভাবের পরিচায়ক ছিল।[৭] চূড়ান্ত ইনিংসে টেলর কোন ক্যাচ নিতে পারেননি। বব উইলিস ও মাইক হেনড্রিক যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়াকে ১৬০ রানে অল-আউট করলে ইংল্যান্ড জয় পায়।[৩৮]

চূড়ান্ত টেস্টে টেলর ৩৬ রান করেছিলেন। তিনটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে যুক্ত করে নয় উইকেটে দল জয়ী হলে সিরিজও করায়ত্ত্ব করে।[৩৯] ২৬.০০ গড়ে ২০৮ রান তুলে অধিনায়ক ব্রিয়ারলিকে ছাপিয়ে যান। এছাড়াও, এ সিরিজে ১৮ ক্যাচ ও দুইটি স্ট্যাম্পিং করেছেন তিনি।[৪০]

তাসমানিয়ার বিপক্ষে একদিনের প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নেন। তবে, ডেভিড বেয়ারস্টোকে ওডিআইয়ে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল।[৪১]

ক্রিকেট বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ডে ফিরে বেনসন এন্ড হেজেস কাপজন প্লেয়ার লীগের বেশ কয়েকটি লিস্ট এ খেলায় অংশ নেন বব টেলর। ডার্বিশায়ারের পক্ষে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় উইকেট-রক্ষণে নিজেকে মেলে ধরেন। ২ মে লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় চারটি ক্যাট ও দুইটি স্ট্যাম্পিং করেন তিনি।[৪২]

জুন, ১৯৭৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ইংল্যান্ড দলের সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতি ইনিংসে ৬০ ওভারের খেলায় টেলরকে উইকেট-রক্ষক হিসেবে মনোনীত করা হয়। ইংল্যান্ডকে প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দল হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়েছিল। পূর্ববর্তী ছয় টেস্টের মধ্যে পাঁচটিতে জয়ী হয়েছিল ইংল্যান্ড দল। উইজডেনের তথ্য মতে, বোলারদের সহায়তায় বব টেলরের দক্ষতাপূর্ণ উইকেট-রক্ষণশৈলী এবং ইয়ান বোথামের অল-রাউন্ড ক্রীড়ানৈপুণ্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।[৪৩]

৯ জুন তারিখে গ্রুপ এ’র উদ্বোধনী খেলায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়। টেলর একটি ক্যাচ নেন। তবে, ব্যাট হাতে তাকে মাঠে নামতে হয়। খেলায় অস্ট্রেলিয়া ছয় উইকেটে পরাজিত হয়েছিল।[৪৪] ১৩ জুন শুরু হওয়া দুই দিনের খেলায় ইংল্যান্ড দল কানাডাকে মাত্র ৪৫ রানে গুটিয়ে দেয় ও আট উইকেটে জয় পায়। এ খেলায়ও তাকে ব্যাট হাতে মাঠে নামতে হয়নি।[৪৫] ১৬ জুন হেডিংলিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড দল। খেলায় তিনি ৫৯ বল মোকাবেলা করে ২০ রান ও দুই ক্যাচ নেন। ঐ খেলায় ইংল্যান্ড দল স্বল্প ব্যবধানে ১৪ রানের জয় পায়।[৪৬] ২০ জুন তারিখে ওল্ড ট্রাফোর্ডের সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় স্বাগতিকরা। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫ বলে ১২ রান তুলে রান আউটের শিকারে পরিণত হন। ২২১ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে নিউজিল্যান্ড দল ২১২ রান তুলতে সমর্থ হয়।[৪৭]

