ক্রোধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
কুরআন ও হাদীস দ্বারা দলিল পেশ করেছি। রাগ নিয়ন্ত্রণ এর উপায় গুলো তুলে ধরেছি সংক্ষেপ। ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
অ 5.107.50.73 (আলাপ)-এর করা 1 টি সম্পাদনা বাতিল |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{one source|date=জুলাই ২০১৫}} |
|||
তীব্র অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ কে '''ক্রোধ''' বলে। এই আবেগের প্রকাশে মুখভঙ্গী বিকৃত হয়ে যায় এবং অপরের কাছে তা ভীতির সঞ্চার করে। ক্রোধ [[ষড়ঋপুঋ|ষড়ঋপুর]] মধ্যে অন্যতম।অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে বাড়তে পারে রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন। হার্টঅ্যাটাক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরনের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://dictionary.cambridge.org/define.asp?key=35689&dict=CALD |শিরোনাম=ক্যাম্ব্রিজ ডিকশোনারি |সংগ্রহের-তারিখ=২৭ এপ্রিল ২০১৬ |আর্কাইভের-তারিখ=৫ মার্চ ২০১০ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100305200541/http://dictionary.cambridge.org/define.asp?key=35689&dict=CALD |ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref> রেগে থাকলে একজন ব্যক্তির শরীরে স্ট্রেস হরমোনের নি:সরণ বেড়ে যায়। রক্তের সুগারের তারতম্য শুরু হয়। যারা প্রায়ই রেগে যান তাদের শুভ বুদ্ধির চর্চাও কমে যায়। অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে পাকস্থলীয় কোষ উজ্জিবিত হয়ে পরে এবং এসিড নির্গমনের পরিমাণ বেড়ে যায়। চিকিৎসকগন ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।<ref>http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/city/2015/01/27/28397.html</ref> |
|||
⚫ | |||
'রাগ'মানুষের স্বাভাবিক অবস্থানের পরিবর্তন ঘটায়। রাগ এমন একটি বস্তুর নাম,ঠিক ঝড়ের মতো ঝড় যেমন এক পাশ থেকে এসে উপর প্রান্ত দিয়ে চলে যায় সব কিছু লান্ড-ভন্ড করে ঠিক তেমনি রাগ যখন আসে তখন আমরা বুঝি না কি করছি কিন্তু যখন মেজাজ শীতল হয় তখন বুঝতে পারি কত টা ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আজকে আমরা জানব কুরআন হাদীস ও বিজ্ঞানের আলোকে রাগ কি, এবং রাগের অপকারিতা এবং উপকারিতা ইনশাআল্লাহ তাআ'লা। |
|||
⚫ | ক্রোধ বা রাগ, একটি স্বাভাবিক তীব্র মানসিক অবস্থা যা অনুভূতিতে আঘাত প্রাপ্তির ফলে একটি শক্তিশালী অস্বস্তিকর এবং অসহযোগী প্রতিক্রিয়া। ক্রোধের সম্মুখীন একজন ব্যক্তি মানসিক অবস্থার পাশাপাশি প্রায়ই শারীরিক প্রভাব অনুভব করেন। যেমন হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, এবং অ্যাড্রেনালিন এবং নোরাড্রেনালিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কেউ কেউ রাগকে একটি আবেগ হিসাবে দেখেন যা অস্বস্তিকর উত্তেজনার সৃষ্টি করে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রাগের বাহ্যিক অভিব্যক্তি মুখের অভিব্যক্তি, শরীরের ভাষা, শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া এবং মাঝে মাঝে জনসাধারণের উপর আগ্রাসনের মধ্যে পাওয়া যায়। যদিও যারা রাগ অনুভব করেন তাদের বেশিরভাগই রাগের কারণ উল্লেখ করেন। তবুও একজন রাগান্বিত ব্যক্তির খুব বড় ভুল হতে পারে কারণ রাগ স্ব-পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার ক্ষতিসাধন করে। অনিয়ন্ত্রিত রাগ ব্যক্তিগত বা সামাজিক সুস্থতার উপর নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। |
||
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞামের মতে রাগ। |
|||
