বিজয় কিবোর্ড
মূল উদ্ভাবক | মোস্তাফা জব্বার |
---|---|
উন্নয়নকারী | আনন্দ কম্পিউটার্স |
প্রাথমিক সংস্করণ | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৮৮ |
স্থিতিশীল সংস্করণ | বিজয় ২০১৬
/ ১৬ নভেম্বর ২০১৫ |
স্ট্যান্ডার্ড (সমূহ) | বিডিএস ১৫২০:২০১৫ |
উপলব্ধ | বাংলা |
ধরন | কিবোর্ড ইন্টারফেস, স্ক্রিপ্ট ইন্টারফেস সিস্টেম |
লাইসেন্স | ব্যক্তিমালিকানাধীন |
ওয়েবসাইট | http://www.bijoyekushe.net.bd/ |
বিজয় কিবোর্ড হল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস এবং লিনাক্সের জন্য একটি গ্রাফিক্যাল লেআউট পরিবর্তক এবং ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার সফটওয়্যার। ইউনিকোড ভিত্তিক অভ্র কিবোর্ড আসার পূর্বপর্যন্ত বিজয় কিবোর্ড বহুল ব্যবহৃত হতো।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বিজয়ের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে। ইউনিকোড পরিপূর্ণভাবে প্রচলনের স্বার্থে বিজয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০১১ সালে। প্রথম সংস্করণের সকল বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে দ্বিতীয় সংস্করণে এমন কিছু নতুন বর্ণ যুক্ত করা হয় যা ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা লেখার জন্য প্রয়োজন হয়। প্রকৃতপক্ষে বিজয় এর দ্বিতীয় সংস্করণ সম্পূর্ণ প্রয়োগ করা হয়েছে বিজয় এর ইউনিকোড এবং গোল্ড সংস্করণে।
বাংলাদেশের বাংলা কম্পিউটার কিবোর্ডের জাতীয় মান হচ্ছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উন্নয়ন করা জাতীয় কিবোর্ড (BDS 1738:2018)। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন বাংলা কিবোর্ড পর্যালোচনা করে জাতীয় বাংলা কম্পিউটার কিবোর্ড প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করে। বিসিসি আধুনিকায়নের কাজ সম্পাদন করে বিএসটিআইতে প্রেরণ করে যা BDS 1738:2018 হিসেবে অনুমোদন লাভ করে।[১] ২০১৭ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল জাতীয় কিবোর্ড লেআউটটি সংশোধন করে এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজয় কিবোর্ড লেআউটকে জাতীয় কিবোর্ড লেআউট হিসেবে ঘোষণা করে।[২]
বিজয় এনকোডিং ও ইউনিকোড
[সম্পাদনা]বিজয় সফটওয়্যারে বিজয় এনকোডিং নামে একটি আসকি/আনসি এনকোডিং ব্যবহার করা হয়েছে। এই সফটওয়্যার পূর্ণাঙ্গভাবে ইউনিকোড সমর্থন করে না। যেমন: ে, ি
লেখার জন্য বর্ণের পূর্বে লিখতে হয়। অথচ ইউনিকোড পদ্ধতিতে স্বরবর্ণ সবসময় বর্ণের পরে বসে। ইউনিকোডে ো
কারের জন্য আলাদা কোড পয়েন্ট (U+09CB) থাকলেও বিজয় সফটওয়্যারে তা ে
(U+09C7) কার এবং া
(U+09BE) কার এর সমন্বয় করে লিখতে হয়। অর্থাৎ বিজয় বিজয় সফটওয়্যারে কো = ে + ক + া
। যেখানে ইউনিকোড পদ্ধতিতে কো = ক + ো
। এছাড়া ইউনিকোডে চন্দ্রবিন্দু (U+0981) লেখার পদ্ধতি সাথের বিজয় সফটওয়্যারের পার্থক্য রয়েছে।
