সাবমেরিন কমিউনিকেশন্স ক্যাবল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(সাবমেরিন কমিউনিকেশন্স কেবল থেকে পুনর্নির্দেশিত)
একটি আধুনিক সাবমেরিন কমিউনিকেশন ক্যাবলের তীর-প্রান্তের একটি ক্রস বিভাগ।


    পলিথিন
    মায়লার ফিতা
     – আটকে থাকা ইস্পাত তার
    অ্যালুমিনিয়াম পানি প্রতিবন্ধক
    পলিকার্বোনেট
    তামা অ্যালুমিনিয়াম টিউব
    পেট্রোলিয়াম জেলি
    অপটিক্যাল ফাইবার সমূহ

অরেঞ্জ মেরিন দ্বারা পরিচালিত আধুনিক রেনে দেকার্ত [fr] এর মতো বিশেষ ক্যাবল স্তর জাহাজ ব্যবহার করে সাবমেরিন কেবলগুলি স্থাপন করা হয়।

সাবমেরিন কমিউনিকেশন্স ক্যাবল বা সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেম, এমন ধরনের সিস্টেম যা সমুদ্রের নিচ দিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে টেলিযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে। ১৮৫০-এর দশকে প্রথম সাবমেরিন কমিউনিকেশন ক্যাবল টেলিগ্রাফি ট্র্যাফিক বহন করে মহাদেশগুলির মধ্যে প্রথম তাৎক্ষণিক টেলিযোগাযোগ সংযোগ স্থাপন করেছিল যেমন প্রথম ট্রান্সআটলান্টিক টেলিগ্রাফ ক্যাবল যা ১৮৫৮ সালের ১৬ আগস্ট কার্যকর হয়েছিল।

এটি একটি ভিন্নধর্মী টেলিযোগাযোগ মাধ্যম। রেডিও ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে ইথারে ছুঁড়ে দেয়া তথ্য আয়নোস্ফিয়ার হয়ে আমাদের কাছে ফেরত আসে। সাধারণত দ্রুত যোগাযোগের জন্য খুঁটির মাধ্যমে তার স্থাপন করা হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে সম্ভব। কিন্তু মহাদেশ থেকে মহাদেশে যোগাযোগের জন্য সমুদ্রের নিচ দিয়ে তারের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়। গভীরতার সাথে তুলনা করতে গিয়েই সাবমেরিনের সাথে মিল রেখে নাম দেয়া হয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

গতানুগতিক মহাকাশের স্যাটেলাইট যোগাযোগ পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে সাগরতল দিয়ে একদেশ দেশ থেকে আরেক দেশ কিংবা এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে পর্যন্ত যে বিস্তৃত অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে তাকে আমরা সাবমেরিন ক্যাবল বলে থাকি ৷ মূলত সাগরতল বা সাবমেরিন থেকেই এই ক্যাবলটির নামকরণ হয়েছে ৷ ১৮৫০ সালে সর্বপ্রথম ফরাসী সরকার এই ধরনের ক্যাবল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল যা ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডের মধ্যেকার ইংলিশ চ্যানেলের তল দিয়ে দুই দেশের টেলিগ্রাফ সংযোগের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল, যদিও প্রথম চেষ্টায় তা বিফল হয়েছিল ৷ পরবর্তিতে ১৮৫৩ সালে সফলভাবে স্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল ৷ ঐসময় যদিও কপার এর তার ব্যবহৃত হত তবে বর্তমান সময়ের সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবস্থায় আমরা অপটিক্যাল ফাইবার বা আলোক তন্তুর বহুল ব্যবহার দেখতে পাই যা অত্যন্ত দ্রুতগতির এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যম যেমন ইন্টারনেট, টেলিযোগাযোগ, বিপুল পরিমান অডিও বা ভিডিওর তথ্য বিনিময় সম্ভব ৷

মানচিত্র[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]