উপসম্পদা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৯ নং লাইন: ৯ নং লাইন:


== বয়স ==
== বয়স ==
একজন শ্রমণকে উপসম্পদা গ্রহণের মাধ্যমে পরিণত ভিক্ষু হতে হলে তাকে অবশ্যই কমপক্ষে বিশ বছর বয়সী হতে হবে। <ref>[http://www.britannica.com/eb/article-9074384 Encyclopædia Britannica (2007).]</ref> তবে বৌদ্ধধর্মীয় রীতিতে অধিমাসের হিসাব থাকায় এই বিশ বছরের হিসেবে পরিবর্তন আসতে পারে।
একজন শ্রমণকে উপসম্পদা গ্রহণের মাধ্যমে পরিণত ভিক্ষু হতে হলে তাকে অবশ্যই কমপক্ষে বিশ বছর বয়সী হতে হবে। <ref name="ব্রিটানিকা"> তবে বৌদ্ধধর্মীয় রীতিতে অধিমাসের হিসাব থাকায় এই বিশ বছরের হিসেবে পরিবর্তন আসতে পারে।


আবার এই বয়স গণণা শুরু হয় প্রতিসন্ধি গ্রহণ থেকে শুরুকরে। মাতৃগর্ভে যদি প্রতিসন্ধি গ্রহণ হয়, তাহলে সেই সময় থেকে শুরুকরে ২০ বছর পূর্ন হলেই চলবে। কারণ [[বৌদ্ধ ধর্ম|বৌদ্ধ ধর্মীয়]] রীতিঅনুসারে গর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ থেকে শুরু করে বিশ বছর পূর্ণ হলেই তাকে পরিপূর্ণ বিশ বছর বয়স্ক হিসেবে গণ্য করা হয়। মহাবর্গের ১২৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে কুমার কশ্যপমুনি উপসম্পদার জন্য বয়স গণনা করতে গিয়ে প্রতিসন্ধি গ্রহণ হতে শুরু করে বয়স গণনা করা হয়েছিল। অর্থাৎ এক্ষেত্রে মাতৃগর্ভস্থ মাসগুলো সহ হিসাব করে বিশ বছর বয়সে উপসম্পদা দিয়ে তাঁকে পূর্ণ ভিক্ষু করা হয়েছিল। <ref name="ganasanta">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title= উপসম্পদার বিবিধ বিষয়|ইউআরএল=http://gansanta.org/fbposts/category/প্রব্রজ্যা--উপসম্পদা/|ওয়েবসাইট=gansanta.org|publisher= |accessdate=২০ এপ্রিল ২০২০|language=bn}}</ref>
আবার এই বয়স গণণা শুরু হয় প্রতিসন্ধি গ্রহণ থেকে শুরুকরে। মাতৃগর্ভে যদি প্রতিসন্ধি গ্রহণ হয়, তাহলে সেই সময় থেকে শুরুকরে ২০ বছর পূর্ণ হলেই চলবে। কারণ [[বৌদ্ধ ধর্ম|বৌদ্ধ ধর্মীয়]] রীতিঅনুসারে গর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ থেকে শুরু করে বিশ বছর পূর্ণ হলেই তাকে পরিপূর্ণ বিশ বছর বয়স্ক হিসেবে গণ্য করা হয়। মহাবর্গের ১২৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে কুমার কশ্যপমুনি উপসম্পদার জন্য বয়স গণনা করতে গিয়ে প্রতিসন্ধি গ্রহণ হতে শুরু করে বয়স গণনা করা হয়েছিল। অর্থাৎ এক্ষেত্রে মাতৃগর্ভস্থ মাসগুলো সহ হিসাব করে বিশ বছর বয়সে উপসম্পদা দিয়ে তাঁকে পূর্ণ ভিক্ষু করা হয়েছিল। <ref name="ganasanta">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title= উপসম্পদার বিবিধ বিষয়|ইউআরএল=http://gansanta.org/fbposts/2018/05/06/উপসম্পদার-বিবিধ-বিষয়/|ওয়েবসাইট=gansanta.org|publisher= |accessdate=২০ এপ্রিল ২০২০|language=bn}}</ref>


== প্রকারভেদ ==
== প্রকারভেদ ==
৩৫ নং লাইন: ৩৫ নং লাইন:
== আরও দেখুন ==
== আরও দেখুন ==
* [[প্রব্রজ্যা]]
* [[প্রব্রজ্যা]]
* [[ভিক্ষু#বৌদ্ধধর্ম|ভিক্ষু]]


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৬:১৬, ২৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মিয়ানমারের একটি বৌদ্ধবিহারে একজন শ্রমণ ভিক্ষুর উপসম্পদা চলছে

