অয়লারের ধ্রুবক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

e একটি গাণিতিক ধ্রুবক, যা অয়লারের সংখ্যা নামে পরিচিত। যার সাংখ্যিক মান হলো 2.718 281 828 45...[১]। উক্ত সংখ্যাটি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এটি প্রাকৃতিক লগারিদমের ভিত্তি। এটি (1 + 1/n)n এর সীমা, যখন n এর মান অসীমের সন্নিকটবর্তী। এটি চক্রবৃদ্ধি মুনাফা অধ্যয়নে এটি ব্যবহৃত হয়। এটির কিছু কিছু অসীম ধারার যোগফল নির্ণয়েও কাজে লাগে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

স্কটিশ গণিতজ্ঞ জন নেপিয়ার ১৬১৮ খ্রিস্টাব্দে উক্ত ধ্রুবকটি সম্পর্কে উল্লেখ করেন। তবে ধ্রুবকটি আবিষ্কার ও সংজ্ঞায়িত করার কৃতিত্ব দেওয়া হয় জ্যাকোব বার্নোলিকে। যিনি নিম্নোক্ত রাশিটির মান বের করার চেষ্টা করছিলেন।

সংজ্ঞা[সম্পাদনা]

অর্থাৎ e হলো প্রদত্ত রাশিটির সীমা, যখন n এর মান অসীম পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। অন্য কথায়, n এর মান যত বৃদ্ধি পায়, রাশিটির মান তত e এর কাছাকাছি যেতে থাকে।

মান নির্ণয়[সম্পাদনা]

উক্ত অসীম ধারাটির সমষ্টি e এর সমান।[২]

প্রমাণটাও সহজ, প্যাসক্যালের দ্বিপদী উপপাদ্য অনুযায়ী,

সুতরাং, যখন , তখন,

যার সীমা হলো e (কারণ n এর মান যত বৃদ্ধি পায়, এর মান তত শুন্যের দিকে কমতে থাকে)।

সূচক ফাংশন[সম্পাদনা]

এর চরম মান x = e এ ঘটে

রাশিটিকে x এর ফাংশন হিসেবে ধরে একে সূচক ফাংশন বলা হয়। একে ও লেখা হয়।

ফাংশনটিকে একটি অসীম ধারা হিসেবে লেখা যায় (এই ধারাটি কোন নির্দিষ্ট x এর জন্য ফাংশনটির মান নির্ণয়েও ব্যবহৃত হয়),

অয়লারের অভেদ[সম্পাদনা]

সমীকরণটি e কে 1, এবং i এর মতন গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যার সাথে সম্পর্কিত করে। ১৭৩৭ সালে অয়লার[৩] দেখান যে, e একটি অমূলদ সংখ্যা। ১৮৭৩ সালে হেরমিট প্রমাণ করেন যে, e একটি তুরীয় সংখ্যা( পাই এর মত)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ ২য় খন্ড। বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ১। আইএসবিএন 984-07-5373-8 
  2. Encyclopedic Dictionary of Mathematics 142.D
  3. Sondow, Jonathan। "e"Wolfram MathworldWolfram Research। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১১ 


বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]