জিবুতির ভূগোল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিবুতির ভূগোল


মহাদেশআফ্রিকা
অঞ্চলআফ্রিকার শিং
আয়তন১৪৭ তম
 • মোট২৩,২০০ কিমি (৯,০০০ মা)
উপকূলরেখা৩১৪ কিমি (১৯৫ মা)
সীমানা৫৭৫ কিমি (৩৫৭ মা)
*  ইথিওপিয়া: ৩৯০ কিমি (২৪২ মা)
*  ইরিত্রিয়া: ১২৫ কিমি (৭৮ মা)
*  সোমালিয়া: ৬০ কিমি (৩৭ মা)
*  ইয়েমেন: (সমুদ্রসীমানা, বাব এল মান্দেব)
সর্বোচ্চ বিন্দুমূসা আলী
২,০২৮ মি (৬,৬৫৪ ফু)
সর্বনিম্ন বিন্দুআসাল হ্রদ
−১৫৫ মি (−৫০৯ ফু)
বৃহত্তম হ্রদআব্বে হ্রদ
ভূখণ্ডবেশিরভাগ পর্বতময় এবং আগ্নেয়

জিবুতি হর্ন অফ আফ্রিকার একটি শহর। এর উত্তরে ইরিত্রিয়া, পশ্চিমে ও দক্ষিণে ইথিওপিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্বে সোমালিয়া অবস্থিত। পূর্ব দিকে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরের উপকূলরেখা। বৃষ্টিপাত অনিয়মিতভাবে ঘটে এবং বেশিরভাগ অঞ্চলে অর্ধ্ব-শুষ্ক থেকে শুষ্ক পরিবেশ বিরাজ করে। আসাল হ্রদ একটি লবণাক্ত হ্রদ এবং এটি সমুদ্রতল থেকে ১৫৫ মিটার (৫০৯ ফুট) এর নিচে অবস্থিত, এটি আফ্রিকার সর্বনিম্ন বিন্দু এবং গ্যালিলি সাগর এবং মৃত সাগরের পরে পৃথিবীর তৃতীয় সর্বনিম্ন বিন্দু। জনসংখ্যায় জিবুতি আফ্রিকার পঞ্চম ক্ষুদ্রতম দেশ। জিবুতিয়ের প্রধান বসতিগুলির মধ্যে রয়েছে রাজধানী জিবুতি সিটি, বন্দর শহর তাদজৌরা এবং ওবক এবং দক্ষিণের শহর আলি সাবিহ এবং দিখিল। আয়তন অনুসারে এটি আফ্রিকার ৪৬তম দেশ এবং বিশ্বের ১৪৭ তম বৃহত্তম দেশ, এর মোট আয়তন ২৩,২০০ বর্গ কিমি (৯,০০০ বর্গ মাইল), এর মধ্যে ২৩,১৮০ বর্গ কিমি (৮,৯৫০ বর্গ মাইল) ভূমি এবং ২০ বর্গ কিমি (৭.৭ বর্গ মাইল) পানি।[১]

অবস্থান[সম্পাদনা]

জিবুতির ইরিত্রিয়ার সাথে ১২৫ কিলোমিটার (৭৮মাইল), ইথিওপিয়ার সাথে ৩৯০ কিলোমিটার (২৪০ মাইল) এবং সোমালিয়ার সাথে ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) (মোট ৫৭৫ কিমি বা ৩৫৭ মাইল) সীমান্ত রয়েছে। লোহিত সাগর এবং সুয়েজ খাল দিয়ে যাওয়ার পথে হর্ন অফ আফ্রিকা এবং বাব এল মান্দেবে এর একটি কৌশলগত অবস্থান রয়েছে। জিবুতির উপকূলরেখা আরব উপদ্বীপ এবং হর্ন অঞ্চলের অভ্যন্তরে বাণিজ্যিক প্রবেশদ্বার হিসাবে কাজ করে। দেশটি ইথিওপিয়ায় রেল চলাচলেরও শেষপ্রান্ত।

ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চল[সম্পাদনা]

জিবুতিকে তিনটি ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চলে ভাগ করা যায়

  1. উত্তরের পর্বতমালা
  2. গ্র্যান্ড বারা
  3. দক্ষিণের পর্বতমালা
গোদা পর্বতমালা

পর্বতমালা[সম্পাদনা]

মূসা আলী, গোদা পর্বতমালা এবং অ্যারেই পর্বতমালার সমন্বয়ে জিবুতিকে ঘিরে একটি বিশাল পর্বতমালা রয়েছে।

জিবুতিতে ১০০০ মিটার (৩,২৮১ ফুট) এর বেশি উচ্চতা বিশিষ্ট শৃঙ্গ সহ আটটি পর্বতশ্রেণী রয়েছে।[২]

  • ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়া সীমান্তে দীর্ঘতম চূড়া সহ মূসা আলী পর্বতশ্রেণীটি দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণী। এর উচ্চতম শৃঙ্গের উচ্চতা ২,০৬৩ মিটার।[২]
  • গোদা পর্বতমালা তাদজৌরা অঞ্চলের তাদজৌরা উপসাগরের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৭৮৩ মিটার (৫,৭৪০ ফুট) ওপরে উঠে গেছে এবং এটি দেশের বৃহত্তম গভীর উদ্ভিজ্জ অঞ্চল।
  • গারবি তাদজৌরাহ অঞ্চলের পশ্চিমের একটি পর্বত। এর উচ্চতম শৃঙ্গের উচ্চতা ১,৬৮০ মিটার (৫,৫১২ ফুট)।
  • অ্যারেই পর্বতমালা দক্ষিণ আলি সাবিহ অঞ্চলে অবস্থিত। পর্বতমালাটি সমুদ্রতল থেকে ১,৩০১ মিটার (৪,২৬৮ ফুট) পর্যন্ত উপরে উঠে গেছে এবং এটি ইথিওপিয়ার সীমান্তের নিকটে অবস্থিত।
  • মাবলা পর্বতমালা ওবক অঞ্চলে অবস্থিত। এটি সমুদ্রতল থেকে ১,৭৮০ মিটার (৫,৮৫০ ফুট) উপরে উঠে এসেছে, তাদজৌরা উপসাগরের উত্তর দিকে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরের মিলন স্থলের উপকূলীয় সমভূমির পিছনে পর্বতমালাটি অবস্থিত।
  • দাগুয়েন পর্বত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,১২৪ মিটার (৩,৬৮৮ ফুট) পর্যন্ত উচ্চতা বিশিষ্ট।
  • হেমেদ পর্বত দক্ষিণ-মধ্য জিবুতির আরতা অঞ্চলের পশ্চিম অংশের একটি পর্বত। এর সর্বোচ্চ চূড়াটি সমুদ্রতল থেকে ১,১০৩ মিটার (৩,৬১৯ ফুট) উচ্চতা বিশিষ্ট।
  • বৌরা পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা ১,০০৩ মিটার (৩,২৯১ ফুট)। এর ভূপ্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান অর্ধ-মরুভূমি ধরনের। এই পর্বতমালার উচ্চতা এবং আকার তার আবহাওয়াকে প্রভাবিত করার সাথে বৃষ্টিপাতের মাত্রা ব্যাপকভাবে পরিবর্তন এবং স্বতন্ত্র অঞ্চলের জলবায়ু পরিস্থিতি অংশীভূত করে।

গ্র্যান্ড বারা[সম্পাদনা]

গ্র্যান্ড বারা মরুভূমি

গ্র্যান্ড বারা মরুভূমি দক্ষিণ জিবুতির আরতা অঞ্চল, আলি সাবিহ অঞ্চল এবং দিখিল অঞ্চলের কিছু অংশ নিয়ে অবস্থিত। গ্র্যান্ড বারা মরুভূমির বেশিরভাগ অংশ ১,৭০০ ফুট (৫৬০ মিটার) এর কম অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতায় অবস্থিত। জনপ্রিয় গ্র্যান্ড বারা দৌড়প্রতিযোগিতার কেন্দ্র এটি।

