পশুকামিতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
{{pp-move-indef}}
{{pp-move-indef}}
{{Use dmy dates|date=November 2012}}
{{Use dmy dates|date=November 2012}}
[[File:2014-01-26 Roman Oil Lamp with Erotic Motiv 09 anagoria.JPG|thumb|রোমান তেলের বাতি; যা পশুকামিতা মুলক আচরণকে চিত্রিত করেছে, 1st-3rd century A.D.]]
[[File:2014-01-26 Roman Oil Lamp with Erotic Motiv 09 anagoria.JPG|thumb|রোমান তেলের বাতি; যা পশুকামিতা মুলক আচরণকে চিত্রিত করেছে, ১ম-৩য় খ্রিষ্ঠাব্দ]]
[[File:Pan goat MAN Napoli Inv27709 n01.jpg|thumb|[[Pan (god)|প্যান]] ছাগলের সাথে যৌনক্রিয়া করছে, having sex with a goat, statue from [[Villa of the Papyri]], [[Herculaneum]], 1752]]
[[File:Pan goat MAN Napoli Inv27709 n01.jpg|thumb|[[Pan (god)|প্যান]] ছাগলের সাথে যৌনক্রিয়া করছে, [[Herculaneum|হারকিউলানিয়ামের]] [[Villa of the Papyri|পাপিরি ভিলাতে]] অবস্থিত ভাস্কর্য, 1752]]


'''পশুকামিতা''' ({{lang-en|Zoophilia}}) হচ্ছে এমন এক প্রকার [[paraphilia|যৌন বিকৃতি]] যেখানে মানুষ নয় এমন প্রাণীর সাথে মানুষের যৌন আকর্ষণ প্রকাশ পায়। '''পশ্বাচার''' ({{lang-en|Bestiality}}) হচ্ছে মানুষ এবং মানুষ নয় এমন প্রাণীর মধ্যে [[Cross-species sex|আন্তঃপ্রজাতি-যৌন কর্মকাণ্ড]] প্রায়সই পশ্বাচার এবং পশুকামিতা শব্দদ্বয়কে একে অপরের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কিছু গবেষক আকর্ষণ (পশুকামিতা) এবং যৌনক্রিয়া (পশ্বাচার) এর মধ্যে বিভাজন রেখা তৈরী করেছেন।<ref name="ranger">{{cite journal |last1 = Ranger |first1=R. |last2=Fedoroff |first2=P. | year = 2014 | title = Commentary: Zoophilia and the Law | journal = Journal of the American Academy of Psychiatry and the Law Online | volume = 42 | issue = 4 | pages = 421–426 | url = http://www.jaapl.org/content/42/4/421.full | pmid = 25492067}}</ref>
'''পশুকামিতা''' ({{lang-en|Zoophilia}}) হচ্ছে এমন এক প্রকার [[paraphilia|যৌন বিকৃতি]] যেখানে মানুষ নয় এমন প্রাণীর সাথে মানুষের যৌন আকর্ষণ প্রকাশ পায়। '''পশ্বাচার''' ({{lang-en|Bestiality}}) হচ্ছে মানুষ এবং মানুষ নয় এমন প্রাণীর মধ্যে [[Cross-species sex|আন্তঃপ্রজাতি-যৌন কর্মকাণ্ড]] প্রায়সই পশ্বাচার এবং পশুকামিতা শব্দদ্বয়কে একে অপরের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কিছু গবেষক আকর্ষণ (পশুকামিতা) এবং যৌনক্রিয়া (পশ্বাচার) এর মধ্যে বিভাজন রেখা তৈরী করেছেন।<ref name="ranger">{{cite journal |last1 = Ranger |first1=R. |last2=Fedoroff |first2=P. | year = 2014 | title = Commentary: Zoophilia and the Law | journal = Journal of the American Academy of Psychiatry and the Law Online | volume = 42 | issue = 4 | pages = 421–426 | url = http://www.jaapl.org/content/42/4/421.full | pmid = 25492067}}</ref>


