উপসম্পদা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
তথ্যসূত্র যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
[[File:Upasampata in Burma.JPG|thumb|[[মিয়ানমার|মিয়ানমারের]] একটি বৌদ্ধবিহারে একজন শ্রমণ [[ভিক্ষু#বৌদ্ধধর্ম|ভিক্ষু]]র উপসম্পদা চলছে]]
[[File:Upasampata in Burma.JPG|thumb|[[মিয়ানমার|মিয়ানমারের]] একটি বৌদ্ধবিহারে একজন শ্রমণ [[ভিক্ষু#বৌদ্ধধর্ম|ভিক্ষু]]র উপসম্পদা চলছে]]
'''উপসম্পদা''' ([[পালি ভাষা|পালি]]) হচ্ছে একজন বৌদ্ধ সন্যাসির [[প্রব্রজ্যা|প্রব্রজ্যা স্তরের]] শ্রমণ ভিক্ষুদের (নবীন ভিক্ষু) থেকে একজন পরিণত ও পূর্ণাঙ্গ [[ভিক্ষু|ভিক্ষুতে]] রূপান্তরের ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
'''উপসম্পদা''' ([[পালি ভাষা|পালি]]) হচ্ছে একজন বৌদ্ধ সন্যাসির [[প্রব্রজ্যা|প্রব্রজ্যা স্তরের]] শ্রমণ ভিক্ষুদের (নবীন ভিক্ষু) থেকে একজন পরিণত ও পূর্ণাঙ্গ [[ভিক্ষু|ভিক্ষুতে]] রূপান্তরের ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
বৌদ্ধধর্মীয় রীতি অনুসারে [[বয়ঃসন্ধিকাল|বয়ঃসন্ধিকালে]] উপনীত (সাধারণত পনেরো বছর বয়সী) গৃহত্যাগী বালকদের প্রাথমিকভাবে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত করা হলে তারা তখন [[প্রব্রজ্যা]] স্তরে থাকে। এই স্তরের [[ভিক্ষু]] বা সন্যাসীদের শ্রমণ বলা হয়।
বৌদ্ধধর্মীয় রীতি অনুসারে [[বয়ঃসন্ধিকাল|বয়ঃসন্ধিকালে]] উপনীত (সাধারণত পনেরো বছর বয়সী) গৃহত্যাগী বালকদের প্রাথমিকভাবে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত করা হলে তারা তখন [[প্রব্রজ্যা]] স্তরে থাকে। এই স্তরের [[ভিক্ষু]] বা সন্যাসীদের শ্রমণ বলা হয়। <ref name="বাংলাপিডিয়া২">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|first=সুকোমল|last=বড়ুয়া|title=প্রব্রজ্যা |url=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=প্রব্রজ্যা|ওয়েবসাইট=bn.banglapedia.org|publisher= [[বাংলাপিডিয়া]] |accessdate=২০২০-০৪-২২|language=bn}}</ref>


শ্রমণ ভিক্ষুরা [[প্রব্রজ্যা]] স্তরে নিয়মিত একজন পূর্ণাঙ্গ ভিক্ষুর অধীনে বৌদ্ধধর্মশাস্ত্র, ধর্মীয় রীতিনীতি-আচারুনুষ্ঠান সহ সকল আনুষঙ্গিক নিয়মকানুন শিখে। এই প্রব্রজ্যা স্তর শেষে পরিপূর্ণ ধর্মীয় দীক্ষালাভের পর একজন পরিপূর্ণ বৌদ্ধভিক্ষুতে রূপান্তরিত হওয়াকেই উপসম্পদা বলে। <ref name="বাংলাপিডিয়া">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|first=সুকোমল|last=বড়ুয়া|title=উপসম্পদা|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=উপসম্পদা|ওয়েবসাইট=bn.banglapedia.org|publisher= [[বাংলাপিডিয়া]] |accessdate=২০২০-০৪-২২|language=bn}}</ref>
শ্রমণ ভিক্ষুরা [[প্রব্রজ্যা]] স্তরে নিয়মিত একজন পূর্ণাঙ্গ ভিক্ষুর অধীনে বৌদ্ধধর্মশাস্ত্র, ধর্মীয় রীতিনীতি-আচারুনুষ্ঠান সহ সকল আনুষঙ্গিক নিয়মকানুন শিখে। এই প্রব্রজ্যা স্তর শেষে পরিপূর্ণ ধর্মীয় দীক্ষালাভের পর একজন পরিপূর্ণ বৌদ্ধভিক্ষুতে রূপান্তরিত হওয়াকেই উপসম্পদা বলে। <ref name="বাংলাপিডিয়া">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|first=সুকোমল|last=বড়ুয়া|title=উপসম্পদা|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=উপসম্পদা|ওয়েবসাইট=bn.banglapedia.org|publisher= [[বাংলাপিডিয়া]] |accessdate=২০২০-০৪-২২|language=bn}}</ref>

