পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ
PBSB Official Logo
সংক্ষেপেপাভিসবা
নীতিবাক্য“আর্ত-মানবতা সেবায় নিয়োজিত থেকে ধর্ম উন্নয়ন ও পারমার্থিক মুক্তি সাধন করা”
গঠিত১৯৫৮; ৬৬ বছর আগে (1958)
প্রতিষ্ঠাতারাজগুরু অগ্রবংশ মহাথের
ধরনএকটি অলাভজনক ও রাজনীতিমুক্ত থেরবাদ বৌদ্ধ ভিক্ষু সংগঠন
উদ্দেশ্যভিক্ষু প্রশিক্ষণশালা, লাইব্রেরি কাম গবেষণা ইনস্টিটিউট, বৌদ্ধ দাতব্য ফাণ্ড, পালিটোল ও কলেজ, প্রেস ও প্রকাশনী, বৌদ্ধ জাদুঘর,মিনি হাসপাতাল, ধর্মশালা, ফ্রাইডে মর্নিং স্কুল, অনাথাশ্রম ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, ধর্মপ্রচারের মাধ্যমে শান্তি ও সম্প্রীতির বিধান
সদরদপ্তরমৈত্রী বিহার, রাঙ্গামাটি
অবস্থান
ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের
ভদন্ত সুগতলংকার থের
অনুমোদনথেরবাদ বৌদ্ধধর্ম
ওয়েবসাইটwww.pbsb-cht.org

পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ (পাভিসবা) (ইংরেজি: The Parbatya Bhikkhu Sangha Bangladesh (PBSB)) একটি বহু ঐহিত্যবাহী থেরবাদী বৌদ্ধ ভিক্ষু সংগঠন। এটি ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে রাজগুরু অগ্রবংশ মহাথের নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিক্ষু সমিতি নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম ও ঢাকা মহানগরে অবস্থানরত ভিক্ষুসংঘের মধ্যে শাসন-সদ্ধর্মের শৃঙ্খলা, ঐক্য ও স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। রাজগুরু অগ্রবংশ মহাথের ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রেঙ্গুন, মিয়ানমারে (তৎকালীন বার্মা) অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বৌদ্ধ সংগীতিতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) প্রতিনিধি হিসেবে অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে একমাত্র বৌদ্ধ ভিক্ষু যোগদান করেন। তিনি বৌদ্ধ সংগীতিতে প্রটোকল বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে সংঘের একটি বৈঠক আহবান করে সর্বসম্মতিক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিক্ষু সমিতি’র নাম বিলুপ্ত ঘোষণা পূর্বক পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ নামকরণ করা হয়। এই সংঘের প্রয়োজনে বর্হি:বিশ্বেও শাখা করার নীতিমালা রয়েছে।

সংঘের মূলনীতি[সম্পাদনা]

“আর্ত মানবতা সেবায় নিয়োজিত থেকে ধর্ম উন্নয়ন ও পারমার্থিক মুক্তি সাধন করা ”

সংঘের প্রতিষ্ঠা ও ঐতিহাসিক পটভূমি[সম্পাদনা]

রাজগুরু অগ্রবংশ মহাথের, পাভিসবা প্রতিষ্ঠাতা ও ষষ্ঠ সংগীতিকারক
মোনঘর, রাঙ্গামাটি, পাভিসবা’র ৫৮তম বার্ষিক মহাসম্মেলন

ভৌগোলিকভাবে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি পাবর্ত্য প্রদেশ ও মায়ানমারের পশ্চিম সীমান্তের সাথে সংযুক্ত। উত্তর ও উত্তর পশ্চিমে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে মায়ানমারের আরাকান প্রদেশ, উত্তর ও উত্তর পূর্বে ভারতের মিজোরাম রাজ্য এবং পশ্চিমে বাংলাদেশের সমতল উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রামকক্সবাজার জেলা অবস্থিত। বহু শতাব্দী ধরে এ এলাকায় চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, খিয়াং, ম্রো, লুসাই, খুমি, পাংখোয়া, চাক প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠী পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থেকে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এদের মধ্যে চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, খিয়াং, ম্রো ও চাক জনগোষ্ঠী করুণাঘন বুদ্ধের ধর্ম-দর্শনের অনুসারী। পার্বত্য চট্টগ্রাম বৌদ্ধধর্ম জাগরনের পেছনে কিছু ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আমাদের অবশ্যই আলোচনা করতে হয়। আদিবাসী বৌদ্ধ সম্প্রদায় পরম্পরায় বৌদ্ধধর্ম পালন করে আসছে। কালের পরিবর্তনে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক শোষণ-বঞ্চনা,অত্যাচার-নিপীড়ন এমনকি গণহত্যা, দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ প্রাকৃতিক বিরূপ পরিস্থিতিতে আজ অব্দি বৌদ্ধধর্ম পালন করে আসছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধরা। [১]

পার্বত্য বৌদ্ধ সমাজ দীর্ঘ রাজনৈতিক পরাধীনতা ও পরনির্ভরতার অধীনে থাকলেও তারা থেরবাদ বৌদ্ধধর্মকে ভূলে যান নি। দীর্ঘ বছর ধরে রাজনৈতিক কষাঘাতে পিষ্ট থেকে শিক্ষা বঞ্চিত ছিল এখানকার জনগণ। দেব-দেবীর পূজা অর্চনার মতো মিথ্যাদৃষ্টিতে আছন্নে মত্ত ছিল এ বৌদ্ধসমাজ যেমন গাং পূজা, কালী পূজা ও বিভিন্ন প্রকৃতির পূজা করেছিল। সমাজে যে ক’জন বৌদ্ধ পুরোহিত লুরি ছিলেন তারা বৌদ্ধধর্ম নিয়ে শিক্ষার অভাবে অজ্ঞাত ছিল। বিভিন্ন স্থান থেকে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বৌদ্ধ ধর্মপ্রচার করেছিল। কিন্তু শিক্ষার অভাবে দরুণ ধর্ম-বিনয় জানা না থাকা সত্ত্বেও তারা বৌদ্ধধর্মকে ভুলে যেতে পারেন নি। আমাদের এটাও অকপটে স্বীকার করতে হবে যে পার্বত্য চট্টগ্রামে বৌদ্ধধর্মের সুস্থিতির জন্য তাদের অবদান কোনো অংশে কম নয়। রক্তে-রক্তে, শিরায়-উপশিরায় বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও বৌদ্ধধর্মের রীতি-নীতি মিশে রয়েছে। ভুলে যেতে পারেনি বৌদ্ধ আদর্শ চ্যুত হয়নি সদ্ধর্ম থেকে। [২]

পূর্ব-বাংলার বৌদ্ধধর্ম পুনরুত্থান, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের ব্যাপারে প্রাতঃস্বরণীয় পুণ্যশীলা চাকমা রাণী ১৮৪৪ খ্রি. রাজ্যশাসন তার আগ্রহ করেন। তিনি ছিলেন ধরমবক্স খাঁ এর প্রধান মহীয়সী। চাকমা রাণী কালিন্দী ছিলেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্না, ধর্মভীরু, পরধর্মসহিঞ্চু জাতি বর্ণ নির্বিশেষে প্রজা হিতৈষিণী। চাকমা রাণী কালিন্দী তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল প্রজার প্রতি সমান ব্যবহার করেন। হিন্দু,মুসলিম প্রজাদের জন্য মন্দিরমসজিদ নির্মাণ করে দিয়ে ছিলেন। তার রাজ প্রাসাদের সন্নিকটের বিদ্যমান ছিল বৌদ্ধ বিহার। কোন এক বিশেষ উপলক্ষে পুণ্যশীলা রাণী কালিন্দীর সাথে সংঘরাজ সারমেধ মহাস্থবির ও হারবাং এর গুণমিজু ভিক্ষুর সাক্ষাত হয়। সেই দিন সারমেধ মহাস্থবির বুদ্ধের জীবন ও ধর্ম-দর্শনের উপর এক সারগর্ভ দেশনা করেন। এই দেশনা শুনে রাণী কালিন্দী মুগ্ধ হন। পরে তিনি সারমেধ মহাস্থবিরকে তার রাজ প্রাসাদে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসেন। সারমেধ মহাস্থবিরের নিকট তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম থেকে পরিবর্তিত হয়ে থেরবাদ বৌদ্ধধর্মের দীক্ষা গ্রহণ করেন। সারমেধ মহাস্থবির ধর্মচারন ও বিনীত ব্যবহারে চাকমা রাণী কালিন্দী এতই শ্রদ্ধাসম্পন্না হন যে, ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে রাজপুণ্যাহ উপলক্ষে মহাসমারোহে তাকে আরাকানি ভাষায় উপাধিযুক্ত সীলমোহর প্রদানের দ্বারা সম্মাননা জানান। তখন থেকে সারমেধ মহাস্থবিরর মহোদয় বাংলার বৌদ্ধদের কাছে সংঘরাজ হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন।

