বিষয়বস্তুতে চলুন

বব কাউপার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা AishikBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৪:৪৭, ২৮ জুলাই ২০২১ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (বানান সংশোধন)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

বব কাউপার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
রবার্ট মাস্কিউ কাউপার
জন্ম (1940-10-05) ৫ অক্টোবর ১৯৪০ (বয়স ৮৪)
কিউ, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান, রেফারি
সম্পর্কডেভ কাউপার (পিতা)
ডেভিড কাউপার (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২২৯)
৬ জুলাই ১৯৬৪ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩০ জুলাই ১৯৬৮ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৭ ১৪৭
রানের সংখ্যা ২০৬১ ১০৫৯৫
ব্যাটিং গড় ৪৬.৮৪ ৫৩.৭৮
১০০/৫০ ৫/১০ ২৬/৫৮
সর্বোচ্চ রান ৩০৭ ৩০৭
বল করেছে ৩০০৫ ১৪৯১৭
উইকেট ৩৬ ১৮৩
বোলিং গড় ৩১.৬৩ ৩১.১৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৪৮ ৭/৪২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২১/০ ১৫১/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১ জানুয়ারি ২০১৬

রবার্ট মাস্কিউ কাউপার (ইংরেজি: Bob Cowper; জন্ম: ৫ অক্টোবর, ১৯৪০) মেলবোর্নের কিউ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী রেফারি ও সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৬০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন তিনি।

১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সময়কালে ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ড ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন।[] দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন বব কাউপার

খেলোয়াড়ী জীবন

অস্ট্রেলিয়া জাতীয় রাগবি ইউনিয়ন দলের অধিনায়ক ডেভ কাউপারের সন্তান তিনি। স্কচ কলেজ মেলবোর্নে অধ্যয়ন করেন তিনি। দীর্ঘদেহী কাউপার সঠিকমানের বামহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে কম রান করায় দল থেকে বাদ পড়েন। মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম টেস্টে তাকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঐ খেলায় ৭২৭ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে ৩০৭ রান তোলেন যা অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম।[] পরবর্তীতে অবশ্য ম্যাথু হেইডেন ২০০২-০৩ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৮০ রান তুলেছিলেন যা অস্ট্রেলিয়ায় সর্বোচ্চ টেস্ট রান। কিন্তু, কাউপারেরটি সময়ের দিক দিয়ে দীর্ঘতম।

ত্রি-শতক লাভের পর তিনি কখনও টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েননি। কিন্তু, ১৯৬৮ সালের পঞ্চম টেস্টে হাতের আঘাতের কারণে বিশ্রাম নিতে বাধ্য হন। ১৯৬৬-৬৭, ১৯৬৭-৬৮ ও ১৯৬৮ সালের সিরিজের ১৩ টেস্টে ৩৮.৭৯ গড়ে ৯৩১ রান ও ২৫.২২ গড়ে ৩১ উইকেট পান তিনি। ঐ তেরো খেলায় কোন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানই ৮০০ রানের অধিক সংগ্রহ করতে পারেননি। কেবলমাত্র গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি তার চেয়ে বেশি ৪৯ উইকেট পেয়েছেন। ১৯৬৮ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে হেডিংলিতে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নিয়েছেন। ঠিক চার বছর পূর্বে হেডিংলিতেই তিনি তার প্রথম টেস্টে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন। স্মর্তব্য যে, নিজ দেশে অনুষ্ঠিত টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ৭৫.২৮ হলেও বিদেশে তা ৩৩.৩৩। ৪২.৪৫ রান গড়ের পার্থক্য রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।[]

অবসর

১৯৬৯-৭০ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ডে ভিক্টোরিয়ার শিরোপা বিজয়ে দলের অধিনায়ক ছিলেন। এরপর বৃহৎ ব্যবসায় মনোনিবেশ ঘটানোর লক্ষ্যে ক্রিকেট খেলা থেকে দূরে সরে যান। খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর বৃহৎ ব্যবসায় সফল হন। এছাড়াও, তিনি ক্রিকেট রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তথ্যসূত্র

  1. "First-Class Matches played by Bob Cowper"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৯ 
  2. Mukherjee, Abhishek (৫ অক্টোবর ২০১৬)। "Bob Cowper: The first man to score a Test 300 on Australian soil"CricketCountry। india.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. The best – and worst – travellers

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