সিডনি চ্যাপলিন
সিডনি চ্যাপলিন | |
---|---|
Sydney Chaplin | |
জন্ম | সিডনি জন হিল ১৬ মার্চ ১৮৮৫ লন্ডন, যুক্তরাজ্য |
মৃত্যু | ১৬ এপ্রিল ১৯৬৫ | (বয়স ৮০)
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯০৫–১৯২৯ |
দাম্পত্য সঙ্গী | মিনি (বি. বিচ্ছেদ ১৯৩৬) হেনরিয়েত্তে (জিপসি) (বি. বিচ্ছেদ ১৯৯২) |
পিতা-মাতা | হান্নাহ হিল (মাতা) |
আত্মীয় | দেখুন চ্যাপলিন পরিবার |
সিডনি জন "সিড" চ্যাপলিন (ইংরেজি: Sidney Chaplin; ১৬ মার্চ, ১৮৮৫ - ১৬ এপ্রিল, ১৯৬৫) ছিলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা। দ্য বেটার ওল তার অভিনীত অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র। তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিনের বড় ভাই এবং তার ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সিডনি আর্ল চ্যাপলিনের চাচা, যার নামকরণ করা হয় তার নামানুসারে।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]সিডনি জন হিল ১৮৮৫ সালের ১৬ মার্চ লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা হান্নাহ হিলের বয়স ছিল তখন ১৯ বছর। হান্নাহ দাবী করেন যে তার পিতার নাম সিডনি হক্স, কিন্তু তার পিতার পরিচয় জানা যায় নি। তার জন্মের তিন মাস পর তার মাতা চার্লস চ্যাপলিন সিনিয়রকে বিয়ে করেন এবং তার উপনাম চ্যাপলিন রাখা হয়। সিডনি ও তার ছোট ভাই চার্লি দুজনে একসাথে হ্যানওয়েলের কুকু স্কুলে পড়াশুনা করতেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সিডনি ১৯০৬ সালে ফ্রেড কার্নো কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ১৯০৮ সালের মধ্যে তারকা খ্যাতি লাভ করেন।[১] তার ছোট ভাই চ্যাপলিন তার মাধ্যমে এই কোম্পানি যোগ দেয় এবং পরবর্তীতে তারা আমেরিকা সফরে যায়। চার্লি কিস্টোনে যোগ দেওয়ার পর তাকেও সেখানে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। সিডনি ও তার স্ত্রী মিনি ১৯১৪ সালের অক্টোবরে ক্যালিফোর্নিয়া যান। তিনি সেখানে কয়েকটি হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আ সাবমেরিন পাইরেট এবং টিলিস পাঙ্কচার্ড রোম্যান্স, যা সফল হয়।
এই সফলতার ধারাবাহিকতায় সিডনি চার্লির জন্য ভাল কোম্পানি পাওয়ার জন্য পর্দায় অভিনয় ছেড়ে দেন। ১৯১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চার্লির জন্য তিনি মিউচুয়াল ফিল্মের সাথে ৫০০,০০০ মার্কিন ডলারের চুক্তি করেন, এবং পরে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ১৯১৭ সালের ১৭ জুন ফার্স্ট ন্যাশনালের সাথে চার্লির জন্য ১.২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেন।[২] পরবর্তীতে তিনি চার্লির ব্যবসায়িক বিষয়াবলী তাদারকি শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি ফার্স্ট ন্যাশনালের পে ডে (১৯২২) ও দ্য পিলগ্রিম (১৯২৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯১৯ সালে নিজেও ফ্যামাস প্লেয়ার্স-লাস্কির সাথে মিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। কিন্তু কিছু সমস্যা কারণে তিনি সফল হতে পারেন নি এবং অসফল কিং, কুইন, জোকার (১৯২১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে তিনি কলিন মুরের সাথে দ্য পারফেক্ট ফ্ল্যাপার (১৯২৪), এবং আ ক্রিস্টি কমেডি ও চার্লিস আন্ট (১৯২৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি ওয়ার্নার ব্রস. পিকচার্সের পাঁচটি চলচ্চিত্র, দ্য ম্যান অন দ্য বক্স (১৯২৫), ওহ, হোয়াট আনার্স! (১৯২৬), দ্য বেটার ওল (১৯২৬), দ্য মিসিং লিংক (১৯২৭), এবং দ্য ফরচুন হান্টার (১৯২৭) এ অভিনয় করেন। দ্য বেটার ওল ছিল তার সেরা চলচ্চিত্র, কারণ এতে তিনি কার্টুনিস্ট ব্রুস বাইর্ন্সফাদারের বিখ্যাত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের চরিত্র ওল্ড বিল ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং এটি ছিল ওয়ার্নার ব্রাদার্সের দ্বিতীয় ভিটাফোন সঙ্গীতযুক্ত চলচ্চিত্র।[৩]
ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল পিকচার্সের সাথে সিডনির প্রথম চলচ্চিত্র আ লিটল বিট অব ফ্লাফ ছিল তার শেষ চলচ্চিত্র। ১৯২৯ সালে তিনি এই স্টুডিওর সাথে তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র মামিং বার্ডস চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেন। তার সহ-অভিনেত্রী মলি রাইট সিডনির বিরুদ্ধে তার স্তনবৃন্তে কামড় দেওয়ার অভিযোগ করেন।[৪] স্টুডিও রাইটের অভিযোগ খতিয়ে দেখে যে তার অভিযোগ সত্য।[৪] এই কেলেঙ্কারির পর তিনি ইংল্যান্ড ছেড়ে যান এবং আর কিছু অনাদায়ী কর রয়ে যায়।[৪] ১৯৩০ সালে তাকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়।[৪]
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
[সম্পাদনা]রিচার্ড অ্যাটেনব্রোর চ্যাপলিন চলচ্চিত্রে তার কিশোর বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেন নিকোলাস গ্যাট এবং প্রাপ্তবয়স্ক চরিত্রে অভিনয় করেন পল রাইস। এতে চার্লির সাথে তার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক চিত্রায়িত করা হয়।
চলচ্চিত্রের তালিকা
[সম্পাদনা]- কিং, কুইন, জোকার (১৯২১)
- পে ডে (১৯২২)
- দ্য পিলগ্রিম (১৯২৩)
- হার টেম্পোরারি হাসবেন্ড (১৯২৩)
- দ্য ম্যান অন দ্য বক্স (১৯২৫)
- ওহ, হোয়াট আনার্স! (১৯২৬)
- দ্য বেটার ওল (১৯২৬)
- দ্য মিসিং লিংক (১৯২৭)
- দ্য ফরচুন হান্টার (১৯২৭)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Robinson.
- ↑ "Charlie Chaplin"। Cobbles.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ Eyman, Scott. The Speed of Sound: Hollywood and the Talkie Revolution 1926–1930
- ↑ ক খ গ ঘ Sweet, Matthew। "A Life in Full:The Other Chaplin"। দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Robinson, David (১৯৮৬) [১৯৮৫]। চ্যাপলিন: হিজ লাইফ অ্যান্ড আর্ট (ইংরেজি ভাষায়)। London: Paladin। আইএসবিএন 0-586-08544-0।
- Stein, Lisa K. (২০১০)। Syd Chaplin: A Biography (ইংরেজি ভাষায়)। McFarland। আইএসবিএন 0-7864-6035-0।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে সিডনি চ্যাপলিন (ইংরেজি)
- সিডনি চ্যাপলিনকে উৎসর্গীকৃত ওয়েবসাইট
- সিডনি চ্যাপলিনের জীবনী
- সিডনি চ্যাপলিন - ভার্চুয়াল হিস্ট্রি