কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৫ নং লাইন: ১৫ নং লাইন:
|title=চীনের মূল ভূখণ্ডে সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা<br />উৎস: চীনের [[জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন|জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের]] দৈনিক প্রতিবেদন<ref name="NHC daily reports">[http://www.nhc.gov.cn/xcs/yqtb/list_gzbd.shtml] NHC daily reports</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://gisanddata.maps.arcgis.com/apps/opsdashboard/index.html#/bda7594740fd40299423467b48e9ecf6|শিরোনাম=Coronavirus nCoV-2019|ওয়েবসাইট=gisanddata.maps.arcgis.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-01-26}}</ref>
|title=চীনের মূল ভূখণ্ডে সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা<br />উৎস: চীনের [[জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন|জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের]] দৈনিক প্রতিবেদন<ref name="NHC daily reports">[http://www.nhc.gov.cn/xcs/yqtb/list_gzbd.shtml] NHC daily reports</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://gisanddata.maps.arcgis.com/apps/opsdashboard/index.html#/bda7594740fd40299423467b48e9ecf6|শিরোনাম=Coronavirus nCoV-2019|ওয়েবসাইট=gisanddata.maps.arcgis.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-01-26}}</ref>
|bars=
|bars=
{{bar pixel|২০২০-০১-১৬|orange|{{#expr: 45/60}}||৪৫}}
{{bar pixel|২০২০-০১-১৬|ret|{{#expr: 45/60}}||৪৫}}
{{bar pixel|২০২০-০১-১৭|orange|{{#expr: 62/60}}||৬২}}
{{bar pixel|২০২০-০১-১৭|ret|{{#expr: 62/60}}||৬২}}
{{bar pixel|২০২০-০১-১৮|orange|{{#expr: 121/60}}||১২১}}
{{bar pixel|২০২০-০১-১৮|ret|{{#expr: 121/60}}||১২১}}
{{bar pixel|২০২০-০১-১৯|orange|{{#expr: 198/60}}||১৯৮}}
{{bar pixel|২০২০-০১-১৯|ret|{{#expr: 198/60}}||১৯৮}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২০|orange|{{#expr: 291/60}}||২৯১}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২০|ret|{{#expr: 291/60}}||২৯১}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২১|orange|{{#expr: 440/60}}||৪৪০}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২১|ret|{{#expr: 440/60}}||৪৪০}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২২|orange|{{#expr: 571/60}}||৫৭১}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২২|ret|{{#expr: 571/60}}||৫৭১}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৩|orange|{{#expr: 830/60}}||৮৩০}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৩|ret|{{#expr: 830/60}}||৮৩০}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৪|orange|{{#expr: 1287/60}}||১,২৮৭}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৪|ret|{{#expr: 1287/60}}||১,২৮৭}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৫|orange|{{#expr: 1975/60}}||১,৯৭৫}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৫|ret|{{#expr: 1975/60}}||১,৯৭৫}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৬|orange|{{#expr: 2744/60}}||২,৭৪৪}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৬|ret|{{#expr: 2744/60}}||২,৭৪৪}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৭|orange|{{#expr: 4515/60}}||৪,৫১৫}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৭|ret|{{#expr: 4515/60}}||৪,৫১৫}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৮|orange|{{#expr: 5974/60}}||৫,৯৭৪}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৮|ret|{{#expr: 5974/60}}||৫,৯৭৪}}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৯|orange|{{#expr: 7711/60}}|| ৭,৭১১ }}
{{bar pixel|২০২০-০১-২৯|ret|{{#expr: 7711/60}}|| ৭,৭১১ }}
{{bar pixel|২০২০-০১-৩০|orange|{{#expr: 9692/60}}|| ৯,৬৯২ }}
{{bar pixel|২০২০-০১-৩০|ret|{{#expr: 9692/60}}|| ৯,৬৯২ }}
{{bar pixel|২০২০-০১-৩১|orange|{{#expr: 11791/60}}|| ১১,৭৯১ }}
{{bar pixel|২০২০-০১-৩১|ret|{{#expr: 11791/60}}|| ১১,৭৯১ }}
{{bar pixel|২০২০-০২-০৫|ret|{{#expr: 24553/492}}|| ২৪,৫৫৩ }}
|caption=
|caption=
}}
}}
