নিউজিল্যান্ডে নারীদের ভোটাধিকার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নিউজিল্যান্ডে নারীদের ভোটাধিকার ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয় ছিল। প্রারম্ভিক ঔপনিবেশিক নিউজিল্যান্ডে ইউরোপীয় সমাজের মতো নারীদের রাজনীতিতে যেকোন সম্পৃক্ততা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে জনমত পরিবর্তন হতে শুরু করে এবং কেট শেপার্ডের নেতৃত্বে নারী ভোটাধিকার প্রচারকদের বছরের পর বছর প্রচেষ্টার পর নিউজিল্যান্ড বিশ্বের প্রথম জাতি হয়ে ওঠে যেখানে সকল নারীর সংসদীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল।[১]

১৮৯৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর গভর্নর লর্ড গ্লাসগো নারীদের ভোটাধিকার প্রদানের নির্বাচনী বিলটিতে রাজকীয় সম্মতি প্রদান করেন। ১৮৯৩ সালের ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নারীরা প্রথমবারের মতো ভোট দিয়েছিলেন (মাওরি ভোটারদের জন্য নির্বাচন ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল)। এছাড়াও ১৮৯৩ সালে এলিজাবেথ ইয়েটস ওনহুঙ্গার মেয়র হন যা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কোথাও প্রথমবারের মতো কোনও নারী এই ধরনের পদ অধিষ্ঠিত হয়েছিল।[২]

একবিংশ শতাব্দীতে পুরুষের চেয়ে বেশি যোগ্য মহিলা ভোটার রয়েছে এবং মহিলারাও পুরুষদের তুলনায় বেশি হারে ভোট দেয়।[৩] যাইহোক, পুরুষ অ-ভোটারদের তুলনায় নারীদের একটি উচ্চ শতাংশ একটি বাধা অনুভব করে যা তাদের ভোট দিতে বাধা দেয়।[৪]

প্রাথমিক প্রচারণা[সম্পাদনা]

পলিনেশীয় সমাজ ও ইউরোপীয় অভিজাত সমাজে নারীরা বংশের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক পদমর্যাদা অর্জন করতে পেরেছিল। যাইহোক, পলিনেশীয় ও বর্ধিত মাওরি সমাজ ক্যারিশম্যাটিক নারীদের উল্লেখযোগ্য প্রত্যক্ষ প্রভাব রাখার ক্ষেত্রে পৃথক ছিল। মারে (সম্প্রদায়ের ঘর) কিছু সভায় নারীদের বক্তৃতা করার অক্ষমতার কারণে এটি সীমাবদ্ধ ছিল। ফলস্বরূপ, কিছু ইতিহাসবিদ ঔপনিবেশিকতাকে নিউজিল্যান্ডে নারীদের অধিকারের জন্য একটি অস্থায়ী পদক্ষেপ হিসাবে দেখেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Women and the vote: Introduction"New Zealand History। Women's Suffrage। New Zealand Ministry for Culture and Heritage। nd। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  2. Mogford, Janice C.। "Yates, Elizabeth 1840-1848?–1918"ডিকশনারি অব নিউজিল্যান্ড বায়োগ্রাফিমিনিস্ট্রি ফর কালচার এন্ড হেরিটেজ। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১১ 
  3. "Voting-age women outnumber men"archive.stats.govt.nz (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৬ 
  4. "Voting and political participation | Stats NZ"www.stats.govt.nz। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৬