রাজচন্দ্র বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''রাজ চন্দ্র বোস''' (১৯ জুন ১৯০১ - ৩১ অক্টোবর ১৯৮৭) ছিলেন একজন ভারতীয়-আমেরিকান গণিতবিদ ও পরিসংখ্যানবিদ।<ref name="indianetzone">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.indianetzone.com/43/raj_chandra_bose.htm|শিরোনাম=Raj Chandra Bose, Indian Mathematician|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=IndiaNetzone.com|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210211092102/https://www.indianetzone.com/43/raj_chandra_bose.htm|আর্কাইভের-তারিখ=2021-02-11|সংগ্রহের-তারিখ=2021-02-11}}</ref> তিনি বোস-মেসনার অ্যালজেব্রা, সমিতির পরিকল্পনা তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত। তিনি এস.এস. শ্রীকান্দি ও ই.টি. পার্কারের সাথে মিলে ল্যাটিন বর্গের ১৭৮২ সালের [[লিওনার্ট অয়লার]] অনুমানকে ভুল প্রমাণ করেন।
{{Infobox scientist

== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
রাজচন্দ্র বোস ভারতের [[মধ্যপ্রদেশ]] রাজ্যের [[হোশঙ্গাবাদ|হোশঙ্গাবাদে]] জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="history">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www-history.mcs.st-and.ac.uk/Biographies/Bose_Raj.html | শিরোনাম=Raj Chandra Bose | প্রকাশক=www-history.mcs.st-and.ac.uk | কর্ম=University of St Andrews, Scotland | তারিখ=March 2011 | সংগ্রহের-তারিখ=2013-05-21 | লেখক=J J O'Connor and E F Robertson}}</ref> তাঁর পিতা ডাক্তার প্রতাপচন্দ্র বসু ছিলেন [[চন্দননগর|চন্দননগরের]] খলসিনি অঞ্চলের বিখ্যাত বসু পরিবারের সন্তান। উনবিংশ শতকের শেষ এবং বিংশ শতকের শুরুর দিকে বাংলার বহু মানুষ পশ্চিম ও মধ্য ভারতে গিয়ে বসবাস শুরু করে। রাজচন্দ্র বসুর মাতা উশাঙ্গিনি মিত্রের পরিবারও মধ্যভারতে গিয়ে বসবাস করত। প্রতাপচন্দ্রের প্রথম স্ত্রী নিঃসন্তান মারা গেলে তিনি উশাঙ্গিনি দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।{{Infobox scientist
|name = রাজচন্দ্র বোস
|name = রাজচন্দ্র বোস
|image = রাজ চন্দ্র বোসের চিত্র.jpg
|image = রাজ চন্দ্র বোসের চিত্র.jpg
২৫ নং লাইন: ২৮ নং লাইন:
|signature =
|signature =
}}
}}
রাজচন্দ্র পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বড়ো ছিলেন। তিনি [[হরিয়ানা|হরিয়ানার]] [[রোহতক|রোহতকের]] একটি সরকারি বিদ্যালয় থেকে শিক্ষালাভ শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে তিনি [[দিল্লি|দিল্লির]] [[হিন্দু কলেজ, দিল্লি|হিন্দু কলেজে]] ভর্তি হন। সেই সময় তিনি [[ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস|ইনফ্লুয়েঞ্জায়]] আক্রান্ত হলে [[দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়|দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ভর্তির বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন না। হিন্দু কলেজে থাকাকালীন ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে তাঁর মা [[স্প্যানিশ ফ্লু|ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারীতে]] আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পরেও বোস ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে [[পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড়|পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় প্রথম হন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে বোসের বাবা একটি স্ট্রোকের কারণে মারা গেলে পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে তাঁকে নিজ শিক্ষার পাশাপাশি ভাইবোনদের পড়াশোনার দিকটাও লক্ষ্য রাখতে হয়। এই কঠিক দায়িত্বের মধ্যেও তিনি ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে গণিতে বি.এ. অনার্স এবং ব্যাবহারিক গণিতে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি [[কলকাতা|কলকাতায়]] আসেন এবং [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে বিশুদ্ধ গণিতে দ্বিতীয় এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://doi.org/10.1007/978-1-4613-8171-6_7|শিরোনাম=The Making of Statisticians|শেষাংশ=Bose|প্রথমাংশ=R. C.|তারিখ=1982|সম্পাদক-শেষাংশ=Gani|সম্পাদক-প্রথমাংশ=J.|প্রকাশক=Springer|অবস্থান=New York, NY|পাতাসমূহ=83–97|ভাষা=en|doi=10.1007/978-1-4613-8171-6_7|আইএসবিএন=978-1-4613-8171-6}}</ref>
'''রাজ চন্দ্র বোস''' (১৯ জুন ১৯০১ - ৩১ অক্টোবর ১৯৮৭) ছিলেন একজন ভারতীয়-আমেরিকান গণিতবিদ ও পরিসংখ্যানবিদ।<ref name="indianetzone">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.indianetzone.com/43/raj_chandra_bose.htm|শিরোনাম=Raj Chandra Bose, Indian Mathematician|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=IndiaNetzone.com|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210211092102/https://www.indianetzone.com/43/raj_chandra_bose.htm|আর্কাইভের-তারিখ=2021-02-11|সংগ্রহের-তারিখ=2021-02-11}}</ref> তিনি বোস-মেসনার অ্যালজেব্রা, সমিতির পরিকল্পনা তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত। তিনি এস.এস. শ্রীকান্দি ও ই.টি. পার্কারের সাথে মিলে ল্যাটিন বর্গের ১৭৮২ সালের [[লিওনার্ট অয়লার]] অনুমানকে ভুল প্রমাণ করেন।

== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
রাজচন্দ্র বোস ভারতের [[মধ্যপ্রদেশ]] রাজ্যের [[হোশঙ্গাবাদ|হোশঙ্গাবাদে]] জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="history">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www-history.mcs.st-and.ac.uk/Biographies/Bose_Raj.html | শিরোনাম=Raj Chandra Bose | প্রকাশক=www-history.mcs.st-and.ac.uk | কর্ম=University of St Andrews, Scotland | তারিখ=March 2011 | সংগ্রহের-তারিখ=2013-05-21 | লেখক=J J O'Connor and E F Robertson}}</ref> তাঁর পিতা ডাক্তার প্রতাপচন্দ্র বসু ছিলেন চন্দননগরের খলসিনি অঞ্চলের বিখ্যাত বসু পরিবারের সন্তান। উনবিংশ শতকের শেষ এবং বিংশ শতকের শুরুর দিকে বাংলার বহু মানুষ পশ্চিম ও মধ্য ভারতে গিয়ে বসবাস শুরু করে। রাজচন্দ্র বসুর মাতা উশাঙ্গিনি মিত্র এইধরনের পরিবারের মেয়ে ছিলেন। প্রতাপচন্দ্রের প্রথম স্ত্রী নিঃসন্তান মারা গেলে তিনি উশাঙ্গিনি দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রাজচন্দ্র পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বড়ো ছিলেন। ১৯১৮ সালে ইনফ্লুয়েন্জা রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মা মারা যান এবং দুইবছর পরে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে তার বাবাও হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এই দুঃসময়েও তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিশুদ্ধ গণিত বিষয়ে তার লেখাপড়া চালিয়ে যান। তিনি কলকাতার প্রফেসর শ্যামাদাশ মুখার্জীর তত্তাবধানে গণিত বিষয়ে গবেষণা করেন। এরপর তিনি কলকাতার অশোতোষ কলেজে লেকচারার হিসেবে তার শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন।


== কর্মজীবন ==
== কর্মজীবন ==

১১:৪৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রাজ চন্দ্র বোস (১৯ জুন ১৯০১ - ৩১ অক্টোবর ১৯৮৭) ছিলেন একজন ভারতীয়-আমেরিকান গণিতবিদ ও পরিসংখ্যানবিদ।[১] তিনি বোস-মেসনার অ্যালজেব্রা, সমিতির পরিকল্পনা তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত। তিনি এস.এস. শ্রীকান্দি ও ই.টি. পার্কারের সাথে মিলে ল্যাটিন বর্গের ১৭৮২ সালের লিওনার্ট অয়লার অনুমানকে ভুল প্রমাণ করেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