উপকূল[সম্পাদনা]

জিবুতির বেশিরভাগ অংশকে ইথিওপীয় শুষ্ক তৃণভূমি এবং গুল্মভূমির পরিবেশগত অঞ্চল অংশ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ব্যতিক্রম হলো লোহিত সাগরের উপকূল সংলঘ্ন একটি ফালি যেটি ইরিত্রিয়ান উপকূলীয় মরুভূমির অংশ; এটি শিকারী পাখিদের গুরুত্বপূর্ণ অভিপ্রয়াণ পথ হিসাবে সুপরিচিত।[৩]

জিবুতির অঞ্চলের মানচিত্র।

জিবুতির অঞ্চলসমূহ[সম্পাদনা]

জিবুতির অঞ্চলসমূহের আয়তন নীচের সারণিতে দেওয়া হয়েছে।

জিবুতিতে বৃষ্টিপাত
ক্রম নাম আয়তন
দিখিল অঞ্চল ৭,২০০ বর্গ কিমি
তাদজৌরাহ অঞ্চল ৭,১০০ বর্গ কিমি
ওবক অঞ্চল ৪,৭০০ বর্গ কিমি
আলি সাবিহ অঞ্চল ২,২০০ বর্গ কিমি
আরতা অঞ্চল ১,৮০০ বর্গ কিমি
জিবুতি অঞ্চল ২০০ বর্গ কিমি

জলবায়ু[সম্পাদনা]

জিবুতির জলবায়ুতে খুব বেশি ঋতু পরিবর্তন হয় না। শীতকালীন বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি সারা বছর গরম পরিবেশ বিরাজ করে। উচ্চভূমি ব্যতীত দৈনিক সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৪১ °সেন্টিগ্রেড (৯০ থেকে ১০৬ ° ফারেনহাইট) পর্যন্ত হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ জিবুতি সিটিতে এপ্রিলের বিকেলে সর্বোচ্চ তাপামাত্রা সাধারণত ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৮২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৯৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত থাকে। জাতীয়ভাবে দৈনিক সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫৯ থেকে ৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) হয়ে থাকে। জলবায়ুর সর্বাধিক পরিসর পূর্ব জিবুতিতে দেখা যায় সেখানে জুলাই মাসে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে যায় এবং পার্বত্য অঞ্চলে ডিসেম্বরে তাপমাত্রা শূন্যের নীচে চলে যায়। এই অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত আর্দ্রতা মধ্য বিকেলে প্রায় ৪০% থেকে রাতে ৮৫% পর্যন্ত হয়, এটি ঋতু অনুসারে কিছুটা পরিবর্তিত হয়।