বিজয় মূলত পুরাতন আসকি এনকোডিংয়ের উপর ভিত্তি করে তাদের তৈরি করা বিজয় এনকোডিংকে ইউনকোডের উপরে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সেজন্য বিজয় ২০১০ সালে আসকি এক্সটেন্ডেডের ২৫৬ টি কোডের বাইরে গিয়ে বিজয় একাত্তর নামে আরেকটি এনকোডিং উন্নয়ন করে।[৩] অন্যদিকে বিজয় এনকোডিং বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। আলাদা সংস্করণের বিজয় এনকোডিংয়ের জন্য আলাদা ফন্ট ব্যবহার করতে হয়। বিজয় সফটওয়্যার শুরু থেকে আসকি এনকোডিংয়ের উপর ভিত্তি করে উন্নয়ন হওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত পুরোপুরি ইউনিকোড সমর্থনে যেতে পারছে না। কেননা তাতে ব্যাকওয়ার্ড কম্পেটিবিলিটির মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। সব সফটওয়্যার ইউনিকোড সমর্থন না করার কারণ দেখিয়ে বিজয় এখনও পুরাতন আসকি এনকোডিং সমর্থন করছে। যদিও বর্তমানে প্রায় সকল সফটওয়্যার ইউনিকোড সমর্থন করা শুরু করেছে। বিজয় এনকোডিং ব্যবহার করে উৎপন্ন কোনো টেক্সট পুনরায় সংশোধন বা পরিমার্জন করতে গেলে বিজয়ের সফটওয়্যারের প্রয়োজন পড়ে। এজন্য বিজয় তাদের ব্যবহারকারীদের ধরে রাখতে বিজয় এনকোডিংকে ইউনিকোডের উপরে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কেননা ইউনিকোড পদ্ধতিতে কোনো বাংলা টেক্সট বিজয়ের মতো কোনো নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মুখাপেক্ষী থাকে না। পূর্ণাঙ্গভাবে ইউনিকোড সমর্থন না থাকার কারণে ইউনিকোড রিসোর্সে পূর্ণাঙ্গ বাংলা টাইপিং সফটওয়ার হিসেবে বিজয় সফটওয়্যার অন্তর্ভূক্ত হয় নি।
আসকি এনকোডিং হওয়ার কারণে বিজয় এনকোডিংয়ে ব্যবহৃত ফন্টে স্টাইলিস্টিক সেট-এর মতো ওপেনটাইপ ফিচার ব্যবহৃত হয় নি। এ কারণে বিজয় এনকোডিংয়ের ফন্টে (যেমন: বহুল ব্যবহৃত SutonnyMJ) যুক্তবর্ণ ভেঙে যাওয়া, যুক্তবর্ণের অসামঞ্জস্য অবস্থানের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।[৩] বিজয় এনকোডিংয়ের ফন্টগুলো ল্যাটিন বর্ণের উপরে ম্যাপিং করার কারণে বিভিন্ন ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যারে (যেমন: মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, লিব্রে অফিস রাইটার) বাংলা শব্দগুলোকে বানান সংশোধনীতে ভুল বানান হিসেবে নির্দেশ করে থাকে।
সফটওয়্যার সংস্করণ
[সম্পাদনা]নাম | সংস্করণ | প্রকাশের তারিখ |
---|---|---|
বিজয় কিবোর্ড | ||
বিজয় ১ (ম্যাক) | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৮৮ | |
বিজয় ২ (ম্যাক) | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ | |
বিজয় ৩ (ম্যাক) | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৯ | |
বিজয় ৪ (ম্যাক) | ||
বিজয় ২০০০, প্রো (ম্যাক, উইন্ডোজ) | ||
বিজয় ২০০১, প্রো | ||
বিজয় ২০০৩, প্রো | ||
বিজয় ২০০৪, প্রো | ||
বিজয় বায়ন্নো | ||
বিজয় বায়ন্নো, প্রো | ||
বিজয় বায়ন্নো ২০০৯ | ||
বিজয় বায়ন্নো ২০১০ | ||
বিজয় বায়ন্নো ২০১১ | ||
বিজয় বায়ন্নো ২০১২ | ||
বিজয় বায়ন্নো ২০১৪ | ||
বিজয় বায়ন্নো ২০১৬ | ||
বিজয় একুশে | ||
বিজয় একুশে | ||
বিজয় একুশে ২০০৪ | ||
বিজয় একুশে আনন্দ ২০০৫ | ||
বিজয় একুশে ২০০৬ | ||
বিজয় একুশে কনভার্টার | ||
বিজয় একুশে অভিধান | ||
বিজয় একুশে সুবর্ণ | ||
বিজয় একুশে জনতা | ||
বিজয় একাত্তর | ||
বিজয় একাত্তর | ||
বিজয় একাত্তর ২০১৬ |
বিতর্ক
[সম্পাদনা]বিজয়-পাপ্পানা বিতর্ক
