নিপা ভাইরাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নিপা ভাইরাস
একটি সংক্রামিত ভেরো কোষ (বাদামী) দ্বারা একটি নিপা ভাইরাস কণা (বেগুনি) প্রদর্শনকারী ইলেকট্রন মাইক্রোগ্রাফ।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Virus
পর্ব: Negarnaviricota
শ্রেণী: Monjiviricetes
বর্গ: Mononegavirales
পরিবার: Paramyxoviridae
গণ: Henipavirus
প্রজাতি: Nipa henipavirus

নিপা ভাইরাস (বৈজ্ঞানিক নাম Nipa henipavirus) হলো একটি বাদুড়বাহিত ভাইরাস যা নিপা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটায় এবং যা উচ্চ মৃত্যুহার সম্পন্ন। নিপা ভাইরাসজনিত অসংখ্য রোগের প্রাদুর্ভাব দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেখা দিয়েছে।

ভাইরাসবিদ্যা[সম্পাদনা]

ট্রপিজম[সম্পাদনা]

এফ্রিন বি২ এবং বি৩ নিপা ভাইরাসের মূল গ্রাহক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।[১] সমগ্র দেহ জুড়ে এফ্রিনের বিভিন্ন উপ প্রকারের প্রকাশভঙ্গির জটিল বিন্যাস বিদ্যমান। মস্তিষ্কের সম্মুখভাগের কিছু উপ অঞ্চলে বি৩ এর সবচেয়ে প্রকট প্রকাশ দেখা যায়।[২]

বিবর্তন[সম্পাদনা]

এই ভাইরাসের উদ্ভব সম্ভবত ১৯৪৭ সালে (৯৫% সমর্থনযোগ্য ব্যবধি: ১৮৮৮-১৯৮৮)।[৩] এই ভাইরাসের দুইটি ক্লেড রয়েছে - একটির উৎস ১৯৫৫ সালে (৯৫% সমর্থনযোগ্য ব্যবধি: ১৯৮৫-২০০২) এবং দ্বিতীয়টির উৎস ১৯৮৫ সালে (৯৫% সমর্থনযোগ্য ব্যবধি: ১৯৭১-১৯৯৬)। পরিবর্তনের হার অনুমান করা হয়েছিল ৬.৫ × ১০−৪ প্রতিস্থাপন / সাইট / বছর (৯৫% সমর্থনযোগ্য ব্যবধি: ২.৩ × ১০−৪ - ১.১৮ × ১০−৩), যা অন্যান্য আরএনএ ভাইরাসের অনুরূপ।

ভৌগোলিক বন্টন[সম্পাদনা]

কম্বোডিয়ায়া লাইলস কলাবাদুড় (Pteropus lylei) থেকে এই ভাইরাস আলাদা করা হয়েছে[৪] এবং এই কলাবাদুড় ও থাইল্যান্ডের[৫] মাঝারি পাতা-নাক চামচিকার (Hipposideros larvatus) মূত্র ও লালা থেকে এই ভাইরাসের ভাইরাল ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। সংক্রামক ভাইরাস মালয়েশিয়ায় বাদুড়ের মূত্র এবং আংশিকভাবে খাওয়া ফলের পরিবেশগত নমুনা থেকেও আলাদা করা হয়েছে।[৬] মাদাগাস্কারের বিভিন্ন বাদুড়(Pteropus rufus, Eidolon dupreanum)[৭]ঘানা (Eidolon helvum)[৮] থেকে হেনিপাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে, যা ভাইরাসটির বিস্তৃত ভৌগোলিক বণ্টন নির্দেশ করে। ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া বা আফ্রিকায় মানুষ বা অন্য কোনো প্রজাতির সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়নি।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

Pteropus vampyrus, নিপা ভাইরাসের অন্যতম প্রাকৃতিক আধার।

আবির্ভাব[সম্পাদনা]