জিবুতির কোপেন জলবায়ুর ধরণ

জিবুতিতে প্রায় ৯,৮৮,০০ জন লোক বাস করে। জিবুতিতে গরম অর্ধ্ব-শুষ্ক জলবায়ু (বিএসএইচ) বা উষ্ণ মরু জলবায়ু (বিডব্লিউএইচ) রয়েছে, যদিও উচ্চতর উচ্চতায় তাপমাত্রা অনেকটাই সহনীয় থাকে। উপকূলীয় এলাকায় বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৫ ইঞ্চি (১৩১ মিমি) এরও কম হয়; উচ্চভূমিতে এটি প্রায় ৮ থেকে ১৬ ইঞ্চি (২০০ থেকে ৪০০ মিমি)। উপকূলীয় অঞ্চল সারা বছর গরম এবং আর্দ্র থাকলেও পশ্চাদ্ভূমি সাধারণত গরম এবং শুষ্ক থাকে। জলবায়ু পরিস্থিতি দেশব্যাপী অত্যন্ত পরিবর্তনশীল এবং উচ্চতা দ্বারা স্থানীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়। গ্রীষ্মকাল উপকূল বরাবর খুবই আর্দ্র তবে উচ্চভূমি শুষ্ক হয়ে থাকে। ঘন ঘন তাপ প্রবাহ ঘটে। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এক বছর থেকে অন্য বছরে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত পর্বতমালায় বৃষ্টিপাত প্রায়শই ঘন ঘন এবং ব্যাপকভাবে হয়। আকস্মিক এবং ভয়ঙ্কর ঝড়ও দেখা যায় বলে জানা যায়। ওয়াদি (নালা) গুলি কয়েক ঘণ্টাব্যাপী প্রচন্ড জলস্রোতে পরিণত হয় এবং তাদের যাত্রাপথের সব কিছু ছিন্নভিন্ন করে ফেলে এবং তাদের পথ দৃঢ় করে। বৃষ্টির পানি মৌসুমী জলপ্রণালীর পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ এবং উদ্ভিদের জন্য অতিরিক্ত পানি সরবরাহ করে। পার্বত্য অঞ্চলের সারা বছর নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে। বেশিরভাগ নিম্নভূমি অঞ্চলের জলবায়ু শুষ্ক এবং অর্ধ্ব-শুষ্ক হয়ে থাকে।

অভ্যন্তরীণ আবহাওয়া উপকূলরেখা থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হয়ে থাকে। বিশেষকরে আরতা, রান্দা এবং ডে-তে সকালের তাপমাত্রা মনোরম (যেখানে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে) হয়ে থাকে।

জিবুতির বিভিন্ন অবস্থানের জলবায়ু রেখাচিত্র[সম্পাদনা]

জিবুতি সিটি
জলবায়ু লেখচিত্র
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
১০
 
২৯
২২
 
 
১৯
 
২৯
২৩
 
 
২০
 
৩০
২৪
 
 
২৯
 
৩২
২৫
 
 
১৭
 
৩৫
২৭
 
 
০.১
 
৩৯
২৯
 
 
৬.২
 
৪২
৩১
 
 
৫.৬
 
৪১
৩১
 
 
৩.১
 
৩৭
২৯
 
 
২০
 
৩৩
২৬
 
 
২২
 
৩১
২৩
 
 
১১
 
২৯
২২
সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ এবং সর্বোনিম্ন গড়
মিলিমিটারে বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ
উৎস: ডয়েচার ওয়েটারডিয়েনস্ট
আরতা
জলবায়ু লেখচিত্র
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
৩০
 
২৫
১৫
 
 
২৭
 
২৬
১৭
 
 
২৬
 
২৭
১৮
 
 
৩০
 
২৮
২০
 
 
১৬
 
২৯
২১
 
 
 
৩৩
২৪
 
 
 
৩৬
২৬
 
 
২০
 
৩৬
২৫
 
 
১০
 
৩২
২৩
 
 
১২
 
২৮
২০
 
 
৪৩
 
২৭
১৮
 
 
১২
 
২৬
১৫
সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ এবং সর্বোনিম্ন গড়
মিলিমিটারে বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ
উৎস: লেভোয়াগের
হোলহোল
জলবায়ু লেখচিত্র
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
 
২৬
১৭
 
 
 
২৭
১৮
 
 
২৫
 
২৯
২০
 
 
৩৭
 
৩১
২১
 
 
১৪
 
৩৫
২৩
 
 
 
৩৯
২৬
 
 
১১
 
৩৯
২৮
 
 
৩৫
 
৩৬
২৮
 
 
২৯
 
৩৪
২৬
 
 
১৩
 
৩০
২২
 
 
 
২৮
১৯
 
 
 
২৭
১৭
সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ এবং সর্বোনিম্ন গড়
মিলিমিটারে বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ
উৎস: জলবায়ু-উপাত্ত
আলি সাবিহ
জলবায়ু লেখচিত্র
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
১৭
 
২৬
১৫
 
 
১৪
 
২৭
১৭
 
 
১৫
 
২৭
১৮
 
 
২১
 
২৮
২০
 
 
 
২৯
২১
 
 
 