২৩ জুন লর্ডসে চূড়ান্ত খেলায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল শক্তিধর ও পূর্ববর্তী শিরোপাধারী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়। আঘাতের কারণে উইলিস খেলতে পারেননি। ফলে টসে জয়ী হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাঠে নামানো হয়। তবে, ভিভ রিচার্ডসের সেঞ্চুরিতে দলটি ২৮৬/৯ তুলে। টেলর একটি ক্যাচ লাভ করেন। ব্রিয়ারলি ও বয়কট উদ্বোধনী জুটিতে ১২৯ রান করেন। তাস্বত্ত্বেও স্বাগতিকরা ১৯৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। টেলর দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। কলিন ক্রফটের বলে হেনড্রিক এবং জোয়েল গার্নারের প্রথম বলেই শূন্য রানে টেলর আউট হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল শিরোপা ধরে রাখে।[৪৮] টেলর গড়পড়তা খেলেন। ১৬.০০ গড়ে মাত্র ৩২ রান তুলেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন অপরাজিত ২০ এবং চারটি ক্যাচ পেলেও কোন স্ট্যাম্পিং করতে পারেননি।[৪৯]

ডার্বিশায়ারে ফিরে দলকে বেনসন এন্ড হেজেস কাপের সেমি-ফাইনালে নিয়ে যান। দুই ক্যাচ ও আট রান তুললেও সারে দল ছয় রানে জয় পায় এবং ডার্বিশায়ারকে প্রতিযোগিতার বাইরে নিয়ে যায়।[৫০]

১২ জুলাই তারিখে ইংল্যান্ড দলে ফিরিয়ে আনা হয়। সফরকারী ভারতের বিপক্ষে তিন টেস্ট খেলার জন্য নিজেকে ব্যাট হাতে আরও বিশ্বস্ত করে তুলেন। ৩২.৫০ গড়ে রান তুলেন ও ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন।[৫১]

ভারত গমন[সম্পাদনা]

আগস্ট, ১৯৭৯ থেকে নভেম্বর, ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের অংশগ্রহণকৃত দুইটি অ্যাশেজ সিরিজের প্রত্যেকটিতে তার অংশগ্রহণ ছিল। এছাড়াও এ সময়ে ভারতের বিপক্ষে একটি টেস্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। শীতকালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত সফরে তিনি বেশ ভালো খেলেন। চার খেলায় ২০.৭১ গড়ে ১৪৫ রান তুলেন তিনি। গ্লাভস হাতে ২০ ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন তিনি।[৫২][৫৩]

১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে বোম্বেতে বিসিসিআইয়ের সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে একমাত্র টেস্টের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারতরে প্রথম ইনিংসে তিনি সাত ক্যাচ তালুবন্দী করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আরও তিনটি ক্যাচ নেন। বোথামের বোলিং থেকে দুইটি বাদে সবগুলোই তার হাতে ধরা পড়ে। ইংল্যান্ড দল দশ উইকেটে সহজেই জয় তুলে নেয়।[৫৪] খেলায় তিনি দশ উইকেট লাভ করে নতুন টেস্ট রেকর্ড গড়েন। টেলরের ৪৩ রান বোথামের সাথে গড়া ১৭১ রানের জুটি গড়ে। ভারতের বিপক্ষে ৬ষ্ঠ উইকেটে এটিও নতুন রেকর্ডরূপে প্রতিষ্ঠা পায়। শুরুতে লেগ বিফোর উইকেটের আবেদনের কবলে পড়লে তিনি বিরুদ্ধাচরণ করেন ও ভারতীয় অধিনায়ক গুণ্ডাপ্পা বিশ্বনাথের সহায়তায় তা থেকে মুক্তি পান।[৫৫]

১৯৮০ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নেন। ২০ খেলায় অংশ নিয়ে ১৪.৮৭ গড়ে মাত্র ২৩৮ রান তুললেও ৩৪ ক্যাচ ও সাতটি স্ট্যাম্পিং করার সাথে নিজেকে যুক্ত করেন তিনি।[৫৬] ঐ মৌসুমে ডার্বিশায়ার দল যৌথভাবে নবমস্থানে ছিল।[৫৭]

অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি[সম্পাদনা]