যদিও প্রাণীর সাথে সঙ্গম কিছু দেশে [[Zoophilia and the law|নিষিদ্ধ]] নয়, কিন্তু বেশিরভাগ দেশেই [[cruelty to animals|প্রাণীর নির্যাতন]] আইন, [[buggery|পায়ুকামিতা মূলক আইন]] অথবা [[crime against nature|প্রকৃতিবিরুদ্ধ আইনে]] পশ্বাচার অবৈধ।
যদিও প্রাণীর সাথে সঙ্গম কিছু দেশে [[Zoophilia and the law|নিষিদ্ধ]] নয়, কিন্তু বেশিরভাগ দেশেই [[cruelty to animals|প্রাণীর নির্যাতন]] আইন, [[buggery|পায়ুকামিতা মূলক আইন]] অথবা [[crime against nature|প্রকৃতিবিরুদ্ধ আইনে]] পশ্বাচার অবৈধ।

==ঘটনার সীমা==
[[কিনসে প্রতিবেদন]] অনুসারে পুরুষদের মধ্যে ৮ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৩.৬ শতাংশ নিজের জীবনসীমার কোনো এক বিন্দুতে পশুর সাথে যৌন ক্রিয়া করেছে এবং দাবী করা হয়েছে, এদের মধ্যে ৪০-৬০ শতাংশ সেসব ব্যক্তির মধ্যে এ যৌনক্রিয়া দেখা গিয়েছে, যারা খামারের কাছে বসবাস করে,<ref name="deviance 391" /> কিন্তু পরবর্তীতে কিছু লেখক এই পরিসংখ্যানকে বাতিল করে দেন। তাদের মতে এখানে কারাবন্দীদের যে হিসাবটা নেওয়া হয়েছে সেখানে অসমঞ্জস্যতা আছে এবং এটি একপ্রকার [[নমুনা পক্ষপাত]]। [[Martin Duberman|মার্টিন ডোবারম্যান]] লিখেছেন কিন্দের গবেষণা সহকারী কারাগারের নমুনা এ পরিসংখ্যান থেকে অপসারণ করেছে।<ref>Richard Duberman: [http://www.kinseyinstitute.org/publications/duberman.html KinseyInstitute.org] {{webarchive |url=https://web.archive.org/web/20090111215816/http://www.kinseyinstitute.org/publications/duberman.html |date=11 January 2009 }}, Kinsey's Urethra ''The Nation,'' 3 November 1997, pp. 40–43. Review of ''Alfred C. Kinsey: A Public/Private Life.'' By James H. Jones.</ref>

খামারের পশুদের সাথে থাকার সুযোগ কমে গিয়ে, ১৯৭৪ সালের মধ্যে আমেরিকার খামার্ গুলোর জনসংখ্যা ১৯৪০ সালের তুলনায় ৮০ ভাগ কমে যায়। হান্টের ১৯৭৪ সালের গবেষণায় পাওয়া যায়, এই ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন ইঙ্গিত করে পশুকামিতার ঘটনাগুলোর এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের দিকে। ১৯৭৪ সালে পশুকামী পুরুষের সংখ্যা শতকরা ৪.৯ ভাগ ( ১৯৪৮ঃ শতকরা ৮.৩ ভাগ)।আর ১৯৭৪ সালে পশুকামী নারী শতকরা ১.৯ ভাগ ( ১৯৪৮ঃ শতকরা ৩.৬ ভাগ)। মিলেটস্কির বিশ্বাস পশুকামীতার হার কমে যাওয়ার পেছনে তাদের রুচির পরিবর্তন না, বরং সুযোগের অভাবই প্রধান কারণ হিসেবে আছে।<ref>Hunt 1974, cited and re-examined by Miletski (1999)</ref>

[[Nancy Friday|ন্যান্সি ফ্রাইডে]] তার বই [[female sexuality|ফিমেল সেক্সুয়ালিটি]], ''[[My Secret Garden|মাই সিক্রেট গার্ডেনে]]'', ভিন্ন ভিন্ন মহিলার ১৯০ টি উদ্ভট খেয়াল (ফ্যান্টাসি) নথিবদ্ধ করেন; যার মধ্যে ২৩ টি ছিল পশুকামী ক্রিয়াকলাপ।<ref>{{cite book|author=Nancy Friday|title=My Secret Garden|publisher=Simon and Schuster|edition=Revised|year=1998|isbn=978-0-671-01987-7|pages=180–185|chapter=What do women fantasize about? The Zoo|origyear=1973|url=https://books.google.com/?id=J9ZKmplu4agC&pg=PA180}}</ref>

একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সব রোগী মনোরোগ জনিত সমস্যায় ভুগছে তাদের মধ্যেই পশ্বাচারের প্রতি অধিক ঝুঁকে পড়েন (৫৫ শতাংশ)<!-- of reported bestiality, both actual sexual contacts (45 percent) and sexual fantasy (30 percent) than the control groups of medical in-patients (10 percent) and psychiatric staff (15 percent).--><ref name="psych">{{cite journal |pmid=1778686 |year=1991 |last1=Alvarez |first1=WA |last2=Freinhar |first2=JP |title=A prevalence study of bestiality (zoophilia) in psychiatric in-patients, medical in-patients, and psychiatric staff |volume=38 |issue=1–4 |pages=45–7 |journal=International Journal of Psychosomatics}}</ref> ক্রিপল্ট এবং কচর (১৯৮০) প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, তাদের জরিপের ৫.৩% পুরুষ বিষমকামী যৌনক্রিয়ার সময় প্রাণীর সাথে যৌনক্রিয়ার কথা কল্পনা করেন।<ref>{{cite journal |doi=10.1007/BF01542159 |title=Men's erotic fantasies |year=1980 |last1=Crépault |first1=Claude |last2=Couture |first2=Marcel |journal=Archives of Sexual Behavior |volume=9 |issue=6 |pages=565–81 |pmid=7458662}}</ref> ২০১৪ সালে একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে দেখা গিয়েছে, নারীদের ৩ শতাংশ এবং পুরুষদের ২ শতাংশ মানুষের মধ্যে প্রাণীর সাথে যৌনক্রিয়া করার খায়েশ রয়েছে।<ref>{{cite journal |last1 = Joyal |first1=C. C. |last2=Cossette |first2=A. |last3=Lapierre |first3=V. | year = 2014 | title = What Exactly Is an Unusual Sexual Fantasy? | journal = The Journal of Sexual Medicine | volume = 12 | issue = 2 | pages = 328–340 | doi=10.1111/jsm.12734|pmid=25359122 }}</ref> ১৯৮২ সালে ১৮৬ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর করা একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে দেখা গিয়েছে ৭.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রানীর সাথে যৌনক্রীয়ায় লিপ্ত হয়েছে।<ref>{{cite journal |pmid=7164870 |year=1982 |last1=Story |first1=MD |title=A comparison of university student experience with various sexual outlets in 1974 and 1980 |volume=17 |issue=68 |pages=737–47 |journal=Adolescence}}</ref>

{{anchor|Faunoiphilia}}
প্রাণীর যৌন ক্রিয়া দেখে আনন্দ পাওয়ার বিষয়টিকে বলা হয় ফনোফিলিয়া ({{lang-en|faunoiphilia}})।<ref>Aggrawal, Anil. [https://books.google.com/books?id=uNkNhPZQprcC&printsec=frontcover#v=onepage&q=faunoiphilia&f=false Forensic and medico-legal aspects of sexual crimes and unusual sexual practices]. CRC Press, 2008.</ref> ম্যাসেনের মতে(১৯৯৪) প্রাণীর যৌন ক্রিয়া দেখার প্রতি আগ্রহ এবং যৌন উত্তেজনা পরবর্তীতে পশুকামিতায় পরিবর্তিত হওয়ার এক অন্যতম নির্দেশক। ন্যান্সি ফ্রাইডে উল্লেখ করেন যৌনতা প্রসঙ্গে সামাজিক বাধা, বিচার ও সাংস্কৃতিক প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে যৌন আচরণ প্রদর্শন করার আনুষঙ্গিক উপাদান হিসেবে পশুকামিতা ব্যক্তির যৌন চাহিদায় রূপান্তরিত হতে পারে। মাস্টার (১৯৬২) বলেছেন, কিছু পতিতালয়ের নিয়ন্ত্রারা ইচ্ছা করেই পশুর সঙ্গমকে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে, যাতে করে সম্ভাব্য খরিদ্দাররা পশ্বাচারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পশ্বাচার ক্রিয়া করে।<ref name="watching">R.E.L. Masters: ''Forbidden Sexual behavior and Morality.'' New York, NY 1962, Lancer Books, Inc. (Section "Psychical bestiality").</ref>{{failed verification|Where in the book does it say that? I couldn't find that anywhere in the book, and I also dispute the credibility of that book|date=November 2013}}.
একাধিক গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, কোনো যৌন ক্রিয়া নেই এধরনের চলচ্চিত্রের তুলনায় [[Bonobo|বনবোর]] রতিক্রিয়া দেখায় এধরনের চলচ্চিত্র দেখে নারী যোনি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেয়।<ref>{{cite journal |doi=10.1037/0022-3514.93.6.1108 |title=Gender and sexual orientation differences in sexual response to sexual activities versus gender of actors in sexual films |year=2007 |last1=Chivers |first1=Meredith L. |last2=Seto |first2=Michael C. |last3=Blanchard |first3=Ray |journal=Journal of Personality and Social Psychology |volume=93 |issue=6 |pages=1108–21 |pmid=18072857}}</ref><ref>{{cite journal |doi=10.1016/j.biopsycho.2004.12.002 |title=A sex difference in features that elicit genital response |year=2005 |last1=Chivers |first1=Meredith L. |last2=Bailey |first2=J. Michael |journal=Biological Psychology |volume=70 |issue=2 |pages=115–20 |pmid=16168255}}</ref>