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মধ্য [[চীন|চীনের]] [[হুপেই]] প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী (ও তৎকালীন চীনের ৭ম বৃহত্তম নগরী) [[উহান]] নগরীতে একটি নতুন ধরনের [[করোনাভাইরাস]] শনাক্ত হয়, যার নাম [[নভেল করোনাভাইরাস (2019-nCoV)]]<ref name="Fox2020">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Fox |প্রথমাংশ১=Dan |শিরোনাম=What you need to know about the Wuhan coronavirus|সাময়িকী=Nature |তারিখ=24 January 2020 |issn=0028-0836 |ডিওআই=10.1038/d41586-020-00209-y}}</ref>। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কারও কারও গুরুতর [[নিউমোনিয়া]] রোগ হয়েছিল এবং প্রথমদিকে তাদের রোগের কোনও পরিষ্কার কারণ বের করা যায়নি কিংবা প্রচলিত ভাইরাস নিরোধক চিকিৎসা দিয়ে তাদের সারিয়ে তোলা যায়নি।<ref name="NYT-20200129">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |বিভাগ=Editorial |শিরোনাম=Is the World Ready for the Coronavirus? |ইউআরএল=https://www.nytimes.com/2020/01/29/opinion/coronavirus-outbreak.html |তারিখ=29 January 2020 |কর্ম=[[The New York Times]] |সংগ্রহের-তারিখ=30 January 2020 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200130005006/https://www.nytimes.com/2020/01/29/opinion/coronavirus-outbreak.html |আর্কাইভের-তারিখ=30 January 2020 |ইউআরএল-অবস্থা=live }}</ref> উহান নগরীর হুয়ানান সামুদ্রিক খাদ্যের পাইকারি বাজারে বিক্রিত কোনও প্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে বাজারের দোকানদার ও ক্রেতাদের মধ্যে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে বলে ধারণা করা হয়। পরবর্তীতে চীনা বিজ্ঞানীরা এই নতুন প্রকারের করোনাভাইরাসটি পরীক্ষাগারে আলাদা করে শনাক্ত করতে সক্ষম হন। একটি মত অনুযায়ী উহান করোনাভাইরাস দেহে সংক্রমণের ২ থেকে ১০ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়, যার মধ্যে আছে জ্বর, শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্ট। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে পরবর্তীতে তীব্র শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য জটিলতার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মধ্য [[চীন|চীনের]] [[হুপেই]] প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী (ও তৎকালীন চীনের ৭ম বৃহত্তম নগরী) [[উহান]] নগরীতে একটি নতুন ধরনের [[করোনাভাইরাস]] শনাক্ত হয়, যার নাম [[নভেল করোনাভাইরাস (2019-nCoV)]]<ref name="Fox2020">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Fox |প্রথমাংশ১=Dan |শিরোনাম=What you need to know about the Wuhan coronavirus|সাময়িকী=Nature |তারিখ=24 January 2020 |issn=0028-0836 |ডিওআই=10.1038/d41586-020-00209-y}}</ref>। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কারও কারও গুরুতর [[নিউমোনিয়া]] রোগ হয়েছিল এবং প্রথমদিকে তাদের রোগের কোনও পরিষ্কার কারণ বের করা যায়নি কিংবা প্রচলিত ভাইরাস নিরোধক চিকিৎসা দিয়ে তাদের সারিয়ে তোলা যায়নি।<ref name="NYT-20200129">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |বিভাগ=Editorial |শিরোনাম=Is the World Ready for the Coronavirus? |ইউআরএল=https://www.nytimes.com/2020/01/29/opinion/coronavirus-outbreak.html |তারিখ=29 January 2020 |কর্ম=[[The New York Times]] |সংগ্রহের-তারিখ=30 January 2020 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200130005006/https://www.nytimes.com/2020/01/29/opinion/coronavirus-outbreak.html |আর্কাইভের-তারিখ=30 January 2020 |ইউআরএল-অবস্থা=live }}</ref> উহান নগরীর হুয়ানান সামুদ্রিক খাদ্যের পাইকারি বাজারে বিক্রিত কোনও প্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে বাজারের দোকানদার ও ক্রেতাদের মধ্যে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে বলে ধারণা করা হয়। পরবর্তীতে চীনা বিজ্ঞানীরা এই নতুন প্রকারের করোনাভাইরাসটি পরীক্ষাগারে আলাদা করে শনাক্ত করতে সক্ষম হন। একটি মত অনুযায়ী উহান করোনাভাইরাস দেহে সংক্রমণের ২ থেকে ১০ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়, যার মধ্যে আছে জ্বর, শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্ট। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে পরবর্তীতে তীব্র শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য জটিলতার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।



