টনি গ্রেগ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টনি গ্রেগ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামঅ্যান্থনি উইলিয়াম গ্রেগ
জন্ম৬ অক্টোবর ১৯৪৬
কুইন্সটাউন, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু২৯ ডিসেম্বর ২০১২(2012-12-29) (বয়স ৬৬)
সিডনি, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
উচ্চতা৬ ফুট ৬ ইঞ্চি (১.৯৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ডান-হাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
সম্পর্কইয়ান গ্রেগ (ভাই)
নরমান কারি (ভগ্নীপতি)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪৫২)
৮ জুন ১৯৭২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট৩০ আগস্ট ১৯৭৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৫)
২৪ আগস্ট ১৯৭২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই৬ জুন ১৯৭৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬৫–১৯৭০বর্ডার
১৯৬৬–১৯৭৮সাসেক্স
১৯৭০–১৯৭২ইস্টার্ন প্রভিন্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫৮ ২২ ৩৫০ ১৯০
রানের সংখ্যা ৩,৫৯৯ ২৬৯ ১৬,৬৬০ ৩,৮৯৯
ব্যাটিং গড় ৪০.৪৩ ১৬.৮১ ৩১.১৯ ২৪.৬৭
১০০/৫০ ৮/২০ –/– ২৬/৯৬ ৩/২১
সর্বোচ্চ রান ১৪৮ ৪৮ ২২৬ ১২৯
বল করেছে ৯,৮০২ ৯১৬ ৫২,৫১৩ ৮,৪৩৫
উইকেট ১৪১ ১৯ ৮৫৬ ২৪৪
বোলিং গড় ৩২.২০ ৩২.৫৭ ২৮.৮৫ ২৩.১৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ৩৩
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৮/৮৬ ৪/৪৫ ৮/২৫ ৬/২৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮৭/– ৭/– ৩৪৫/– ৮৮/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

অ্যান্থনি উইলিয়াম "টনি" গ্রেগ (ইংরেজি: Anthony William "Tony" Greig; ৬ অক্টোবর, ১৯৪৬ – ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২) ছিলেন একজন ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেটার যিনি পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাভাষ্যকার হিসেবে পরিচিতি পান। জন্মগ্রহণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকায়, তার বাবা স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে ইংল্যান্ডের জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলার সুযোগ পান।

১৯৭৫ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তিনি বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে মনোনীত হয়।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

টনি গ্রেগের টেস্ট অভিষেক হয় ১৯৭২ সালে, ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১৯৭৭ সালে তার খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ টেস্টেও প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। টনি গ্রেগ ইংল্যান্ডের হয়ে ৫৮টি টেস্ট খেলেছেন। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে টনি গ্রেগ একজন অল-রাউন্ডার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ব্যাট হাতে ৪০ গড়ে তিনি রান করেছেন ৩৫৯৯। ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি দীর্ঘ টনি গ্রেগ বোলার হিসেবেও ছিলেন সফল। টেস্টে ৩২.২০ গড়ে ১৪১টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তিনি মিডিয়াম পেস-অফব্রেক দুটোই করতে পারতেন। ১৪টি টেস্টে অধিনায়কত্বও করেছেন ইংল্যান্ড দলের।[১]

বিতর্কিত ভূমিকা[সম্পাদনা]

১৯৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় বিখ্যাত ক্যারি প্যাকার সিরিজে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খেলার জন্য তিনি আজীবন ক্রিকেট থেকে বহিষ্কৃত হন।[২]

ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ধনকুবের ক্যারি প্যাকারের প্রতিষ্ঠিত টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল নাইন’-এ তিনি ক্রিকেট ধারাভাষ্য শুরু করেন। আশির দশক থেকে শুরু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ক্রিকেট সম্প্রচারের ‘বিপ্লব’ চ্যানেল নাইনের ধারাভাষ্যকার দলের সদস্য ছিলেন। তিনি চ্যানেল নাইন ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রচার দলের হয়ে ক্রিকেট ধারাভাষ্যে নিয়োজিত ছিলেন।[৩]

দেহাবসান[সম্পাদনা]

২০১২ সালের মে মাসে তার ফুসফুসে সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমে সেটাকে ব্রঙ্কাইটিস হিসেবে শনাক্ত করা হলেও সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে চিকিত্সকেরা নিশ্চিত হন যে তিনি ক্যান্সারের সঙ্গেই বাস করছেন। তার ডান ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর থেকে শুরু হয় তার চিকিৎসা। কিন্তু চিকিৎসায় তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। ২৯ ডিসেম্বর ২০১২, শনিবার সকালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।[৪][৫][৬][৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. England Cricket News: Tony Greig dies aged 66 | ESPN Cricinfo
  2. "চলে গেলেন টনি গ্রেগ (ভিডিও) - প্রথম আলো"। ১৯ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৪ 
  3. "ধারা ভাষ্যকার টনি গ্রেগ আর নেই"। ২ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১২  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  4. Tony Greig, ex-England cricket captain, dies after heart attack
  5. "ধারা ভাষ্যকার টনি গ্রেগ আর নেই"। ২ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ 
  6. Tony Greig dies aged 66
  7. "চলে গেলেন টনি গ্রেগ"। ১৯ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]