==স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা==
{{Main article|Zoonosis}}
প্রাণী থেকে মানুষে রোগ সংক্রমিত হওয়া কে বলা হয় [[Zoonosis|জুনোসিস]]। কিছু জুনোসিস সংক্রমিত হতে পারে সাধারণ সংস্পর্শে। তবে বেশিরভাগ জুনোসিস সংক্রমিত হয় [[বীর্য]], যোনি রস, [[urine|মূত্র]], [[saliva|লালা]], [[feces|বীষ্ঠা]] এবং প্রাণীর রক্ত স্থানান্তরের মাধ্যমে। জুনুসিসের কিছু উদাহরণ হলো [[Brucellosis|ব্রুসেলসিস]], [[Q fever|কিউ জ্বর]], [[leptospirosis|লেপ্টোস্পাইরোসিস]], and [[toxocariasis|টক্সোকারিয়াসিস]]। এছাড়াও, প্রাণীর সাথে যৌনাচারণস নানাবিধ বিপদের ঝুঁকি থাকে। প্রাণীর বীর্যের জন্য [[anaphylaxis|এনাফাইলাক্সিসের]] মত [[Allergy|এলার্জি প্রতিক্রিয়া]] দেখা যেতে পারে। অবলা প্রাণীর সাথে যৌনাচারণের সময় প্রাণীর কামড় সহ নানাবিধ সমস্যা দেখা যেতে পারে।


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১১:৪০, ৪ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

টেমপ্লেট:Use dmy dates

রোমান তেলের বাতি; যা পশুকামিতা মুলক আচরণকে চিত্রিত করেছে, ১ম-৩য় খ্রিষ্ঠাব্দ
প্যান ছাগলের সাথে যৌনক্রিয়া করছে, হারকিউলানিয়ামের পাপিরি ভিলাতে অবস্থিত ভাস্কর্য, 1752

পশুকামিতা (ইংরেজি: Zoophilia) হচ্ছে এমন এক প্রকার যৌন বিকৃতি যেখানে মানুষ নয় এমন প্রাণীর সাথে মানুষের যৌন আকর্ষণ প্রকাশ পায়। পশ্বাচার (ইংরেজি: Bestiality) হচ্ছে মানুষ এবং মানুষ নয় এমন প্রাণীর মধ্যে আন্তঃপ্রজাতি-যৌন কর্মকাণ্ড প্রায়সই পশ্বাচার এবং পশুকামিতা শব্দদ্বয়কে একে অপরের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কিছু গবেষক আকর্ষণ (পশুকামিতা) এবং যৌনক্রিয়া (পশ্বাচার) এর মধ্যে বিভাজন রেখা তৈরী করেছেন।[১]

যদিও প্রাণীর সাথে সঙ্গম কিছু দেশে নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু বেশিরভাগ দেশেই প্রাণীর নির্যাতন আইন, পায়ুকামিতা মূলক আইন অথবা প্রকৃতিবিরুদ্ধ আইনে পশ্বাচার অবৈধ।