রাজচন্দ্র বোস ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের হোশঙ্গাবাদে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তাঁর পিতা ডাক্তার প্রতাপচন্দ্র বসু ছিলেন চন্দননগরের খলসিনি অঞ্চলের বিখ্যাত বসু পরিবারের সন্তান। উনবিংশ শতকের শেষ এবং বিংশ শতকের শুরুর দিকে বাংলার বহু মানুষ পশ্চিম ও মধ্য ভারতে গিয়ে বসবাস শুরু করে। রাজচন্দ্র বসুর মাতা উশাঙ্গিনি মিত্রের পরিবারও মধ্যভারতে গিয়ে বসবাস করত। প্রতাপচন্দ্রের প্রথম স্ত্রী নিঃসন্তান মারা গেলে তিনি উশাঙ্গিনি দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

রাজচন্দ্র বোস
রাজচন্দ্র বোস
জন্ম(১৯০১-০৬-১৯)১৯ জুন ১৯০১
মৃত্যু৩১ অক্টোবর ১৯৮৭(1987-10-31) (বয়স ৮৬)
ফোর্ট কলিন্স, কলোরাডো
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মাতৃশিক্ষায়তনকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণসমিতির পরিকল্পনা তত্ত্ব[১]
বোস-মেসনার অ্যালজেব্রা
লাতিন বর্গের উপর ইউলার এর অনুমান
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রগণিত
পরিসংখ্যান
প্রতিষ্ঠানসমূহকলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়
নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাপেল হিল

রাজচন্দ্র পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বড়ো ছিলেন। তিনি হরিয়ানার রোহতকের একটি সরকারি বিদ্যালয় থেকে শিক্ষালাভ শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে তিনি দিল্লির হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেই সময় তিনি ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন না। হিন্দু কলেজে থাকাকালীন ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে তাঁর মা ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পরেও বোস ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় প্রথম হন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে বোসের বাবা একটি স্ট্রোকের কারণে মারা গেলে পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে তাঁকে নিজ শিক্ষার পাশাপাশি ভাইবোনদের পড়াশোনার দিকটাও লক্ষ্য রাখতে হয়। এই কঠিক দায়িত্বের মধ্যেও তিনি ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে গণিতে বি.এ. অনার্স এবং ব্যাবহারিক গণিতে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় আসেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে বিশুদ্ধ গণিতে দ্বিতীয় এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন।[৩]

কর্মজীবন

১৯৩২ সালে রাজ চন্দ্র বোস ভারতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটে খন্ডকালীণ চাকুরে হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি ক্রমেইে এই ইনস্টিটিউটের প্রধান গণিতজ্ঞ হয়ে উঠেন। ১৯৩৫ সালে তিনি এই ইনস্টিটিউটের পূর্নকালীন অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৪০ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং ১৯৪৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৪৯ সালে রাজচন্দ্র বোস ক্যাপেল হিলের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন। তিনি ৭০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন।

গবেষণা

প্রশান্তচন্দ্র মহালনবিশ এবং সমোরেন্দ্রনাথ রায়ের সঙ্গে মিলে রাজ চন্দ্র বোস "multivariate বিশ্লেষণে" কাজ করেছেন। ১৯৩৮-৩৯ সালে রোনাল্ড ফিশার ভারত সফর করেন এবং "পরীক্ষা নকশা" সম্পর্কে রাজ চন্দ্র বোস সঙ্গে আলোচনা করেন ও কাজ করেন।

রচিত নিবন্ধ

আত্মজীবনী

  • J. Gani (ed) (1982) The Making of Statisticians, New York: Springer-Verlag.

This has a chapter in which Bose tells the story of his life.

  • J. K. Ghosh, S.K Mitra, and K. R. Parthasarathy (১৯৯২)। Glimpses of India's Statistical Heritage। Bombay: Wiley Eastern Ltd। 
  • Rudra, Ashok (১৯৯৬)। Prasanta Chandra Mahalanobis। Calcutta: Oxford University Press। 

তথ্যসূত্র

  1. "Raj Chandra Bose, Indian Mathematician"IndiaNetzone.com। ২০২১-০২-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১১ 
  2. J J O'Connor and E F Robertson (মার্চ ২০১১)। "Raj Chandra Bose"University of St Andrews, Scotland। www-history.mcs.st-and.ac.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২১ 
  3. Bose, R. C. (১৯৮২)। Gani, J., সম্পাদক। The Making of Statisticians (ইংরেজি ভাষায়)। New York, NY: Springer। পৃষ্ঠা 83–97। আইএসবিএন 978-1-4613-8171-6ডিওআই:10.1007/978-1-4613-8171-6_7 

বহিঃসংযোগ