উপসম্পদা (পালি) হচ্ছে একজন বৌদ্ধ সন্যাসির প্রব্রজ্যা স্তরের শ্রমণ ভিক্ষুদের (নবীন ভিক্ষু) থেকে একজন পরিণত ও পূর্ণাঙ্গ ভিক্ষুতে রূপান্তরের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। বৌদ্ধধর্মীয় রীতি অনুসারে বয়ঃসন্ধিকালে উপনীত (সাধারণত পনেরো বছর বয়সী) গৃহত্যাগী বালকদের প্রাথমিকভাবে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত করা হলে তারা তখন প্রব্রজ্যা স্তরে থাকে। এই স্তরের ভিক্ষু বা সন্যাসীদের শ্রমণ বলা হয়। [১]

শ্রমণ ভিক্ষুরা প্রব্রজ্যা স্তরে নিয়মিত একজন পূর্ণাঙ্গ ভিক্ষুর অধীনে বৌদ্ধধর্মশাস্ত্র, ধর্মীয় রীতিনীতি-আচারুনুষ্ঠান সহ সকল আনুষঙ্গিক নিয়মকানুন শিখে। এই প্রব্রজ্যা স্তর শেষে পরিপূর্ণ ধর্মীয় দীক্ষালাভের পর একজন পরিপূর্ণ বৌদ্ধভিক্ষুতে রূপান্তরিত হওয়াকেই উপসম্পদা বলে। [২] [৩]

বয়স

একজন শ্রমণকে উপসম্পদা গ্রহণের মাধ্যমে পরিণত ভিক্ষু হতে হলে তাকে অবশ্যই কমপক্ষে বিশ বছর বয়সী হতে হবে। উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগের ক্ষেত্রে </ref> ট্যাগ যোগ করা হয়নি

প্রকারভেদ

গৌতম বুদ্ধের আমলে মোট আটটি পদ্ধতিতে শ্রমণ ভিক্ষুদের উপসম্পদার মাধ্যমে পূর্ণ ভিক্ষু করা হতো। কিন্তু এই আট পদ্ধতির মধ্যে ‘ঞত্তিচতুত্থ কম্ম’ ছাড়া সাতটিই বুদ্ধের অবর্তমানে করা সম্ভব নয়। তাই শুধুমাত্র ‘ঞত্তিচতুত্থ কম্ম’ই বর্তমানে প্রচলিত রয়েছে। [২]

শর্ত

নিষেধ

যেসিব ক্ষেত্রে কাওকে উপসম্পদা দেয়া যায়না:[৪]

  • মা-বাবার অনুমতিহীন ব্যক্তি: কাওকে প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা দিতে হলে মা-বাবা দুজনেরই অনুমতি প্রয়োজন। তবে যেকোন একজনের অবর্তমানে (মারা গেলে বা অন্য কোন কারণে অনুমতি নেয়া অসম্ভব হলে) শুধু একজনের অনুমতিক্রমেই তা বৈধ।
  • পঞ্চরোগগ্রস্ত ব্যক্তি: কুষ্ঠ, একজিমা, ফোঁড়া, যক্ষা, মৃগীরোগ থাকলে তাকে প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা দেয়া উচিৎ নয়। তবে এক্ষেত্রে যেকোন সংক্রামক এবং দুরারোগ্য ব্যাধি প্রযোজ্য।
  • রাজকর্মচারী: সরকারী চাকরিজীবী সহ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় কাজে নিয়োজিত কাওকে উপসম্পদা দেয়া যাবে না।
  • বিকলাঙ্গ: পঙ্গু, কুঁজো, বামন, অন্ধ, বধির সহ যেকোন শারীরিক অস্বাভাবিকতা থাকলে তাকে উপসম্পদা দেয়া যাবে না।
  • কুখ্যাত চোর-ডাকাত
  • কারাগার ভেঙে পালানো আসামী
  • দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী
  • ঋণী ব্যক্তি : তবে ঋণ শোধ করার নিশ্চয়তা থাকলে এক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না।
  • কারও দাস/চাকর

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বড়ুয়া, সুকোমল। "প্রব্রজ্যা"bn.banglapedia.orgবাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২ 
  2. বড়ুয়া, সুকোমল। "উপসম্পদা"bn.banglapedia.orgবাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২ 
  3. "Upasampada"bn.banglapedia.org (ইংরেজি ভাষায়)। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২ 
  4. "প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা দেয়া অনুচিত এমন ব্যক্তিদের কথা"gansanta.org। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 

বহিঃসংযোগ