[সম্পাদনা]২০০০ সালের দিকে বুয়েটের ৯৪ ব্যাজের মুনিরুল আবেদিন পাপ্পানা প্রথম ফোনেটিক বাংলা টাইপিং প্রোটোটাইপ তৈরি করেন। যা পরবর্তীতে মোস্তাফা জব্বার তার বিজয় ২০০৩ হিসেবে ব্যাবহার করেন। সেখানে পাপ্পানাকে তার সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি বলে তিনি বিজয় ২০০০ - ২০০৬ পর্যন্ত বিজয় অ্যাপের ভিতরে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ লিখে রাখেন।[৪] যা পরবর্তীতে সরিয়ে ফেলা হয়।
বিজয়-অভ্র বিতর্ক
[সম্পাদনা]কম্পিউটারে বাংলা লেখার বাণিজ্যিক আবদ্ধ উৎসের (ক্লোজ সোর্স) সফটওয়্যার বিজয় এর স্বত্বাধিকারী এবং ‘আনন্দ কম্পিউটার্স' এর প্রধান নির্বাহী মোস্তাফা জব্বার ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল দৈনিক জনকণ্ঠের একটি নিবন্ধে অভ্রর দিকে ইঙ্গিত করে দাবী করেন যে- হ্যাকাররা তার ‘বিজয়’ সফটওয়্যারটি চুরি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি অভ্র কিবোর্ডকে পাইরেটেড সফটওয়্যার হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে ইউএনডিপি হ্যাকারদের সহযোগিতা করেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে ইউএনডিপি-র প্ররোচনাতেই জাতীয় তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে। মেহ্দী হাসান খান জানান যে ক্লোজড সোর্স প্রোগ্রাম হ্যাক করা সম্ভব নয় বিধায় বিজয়ের সিস্টেম হ্যাক করা সম্ভব নয়।[৫] অপরদিকে, অভ্র'র পক্ষ থেকে মেহ্দী হাসান খান সকল নালিশ অস্বীকার করেন এবং অভিযোগ করেন যে, মোস্তাফা জব্বার বিভিন্ন পর্যায়ে ও গণমাধ্যমে তাদেরকে চোর বলেন এবং তাদের প্রতিবাদ সেখানে উপেক্ষিত হয়। কম্পিউটারে বাংলা নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের জন্য উকিল নোটিশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দিয়ে আক্রমণের হুমকি উপেক্ষা করে কাজ করা স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা। তিনি আরো বলেন যে নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পে বাণিজ্যিক বিজয়-এর পরিবর্তে বিনামূল্যের অভ্র ব্যবহার করাতে প্রায় ৫ কোটি টাকা লোকসান হওয়ায় মোস্তাফা জব্বার এমন অভিযোগ করেছেন।[৬]
অভ্র ৪.৫.১ সফটওয়্যারের সাথে ইউনিবিজয় নামে একটি কিবোর্ড লেআউট সরবরাহ করা হয়। এই ইউনিবজয় কিবোর্ড লেআউট প্যাটেন্টকৃত বিজয় কিবোর্ড লেআউটের নকল দাবী করে মোস্তাফা জব্বার কপিরাইট অফিসে কপিরাইট আইন ভঙ্গের জন্য মেহ্দী হাসান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে কপিরাইট অফিস খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। পরবর্তিতে মেহ্দী হাসান খানের আবেদনের প্রেক্ষিতে এর সময়সীমা ২৩ মে ২০১০ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।[৭]
১৬ জুন ২০১০ তারিখে ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অফিসে অনেক তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মেহ্দী হাসান খান ও মোস্তাফা জব্বারের মধ্যে একটি সমঝোতা হয় এই মর্মে, ২০১০ সালের ২০ আগস্টের মধ্যে, অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার থেকে ইউনিবিজয় লেআউট সরিয়ে নেওয়া হবে এবং কপিরাইট অফিস থেকে মেহ্দী হাসান খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত স্বত্ত্বাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।[৮] সেই চুক্তি অনুযায়ী, অভ্রর ৪.৫.৩ সংস্করণ থেকে ইউনিবিজয় কিবোর্ড বাদ দেওয়া হয়। তিনি অভ্র কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান।[৯]