তীব্র অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ কে '''ক্রোধ''' বলে। এই আবেগের প্রকাশে মুখভঙ্গী বিকৃত হয়ে যায় এবং অপরের কাছে তা ভীতির সঞ্চার করে। ক্রোধ [ষড়ষঋর] মধ্যে অন্যতম।অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে বাড়তে পারে রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন। হার্টঅ্যাটাক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরনের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। |
|||
[শিরোনাম=ক্যাম্ব্রিজ ডিকশোনারি](সংগ্রহের-তারিখ=২৭ এপ্রিল ২০১৬) |
|||
অবস্থা=অকার্যকর রেগে থাকলে একজন ব্যক্তির শরীরে স্ট্রেস হরমোনের নি:সরণ বেড়ে যায়। রক্তের সুগারের তারতম্য শুরু হয়। যারা প্রায়ই রেগে যান তাদের শুভ বুদ্ধির চর্চাও কমে যায়। অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে পাকস্থলীয় কোষ উজ্জিবিত হয়ে পরে এবং এসিড নির্গমনের পরিমাণ বেড়ে যায়। চিকিৎসকগন ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। |
|||
⚫ | |||
⚫ | ক্রোধ বা রাগ, একটি স্বাভাবিক তীব্র মানসিক অবস্থা যা অনুভূতিতে আঘাত প্রাপ্তির ফলে একটি শক্তিশালী অস্বস্তিকর এবং অসহযোগী প্রতিক্রিয়া। ক্রোধের সম্মুখীন একজন ব্যক্তি মানসিক অবস্থার পাশাপাশি প্রায়ই শারীরিক প্রভাব অনুভব করেন। যেমন হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, এবং অ্যাড্রেনালিন এবং নোরাড্রেনালিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কেউ কেউ রাগকে একটি আবেগ হিসাবে দেখেন যা অস্বস্তিকর উত্তেজনার সৃষ্টি করে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রাগের বাহ্যিক অভিব্যক্তি মুখের অভিব্যক্তি, শরীরের ভাষা, শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া এবং মাঝে মাঝে জনসাধারণের উপর আগ্রাসনের মধ্যে পাওয়া যায়। যদিও যারা রাগ অনুভব করেন তাদের বেশিরভাগই রাগের কারণ উল্লেখ করেন। তবুও একজন রাগান্বিত ব্যক্তির খুব বড় ভুল হতে পারে কারণ রাগ স্ব-পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার ক্ষতিসাধন করে। |
||
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ওয়েস্ট ফরেস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ চিকিৎসক ক্রিস আইকেন এক গবেষণায় বলেন, ‘তীব্র রাগের দুই ঘণ্টার মধ্যে হৃদ্রোগের আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়ে যায়। গঠনমূলক উপায়ে রাগের বহিঃপ্রকাশ হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো।’ যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় তীব্র রাগ স্ট্রোকের (মস্তিষ্কের রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধা বা রক্তক্ষরণ) ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া অতিমাত্রায় রাগ ‘ইমিউনিগ্লোবিউলিন-এ’–এর ওপর প্রভাব ফেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয় বলে বিভিন্ন গবেষায় দেখা গেছে। রাগ থেকে অতি উদ্বেগ, বিষণ্নতাসহ নানা রকম মানসিক রোগও হতে পারে। রাগ কখনো কখনো দুর্ঘটনার কারণও হতে পারে। |
|||
(আহমেদ হেলাল |
|||
সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা। সূত্রঃ- প্রথম আলো) |
|||
>অনিয়ন্ত্রিত রাগ ব্যক্তিগত বা সামাজিক সুস্থতার উপর নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। |
|||
মানুষ যদি তার ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান ধরে রাখার উদ্দেশ্যে ক্রোধকে ব্যবহার করে, তাহলে তার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে। |
|||
সূত্রঃ- বিবিসি। |
|||
কুরআন ও হাদীসের আলোকে রাগও,রাগ নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়। |
|||
‘রাগ’ ধ্বংস করে দিতে পারে জীবন, সম্পদ, সম্মান এবং পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক। জীবনে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। এ কারণেই নবীজি (সা.) এটাকে বলেছেন, ‘আদম সন্তানের অন্তর একটি উত্তপ্ত কয়লা’ (তিরমিজি)। আল্লাহর ক্ষমা পেতে হলে তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করতে হবে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও, যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও জমিন, যা তৈরি করা হয়েছে পরহেজগারদের জন্য। যারা সচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষকে ক্ষমা করে, বস্তুত আল্লাহ সত্কর্মশীলদিগকেই ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৪)। |