১০ জুন, ১৯৮১ তারিখে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে ডার্বিতে ড্র হওয়া তিনদিনের খেলায় ডার্বিশায়ারের পক্ষে অংশ নেন।[৫৮] ১৭ জুন তারিখে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে মনোমুগ্ধকর সেঞ্চুরি করেন। এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র সেঞ্চুরি ছিল। ইয়র্কশায়ারের প্রথম ইনিংসে সংগৃহীত ৩৭৪ রান সংগ্রহকালে দুই ক্যাচ ও দুই স্ট্যাম্পিং করেন তিনি। ফিল কারিকের বলে কট এন্ড বোল্ড হবার পূর্বে তিনি ঠিক ১০০ রানের ইনিংস খেলে ইয়র্কশায়ারের ইনিংসকে টপকে দলকে ৪৮০ রানে নিয়ে যান। তবে, তৃতীয় ইনিংস শুরুর পূর্বেই খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[৫৯]

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রুডেনশিয়াল ট্রফিতে টেলরকে আবারও একদিনের দল থেকে বাদ দেয়া হয়। জিওফ হামপেজকে তার খেলোয়াড়ী জীবনের তিনটিমাত্র একদিনের খেলায় অংশগ্রহণের লক্ষ্য স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও, ১৯৮১ সালের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে পল ডাউনটনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।[৬০]

দ্বিতীয় টেস্টে বব টেলরকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনা হয়। শূন্য ও নয় রান তুললেও ড্র হওয়া খেলাটিতে চারটি ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি।[৬১] হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে টেল সাতটি ক্যাচ নিয়েছিলেন। বোথামের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়ানৈপুণ্যের কারণে ইংল্যান্ড মাত্র ১৮ রানের নাটকীয় জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়।[৬২] এরপর ৩০ জুলাই এজবাস্টন টেস্টে দুই ক্যাচ ও আট রান করে ইংল্যান্ডের ২৯ রানের জয়ে ভূমিকা রাখেন।[৬৩]

পঞ্চম টেস্ট শুরুর পূর্বে নট প্যাকার সিরিজ থেকে ফিরে আসেন ও টেস্ট দলে জায়গা করে নেন। তিনি সিরিজের শেষ দুই টেস্টে টেলরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। এ অ্যাশেজ সিরিজটিতে টেলর ৩.৮৩ গড়ে মাত্র ২৩ রান তুলেছিলেন। বোলিংয়ে অভিজ্ঞদের চেয়েও তিনি সর্বনিম্নস্থানে অবস্থান করেন। ১৩ ক্যাচ নিয়ে কিছুটা ভূমিকা পালন করেন। তবে, নট তার ব্যাটিংয়ের দক্ষতায় খেলার জন্য মনোনীত হন। দুই টেস্টে অংশ নিয়ে ৫৯.৩৩ গড়ে ১৭৮ রান তুলেন।[৬৪]

ডার্বিশায়ারে ফিরে ঐ মৌসুমে ১৯.২৫ গড়ে ২৩১ রান তুলেন। তন্মধ্যে, তার প্রথম সেঞ্চুরি ছিল। ৩৩ ক্যাচ ও ১২ স্ট্যাম্পিং করেছিলেন বব টেলর।[৬৫]

শেষের বছরগুলো[সম্পাদনা]

১৯৮১-৮২ মৌসুমের শীতকালে ভারত ও শ্রীলঙ্কা গমন করেন। সাত টেস্টে অংশ নেন তিনি। উইকেট রক্ষণে ১৯জন ব্যাটসম্যান তার গ্লাভস বন্দী হন। কিন্তু, ব্যাট হাতে ১৪.৬৬ গড়ে মাত্র ৮৮ রান তুলতে পেরেছিলেন বব টেলর।[৬৬] ওডিআই সিরিজে কেবলমাত্র দুইটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। সিরিজের বাদ-বাকী খেলায় জ্যাক রিচার্ডসকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এরপর মে মাসে সংক্ষিপ্তকালের জন্য ডার্বিশায়ারে ফিরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশ নেন।[২৬]