৩৩
২৪
 
 
১৯
 
৩৬
২৫
 
 
৪৩
 
৩৬
২৫
 
 
৩৪
 
৩২
২৩
 
 
১০
 
২৮
২০
 
 
১৩
 
২৭
১৮
 
 
 
২৬
১৫
সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ এবং সর্বোনিম্ন গড়
মিলিমিটারে বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ
উৎস: জলবায়ু-উপাত্ত
দিখিল
জলবায়ু লেখচিত্র
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
 
২৭
১৭
 
 
 
২৭
১৯
 
 
১০
 
২৮
২০
 
 
২৮
 
২৮
২২
 
 
 
৩১
২৩
 
 
 
৩৬
২৬
 
 
২৯
 
৩৮
২৮
 
 
৪১
 
৩৮
২৭
 
 
৩৮
 
৩৪
২৬
 
 
 
২৯
২২
 
 
 
২৮
১৯
 
 
 
২৮
১৮
সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ এবং সর্বোনিম্ন গড়
মিলিমিটারে বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ
উৎস: জলবায়ু-উপাত্ত
এয়ারোলাফ
জলবায়ু লেখচিত্র
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
৩৪
 
২৪
 
 
৩৭
 
২৪
১০
 
 
৩৩
 
২৫
১২
 
 
৪৫
 
২৬
১৩
 
 
২৪
 
২৭
১৫
 
 
১৩
 
৩০
১৭
 
 
৪৯
 
৩১
১৯
 
 
৭০
 
৩১
১৮
 
 
৫৬
 
২৯
১৭
 
 
১৬
 
২৭
১৩
 
 
৩২
 
২৫
১১
 
 
২২
 
২৪
সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ এবং সর্বোনিম্ন গড়
মিলিমিটারে বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ
উৎস: জলবায়ু-উপাত্ত
আলাইলি দাদ্দা
জলবায়ু লেখচিত্র
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
১০
 
২৮
২০
 
 
১১
 
২৮
২০
 
 
১৩
 
৩০
২২
 
 
১১
 
৩২
২৩
 
 
 
৩৫
২৬
 
 
 
৩৭
২৮
 
 
১৩
 
৩৮
২৮
 
 
১৯
 
৩৭
২৭
 
 
১৭
 
৩৬
২৭
 
 
 
৩৩
২৪
 
 
১৪
 
৩০
২২
 
 
১২
 
২৮
২১
সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ এবং সর্বোনিম্ন গড়
মিলিমিটারে বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ
উৎস: জলবায়ু-উপাত্ত
ইয়োবোকি
জলবায়ু লেখচিত্র
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
 
৩০
২১
 
 
 
৩০
২২
 
 
 
৩২
২৪
 
 
১০
 
৩৪
২৫
 
 
 
৩৮
২৮
 
 
 
৪০
৩০
 
 
৪৫
 
৪০
২৮
 
 
৫৫
 
৩৯
২৮
 
 
২৬
 
৩৮
২৯
 
 
 
৩৫
২৫
 
 
 
৩২
২২
 
 
 
৩০
২১
সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ এবং সর্বোনিম্ন গড়
মিলিমিটারে বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ
উৎস: জলবায়ু-উপাত্ত

গ্রাফিক্যালি ঋতুগুলিকে নিম্নরূপ ভাবে দেখানো যেতে পারে:

মাস ডিসেম্বর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর
ঋতু শীতকাল|জিলাল গ্রীষ্মকাল/হাগা শীতকাল|জিলাল
তাপমাত্রা শীতল খুব গরম শীতল

উল্লেখযোগ্য স্থানের নির্বাচিত উচ্চতা[সম্পাদনা]