|||
অন্য এক হাদীসে এসেছে একদিন রাসূলে পাক সাঃসামনে দুজন ব্যক্তি, একজন আরেক জন গালি দিচ্ছে এমন কি রাগে হলার রগ গুলো ফুলে যাচ্ছে আল্লাহর নবী তখন বলেন আমি এমন একটি বাক্য জানি বললে তোমাদের রাগ কমে যাবে "আউজুবিল্লাহি মিনাস শায়তানির রজীম" |
|||
(আবু দাউদ হাঃ নং ৪৭৮১ |
|||
রাসূলে পাক সাঃ রাগ নিয়ন্ত্রণ এর ছয়(৬) টি উপায় বলেছেন। |
|||
১.আউজুবিল্লাহ মিনাস শায়তানির রজীম পড়া |
|||
(দলিল সহীহ বুখারী হাঃ ৬১১৪) |
|||
২.চুপ থাকা (দলিল মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৮ নম্বর খন্ড পৃঃ৭৩) |
|||
৩.অবস্থান পরিবর্তন করা (দলিল আবু দাউদ হাঃ ৪৭৮২) |
|||
৪.অযু করা (ঠান্ডা পানি ধারা) |
|||
( দলিল আবু দাউদ হাঃ ৪৭৮৪) |
|||
৫. তীব্র রাগে মাটিতে শুয়ে যাওয়া (হাঃ নং ২১৯২ তিরমিজি) |
|||
৬.রাগের সময় আল্লাহ কে ভয় করা(সহীহ মুসলিম হাঃ নং ৪১৯১) |
|||
রাসুলে পাক সাঃ বলেছেন রাগ নিয়ন্ত্রণের উপকারিতা ৪ টি। |
|||
১.যে ব্যক্তি নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করবে সে ব্যক্তি আল্লাহর রাগ থেকে বেচে যাবে(দলিল তাকরীযুল মুসনাদ হাঃ-৬৬৩৫) |
|||
২.হাশরের মাঠে ঐ ব্যক্তি কে তার পছন্দ মতো |
|||
উপহার দিবেন সুবহানাল্লাহ। |
|||
রাসূলে পাক (সাঃ) বলেন যে ব্যক্তি রাগ প্রয়োগ করার ক্ষমতা থাকা সত্তেও ক্ষমা করে দেয় রাগ নিয়ন্ত্রণ করে, হাশরের মাঠে আল্লাহ তাকে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের সামন থেকে ডাক দিয়ে বলবেন এখান থেকে যে "হুর"(জান্নাতী রমনী) টা তোমার পছন্দ হয় সেটা নিয়ে জান্নাতে যাও (আবু দাউদ হাঃ- ৪৭৭৭) |
|||
৩.যে রাগ নিয়ন্ত্রণ করে সেই প্রকৃত বীর! |
|||
রাসূলে পাক সাঃ বলেন প্রকৃত বীর ঐ ব্যক্তি নয় যে যুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়! প্রকৃত বীর সে যে রাগের সময় তার জিদ কে নিয়ন্ত্রণ করে। |
|||
(সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬১১৪) |
|||
৪. রাগ নিয়ন্ত্রণ করা নবীর অন্যতম একটি সুন্নত (দলিল মুসলিম শরীফের হাঃ ৫৯৪৪) |
|||
আমি সহ সকল কে আল্লাহ রাগ,ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করে নবী কারীম সাঃ এর আর্দশে আর্দশিত হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন। |
|||
সম্পাদনায় |
|||
মোঃআমিনুল ইসলাম মুন্সী |
|||
ইউনাইটেড আরব আমিরাত-দুবাই। |
|||
==লক্ষণ== |
==লক্ষণ== |
০৮:৩৮, ৩ জুলাই ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (জুলাই ২০১৫) |
তীব্র অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ কে ক্রোধ বলে। এই আবেগের প্রকাশে মুখভঙ্গী বিকৃত হয়ে যায় এবং অপরের কাছে তা ভীতির সঞ্চার করে। ক্রোধ ষড়ঋপুর মধ্যে অন্যতম।অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে বাড়তে পারে রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন। হার্টঅ্যাটাক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরনের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।[১] রেগে থাকলে একজন ব্যক্তির শরীরে স্ট্রেস হরমোনের নি:সরণ বেড়ে যায়। রক্তের সুগারের তারতম্য শুরু হয়। যারা প্রায়ই রেগে যান তাদের শুভ বুদ্ধির চর্চাও কমে যায়। অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে পাকস্থলীয় কোষ উজ্জিবিত হয়ে পরে এবং এসিড নির্গমনের পরিমাণ বেড়ে যায়। চিকিৎসকগন ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।[২]
ক্রোধ বা রাগ