১৯৯৮ সালে নিপা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঘটনা চিহ্নিত করা হয়, যখন পশ্চিম মালয়েশিয়ার শূকর খামারগুলিতে ২৬৫ জন মানুষের দেহে স্নায়বিক এবং শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দেয় এবং তন্মধ্যে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়।[৯][১০][১১] স্বয়ং ভাইরাসটি পরের বছর, ১৯৯৯ সালে চিহ্নিত হয়।[১২] ফলস্বরূপ দশ লক্ষ শূকর নিশ্চিহ্ন করা হয়। সিঙ্গাপুরে, মালয়েশিয়ার সংক্রমিত খামার থেকে আমদানি করা শূকরগুলির সংস্পর্শে কসাইখানার এগারোজন কর্মী আক্রান্ত ও একজনের মৃত্যু হয়। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন, নিপা ভাইরাসকে ক্যাটাগরি সি এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।[১৩] "নিপা" নামটি মালয়েশিয়ার নেগেরি সেমবিলানের পোর্ট ডিকসনে অবস্থিত সুঙ্গাই নিপা নামক জায়গাটিকে নির্দেশ করে, যেখান থেকে প্রথমবার নিপা ভাইরাস মানবদেহে শনাক্ত করা হয়।[১৪][১৫] ইবোলা মহামারীর পর, মহামারীর আগে বা তার সময়কালীন জরুরী গবেষণার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক তৈরীকৃত নতুন পরিকল্পনায়, ভবিষ্যতে সম্ভাব্য মাহামারী সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলোর মধ্যে নিপা ভাইরাসকে অন্যতম হিসেবে চিহ্নিত করেছে।[১৬][১৭]

ভাইরাসটিকে শুরুতে জাপানি এনসেফালাইটিস বলে ভুল করা হয়েছিলো, কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা লক্ষ্য করতে পেরেছিলেন যে জাপানি এনসেফালাইটিস রোগের ভ্যাক্সিন গ্রহণকারীরাও সুরক্ষিত ছিলেন না এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা অস্বাভাবিক।[১৮] যদিও এই পর্যবেক্ষণ প্রাদুর্ভাবের প্রথম মাসেই রেকর্ড করা হয় তবুও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা আমলে নিতে ব্যর্থ হয়েছিলো এবং তারা জাপানি এনসেফালাইটিস ও তার ভেক্টর কিউলেক্স মশার ঝুঁকি সম্পর্কে লোকেদের শিক্ষিত করতে দেশব্যাপী প্রচারণা শুরু করেছিলো।

মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে রোগটির লক্ষণ ছিল মানবদেহে এনসেফালাইটিক ও শূকরের দেহে শ্বসনিক। পরবর্তীতে মানবদেহেও মধ্যে শ্বসনিক অসুস্থতা দেখা দিতে শুরু করে, যা মানুষ থেকে মানুষের সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে এবং ভাইরাসটির আরও বিপজ্জনক সত্ত্বার অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়।

ধারণা করা হয় যে, বাদুড় থেকে শূকরে ভাইরাসটির সংক্রমণের কারণ ছিলো উপদ্বীপীয় মালয়েশিয়ার শূকরশালা এবং বাদুড়ের বাসস্থানগুলোর ক্রমবর্ধমান সহাবস্থান। খামারে, ফলের বাগানগুলো শূকরশালার খুবই নিকটে অবস্থিত, ফলে প্রস্রাব, মল এবং আংশিকভাবে খাওয়া ফল শূকরদের ওপর ছড়িয়ে পড়ে।[১৯] অতীত পর্যবেক্ষণকারী গবেষণায় উঠে এসেছে যে, মালয়েশিয়ায় শনাক্তবিহীন অবস্থায় ভাইরাল দানা শূকরের দেহে ১৯৯৬ সাল থেকেই ছড়িয়ে পড়ছিলো।[৯] ১৯৯৮ সালে, আক্রান্ত শূকরগুলো অন্য খামারে স্থানান্তর করার ফলে ভাইরাল দানার ছড়িয়ে পড়া আরো বেগবান হয়।

প্রকোপ[সম্পাদনা]

হেনিপাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের অবস্থান (লাল তারকা- হেন্ড্রা ভাইরাস, নীল তারকা- নিপা ভাইরাস) এবং নিপা ভাইরাসের আধার হিসেবে ক্রিয়ারত বাদুড়ের বিস্তৃতি (লাল ছায়াযুক্ত এলাকা- হেন্ড্রা ভাইরাস, নীল ছায়াযুক্ত এলাকা- নিপা ভাইরাস)

মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশভারতে নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে। নিপা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে, যেখানে সাধারণত শীত মৌসুমে ভাইরাসটির প্রকোপ দেখা যায়।[২০] নিপা ভাইরাস সর্বপ্রথম উপদ্বীপীয় মালয়েশিয়ায় ১৯৯৮ সালে শূকর ও শূকর পালকদের দেহে আবির্ভূত হয়। ১৯৯৯ এর মধ্যভাগ অবধি মালয়েশিয়ায় ২৬৫ টি এনসেফালাইটিস সংক্রমণের ঘটনা ঘটে যার মধ্যে ১০৫ জনের মৃত্যু হয় এবং সিঙ্গাপুরে এনসেফালাইটিস বা শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার ১১ টি ঘটনা পাওয়া যায়, যার মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়।[২১] ২০০১ সালে, বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলা[২২][২৩] ও ভারতের শিলিগুড়িতে[২২] নিপা ভাইরাস শনাক্ত হয়। ভাইরাসটি আবারো ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে বাংলাদেশের নওগাঁ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফরিদপুরটাঙ্গাইল জেলায়[২৩] আবির্ভূত হয়। পরবর্তী বছরগুলিতেও সেদেশে এর প্রকোপ দেখা যায়।[২৪]

  • সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ – মে ১৯৯৯, মালয়েশিয়ার পেরাক, নেগেরি সেমবিলান ও সেলাঙ্গরে। ভাইরাসের কারণে তিনটি রাজ্যে ২৬৫ জন জটিল এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হন ও ১০৫ জনের মৃত্যু ঘটে।[২৫] মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোকেরা শুরুতে ভাইরাসটিকে জাপানি এনসেফালাইটিস ভেবে ভুল করে যা সংক্রমণ রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণকে বাধাগ্রস্থ করে।[২৬]
  • ২০০১ সালের ৩১ জানুয়ারি – ২৩ ফেব্রুয়ারি, ভারতের শিলিগুড়ি: ৭৪ শতাংশ মৃত্যুহার সহ ৬৬ টি সংক্রমণের ঘটনা।[২৭] ৭৫% রোগী, হয় হাসপাতালের কর্মী ছিলেন বা হাসপাতালে থাকা অন্য রোগীদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন, যা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির সংক্রমণ নির্দেশ করে।
  • ২০০১ সালের এপ্রিল – মে, মেহেরপুর, বাংলাদেশ: ৯ টি মৃত্যু সহ ১৩ টি সংক্রমণ (মৃত্যুর হার ৬৯%)।[২৮]
  • ২০০৩ সালের জানুয়ারি, নওগাঁ জেলা, বাংলাদেশ: ৮ টি মৃত্যু সহ ১২ টি সংক্রমণ (মৃত্যুর হার ৬৭%)।[২৮]
  • ২০০৪ সালের জানুয়ারি – ফেব্রুয়ারি, মানিকগঞ্জরাজবাড়ি জেলা, বাংলাদেশ: ১৪ টি মৃত্যু সহ ৪২ টি সংক্রমণ (মৃত্যুর হার ৩৩%)।
  • ২০০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি – ১৬ এপ্রিল, ফরিদপুর জেলা, বাংলাদেশ: ২৭ টি মৃত্যু সহ ৩৬ টি সংক্রমণ (মৃত্যুর হার ৭৫%)।
  • ২০০৫ সালের জানুয়ারি, টাঙ্গাইল জেলা, বাংলাদেশ: ১১ টি মৃত্যু সহ ১২ টি সংক্রমণ (মৃত্যুর হার ৯২%)। ভাইরাসটি সম্ভবত বাদুড়ের লালা বা মল দ্বারা দূষিত খেজুরের রস পানের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়েছিলো। [২৯]
  • ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি – মে, নদীয়া জেলা, ভারত: ৩-৫ টি প্রাণহানি সহ সর্বোচ্চ ৫০ টি সম্ভাব্য সংক্রমণ। স্থানটি ছিলো বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার সীমানা ঘেঁষা এলাকায়, যেখানে ২০০৭ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৫ টি প্রাণহানিসহ নিপা ভাইরাস এনসেফালাইটিস সংক্রমণের ৮ টি ঘটনা ঘটেছিলো। এর আগে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ঠাকুরগাঁও এ সাতজন ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ও তিনটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।[৩০] তিন জায়গাতেই ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়।
  • ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি – মার্চ, মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ি জেলা, বাংলাদেশ: ৮ টি প্রাণহানিসহ ৯ টি সংক্রমণ।[৩১]
  • ২০১০ সালের জানুয়ারি, ভাঙ্গা উপজেলা, ফরিদপুর, বাংলাদেশ: ৭ টি প্রাণহানিসহ ৮ টি সংক্রমণ। মার্চ মাসে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেবা প্রদানকারী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের মৃত্যু ঘটে।[৩২]
  • ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশের লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় ভাইরাসটির প্রকোপ দেখা যায়। ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ভাইরাসটির কারণে ২১ স্কুলশিশুর সংক্রমণ ঘটে। আইইডিসিআর নিশ্চিত করেছিলো যে, সংক্রমণের জন্য নিপা ভাইরাসই দায়ী ছিলো। স্থানীয় বিদ্যালয়গুলো ভাইরাসের বিস্তার রোধে এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিলো। অপক্ক ফল ও ফলজাত পণ্য গ্রহণ এড়াতেও জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছিল। সংক্রামিত বাদুড়ের প্রস্রাব বা লালা দ্বারা দূষিত এই জাতীয় খাবারগুলোই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য উৎস বলে ধারণা করা হয়েছিলো।
  • ২০১৮ সালের মে: ভারতে কেরলের কালিকটের নিকটে অবস্থিত পেরাম্ব্রায় নিপা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়ে ১৭ জনের মৃত্যু[৩৩] ঘটে। রিবাভাইরিনের মতো অ্যান্টিভাইরাল ব্যবহার করে চিকিৎসা শুরু হয়েছিল।[৩৪][৩৫]
  • ২০১৯ সালের জুন: কেরালার কোচিতে একজন ২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী নিপা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।[৩৬] কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কে কে শাইলাজা নিশ্চিত করেন, সাম্প্রতিক কালে রোগীর সংস্পর্শে আসা ৮৬ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। রোগীকে সেবাদানকারী দুইজন নার্স, যাদের জ্বর ও গলাব্যাথা ছিলো, তারাও এর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং কেন্দ্রীয়[৩৭] ও রাজ্য সরকার[৩৬] কর্তৃক ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কেরালার স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক ৩৩৮ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং তাদের মধ্যে ১৭ জনকে পরিপূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন (আইসোলেশন) করে রাখা হয়। একটি বেসরকারী হাসপাতালে ৫৪ দিন ধরে চিকিৎসা দেওয়ার পর, ২৩ বছর বয়সী সেই শিক্ষার্থীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২৩ জুলাই, কেরলের সরকার এর্নাকুলাম জেলাকে নিপা-মুক্ত ঘোষণা করে।