এরপর পুনরায় তাকে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্য দলে ফিরিয়ে আনা হয়। নয় ক্যাচ নিলেও তিন খেলায় অংশ নিয়ে ইনিংস প্রতি মাত্র ১২.০০ গড়ে রান তুলেছিলেন।[৬৭] ২৯ জুলাই তারিখে সফরকারী পাকিস্তানকে ফলো-অনে প্রেরণ করে ইংল্যান্ড দল। এজবাস্টনে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৫৪ রান তুলেছিলেন।[৬৮]

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ২২ অক্টোবর তারিখে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম-শ্রেণীর খেলায় তিনি ১১,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।[৬৯] এরপূর্বে পাচ টেস্টের সিরিজের সবকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। ১৯.২৫ রান তোলার পাশাপাশি ১৩ ক্যাচ নেন। আবারও একদিনের দলের বাইরে অবস্থান করতে হয় তাকে। এবার ইয়ান গোল্ড তার স্থলাভিষিক্ত হন।[২৫]

দেশে ফিরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ডার্বিশায়ারের সদস্যরূপে বেশ কয়েকটি খেলায় অংশ নেন। তবে, ব্যাট হাতে তাকে বেশ প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। ১৭.৮০ গড়ে ২৬৭ রান তুলেন। ঐ মৌসুমে ৩৭ ক্যাচ ও দুই স্ট্যাম্পিং নিয়ে উইকেট-রক্ষণে বেশ সজাগ ছিলেন। নিজ দেশে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার টেস্ট খেলার জন্য জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে ঘোষিত দলে তিনি ছিলেন। ১১ ক্যাচ নিলেও ১০.৫০ গড়ে ৬৩ রান তুলেন তিনি।[৭০] ঐ বছরের শীতকালে নিউজিল্যান্ডে ফিরতি সফরে যান। এরপর পাকিস্তান গমন করেন। তবে, ব্যাট হাতে বেশ ব্যর্থ ছিলেন। ৯.২২ গড়ে মাত্র ৮৩ রান তুলেন।[৭১] তিনটি ওডিআইয়ের সবকটিতেই তার অংশগ্রহণ থাকলেও ইনিংস প্রতি ৫.০০ গড়ে কেবলমাত্র ১০ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন বব টেলর।[৭২] এ পর্যায়ে উইকেট-রক্ষণে বেশ ভালো করলেও তার ব্যাটিংয়ের ক্রমাবনতি লক্ষ্য করা যায়।[৭] ১৯ মার্চ, ১৯৮৪ তারিখে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরের তৃতীয় টেস্টে সর্বশেষবারের মতো অংশ নেন। এক ও পাঁচ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ নিলেও খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[৭৩]

১৯৮৪ সালে পূর্ণোদ্যমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশ নেন। ১৮ খেলায় ২০.২০ গড়ে ৩০৩ রানের পাশাপাশি গ্লাভস হাতে ৩২জন তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।[৭৪] তবে, ডার্বিশায়ার দল তালিকায় দ্বাদশ অবস্থানে ছিল।[৭৫] একদিনের প্রতিযোগিতা থেকে গ্লাভস হাতে অবসর নেয়ার প্রাক্কালে বেনসন এন্ড হেজেস কাপে ১০টি ক্যাচ লাভ করেছিলেন।[৭৬] এছাড়াও, জন প্লেয়ার স্পেশাল লীগে আটটি ক্যাচ নিয়েছিলেন।[৭৭]

৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ডার্বিশায়ার প্রথম একাদশের পক্ষে সর্বশেষ চারদিনের খেলায় অংশ নেন বব টেলর। হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন খেলা হয়নি। ফলে জন প্লেয়ার স্পেশাল লীগে উভয় দল মুখোমুখি হয়। দুইটি ক্যাচ নিলেও তাকে ব্যাট হাতে মাঠে নামতে হয়নি।[৭৮] খেলার পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর তারিখে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের বিরতি খেলায় হ্যাম্পশায়ার ৫৩৫/৪ তুলে। ওলে মর্টেনসেনের বলে ট্রেভর জেস্তির একমাত্র ক্যাচ নিয়েছিলেন। কিম বার্নেটবিল ফাওলারের সেঞ্চুরিতে ডার্বিশায়ার দল ৩২২/৩ তুলে ইনিংস ঘোষণা করলে তাকে মাঠে নামতে হয়নি। মিলারের বলে টেলর স্ট্যাম্পিং করেন। ডার্বিশায়ার দল শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেটে জয় পেয়েছিল। এ ইনিংসেও তিনি মাঠে নামেননি।[৭৯] এরপর তিনি অবসরগ্রহণ করেন।[৮০]

অবসর[সম্পাদনা]

অবসর গ্রহণ করলেও ক্লাবের সাথে তার যোগাযোগ ছিল। ১৯৮৫ সালে ডার্বিশায়ার দ্বিতীয় একাদশের পক্ষে আট খেলায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তবে, উইকেট-রক্ষণে তাকে দেখা যায়নি ও শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নামতেন। খুব কমই ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন।[৮১]

১৯৮৬ সালে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট চলাকালে বব টেলর অতিথিশালায় অবস্থান করছিলেন। রিচার্ড হ্যাডলির বলে ব্রুস ফ্রেঞ্চ আঘাত পেলে বিল অ্যাথে উইকেটের পিছনে অবস্থান করতে বাধ্য হন। এ পর্যায়ে নিউজিল্যান্ডীয় অধিনায়ক জেরেমি কোনি টেলরকে বাদ-বাকী দিনের জন্য উইকেট রক্ষণের অনুমতি দেন। দুই বছর পূর্বে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও তিনি বেশ দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন।[৮০]

এছাড়াও ১৯৮৬ সালে ব্রায়ান ক্লোজের আমন্ত্রিত একাদশের পক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন তিন ও স্কারবোরায় ৩১ আগস্ট তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অংশ নেন।[৮২] ১৯৮৮ সালে মাইকেল পারকিনসন বিশ্ব একাদশের সদস্য হিসেবে তাকে নেয়া হয়। এমসিসির বিপক্ষে ঐ খেলায় উইকেট-রক্ষণে মাঠে নামেন ও চার রান তুলতে পেরেছিলেন।[৮৩]

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

বব টেলরের উইকেট-রক্ষণের সক্ষমতার বিষয়ে প্রায়শঃই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করেছিল। ১৯৭৭ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে উইজডেন মন্তব্য করে যে, ধ্রুপদী ক্রীড়াশৈলীর অধিকারী তিনি। স্ট্যাম্পের পিছনে দীর্ঘকাল বর্ণাঢ্যময় নৈপুণ্যতা দেখিয়েছেন। দূর্বল ডার্বিশায়ারের অন্যতম রক্ষকর্তা ছিলেন। ঝাঁপিয়ে ফিল্ডিং করার পাশাপাশি উদ্যমতা বজায় রেখেছেন। কয়েক বছর তার সমকক্ষ খেলোয়াড় বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইংল্যান্ড দলে প্রভূত ভূমিকা রেখেছেন তবে অ্যালান নটের কারণে তাকে দলের বাইরে চলে আসতে হয়। স্ট্যাম্পের পিছনে প্রায়শঃই তাকে দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখা যেতো। এভাবে কেবলমাত্র প্রথিতযশা স্লিপ ক্যাচারকেই দেখা যায়।[৫] ওজনকে ব্যবহার করে সম্মুখের দিকে ঝুঁকে থাকতেন ও বাম পায়ের উপর ভর রেখে লেগ সাইডে স্ট্যাম্পিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। উইকেট রক্ষণে তাকে অসম্ভব দক্ষতায় এগিয়ে নিয়ে গেছে।[৮৪]

শারীরিকভাবে বেশ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন। ১৯৬৪ সালে গোড়ালীতে আঘাতের কারণে ঐ মৌসুমের সাত খেলায় অনুপস্থিত ছিলেন।[৫]