০৩:১৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

উহান করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব
কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী গণচীন-এ অবস্থিত
কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রবিন্দু চীনের উহান শহরের অবস্থান
তারিখ১লা ডিসেম্বর ২০১৯ – চলমান
অবস্থানউৎপত্তি: উহান, হুপেই, চীন
হতাহত
আক্রান্ত: ১১,৯৭৪ জন[১]; মৃত: ২৫৯ জন[২]
চীনের মূল ভূখণ্ডে সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা
উৎস: চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দৈনিক প্রতিবেদন[৩][৪]
২০২০-০১-১৬
৪৫
২০২০-০১-১৭
৬২
২০২০-০১-১৮
১২১
২০২০-০১-১৯
১৯৮
২০২০-০১-২০
২৯১
২০২০-০১-২১
৪৪০
২০২০-০১-২২
৫৭১
২০২০-০১-২৩
৮৩০
২০২০-০১-২৪
১,২৮৭
২০২০-০১-২৫
১,৯৭৫
২০২০-০১-২৬
২,৭৪৪
২০২০-০১-২৭
৪,৫১৫
২০২০-০১-২৮
৫,৯৭৪
২০২০-০১-২৯
৭,৭১১
২০২০-০১-৩০
৯,৬৯২
২০২০-০১-৩১
১১,৭৯১
২০২০-০২-০৫
২৪,৫৫৩

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মধ্য চীনের হুপেই প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী (ও তৎকালীন চীনের ৭ম বৃহত্তম নগরী) উহান নগরীতে একটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়, যার নাম নভেল করোনাভাইরাস (2019-nCoV)[৫]। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কারও কারও গুরুতর নিউমোনিয়া রোগ হয়েছিল এবং প্রথমদিকে তাদের রোগের কোনও পরিষ্কার কারণ বের করা যায়নি কিংবা প্রচলিত ভাইরাস নিরোধক চিকিৎসা দিয়ে তাদের সারিয়ে তোলা যায়নি।[৬] উহান নগরীর হুয়ানান সামুদ্রিক খাদ্যের পাইকারি বাজারে বিক্রিত কোনও প্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে বাজারের দোকানদার ও ক্রেতাদের মধ্যে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে বলে ধারণা করা হয়। পরবর্তীতে চীনা বিজ্ঞানীরা এই নতুন প্রকারের করোনাভাইরাসটি পরীক্ষাগারে আলাদা করে শনাক্ত করতে সক্ষম হন। একটি মত অনুযায়ী উহান করোনাভাইরাস দেহে সংক্রমণের ২ থেকে ১০ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়, যার মধ্যে আছে জ্বর, শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্ট। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে পরবর্তীতে তীব্র শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য জটিলতার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।

ভাইরাসটি প্রথমে প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হলেও বর্তমানে এটি বিবর্তিত হয়ে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে সক্ষম।[৭] প্রথম দিকে বিস্তারের হার কম হলেও ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যভাগে এসে এটির সংক্রমণের হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে।[৮] ৩১শে জানুয়ারি ২০২০ তারিখ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১১,৯৭৪ জন ব্যক্তি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং ভাইরাসটির কারণে ২৫৯ জন ব্যক্তি মারা গেছে; অর্থাৎ মৃত্যুর হার ২.১৬%। ধারণা করা হচ্ছে যে আরও বহুসংখ্যক লোকের দেহে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছে। চীনে ভাইরাসের বিস্তার রোধের জন্য ও রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চীনের সবগুলি প্রদেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি বিদ্যমান বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।[২] চীনের বাইরে পূর্ব এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, তাইওয়ান, মাকাউ, হংকং), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন), দক্ষিণ এশিয়া (ভারত,নেপাল, শ্রীলঙ্কা), মধ্যপ্রাচ্য (সংযুক্ত আরব আমিরাত), অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ (যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, ইতালি, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া) এবং উত্তর আমেরিকাতে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা), অর্থাৎ চীনসহ মোট ২৭টি রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক অঞ্চলে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। ৩০শে জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উহান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বিশ্ব পর্যায়ের গুরুত্ববিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরী অবস্থা (Public Health Emergency of International Concern; PHEIC) হিসেবে ঘোষণা দেয়। ২০০৯ সালে (এইচ১এন১ ভাইরাসঘটিত) ইনফ্লুয়েঞ্জার বিশ্বব্যাপী বিস্তারের পরে ১ম বারের মতো এবং সব মিলে ৬ষ্ঠবারের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরূপ একটি জরুরী ঘোষণা দিয়েছে।[৯][১০][১১][১২]