[৩৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Lee B, Ataman ZA; Ataman (২০১১)। "Modes of paramyxovirus fusion: a Henipavirus perspective"Trends in Microbiology19 (8): 389–399। ডিওআই:10.1016/j.tim.2011.03.005পিএমআইডি 21511478পিএমসি 3264399অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  2. Hruska, Martin; Dalva, Matthew B. (মে ২০১২)। "Ephrin regulation of synapse formation, function and plasticity"Molecular and Cellular Neurosciences50 (1): 35–44। আইএসএসএন 1044-7431ডিওআই:10.1016/j.mcn.2012.03.004পিএমআইডি 22449939পিএমসি 3631567অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  3. Lo Presti A, Cella E, Giovanetti M, Lai A, Angeletti S, Zehender G, Ciccozzi M (২০১৫)। "Origin and evolution of Nipah virus"। J Med Virol88 (3): 380–388। ডিওআই:10.1002/jmv.24345পিএমআইডি 26252523 
  4. Reynes JM, Counor D, Ong S (২০০৫)। "Nipah virus in Lyle's flying foxes, Cambodia"Emerging Infectious Diseases11 (7): 1042–7। ডিওআই:10.3201/eid1107.041350পিএমআইডি 16022778পিএমসি 3371782অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  5. Wacharapluesadee S, Lumlertdacha B, Boongird K (২০০৫)। "Bat Nipah virus, Thailand"Emerging Infectious Diseases11 (12): 1949–51। ডিওআই:10.3201/eid1112.050613পিএমআইডি 16485487পিএমসি 3367639অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  6. Chua KB, Koh CL, Hooi PS (২০০২)। "Isolation of Nipah virus from Malaysian Island flying-foxes"। Microbes and Infection4 (2): 145–51। ডিওআই:10.1016/S1286-4579(01)01522-2পিএমআইডি 11880045 
  7. Lehlé C, Razafitrimo G, Razainirina J (২০০৭)। "Henipavirus and Tioman virus antibodies in pteropodid bats, Madagascar"Emerging Infectious Diseases13 (1): 159–61। ডিওআই:10.3201/eid1301.060791পিএমআইডি 17370536পিএমসি 2725826অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  8. Hayman DT, ও অন্যান্য (২০০৮)। Montgomery JM, সম্পাদক। "Evidence of henipavirus infection in West African fruit bats"PLOS ONE3 (7): 2739। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0002739পিএমআইডি 18648649পিএমসি 2453319অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2008PLoSO...3.2739H 
  9. Field, H; Young, P; Yob, JM; Mills, J; Hall, L; MacKenzie, J (২০০১)। "The natural history of Hendra and Nipah viruses"। Microbes and Infection3 (4): 307–14। ডিওআই:10.1016/S1286-4579(01)01384-3পিএমআইডি 11334748 
  10. Centers for Disease Control and Prevention (CDC) (৩০ এপ্রিল ১৯৯৯)। "Update: outbreak of Nipah virus—Malaysia and Singapore, 1999"Morbidity and Mortality Weekly Report48 (16): 335–7। পিএমআইডি 10366143 
  11. Lai-Meng Looi; Kaw-Bing Chua (২০০৭)। "Lessons from the Nipah virus outbreak in Malaysia" (পিডিএফ)The Malaysian Journal of Pathology29 (2): 63–67। ৩০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  12. "Nipah Virus (NiV) CDC"www.cdc.gov (ইংরেজি ভাষায়)। CDC। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮ 
  13. Bioterrorism Agents/Diseases. bt.cdc.gov
  14. Siva SR, Chong HT, Tan CT (২০০৯)। "Ten year clinical and serological outcomes of Nipah virus infection" (পিডিএফ)Neurology Asia14: 53–58। 
  15. "Spillover – Zika, Ebola & Beyond"pbs.orgPBS। ৩ আগস্ট ২০১৬। ১৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬ 
  16. Kieny, Marie-Paule। "After Ebola, a Blueprint Emerges to Jump-Start R&D"Scientific American Blog Network। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  17. "LIST OF PATHOGENS"World Health Organization। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  18. "Dobbs and the viral encephalitis outbreak" . Archived thread from the Malaysian Doctors Only BBS ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ এপ্রিল ২০০৬ তারিখে
  19. Chua KB, Chua BH, Wang CW (২০০২)। "Anthropogenic deforestation, El Niño and the emergence of Nipah virus in Malaysia"। The Malaysian Journal of Pathology24 (1): 15–21। পিএমআইডি 16329551 