মহীয়সী চাকমা রাণী কালিন্দী রাজানগর রাজবিহারে সর্বপ্রথম ভিক্ষু সীমা প্রতিষ্ঠা করেন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় অগ্রমহাপন্ডিত ভদন্ত সারমেধ মহাস্থবির মহোদয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ৯০% শতাংশ ভিক্ষু রাজানগর ভিক্ষু সীমায় বিনয়সম্মতভাবে ভিক্ষুধর্মে দীক্ষা নিয়ে শাসন-সদ্ধর্মের সুস্থিতি, শৃঙ্খলা ও থেরবাদ সম্মত মতাদর্শ প্রতিস্থাপন করার পরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় সংঘরাজ নিকায়। সমতল বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মাঝে সংঘরাজ নিকায় অদ্যাবধি স্বগৌরবে অধিষ্ঠিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। ১৯৫৬ সালে মায়ানমারে রেঙ্গুন শহরে কাবায়ে মহাপাষান গুহায় ষষ্ঠ বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়। এই সংগীতি শুধু ধর্ম-বিনয় পরীক্ষা করা হয়নি, এখানে ত্রিপিটকের টীকা টিপ্পনীসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। ভদন্ত মহাকাশ্যাপ স্থবির থেকে শুরু করে বৌদ্ধধর্মের ধারক বাহক ভিক্ষুসংঘ ছয় ছয়বার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে বৌদ্ধ মহাসংগীতি আয়োজন করেন। তাই বুদ্ধের ধর্ম-বিনয় আজ অব্দি অবিকৃতভাবে পরিশুদ্ধভাবে রয়েছে। এই ষষ্ঠ বৌদ্ধ সংগীতিতে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রতিনিধি হিসেবে অগ্রবংশ ভিক্ষু যোগদান করেন। ১৯৫৬ সালে চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় বার্মায় বর্তমান মায়ানমারের রেঙ্গুনে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বৌদ্ধ সংগীতিতে একজন নিমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে যোগদান করেন। সেখানে ভদন্ত অগ্রবংশ ভিক্ষুর সাথে তাঁর পরিচয় হয়। তিনি তখন তঞ্চঙ্গ্যা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একজন উদীয়মান তরুণ ভিক্ষু হিসাবে স্ব-মহিমায় অধিষ্ঠিত। কালে বিবর্তনে চাকমা রাজার রাজবাড়ী, রাজার মন্ত্রণালয় ও চাকমা রাজার নিজস্ব রাজ বিহার রাজানগর থেকে রাঙ্গামাটিতে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে কাপ্তাই বাঁধএর কারণে জলমগ্ন। চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় মহোদয় তরুণ উদীয়মান ভদন্ত অগ্রবংশ ভিক্ষুকে চাকমা রাজ বিহারে এসে রাজগুরু হিসাবে ব্রতী হওয়ার জন্য সাদর প্রার্থনা জানান। ভদন্ত অগ্রবংশ ভিক্ষু রাজার সাদর আমন্ত্রণে (ফাং) সাড়া দিয়ে ১৯৫৮ সালে রাঙ্গামাটি রাজ বিহারে চলে আসেন। চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় তাকে রাজগুরু পদে অভিষিক্ত করেন। রাজগুরু অগ্রবংশ মহাথের ভিক্ষু ১৯৫৮ সালে সর্বপ্রথম পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিক্ষু সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৬ সালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দরুণ রাজগুরু অগ্রবংশ মহাথের বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হন। অতঃপর এ পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিক্ষু সমিতির সভাপতি হিসাবে ব্রতী হন রাঙ্গামাটি মৈত্রী বিহার এর অধ্যক্ষ ভদন্ত বিমল বংশ মহাথেরো মহোদয়। ১৯৭৮ সালে ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু রাঙ্গামাটি আনন্দ বিহারে উপাধ্যক্ষকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিক্ষু সমিতি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়। উল্লেখ্য ১৯৭৬ সালে রাজধানী ঢাকাস্থ আদিবাসী বৌদ্ধদের উদ্যোগে পার্বত্য বৌদ্ধ সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এ পার্বত্য বৌদ্ধসংঘের সাথে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ১৯৭৮ খ্রি. সংঘ সম্মেলন আহবান করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিক্ষু সমিতি নাম বিলুপ্ত করে তদস্থলে পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ নাম রাখা হয়। [৩] ইতোমধ্যে ১৯৮১ খ্রি. দিকে অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা যথাক্রমে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটিবান্দরবান নামে তিনটি জেলায় বিভক্ত করা হয়। নাম রাখা হয়- খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাবান্দরবান পার্বত্য জেলা। এ তিনটি জেলায় বর্তমানে সহস্রাধিক বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হচ্ছে। এই সহস্রাধিক বৌদ্ধ বিহারে আনুমানিক ৩ (তিন) সহস্রাধিক ভিক্ষু থেরো, মহাথেরো করুণাঘন বুদ্ধের সদ্ধর্মের শাসন ব্রতী রয়েছেন। বস্তুত, সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী বৌদ্ধ জনগণ ও ভিক্ষুসংঘের ধর্মীয় আচার ব্যবহার শাসন সদ্ধর্মের স্থিতি ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে মানব সম্পদ উন্নয়ন ও দুঃখমুক্তির আত্যন্তিক এষণার এ সংঘের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত ও বাস্তবায়িত হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে। এটি একটি অলাভজনক অরাজনৈতিক সংঘ সংগঠন। একমাত্র বৌদ্ধ ভিক্ষুরাই এ সংগঠনের সদস্য হওয়ার যোগ্যতার অধিকারী। [৪] সংঘ বিশ্বাস রাখে, সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে মানুষের মানবিক মর্যাদাবোধ, মানুষের নৈতিকতা সর্বস্তরে স্থান দিয়ে মানসিক উৎকর্ষ সাধন করা। [৫][৬]

কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী পরিষদ[সম্পাদনা]

সংঘের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা বা গতিশীল করার লক্ষ্যে ‘কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ’ যা সংঘের প্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করবে। এ পরিষদের কার্যকাল হবে ৩(তিন) বছর। এক্ষেত্রে সংঘের ‘সাধারণ পরিষদ’ মহাসম্মেলন আহবান পূর্বক সদস্যদের গণতান্ত্রিক পন্থায় ভোটাভুটি বা মনোনয়নের মাধ্যমে সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদে চূড়ান্ত করা হয়ে থাকে। এর আওতাধীন সকল উপজেলা শাখাসমূহ বিদ্যমান রয়েছে।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা[সম্পাদনা]

কেন্দ্রীয় আওতাধীন সকল উপজেলা শাখাসমূহের নাম:

  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ রাঙ্গামাটি শাখা
  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ নানিয়ারচর শাখা
  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাঘাইছড়ি শাখা
  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ লংগদু শাখা
  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ বরকল ও জুড়াছড়ি শাখা
  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ বিলাইছড়ি শাখা
  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ কাউখালী শাখা
  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ রাজস্থলী শাখা

খাগড়ছড়ি পার্বত্য জেলা[সম্পাদনা]

কেন্দ্রীয় আওতাধীন সকল উপজেলা শাখাসমূহের নাম:

  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ খাগড়াছড়ি সদর শাখা
  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ দিঘিনালা শাখা
  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ পানছড়ি শাখা
  • পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ বাংলাদেশ মহালছড়ি শাখা

ঢাকা মহানগর শাখা[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম মহানগর শাখা[সম্পাদনা]

বার্ষিক ও সাধারণ পরিষদ সম্মেলন[সম্পাদনা]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Parbatya Bhikkhu Sangha-Bangladesh condemns HR violation in CHT, seeks redress"https://bdnews24.com। এপ্রিল ২৬, ২০০৬।  |কর্ম= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "রাঙ্গামাটিতে শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা"https://www.jagonews24.com/। মে ৩, ২০১৫।  |কর্ম= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  3. "খাগড়াছড়ির দিঘিনালায় শুরু হয়েছে পার্বত্য ভিক্ষুসংঘের মহাসম্মেলন"http://nivvanatv। ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭। ১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৮ 
  4. "ভিক্ষুহত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ"http://suprobhat.com/। জানুয়ারি ১৩, ২০১৮। ২৫ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৮  |কর্ম= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  5. "রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যায় পার্বত্য ভিক্ষুসংঘের উদ্বেগ"https://www.jugantor.com। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।  |কর্ম= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মানবিক সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকা অনুদান পার্বত্য ভিক্ষুসংঘের"http://www.hillbd24.com/। সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭।  |কর্ম= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]