১২:১০, ২৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মিয়ানমারের একটি বৌদ্ধবিহারে একজন শ্রমণ ভিক্ষুর উপসম্পদা চলছে

উপসম্পদা (পালি) হচ্ছে একজন বৌদ্ধ সন্যাসির প্রব্রজ্যা স্তরের শ্রমণ ভিক্ষুদের (নবীন ভিক্ষু) থেকে একজন পরিণত ও পূর্ণাঙ্গ ভিক্ষুতে রূপান্তরের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। বৌদ্ধধর্মীয় রীতি অনুসারে বয়ঃসন্ধিকালে উপনীত (সাধারণত পনেরো বছর বয়সী) গৃহত্যাগী বালকদের প্রাথমিকভাবে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত করা হলে তারা তখন প্রব্রজ্যা স্তরে থাকে। এই স্তরের ভিক্ষু বা সন্যাসীদের শ্রমণ বলা হয়। [১]

শ্রমণ ভিক্ষুরা প্রব্রজ্যা স্তরে নিয়মিত একজন পূর্ণাঙ্গ ভিক্ষুর অধীনে বৌদ্ধধর্মশাস্ত্র, ধর্মীয় রীতিনীতি-আচারুনুষ্ঠান সহ সকল আনুষঙ্গিক নিয়মকানুন শিখে। এই প্রব্রজ্যা স্তর শেষে পরিপূর্ণ ধর্মীয় দীক্ষালাভের পর একজন পরিপূর্ণ বৌদ্ধভিক্ষুতে রূপান্তরিত হওয়াকেই উপসম্পদা বলে। [২]

বয়স

একজন শ্রমণকে উপসম্পদা গ্রহণের মাধ্যমে পরিণত ভিক্ষু হতে হলে তাকে অবশ্যই কমপক্ষে বিশ বছর বয়সী হতে হবে। তবে বৌদ্ধধর্মীয় রীতিতে অধিমাসের হিসাব থাকায় এই বিশ বছরের হিসেবে পরিবর্তন আসতে পারে।

আবার এই বয়স গণণা শুরু হয় প্রতিসন্ধি গ্রহণ থেকে শুরুকরে। মাতৃগর্ভে যদি প্রতিসন্ধি গ্রহণ হয়, তাহলে সেই সময় থেকে শুরুকরে ২০ বছর পূর্ন হলেই চলবে। কারণ বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতিঅনুসারে গর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ থেকে শুরু করে বিশ বছর পূর্ণ হলেই তাকে পরিপূর্ণ বিশ বছর বয়স্ক হিসেবে গণ্য করা হয়। মহাবর্গের ১২৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে কুমার কশ্যপমুনি উপসম্পদার জন্য বয়স গণনা করতে গিয়ে প্রতিসন্ধি গ্রহণ হতে শুরু করে বয়স গণনা করা হয়েছিল। অর্থাৎ এক্ষেত্রে মাতৃগর্ভস্থ মাসগুলো সহ হিসাব করে বিশ বছর বয়সে উপসম্পদা দিয়ে তাঁকে পূর্ণ ভিক্ষু করা হয়েছিল। [৩]

প্রকারভেদ

গৌতম বুদ্ধের আমলে মোট আটটি পদ্ধতিতে শ্রমণ ভিক্ষুদের উপসম্পদার মাধ্যমে পূর্ণ ভিক্ষু করা হতো। কিন্তু এই আট পদ্ধতির মধ্যে ‘ঞত্তিচতুত্থ কম্ম’ ছাড়া সাতটিই বুদ্ধের অবর্তমানে করা সম্ভব নয়। তাই শুধুমাত্র ‘ঞত্তিচতুত্থ কম্ম’ই বর্তমানে প্রচলিত রয়েছে। [২]

শর্ত

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বড়ুয়া, সুকোমল। "প্রব্রজ্যা"bn.banglapedia.orgবাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২ 
  2. বড়ুয়া, সুকোমল। "উপসম্পদা"bn.banglapedia.orgবাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২ 
  3. "উপসম্পদার বিবিধ বিষয়"gansanta.org। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 

বহিঃসংযোগ