ইংল্যান্ড ও ডার্বিশায়ার দলের জনপ্রিয় সদস্য ছিলেন বব টেলর। দলীয় সঙ্গীদের সাথে কথা বলা ও সমস্যা শোনার কারণে ‘চ্যাট’ ডাকনামে পরিচিতি পান।[৭] মাঝারিমানের ব্যাটসম্যান হলেও অত্যন্ত দক্ষ উইকেট-রক্ষক ছিলেন তিনি। অবসর গ্রহণের পরও ব্যাট হাতে দক্ষ উইকেট-রক্ষকদের স্ট্যাম্পিংয়ের পিছনে দক্ষতা আনয়ণে পরামর্শ দিতেন। অবসরগ্রহণের পর থেকে জেরাইন্ট জোন্স, ক্রিস রিডম্যাট প্রায়রের অন্তর্ভুক্তিতে ইংরেজ দল নির্বাচন পদ্ধতির বিপক্ষে সরব ছিলেন।[৮৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Records – Most dismissals in career"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  2. "Perfection in gauntlets"। CricInfo। 
  3. Andrew McGlashan and Brydon Coverdale (৮ মে ২০০৮)। "Welcome back, we weren't expecting you"। CricInfo। 
  4. Sherwin, Phil (২০১০)। The Port Vale Miscellany। Brimscombe Port: The History Press। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন 978-0-7524-5777-2 
  5. "Bob Taylor – Wisden Cricketer of the Year"Wisden। ১৯৭৭। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১০ 
  6. "Teams Bob Taylor played for"। Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  7. Thicknesse, John (অক্টোবর ২০০৪)। "Player Profile: Bob Taylor"। CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১০ 
  8. "Scorecard: Minor Counties v South Africans – South Africa in England 1960"। Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  9. "Wisden Cricketers of the Year"। Cricket Archive and Wisden। (সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  10. "First-class Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor"। Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  11. "ListA Batting and Fielding in Each Season by Bob Taylor"। Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  12. "Scorecard: Ceylon v Marylebone Cricket Club – Marylebone Cricket Club in Ceylon and the Far East 1969/70"। Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  13. "England in New Zealand Test Series – 1st Test New Zealand v England"। CricInfo। 
  14. "NEW ZEALAND v. ENGLAND"। Wisden and CricInfo। ১৯৭১। 
  15. "Statistics / Statsguru / RW Taylor / Test matches"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১০ 
  16. "First-class Batting and Fielding for World XI – World XI in Australia 1971/72"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  17. "Scorecard: Western Australia v World XI – World XI in Australia 1971/72"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  18. "Scorecard: Jamaica v Marylebone Cricket Club – Marylebone Cricket Club in West Indies and Bermuda 1973/74"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  19. "Scorecard: South African Invitation XI v International Wanderers – International Wanderers in South Africa 1975/76"Cricket Archive। ১ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  20. "Player Profile: Alan Knott"CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০ 
  21. "England in New Zealand and Pakistan 1977/78"Cricket Archive। ৩ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  22. "Pakistan v England – England in New Zealand and Pakistan 1977/78 (1st Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  23. "Scorecard: Pakistan v England – England in New Zealand and Pakistan 1977/78 (2nd Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  24. "Scorecard: Pakistan v England – England in New Zealand and Pakistan 1977/78 (3rd Test)"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  25. "List A Matches played by Bob Taylor"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  26. "First-Class Matches played by Bob Taylor"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  27. "England in New Zealand and Pakistan 1977/78"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  28. "Pakistan in England 1978"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  29. "Prudential Trophy 1978"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  30. "New Zealand in British Isles 1978"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  31. "Scorecard: South Australia v England XI – England in Australia 1978/79"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  32. "Scorecard: New South Wales v England XI – England in Australia 1978/79"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  33. Kitson, Robert। "Hooked by the Miller's tale"CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০ 
  34. "Scorecard: Australia v England – England in Australia 1978/79 (1st Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  35. "Scorecard: Australia v England – England in Australia 1978/79 (2nd Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  36. "Scorecard: Australia v England – England in Australia 1978/79 (3rd Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  37. "Scorecard: Australia v England – England in Australia 1978/79 (4th Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  38. "Scorecard: Australia v England – England in Australia 1978/79 (5th Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  39. "Scorecard: Australia v England – England in Australia 1978/79 (6th Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  40. "England in Australia 1978/79"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  41. "England in Australia 1978/79"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  42. "Scorecard: Derbyshire v Leicestershire – Schweppes County Championship 1979"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  43. Preston, Norman (১৯৭৯)। "Notes By the Editor – England rich in young Talent"Wisden। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০ 