উদ্ভব ও ইতিহাস

২০১৯ সালের শেষের দিকে উহান নগরীর হুয়ানান সামুদ্রিক খাদ্যের পাইকারি বাজারের দোকানদারদের মধ্যে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে বলে ধারণা করা হয়। বাজারটিতে সামুদ্রিক খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি জীবন্ত বাদুড়, সাপ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী ও তাদের সদ্য জবাইকৃত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি হত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় যে হয়ত কোনও প্রাণীদেহ হতে করোনাভাইরাসটি বিবর্তিত হয়ে আরেকটি মধ্যবর্তী পোষক প্রাণীর মাধ্যমে মানবদেহে সংক্রমিত হয়েছে। চীনা বিজ্ঞানীরা ২০২০ সালের ৭ই জানুয়ারি তারিখে এটিকে একটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাস হিসেবে ঘোষণা দেন এবং এর বংশাণুসমগ্র বা জিনোমের তথ্যগুলি বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের কাছে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের কাছে বিতরণ করেন।

করোনাভাইরাস একই ধরনের অনেকগুলি ভাইরাসের একটি বৃহৎ পরিবার যা প্রাণী ও মানুষে সংক্রমিত হতে পারে। ২১শ শতকের আগ পর্যন্ত করোনাভাইরাসগুলি মানুষের দেহে সাধারণ সর্দি-কাশি ব্যতীত অন্য কোনও উপসর্গ বা রোগব্যাধি সৃষ্টি করত না। কিন্তু ২১শ শতকে এসে এ পর্যন্ত ৩টি নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে (সার্স, মার্স ও উহান করোনাভাইরাস) যেগুলি মানব সম্প্রদায়ে ব্যাপক অঞ্চল জুড়ে প্রাণঘাতী আকার ধারণ করার ঝুঁকি বহন করে।[১৩]

উহান করোনাভাইরাসটির বংশাণুসমগ্রের অনুক্রম (জিনোম সিকোয়েন্স) ও সার্স করোনাভাইরাসের বংশাণুসমগ্রের অনুক্রমের মধ্যে প্রায় ৭০% মিল পাওয়া গেছে। এর আগে ২০০২ সালেও চীনদেশেই একই ধরনের জীবন্ত প্রাণী বিক্রির বাজার থেকে ("গুরুতর তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গসমষ্টি সৃষ্টিকারী"; "Severe Acute Respiratory Syndrome" সংক্ষেপে SARS‐CoV) সার্স করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, প্রাদুর্ভাব ও বিশ্বব্যাপী বিস্তার ঘটেছিল। বিশ্বের ৩০টি দেশে সার্স ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে, এতে ৮৪৩৭ জন ব্যক্তি নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত হয় এবং ৮১৩ জনের মৃত্যু হয়।[১৪] এর ১০ বছর পরে ২০১২ সালে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্স (মধ্যপ্রাচ্যীয় শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গসমষ্টি সৃষ্টিকারী; "Middle Eastern Respiratory Syndrome" সংক্ষেপে MERS‐CoV) নামের আরেকটি বিপজ্জনক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস উট থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছিল। ভাইরাসটি ২৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে, এতে ২৪৯৪ জন নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত হয় এবং এদের মধ্যে ৮৫৮ জনের মৃত্যু হয়।[১৪]

শনাক্তকরণ, উপসর্গ ও নিরাময়

পলিমারেজ শৃঙ্খল বিক্রিয়া পরীক্ষার (পিসিআর টেস্ট) মাধ্যমে উপরোক্ত বাজারের সাথে সরাসরি জড়িত অনেক ব্যক্তির দেহে এবং বাজারের সাথে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের দেহেও ভাইরাসটির সংক্রমণ হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হতে পারে, এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে।[১৫] তবে এই নতুন ভাইরাসটি সার্স ভাইরাসের সমপর্যায়ের মারাত্মক কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।[১৬][১৭][১৮][১৯]