বিজয়-রিদ্মিক বিতর্ক
[সম্পাদনা]২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি গুগল প্লে স্টোরে উন্মুক্ত করা হয় বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ। এরপর এই অ্যাপটি নিয়ে তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন মোস্তাফা জব্বার। সেই স্ট্যাটাসে এই জাতীয় অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে বিজয় বাংলা কিবোর্ড লেআউট অবৈধভাবে ব্যবহারের অভিযোগ করেন।[১০] পরবর্তীতে গুগলের পক্ষ থেকে রিদ্মিক এবং ইউনিবিজয় কীবোর্ডের ডেভেলপারের কাছে পৃথকভাবে ইমেইল নোটিশ পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, মোস্তাফা জব্বার অ্যাপ দুটির বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়েছেন গুগলের কাছে। আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই গুগল যুক্তরাষ্ট্রের ডিএমসিএ আইন অনুসারে অ্যাপ দুটি অপসারণ করেছে।[১০] পরে নতুন লে আউট করে প্লেস্টোরে আবারও রিদ্মিক কিবোর্ড প্রকাশ করা হয়।[১১]
বাধ্যতামূলক বিজয় কিবোর্ড
[সম্পাদনা]২০২৩ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এবং আমদানি করা সব ধরনের স্মার্টফোনে বিজয় বাংলা কিবোর্ড সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়। বিজয় কিবোর্ডের মালিক এবং বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “বিজয় কিবোর্ড বাংলা লেখার জাতীয় মান হওয়ার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে”। এর পরই ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিজয় কিবোর্ড স্মার্টফোনে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহারের নির্দেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।[১২] কিবোর্ড বা অ্যাপ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের বাধ্যতামূলক তালিকার কোনো পণ্য নয়। কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার নাম উল্লেখ করে কোনো সরকারি সংস্থা বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহারের নির্দেশ দিতে পারে না।[১৩]
বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগ থেকে ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে দেয়া এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। বিটিআরসির দেওয়া চিঠিতে বিজয় কিবোর্ড বাধ্যতামূলক করার ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনার কথা বলা হয়। তবে সরকারের কোন নির্দেশনা, কোন আইনে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।[১৩] এতে বলা হয়, সব ধরনের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে বিজয় অ্যান্ড্রয়েড প্যাকেজ কিট বা এপিকে ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ে এটা ইন্সটল করতে হবে যাতে ব্যবহারকারী চাইলে এটা ব্যবহার করতে পারে। ব্যবহারকারী চাইলে অন্য কিবোর্ড ব্যবহার করতে পারে।[১৪]
বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার না করলেও ইনস্টল করলেই ম্যালওয়্যার প্রবেশ করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান বলেন, ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার নজরদারির প্রযুক্তি কিনছে। সরকার বিজয়ের সঙ্গে ম্যালওয়্যার (ক্ষতিকারক সফটওয়্যার) ঢুকিয়ে মোবাইল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারে। এভাবে তারা সব ব্যবহারকারীর ওপর নজরদারি করতে পারবে।[১৫] বিজয় কিবোর্ড ওপেন সোর্স প্রোডাক্ট না হওয়ায় তার উদ্দেশ্য কিংবা সম্ভাব্য অপব্যবহারের অভিযোগ যাচাই করা সম্ভব হবে না।[১৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "স্ট্যান্ডার্ডস উন্নয়ন"। bcc.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "যন্ত্রে যন্ত্রে বাংলা | প্রথম আলো"। web.archive.org। ২০২২-০১-১৮। ২০২২-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২১।
- ↑ ক খ জব্বার, মোস্তফা (২০১১)। বিজয় বায়ান্নো ২০১১। ঢাকা: আনন্দ কম্পিউটার্স। পৃষ্ঠা ৪০।
- ↑ বস ৭, সাইফ দি (২০১০-০৪-২৩)। "বিজয়ের প্রোগ্রামারকেও পুরো টাকা পরিশোধ করেননি জব্বার! – আমার ঠিকানা…"। আমার ঠিকানা...। ২০২৩-০২-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১২।
- ↑ জব্বার, মোস্তফা (২০১০-০৪-০৪)। "সাইবার যুদ্ধের যুগে প্রথম পা ॥ একুশ শতক"। দৈনিক জনকন্ঠ। ২০১৩-০১-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১৬।
- ↑ খান, মেহদী হাসান (২০১০-০৫-০১)। "প্রতিক্রিয়া-ভাষা উন্মুক্ত হবেই"। দৈনিক জনকন্ঠ। ঢাকা। ২০১৩-০১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-২৬।
- ↑ "কারণ দর্শানোর সময় বাড়াল কাপিরাইট অফিস"। Prothom-Alo.com। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১০।
- ↑ "সমঝোতার পথে অভ্র ও বিজয়"। প্রথম আলো। ঢাকা। ১৭ জুন ২০১০। ৬ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১০।
- ↑ "অভ্র থেকে ইউনিবিজয় প্রত্যাহার"। প্রথম আলো। ঢাকা। ২২ আগস্ট ২০১০। ৭ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১০।
- ↑ ক খ "প্লে স্টোর থেকে রিদ্মিক এবং ইউনিবিজয় কীবোর্ড অপসারণ করলো গুগল"। প্রিয়। ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৫।
- ↑ junnu rain। "নতুন রুপে আবারও রিদ্মিক কিবোর্ড"। ড্রয়েড বিডি। ২১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৫।
- ↑ হোসেন, বি এম মইনুল (১৮ জানুয়ারি ২০২৩)। "অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয়ের বাধ্যবাধকতা কতটুকু যৌক্তিক?"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ ক খ আফরিন, রাজীব আহমেদ,সুহাদা। "বিজয় কি-বোর্ড বাধ্যতামূলক করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২১।
- ↑ "মোবাইল ফোন: বিজয় কী-বোর্ড ব্যবহারের জন্য নির্দেশের পেছনে যে যুক্তি দিচ্ছে সরকার"। বিবিসি বাংলা। ২০২৩-০১-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২১।
- ↑ "মোবাইলে বিজয় কি–বোর্ড ব্যবহারের নির্দেশ জনগণের তথ্য হাতিয়ে নিতে: মান্না"। প্রথম আলো। ১৮ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ আহমেদ, কামাল। "মুঠোফোনে বিজয় কি-বোর্ড চাপিয়ে দেওয়া কি বৈধ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-২১।