সুপারকম্পিউটার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাধারণ ড্যাটা সেন্টার এয়ার কন্ডিশনের মাধ্যমে Argonne Natinal Lab এর Blue Gene/P সুপার কম্পিউটার একসাথে প্রায় আড়াই লক্ষ প্রসেসর চালিয়ে থাকে। যা অপটিকেল নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত দ্রুত গতির সারি সারি সাজানো ৭২টি রেক বা কেবিনেটে বিন্যস্ত অবস্থায় রাখা আছে।[১]

সুপার কম্পিউটার বলা হয়ে থাকে ক্ষমতা বিশেষ করে হিসাব নিকাষের গতির উপর নির্ভর করে কোন নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীর অগ্রগণ্য কম্পিউটারগুলোকে। ১৯৬০ সালের দিকে কন্ট্রোল ড্যাটা কর্পোরেশন (সিডিসি) এর সেইমার ক্রে সর্বপ্রথম প্রাথমিক ভাবে সুপার কম্পিউটারের একটি ডিজাইন তৈরি করেন এবং তা পৃথিবীর কাছে তুলে ধরেন। ১৯৭০ সালের দিকের সুপার কম্পিউটারগুলোতে সামান্য কয়েকটি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়ে থাকলেও ১৯৯০ সালের দিকের সুপার কম্পিউটারগুলোতে হাজার হাজার প্রসেসর ব্যবহার হতো কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে সুপার কম্পিউটারে প্রসেসরের এ সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়ে যায়।

সুপার কম্পিউটারগুলোতে অসংখ্য প্রসেসর নিয়ে কাজ করার জন্য সাধারণত দুটি পদ্ধতির একটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ১ম পদ্ধতির নাম গ্রীড কম্পিউটিং এবং ২য় পদ্ধতির নাম ক্লাস্টার কম্পউটিং। গ্রীড পদ্ধতিতে বিশাল সংখ্যক কম্পিউটারের প্রসেসিং ক্ষমতা সুষ্ঠভাবে বন্টিত অবস্থায় থাকে এবং প্রাপ্যতার উপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারগুলোকে বৈচিত্রময় প্রশাসনিক কিছু উপায় মেনে পুনরায় আবার কাজে লাগিয়ে দেয়া হয়। অপরদিকে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে একে অপরের সাথে খুবই নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত বিশাল সংখ্যক প্রসেসর একত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন অসংখ্য মাল্টি-কোর প্রসেসর সংযুক্ত করার মাধ্যমে চালিত উক্ত পদ্ধতিটির জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশীল সুপার কম্পিউটার জাপানের 'ফুকাগুর কম্পিউটার' । ২য় 'সামিট(USA)'

৩য় চীনের।

কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া, জলবায়ু গবেষণা, তেলগ্যাসের উৎস চিহ্নিত করতে, আণবিক মডেল পর্যবেক্ষণ যেমন কোন কেমিকেল কম্পাউন্ড, বায়োলজিক্যাল ম্যাক্রোমলিকিউল, পলিমার এবং ক্রিস্টালের গঠন ও বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে এবং বাহ্যিক সিমিউলেসন যেমন এয়ারপ্লেন সিমিউলেসন, নিউক্লিয়ার বোমা বিস্ফোরণ সিমিউলেসন এবং নিউক্লিয়ার ফিউশন গবেষণার ক্ষত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

তথ্যসূত্রসমূহ[সম্পাদনা]

  1. IBM Blue gene announcement