ঘটনার সীমা

কিনসে প্রতিবেদন অনুসারে পুরুষদের মধ্যে ৮ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৩.৬ শতাংশ নিজের জীবনসীমার কোনো এক বিন্দুতে পশুর সাথে যৌন ক্রিয়া করেছে এবং দাবী করা হয়েছে, এদের মধ্যে ৪০-৬০ শতাংশ সেসব ব্যক্তির মধ্যে এ যৌনক্রিয়া দেখা গিয়েছে, যারা খামারের কাছে বসবাস করে,[২] কিন্তু পরবর্তীতে কিছু লেখক এই পরিসংখ্যানকে বাতিল করে দেন। তাদের মতে এখানে কারাবন্দীদের যে হিসাবটা নেওয়া হয়েছে সেখানে অসমঞ্জস্যতা আছে এবং এটি একপ্রকার নমুনা পক্ষপাতমার্টিন ডোবারম্যান লিখেছেন কিন্দের গবেষণা সহকারী কারাগারের নমুনা এ পরিসংখ্যান থেকে অপসারণ করেছে।[৩]

খামারের পশুদের সাথে থাকার সুযোগ কমে গিয়ে, ১৯৭৪ সালের মধ্যে আমেরিকার খামার্ গুলোর জনসংখ্যা ১৯৪০ সালের তুলনায় ৮০ ভাগ কমে যায়। হান্টের ১৯৭৪ সালের গবেষণায় পাওয়া যায়, এই ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন ইঙ্গিত করে পশুকামিতার ঘটনাগুলোর এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের দিকে। ১৯৭৪ সালে পশুকামী পুরুষের সংখ্যা শতকরা ৪.৯ ভাগ ( ১৯৪৮ঃ শতকরা ৮.৩ ভাগ)।আর ১৯৭৪ সালে পশুকামী নারী শতকরা ১.৯ ভাগ ( ১৯৪৮ঃ শতকরা ৩.৬ ভাগ)। মিলেটস্কির বিশ্বাস পশুকামীতার হার কমে যাওয়ার পেছনে তাদের রুচির পরিবর্তন না, বরং সুযোগের অভাবই প্রধান কারণ হিসেবে আছে।[৪]

ন্যান্সি ফ্রাইডে তার বই ফিমেল সেক্সুয়ালিটি, মাই সিক্রেট গার্ডেনে, ভিন্ন ভিন্ন মহিলার ১৯০ টি উদ্ভট খেয়াল (ফ্যান্টাসি) নথিবদ্ধ করেন; যার মধ্যে ২৩ টি ছিল পশুকামী ক্রিয়াকলাপ।[৫]

একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সব রোগী মনোরোগ জনিত সমস্যায় ভুগছে তাদের মধ্যেই পশ্বাচারের প্রতি অধিক ঝুঁকে পড়েন (৫৫ শতাংশ)[৬] ক্রিপল্ট এবং কচর (১৯৮০) প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, তাদের জরিপের ৫.৩% পুরুষ বিষমকামী যৌনক্রিয়ার সময় প্রাণীর সাথে যৌনক্রিয়ার কথা কল্পনা করেন।[৭] ২০১৪ সালে একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে দেখা গিয়েছে, নারীদের ৩ শতাংশ এবং পুরুষদের ২ শতাংশ মানুষের মধ্যে প্রাণীর সাথে যৌনক্রিয়া করার খায়েশ রয়েছে।[৮] ১৯৮২ সালে ১৮৬ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর করা একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে দেখা গিয়েছে ৭.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রানীর সাথে যৌনক্রীয়ায় লিপ্ত হয়েছে।[৯]

প্রাণীর যৌন ক্রিয়া দেখে আনন্দ পাওয়ার বিষয়টিকে বলা হয় ফনোফিলিয়া (ইংরেজি: faunoiphilia)।[১০] ম্যাসেনের মতে(১৯৯৪) প্রাণীর যৌন ক্রিয়া দেখার প্রতি আগ্রহ এবং যৌন উত্তেজনা পরবর্তীতে পশুকামিতায় পরিবর্তিত হওয়ার এক অন্যতম নির্দেশক। ন্যান্সি ফ্রাইডে উল্লেখ করেন যৌনতা প্রসঙ্গে সামাজিক বাধা, বিচার ও সাংস্কৃতিক প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে যৌন আচরণ প্রদর্শন করার আনুষঙ্গিক উপাদান হিসেবে পশুকামিতা ব্যক্তির যৌন চাহিদায় রূপান্তরিত হতে পারে। মাস্টার (১৯৬২) বলেছেন, কিছু পতিতালয়ের নিয়ন্ত্রারা ইচ্ছা করেই পশুর সঙ্গমকে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে, যাতে করে সম্ভাব্য খরিদ্দাররা পশ্বাচারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পশ্বাচার ক্রিয়া করে।[১১][যাচাইকরণ ব্যর্থ হয়েছে]. একাধিক গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, কোনো যৌন ক্রিয়া নেই এধরনের চলচ্চিত্রের তুলনায় বনবোর রতিক্রিয়া দেখায় এধরনের চলচ্চিত্র দেখে নারী যোনি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেয়।[১২][১৩]

