সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন, পটুয়াখালী
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০১৭ |
---|---|
সদরদপ্তর | ঢাকা , বাংলাদেশ |
পণ্যসমূহ | টেলিযোগাযোগ সেবা, সাবমেরিন ক্যাবল অপারেটর, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আই আই জি), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার (আই এস পি) |
ওয়েবসাইট | www |
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন, পটুয়াখালী বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) এর নিয়ন্ত্রণাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের একটি মূল টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী সংস্থা। এটি বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল অপারেটর এর দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। [১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আত্নপ্রকাশ করে। বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানী লিমিটেড সি-মি-উই ৪ এবং সি-মি-উই ৫ নামক দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেবল কনসোর্টিয়ামের সদস্য। যা বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে। সি-মি-উই ৪ এবং সি-মি-উই ৫ কেবলদ্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে। সি-মি-উই ৪ এর জন্য বিএসসিসিএল-এর কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে কক্সবাজারে। সি-মি-উই ৫ এর জন্য বিএসসিসিএল-এর এই ল্যান্ডিং স্টেশনটি স্থাপন করা হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতে [২][৩][৪][৫][৬][৭][৮] ১৯টি দেশের টেলিযোগাযোগ সংস্থার সম্মেলনে গঠিত সাউথ ইস্ট এশিয়া-মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের অধীনে জাপানের এনইসি ও ফ্রান্সের অ্যালকাটেল লুসেন্ট ২০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এ কেব্লটি নির্মাণ করছে। কুয়াকাটা সৈকত থেকে একটি ব্রাঞ্চ বা শাখা কেব্লের মাধ্যমে মূল কেব্লে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে।[৯] ২০১৩ সালে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা মাইটভাঙ্গা গ্রামে ১০ একর আয়তনের ভূমি নিয়ে ৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এই দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি। প্রকল্পটির কাজ সমাপ্তির পর ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয়। গভীর সাগরের নিচ দিয়ে ইউরোপ থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে ২৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল লাইন বঙ্গোপসাগরের উপকূলে হয়ে কুয়াকাটার এই স্টেশনের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়।[১] এই ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি)-র মাধ্যমে ১৫শ’ গিগাবাইট পার সেকেন্ড ডাটা আদার প্রদান করা হয়ে থাকে।[১০]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]- সাবমেরিন কমিউনিকেশন্স কেবল
- বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড
- বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ
- বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানী লিমিটেড
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী"। Bangla Tribune। ১৭ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "Article: State-owned BSCCL keen to run new cable link.(NEW CABLES)"। Submarine Fiber Optic Communications। জানুয়ারি ১, ২০০৯। ৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ "BTTB, BSCCL turned into public ltd cos"। The New Nation। ১ জুলাই ২০০৮। ২৯ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ "দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল"। ৬ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "কুয়াকাটা থেকে ইন্টারনেট সেবা ছড়িয়ে পড়ল বাংলাদেশে"। ১৩ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযোগ উদ্বোধন"। ১২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযোগ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা"।
- ↑ "কম দামে পাওয়া যাবে ইন্টারনেট সুবিধা"।
- ↑ "দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপন শেষের পথে"। দৈনিক প্রথম আলো।
- ↑ "দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন উদ্বোধন"।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |