লেস ওয়াট
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লেসলি ওয়াট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়াইতাতি, নিউজিল্যান্ড | ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯২৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৫ নভেম্বর ১৯৯৬ ডুনেডিন, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৭২)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৭০) | ১১ মার্চ ১৯৫৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ আগস্ট ২০২০ |
লেসলি ওয়াট (ইংরেজি: Les Watt; জন্ম: ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯২৪ - মৃত্যু: ১৫ নভেম্বর, ১৯৯৬) ওতাগোর ওয়াইতাতি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওতাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন লেস ওয়াট। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯৪২-৪৩ মৌসুম থেকে ১৯৬২-৬৩ মৌসুম পর্যন্ত লেস ওয়াটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এ পর্যায়ে ৪৮টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২৩.৩০ গড়ে মাত্র দুই হাজারের অধিক রান তুলেছিলেন।
ওতাগোর পক্ষে খেলাকালীন তার তুলনায় দ্বিগুণ প্রথম-শ্রেণীর ব্যাটিং গড়ের অধিকারী বার্ট সাটক্লিফের সাথে নিয়মিতভাবে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। তাদের মধ্যে কিছুটা বৈসাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। সাটক্লিফ বামহাতি, বিশ্বমানের ও অত্যন্ত বিনোদনধর্মী খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও লেস ওয়াট রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় ডানহাতি ও সীমিত আকারের শট খেলতে অভ্যস্ত ছিলেন।
১৯৫০-৫১ মৌসুমে অকল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন। ৯ ডিসেম্বর, ১৯৫০ তারিখে অকল্যান্ডে সারাদিন ব্যাটিং করে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন। শেষ ওভার পর্যন্ত সাটক্লিফ ২৫৮ ও ওয়াট ৯৬ রান তুলেছিলেন। শতরানের দ্বারপ্রান্তে এসে খেলার শেষ বলে কট আউটে তাকে বিদেয় নিতে হয়েছিল। তাদের সংগৃহীত ৩৭৩ রান নিউজিল্যান্ডের তৎকালীন সেরা সংগ্রহ ছিল।[১] পরবর্তীকালে, ১৯৭১-৭২ মৌসুমে জর্জটাউন টেস্টে গ্লেন টার্নার ও টেরি জার্ভিস ৩৮৭ রান সংগ্রহ করে রেকর্ডটি নিজেদের করে নেন।
স্বর্ণালী সময়
[সম্পাদনা]১৯৫০-৫১ মৌসুমের শেষদিকে ঐ জুটি প্রথম উইকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে ১৭৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ওয়াট করেন ৬৫ রান। ওতাগো প্লাঙ্কেট শীল্ডের শিরোপা জয় করে। সাটক্লিফ ৬১০ রান ও ওয়াট চার খেলায় ৪৬.৫৭ গড়ে ৩২৬ রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে, ওয়েলিংটনের বিপক্ষে ৮৪ রান করেছিলেন।[২] এটিই তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের স্বর্ণালী মৌসুম ছিল।
১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে ওতাগোর পক্ষে ছয় নম্বরে ব্যাটিং করেন লেস ওয়াট। ৪৭.৪০ গড়ে ২৩৭ রান তুলে প্লাঙ্কেট শীল্ডে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেন।[৩] সাউথ আইল্যান্ডের সদস্যরূপে নর্থ আইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন লেস ওয়াট। ১১ মার্চ, ১৯৫৫ তারিখে ডুনেডিনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
১৯৫০-৫১ মৌসুমে নিজ দেশে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। চার বছর পর লেন হাটনের নেতৃত্বাধীন একই দলের বিপক্ষে নিজ শহর ডুনেডিনে কারিসব্রুকের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ও নিজস্ব একমাত্র টেস্ট খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়। নোয়েল ম্যাকগ্রিগর ও ইয়ান কলকুহনের সাথে একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। দুইবারই বোল্ড হন। ০ ও ২ রান তুলেন তিনি।[৪] দ্বিতীয় টেস্ট থেকে তাকে বাদ দেয়া হয় ও ম্যাট পুরকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
অবসর
[সম্পাদনা]আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হবার পরও ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ওতাগোর পক্ষে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। এ পর্যায়ে প্লাঙ্কেট শীল্ডে দলকে তিনবার শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখেন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুম শেষে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেন। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে ৩৮ বছর বয়সে পুনরায় খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা পান। তবে, অংশগ্রহণকৃত পাঁচটি খেলার সবকটিতেই ওতাগো দল পরাজিত হয়েছিল। ১৩.৫০ গড়ে মাত্র ১৩৫ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। এরপর আর তাকে খেলতে দেখা যায়নি।
২০ বছরের খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি কোন শতরানের ইনিংসের সন্ধান পাননি। সবমিলিয়ে ২৩.৩০ গড়ে ২০০৪ রান তুলেছিলেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। অতঃপর, ১৫ নভেম্বর, ১৯৯৬ তারিখে ৭২ বছর বয়সে ওতাগোর ডুনেডিন এলাকায় লেস ওয়াটের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- মার্ভ ওয়ালেস
- জ্যাক অ্যালাব্যাস্টার
- এক টেস্টের বিস্ময়কারী
- নিউজিল্যান্ডীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- টেস্ট ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জোড়া শূন্য রান
- প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে লেস ওয়াট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে লেস ওয়াট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)