এই ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর, অবসাদ, পেশীতে ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসনালীর রোগ (যেমন- ক্লোমনালীর প্রদাহ তথা ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়া) হয়। কদাচিৎ মাথাব্যথা বা কফসহ কাশি হতে পারে। রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই ভাইরাসের কারণে তাদের শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা হ্রাস পায়। এছাড়া যকৃৎ ও বৃক্কের (কিডনি) ক্ষতি হয়। সাধারণত এক সপ্তাহের আগ পর্যন্ত উপসর্গগুলি ডাক্তার দেখানোর মত জটিল রূপ ধারণ করে না। কিন্তু ২য় সপ্তাহে এসে ব্যক্তিভেদে অবস্থার দ্রুত ও গুরুতর অবনতি ঘটতে পারে। যেমন ফুসফুসের ক্ষতিবৃদ্ধির সাথে সাথে ধমনীর রক্তে অক্সিজেনের স্বল্পতা (হাইপক্সেমিয়া) দেখা দেয় এবং রোগীকে অক্সিজেন চিকিৎসা দিতে হয়। এছাড়া তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গসমষ্টি (ARDS বা acute respiratory distress syndrome) পরিলক্ষিত হয়। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ রোগীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (intensive care unit বা ICU) রেখে যান্ত্রিকভাবে শ্বাসগ্রহণ করাতে হয় এবং কখনও কখনও কৃত্রিম ফুসফুসের ভেতরে রক্ত পরিচালনার মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেন যোগ করতে হয়। এছাড়া ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হবার কারণে ব্যাকটেরিয়াঘটিত ২য় একটি নিউমোনিয়া হবার বড় সম্ভাবনা থাকে এবং নিবিড় পরিচর্যাধীন রোগীদের ১০% ক্ষেত্রে এটি হয়।[১৩]

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণের মত উপসর্গ হলেও ফ্লুয়ের ঔষধে কোনও কাজ হয় না। এ পর্যন্ত রোগটির জন্য কোনও ঔষধ বা টিকা উদ্ভাবিত হয়নি। হাসপাতালে নিবিড় চিকিৎসা ছাড়া রোগ থেকে সেরে ওঠার উপায় নেই। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগে থেকেই কম, তাদের নিউমোনিয়া হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাধারণত বৃদ্ধদের মধ্যে ভাইরাসটির ক্ষতিকর প্রভাব বেশি দেখা গেছে। তবে এ পর্যন্ত ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে বেশি মারাত্মক হবার কোনও সম্ভাবনা দেখা যায়নি। উল্লেখ্য যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে প্রতি বছর ৪ লক্ষ লোকের মৃত্যু ঘটে।[২০]

বিস্তারের উপায়

উহান করোনাভাইরাসটি অপেক্ষাকৃত বড় আকারের; এর আকার প্রায় ১২৫ ন্যানোমিটার (অর্থাৎ ১ মিটারের প্রায় ১ কোটি ভাগের এক ভাগ)। আকারে বড় বলে এটি বাতাসে কয়েক ঘণ্টার বেশি ভাসন্ত অবস্থায় থাকতে পারে না এবং কয়েক ফুটের বেশী দূরত্বে গমন করতে পারে না। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো এটিও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়াতে পারে। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের সময় মুখের হাঁচি, কাশি, লালা বা থুতু থেকে সরাসরি ভাইরাসটি এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে সংক্রামিত হতে পারে। অন্যদিকে জনসাধারণ্য স্থানে কোনও আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে বা ভাইরাসযুক্ত হাত দিয়ে ধরলে কাছাকাছি পৃষ্ঠতলে যেমন দরজার হাতলে, খাটের খুঁটিতে বা মুঠোফোনে ভাইরাস লেগে থাকতে পারে এবং সেখান থেকে পরোক্ষভাবে আরেকজন ব্যক্তির কাছে সেটি ছড়াতে পারে।[১৩]

