চেকেবা হাচেমি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চেকেবা হাচেমি
شکیبا هاشمی
জন্ম (1974-05-20) ২০ মে ১৯৭৪ (বয়স ৪৯)
কাবুল, আফগানিস্তান
জাতীয়তাআফগান

চেকেবা হাচেমি (দারি: شکیبا هاشمی‎; জন্ম ২০ মে, ১৯৭৪) হলেন একজন আফগান নারীবাদী এবং লেখক। ২০০১ সালে তিনি প্রথম আফগান নারী কূটনীতিক হিসেবে মনোনীত হন। তিনি এনজিও আফগানিস্তান লিব্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি।

শৈশব এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

চেকেবা হাচেমি ১৯৭৪ সালে কাবুলে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে সোভিয়েত আক্রমণের সময় তিনি তার নিজ দেশে চলে এসেছিলেন এবং ১১ বছর বয়সে ফ্রান্সে এসেছিলেন। তিনি প্যারিসের ইকোল সুপারিয়ার দে কমার্স বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেছেন।

নারী অধিকার কর্মী এবং কূটনীতিক[সম্পাদনা]

হাচেমি তালেবান শাসনের অধীনে আফগান মেয়ে এবং নারীদের অধিকারের অবনতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তান লিব্রে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আফগানিস্তান লিব্রের উদ্দেশ্য ছিল, আফগানিস্তানের গ্রামাঞ্চলে মেয়ে এবং নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের সুযোগ সুবিধা দেওয়া যাতে তারা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে এবং আফগানদের জীবনযাত্রার অবস্থা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করতে পারে। ১০ বছরের মধ্যে, সংগঠনটি দেশের একমাত্র মহিলা প্রকাশনা রোজ পত্রিকাও প্রকাশ করেছিল।

ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, চেকেবা হাচেমি আফগানিস্তানের জন্য অসংখ্য কর্মকান্ড চালাচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতাম: প্রচার প্রচারণা, কোম্পানিগুলোর সঙ্গে তদবির, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে তদবির (সেই সময় জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের সাথে কর্ম দল; আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাতে সম্মানিত অতিথি এবং জেনেভায় জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারে নারী দিবস পালন)।

আফগান সরকারের ক্রান্তিকালে প্রথম মহিলা কূটনীতিক হাচেমি, ২০০২ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আফগান দূতাবাসের প্রথম সচিব নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালের জুলাইয়ে সরকার তাকে কাবুলে জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলির দায়িত্বে উপ-রাষ্ট্রপতির বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করে। ২০০৭ সালের মার্চ মাসে, তিনি প্যারিসে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাইয়ের মন্ত্রী-উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে তিনি সরকারের ভিতরে চলমান দুর্নীতির নিন্দা জানিয়ে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

২০০৯ সালে, তিনি ফ্রান্সে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা উন্নীত করার জন্য মারি-ফ্রাঙ্কোয়া কলম্বানীর সাথে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইপোক কনসিল এবং সিএইচ কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠা করেন যা প্রতিষ্ঠানে নারীদের স্থান সংক্রান্ত সামাজিক প্রকল্পের অধ্যয়ন বিশেষ। লাক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডাচেসের কৌশল উপদেষ্টা হিসাবে, তিনি ২০১৯ সালে মার্চ মাসে লাক্সেমবার্গের ভঙ্গুর পরিবেশে যৌন সহিংসতার অবসান ঘটানোর[১] জন্য উই আর নট ওয়েপন ফর ওয়্যার[২] এবং দ্যনিস মুকওয়েগে ফাউন্ডেশন এর সাথে অংশীদারত্ব করে "স্ট্যান্ড, স্পিক, রাইজ আপ"[৩] এর সংগঠনে জড়িত হন, যা একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন।[৪]

লেখা[সম্পাদনা]

হাচেমি ইনসোলেন্তে দে কাবুল এর লেখক, এটি একটি স্মৃতিকথা যা ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়।[৫] তিনি ২০০৫ সালে প্রকাশিত সাদিকা মাসুদ এর সাথে পৌর অ্যামোউর দে মাসুদ এর সহ-লেখিকা।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Réunion de travail #StandSpeakRise avec Dr Mukwege et Céline Bardet | Cour grand-ducale"www.monarchie.lu (ফরাসি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৫ 
  2. "Accueil"www.notaweaponofwar.org (ফরাসি ভাষায়)। ২০২১-০১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৫ 
  3. "STAND SPEAK RISE UP!"web.archive.org। ২০১৯-০৪-০৫। Archived from the original on ২০১৯-০৪-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৫ 
  4. "Mukwege Foundation"Dr. Denis Mukwege Foundation (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৫ 
  5. Hachemi, Chékéba (২০১১)। L'insolente de Kaboul recit। Stephane Carrière। Paris: A. Carrière। আইএসবিএন 978-2-84337-570-5ওসিএলসি 801809355 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]