১০ (দশ) হলো ৯ এর পরবর্তী এবং ১১ এর পূর্ববর্তী স্বাভাবিক জোড় সংখ্যা। লিখিত ও কথায় উভয় ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত দশমিক সংখ্যাপদ্ধতির ভিত্তি হলো দশ। এটি প্রথম দুই অঙ্কের সংখ্যা। এটাকে সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হিসেবে নির্বাচন করার অন্যতম কারণ মনে করা হয়, মানুষের দুই হাতের আঙুলের সংখ্যা ১০ (অঙ্ক)।
দশ হল একটি যৌগিক সংখ্যা যার উৎপাদক ৪টি। এর প্রকৃত উৎপাদক হচ্ছে ১, ২ এবং ৫। দশ হল এমন একটি ক্ষুদ্রতম ননকোটোটিয়েন্ট সংখ্যা, যা কোনো পূর্ণসংখ্যা এবং এর নিচে সহমৌলিকের মোট সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য হিসাবে প্রকাশ করা যায় না।[১]
দশ হল দ্বিতীয় বিচ্ছিন্ন সেমিপ্রাইম (২ × ৫) এবং (২ × q) বিযুক্ত সেমিপ্রাইম পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য। দশের একটি অ্যালিকোট ক্রম σ(n) এর ৮ এবং সেই অনুযায়ী ঘাটতিতে থাকা প্রথম পৃথক সেমিপ্রাইম। পরবর্তী সমস্ত বিযুক্ত সেমিপ্রাইম ঘাটতিতে রয়েছে। ১০-এর জন্য অ্যালিকোট ক্রমে পাঁচটি সদস্য (১০,৮,৭,১,০) নিয়ে গঠিত এবং এই সংখ্যাটি ৭-অ্যালিকোট গাছের দ্বিতীয় যৌগিক সদস্য।
দশ হল ক্ষুদ্রতম সেমিপ্রাইম যা হলো তার নিম্নতর গুণনীয়ক বা উৎপাদক থেকে উচ্চতর গুণনীয়ক বা উৎপাদকের (১০ = ২ + ৩ + ৫ = ২ × ৫) এর মধ্যে সমস্ত স্বতন্ত্র মৌলিক সংখ্যার যোগফল। যেমন: (১০= ২+৩+৫ = ২×৫)। অন্য তিনটি ছোট সেমিপ্রাইম সংখ্যা এইরকম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, যেমন: ৩৯, ১৫৫ এবং ৩৭১।
দশ হলো প্রথম তিনটি মৌলিক সংখ্যার যোগফল (২+৩+৫), প্রথম চারটি ধনাত্মক সংখ্যার যোগফল (১+৩+৩+৪), প্রথম দুটি বিজোড় সংখ্যার বর্গের যোগফল, এবং প্রথম চারটি [[ফ্যাক্টরিয়াল গৌণিক|ফ্যাক্টরিয়ালের]] যোগফল। দশ হচ্চে অষ্টম পেরিন সংখ্যা যা ৫,৫,৭ পরে বসে।
↑M.J. Bertin; A. Decomps-Guilloux; M. Grandet-Hugot; M. Pathiaux-Delefosse; J.P. Schreiber (১৯৯২)। Pisot and Salem Numbers। Birkhäuser। আইএসবিএন3-7643-2648-4।