এছাড়া উহান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার সময়ে যেমন ক্লোমনালীবীক্ষণ বা শ্বাসনালীর চিকিৎসার সময়ে বাতাসে দেহ থেকে নিঃসৃত ভাইরাসবাহী তরলের বাতাসে ভাসমান কণাগুলি একাধিক চিকিৎসাকর্মীকে সংক্রামিত করতে পারে এবং সাবধানতা অবলম্বন না করলে হাসপাতালের সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। হাত পরিষ্কার রাখলে এবং বিশেষ পোষাক বা গাউন, হাতমোজা, মুখোশ ও চশমা পরিধান করলে বাতাসে ভাইরাসবাহী ভাসমান কণার বিস্তার কমানো সম্ভব। ভাইরাসটির সংক্রমণ ও লক্ষণ প্রকাশের অন্তর্বর্তী কাল (ইনকিউবেশন পিরিয়ড) এখনও নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও সংক্রমণের মোটামুটি ১ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই রোগের উপসর্গ দেখা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।[১৩]

ঝুঁকি

২০২০ সালের ২৩শে জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উহান করোনাভাইরাসের বিস্তারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি জরুরী অবস্থা হিসেবে ঘোষণা দেবার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়।[২১][২২] তবে তারা বলে যে তাদের জরুরী অবস্থা সমিতি প্রয়োজন হলে এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে পুনরায় খতিয়ে দেখতে পারে। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটির ব্যাপক বিস্তারের সম্ভাবনার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। সে সময় চীনা নববর্ষ উপলক্ষে চীনের পর্যটকদের গমনাগমনের শীর্ষ মৌসুমের কারণে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে দুশ্চিন্তা ছিল।

প্রতিক্রিয়া

২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণের কথা অবহিত করা হয়। ২৭শে জানুয়ারি ২০২০ তারিখ পর্যন্ত চীনে প্রায় ৪৫১৫ ব্যক্তির দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯৭৬ জনের অবস্থা গুরুতর।[২৩] ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ৯ই জানুয়ারি প্রথম ব্যক্তিটি মারা যায়। ২৭শে জানুয়ারি ২০২০ তারিখ পর্যন্ত ভাইরাসটির কারণে চীনে ১০১ জন ব্যক্তি মারা যায়।

ভাইরাসের বিস্তার রোধের উদ্দেশ্যে চীনের বহু শহরে নববর্ষ উৎসব বাতিল করে দেওয়া হয়, উৎসব-উদ্দীপনামূলক জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয় এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় বেড়াবার স্থানগুলিও জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। চীনা সরকারের নির্দেশে উহান শহরে ও হুপেই প্রদেশের আরও ১৭টি শহরে অন্তর্গামী ও বহির্গামী সমস্ত গণপরিবহন সেবা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে প্রায় ৫ কোটি চীনা অধিবাসী (উহান শহরের ১ কোটি ১০ লক্ষ অধিবাসীসহ) নিজ শহরে প্রায় অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছে। উহানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে।

