অয়লারের ধ্রুবক
গাণিতিক ধ্রুবক e |
---|
নিবন্ধের ধারাবাহিকের অংশ |
Properties |
Applications |
Defining e |
ব্যক্তি |
Related topics |
e একটি গাণিতিক ধ্রুবক, যা অয়লারের সংখ্যা নামে পরিচিত। যার সাংখ্যিক মান হল 2.71828182845...[১]। উক্ত সংখ্যাটি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এটি প্রাকৃতিক লগারিদমের ভিত্তি। এটি (1 + 1/n)n এর সীমা, যখন n এর মান অসীমের সন্নিকটবর্তী। এটি চক্রবৃদ্ধি মুনাফা অধ্যয়নে এটি ব্যবহৃত হয়। এটির কিছু কিছু অসীম ধারার যোগফল নির্ণয়েও কাজে লাগে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]স্কটিশ গণিতজ্ঞ জন নেপিয়ার ১৬১৮ খ্রিস্টাব্দে উক্ত ধ্রুবকটি সম্পর্কে উল্লেখ করেন। তবে ধ্রুবকটি আবিষ্কার ও সংজ্ঞায়িত করার কৃতিত্ব দেওয়া হয় জ্যাকোব বার্নোলিকে। যিনি নিম্নোক্ত রাশিটির মান বের করার চেষ্টা করছিলেন।
সংজ্ঞা
[সম্পাদনা]অর্থাৎ e হলো প্রদত্ত রাশিটির সীমা, যখন n এর মান অসীম পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। অন্য কথায়, n এর মান যত বৃদ্ধি পায়, রাশিটির মান তত e এর কাছাকাছি যেতে থাকে।
মান নির্ণয়
[সম্পাদনা]
উক্ত অসীম ধারাটির সমষ্টি e এর সমান।[২]
প্রমাণটাও সহজ, প্যাসক্যালের দ্বিপদী উপপাদ্য অনুযায়ী,
সুতরাং, যখন , তখন,
যার সীমা হলো e (কারণ n এর মান যত বৃদ্ধি পায়, এর মান তত শুন্যের দিকে কমতে থাকে)।
সূচক ফাংশন
[সম্পাদনা]রাশিটিকে x এর ফাংশন হিসেবে ধরে একে সূচক ফাংশন বলা হয়। একে ও লেখা হয়।
ফাংশনটিকে একটি অসীম ধারা হিসেবে লেখা যায় (এই ধারাটি কোন নির্দিষ্ট x এর জন্য ফাংশনটির মান নির্ণয়েও ব্যবহৃত হয়),
অয়লারের অভেদ
[সম্পাদনা]সমীকরণটি e কে 1, এবং i এর মতন গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যার সাথে সম্পর্কিত করে। ১৭৩৭ সালে অয়লার[৩] দেখান যে, e একটি অমূলদ সংখ্যা। ১৮৭৩ সালে হেরমিট প্রমাণ করেন যে, e একটি তুরীয় সংখ্যা( পাই এর মত)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ ২য় খন্ড। বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ১। আইএসবিএন 984-07-5373-8।
- ↑ Encyclopedic Dictionary of Mathematics 142.D
- ↑ Sondow, Jonathan। "e"। Wolfram Mathworld। Wolfram Research। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১১।