বাভারিয়া
বাভারিয়া Freistaat Bayern | |
---|---|
জার্মানির রাজ্য | |
স্থানাঙ্ক: ৪৮°৪৬′৩৯″ উত্তর ১১°২৫′৫২″ পূর্ব / ৪৮.৭৭৭৫০° উত্তর ১১.৪৩১১১° পূর্ব | |
দেশ | জার্মানি |
রাজধানী | মিউনিখ |
সরকার | |
• Minister-President | হোর্স্ট জিহুফার (CSU) |
• শাসক দল | CSU |
• বুনডেসরাটে ভোট | 6 (of 69) |
আয়তন | |
• মোট | ৭০,৫৪৯.৪৪ বর্গকিমি (২৭,২৩৯.২৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2012)[১] | |
• মোট | ১,২৬,৭০,০০০ |
• জনঘনত্ব | ১৮০/বর্গকিমি (৪৭০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | সিইটি (ইউটিসি+১) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | সিইডিটি (ইউটিসি+২) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | DE-BY |
জিডিপি/নামমাত্র | € 465.5 বিলিয়ন (2012) [২] |
জিডিপি মাথাপিছু | € 36701 (2012) |
বাদাম অঞ্চল | DE2 |
ওয়েবসাইট | bayern.de |
বাভারিয়া বা বায়ার্ন (জার্মান: Freistaat Bayern, ফ্রাইশ্টাট্ বাইয়ান, উচ্চারণ [ˈfʁaɪʃtaːt ˈbaɪ.ɐn] (, )টেমপ্লেট:Lang-gsw, অস্ট্র-বাভারিয়ান: Freistoot Boarn) জার্মানির দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি রাজ্য। এটি জার্মানির সবচেয়ে বড় রাজ্য যার আয়তন ৭০,৫৪৮ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে বাভারিয়া জার্মানির মোট ভূ-খন্ডের প্রায় ২০% স্থান দখল করে। এছাড়া এটি জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য। এর জনসংখ্যা ১২.৫ মিলিয়ন। বাভারিয়ার রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর মিউনিখ। বাভারিয়া ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন রাজ্যও বটে। এটা ৯০৭ শতকে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০৬ থেকে ১৯১৮ পর্যন্ত বাভারিয়া জার্মানির অন্যতম রাজ্য ছিল। ঐতিহাসিক অঞ্চল ফ্রাঙ্কোনিয়া, আপার প্যালাটিনাটা এবং স্ভাবিয়া বর্তমান বাভারিয়ার অন্তর্গত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]আল্পস পর্বতমালার উত্তরে বাভারিয়া রাজ্যের অভ্যুদয় ঘটে। এখানে বাস করত কেল্টীয় সভ্যতার মানুষ। তখন এটা রোমান প্রদেশ র্যাটিয়া ও নোরিকাম এর একটি অংশ ছিল। বাভারিয়ার অধিবাসীরা জার্মান ভাষার আদিরূপ (ওল্ড হাই জার্মান) বলত। ধারণা করা হয় তারা অন্য কোথাও থেকে এখানে আগমন করেনি। বাভারিয়া শব্দের অর্থ বাইয়ার মানুষ। এটি সম্ভবত বোহেমিয়ার মানুষ ইঙ্গিত করে।
ভূগোল
[সম্পাদনা]বাভারিয়া অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং সুইজারল্যান্ডের সাথে আন্তর্জাতিক সীমারেখা শেয়ার করে। এই তিনটি দেশই শেঙ্গেন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত, তাই সীমারেখা নির্দেশের জন্য কোন বর্ডার নেই। বাভারিয়ার সঙ্গে যুক্ত জার্মানির অন্যান্য রাজ্যগুলো হল বাডেন-ভুর্টেমবার্গ, হেসে, থুরিনগিয়া এবং জ্যাক্সোনি। দুইটি প্রধান নদী বাভারিয়ার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে, একটির নাম দানিয়ুব এবং আরেকটি মাইন। বাভারিয়া আল্পস অস্ট্রিয়ার সাথে জার্মানির সীমা নির্দেশ করেছে। এই অঞ্চলেই জার্মানির সবচেয়ে উচু স্থানটি রয়েছে, এর নাম জুগ্সপিটসা। বাভারিয়া বনাঞ্চল এবং বোহেমিয়ান বনাঞ্চল বাভারিয়ার বিশাল অংশজুড়ে বিদ্যমান, এগুলো বাভারিয়া অতিক্রম করে চেক প্রজাতন্ত্র এবং বোহেমিয়াতে প্রবেশ করেছে।
বাভারিয়া রাজ্যর প্রধান শহরগুলো হল মিউনিখ, নুরেমবার্গ, অসবার্গ, রেগেন্ন্সবার্গ, ভুর্জবার্গ, ইগ্নোলস্টাট, ফুর্থ এবং ইরলাঙ্গেন।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]দীর্ঘকাল ধরেই বাভারিয়ার অর্থনীতি জার্মানির রাজ্যগুলো মধ্যে অন্যতম বৃহৎ।[৩] ২০০৭ সালে এই রাজ্যের জিডিপি ৪৩৪ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) অতিক্রম করেছে।[৪] এটা ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি। বিশ্বে মাত্র ১৭টি দেশের অর্থনীতি বাভারিয়ার অর্থনীতির চেয়ে বড়। বাভারিয়াতে অবস্থিত বিখ্যাত কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএমডব্লিউ (বায়ার্ন মোটর ওয়ার্কস), সিমেন্স, রোডা এন্ড শ্ভার্স, আউডি, মিউনিখ রে, অ্যালিয়াঞ্জ, ইনফিনিয়ন, ম্যান, ভাক্যার কেমি, পুমা, অ্যাডিডাস। বাভারিয়ার মাথাপিছু জিডিপি ৪৮০০০ মার্কিন ডলারের বেশি। যদি বাভারিয়া বিশ্বের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হত, তবে এটি ৭তম বা ৮ম ধনী দেশ হত।
খেলাধুলা
[সম্পাদনা]বাভারিয়াভিত্তিক বেশ কয়েকটি ফুটবল ক্লাব রয়েছে যেমন- এফসি বায়ার্ন মিউনিখ, এফসি নুরেমবার্গ, এফসি অগসবার্গ, টিএসভি ১৮৬০ মুনশেন এবং গ্রয়থার ফুর্থ। এদের মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখ সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং জার্মানির সবচেয়ে সফল ফুটবল ক্লাব। এটি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত ও জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব। বায়ার্ন মিউনিখ ২৩ বা জার্মান শিরোপা অর্জন করেছে। এফসি নুরেমবার্গ ৯ বার শিরোপা অর্জন করেছে। গ্রয়থার ফুর্থ শিরোপা অর্জন করেছে ৩ বার। বিখ্যাত ফুটবল স্টেডিয়াম অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনা বাভারিয়ার রাজধানী মিউনিখে অবস্থিত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "State population"। Portal of the Federal Statistics Office Germany। নভেম্বর ২০১২। ২০০৪-০৪-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-১৬।
- ↑ "State GDP"। Portal of the Federal Statistics Office Germany। ২০১১-০৫-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-১৬।
- ↑ Its GDP is 143% of the EU average (as of 2005) against a German average of 121.5%, see Eurostat[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Gemeinsames Datenangebot der Statistischen Ämter des Bundes und der Länder