দেশ অনুযায়ী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব

অবস্থান অনুযায়ী কোভিড-১৯ মহামারী[২৪][২৫]
অবস্থান মামলা মৃত্যু
বিশ্ব ২৫৩,৩৯১,৩২৪ ৫,১০৮,০০৮
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪৭,৮৩৪,৮১০ ৭৮২,৯৩৩
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৩৯,২৬৯,১৮৫ ৭৮৭,৭৭২
ভারত ৩৪,৪২৬,০৩৬ ৪৬৩,২৪৫
ব্রাজিল ২১,৯৪০,৯৫০ ৬১০,৯৩৫
যুক্তরাজ্য ৯,৪৮৭,৩০২ ১৪২,৬৭৮
রাশিয়া ৯,০৩১,৮৫১ ২৫৪,১৬৭
তুরস্ক ৮,৩৬৩,৯৫৯ ৭৩,১২৭
ফ্রান্স
ইরান
আর্জেন্টিনা
স্পেন
কলম্বিয়া
ইতালি ৪,৮৪৩,৯৫৭ ১৩২,৬৮৬
জার্মানি
ইন্দোনেশিয়া
মেক্সিকো
পোল্যান্ড
দক্ষিণ আফ্রিকা
ইউক্রেন
ফিলিপাইন
মালয়েশিয়া
পেরু
নেদারল্যান্ডস
ইরাক
থাইল্যান্ড
চেক প্রজাতন্ত্র
জাপান
কানাডা
চিলি
বাংলাদেশ ১,৫৭২,১২৭ ২৭,৯১২
রোমানিয়া
ইসরায়েল
বেলজিয়াম
পাকিস্তান ১,২৭৯,৩৭৩ ২৮,৫৯৫
সুইডেন
পর্তুগাল
সার্বিয়া
কাজাখস্তান
মরক্কো
কিউবা
ভিয়েতনাম
সুইজারল্যান্ড
জর্ডান
হাঙ্গেরি
নেপাল
অস্ট্রিয়া
সংযুক্ত আরব আমিরাত
তিউনিসিয়া
গ্রিস
জর্জিয়া (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
লেবানন
গুয়াতেমালা
বেলারুশ
বুলগেরিয়া
কোস্টা রিকা
সৌদি আরব
শ্রীলঙ্কা
ইকুয়েডর
আজারবাইজান
বলিভিয়া
মিয়ানমার
পানামা
প্যারাগুয়ে
ফিলিস্তিন
শ্লোভাকিয়া
ক্রোয়েশিয়া
প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড
কুয়েত
ভেনিজুয়েলা
উরুগুয়ে
লিথুয়ানিয়া
ডেনমার্ক
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র
হন্ডুরাস
ইথিওপিয়া
লিবিয়া
দক্ষিণ কোরিয়া
মঙ্গোলিয়া
মলদোভা
মিশর
শ্লোভেনিয়া
ওমান
আর্মেনিয়া
বাহরিন
কেনিয়া
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
কাতার
নাইজেরিয়া
জাম্বিয়া
আলজেরিয়া
নরওয়ে
উত্তর ম্যাসেডোনিয়া
ল্যাটভিয়া
বতসোয়ানা
উজবেকিস্তান
কিরঘিজস্তান
আলবানিয়া
এস্তোনিয়া
সিঙ্গাপুর
কসোভো
আফগানিস্তান
অস্ট্রেলিয়া
ফিনল্যান্ড
মোজাম্বিক
মন্টেনিগ্রো
জিম্বাবোয়ে
ঘানা
নামিবিয়া
উগান্ডা
সাইপ্রাসের
কম্বোডিয়া
এল সালভাদর
ক্যামেরুন
রুয়ান্ডা
চীন
জামাইকা
মালদ্বীপ
লুক্সেমবুর্গ
সেনেগাল
অ্যাঙ্গোলা
মালাউই
আইভরি কোস্ট
কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ফিজি
সুরিনাম
ইস্তেনী
মাদাগাস্কার
সিরিয়া
সুদান
কেপ ভার্দে
মাল্টা
মৌরিতানিয়া
গায়ানা
গ্যাবন
লাওস
গিনি
পাপুয়া নিউ গিনি
তানজানিয়া
টোগো
বেলিজ
বেরিন
হাইতি
বাহামা
সেশেলস
লেসোথো
সোমালিয়া
বুরুন্ডি
পূর্ব তিমুর
তাজিকিস্তান
মরিশাস
কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
তাইওয়ান
নিকারাগুয়া
মালি
অ্যান্ডোরা
বুরকিনা ফাসো
বার্বাডোস
জিবুতি
নিরক্ষীয় গিনি
আইসল্যান্ড
সেন্ট লুসিয়া
হংকং
দক্ষিণ সুদান
ব্রুনেই
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
গাম্বিয়া
ইয়েমেন
ইরিত্রিয়া
সিয়েরা লিওন
নাইজার
গিনি-বিসাউ
লাইবেরিয়া
গ্রেনাডা
নিউজিল্যান্ড
সান মারিনো
চাদ
সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস
ডোমিনিকা
কোমোরোস
অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা
সাও টোম এবং প্রিন্সিপ
লিচেনস্টাইন
মোনাকো
সেন্ট কিটস এবং নেভিস
ভুটান
ভ্যাটিকান সিটি
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
প্যালেস
ভানুয়াটু
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
সামোয়া
কিরিবাটি
মাইক্রোনেসিয়ার ফেডারেটেড স্টেটস