ক্রোধ বা রাগ, একটি স্বাভাবিক তীব্র মানসিক অবস্থা যা অনুভূতিতে আঘাত প্রাপ্তির ফলে একটি শক্তিশালী অস্বস্তিকর এবং অসহযোগী প্রতিক্রিয়া। ক্রোধের সম্মুখীন একজন ব্যক্তি মানসিক অবস্থার পাশাপাশি প্রায়ই শারীরিক প্রভাব অনুভব করেন। যেমন হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, এবং অ্যাড্রেনালিন এবং নোরাড্রেনালিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কেউ কেউ রাগকে একটি আবেগ হিসাবে দেখেন যা অস্বস্তিকর উত্তেজনার সৃষ্টি করে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রাগের বাহ্যিক অভিব্যক্তি মুখের অভিব্যক্তি, শরীরের ভাষা, শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া এবং মাঝে মাঝে জনসাধারণের উপর আগ্রাসনের মধ্যে পাওয়া যায়। যদিও যারা রাগ অনুভব করেন তাদের বেশিরভাগই রাগের কারণ উল্লেখ করেন। তবুও একজন রাগান্বিত ব্যক্তির খুব বড় ভুল হতে পারে কারণ রাগ স্ব-পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার ক্ষতিসাধন করে। অনিয়ন্ত্রিত রাগ ব্যক্তিগত বা সামাজিক সুস্থতার উপর নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।
লক্ষণ
কিছু প্রাণী উচ্চস্বরে শব্দ দেয়, শারীরিক দিক থেকে আরও বড় দেখানোর চেষ্টা করে, তাদের দাঁত বের করে তাকায়।
লোকেরা যখন মনে করে যে তারা বা তাদের যাদের যত্ন নেওয়া তাদের বিরক্ত করা হয়েছে, যখন তারা ক্রোধজনক ঘটনার প্রকৃতি এবং কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয় এবং যখন তারা অন্য কাউকে দায়বদ্ধ বলে নিশ্চিত করে এবং যখন তারা মনে করে তারা এখনও পরিস্থিতি প্রভাবিত করতে পারে তখন তারা ক্ষুব্ধ হন বা এটি মোকাবেলা। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও ব্যক্তির গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে তারা অন্য কারো দ্বারা এটি করা হলে তারা ক্ষুব্ধ হবে (উদাহরণস্বরূপ অন্য চালক এটি পুনরায় শেষ করেছেন) তবে পরিস্থিতিগত বাহিনী (যেমন শিলাবৃষ্টি) বা অপরাধবোধ ও লজ্জাজনিত কারণে যদি তা ঘটে থাকে তবে পরিবর্তে তারা দুঃখ বোধ করবেন। যদি তারা ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ হন (উদাহরণস্বরূপ তিনি ক্ষণিক অসতর্কতার কারণে একটি দেয়ালে বিধ্বস্ত হয়েছিলেন)। মনোচিকিত্সক মাইকেল সি গ্রাহাম বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের প্রত্যাশা এবং অনুমানের ক্ষেত্রে ক্রোধকে সংজ্ঞায়িত করেন। গ্রাহাম বলেছেন রাগ প্রায়শই ফলস্বরূপ ঘটে যখন আমরা ধরা পড়ি "... পৃথিবী তার চেয়ে আলাদা হওয়ার প্রত্যাশা করে"।
সাধারণত, যারা রাগের অভিজ্ঞতা পান তারা "তাদের কী হয়েছে" এর ফলস্বরূপ এর উত্তেজনাপূর্ণ ব্যাখ্যা করে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বর্ণিত উস্কানিগুলি রাগের অভিজ্ঞতার সাথে সাথেই ঘটে। এই জাতীয় ব্যাখ্যা মায়াজালকে নিশ্চিত করে যে রাগের একটি পৃথক বহিরাগত কারণ রয়েছে। রাগী ব্যক্তি সাধারণত তাদের ক্রোধের কারণটি অন্য ব্যক্তির আচরণের ইচ্ছাকৃত, ব্যক্তিগত এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য দিকটিতে খুঁজে পান। এই ব্যাখ্যাটি তবে রাগান্বিত ব্যক্তির অন্তর্নিহিতের উপর ভিত্তি করে যারা তাদের আবেগের ফলে স্ব-পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং উদ্দেশ্য পর্যবেক্ষণে ক্ষতি অনুভব করে। রাগ বহুবিধ উৎস হতে পারে, এর মধ্যে কয়েকটি দূরবর্তী ঘটনাও হতে পারে তবে লোকেরা খুব কমই তাদের ক্রোধের জন্য একাধিক কারণ খুঁজে পায়। নোভাকোর মতে, "ক্রোধের অভিজ্ঞতাগুলি পরিবেশগত-সাময়িক প্রেক্ষাপটে এম্বেড করা বা বাসা বেঁধে দেওয়া হয়। " এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে, একটি অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ ব্যথার কারণ হতে পারে যা ক্রোধ ক্রোধকে সক্রিয় করতে পারে।
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "ক্যাম্ব্রিজ ডিকশোনারি"। ৫ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/city/2015/01/27/28397.html
প্রতিশব্দ:রাগ