স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা

প্রাণী থেকে মানুষে রোগ সংক্রমিত হওয়া কে বলা হয় জুনোসিস। কিছু জুনোসিস সংক্রমিত হতে পারে সাধারণ সংস্পর্শে। তবে বেশিরভাগ জুনোসিস সংক্রমিত হয় বীর্য, যোনি রস, মূত্র, লালা, বীষ্ঠা এবং প্রাণীর রক্ত স্থানান্তরের মাধ্যমে। জুনুসিসের কিছু উদাহরণ হলো ব্রুসেলসিস, কিউ জ্বর, লেপ্টোস্পাইরোসিস, and টক্সোকারিয়াসিস। এছাড়াও, প্রাণীর সাথে যৌনাচারণস নানাবিধ বিপদের ঝুঁকি থাকে। প্রাণীর বীর্যের জন্য এনাফাইলাক্সিসের মত এলার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। অবলা প্রাণীর সাথে যৌনাচারণের সময় প্রাণীর কামড় সহ নানাবিধ সমস্যা দেখা যেতে পারে।

তথ্যসূত্র

  1. Ranger, R.; Fedoroff, P. (২০১৪)। "Commentary: Zoophilia and the Law"Journal of the American Academy of Psychiatry and the Law Online42 (4): 421–426। পিএমআইডি 25492067 
  2. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; deviance 391 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  3. Richard Duberman: KinseyInstitute.org ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে, Kinsey's Urethra The Nation, 3 November 1997, pp. 40–43. Review of Alfred C. Kinsey: A Public/Private Life. By James H. Jones.
  4. Hunt 1974, cited and re-examined by Miletski (1999)
  5. Nancy Friday (১৯৯৮) [1973]। "What do women fantasize about? The Zoo"। My Secret Garden (Revised সংস্করণ)। Simon and Schuster। পৃষ্ঠা 180–185। আইএসবিএন 978-0-671-01987-7 
  6. Alvarez, WA; Freinhar, JP (১৯৯১)। "A prevalence study of bestiality (zoophilia) in psychiatric in-patients, medical in-patients, and psychiatric staff"। International Journal of Psychosomatics38 (1–4): 45–7। পিএমআইডি 1778686 
  7. Crépault, Claude; Couture, Marcel (১৯৮০)। "Men's erotic fantasies"। Archives of Sexual Behavior9 (6): 565–81। ডিওআই:10.1007/BF01542159পিএমআইডি 7458662 
  8. Joyal, C. C.; Cossette, A.; Lapierre, V. (২০১৪)। "What Exactly Is an Unusual Sexual Fantasy?"। The Journal of Sexual Medicine12 (2): 328–340। ডিওআই:10.1111/jsm.12734পিএমআইডি 25359122 
  9. Story, MD (১৯৮২)। "A comparison of university student experience with various sexual outlets in 1974 and 1980"। Adolescence17 (68): 737–47। পিএমআইডি 7164870 
  10. Aggrawal, Anil. Forensic and medico-legal aspects of sexual crimes and unusual sexual practices. CRC Press, 2008.
  11. R.E.L. Masters: Forbidden Sexual behavior and Morality. New York, NY 1962, Lancer Books, Inc. (Section "Psychical bestiality").
  12. Chivers, Meredith L.; Seto, Michael C.; Blanchard, Ray (২০০৭)। "Gender and sexual orientation differences in sexual response to sexual activities versus gender of actors in sexual films"। Journal of Personality and Social Psychology93 (6): 1108–21। ডিওআই:10.1037/0022-3514.93.6.1108পিএমআইডি 18072857 
  13. Chivers, Meredith L.; Bailey, J. Michael (২০০৫)। "A sex difference in features that elicit genital response"। Biological Psychology70 (2): 115–20। ডিওআই:10.1016/j.biopsycho.2004.12.002পিএমআইডি 16168255 

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Zoophilia