সিড ও’লিন
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সিডনি ও’লিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অটশুর্ন, কেপ প্রদেশ | ৫ মে ১৯২৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ র্যান্ডবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৮৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২০১) | ৯ জুন ১৯৬০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৬১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪৫/৪৬ - ১৯৪৬/৪৭ | ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫১ - ১৯৫৪ | কেন্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৭/৫৮ - ১৯৬৫/৬৬ | ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
সিডনি ও’লিন (ইংরেজি: Sid O'Linn; জন্ম: ৫ মে, ১৯২৭ - মৃত্যু: ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬) কেপ প্রদেশের অটশুর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন সিডনি ও’লিনস্কি নামে পরিচিত সিড ও’লিন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]জন্মকালীন তিনি সিডনি ও’লিনস্কি নামে পরিচিত ছিলেন।[১] ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম থেকে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম পর্যন্ত সিড ও’লিনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। একগুঁয়ে মনোভাবের অধিকারী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। কার্যকর বিকল্প উইকেট-রক্ষক ও যে-কোন অবস্থানে চমৎকার ফিল্ডার হিসেবেও ভূমিকা রাখতেন।
১৯৬০ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে ট্রান্সভালের পক্ষে ৬৮.৭৮ গড়ে ৬১৯ রান করেন। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত কেন্টে খেলেন। এ পর্যায়ে তিনি গডফ্রে ইভান্সের সহকারী হিসেবে উইকেট-রক্ষণে ছিলেন। ২৬ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন তিনি। ১৯৬০ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্য করা হয়।[২]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন সিড ও’লিন। ৯ জুন, ১৯৬০ তারিখে বার্মিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৬১ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬০ সালে ৩২ বছর বয়সে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়। পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া ঐ সিরিজের প্রত্যেকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ৩২.৬২ গড়ে ২৬১ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন তিনি। এ সফরেই বর্ণবাদের দানা ফুঁটে উঠে। তন্মধ্যে, ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ছয় ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করে ৯৮ রান তুলে স্লিপ অঞ্চলে দণ্ডায়মান কলিন কাউড্রে’র হাতে তালুবন্দী হন। এটিই তার অংশগ্রহণকৃত টেস্টগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল।[৩]
১৯৬১-৬২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টেও তাকে দলে রাখা হয়। কিন্তু, দূর্বল ক্রীড়ানৈপুণ্যের কারণে তাকে দলের বাইরে চলে যেতে হয়।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ফুটবল খেলায়ও দক্ষ ছিলেন সিড ও’লিন। ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফুটবল খেলায় অংশ নেন।[২] এরপর, ইংরেজ প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে চার্লটন অ্যাথলেটিকের পক্ষে ১৮৭ খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।[৪][৫][৬]
ইংল্যান্ডে ফুটবল খেলার পাশাপাশি কেন্টের পক্ষে ক্রিকেট খেলতেন। ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত সহকারী উইকেট-রক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন।[২][৫] ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬ তারিখে ৮৯ বছর বয়সে র্যান্ডবার্গ এলাকায় সিড ও’লিনের দেহাবসান ঘটে।[৭][৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Lightman, Daniel (১৩ জানুয়ারি ২০১৭)। "Sidney O'Linn"। The Jewish Chronicle। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "Soccer Player for Cricket Tour"। The Age। ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০।
- ↑ Wisden 1961, p. 291.
- ↑ Alfred L (2016) The man who wouldn't say 'Mister', CricInfo, 2016-12-17. Retrieved 2018-10-24.
- ↑ ক খ "Sid O'Linn profile"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ "সিড ও'লিন"। ব্যারি হাগম্যান'স ফুটবলার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Former South Africa Test cricketer Sid O'Linn dies"। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Former SA cricketer O'Linn dies"। SuperSport.com। ১২ ডিসেম্বর ২০১৬। ১২ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- কলিন ওয়েসলি
- এডওয়ার্ড ফন দার মারউই
- দক্ষিণ আফ্রিকান টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- ইংরেজ ক্রিকেট ও ফুটবল খেলোয়াড়দের তালিকা
- প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সিড ও’লিন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সিড ও’লিন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ১৯২৭-এ জন্ম
- ২০১৬-এ মৃত্যু
- ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের ক্রিকেটার
- কেন্টের ক্রিকেটার
- গটেংয়ের ক্রিকেটার
- দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার
- দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ক্রিকেটার
- দক্ষিণ আফ্রিকান ফুটবলার
- চার্ল্টন অ্যাথলেটিক ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- ইহুদি ক্রিকেটার
- ইহুদি দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রীড়াবিদ
- ইংরেজ ফুটবল লিগের খেলোয়াড়
- দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক ফুটবলার