তথ্যসূত্র

  1. "Template:2019-20 Wuhan coronavirus data/World"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  2. "Coronavirus Toll Update: Cases & Deaths by Country of Wuhan, China Virus - Worldometer"www.worldometers.info (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  3. [১] NHC daily reports
  4. "Coronavirus nCoV-2019"gisanddata.maps.arcgis.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৬ 
  5. Fox, Dan (২৪ জানুয়ারি ২০২০)। "What you need to know about the Wuhan coronavirus"। Natureআইএসএসএন 0028-0836ডিওআই:10.1038/d41586-020-00209-y 
  6. "Is the World Ready for the Coronavirus?"। Editorial। The New York Times। ২৯ জানুয়ারি ২০২০। ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ 
  7. "China virus death toll rises to 41, more than 1,300 infected worldwide"CNBC। ২৪ জানুয়ারি ২০২০। ২৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২০ 
  8. Shih, Gerry; Lynch, David J.; Denyer, Simon। "Fifth coronavirus case confirmed in U.S., 1,000 more cases expected in China"The Washington Post। ২৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২০ 
  9. "Coronavirus declared global health emergency"BBC News Online। ৩০ জানুয়ারি ২০২০। ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ 
  10. Joseph, Andrew (৩০ জানুয়ারি ২০২০)। "WHO declares coronavirus outbreak a global health emergency"Stat News। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ 
  11. Wee, Sui-Lee; McNeil Jr., Donald G.; Hernández, Javier C. (৩০ জানুয়ারি ২০২০)। "W.H.O. Declares Global Emergency as Wuhan Coronavirus Spreads"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ 
  12. "Statement on the second meeting of the International Health Regulations (2005) Emergency Committee regarding the outbreak of novel coronavirus (2019-nCoV)"World Health Organization (WHO)। ৩০ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ 
  13. Anni Sparrow। "How China's Coronavirus Is Spreading—and How to Stop It"www.foreignpolicy.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৮ 
  14. "China battles coronavirus outbreak: All the latest updates"www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৮ 
  15. Lisa Schnirring: WHO decision on nCoV emergency delayed as cases spike 23 January 2020 CIDRAP News, accessed 23 January 2020
  16. Hui, David S.; Azhar, Esam EI; Madani, Tariq A.; Ntoumi, Francine; Kock, Richard; Dar, Osman; Ippolito, Giuseppe; Mchugh, Timothy D.; Memish, Ziad A.; Drosten, Christian; Zumla, Alimuddin (১৪ জানুয়ারি ২০২০)। "The continuing epidemic threat of novel coronaviruses to global health – the latest novel coronavirus outbreak in Wuhan, China"International Journal of Infectious Diseases91: 264–266। আইএসএসএন 1201-9712ডিওআই:10.1016/j.ijid.2020.01.009 
  17. "Undiagnosed pneumonia – China (HU) (01): wildlife sales, market closed, RFI Archive Number: 20200102.6866757"Pro-MED-mail। International Society for Infectious Diseases। ২২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  18. Cohen, Jon; Normile, Dennis (১৭ জানুয়ারি ২০২০)। "New SARS-like virus in China triggers alarm"Science367 (6475): 234–235। আইএসএসএন 0036-8075ডিওআই:10.1126/science.367.6475.234পিএমআইডি 31949058। ১৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূলঅর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজন থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২০ 
  19. Parry, Jane (২০ জানুয়ারি ২০২০)। "China coronavirus: cases surge as official admits human to human transmission"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজনBritish Medical Journal368আইএসএসএন 1756-1833ডিওআই:10.1136/bmj.m236 
  20. Boseley, Sarah; Devlin, Hannah; Belam, Martin (২০২০-০১-২৮)। "What is coronavirus and how worried should we be?"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৮ 
  21. Schnirring, Lisa; 2020 (২৩ জানুয়ারি ২০২০)। "WHO holds off on nCoV emergency declaration as cases soar"CIDRAP। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০২০ 
  22. "Statement on the meeting of the International Health Regulations (2005) Emergency Committee regarding the outbreak of novel coronavirus 2019 (n-CoV) on 23 January 2020"www.who.int। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  23. https://globalnews.ca/news/6470807/china-coronavirus-death-toll-raises/
  24. Ritchie, Hannah; Mathieu, Edouard; Rodés-Guirao, Lucas; Appel, Cameron; Giattino, Charlie; Ortiz-Ospina, Esteban; Hasell, Joe; Macdonald, Bobbie; Beltekian, Diana (২০২০-০৩-০৫)। "Coronavirus Pandemic (COVID-19)"Our World in Data 
  25. বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯- এর সর্বশেষ তথ্য, হাল-নাগাদ সময় : Nov 13, 2021 06:53:56 PM