  20. Chadha MS, Comer JA, Lowe L, Rota PA, Rollin PE, Bellini WJ, ও অন্যান্য (ফেব্রুয়ারি ২০০৬)। "Nipah virus-associated encephalitis outbreak, Siliguri, India"Emerging Infectious Diseases12 (2): 235–40। ডিওআই:10.3201/eid1202.051247পিএমআইডি 16494748পিএমসি 3373078অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  21. Eaton BT, Broder CC, Middleton D, Wang LF (জানুয়ারি ২০০৬)। "Hendra and Nipah viruses: different and dangerous"Nature Reviews. Microbiology4 (1): 23–35। এসটুসিআইডি 24764543ডিওআই:10.1038/nrmicro1323পিএমআইডি 16357858পিএমসি 7097447অবাধে প্রবেশযোগ্য |pmc= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  22. Chadha MS, Comer JA, Lowe L, Rota PA, Rollin PE, Bellini WJ, ও অন্যান্য (ফেব্রুয়ারি ২০০৬)। "Nipah virus-associated encephalitis outbreak, Siliguri, India"Emerging Infectious Diseases12 (2): 235–40। ডিওআই:10.3201/eid1202.051247পিএমআইডি 16494748পিএমসি 3373078অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  23. Hsu VP, Hossain MJ, Parashar UD, Ali MM, Ksiazek TG, Kuzmin I, ও অন্যান্য (ডিসেম্বর ২০০৪)। "Nipah virus encephalitis reemergence, Bangladesh"Emerging Infectious Diseases10 (12): 2082–7। ডিওআই:10.3201/eid1012.040701পিএমআইডি 15663842পিএমসি 3323384অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  24. "Nipah virus outbreaks in the WHO South-East Asia Region"South-East Asia Regional Office। WHO। ২৩ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৮ 
  25. Looi, Lai-Meng; Chua, Kaw-Bing (২০০৭)। "Lessons from the Nipah virus outbreak in Malaysia" (পিডিএফ)The Malaysian Journal of Pathology29 (2): 63–67। ৩০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  26. Looi, Lai-Meng; Chua, Kaw-Bing (২০০৭)। "Lessons from the Nipah virus outbreak in Malaysia" (পিডিএফ)The Malaysian Journal of Pathology29 (2): 63–67। ৩০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  27. Chadha MS, Comer JA, Lowe L (২০০৬)। "Nipah virus-associated encephalitis outbreak, Siliguri, India"Emerging Infectious Diseases12 (2): 235–40। ডিওআই:10.3201/eid1202.051247পিএমআইডি 16494748পিএমসি 3373078অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  28. Hsu VP, Hossain MJ, Parashar UD (২০০৪)। "Nipah virus encephalitis reemergence, Bangladesh"Emerging Infectious Diseases10 (12): 2082–7। ডিওআই:10.3201/eid1012.040701পিএমআইডি 15663842পিএমসি 3323384অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  29. ICDDR,B (২০০৫)। "Nipah virus outbreak from date palm juice"Health and Science Bulletin3 (4): 1–5। ১০ ডিসেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  30. ICDDR,B (২০০৭)। "Person-to-person transmission of Nipah infection in Bangladesh"Health and Science Bulletin5 (4): 1–6। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  31. ICDDR,B (২০০৮)। "Outbreaks of Nipah virus in Rajbari and Manikgonj"Health and Science Bulletin6 (1): 12–3। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  32. ICDDR,B (২০১০)। "Nipah outbreak in Faridpur District, Bangladesh, 2010"Health and Science Bulletin8 (2): 6–11। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  33. "Nipah virus outbreak: Death toll rises to 14 in Kerala, two more cases confirmed"indianexpress.com। ২৭ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২৯ 
  34. "Kozhikode on high alert as three deaths attributed to Nipah virus"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২০ 
  35. "Deadly Nipah virus claims victims in India"BBC News। ২১ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  36. "Kerala Govt Confirms Nipah Virus, 86 Under Observation"। New Delhi। ৪ জুন ২০১৯। ১৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯ 
  37. Sharma, Neetu Chandra (৪ জুন ২০১৯)। "Centre gears up to contain re-emergence of Nipah virus in Kerala"Mint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-০৭ 
  38. KochiJuly 23, Press Trust of India; July 23, 2019UPDATED; Ist, 2019 19:32। "Ernakulam district declared Nipah virus free, says Kerala health minister"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]