যুক্তরাজ্যে নারীদের ভোটাধিকার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

যুক্তরাজ্যে নারীদের ভোটাধিকারের জন্য লড়াইয়ের একটি আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ১৯১৮ ও ১৯২৮ সালে পার্লামেন্টের আইনের মাধ্যমে সফল হয়েছিল। ভিক্টোরীয় যুগে এটি একটি জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হয়। ১৮৩২ সালের সংস্কার আইন এবং ১৮৩৫ সালের পৌর কর্পোরেশন আইন পর্যন্ত গ্রেট ব্রিটেনে নারীদের ভোটদানে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়নি। ১৮৭২ সালে মহিলাদের ভোটাধিকারের জন্য লড়াই ন্যাশনাল সোসাইটি অফ উইমেনস সাফ্রেজ এবং পরবর্তীতে আরও প্রভাবশালী ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ উইমেনস ফ্রেজ সোসাইটিস (এনইউডব্লিউএসএস) গঠনের মাধ্যমে একটি জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হয়। ইংল্যান্ডের পাশাপাশি ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অংশে নারীদের ভোটাধিকার আন্দোলন বেগবান হয়। আন্দোলনগুলি ১৯০৬ সাল নাগাদ নারী ভোটাধিকারের পক্ষে মনোভাব পরিবর্তন করে। এই সময়েই নারী সামাজিক ও রাজনৈতিক ইউনিয়ন (ডব্লিউএসপিইউ) গঠনের মধ্য দিয়ে সংগ্রামী অভিযান শুরু হয়েছিল।[১]

১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের ফলে সংগ্রামী ভোটাধিকার প্রচার সহ দলীয় রাজনীতি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। নীরবে তদবির চলেছিল। ১৯১৮ সালে একটি জোট সরকার জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯১৮ পাস করে, যা ২১ বছরের বেশি বয়সের সমস্ত পুরুষদের পাশাপাশি ৩০ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত নারীরা যারা ন্যূনতম সম্পত্তির যোগ্যতা পূরণ করে তাদের ভোটাধিকার দেয়। এই আইনটি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় প্রায় সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের অন্তর্ভুক্ত করে ও নারীদের অন্তর্ভুক্তি শুরু করে, ৫.৬ মিলিয়ন পুরুষ[২] এবং ৮.৪ মিলিয়ন নারীর ভোটাধিকারকে বিস্তৃত করে।[৩] ১৯২৮ সালে রক্ষণশীল সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব (সমান ভোটাধিকার) আইন ১৯২৮ পাস করে ২১ বছরের বেশি বয়সী সকল ব্যক্তি, পুরুষ ও নারীর ভোটাধিকার সমান করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. See NUWSS.
  2. Harold L. Smith (১২ মে ২০১৪)। The British Women's Suffrage Campaign 1866–1928: Revised 2nd Edition। Routledge। পৃষ্ঠা 95। আইএসবিএন 978-1-317-86225-3 
  3. Martin Roberts (২০০১)। Britain, 1846–1964: The Challenge of Change। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 1। আইএসবিএন 978-0-19-913373-4