আলি সাবিহ থেকে দেখা অ্যারে পর্বতমালা
বউরা পর্বতমালার দক্ষিণ অংশ।
স্থান অঞ্চল উচ্চতা
(ফুট)
উচ্চতা
(মিটার)
মূসা আলী তাদজৌরাহ ৬,৬৩১ ২,০২৮
গোদা পর্বতমালা তাদজৌরাহ ৫,৮৪০ ১,৭৮০
গারবি তাদজৌরাহ ৫,৫১২ ১,৬৮০
ইয়াগুয়ের দিখিল ৪,৫২৪ ১,৩৭৯
মাবলা পর্বতমালা ওবক ৪,৫১১ ১,৩৭৫
অ্যারেই পর্বতমালা আলি সাবিহ ৪,২৬৮ ১,৩০১
দাগুইন পর্বত আলি সাবিহ ৩,৬৮৮ ১,১২৪
হেমেদ আরতা ৩,৬১৯ ১,১০৩
বৌরা পর্বতমালা আলি সাবিহ ৩,২৯১ ১,০০৩
আরতা পর্বতমালা আরতা ২,৪৭৭ ৭৫৫
আসাল হ্রদ তাদজৌরাহ  – ৫০৯  – ১৫৫

আসাল হ্রদ হলো আফ্রিকার সর্বনিম্ন বিন্দু।

সম্পদ এবং ভূমির ব্যবহার[সম্পাদনা]

আলি সাবিহ অঞ্চলে উট চরাণো হচ্ছে।

ভূমির ব্যবহার: আবাদী জমি: ০.১%
স্থায়ী চারণভূমি: ৭৩.৩%
বন: ০.২%
অন্যান্য: ২৬.৪% (২০১১)

সেচ সম্পন্ন ভূমি: ১০ কিমি (৩.৮৬ মা) (২০১২)

জিবুতিতে পানি[সম্পাদনা]

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে জিবুতিতে পানি দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে, যা বিভিন্ন বৃষ্টিপাতের ধরনের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে বিতরণের অকার্যকর পদ্ধতির দিকে পরিচালিত করে। জিবুতির বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত চার মাসে হয়, তবে জিবুতি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গত ২৫ বছরে ৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃষ্টিপাত হ্রাস পেয়েছে। ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে আগামী বছরগুলিতে উচ্চ তাপমাত্রা, কম বৃষ্টিপাত এবং দীর্ঘকালীন খরা থাকবে যার ফলে পানির সরবরাহ কমে যাবে। তদুপরি ভূগর্ভস্থ পানির অত্যধিক আহরণের কারণে সীমিত স্বাদু পানিতে লবনাক্ত পানির অবাঞ্ছিত প্রবেশ বা জীবাশ্ম লবণাক্ততার দূষণ ঘটে যা উপকূলরেখার নিকটবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারীদের প্রভাবিত করে।[৪]

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক শরণার্থী যোগ হওয়ায় জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রাকৃতিক সম্পদ[সম্পাদনা]

প্রচুর অপরিশোধিত তেল সমৃদ্ধ হর্ন অব আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় জিবুতির প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে আছে সম্ভাব্য ভূ-তাপীয় শক্তি, স্বর্ণ, কাদামাটি, গ্রানাইট, চুনাপাথর, মার্বেল, লবণ, ডায়াটোমাইট, জিপসাম, ঝামাপাথর, খনিজ তেল

পরিবেশ[সম্পাদনা]

প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে ভূমিকম্প, খরা এবং ভারত মহাসাগর থেকে উৎপন্ন অনিয়মিত ঘূর্ণিঝড় যা ভারী বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যা বয়ে নিয়ে আসে। প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে ভূ-তাপীয় শক্তি অন্তর্ভুক্ত। পানযোগ্য পানির অপ্রতুল সরবরাহ, সীমিত আবাদযোগ্য জমি ও মরুকরণ বর্তমান সমস্যা।

জিবুতি যে সকল আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তার মধ্যে রয়েছে জীববৈচিত্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, মরুকরণ, বিপন্ন প্রজাতি, সমুদ্র আইন, ওজোন স্তর সুরক্ষা, জাহাজের দূষণ এবং জলাভূমি সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি।

উপকূলরেখা[সম্পাদনা]