  44. "Scorecard: England v Australia – 1979 World Cup Group A"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  45. "Scorecard: England v Canada 1979 World Cup Group A"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  46. "Scorecard: England v Pakistan 1979 World Cup Group A"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  47. "Scorecard: England v New Zealand 1979 World Cup Semi Final"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  48. "Scorecard: England v West Indies 1979 World Cup Final"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  49. "Prudential World Cup 1979"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  50. "Scorecard: Derbyshire v Surrey – Benson and Hedges Cup 1979 (Semi-Final)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  51. "India in England 1979"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  52. "England in Australia and India 1979/80"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  53. "England in Australia and India 1979/80"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  54. "Scorecard: India v England – England in Australia and India 1979/80 (Only Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  55. Rutnagur, Dicky (১৯৮১)। "India v England 1979–80"Wisden। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০ 
  56. "Schweppes County Championship 1980"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  57. "Schweppes County Championship 1980 Table"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  58. "Scorecard: Derbyshire v Australians – Australia in British Isles 1981"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  59. "Scorecard: Yorkshire v Derbyshire – Schweppes County Championship 1981"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  60. "Scorecard: England v Australia – Australia in British Isles 1981 (1st Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  61. "Scorecard: England v Australia – Australia in British Isles 1981 (2nd Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  62. "Scorecard: England v Australia – Australia in British Isles 1981 (3rd Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  63. "Scorecard: England v Australia – Australia in British Isles 1981 (4th Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  64. "Australia in British Isles 1981"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  65. "Schweppes County Championship 1981"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  66. "England in India and Sri Lanka 1981/82"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  67. "India in British Isles 1982"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  68. "Scorecard: England v Pakistan – Pakistan in British Isles 1982 (1st Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  69. "Scorecard: Queensland v England XI – England in Australia 1982/83"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  70. "New Zealand in England 1983"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  71. "England in New Zealand and Pakistan 1983/84"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  72. "Rothmans Cup 1983/84"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  73. "Scorecard: Pakistan v England – England in New Zealand and Pakistan 1983/84 (3rd Test)"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  74. "Britannic Assurance County Championship 1984"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  75. "Britannic Assurance County Championship 1984 Table"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  76. "Benson and Hedges Cup 1984"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  77. "John Player Special League 1984"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  78. "Scorecard: Derbyshire v Hampshire – John Player Special League 1984"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  79. "Scorecard: Derbyshire v Hampshire – Britannic Assurance County Championship 1984"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  80. Andrew McGlashan and Brydon Coverdale (৮ মে ২০০৮)। "Welcome back, we weren't expecting you"CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০ 
  81. "Second Eleven Championship Matches played by Bob Taylor"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  82. "Scorecard: DB Close's XI v New Zealanders – New Zealand in England 1986"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  83. "Scorecard: M Parkinson's World XI v Marylebone Cricket Club – Other First-Class matches in England 1988"Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  84. Andrew, p. 89.
  85. "Bob Taylor: 'Pick a wicketkeeper for his ability to keep'"। CricInfo। ১৬ আগস্ট ২০০৭। 
মুদ্রিত
ওয়েবসাইট

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
ব্রায়ান বোলাস
ডার্বিশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৭৫–১৯৭৬
উত্তরসূরী
এডি বার্লো