জিবুতির উপকূলবর্তী সীমান্ত।

জিবুতির প্রায় ৩১৪ কিলোমিটার (১৯৫ মাইল) উপকূলরেখা রয়েছে। উপকূলরেখার বেশিরভাগ অংশ সুগম এবং ভূগোল এবং আবাসস্থলগুলি বেশ বৈচিত্রময়।

খাঁড়ি[সম্পাদনা]

সামুদ্রিক স্বত্ব[সম্পাদনা]

  • আঞ্চলিক সমুদ্র এলাকা: ১২ নটিক্যাল মাইল (২২.২ কিমি; ১৩.৮ মা)
  • সংলগ্ন অঞ্চল: ২৪ নটিক্যাল মাইল (৪৪.৪ কিমি; ২৭.৬ মা)
  • একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল: ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০.৪ কিমি; ২৩০.২ মা)

মানবীয় ভূগোল[সম্পাদনা]

রাতের জিবুতির উপগ্রহ চিত্র।

২০১৫ সালের হিসাব অনুসারে জিবুতির জনসংখ্যা ৮ লক্ষ ৪৬ হাজার।

পরিসংখ্যানগত সুবিধার জন্য দেশেটিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে; জিবুতি সিটি (লোকসংখ্যা ৫,২৯,০০০), আলি সাবিহ (লোকসংখ্যা ৫৫,০০০), এবং দিখিল (লোকসংখ্যা ৫৪,০০০)। জিবুতির জনমিতি বৈচিত্রময়; জাতিগত ভাবে ৬০% সোমালি, ৩৫% আফার, এবং ৩% আরব। ধর্মের ক্ষেত্রে ৯৪% মুসলমান, ৬% খ্রিস্টান।

চরম বিন্দু[সম্পাদনা]

এটি জিবুতির চরম বিন্দুসমূহের একটি তালিকা, যে বিন্দুগুলি অন্য যে কোন স্থানের চেয়ে আরও উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব বা পশ্চিমে রয়েছে।

  • সর্ব উত্তরের বিন্দু – রস দোমেরা, ওবক অঞ্চল
  • সর্ব উত্তরের বিন্দু (মূল ভূখণ্ড) – যে জায়গাতে ইরিত্রিয়ার সাথে সীমানা লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে সেই বিন্দু, ওবক অঞ্চল
  • সর্ব পূর্বের বিন্দু – রাস বিরের উত্তরে লোহিত সাগরের উপকূলবর্তী নামহীন অংশ, ওবক অঞ্চল
  • সর্ব দক্ষিণের বিন্দু – আস এলা শহরের পশ্চিমে ইথিওপিয়া সীমান্তের সাথে নামহীন স্থান, দিখিল অঞ্চল
  • সর্ব পশ্চিমের বিন্দু – ইথিওপিয়া সীমান্তের ইথিওপীয় শহর আফাম্বোর কাছেই পূর্ব দিকে নামহীন স্থান, দিখিল অঞ্চল

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Djibouti"The World Factbook। CIA। এপ্রিল ১৬, ২০১৫। মে ৪, ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৫, ২০১৫ 
  2. Highest Mountains in Djibouti
  3. "Eritrean coastal desert"Terrestrial Ecoregions। World Wildlife Fund। 
  4. Awaleh, Mohamed Osman; Boschetti, Tiziano; Soubaneh, Youssouf Djibril; Kim, Yongje; Baudron, Paul; Kawalieh, Ali Dirir; Ahmed, Moussa Mahdi; Daoud, Mohamed Ahmed; Dabar, Omar Assowe; Kadieh, Ibrahim Houssein; Adiyaman, Özlem; Elmi, Sikie Abdillahi; Chirdon, Mahamoud Ali (২০১৮)। "Geochemical, multi-isotopic studies and geothermal potential evaluation of the complex Djibouti volcanic aquifer (Republic of Djibouti)"। Applied Geochemistry97: 301–321। ডিওআই:10.1016/j.apgeochem.2018.07.019